কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের চারিত্রিক পরিবর্তন হীতে বিপরীত হতে পারে--অন্যান্ন খাতের ন্যায় কৃষিকেও সমগুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের চারিত্রিক পরিবর্তন হীতে বিপরীত হতে পারে--অন্যান্ন খাতের ন্যায় সমগুরুত্ব কৃষিতেও অপরিহায্য---
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। অথচ সেই কৃষি খাতেই প্রয়োজনীয় দক্ষ অদক্ষ শ্রমিকের অভাব বিগত চার পাঁছ বছর প্রচন্ডভাবে অনুভুত হচ্ছে। চলতি বছর সেই সংকট প্রকট আকার ধারন করায় গড়ে শ্রমিকের মজুরী চার শত টাকার উপরে স্থির হয়েছে। শ্রমমুজুরি যদিও বর্তমান জীবনযাত্রা অনুযায়ী বিশেষ কিছু নয় ; শ্রমিক সংকট বিষয়টি আলোচনার মুখ্য বিষয়। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় কৃষিখাতে এই পরিস্থীতি দেশের জন্য কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয়।অন্যসব বিরুপ পরিস্থীতি এড়িয়ে গেলেও শুধুমাত্র জমির মালিক চাষাবাদে লাভ অনুযায়ি খরছের পরিমান বেড়ে গেলে চাষাবাদ বন্ধ করে দিলে অর্থনীতির অন্যান্ন সকল সূচকের উপর ইহার প্রভাব পড়ে মুল অর্থনীতির চাকাই বন্ধ হতে বাধ্য হবে।এই অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকেরা যে চাষাবাদ বন্ধ করবেনা-'সেই শংকা উড়িয়ে দেয়া যায়না।'
অতীতে অধিক জমির মালিক গন জমি বর্গা, লাগিত,চুক্তি বর্গা দিয়ে চাষাবাদ করতেন। টাকার বিশেষ প্রয়োজনে বিক্রি, বন্ধকী, কড়, মেয়াদি কবলা দিয়ে টাকা সংগ্রহ করতে দেখা যেত। বিগত বছর গুলিতে তাও সীমিত আকার ধারন করায় শুধুমাত্র জমির মালিকানার উপর নির্ভরশীল কৃষকগন মহা বিপদে পড়েছেন।বেচা বিক্রিও নাই বলা চলে, জমি কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ একেবারে কমে গেছে। বাড়ী অথবা দোকান ঘরের জায়গা ছাড়া চাষাবাদ যোগ্য জমি বিক্রি একরকম বন্ধ হয়ে আবহমান কালের কৃষক পরিবার গুলী মহা সংকট কাল অতিক্রম করছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের করা এক গবেষণায় দক্ষ শ্রমিকের হতাশাজনক তথ্য চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বাংলাদেশে শ্রমিকের ঘাটতি অন্য যেকোন সেক্টরের চাইতে বেশি। এ খাতে প্রয়োজন অনুসারে ৭৫ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে।
দেশের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি খাতে ৭৫ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক দক্ষ শ্রমিকের শুন্যস্থান যদি পুরণ করে শ্রমিক সংকট কত প্রকট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখিত ঘাটতি ২০১০ সালেই অনুভূত হয়, জরিপ কায্যটি পরিচালিত হয় ২০০৯ ইং থেকে শুরু করে ২০১০ ইং সালের জুন পয্যন্ত।বর্তমানে নিশ্চয়ই তা আরো প্রকট আকার ধারনের বিষয়টি শ্রমিকের অভাব দেখেই বুঝা যায় জরিপের প্রয়োজন হয়না।
নব্বইয়ের দশকেও শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ সরাসরি কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিল।বর্তমানে তা কমে ৪০ শতাংশের এসে ঠেকেছে। শ্রমশক্তি জরিপ (২০১০)-এর হিসাব মতে, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত ছিল। এর ৭৫ শতাংশই অদক্ষ। দেশ যতই স্বাবলম্বিতা অর্জন করছে এ খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ততই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যদিও ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সরাসরি জড়িত কিন্তু ৬০ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল রয়ে গেছে। এই খাতের দক্ষ শ্রমজীবী অনেক মানুষ শহরমুখী বা অন্য সহজ পেশায় স্থানান্তর হওয়ায় কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।ফলে শ্রমিকের অভাবে জমির মালিকেরা অনেক জমি খালি ফেলে রাখতে কিংবা অন্য কাজে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বর্তমান বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতির সংগে সংগে মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রাও অনেকটা আধুনিকায়ন হয়ে যাওয়ায় অনেকটা পরিশ্রমি কৃষি শ্রমিকের কাজ ছেড়ে অন্য সহজ উপায়ে উপার্জনের দিকে ঝুঁকে পড়ায় কৃষি ব্যবস্থাপনা হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।কৃষিতে যদি শ্রমিকসংকট বর্তমান অবস্থায় চলতে থাকে, তাহলে তা হবে দেশের জন্য অশনিসংকেত। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং দেশে খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি তৈরি হবে।
কে এস মুরশিদের গবেষণায় দক্ষ শ্রমশক্তির ঘাটতি পূরণে আগামী পাঁচ বছরে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ৪০ লাখ শ্রমিককের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। আর ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৬ লাখ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়।কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ শ্রমিকেরা কাজ করে দেশকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলুক সবারই কাম্য।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ষড়ঋতুর অবহাওয়ায় কৃষিখাতই অর্থনীতির চালিকা শক্তি-'অতীতেও ছিল ভবিষ্যতেও অক্ষুন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি।' বর্তমান সরকারকেও দেশের কৃষি খাতকেই অর্থনীতির অপরিহায্য অঙ্গ ধরে নিয়ে অন্যান্ন খাতকেও সমগুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিকের অভাবে একটি খাত ধ্বংস পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে তার উদাহরন বিশ্বে ভুরি ভূরি।
সরকারকে এখনই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের শহর থেকে গ্রামমুখী এবং সহজ উপার্জনের পেশা ছেড়ে কৃষি পেশায় ফিরে আসার লোভনীয় অফার নিয়ে সরকার এগিয়ে আসা উচিৎ। বিদেশ গমন অনুৎসাহীত করে বিদেশে কষ্টার্জিত উপার্জনের বিকল্প ব্যবস্থা দেশের কৃষিতে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারিভাবে ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়াসহ তাদের অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করে বিদেশমূখিতা রোধ করতে হবে।
চাষাবাদের ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন শ্রমশক্তি অর্ধেকেরও কমের মধ্যে নিয়ে এলেও শ্রমিকের অভাব দূর হয়নি।ইহার একমাত্র কারন বিদেশ গমন, অন্যসহজ পেশার সন্ধান, শহরমূখীতা।তিনটি কারনে কৃষিখাতে যেমন সমস্যার কারন সৃষ্টি করছে তেমনি অন্যসব বিষয়েও নেতিবাচক প্রভাব রাখছে।
বঙ্গোবসাগরে সদ্য জেগে উঠা বিশাল চাষযোগ্য ভূমি প্রকৃত কৃষকদের শিলিং নির্ধারন করে বন্দোবস্তি দেয়া যেতে পারে।সরকার মায়ানমার সহ অন্যান্ন দেশে চাষযোগ্য ভুমি খোঁজার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।অতীতের বাংলাদেশের দ্বিগুন বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই সাগরের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে আছে।তাছাড়া ভারত ও বার্মার সঙ্গে সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার ফলে সীমারেখা দ্বিগুন আকার ধারন করে জেগে উঠা চরের আকার আকৃতির সম্পূর্ণ মালিক বাংলাদেশ। চিট মহল বিনিময়ের সুফলে দশহাজার একর আবাদি ভুমি বাংলাদেশের অংশে একিভূত হয়েছে। মোটকথা- সব মিলিয়ে নতুন আর একটা বাংলাদেশের মালিক বর্তমান প্রজম্ম সহ আগামী প্রজম্ম। নতুন বাংলাদেশকে নতুনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারলে আগামী শতবছর জনসংখ্যা নিরুধের কোন প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।আশাকরি সদাশয় সরকার কৃষির প্রতি আরো বেশি নজর দিয়ে খাতটিকে রক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহন করবে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। অথচ সেই কৃষি খাতেই প্রয়োজনীয় দক্ষ অদক্ষ শ্রমিকের অভাব বিগত চার পাঁছ বছর প্রচন্ডভাবে অনুভুত হচ্ছে। চলতি বছর সেই সংকট প্রকট আকার ধারন করায় গড়ে শ্রমিকের মজুরী চার শত টাকার উপরে স্থির হয়েছে। শ্রমমুজুরি যদিও বর্তমান জীবনযাত্রা অনুযায়ী বিশেষ কিছু নয় ; শ্রমিক সংকট বিষয়টি আলোচনার মুখ্য বিষয়। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় কৃষিখাতে এই পরিস্থীতি দেশের জন্য কোনোভাবেই আশাব্যঞ্জক নয়।অন্যসব বিরুপ পরিস্থীতি এড়িয়ে গেলেও শুধুমাত্র জমির মালিক চাষাবাদে লাভ অনুযায়ি খরছের পরিমান বেড়ে গেলে চাষাবাদ বন্ধ করে দিলে অর্থনীতির অন্যান্ন সকল সূচকের উপর ইহার প্রভাব পড়ে মুল অর্থনীতির চাকাই বন্ধ হতে বাধ্য হবে।এই অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকেরা যে চাষাবাদ বন্ধ করবেনা-'সেই শংকা উড়িয়ে দেয়া যায়না।'
অতীতে অধিক জমির মালিক গন জমি বর্গা, লাগিত,চুক্তি বর্গা দিয়ে চাষাবাদ করতেন। টাকার বিশেষ প্রয়োজনে বিক্রি, বন্ধকী, কড়, মেয়াদি কবলা দিয়ে টাকা সংগ্রহ করতে দেখা যেত। বিগত বছর গুলিতে তাও সীমিত আকার ধারন করায় শুধুমাত্র জমির মালিকানার উপর নির্ভরশীল কৃষকগন মহা বিপদে পড়েছেন।বেচা বিক্রিও নাই বলা চলে, জমি কেনার প্রতি মানুষের আগ্রহ একেবারে কমে গেছে। বাড়ী অথবা দোকান ঘরের জায়গা ছাড়া চাষাবাদ যোগ্য জমি বিক্রি একরকম বন্ধ হয়ে আবহমান কালের কৃষক পরিবার গুলী মহা সংকট কাল অতিক্রম করছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের করা এক গবেষণায় দক্ষ শ্রমিকের হতাশাজনক তথ্য চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বাংলাদেশে শ্রমিকের ঘাটতি অন্য যেকোন সেক্টরের চাইতে বেশি। এ খাতে প্রয়োজন অনুসারে ৭৫ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে।
দেশের জন্য অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি খাতে ৭৫ শতাংশ অদক্ষ শ্রমিক দক্ষ শ্রমিকের শুন্যস্থান যদি পুরণ করে শ্রমিক সংকট কত প্রকট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখিত ঘাটতি ২০১০ সালেই অনুভূত হয়, জরিপ কায্যটি পরিচালিত হয় ২০০৯ ইং থেকে শুরু করে ২০১০ ইং সালের জুন পয্যন্ত।বর্তমানে নিশ্চয়ই তা আরো প্রকট আকার ধারনের বিষয়টি শ্রমিকের অভাব দেখেই বুঝা যায় জরিপের প্রয়োজন হয়না।
নব্বইয়ের দশকেও শতকরা ৮০ শতাংশ মানুষ সরাসরি কৃষির উপর নির্ভরশীল ছিল।বর্তমানে তা কমে ৪০ শতাংশের এসে ঠেকেছে। শ্রমশক্তি জরিপ (২০১০)-এর হিসাব মতে, দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষিতে নিয়োজিত ছিল। এর ৭৫ শতাংশই অদক্ষ। দেশ যতই স্বাবলম্বিতা অর্জন করছে এ খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে ততই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যদিও ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির সঙ্গে সরাসরি জড়িত কিন্তু ৬০ শতাংশ মানুষের জীবন-জীবিকা কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল রয়ে গেছে। এই খাতের দক্ষ শ্রমজীবী অনেক মানুষ শহরমুখী বা অন্য সহজ পেশায় স্থানান্তর হওয়ায় কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।ফলে শ্রমিকের অভাবে জমির মালিকেরা অনেক জমি খালি ফেলে রাখতে কিংবা অন্য কাজে ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন।
বর্তমান বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নতির সংগে সংগে মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রাও অনেকটা আধুনিকায়ন হয়ে যাওয়ায় অনেকটা পরিশ্রমি কৃষি শ্রমিকের কাজ ছেড়ে অন্য সহজ উপায়ে উপার্জনের দিকে ঝুঁকে পড়ায় কৃষি ব্যবস্থাপনা হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে।কৃষিতে যদি শ্রমিকসংকট বর্তমান অবস্থায় চলতে থাকে, তাহলে তা হবে দেশের জন্য অশনিসংকেত। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং দেশে খাদ্যনিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি তৈরি হবে।
কে এস মুরশিদের গবেষণায় দক্ষ শ্রমশক্তির ঘাটতি পূরণে আগামী পাঁচ বছরে কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে ৪০ লাখ শ্রমিককের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। আর ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৬ লাখ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়।কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে দক্ষ শ্রমিকেরা কাজ করে দেশকে স্বাবলম্বি করে গড়ে তুলুক সবারই কাম্য।
মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের ষড়ঋতুর অবহাওয়ায় কৃষিখাতই অর্থনীতির চালিকা শক্তি-'অতীতেও ছিল ভবিষ্যতেও অক্ষুন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায়নি।' বর্তমান সরকারকেও দেশের কৃষি খাতকেই অর্থনীতির অপরিহায্য অঙ্গ ধরে নিয়ে অন্যান্ন খাতকেও সমগুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় দক্ষ শ্রমিকের অভাবে একটি খাত ধ্বংস পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে তার উদাহরন বিশ্বে ভুরি ভূরি।
সরকারকে এখনই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষি শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের শহর থেকে গ্রামমুখী এবং সহজ উপার্জনের পেশা ছেড়ে কৃষি পেশায় ফিরে আসার লোভনীয় অফার নিয়ে সরকার এগিয়ে আসা উচিৎ। বিদেশ গমন অনুৎসাহীত করে বিদেশে কষ্টার্জিত উপার্জনের বিকল্প ব্যবস্থা দেশের কৃষিতে নিশ্চিত করতে হবে। সরকারিভাবে ন্যায্য মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়াসহ তাদের অন্যান্য প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করে বিদেশমূখিতা রোধ করতে হবে।
চাষাবাদের ক্ষেত্রে আধুনিকায়ন শ্রমশক্তি অর্ধেকেরও কমের মধ্যে নিয়ে এলেও শ্রমিকের অভাব দূর হয়নি।ইহার একমাত্র কারন বিদেশ গমন, অন্যসহজ পেশার সন্ধান, শহরমূখীতা।তিনটি কারনে কৃষিখাতে যেমন সমস্যার কারন সৃষ্টি করছে তেমনি অন্যসব বিষয়েও নেতিবাচক প্রভাব রাখছে।
বঙ্গোবসাগরে সদ্য জেগে উঠা বিশাল চাষযোগ্য ভূমি প্রকৃত কৃষকদের শিলিং নির্ধারন করে বন্দোবস্তি দেয়া যেতে পারে।সরকার মায়ানমার সহ অন্যান্ন দেশে চাষযোগ্য ভুমি খোঁজার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।অতীতের বাংলাদেশের দ্বিগুন বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই সাগরের মধ্যে সৃষ্টি হয়ে আছে।তাছাড়া ভারত ও বার্মার সঙ্গে সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ার ফলে সীমারেখা দ্বিগুন আকার ধারন করে জেগে উঠা চরের আকার আকৃতির সম্পূর্ণ মালিক বাংলাদেশ। চিট মহল বিনিময়ের সুফলে দশহাজার একর আবাদি ভুমি বাংলাদেশের অংশে একিভূত হয়েছে। মোটকথা- সব মিলিয়ে নতুন আর একটা বাংলাদেশের মালিক বর্তমান প্রজম্ম সহ আগামী প্রজম্ম। নতুন বাংলাদেশকে নতুনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারলে আগামী শতবছর জনসংখ্যা নিরুধের কোন প্রয়োজন হওয়ার কথা নয়।আশাকরি সদাশয় সরকার কৃষির প্রতি আরো বেশি নজর দিয়ে খাতটিকে রক্ষা করার উদ্যোগ গ্রহন করবে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন