শেখ হাসিনার বর্তমানে বাংলাদেশ দর্শনের ধারনা পরিস্কার হওয়া উচিৎ।
(রুহুল  আমিন  মজুমদার)

     মহান বিজয়ের মাস শেষ, সাথে নিয়ে যাচ্ছে পুরাতন একটি বছরকেও। ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় মেয়াদের শাষনের দ্বিতীয় বর্ষফুর্তি হতে মাত্র আর কয়টা দিন বাকি। এরই মাঝে বিশেষ কয়েকটি দিক জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।দেশী বিদেশী উন্নয়ন সহযোগি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির আশাব্যাঞ্জক উক্তি,উন্নয়ন সুচকের ব্যাপক উধ্বগতি, বিশাল বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি নিয়ে---"বিশেষজ্ঞরা তাঁদের ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে জনগনকে নিশ্চয়ই অবগত করছেন এবং আরো করবেন।যে বিষয় গুলীর প্রতি কারো দৃষ্টি নিবন্ধিত হবেনা;তেমন কিছু বিষয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি।তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য দু-তিনটি বিষয় আমি পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

(১)২০১৬ ইং সালের বিজয় দিবসের উৎসাহ উদ্দিপনায় স্ব-প্রনোদিত ভাব গাম্ভিয্যতা ফিরে আসা
(২) দীর্ঘ ক্ষমতা উপভোগের পরেও আওয়ামী লীগ এবং তাঁর প্রার্থীর জনপ্রিয়তায় ধ্বস না নেমে বরঞ্চ উচ্চতায় পৌঁছা।
(৩) বাংলাদেশকে বর্তমানের মুক্তিযুদ্ধের সরকার কতটুকু স্বাধীনতাযুদ্ধের মুল চেতনায় ফিরিয়ে নিতে পেরেছে।

     (আমি মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে বিশেষ ভাবে বলে রাখতে চাই---"সম্মিলীত অ-শুভ শক্তির মূল কাজ গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যা, অপ-প্রচার গুজবাকারে বাজারে ছেড়ে দেয়া--সত্যতা থাক বা নাথাক কিছুই আসে যায়না, বাজারে ঘুরলেই বক্তব্যটি হল।"ইতিমধ্যে তাঁর হাজারো প্রমান আমরা পেয়েছি।)

       ২০০৮ইং এর ২৯ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ‘মহাজোট’ ভূমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা 'শেখ হাসিনা' দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর পরবর্তী একবছরের মাথায় ২০০৯-এর ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক সর্বসম্মত রায়ে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসির চূড়ান্ত রায় দিয়েছে।জাতির জনকের হত্যার বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্তিতে দেশ ও জনগনকে পিতা হত্যার দায়মুক্ত করেছে সর্ব উচ্চ আদালত। পিতৃহত্যার দায়ে বিদেশী রাষ্ট্র সমূহের কটাক্ষপুর্ণ চাহনি থেকে বাঙ্গালী জাতি মুক্ত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারের হত্যার পর ৩৫ বছর (মাঝে ৫ বছর আওয়ামী লীগ শাসন ছাড়া) তাঁর সৃষ্ট দেশে তাঁকেই অপাঙ্ক্তেয় করে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবস উদযাপন ছিল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।এই সময়কালে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা আওয়ামী লীগ, প্রতিবেশী মিত্র দেশ ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উসকে দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। তারা কথায় কথায় ভারতকে বাংলাদেশের সব সমস্যার জন্য দায়ী করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে তাদের স্বার্থ হাসিল করার প্রয়াস পেয়েছে।

         জিয়া-এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার জোট সরকারের আমলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালের বন্ধু প্রতিবেশী ভারতকে হেয় করার জন্য সর্ব বিষয়ে "ভারত বিদ্বেস" ছড়ানোর উদ্দেশ্যে মিডিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের সঙ্গে চলতে স্বস্তিবোধ করে। তাদের শাসনামলে পাকিস্তানের কুখ্যাত 'আইএসআই' রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেছে। ভারতকে অস্থিতিশীল করার জন্য আইএসআইকে বাংলাদেশ ভূখণ্ড ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফাকে ট্রেনিং, অস্ত্র ও অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে অকারণে কুৎসা রটনা করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।

     ভারত ৯ মাস বাংলাদেশের ১কোটি শরণার্থীকে খাইয়ে-পরিয়ে অতুলনীয় সহযোগিতা করেছে। লাখ লাখ মুক্তিবাহিনীর সদস্যকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিয়ে হানাদার পাক বাহিনীর মোকাবেলা করতে সক্ষম করে গড়ে তুলেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের হাজার হাজার সেনাবাহিনী সদস্য রক্ত দিয়েছে।  অপ-প্রচার বাজারে চালু আছে--ভারতীয় সৈন্য ফিরে যাওয়ার সময় আমাদের সব সম্পদ নিয়ে গেছে। সেগুলো ফলাও করে প্রচার করতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এ দেশীয় পাকিস্তানি দালালরা কখনো বিবেকের দংশন অনুভব করেনি।

      শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতাসীন না হয়ে অন্য কেউ ক্ষমতাসীন থাকলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাফল্য আসতে কত যুগের প্রয়োজন হত তিব্বতের দালাইলামার দিকে তাকালেও অনুমান করা যেতে পারে। অথবা পাকিস্তানের অন্য দুই প্রদেশের দিকে তাকালেও বিবেকবানদের বুঝা কষ্ট হয়না। যুগ যুগ ধরে দালাইলামা যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছেন, আমাদেরও তেমন অবস্থা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। মহান নেত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী নিজের দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করে, পরাশক্তি আমেরিকা ও চীনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিয়োজিত করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পরিণতি দিতে মিত্রবাহিনী গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নেত্রীকে খাটো করতেও পাকিস্তানি মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিরা পিছ-পা হয়নি। এর চেয়ে অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে বাঙ্গালী--'আর কি হতে পারে'?

      যে রেসকোর্স ময়দানের মঞ্চ থেকে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীনতার পর--ঢাকা সফরকালে বঙ্গবন্ধুসহ ভাষণ দিয়েছিলেন রেসকোর্সের ময়দান থেকে। পাকিস্তানের তিরানব্বই হাজার সু-সজ্জিত সৈন্য আত্মসমর্পন করেছিল রেসকোর্স ময়দানে।রেসকোর্স ময়দানকে মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু ঘোড়া দৌড়ানীর নামে বিশাল অংকের 'জুয়া' নিষিদ্ধ করে গাছের বাগান করে  নাম রেখেছিলেন 'সরওয়ার্দী উদ্যান।' সেই সরওয়ার্দী উদ্যানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে উদ্যোগ নিয়েছিল স্বৈরচারি সরকার সমুহ।   তাঁদের মিত্রের মাথানিছু করে আত্মসমর্পনের গ্লানিমুক্ত করতে ‘ইন্দিরা মঞ্চ’ ভেঙে শিশু পার্ক নির্মাণ করেছিলেন সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া। অথছ উদার মনোভাব প্রদর্শন করে ভারতের জনগণ কলকাতা শহরে দুটি সড়কের নামকরণ করেছে --"শেরেবাংলা ও বঙ্গবন্ধুর নামে।" বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধী বা ইন্দিরা গান্ধীর নামে কোনো সড়ক বা স্থাপনার নামকরণ করতে পারেনি।

    বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন, পৃথিবীর সর্বোচ্চ টাওয়ার ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ধারণ করে জাদুঘর স্থাপিত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইনস্টিটিউট, বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকাজুড়ে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ার প্রচেষ্টা চলছে।মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক আরো অনেক স্থাপনা সেখানে নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে।সর্বপেক্ষা ভাল হত যদি 'ইন্দিরামঞ্চ'কে আবার পুন:প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হত।অহিংস দর্শনের জনক 'মহাত্মা গান্ধীজির' নামে কোন স্থাপনা নির্মান করা সম্ভব কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার।বিশ্বের দেশে দেশে মহত্মা গান্ধীজির নামে স্থাপনা রয়েছে--বাংলাদেশ ব্যাতিক্রম হতে পারেনা ঐতিহাসিক কারনেই।ভারতীয় উপমহাদেশ ইংরেজ শাষন শোষন মুক্ত করতে গান্ধীজির ভুমিকা অ-স্বীকারের কোন উপায় নেই, আমরাও তাঁরই অংশ।ইতিহাসের পরতে পরতে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা হয়ে গেছে।

      বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী রাজাকার, আলবদরদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার পরিজনদের দ্বিতীয় শ্রনীর নাগরিক করার উদ্যোগ এখনই নেয়া উচিৎ।সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করার তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারের বিভিন্ন পয্যায় কর্মে নিয়োজিতদের ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করা সময়ের দাবি।তাঁদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততিদের উচ্চশিক্ষায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

 লক্ষ করলে দেখা যায়--অশুভ শক্তিসমূহের বিচার প্রক্রিয়া যতই ত্বরান্বিত হচ্ছে জাতিয় দিবস সমূহের প্রানচাঞ্চল্যতা ততই ভাবগম্বিরতা নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করেছে।এবারের বিজয়দিবসে স্ব-প্রনোদিত প্রানচাঞ্চল্যতা তাঁরই প্রমান বহন করে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চক্রান্তে পরিচালিত 'আগুন সন্ত্রাসের' বিচারকায্য সম্পন্ন করা হলে তাঁদের অস্তিত্ব বাংলার মাটিতে আর খোঁজে পাওয়া যাবেনা।

     অশুভশক্তি নিচ্ছিন্ন হতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গিত বহন করে ; কিছুদিন আগে অনুষ্ঠানেয় 'নাসিক' নির্বাচনের ফলাফলের দিকে দৃষ্টি দিলে। বাংলাদেশের জনগন দুইবার কোন প্রার্থীকে নির্বাচিত করার নজির খুব কম। দুইবার সরকার পরিচালনা করার সুযোগ দেয়ার নজির এযাবৎ কালের বাংলাদেশের( পাকিস্তান আমল সহ) ইতিহাসে নেই। নারায়ন গঞ্জের নির্বাচনে উভয় নেতিবাচক দিক বিদ্যমান থাকা সত্বেও সর্বকালের অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর বিশাল বিজয়--"মুক্তিযুদ্ধের মুলচেতনায় ফিরে যাওয়ার জনগনের ইচ্ছার বহিপ্রকাশই-- আমি মনে করি"।

     বাংলাদেশের সংবিধানকে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে আনার এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতিকে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির আলোকে পুনর্বিন্যাস করার সময় হয়ে গেছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ফেব্রুয়ারি (২০১৭) মাসে ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন, এই সুযোগে ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর (বিশেষ করে ভিসা জটিলতা, তিস্তাসহ অন্যান্ন অভিন্ন নদীর পানি বন্টন) মীমাংসা এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সহযোগিতার নবযুগের সূচনা হবে। পঁয়তাল্লিশতম বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত জনগণের সামনে যে সুযোগ উপস্থিত হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে একাত্তরের চেতনায় জেগে ওঠার সময় এসেছে।

     যে তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭১ ইং সালে, সেই তত্ব জনগণের কাছে সঠিকভাবে এককেন্দ্রিকভাবে হচ্ছেনা। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের উচিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সমুহকে নিয়ে সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ বক্তব্য উপস্থাপন করা। এখানে কোনো প্রকার অ-স্বচ্ছতার স্থান নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে একেকজন একেক রকম উক্তি করবেন এটা একেবারেই অবাঞ্ছনীয়। জাতীয় চার মূলনীতি সম্পর্কে  ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং জাতি হিসেবে আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের যারা বিরোধী তারা তো  বাংলাদেশের শত্রু। তারা বাংলাদেশ বিশ্বাস করে না। তাঁরা চায় জাতি রাষ্ট্রকে ধর্মরাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে।

 স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এই বিতর্কের অবসান হওয়া খুবই প্রয়োজন।  রাষ্ট্রীয় আদর্শকে উহ্য রেখে তাঁর দর্শনকে ভুলুন্ঠিত করে জাতি হিসেবে আমরা অগ্রসর হতে পারবনা।এবারের বিজয় দিবসে স্ব-প্রনোদিত আনন্দ উল্লাস এবং নাসিক নির্বাচনে বিশাল জয়--"সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের মুলচেতনায় ফিরে যাওয়ার জনইচ্ছাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের মুল্যায়ন করা উচিৎ বলে আমি দৃড়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি।

বাঙালী জাতীয়তাবাদের প্রধান নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থান অদ্বিতীয়। জাতির জনকের কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনা যতটুকু জাতীয়তাবাদের ধারনা ধারন করতে পেরেছেন তাঁর সিকিভাগও অন্যকোন নেতানেত্রী ধারন করতে পারেননি। বাংলাদেশ সৃষ্টির মূল দর্শনের সত্যিকার অর্থে বিশ্বাসের কারণে অশুভ শক্তি এখনও শেখ হাসিনাকে হত্যার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাঁরা জানে শেখ হাসিনা নেই--"বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই, বাংলাদেশের দর্শন নেই"। স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁদের ধ্যানে জ্ঞানে শেখ হাসিনা হত্যা ছাড়া আর কিছুই নেই।শেখ হাসিনা ছিল বলেইতো বঙ্গবন্ধু সদর্পে, স্বমহিমায়,আরো উজ্জল আলোকচ্ছটায় ফিরে এসেছে--তাঁদের বিধ্বংসি মনোভাব অমূলক নয়, বরঞ্চ আমাদের বিশ্বাসে ফাঁকা রয়েছে যথেষ্ট।
       masterruhulamin@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা