সব "সম্ভবের" দল বিএনপি 'নাসিক' নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার "শঠতাপুর্ণ কৌশলে"র অংশ---"জামায়াতকে বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষনা।"
      (রুহুল আমিন মজুমদার)

         রাজনীতিতে সব 'সম্ভব' এর দল 'বিএনপি'  একটি গুরুত্বপুর্ণ ষড়যন্ত্র 'সম্ভবে'র পথে হাঁটার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এইবারের  'সম্ভব' কারো নিকট 'বেঈমানী' কারো কাছে 'বাস্তবতা', কারো নিকট 'রাজনীতিতে শেষ কথা নেই' এর 'পূরাতন বৃত্তে' ফিরে যাওয়া।  আমি মনে করি-- 'বিএনপি হয় জনগনের মনোভাব  দেরীতে অনুভব করেছে অথবা জনমতকে প্রভাবিত করার নতুন 'শঠতাপূর্ণকৌশল' অনুসন্ধানের 'টেষ্টকেস' হিসেবে 'নাসিক' নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে।
       প্রথমোক্ত কারন যদি হয় তাহলে বলতেই হয়--'সময়ক্ষেপনের মুল্য ইতিমধ্যে দলটি 'পাওয়ার চেয়ে শতগুন না পাওয়ার' মুল্যে পরিশোধ করেছে'। আড়াইবারের ক্ষমতা উপভোগকারী দলটি মাত্র দশ বছর ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে থেকে জাতীয় রাজনীতি থেকে বিলুপ্তির পথে অনেকদুর এগিয়ে গেছে।
       দ্বিতীয় কারনটি যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে বলতে হয়-- 'নাসিক নির্বাচনে 'জামায়াতে ইসলামী'কে বাদ দিয়ে নির্বাচন সমন্বয় কমিটির নাম প্রকাশ করে জনগনকে বার্তা পৌঁছাতে চায় -'জামায়াত'কে ছাড়াই জোটগত রাজনীতি করতে বিএনপি আগ্রহী-!! "অবিশ্বাস্য বিষয়টি কি "সম্ভব"--!! রাজনীতিতে শেষ কথা নাই যারা "সম্ভব" করে তুলেছিল "শঠতাপূর্ণ" ষ্টান্টবাজি তাঁদের দ্বারাই শুধু নীজেদের মধ্যে এমন আচরন "সম্ভব"!! আমি মনে করি--'পতনম্মোখ দল এবং জোটকে অন্ধকার গব্বর থেকে টেনে তোলা "সম্ভব" প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে 'নাসিক নির্বাচন'কে সামনে রেখে জনগনের দৃষ্টি ফেরানো "সম্ভব" করে তুলতে 'শঠতাপুর্ণ কৌশলের আশ্রয়' গ্রহন করেছে বিএনপি।অথবা হ'তে পারে সরকারকে অভয় দেয়ার নতুন 'শঠতাপুর্ণ কৌশল'--'তাঁদের দ্বারা মানবতা বিরোধী' সংগঠনের সঙ্গ ত্যাগ করা "সম্ভব" হবে--'ইহা বুঝাতে প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
    অতীতে সরকারের সায় পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ ঘোষনা দেয়া "সম্ভব"--'তাঁর আগে দলটি ঘোষনা দিয়েছিল।পরক্ষনেই খালেদা জিয়া কতৃক মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বিতর্ক উত্থাপন অকল্পনীয়ভাবে "সম্ভব" হওয়ায় সরকার এবং  দেশের মানুষ তাঁদের ঘোষনা বিশ্বাস করতে পারেনি। নাপারার যথেষ্ট "সম্ভাব্য" কারন জনগনের ঝুঁড়িতে রক্ষিত ছিল।
         মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বানচালের উদ্দেশ্যে 'আগুন সন্ত্রাস থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন বর্জন পয্যন্ত "সম্ভাব্য" এমন কোন রাজনৈতিক, অপ-রাজনৈতিক, মিডিয়া ষড়যন্ত্র, জঙ্গীতোষন, অপ-প্রচার, মিথ্যা প্রপাকাণ্ড, বিদেশী লবিষ্ট ফার্ম' নিয়োগ ইত্যাদি অপকর্ম নেই যা করেনি বা করার "সম্ভাবনায়" না রেখেছে। মধ্যরাতের গোটা পঞ্চাশেক "সম্ভাব্য" 'পেইড সুশিল' রাতের ঘুম হারাম করেই যথা'সম্ভব' চেষ্টা করেছে--অশুভচক্রের 'সম্ভব" সকল অপ-কর্মের বৈধতা সম্পর্কে জনগনকে মোটিভেসন "সম্ভব" করে তোলায়। উল্লেখিত "সম্ভাব্য শুসিলগন" যিনি যেখানেই কর্মরত: রয়েছেন সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যায় তাঁদের  'দায়িত্ব এবং কর্তব্য' কাজে অবহেলার হাজারো ন্যাক্কারজনক অ-'সম্ভব" সব উদাহরণ।অথছ রাতের পর রাত জেগে 'বেসরকারি ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার স্বাধীনতার সুযোগ'কে অপব্যবহার করার "সম্ভব" কর্তব্যকাজে কোন গাফলতিই লক্ষ করা যায়নি বা এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবেনা।
        গত কিছুদিন আগে বেগম জিয়া কতৃক নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবে 'স্বাধীনতার পর থেকে এই পয্যন্ত' কমন বাক্যটির আড়ালে শুধুমাত্র 'জামায়াত' নয় 'ফ্রিডম পার্টি'কেও অন্তভুক্ত করে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।  উক্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে 'বিরুপ প্রতিক্রিয়া' দেখা দিলে নিম্নস্তরের 'বিএনপি স্থায়ী কমিটির নেতা'গন নেত্রীর প্রস্তাব 'সংশোধন করা যাবে' উল্লেখ করে বিবৃতি দেন।এতে হীতে বিপরীত ঘটে--'নেত্রী বড় না স্থায়ী কমিটির সদস্য বড়' জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করে।বিতর্কিত স্বাধীনতা বিরোধী ও জাতিরজনক হত্যাকান্ডের স্ব-ঘোষিত দল ফ্রিডম পার্টির অন্তভুক্তি থাকায় উক্ত প্রস্তাবনা জনমনে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। নাসিক নির্বাচনে জামায়াতের অন্তভূক্তি ভোটের বাজারে 'নেতিবাচক' প্রভাবের আশংকায় জামায়াতকে 'নির্বাচনী সমন্বয় কমিটি' থেকে বাদ দিয়ে শঠতার ন্যাক্কারজনক উদাহরন সৃষ্টি করে ভোটাদের সঙ্গে চরম প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করেছে।
      লক্ষনীয় আরও একটি বিষয় খুববেশি উদ্ভিগ্ম করেছে সচেতন মহলকে--'বেগম জিয়া' কতৃক মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার পর দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে অনুসরন করে বিএনপির অন্যান্ন নেতারা মুক্তিযুদ্ধ, জাতিরজনক, বীরঙ্গনা ইত্যাদি মুক্তিকামী মানুষের স্পষ্যকাতর বিষয়াবলী নিয়ে লাগাতার নেতিবাচক বিবৃতি দিয়ে জনমনে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। চতুর্দিক থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে--'খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমূখেও প্রতিবাদী মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়' বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনগনের নিকট ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে।
    তখন কিন্তু উক্ত বক্তব্য পত্রিকায় 'অতিরঞ্জিত, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে' চাপানো হয়েছে --কথাটি বিএনপির কোন স্তরের নেতা বলেননি। মানুষ যখন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির অন্য নেতাদের দেয়া বক্তব্য ভুলতে বসেছে; তখনই বিষয়টিকে আবার অস্বীকার করে বলা হচ্ছে পত্রিকায় ভুল চাপানো হয়েছিল।খালেদা জিয়া বক্তব্য গুলী ঐভাবে দেননি-কিন্তু কি বলেছিলেন সেই বিষয়টি বরাবর এড়িয়ে যাচ্ছেন। এই মহুর্তে বিষয়টিকে নতুন করে জনসমক্ষে কেন নিয়ে এলেন ভাবনার বিষয় আছে। আরো বড় কৌতহলের বিষয়টি হচ্ছে--'উল্লেখিত বিবৃতি দেয়ার একদিন পরেই জামায়াতকে বাদ দিয়ে 'নাসিক নির্বাচনের সমন্বয় কমিটি' ঘোষনা করেছে দলটি।'
      "গনতন্ত্র মুক্তি দিবসে" আলোচনা সভায় নতুন এক তথ্য উপস্থাপন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন-'সরকার পাকিস্তানের পতাকা পুণ:স্থাপনের জন্যই জিয়ার মাজার সরানোর পরিকল্পনা করেছেন।' আনুষ্ঠানিক ভাবে জামায়াতে ইসলামিকে পরিত্যাগের পর হয়তোবা বলবেন-"শেখ হাসিনার সরকার পাকিস্তানের নিকট দেশই বিক্রয় করে দিচ্ছে--!!" বাংলাদেশের মানুষ আজ যেমন তাঁদের বক্তব্য শুনে আশ্চায্য হয়নি ; পাকিস্তানের নিকট বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করলেও আশ্চায্য হবেনা। সব 'সম্ভবে'র দল সবকিছুই বলতে পারে সব কিছুই করতে পারে। 'লুই কানে'র নকশা যখন দেশে এসে পৌঁছে গেছে-"তখন তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে-"। এবার বুঝি জিয়ার কবর আর রক্ষা করা যাবেনা"।
     মুলত: তাঁরা যতটুকু না জিয়ার কবর সরানোর কারনে উদ্ভিগ্ন; তাঁর চেয়ে শতভাগ বেশি উদ্ভিগ্ন---"কবরে যে কিছুই নাই ; জনগন জেনে যাবে এবং সচিত্র প্রতিবেদনে দেখবে। কবরে লাশ না রেখে এতদিন আনুষ্ঠানিক জিয়ারত করে জনগনকে ধোঁকা দেয়া "সম্ভব" করেছিল--"সেই জারিজুড়ি ফাঁস হয়ে যাওয়ার "সম্ভাবনায়" তাঁরা উদ্ভিগ্ন"। খন্দকার মোশারফ হোসেন সাহেব তো বলেই দিয়েছেন-"কবর খুঁড়তে গেলে হাতই কেটে ফেলবেন।" তাও হয়ত সম্ভব করতে পারবেন-" শতশত জ্যান্ত মানুষ আগুন বোমায় পুঁড়ে কয়লায় রুপান্তর করতে যাদের হাত কাঁপেনি- তাঁরা মানুষের শরীরের সামান্য একটা অঙ্গ 'হাত' তাও কেটে বিচ্ছিন্ন করা "'সম্ভব" হবেনা,কেউ তাঁর বক্তব্য অবিশ্বাস করতে পারেনা--!!' সন্ত্রাস, নাশকতা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, গুম, খুন, আগুন বোমায় মানুষ হত্যা তাঁদের দ্বারা আগেও 'সম্ভব' হয়েছে আগামীতেও 'সম্ভব' হবে---'জনগনের সেই বিশ্বাস অবশ্যই আছে।'
     জামায়াতকে যেমন সমন্বয় কমিটি থেকে বাদ রাখা "সম্ভব হয়েছে তেমনি সময়ে সসম্মানে মাথায় তোলে রাখাও তাঁদের দ্বারাই 'সম্ভব' হবে। সেই সম্ভাবনাও জিইয়ে রেখেছেন "জামায়াত নাম দেয়নি"--সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলে রেখেছেন জনাব 'ফখরুল ইসলাম'। মুলত: তাঁদের দ্বারা 'সম্ভব' নয় এমন কোন বিষয় নেই, বিশ্বে প্রবাহমান রয়েছে।  
       উল্লেখিত বিষয়ে সত্যতা প্রমানে কিঞ্চিত উদাহরন প্রয়োজন মনে করি--"একদিকে হিন্দু বিদ্বেসী মনোভাবকে উসকে দেয়া অপরদিকে বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের অনুকুল মনোভাবকে প্রতিকুলে নেয়ার অপকৌশল সম্ভব করার উদ্দেশ্যে নাসির নগরের পরিকল্পিত ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে; সর্বমহলে বিষয়টি এখন দিবালোকের মতই পরিস্কার হয়ে উঠেছে। স্থানীয় যুব দলের সভাপতি কতৃক "পবিত্র কাবা ঘরের উপর দেবী মুর্তি" স্থাপন করে হিন্দু নিয্যাতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা--তাঁদের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। এমন ঘৃন্য পাপাচার "বিএনপি জামায়াত" ছাড়া অন্যকোন দলের নেতাকর্মীদের কখনই করা সম্ভব নয়,ইহা প্রমানের আর কোন যুক্তির প্রয়োজন আছে? লক্ষ করলে দেখা যায়---"যতক্ষন আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রচারে এসেছে; ততক্ষন পত্র পত্রিকায় ক্ষোভের বহ্নিশিখা দাউ দাউ করে জ্বলেছে।" যখন প্রমান হয়েছে যুবদলের সভাপতিই ঘটনার নায়ক তখন সব মহল বরফ গলে হিমশিতল আকার ধারন করেছে। মনে হচ্ছে নাসির নগরে কিছুই ঘটেনি কিছুই হয়নি--নাসির নগর কোথায় কেহ-ই জানেনা। হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বন্ধুদের লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচিও আর শুনা যায়না।"
        আমি দৃডভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপি জামায়াত তাঁদের উদ্দেশ্য সাধনে এমন কোন কাজ নেই--'তাঁদের দ্বারা করা সম্ভব নয়'। এমন কোন বিষয় বিশ্বব্রম্মান্ডে এখনও উদয় হয়নি--'যেখানে বিএনপি জামায়াতের কালছায়া পড়ার বাকি আছে।' এই অশুভচক্রটির উধ্বতন নেতানেত্রীগন যেমন ষড়যন্ত্রে পাষান্ড তেমনি তৃনমুলের নেতাকর্মীরাও ততোধিক  পাষান্ড হতে দেখা যায় বিশেষ বিশেষ মহুর্তে। বর্বতায়--"সে তো অনেক অনেক বেশি আগোয়ান, জালেম ইয়াজিদকেও হার মানায়"।
উপরে উল্লেখিত আমার এই বিশ্বাসের সত্যতা নিরুপনের নিমিত্তে বেশী দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই-'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের বর্বরতার দিকে তাকান-শুধুই দেখতে পাবেন তৃনমূলের কর্মীদের বর্বরতা আর পাষন্ডতা। '৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট কালরাত সহ  পরবর্তী ২১ বছরের ইতিহাস পয্যালোচনা করেন-- "দেখতে পাবেন শুধু হত্যা ঘুম, হামলা, মামলা, উচ্ছেদ, সংখ্যালুঘু বিতাড়ন।" ২০০১ ইং সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ত্যাগের প্রতি নজর দিন--"আধা ঘন্টা পর হতে পরবর্তী ১৫০০দিন কল্পনায় নিয়ে আসেন---"দেখা যাবে মায়ের সামনে মেয়ে ধর্ষনের সচিত্র প্রতিবেদন, আগুনের লেলিহান শিখা আর বোমা গুলীর তান্ডবতা।"
শুধু মাত্র এইটুকু চিন্তা করে দেখেন--"স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ইসলামের শত্রু ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নিমিত্তে অখ্যাত ব্যাবসায়ীকে বিএনপির ন্যায় বৃহৎ দলের 'যুগ্ম মহাসচিব' করতেও দ্বিধা না করার ব্যাপারটি--!! বিএনপি বন্ধুরাই বলেন--"এর আগে চট্রগ্রামের রাজনীতিতে আসলামের নাম কোন দিন কেউ শুনেছেন কিনা"--!!
মোট কথা এই বিএনপি জামায়াত শিবিরের অশুভ চক্রটি যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই আওয়ামী লীগ, দেশপ্রেমীক জনগন, বুদ্ধিজীবিদের ধ্বংসের চক্রান্ত কায্যকর করার চেষ্টা করেছে। প্রয়োজনীয় মহুর্তে ধ্বংস প্রক্রিয়ায় সবমহল একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই দেশ উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছে--"তখনই তাঁরা কচ্ছপের রুপ ধারন করে মাথা লুকিয়ে ঘাপটি মেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে দেখা গেছে"। ষড়যন্ত্রে তাঁরা এতই নৃসংশ, হৃদয়হীন, অমানবিক, অধার্মীক যে---দুই চারটি প্রমানীত সত্যের প্রতি চোখ ফেরালেই অনুমান করা আপনাদের সহজ হতে পারে---
 আমি সাম্প্রতিক সময়ের দুই চারটি উদাহরন আপনাদের বোধগম্যতার জন্যে স্মরণ করে দিতে চাই। মসজিদে শিবির নেতার কোরানে আগুন দেয়ার খবর আমরা সবাই কি  জানিনা? কোরান অবমাননার ছবি আপলোড় করে রামুতে বৌদ্ধদের উপর হামলার দৃশ্য আমরা কি দেখেনি? পবিত্র কা'বা ঘরের উপরে দেবীকে বসিয়ে সংখ্যালুঘু নিয্যাতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র কিভাবে বাস্তবায়ন করেছে ইতিমধ্যে সবার নিকট পরিস্কার হয় নাই?
সরকারকে অ-জনপ্রীয় করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষে বার বার ধর্মকে কত নিকৃষ্ট উপায়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে ;তাঁর জ্বলন্ত উদাহরন প্রতিটি নাগরিকের সামনেই রয়েছে। অশুভ চক্রটি ইসলাম ধর্ম রক্ষার নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলনের ওয়াদা করে দেশব্যাপি কি তান্ডব চালিয়েছিল শতবছরেও কেউ ভুলতে পারবে কিনা জানিনা। শাফলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে কায়েমি স্বার্থ উদ্ধার করার চক্রান্ত সফল করার জন্যে দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস, লুটপাট, হাজার হাজার কোরানের কপিতে আগুন দেয়ার দৃশ্য ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার গুনে দেশ বিদেশের সকলেই অবলোকন করেছে।  নির্দিষ্ট সময়ের ওয়াদা ভঙ্গ করে লাগাতার অবস্থানের ঘোষনা দেয়া, বিএনপি নেত্রীর নেতাকর্মীদের প্রতি হেফাজতের পাশে থাকার  নির্দেশ, ঢাকা বাসির প্রতি রাজপথে নেমে আসার আহব্বান কোন মহল কি অস্বীকার করতে পারবে?
সবচেয়ে বড় মিডিয়া প্রপাগান্ডাটি করেছিল সেদিন রাতে সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী কতৃক হেফাজতিদের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে। তাঁদের নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়া, পত্র পত্রিকা, হাজার হাজার ওয়েব সাইট, পোর্টাল, অনলাইন পত্রিকা, লক্ষ লক্ষ ফ্যাক আই, ডি থেকে একযোগে হেফাজতের লক্ষ লক্ষ আলেম হত্যা করে শতশত ট্রাকে বোঝাই করে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ব্যাপক প্রচার করতে দেখা গেছে। সারাদেশ সরকারের নির্মম কর্মকান্ড অবলোকন করে তৎক্ষনাৎ হতভম্ব, বাকরুদ্ধ, কর্তব্য বিমূঢ হয়ে গিয়েছিল। অশুভ চক্রের অমানবিক ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য শতভাগ সফল ছিল। সরকার প্রধানের অনড় মনোভাব, তাৎক্ষনিক মাদ্রাসা, মসজিদ তল্লাসি করে প্রকৃত হতাহতের তথ্য প্রকাশ--"ষড়যন্ত্রকে নিমিষেই ধূলায় মিশিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল বিধায়; আজও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে।
 দেশী বিদেশী তদন্ত দল বার বার 'মৃত আলেম ওলামাদে'র তথ্য চাওয়া সত্তেও কোন মহল আজব্দি সরবরাহ করতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ আলেম হত্যার প্রমান আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশের কোন মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক নিখোঁজের তথ্য আজও মিলেনি। তাহলে ট্রাক ভর্তি লাশগুলী কার-কোত্থেকে এল-??
       মুলত: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া অতীতের লোমহর্ষক দৃশ্যগুলী তাঁরা পুর্বেই সংগ্রহ করে ধারন করে রেখেছিল। যেমনি ঘটছে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ভুয়া আপলোড ছবি অন-লাইনে ছড়াছড়ি। বর্তমানের অনেক ছবি তখনও তাঁরা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।এই থেকেই বুঝা যায় ষড়যন্ত্র ছিল পুর্ব পরিকল্পিত, শেকড় ছিল গভীরে এবং তাঁদের সবার শেকড় এক জায়গায় প্রোথিত। সুতারাং বলতে পারি---"জামায়াতকে বাদ দিয়ে নাসিক নির্বাচন সমন্বয় কমিটি ঘোষনা : জনগনকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচনি বৈতরনী সফলভাবে উত্তরনের "শঠতাপুর্ণ কৌশল" সম্ভব করে তোলা  ছাড়া আর কিছুই নয়।
অশুভ চক্রটি গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে টাকা খরছ না করে ষড়যন্ত্রের পিছনে টাকা খরছ করতে বেশি আগ্রহী। একারনে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে বিএনপি মহাসচিব নীজেই বলেছেন--বিএনপিকে বাহিরের কোন শক্তি ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে চিন্তা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।এই অবস্থায় চলতে থাকলে আগামী ৫/৭বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্রে বিএনপি নামক দলটিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।"
         ruhulaminmujumder27@gmail.com
         "জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন