ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেবের মৃত্যু--তৃনমুল আওয়ামী লীগে বঞ্চনার শংকা প্রতিষ্ঠিত।
(রুহুল আমিন মজুমদার)

        গত ৩/১২/০০১৬ ইং রোজ শনিবার বিকেল সাড়ে চার ঘটিকায় কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেবের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ফুল গাজী থানা পরবর্তীতে উপজেলার দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আপোষহীন, ত্যাগী,নিবেদিত আওয়ামী লীগার হিসেবে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। যদিও দুইবার নির্বাচিত হন -রাজনৈতিক টানাপোড়নের কারনে প্রায় ২০০০ ইং সাল পয্যন্ত তাঁকে উক্ত সভাপতি পদ বহন করতে হয়েছিল।প্রায় বিশ বছর ফুলগাজী থানা আওয়ামী লীগের মায্যদাপুর্ণ সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও নির্লোভ নেতা কোন স্তরেই জনপ্রতিনীধিত্ব করার জন্য খুব বেশী বাড়াবাড়ি করেননি।গত শনিবার এই অকতোভয় বীর সেনানী ৭৮ বছর বয়সে ঢাকার শমরীতা হাসপাতালে পরলোকগমন করেন।তাঁকে তাঁর নীজবাড়ী ফুলগাজী উপজেলার মুন্সির হাট ইউনিয়নের শ্রিপুর গ্রামে কাজী পরিবারের নীজস্ব কবরস্থানে দাপন করা হয়।
      শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মরহুম কাজী গোলাম মাহমুদ যে বছর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ঠিক সেই বছরই আমি সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই।  আমার পরম সৌভাগ্য হয়েছিল খুব অল্প বয়স হলেও  নিবেদিত নেতার সাথে একত্রে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি আমার  ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় ঐ কমিটিরই সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দু'টি গুরুত্বপুর্ণ পদ দীর্ঘবছর বহন করি। ঐ একই সময়কালে বসন্তপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গুরুদায়িত্ব আমার উপর ছিল।পরবর্তী কাউন্সিলে 'দুই জন যুগ্ম সম্পাদকের' পদ সৃষ্টি হলে আমি এক নম্ভর যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত  হই।উল্লেখ্য যে ফুলগাজীর মাটি ও মানুষের নেতা,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জনাব আজিজুল হক মজুমদার ১৯৯৬ ইং সালে আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য গেলে ফকিরা পুল আবাসিক হোটেল কক্ষে তাঁর মৃত্যু ঘটে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ফুলগাজী বাসির উপর  বিনামেঘে বজ্রাঘাত তুল্য,  কিংকর্তব্যবিমূঢ হয়ে পড়ে।চতুর্দিকে হতাশার চাদরে ঢেকে পড়লে সভাপতি কাজী গোলাম মাহমুদ শক্ত হাতে পরিস্থীতি নিয়ন্ত্রনে মনযোগী হন।
     একদিকে ২১ বছরে দল ক্ষমতা পাওয়ায় সংগত কারনে নেতাকর্মীরা অসংযত,অধৈয্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে জনাব আজিজুল হক মজুমদার সাহেবের হঠাৎ অনুপস্থীতি দলে বিশৃংখলা চরম আকার ধারন করে।এমনতর মহুর্তে পদাধিকার বলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এর দায়িত্ব দিয়ে তিনি শক্তভাবে হাল ধরে বিশৃংখলা মোকাবেলা করার উদ্যোগ গ্রহন করেন।স্বল্প সময়ে রাজনৈতিক বিচক্ষনতার গুনে তিনি দলকে নিয়মাতান্ত্রিক পয্যায় নিয়ে আসেন। যদিও আমাকে তিনি সঙ্গী হিসেবে নিয়েছিলেন তের/ চৌদ্দটি মামলা এবং বসন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের গুরুত্বপুর্ণ পদে দায়িত্বরত: থাকায় আমি রানিংমেট হিসেবে তাঁকে তেমন উল্লেখযোগ্য সময় দিতে পারিনি।২০০০ ইং সালের কাউন্সিলে বাধ্যক্যজনীত কারনে তিনি সভাপতি পদ নীজ থেকে ত্যাগ করেন।২০০১ ইং সালের দলীয় বিপয্যয়ের মহুর্তে নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক পালিয়ে গেলে আবারও ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন দল পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতা পেয়েছিলাম আমি মরহুম জনাব কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেবের নিকট থেকে।২০০৯ ইং সাল পয্যন্ত যদিও আমি ফুলগাজীর রাজনীতিতে পুর্বের পদবি নিয়ে সক্রিয় ছিলাম কিন্তু যাদের নেতৃত্বে রাজনীতিতে ছিলাম তাঁদের দু'জনের কেউই ছিলেন না।
       কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেব প্রথম জীবনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারী কন্টিজেন্সে যোগদান করে স্বাধীনতা উত্তর চাকুরী পরিত্যাগ করে চট্রগ্রামে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের ঢামাডোল বেজে উঠলে তিনি তাঁর এলাকা ফুলগাজীর মুন্সির হাট  চলে আসেন। এলাকার যুবক ভাইদের সংগঠিত করে আলী আজম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেন এবং তিনি নিজেই প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মাতৃভুমি শত্রুমুক্ত করার মহান লক্ষে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অসমসাহষিকতা এবং বিরত্বপুর্ণ অবদান এলাকাবাসি এখনও স্মরণ করেন।
      তিনি  যুদ্ধশেষে কর্মস্থল চট্রগ্রাম চলে গেলেও তাঁর মন সেখানে স্থীত হয়নি। তিনি ফিরে এসে ফুলগাজী উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজী শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘদিন ফুলগাজীতে শিক্ষকতার সুবাদে সর্বশ্রেনীর মানুষের নিকট সৎ, ব্যাক্তিত্বশীল, মায্যদাবান মানুষ হিসেবে তাঁর ইমেজ গড়ে উঠে।পরবর্তীতে তাঁর এলাকার আলী আজম হাইস্কুলে চলে গেলেও ফুলগাজী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ অলংকৃত করতে তাঁকে তেমন বেগ পেতে হয়নি।
     তিনি ছিলেন অত্যান্ত ব্যাক্তিত্ববান, স্বল্পবাসি, অসাধারন বাগ্মিতার অধিকারি ত্যাগি নেতা। খালেদা জিয়ার কথিত বাড়ীর দরজায় উপজেলা আওয়ামী লীগের একটানা বিশ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সহজ ব্যাপার নয়।তিনি উক্ত কঠিন বিষয়টিকে ব্যাক্তিত্বের প্রভাবে সহজ করেছিলেন এবং সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
     তিলে তিলে সংসার, অর্থ সম্পদ ধ্বংস করে যেই সমস্ত নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের পতাকাকে আগামী প্রজম্মের হাতে তুলে দিতে নিবেদিত ছিলেন, সারাজীবন আন্দোলন সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশ  আজ আর জীবিত নেই। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য---'সর্বজনাব আজিজুল হক মজুমদার(চেয়ারম্যান, সাধারন সম্পাদক),আজিজুল হক(ছোট্র মিয়া,ভেন্ডার,ফুলগাজী),সফিকুর রহমান ভুইয়া(ভেন্ডার, মুন্সির হাট) আবুল মজুমদার(ফুলগাজী, শ্রিপুর, খালেদা জিয়ার কথিত বাড়ীর একমাত্র আওয়ামী পরিবার) আবুল কালাম আজাদ (হাজী হুদামিয়া,ফুলগাজী), আবুল মিয়া(ফুলগাজী,বরইয়া) বিষু চৌধুরী( ফুলগাজী, বরইয়া) হাজী ইব্রাহীম মজুমদার ( চেয়ারম্যান, আমজাদ হাট), মোশারফ হোসেন মজুমদার (আমজাদ হাট) মোশারফ হোসেন মজুমদার( ফুলগাজী), ডাক্তার আফাজ উদ্দিন  মজুমদার (আমজাদ হাট) আবদুল মন্নান( দরবার পুর) সামছু উদ্দিন মজুমদার( চেয়ারম্যান বক্সমাহমুদ)সহ আরো অনেকেই চলে গেছেন পরপারে।
          জীবিতদের মধ্যে তেমন কাউকে আজ আর চোখে পড়েনা। নাইয়ের মধ্যে সর্বজনাব আজিজ আহাম্মদ চৌধুরী (বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান) হাবিবুর রহমান মজুমদার (সাবেক সভাপতি, আনন্দপুর, বন্ধুয়া, ভেন্ডার) আবদুল মন্নান ভুঁইয়া (বক্সমাহমুদ) হাবিলদার জহির উদ্দিন ভুইয়া(সভাপতি, জিএম হাট) রুহুল আমিন মজুমদার( সাবেক সভাপতি, ফুলগাজী থানা), আবুল কাশেম মাষ্টার( চেয়ারম্যান, আমজাদ হাট) দুলাল মজুমদার(সাবেক সাধারন সম্পাদক, আনন্দপুর ইউনিয়ন) কাজী গিয়াস উদ্দিন ( সভাপতি, দরবারপুর) আবদুস ছালাম ভুঁইয়া(সাবেক সাধারন সম্পাদক, ফুলগাজী থানা)হাজী জামাল উদ্দিন ( বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ফুলগাজী থানা) সবার চেয়ে কম বয়সের মাষ্টার রুহুল আমিন মজুমদার এখনও বেঁচে আছেন।
     প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, নিশ্চয়ই আপনাদেরকে অযথা বিরক্ত করছি--'মনের জ্বালা নিবারনের গত্যান্তর খুঁজে না পেয়ে অদ্য আপনাদের  বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছি।' উপরে উল্লেখিত জীবিত এবং মৃত সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গ সহ আরো অনেকেই জনাব মরহুম কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেবের একান্ত রাজনৈতিক বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন।শুধু সহচর বললে আংশিক বলা হয় ; দীর্ঘদিনের আন্দোলনে সংগ্রামে জড়িত থেকে একে অপরের পুরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন।দলীয় গণ্ডির সীমারেখা অতিক্রম করে  ব্যাক্তিগত এবং পারিবারিক বন্ধুত্বে রুপ নিয়েছিল উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে।
        "মরহুম কাজী গোলাম মহামুদ সেনাবাহিনীতে দশবছর চাকুরীর কারনে একদল চৌকস সেনাদল 'মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকের জানাজা পুর্ব গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করেছেন।' মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন স্বীকৃতি স্বরুপ একদল পুলিশ গর্ড় অব অনার প্রদান করে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের পর সমাহিত করে। ফুলগাজী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কারনে স্বরণ সভার আয়োজন করেছে।শেষ কর্ম স্থল আলী আজম স্কুল এন্ড কলেজ সৃতিচারন সভার আয়োজন করে তাঁর বনাঢ্য কর্মজীবন নিয়ে আলোকপাত করার উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।"
      "মরহুম জনাব কাজী গোলাম গোলাম মাহমুদের জানাজায় সর্বস্তরের শিক্ষক,ছাত্রছাত্রী, আত্মীয়স্বজন উপস্থীত থেকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে নয়মাস যুদ্ধের ময়দানে সাথীদের সঙ্গদানের প্রতিদানে জেলা মুক্তিযোদ্ধা এবং থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড  কাউন্সিল জানাজা পুর্ব নেতৃত্ব প্রদান করে জনগনের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছেন।"
          অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়, সকল একত্রিত লাভজনক পেশার চেয়ে দীর্ঘতম সময় (প্রায় পয়তাল্লিশ বছর)যে কাজে নিয়োজিত ছিলেন, যে আদর্শ ধারন করে সোনালী দিনগুলী হেলায় হারিয়েছেন, অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁদের সম্মান শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন, যাদের সাথে কর্মজীবনের বেশীরভাগ সময় অতিবাহিত করেছেন ; সেই মুজিব আদর্শের উধ্বতন নেতা একমাত্র জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব আবদুর রহমান  (বিকম) ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য নেতাকে জানাজায় উপস্থীত দেখা যায়নি।হাজার হাজার মানুষের উপস্থীতির মধ্যেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থীতির হার ছিল অত্যান্ত নগন্য, মাত্র হাতে গোনা কয়জন।
             তাঁর রাজনীতির বিচরন ভুমি ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হয়তো স্মৃতি চারণ মূলক সভার আয়োজন করা হবেনা। অতীতের প্রতিতযসা অনেকের মৃত্যুতে যেহেতু কোন স্বরণসভার আয়োজন করা হয়নি; মরহুম কাজী গোলাম মাহমুদের ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম হবে বলে মনে হয়না।যদিও দীর্ঘতম সময় বিনাবেতনে,পরিবার পরিজন বিমুখ করে মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আওয়ামী লীগ সংগঠনে শ্রম মেধা, অর্থ সম্পদ, মুল্যবান সময় সবকিছুই উজাড় করে ঢেলে দিয়েছিলেন। সেই প্রানের সংগঠন যদি একটা স্মৃতিচারন সভার আয়োজনও না করে--এর চেয়ে বড় দু:খ্যজনক ঘটনা তাঁর পরিবার,ভক্ত অনুরাগীদের জন্যে আর কি হতে পারে। প্রসিদ্ধ ব্যাক্তিবর্গের বেলায় এমন অনিহা পোষন করা হলে ; আমাদের ন্যায় যৎসামান্য অবদান রাখা মুজিব প্রেমিকদের বেলায় জানাজায়ও কেউ অংশ নিতে আসবেন না।
       "এমন হওয়ারতো কথা ছিলনা- দলের শীর্ষনেতা বিবৃতি দিয়ে শোক প্রকাশ করার কথা ছিল তদস্থলে আঞ্চলিক নেতারাও যদি শোক প্রকাশ না করেন, বিবৃতি না দেন -এই দু:খ্য কি তাঁর পরিবার, বন্ধুমহল,শুভাকাংখীরা ভুলতে পারবে?"
     আমি মহান শিক্ষাগুরু, মুজিবাদর্শের লড়াকু সৈনিক কাজী গোলাম মাহমুদ সাহেবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেশব্যাপি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আদর্শবান, ত্যাগি, মুজিবাদর্শের প্রকৃত সৈনিক, সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের--'বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।'
       ruhulaminmujumder27@gmail.com
          "জয়বাংলা    জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা