সব "সম্ভবের" দল বিএনপি 'নাসিক' নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার "শঠতাপুর্ণ কৌশলে"র অংশ---"জামায়াতকে বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষনা।"
      (রুহুল আমিন মজুমদার)

         রাজনীতিতে সব 'সম্ভব' এর দল 'বিএনপি'  একটি গুরুত্বপুর্ণ ষড়যন্ত্র 'সম্ভবে'র পথে হাঁটার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এইবারের  'সম্ভব' কারো নিকট 'বেঈমানী' কারো কাছে 'বাস্তবতা', কারো নিকট 'রাজনীতিতে শেষ কথা নেই' এর 'পূরাতন বৃত্তে' ফিরে যাওয়া।  আমি মনে করি-- 'বিএনপি হয় জনগনের মনোভাব  দেরীতে অনুভব করেছে অথবা জনমতকে প্রভাবিত করার নতুন 'শঠতাপূর্ণকৌশল' অনুসন্ধানের 'টেষ্টকেস' হিসেবে 'নাসিক' নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে।
       প্রথমোক্ত কারন যদি হয় তাহলে বলতেই হয়--'সময়ক্ষেপনের মুল্য ইতিমধ্যে দলটি 'পাওয়ার চেয়ে শতগুন না পাওয়ার' মুল্যে পরিশোধ করেছে'। আড়াইবারের ক্ষমতা উপভোগকারী দলটি মাত্র দশ বছর ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে থেকে জাতীয় রাজনীতি থেকে বিলুপ্তির পথে অনেকদুর এগিয়ে গেছে।
       দ্বিতীয় কারনটি যদি উদ্দেশ্য হয় তাহলে বলতে হয়-- 'নাসিক নির্বাচনে 'জামায়াতে ইসলামী'কে বাদ দিয়ে নির্বাচন সমন্বয় কমিটির নাম প্রকাশ করে জনগনকে বার্তা পৌঁছাতে চায় -'জামায়াত'কে ছাড়াই জোটগত রাজনীতি করতে বিএনপি আগ্রহী-!! "অবিশ্বাস্য বিষয়টি কি "সম্ভব"--!! রাজনীতিতে শেষ কথা নাই যারা "সম্ভব" করে তুলেছিল "শঠতাপূর্ণ" ষ্টান্টবাজি তাঁদের দ্বারাই শুধু নীজেদের মধ্যে এমন আচরন "সম্ভব"!! আমি মনে করি--'পতনম্মোখ দল এবং জোটকে অন্ধকার গব্বর থেকে টেনে তোলা "সম্ভব" প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে 'নাসিক নির্বাচন'কে সামনে রেখে জনগনের দৃষ্টি ফেরানো "সম্ভব" করে তুলতে 'শঠতাপুর্ণ কৌশলের আশ্রয়' গ্রহন করেছে বিএনপি।অথবা হ'তে পারে সরকারকে অভয় দেয়ার নতুন 'শঠতাপুর্ণ কৌশল'--'তাঁদের দ্বারা মানবতা বিরোধী' সংগঠনের সঙ্গ ত্যাগ করা "সম্ভব" হবে--'ইহা বুঝাতে প্রাথমিক উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
    অতীতে সরকারের সায় পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ ঘোষনা দেয়া "সম্ভব"--'তাঁর আগে দলটি ঘোষনা দিয়েছিল।পরক্ষনেই খালেদা জিয়া কতৃক মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা বিতর্ক উত্থাপন অকল্পনীয়ভাবে "সম্ভব" হওয়ায় সরকার এবং  দেশের মানুষ তাঁদের ঘোষনা বিশ্বাস করতে পারেনি। নাপারার যথেষ্ট "সম্ভাব্য" কারন জনগনের ঝুঁড়িতে রক্ষিত ছিল।
         মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার বানচালের উদ্দেশ্যে 'আগুন সন্ত্রাস থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন বর্জন পয্যন্ত "সম্ভাব্য" এমন কোন রাজনৈতিক, অপ-রাজনৈতিক, মিডিয়া ষড়যন্ত্র, জঙ্গীতোষন, অপ-প্রচার, মিথ্যা প্রপাকাণ্ড, বিদেশী লবিষ্ট ফার্ম' নিয়োগ ইত্যাদি অপকর্ম নেই যা করেনি বা করার "সম্ভাবনায়" না রেখেছে। মধ্যরাতের গোটা পঞ্চাশেক "সম্ভাব্য" 'পেইড সুশিল' রাতের ঘুম হারাম করেই যথা'সম্ভব' চেষ্টা করেছে--অশুভচক্রের 'সম্ভব" সকল অপ-কর্মের বৈধতা সম্পর্কে জনগনকে মোটিভেসন "সম্ভব" করে তোলায়। উল্লেখিত "সম্ভাব্য শুসিলগন" যিনি যেখানেই কর্মরত: রয়েছেন সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যায় তাঁদের  'দায়িত্ব এবং কর্তব্য' কাজে অবহেলার হাজারো ন্যাক্কারজনক অ-'সম্ভব" সব উদাহরণ।অথছ রাতের পর রাত জেগে 'বেসরকারি ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার স্বাধীনতার সুযোগ'কে অপব্যবহার করার "সম্ভব" কর্তব্যকাজে কোন গাফলতিই লক্ষ করা যায়নি বা এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবেনা।
        গত কিছুদিন আগে বেগম জিয়া কতৃক নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবে 'স্বাধীনতার পর থেকে এই পয্যন্ত' কমন বাক্যটির আড়ালে শুধুমাত্র 'জামায়াত' নয় 'ফ্রিডম পার্টি'কেও অন্তভুক্ত করে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।  উক্ত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সর্বস্তরে 'বিরুপ প্রতিক্রিয়া' দেখা দিলে নিম্নস্তরের 'বিএনপি স্থায়ী কমিটির নেতা'গন নেত্রীর প্রস্তাব 'সংশোধন করা যাবে' উল্লেখ করে বিবৃতি দেন।এতে হীতে বিপরীত ঘটে--'নেত্রী বড় না স্থায়ী কমিটির সদস্য বড়' জনমনে প্রশ্নের উদ্রেক করে।বিতর্কিত স্বাধীনতা বিরোধী ও জাতিরজনক হত্যাকান্ডের স্ব-ঘোষিত দল ফ্রিডম পার্টির অন্তভুক্তি থাকায় উক্ত প্রস্তাবনা জনমনে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। নাসিক নির্বাচনে জামায়াতের অন্তভূক্তি ভোটের বাজারে 'নেতিবাচক' প্রভাবের আশংকায় জামায়াতকে 'নির্বাচনী সমন্বয় কমিটি' থেকে বাদ দিয়ে শঠতার ন্যাক্কারজনক উদাহরন সৃষ্টি করে ভোটাদের সঙ্গে চরম প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করেছে।
      লক্ষনীয় আরও একটি বিষয় খুববেশি উদ্ভিগ্ম করেছে সচেতন মহলকে--'বেগম জিয়া' কতৃক মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার পর দেশে বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠে। খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে অনুসরন করে বিএনপির অন্যান্ন নেতারা মুক্তিযুদ্ধ, জাতিরজনক, বীরঙ্গনা ইত্যাদি মুক্তিকামী মানুষের স্পষ্যকাতর বিষয়াবলী নিয়ে লাগাতার নেতিবাচক বিবৃতি দিয়ে জনমনে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। চতুর্দিক থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে--'খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমূখেও প্রতিবাদী মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়' বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনগনের নিকট ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে।
    তখন কিন্তু উক্ত বক্তব্য পত্রিকায় 'অতিরঞ্জিত, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে' চাপানো হয়েছে --কথাটি বিএনপির কোন স্তরের নেতা বলেননি। মানুষ যখন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে খালেদা জিয়া এবং বিএনপির অন্য নেতাদের দেয়া বক্তব্য ভুলতে বসেছে; তখনই বিষয়টিকে আবার অস্বীকার করে বলা হচ্ছে পত্রিকায় ভুল চাপানো হয়েছিল।খালেদা জিয়া বক্তব্য গুলী ঐভাবে দেননি-কিন্তু কি বলেছিলেন সেই বিষয়টি বরাবর এড়িয়ে যাচ্ছেন। এই মহুর্তে বিষয়টিকে নতুন করে জনসমক্ষে কেন নিয়ে এলেন ভাবনার বিষয় আছে। আরো বড় কৌতহলের বিষয়টি হচ্ছে--'উল্লেখিত বিবৃতি দেয়ার একদিন পরেই জামায়াতকে বাদ দিয়ে 'নাসিক নির্বাচনের সমন্বয় কমিটি' ঘোষনা করেছে দলটি।'
      "গনতন্ত্র মুক্তি দিবসে" আলোচনা সভায় নতুন এক তথ্য উপস্থাপন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন-'সরকার পাকিস্তানের পতাকা পুণ:স্থাপনের জন্যই জিয়ার মাজার সরানোর পরিকল্পনা করেছেন।' আনুষ্ঠানিক ভাবে জামায়াতে ইসলামিকে পরিত্যাগের পর হয়তোবা বলবেন-"শেখ হাসিনার সরকার পাকিস্তানের নিকট দেশই বিক্রয় করে দিচ্ছে--!!" বাংলাদেশের মানুষ আজ যেমন তাঁদের বক্তব্য শুনে আশ্চায্য হয়নি ; পাকিস্তানের নিকট বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করলেও আশ্চায্য হবেনা। সব 'সম্ভবে'র দল সবকিছুই বলতে পারে সব কিছুই করতে পারে। 'লুই কানে'র নকশা যখন দেশে এসে পৌঁছে গেছে-"তখন তাঁদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে-"। এবার বুঝি জিয়ার কবর আর রক্ষা করা যাবেনা"।
     মুলত: তাঁরা যতটুকু না জিয়ার কবর সরানোর কারনে উদ্ভিগ্ন; তাঁর চেয়ে শতভাগ বেশি উদ্ভিগ্ন---"কবরে যে কিছুই নাই ; জনগন জেনে যাবে এবং সচিত্র প্রতিবেদনে দেখবে। কবরে লাশ না রেখে এতদিন আনুষ্ঠানিক জিয়ারত করে জনগনকে ধোঁকা দেয়া "সম্ভব" করেছিল--"সেই জারিজুড়ি ফাঁস হয়ে যাওয়ার "সম্ভাবনায়" তাঁরা উদ্ভিগ্ন"। খন্দকার মোশারফ হোসেন সাহেব তো বলেই দিয়েছেন-"কবর খুঁড়তে গেলে হাতই কেটে ফেলবেন।" তাও হয়ত সম্ভব করতে পারবেন-" শতশত জ্যান্ত মানুষ আগুন বোমায় পুঁড়ে কয়লায় রুপান্তর করতে যাদের হাত কাঁপেনি- তাঁরা মানুষের শরীরের সামান্য একটা অঙ্গ 'হাত' তাও কেটে বিচ্ছিন্ন করা "'সম্ভব" হবেনা,কেউ তাঁর বক্তব্য অবিশ্বাস করতে পারেনা--!!' সন্ত্রাস, নাশকতা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, গুম, খুন, আগুন বোমায় মানুষ হত্যা তাঁদের দ্বারা আগেও 'সম্ভব' হয়েছে আগামীতেও 'সম্ভব' হবে---'জনগনের সেই বিশ্বাস অবশ্যই আছে।'
     জামায়াতকে যেমন সমন্বয় কমিটি থেকে বাদ রাখা "সম্ভব হয়েছে তেমনি সময়ে সসম্মানে মাথায় তোলে রাখাও তাঁদের দ্বারাই 'সম্ভব' হবে। সেই সম্ভাবনাও জিইয়ে রেখেছেন "জামায়াত নাম দেয়নি"--সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলে রেখেছেন জনাব 'ফখরুল ইসলাম'। মুলত: তাঁদের দ্বারা 'সম্ভব' নয় এমন কোন বিষয় নেই, বিশ্বে প্রবাহমান রয়েছে।  
       উল্লেখিত বিষয়ে সত্যতা প্রমানে কিঞ্চিত উদাহরন প্রয়োজন মনে করি--"একদিকে হিন্দু বিদ্বেসী মনোভাবকে উসকে দেয়া অপরদিকে বর্তমান সরকারের প্রতি ভারতের অনুকুল মনোভাবকে প্রতিকুলে নেয়ার অপকৌশল সম্ভব করার উদ্দেশ্যে নাসির নগরের পরিকল্পিত ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে; সর্বমহলে বিষয়টি এখন দিবালোকের মতই পরিস্কার হয়ে উঠেছে। স্থানীয় যুব দলের সভাপতি কতৃক "পবিত্র কাবা ঘরের উপর দেবী মুর্তি" স্থাপন করে হিন্দু নিয্যাতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা--তাঁদের দ্বারাই সম্ভব হয়েছে। এমন ঘৃন্য পাপাচার "বিএনপি জামায়াত" ছাড়া অন্যকোন দলের নেতাকর্মীদের কখনই করা সম্ভব নয়,ইহা প্রমানের আর কোন যুক্তির প্রয়োজন আছে? লক্ষ করলে দেখা যায়---"যতক্ষন আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম প্রচারে এসেছে; ততক্ষন পত্র পত্রিকায় ক্ষোভের বহ্নিশিখা দাউ দাউ করে জ্বলেছে।" যখন প্রমান হয়েছে যুবদলের সভাপতিই ঘটনার নায়ক তখন সব মহল বরফ গলে হিমশিতল আকার ধারন করেছে। মনে হচ্ছে নাসির নগরে কিছুই ঘটেনি কিছুই হয়নি--নাসির নগর কোথায় কেহ-ই জানেনা। হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের বন্ধুদের লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচিও আর শুনা যায়না।"
        আমি দৃডভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপি জামায়াত তাঁদের উদ্দেশ্য সাধনে এমন কোন কাজ নেই--'তাঁদের দ্বারা করা সম্ভব নয়'। এমন কোন বিষয় বিশ্বব্রম্মান্ডে এখনও উদয় হয়নি--'যেখানে বিএনপি জামায়াতের কালছায়া পড়ার বাকি আছে।' এই অশুভচক্রটির উধ্বতন নেতানেত্রীগন যেমন ষড়যন্ত্রে পাষান্ড তেমনি তৃনমুলের নেতাকর্মীরাও ততোধিক  পাষান্ড হতে দেখা যায় বিশেষ বিশেষ মহুর্তে। বর্বতায়--"সে তো অনেক অনেক বেশি আগোয়ান, জালেম ইয়াজিদকেও হার মানায়"।
উপরে উল্লেখিত আমার এই বিশ্বাসের সত্যতা নিরুপনের নিমিত্তে বেশী দূর যাওয়ার প্রয়োজন নেই-'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের বর্বরতার দিকে তাকান-শুধুই দেখতে পাবেন তৃনমূলের কর্মীদের বর্বরতা আর পাষন্ডতা। '৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট কালরাত সহ  পরবর্তী ২১ বছরের ইতিহাস পয্যালোচনা করেন-- "দেখতে পাবেন শুধু হত্যা ঘুম, হামলা, মামলা, উচ্ছেদ, সংখ্যালুঘু বিতাড়ন।" ২০০১ ইং সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ত্যাগের প্রতি নজর দিন--"আধা ঘন্টা পর হতে পরবর্তী ১৫০০দিন কল্পনায় নিয়ে আসেন---"দেখা যাবে মায়ের সামনে মেয়ে ধর্ষনের সচিত্র প্রতিবেদন, আগুনের লেলিহান শিখা আর বোমা গুলীর তান্ডবতা।"
শুধু মাত্র এইটুকু চিন্তা করে দেখেন--"স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ইসলামের শত্রু ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের নিমিত্তে অখ্যাত ব্যাবসায়ীকে বিএনপির ন্যায় বৃহৎ দলের 'যুগ্ম মহাসচিব' করতেও দ্বিধা না করার ব্যাপারটি--!! বিএনপি বন্ধুরাই বলেন--"এর আগে চট্রগ্রামের রাজনীতিতে আসলামের নাম কোন দিন কেউ শুনেছেন কিনা"--!!
মোট কথা এই বিএনপি জামায়াত শিবিরের অশুভ চক্রটি যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই আওয়ামী লীগ, দেশপ্রেমীক জনগন, বুদ্ধিজীবিদের ধ্বংসের চক্রান্ত কায্যকর করার চেষ্টা করেছে। প্রয়োজনীয় মহুর্তে ধ্বংস প্রক্রিয়ায় সবমহল একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই দেশ উন্নয়নের সুযোগ পেয়েছে--"তখনই তাঁরা কচ্ছপের রুপ ধারন করে মাথা লুকিয়ে ঘাপটি মেরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে দেখা গেছে"। ষড়যন্ত্রে তাঁরা এতই নৃসংশ, হৃদয়হীন, অমানবিক, অধার্মীক যে---দুই চারটি প্রমানীত সত্যের প্রতি চোখ ফেরালেই অনুমান করা আপনাদের সহজ হতে পারে---
 আমি সাম্প্রতিক সময়ের দুই চারটি উদাহরন আপনাদের বোধগম্যতার জন্যে স্মরণ করে দিতে চাই। মসজিদে শিবির নেতার কোরানে আগুন দেয়ার খবর আমরা সবাই কি  জানিনা? কোরান অবমাননার ছবি আপলোড় করে রামুতে বৌদ্ধদের উপর হামলার দৃশ্য আমরা কি দেখেনি? পবিত্র কা'বা ঘরের উপরে দেবীকে বসিয়ে সংখ্যালুঘু নিয্যাতনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র কিভাবে বাস্তবায়ন করেছে ইতিমধ্যে সবার নিকট পরিস্কার হয় নাই?
সরকারকে অ-জনপ্রীয় করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষে বার বার ধর্মকে কত নিকৃষ্ট উপায়ে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে ;তাঁর জ্বলন্ত উদাহরন প্রতিটি নাগরিকের সামনেই রয়েছে। অশুভ চক্রটি ইসলাম ধর্ম রক্ষার নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলনের ওয়াদা করে দেশব্যাপি কি তান্ডব চালিয়েছিল শতবছরেও কেউ ভুলতে পারবে কিনা জানিনা। শাফলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে কায়েমি স্বার্থ উদ্ধার করার চক্রান্ত সফল করার জন্যে দেশব্যাপি আগুন সন্ত্রাস, লুটপাট, হাজার হাজার কোরানের কপিতে আগুন দেয়ার দৃশ্য ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার গুনে দেশ বিদেশের সকলেই অবলোকন করেছে।  নির্দিষ্ট সময়ের ওয়াদা ভঙ্গ করে লাগাতার অবস্থানের ঘোষনা দেয়া, বিএনপি নেত্রীর নেতাকর্মীদের প্রতি হেফাজতের পাশে থাকার  নির্দেশ, ঢাকা বাসির প্রতি রাজপথে নেমে আসার আহব্বান কোন মহল কি অস্বীকার করতে পারবে?
সবচেয়ে বড় মিডিয়া প্রপাগান্ডাটি করেছিল সেদিন রাতে সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনী কতৃক হেফাজতিদের উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে। তাঁদের নিয়ন্ত্রিত ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়া, পত্র পত্রিকা, হাজার হাজার ওয়েব সাইট, পোর্টাল, অনলাইন পত্রিকা, লক্ষ লক্ষ ফ্যাক আই, ডি থেকে একযোগে হেফাজতের লক্ষ লক্ষ আলেম হত্যা করে শতশত ট্রাকে বোঝাই করে অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ব্যাপক প্রচার করতে দেখা গেছে। সারাদেশ সরকারের নির্মম কর্মকান্ড অবলোকন করে তৎক্ষনাৎ হতভম্ব, বাকরুদ্ধ, কর্তব্য বিমূঢ হয়ে গিয়েছিল। অশুভ চক্রের অমানবিক ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্য শতভাগ সফল ছিল। সরকার প্রধানের অনড় মনোভাব, তাৎক্ষনিক মাদ্রাসা, মসজিদ তল্লাসি করে প্রকৃত হতাহতের তথ্য প্রকাশ--"ষড়যন্ত্রকে নিমিষেই ধূলায় মিশিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল বিধায়; আজও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে।
 দেশী বিদেশী তদন্ত দল বার বার 'মৃত আলেম ওলামাদে'র তথ্য চাওয়া সত্তেও কোন মহল আজব্দি সরবরাহ করতে পারেনি। লক্ষ লক্ষ আলেম হত্যার প্রমান আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশের কোন মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক নিখোঁজের তথ্য আজও মিলেনি। তাহলে ট্রাক ভর্তি লাশগুলী কার-কোত্থেকে এল-??
       মুলত: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘটে যাওয়া অতীতের লোমহর্ষক দৃশ্যগুলী তাঁরা পুর্বেই সংগ্রহ করে ধারন করে রেখেছিল। যেমনি ঘটছে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের হাজার হাজার ভুয়া আপলোড ছবি অন-লাইনে ছড়াছড়ি। বর্তমানের অনেক ছবি তখনও তাঁরা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।এই থেকেই বুঝা যায় ষড়যন্ত্র ছিল পুর্ব পরিকল্পিত, শেকড় ছিল গভীরে এবং তাঁদের সবার শেকড় এক জায়গায় প্রোথিত। সুতারাং বলতে পারি---"জামায়াতকে বাদ দিয়ে নাসিক নির্বাচন সমন্বয় কমিটি ঘোষনা : জনগনকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচনি বৈতরনী সফলভাবে উত্তরনের "শঠতাপুর্ণ কৌশল" সম্ভব করে তোলা  ছাড়া আর কিছুই নয়।
অশুভ চক্রটি গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে টাকা খরছ না করে ষড়যন্ত্রের পিছনে টাকা খরছ করতে বেশি আগ্রহী। একারনে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে বিএনপি মহাসচিব নীজেই বলেছেন--বিএনপিকে বাহিরের কোন শক্তি ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে চিন্তা করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।এই অবস্থায় চলতে থাকলে আগামী ৫/৭বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্রে বিএনপি নামক দলটিকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না।"
         ruhulaminmujumder27@gmail.com
         "জয়বাংলা      জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা