তিস্তা শেষাবদি ভারতের শতবছরের ঐতিহ্যে আঘাত সৃষ্টি করতে পারে,যৌথবিবৃতিতে মমতার প্রস্তাব অগ্রাহ্য।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

      মায়ের দুধের অধিকার একমাত্র বাচ্চার যেমন চিরন্তন তেমনি উজানের নদীর পানিও বাংলাদেশের পাওয়ার অধিকার চিরন্তন। মা এবং বাচ্চার সম্পর্কে কোনপ্রকার খাদ আছে বলতে পারেন? না কখনও মা ছেলের সম্পর্কে খাদ থাকতে পপারেনা। তার পরেও মা যতক্ষন বাচ্চা সংগ্রাম না করে ততক্ষনে তাঁর দুধ বের করে দিতে দেখেছেন কেউ? এবং কি স্বামী স্ত্রীর একান্ত মহুর্তেও সংগ্রামের তিব্রতায় বিরক্ত হলেও ঐ মহুর্তে বাচ্চার দুধ বের করে দিতেই হয়। মা-ছেলের নাড়ির সম্পর্কে মা থেকে দুধ বাহির করার জন্যে যেখানে বাচ্চার আন্দোলনের প্রয়োজন হয়---সেখানে আজীবনের লালিত শত্রুদেশ থেকে সহজ একেবারে সহজ উপায় পানি গরগর করে চলে আসবে, এইরুপ যারা চিন্তা করে তাঁদের সুস্থ্যতা নিয়েই আমার যতসব চিন্তা। মা দুধ দেয়ার জন্যে বাচ্চাকে যখন কোলে তোলে নেয় বাচ্চা তাঁর স্বভাবজাত ভঙ্গিমায় মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।মাও তাঁর অন্তরের সমস্ত অনুভূতি দিয়ে বাচ্চাকে দুধ বের করে দেয়।তদ্রুপ কোন আচরন বিগত ৪০ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশ কি ভারতের সাথে করেছে?

      নদীর পানির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এই পয্যন্ত যত আলোচনা, সমালোচনা হয়েছে আন্দোলন কি এই পয্যন্ত কেউ একবারও  দেখেছেন? আমরা কি কখনও তাঁদের প্রতি কোন উপকারের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি? বরঞ্চ সবকাজের বিকল্প কটুক্তি ছাড়া কি দিতে পেরেছি? অনন্তকাল বলেই যাচ্ছি আমাদের গিলে খাচ্ছে, নিয়ে গেছে, নিয়ে যাচ্ছে।এর বাহিরে কোন সু-সমালোচনা আমরা কি তাঁদের উপহার দিতে পেরেছি?  এই জাতির মুক্তির জন্যে তাঁরা তাঁদের রক্ত ঢেলে দেয়নি? রক্ত ঢেলে দেয়া তাঁদের সেনাবাহিনীর কোন জোয়ানের জন্যে, আমরা কোন দিন একমিনিট স্মরণ করার উদ্দেশ্যে নিরবতা পপালনের উদ্যোগ গ্রহন করেছি? যে মহান নেতার অবদানে মাত্র নয়মাসের যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছিলাম, আমাদের মুক্তির দিশারীকে স্ব-শরীরে ফেরৎ পেয়েছিলাম, সেই মহান নেতা শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে স্মরনে রাখার কোন ব্যবস্থা করেছি? আমরা কি স্বাধীন বাংলাদেশের কোথাও একটুকরো ভুমিও কি বরাদ্ধ রাখতে পেরেছি? গঙ্গার পানিও দিয়েছে আমরা কি সম্মীলিত ভাবে আজ পয্যন্ত তাঁদের কে একটা ধন্যবাদ দিতে পেরেছি? কেন পারিনি?

      তিস্তার পানি দেয়ার আগেই বলছি তাঁদের নিকট বিক্রি হয়ে গেছি! যেহেতু বিক্রিই হয়ে গেলাম আইনত: তাঁরাই এই দেশের মালিক! তাঁদের দেশে তাঁরা পানি দিবে কি দিবেনা, তাঁদের কি সেই ইচ্ছা থাকতে পারেনা? আপনার বন্দর ব্যবহার করার জন্যে চাইলে বলবেন, তাঁরা দখল করে নিবে। পানি চান কোন চোখে।পানির উপর আপনার অধিকার যেমন সত্য, তেমনি পানির উপর প্রতিষ্ঠিত বন্দরের উপর তাঁর অধিকার কেন সত্য নয়? আপনার সব শতভাগ তাঁর বেলায় শুন্যভাগ কেন  হতে হবে? আপনার নিকট চাইলে বলবেন অভ্যন্তরিন রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমন অভ্যন্তরিন কোন ব্যাপার কি তাঁদের দেশে থাকতে পারে না?

      সুপ্রীয় পাঠক, বাংলাদেশের উজানে ৫৭টি নদী আছে।প্রত্যেকটা নদীর উপর গত চল্লিশ বছর যাবৎ তাঁরা তিলে তিলে বাঁধ গড়ে তোলে একতরফা পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তিস্তা আলোচিত বটে বিভিন্ন কারনে কিন্ত্যু তাঁর চেয়েও প্রয়োজনীয় নদীর পানি আমরা পাচ্ছিনা। বিগত চল্লিশবছর একতরফা বাঁধ নির্মান প্রাক্কালে বাংলাদেশের কোন সরকার বা বিরুধীদল দেশে বা আন্তজাতিক পয্যায় কোন প্রতিবাদ করেনি।একমাত্র গঙ্গার উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মানের সময় মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী লং মার্চের ঘোষনা দিয়ে আন্তজাতিক দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন।গঙ্গার উপর আমাদের ন্যায্যতা তোলে ধরেছিলেন।তিস্তা মুখে গজলডুবা বাঁধ নির্মানের বিরুদ্ধে  আমরা কি তদ্রুপ একটা কর্মসূচি পালন করতে পারতামনা? কেন করিনি? এখনও কেন করছিনা? তিস্তার পানির অভাবে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরে আমরা কি কোন ডকুমেন্টারি তৈরী করেছি? ঐ ডকুমেন্টারি দিয়ে আমরা কি ভারত সহ বিশ্বের দেশে দেশে  প্রচার চালিয়ে জনমত গড়ে তুলতে পারতামনা? কেন প্রচার চালাইনি? ভাসানী ফারাক্কা বাঁধ কেটে দেয়ার উদ্দেশ্যে যে লং মার্চ করেছিলেন সেই লং মার্চ কি আসলেই বাঁধ কাটার জন্যে? না, বিশ্বজনমতের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্যে?

     এখন পয্যন্ত ভারত সরকার বা মমতা তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে কি অপারগতা প্রকাশ করেছেন? উভয় দেশের সরকার প্রধান এবং কি মমতা এখনও কি আশাবাদ ব্যাক্ত করে যাচ্ছেন না? মমতা তিস্তার পানি স্বল্পতার কারন উল্লেখ করে তৎসংলগ্ন আরো চারটি নদীর সমীক্ষা চালানোর প্রস্তাব কি দেয়নি? মমতা এমনও তো বলেছেন--বাংলাদেশের যে পরিমান  পানির প্রয়োজন, তিস্তা তা সরবরাহ করতে পারবেনা। এই না পারার কারনও তিনি ব্যাখ্য করেছেন। তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়ানোর বিকল্প ব্যবস্থা করা সাপেক্ষে--তোর্সা সহ আরো কয়েক নদীর পানিবন্টনের কথাই বলেছেন তিনি। যে নদীগুলী তিস্তার প্রবাহমান এলাকায় পানি সরবরাহ করা সম্ভব। তাঁর প্রস্তাবিত চার নদীতেও পশ্চিমবঙ্গকে সাথে রাখার অনুরুধ রেখেছেন বাংলাদেশ ও তাঁর সরকারের নিকট।

   তাঁর রাজনীতির স্বার্থ নিশ্চয়ই এখানে লুকিয়ে আছে। এমনও তো হতে পারে--এখন সে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহের অভ্যন্তরে লুকিয়ে রেখেছেন। তাঁর কি সর্বভারতীয় প্রধান মন্ত্রীর হওয়ার ইচ্ছা থাকতে পারেনা? আমরা যেহেতু দেশবিক্রির স্টেন্ড নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি প্রস্তুত করতে পারি, সে পানি আটকিয়ে সর্বভারতের স্বার্থরক্ষকের ভুমিকায় অবতীন্ন হতে পারবেনা কেন? সে কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন দেখতে পারেনা? সকলেই জানে দেশ এমন কোন পণ্য নয় সকাল বিকাল বিক্রি করা যায়, তেমনি অভিন্ন নদীর পানিও এমন কোন বিষয় নয়, যুগের পর যুগ আটকিয়ে রাখতে পারবে।

       মমতা তিস্তার বদলে নয় গ্রহনযোগ্য প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।মৌদি সরকার কোন প্রস্তাবেই সায় দেয়নি।একটা কথা বলে রাখতে চাই--বাংলাদেশ এবং ভারতের যে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহন করেছে, দুই সরকার প্রধান এবং এতে ভারতের প্রধান বিরুধীদল যে ভুমিকা পালন করছে, বাংলাদেশের বিরুধীদল তাঁর বিন্দু পরিমান ভুমিকাও পালন করতে পারলে ভারত- বাংলাদেশের বিদ্যমান সমস্যা  নিমীষেই সমাধান হ'তে পারে। ভারতের ইতিহাসে সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে বাদ দিয়ে কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সংঙ্গে চুক্তি হয়েছে---এমন কোন নজীর নেই। দেশটির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে চলমান রীতি তিস্তা দিয়ে ভাঙ্গার নজীর সৃষ্টি হলেও আশ্চায্য হওয়ার কিছুই থাকবে না, আমি মনে করি।

  এই প্রসংঙ্গে ১০/৪/২০১৭ ইং তারিখের বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর সফর সংক্রান্ত বিষয়ে প্রখ্যাত বাংলা পত্রিকা "দৈনিক আনন্দ বাজারে"র সর্বশেষ সংস্করনে প্রকাশিত নিবন্ধ হুবহু পাঠকদের জানার জন্যে কপি পেষ্ট তুলে দিলাম---

 গ্রহনযোগ্য নয়প্রস্তাব--কোন প্রস্তাবেই কেন্দ্রের সায় নেই।
দৈনিক আনন্দবাজার।১০/০৪/ ২০১৭ ইং

কাল রাতে মমতা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, কেবল মাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, হায়দরাবাদ হাউসের মধ্যাহ্নভোজেও তিনি ভারতীয় নেতৃত্বকে তাঁর বিকল্প প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সন্ধ্যায় ভারত যে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে সেই প্রস্তাবের উল্লেখটুকুও নেই। বরং বলা রয়েছে উল্টো কথা। যৌথ বিবৃতির নথির ৪০ নম্বর অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে দুই সরকারের ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সই করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছেন। মোদী জানিয়েছেন, ওই চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তাঁর সরকার সংশ্লিষ্ট মহলগুলির সঙ্গে কথা বলছেন।’ শুধু তাই নয়, ফেনি, মানু, ধরলা-সহ ৭টি নদীর জলবণ্টন নিয়ে চুক্তি সইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও বলা হয়েছে বিবৃতিতে। তোর্সার নামই নেই সে তালিকায়।

মুখ্যমন্ত্রী তিস্তার বদলে তোর্সার জলের প্রস্তাব দেওয়ার পর এখনও সরকারি ভাবে মুখ খোলেননি কেন্দ্রীয় কর্তারা। খোলার কথাও নয়। হাসিনার সফর এখনও চলছে। তবে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বলেই মনে করছে না কেন্দ্র। তার কারণ, জলের অভাবে বাংলাদেশে তিস্তা অববাহিকা শুকিয়ে জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নামার বিষয়টি তো রয়েছেই। নয়াদিল্লি জানে, তিস্তা নিছক একটি নদীর নাম নয়। বাংলাদেশের মানুষের আবেগের নাম। ২০১৮-র শেষে নির্বাচনে যাওয়ার আগে মুজিব কন্যার প্রধান রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে চলেছে এই তিস্তা চুক্তি। তিনি তা সই করে ভোটে যেতে পারলে সরকারে ফিরতে সুবিধা হবে বলে মনে করে আওয়ামি লিগ। অন্য দিকে আগ্নেয় প্রতিবেশী বলয়ের মধ্যে থাকা ভারতের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে নিরাপত্তা-সমঝোতা জরুরি। মোদীর কথায়, ‘‘হাসিনা যে ভাবে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছেন, তাঁর জন্য আমাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রয়েছে।’’ কূটনীতিকরা বলছেন, এমন নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলাটা দিল্লির লক্ষ্য নয়। বরং প্রতিবেশী দেশের এই নেতৃত্বকে সর্বতো ভাবে সহযোগিতা করাই নীতি হওয়া উচিত।
শেখ হাসিনাকে পাশে নিয়ে কাল প্রধানমন্ত্রী কার্যত তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের সময়সীমাই ঘোষণা করে দিয়েছেন। মোদী বলেছেন, ‘‘আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, একমাত্র আমার এবং আপনার সরকারই তিস্তা চুক্তির দ্রুত সমাধান করতে পারবে।’’ তাঁর এই মন্তব্যের পর জল্পনা— আগামী বছরের মধ্যে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। আর প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মঞ্চে তাঁর পাশেই ছিলেন।

  এর পরেও বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল এবং মুর্খ্য রাজনীতিবীদেরা যদি বলতে চায় ভারত একতরফা বাংলাদেশের উপর তাঁর প্রভাব বিস্তার করতে চায়, তাঁদেরকে কি বলে সমবেদনা জানাতে পারি, আমি ক্ষুদ্র একজন নাগরিক বুঝতে পারিনা।

     তিস্তার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনপ্রকার আপোষ করেছেন যারা বলেন--তারা আহম্মকের স্বর্গেই বাস করছেন বলতে হয়। সকলেরই জানা আছে--শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিল। শেখ হাসিনা উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন।এতেই বুঝা যায় জাতির পিতার কন্যা স্বস্তিতে নেই।দেশের স্বার্থরক্ষায় অবাঞ্চিত বাঁধায় তাঁর মনের মধ্যেও চৈতালী হাওয়া বইছে। সুতারাং এই মহুর্তে তাঁর অবস্থানকে শক্তিশালী করার কর্মসূচি দেশের সচেতন মহল এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। তিস্তার ন্যায্যতা তুলে ধরে দেশের অভ্যন্তরে অন্তত: মহানগর কেন্দ্রিক আন্দোলনের কর্মসুচি এখনই প্রয়োজন। অযথা টিভি পর্দায় জ্ঞানগর্ব বক্তব্যের তুফান তোলে কোন লাভ নেই---তিস্তার ন্যায্যতা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলুন, দেশে বিদেশে জনমত গড়ে তুলুন। যাতে অন্তত: সরকার আন্তজাতিক সংস্থায় তিস্তার ন্যায্যতা তোলে ধরার অজুহাত সৃষ্ট্রি করতে পারে।
আশাকরি সকল পক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে--বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব দীর্ঘজীবি হবে।





মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা