মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাঙ্গালী আপ্যায়নে বিএনপি উৎফুল্ল---"আওয়ামী লীগের ক্ষমতার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল

  মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাঙ্গালী আপ্যায়নে বিএনপি উৎফুল্ল---আওয়ামীলীগের ক্ষমতার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল।
      (রুহুল  আমিন  মজুমদার)

           অবশেষে বিএনপি তাঁর উধ্বতন নেতাদের নিয়ে আওয়ামীলীগের মনোনীত জাতীয় সংসদ কতৃক নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির নিকট আত্মসমপর্পন করে এলেন। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে উৎফুল্ল চিত্তে প্রসংশা করে বলেছেন--"সংকট নিরসনে তাঁরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন"।
       মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাঁর স্বভাবসূলভ আচরনে এবং বাঙ্গালী ঐতিহ্যবাহি আতিথীয়তায় কোনরুপ কার্পন্য করেছেন বলে মনে হয়না।তদ্রুপ যদি কোন ব্যত্যায়ের ছিদ্র রাখতেন স্বভাবতই বিএনপি তাঁর অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা পরিহার করে খুশিমনে সংকট দুরিকরনে আশার আলো না খুঁজে হতাশার সুরেই বলতেন--"অবৈধ সরকারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি অবৈধ বাক্যালাপ ছাড়া আর কি-ই- বা করতে পারবেন"।
     আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগের কথাই বলবে--"আমরা আগে যাহা চিন্তা করেছিলাম তাই হয়েছে।"সুতারাং আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠিয়ে জনগনের গনতান্ত্রিক সরকার 'আমাদের' কে ক্ষমতায় নিতে হবে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে 'তত্ববধায়ক' সরকারের নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে "লাথি, গুতায়'' ক্ষমতা পরিত্যাগের নীতি বাস্তবায়ন করব ইনশাল্লাহ। জনগন এবং বিদ্যমান রাজনৈতিক দলসমুহকে শতব্যস্ততার মাঝে কষ্ট না দিয়ে সাংবিধানীক ধারা অনুসরন না করে "পছন্দ সই" নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেব। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তড়িৎকর্মাহেতু তাঁকেই "তত্বাবধায়ক" প্রধান করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করব। যেহেতু উল্লেখিত বিবৃতি বিএনপি দেয়নি সুতারাং ধরেই নেয়া যায়---"রাষ্ট্রপতির আচরণ এবং আপ্যায়ন দুটোই ভাল হয়েছে।"
     প্রিয় পাঠক বন্ধুরা--আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণে আছে--" বিএনপি অবৈধ ভোটহীন সরকারের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন গড়ে তোলার একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজপথে আসেনি।" জনগনের চিরায়াত আন্দোলন, সংগ্রাম, হরতাল, অবরোধের হাতিয়ারকে নাশকতার আবরনে ভেঁতু করে আগামী প্রজম্মের ন্যায্য  অধিকার আদায়ে কঠিন প্রতিবন্ধকতার দেয়াল তুলে দিয়েছেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমতের সত্যতা পাওয়া যায়--"বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে  রাষ্ট্রপতির সাথে নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তাঁর নিকট ধর্ণা দেয়ার মধ্যে।"
     রাজনৈতিক সচেতন মহল অবগত আছেন-- বিগত সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে চার্চকমিটি গঠনের সুনির্দিষ্ট নীতি সংবিধানে সংযোজন করেছে বর্তমান সরকার।বিএনপি এবং অন্যান্ন রাজনৈতিক দল বিষয়টি অবগত নয়- ইহা বিশ্বাস করার কোন কারন নেই।মহামান্য রাষ্ট্রপতিও তাঁদেরকে সংবিধানের বর্নিত বিষয়ের আলোকে কমিশন গঠনের সুস্পষ্ট ধারনাই দিয়েছেন।কারন রাষ্ট্রপতি সংবিধানের রক্ষক---"সংবিধানের বাইরে তিনি কোন আলোচনা করতে পারেননা।"
             বিএনপি প্রতিনীধিদল সংবিধানে উক্তরুপ বিধান সংযোজনের কৃতিত্বের সাধুবাদ বর্তমান "সংসদ এবং তাঁর নেত্রী শেখ হাসিনা"কে না দিয়ে তাঁদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে দিতে গেলেন কেন? তাঁর সাথে আলোচনার পর খুশী হওয়ার মধ্যে বেসুমার রাজনৈতিক লাভালাভের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে বিধায় তাঁকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারেন না।
        এই 'কেন এবং লাভালাভের' বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্যে আমার আজকের নিবন্ধটির অবতারনা--আমি আগেও বহুবার বলেছি-" বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে যাদুঘরের পথে রওয়ানা হয়েছে।" বিগত ১৪/১৫ সালের নাশকতামূলক আন্দোলনে জড়িত হয়ে দলটি নিশ্চিহ্ন হওয়ার বাকী নেই।দলের উধ্বতন নেতাদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে।স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ইতিমধ্যে নির্বাচিত হওয়ার পর পর পদত্যাগ করে কথাটির সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করেছেন।প্রতিষ্ঠাকালীন ষড়যন্ত্রের জাল চিহ্ন করে আদৌ দলটি গনতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসতে পারেনি।দলের অভ্যন্তরে নুন্যন্নতম গনতন্ত্রের চর্চার অভ্যেস গড়ে উঠেনি।দেশব্যাপি লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর বিচরন থাকা সত্বেও  নেতৃত্বের সঠিক নির্দেশনার অভাবে আন্দোলন সংগ্রাম, নির্বাচনে অংশগ্রহন, দেশ, জনগন, দলের জন্যে কোন অবদান কেউ রাখার সুযোগ পাচ্ছেনা। জেলা পরিষদ নির্বাচন বয়কট করে "নাসিক" নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বশেষ সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করেছে বর্তমান সরকারের গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় কোন প্রকার ছিদ্র নেই--"আছে শুধুমাত্র  আমাদের অপারগতা, সাংগঠনিক দুর্বলতা, নেতৃত্বের দুর্বলতা।"
                 বিশ্বের দেশে দেশে এবং কি বাংলাদেশেও অতীতে কখনই দেখা যায়নি রাজনৈতিক ইস্যুনিয়ে--"আন্দোলন, সংগ্রাম ব্যাতিরেকে উক্ত ইস্যুর কায্যকর কোন সমাধান হয়েছে।"আলোচনার টেবিলে সমাধান হয় ঠিক তখনি--আন্দোলনের ধাক্কায় বাধ্য হয়ে সরকার যখন আহব্বান করে। বাধ্য হওয়া ব্যাতিরেকে কোন সরকার যুক্তিসঙ্গত দাবি মেনে নেয়ার উদাহরণ আদৌ কোন দেশে সৃষ্টি হয়নি--ভবিষ্যতেও হবেনা।
       বিএনপি নির্বাচন কমিশন সংস্কারের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্থাপনের মাসখানেকের মধ্যেই কেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রয়োজন অনুভব করেছে ? রাষ্ট্রপতি তাঁদেরকে ডেকেছেন--? বিএনপি সংস্কারের পক্ষে দেশের জনগনের সমর্থন আছে কি নেই মতামত নিয়েছেন--? মতামত নেয়ার প্রয়োজনে  সভা, সমাবেশ, মিটিং, আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন? দেশের বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, ব্যবসায়ী, ছাত্রসমাজ, রাজনৈতিক দল, ব্যাক্তি, সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রমানে সচেষ্ট হয়েছেন ? মুলত: এই সমস্ত রাজনৈতিক ধারাবাহিকতার তাঁদের এখন আর আদৌ কোন প্রয়োজন নেই---

        কারন---বিএনপি নাশকতার মাধ্যমে রাজপথের অধিকার হারিয়ে চারদেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে।চারদেয়ালের গন্ডি ভেদ করে রাজপথে আসার যুৎসই কোন কারন খুঁজে পাচ্ছেনা।তাঁরা সরকারের সর্ব উচ্চ পয্যায় আলোচনা করে নিশ্চয়তা প্রদান করতে চায়; তাঁদের দ্বারা ভবিষ্যতে নাশকতা, ষড়যন্ত্র, বহি:শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের আর কোন প্রকার কারন সৃষ্টি হবেনা।এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনা-সৃষ্টির প্রধানহেতু বেগম খালেদাকেও রাষ্ট্রপতির নিকট নেয়া হয়েছে। সঙ্গত কারনেই কথাটা বলতে হচ্ছে এই কারনে-- "আলোচনার প্রাথমিক পয্যায় শীর্ষ নেতার অংশগ্রহনে অতীতে কোন দেশেই এইরুপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি--"বাংলাদেশে তো নহে-ই।"
           সুপ্রিয় পাঠকগন --লক্ষ করলে অনায়াসে বুঝা যায় বিএনপি নেত্রী "বারবার" কথাটি উচ্চারন করেছেন-- -" সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে "বারবার অনির্দিষ্টকাল" আলোচনায় অংশগ্রহন করার ইচ্ছা প্রকাশ" করেছেন।অর্থ্যাৎ--'সরকারের মেয়াদ উত্তির্ন হলেও কোন সমস্যা এক্ষেত্রে হবেনা'।যতদিন রাজপথে আসার সুযোগ হবেনা ততদিন শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনা করার সুযোগ দিতেও কোন  আপত্তি নেই।"
      সরকার বিরুধীদলের অভাব তিব্রভাবে অনুভব করছে।জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর স্থগিত তাই প্রমান করে।শক্তিশালী বিরুদীদলের অভাবে তিস্তাচুক্তি সম্পাদনে ভারতকে যুৎসই চাপ প্রয়োগ করে চুক্তি বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে না পেরে--"সফর স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন"। বাংলাদেশের জনগনের স্বতস্ফুর্ত দাবী এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন ছিল কিন্তু জনস্বার্থে কোন রাজনৈতিক দল দাবী উত্থাপন না করায় ভারত তিস্তাচুক্তির ব্যাপারে বরাবর গড়িমসির আশ্রয়গ্রহন করে সময়ক্ষেপনের নীতি অনুসরন করছে।জাতির জনকের কন্যার অসীম সাহষ, দৃডমনোবল এক্ষেত্রেও তাঁদের  জন্যে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে।বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী জানতে চেয়েছেন তিস্তার ব্যাপারটি কতটুকু অগ্রসর হয়েছে--"যথাযথ উত্তর না পেয়ে একতরফা সফর স্থগিত করে প্রমান করেছেন বাংলাদেশের স্বার্থের বাইরে শেখ হাসিনা পরম বন্ধুরাষ্ট্রকেও ছাড় দিতে রাজী নন।" এক্ষেত্রে একদিকে বিদ্যমান "বিরুধীদলের ভুমিকা পালন অন্যদিকে সরকারের নিয়মিত কর্মতৎপরতা" দুই ভুমিকায় "শেখ হাসিনাকে" অবতীর্ন্ন হতে দেখা যাচ্ছে।
          বিএনপির উধ্বতন নেতানেত্রীদের আওয়ামী লীগে যোগদানের চতুর্দিকে হিড়িক পড়ে গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির অস্তিত্ব নিয়ে শংকায় পড়েন। বিদেশ সফর শেষে বিমানবন্দর থেকেই নির্দেশনা জারি করেন--"বিএনপি জামায়াতের কোন নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করতে পারবে--না"। যোগদান প্রশ্নে তাঁর  কঠোর নিষেদাজ্ঞা আরোপ যথারীতি জেলা উপজেলায় কায্যকর করার জন্যে চিঠি পাঠিয়ে দেয়া হয়।বিএনপি অস্তিত্ব সংকট থেকে সেই যাত্রা রক্ষা পায়। এবারও সদাশয় "মহামান্য রাষ্ট্রপতি" বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকার প্রয়োজনে "না চাইতেই বৃষ্টি" মনে হলেও সেই কায্যকর সুযোগটি দিয়েছেন----'' এখানেই বিএনপি খুশী"।
        আন্দোলন, সংগ্রাম, সরকারপতন, ক্ষমতাদখল, নির্বাচন, সংস্কার তত্বাবধায়ক সরকার,  জনগনের কল্যান  ইত্যাদি বর্তমান বিএনপির  মুল বিষয় বস্তু নয় ; মূল বিষয়বস্তু-" বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে যাহাই প্রয়োজন তাহাই করা।"পত্র- পত্রিকায়, সুসীলসমাজের, বরেন্যব্যাক্তিদের আলোচনার টেবিলে থাকার আপ্রান চেষ্টার ফসল--" রাষ্ট্রপতির আপ্যায়নে যারপরনাই খুশির ভাব প্রদর্শন।"
          ruhulaminmujumder27@gmail.com
            "জয়বাংলা            জয়বঙ্গবন্ধু"
       

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা