অ-শুভশক্তির আঁধারকে ফুল দেয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সংজ্ঞায় পড়ে? "অভিলম্বে ব্যাখ্যা চাই"
অ-শুভশক্তির আঁধারকে ফুল দেয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সংজ্ঞায় পড়ে? "অভিলম্বে ব্যাখ্যা চাই।"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফুলের তোড়া হাতে শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান তিনি।
প্রায় আধাঘণ্টা কেবিনে থেকে মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কামরুল হাসানকে ফোন করে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
(ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতির বাইরেও একটা সম্পর্ক থাকে।)
উল্লেখিত খবরটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।ওবায়দুল কাদের নি:সন্দেহে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম।তাঁর দুরদর্শিতা, বিচক্ষনতা, সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত।আমার আলোচনা সেই দিকে মোটেই নয়--
গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে শিষ্টাচার বাঞ্চনীয়।আদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে, গনতন্ত্রের চর্চায় পার্থক্য থাকতে পারে, গনতন্ত্রের প্রায়োগিক রীতিতে পার্থক্য থাকতে পারে।গনতন্ত্রে বহুমত ও পথের ভিন্নতা থাকা সত্বেও সকল রাজনৈতিক দলের সহবস্থান নিশ্চিত হয় বিধায় বিশ্বব্যাপি গনতান্ত্রিক শাষনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সংগ্রাম নিয়ন্তর প্রবাহমান রয়েছে।গনতন্ত্রের সৌন্দয্য, সৌহার্দতা, সংযমতার নিকট বিশ্বের পরাক্রমশালী দর্শনভিত্তিক শাষন ব্যবস্থাও নতিস্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।একদা সৌভিয়েত ইউনিয়নের জগৎবিখ্যাত দার্শনীক মার্কস, লেলিনের দর্শনভিত্তিক সামাজতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থাও গনমানুষের আক্ষাংখিত গনতান্ত্রিক দর্শনের নিকট ধরাশায়ী হতে বাধ্য হয়েছে।
রাজনৈতিক শিষ্টাচার গনতন্ত্রের সৌন্দয্যকে মহিমাম্ভিত করেছে নি:সন্দেহে। কারন গনতন্ত্রে সকল বাহনের উপস্থীতি পরিলক্ষিত হলেও ষড়যন্ত্রের উপস্থীতি আদৌ নেই।যেহেতু গনতন্ত্রের ধর্মই প্রকাশ্য সেহেতু গোপনীয়তা সর্বক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য হিসেবে স্বীকৃত।
সাংবাদিক, কলামিষ্ট শফিক রেহমান, গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূছ, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হোসেন আবেদ, গনস্বাস্থ্যের জাফর উল্যা চৌধুরী উল্লেখিত ব্যাক্তিদের কোন রাজনৈতিক দল নেই।গনমানুষের সাথে তাঁদের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক হতে আগ্রহী।প্রকাশ্যে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতিতে তাঁদের বিচরন রয়েছে শুধুমাত্র তাঁদের কায়েমী স্বার্থ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। এইশ্রেনীটি স্বার্থ্য উদ্ধারে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধেনা। অ-প্রকাশ্য সমগোত্রীয় আরো বহু সংখ্যক মুখোশধারীর বিচরন আমাদের সমাজে রয়েছে।তাঁদের মধ্যে গর্ত থেকে বের হয়ে খোলানছে পরিবর্তন করে এসেছিল ২০০৮ ইংরেজী সালে একটি অংশ। তাঁরা সারা বাংলাদেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে দীর্ঘ দুইবছর জনগনের রক্ত শোষন করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।তাঁর আগে উনারাই মিডিয়ায় সুন্দর সুন্দর কথা বলে সরকার সমুহকে গনতন্ত্রের ছবক দিতেন, শাষন ব্যবস্থার পাঠ দিতেন, গনতন্ত্রের বুলিতে জনগনকে মুখরীত করে রাখতেন।তাঁদের আলোচনা শুনে চায়ের দোকানে আমজনতা তর্কের ফানুস উড়িয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর উঠাতেন।
মাহমুদুর রহমান (মান্না), নুরে আলম সিদ্দিকী(চার খলিফাভুক্ত), সিরাজুল আলম খাঁন (দাদাভাই), ফেরদৌস আহম্মেদ কৌরেশী(ফখরুদ্দিন,মাঈনুদ্দিন সরকারের রাজপথের প্রকাশ্য শক্তি)সর্বদা অ-প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রকারী। তাঁদের শক্তির উৎস দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান রাজনৈতিক দল এবং সরকারের প্রতিটি অঙ্গে সংগোপনে বিরাজমান। প্রয়োজনীয় সময় উক্ত শক্তি দৃশ্যমান হতে দেখা যায়। উনারা প্রত্যেকেই রাজনীতিতে নীজস্ব দলে ভাল অবস্থানে ছিলেন।কেউ কেউ থিংক ট্যাংকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।পর্দার অন্তরালে থেকে কায্যসিদ্ধি করাই তাঁদের মুখ্য ভাবনা।বিদ্যমান সকল রাজনৈতিক দলের ভিতরে এবং বাইরে তাঁদের রয়েছে অসংখ্য মুুরিদান,অনুসারি, শুভানুধ্যায়ী , শুভাকাংখী।
ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রাশেদ খাঁন মেনন, লে, কর্ণেল আকতারুজ্জমান প্রমুখ রাজনীতির সবজান্তাদলের অন্তভুক্ত।দলীয় ছায়ায় উনারা সবাই বাঘের চেয়ে শক্তিধর ছিলেন; ছায়া সরে যাওয়ার পর সবাই কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছেন। তাঁদের দ্বারা জনগন উপকৃত হতে পারে;দেশ ও জনগনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।তম্মধ্যে রাশেদ খাঁন মেননের নিজস্ব দলীয় অবস্থা ও অবস্থান পোক্ত বিধায় রাজনীতিতে কোন রকমে অস্তিত্ব ধরে রাখতে পেরেছেন।
গনতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের মধ্যে এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তির মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ অবস্থান বিরাজমান রাখা; যাহা দেশে উদ্ভুত সংকট, সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে। আদর্শগত বিরুধ থাকা সত্বেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থের প্রয়োজনে সৌহার্দপুর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান জনগনের ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তেমনি ব্যাক্তিগত সম্পর্ককে রাজনৈতিক সৌহার্দপুর্ণ অবস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে নেতিবাচক ভাবে দেখার উপায় নেই।উল্লেখিত দিকটি রাজনীতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য মাত্র।
দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করে যে সমস্ত ব্যাক্তি বা গোষ্টি বিদেশী রাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে অথবা তাঁদের কায়েমী স্বার্থ হাসিলের চেষ্টারত: থাকে--"রাজনীতির ভাষায় তাঁদের বলা হয় অশুভ শক্তি"।অশুভশক্তির নিজস্ব কোন রাজনৈতিক ক্ষমতা বা গনতান্ত্রিক কোন রাজনৈতিক দল থাকেনা। তাঁরা সাম্রাজ্যবাদি চক্রের এজেন্ডা ববাস্তবায়নের লক্ষে কখনও সামাজিক সংস্থা, কখনও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান কখনও বা এন, জি ও এর মাধ্যমে তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করতে থাকে।তাঁদের এই কাজে সাম্রাজ্যবাদি চক্রের একাধিক সংস্থা (বিশ্বব্যাংক সহ) বিভিন্নভাবে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। দেশের ক্রান্তিকাল সৃষ্টির হোতা প্রথমোক্ত শক্তির অন্তরালে অশুভশক্তির অবস্থান ছায়াসদৃস হয়ে নির্বিত্তে আত্মগোপনে অবস্থান গ্রহন করে। উপযুক্ত সময়ে তাঁরা বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে তাঁদের পোষ্যব্যাক্তি, সরকারের উচ্চমহল, বিদেশী দুতাবাস সমুহের মাধ্যমে কায্যসিদ্ধির চেষ্টারত: থাকে।
প্রথমোক্ত দলটি আচরনে যদিও অনুভব হয় তাঁরা একটা রাজনৈতিক দলের থিমট্যাংক হিসেবে কাজ করছে--' তা কিন্তু আদৌ সত্য নয়'।সর্বসময়ে তাঁরা রাষ্ট্রীয় বেনিফিসিয়ারী।তাঁদের চেনা অত্যান্ত সহজ কিন্তু গোপন ষড়যন্ত্রকারীদের চেনার কোন উপায় থাকেনা।তাঁরা সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের জন্যেই বিপদজনক। প্রতিষ্ঠিত দলে উপদল সৃষ্টি করে তাঁরা তাঁদের কায্যসিদ্ধি করতেও পিছপা হয়না। রাষ্ট্র সমাজ, রাজনৈতিক দল, সরকার সবার জন্যই এই চক্রটি সমান বিপদ বয়ে আনতে পারে।তাই সকল দল তাঁর সরকার পরিচালনায় অশুভ শক্তিটির প্রতি সজাগ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হয়। যতদিন পয্যন্ত অশুভ শক্তির ক্ষমতার উৎস নিস্তেজ করা সম্ভব না হয়; ততদিন সরকার স্থীতিশীলতা পেতে পারেনা।
বর্তমান সরকারের অ-প্রকাশ্য অ-শুভশক্তির প্রকাশ্যরুপ 'মাহমুদুর রহমান মান্না।' তিনি নাগরিক কমিটির অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে সরকার উৎখাতে সেনাবাহিনীকে প্রলুব্ধ করেছেন; ঢাকা ইউনিভারসিটিতে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টারত: ছিলেন। সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা জনাব "খোকা" গনতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল বিধায় তাঁর সাথে টেলিফোনের আলাপ প্রকাশ করেছেন।তাঁর আগে সংঘটিত তদ্রুপ 'বি ডি আর' হত্যাযজ্ঞের ষড়যন্ত্র 'পিন্টু' কি প্রকাশ করেছে? অ-শুভশক্তি সময়ের প্রয়োজনে তাঁদের পোষ্যদের ব্যবহার করে থাকে। খোকাও তদ্রুপ পোষ্যই বটে--- 'কি কারনে ঘটনা প্রকাশ করেছেন সময় তা প্রকাশিত হবে'।
মাহমুদুর রহমান মান্না যতদিন রাজনীতিতে ছিলেন ততদিন তাঁর কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি।১/১১ সৃষ্টি হলে তাঁর মত অনেকেরই মুখোশ খুলে পড়ে। রাজনৈতিক ব্যাক্তির জেলমুক্তি বা অন্য কোন কারনে ফুল নিয়ে হাসপাতালে গেলে 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকে'র বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপনের কোন কারনই ছিলনা। "মান্না" বর্তমান সরকারের বিশেষকরে শেখ হাসিনার জন্যে একজন শক্তিধর অ-শুভশক্তির আঁধার।সেই অ-শুভশক্তির হোতার জন্যে ফুল নিয়ে তাঁর দলের সাধারন সম্পাদক হাসপাতালে কোন অবস্থায় যেতে পারেন না। 'রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কোন সংজ্ঞাতেই অ-শুভশক্তির আঁধারের স্থান নেই।' দেশে বিদ্যমান সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংস্থা, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যেই "মান্না গং বিষফোঁড়া।"
২০০৯ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে অদ্যাবদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশুভ শক্তির সকল উৎস নিস্তেজ করার কাজে রাষ্ট্রশক্তিকে সর্বাত্মক কাজে লাগিয়েছেন।আওয়ামী লীগ অ-শুভশক্তির বিরুদ্ধে প্র
তিনিয়ত তাঁর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দলের অন্যতম শক্তিধর ব্যাক্তি অ-শুভশক্তির ছায়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যাবেন- এই সময়ে--"ইহা কাম্য হতে পারেনা।"
সারাদেশব্যাপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যখন নারায়নগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিশাল জয়ে আনন্দে আত্মহারা ; তখনই তাঁদের সেই আনন্দের বন্যায় কালমেঘের ছায়ায় ঢেকে দিলেন জনাব 'ওবায়দুল কাদের সাহেব' ফুল নিয়ে মান্না দর্শন করে।
অবিলম্ভে জনাব " মান্না" সাহেবকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়ার ব্যাখ্যা দাবি করছে দেশব্যাপি চড়িয়ে চিটিয়ে থাকা অসংখ্য মুজিব সৈনিক।আশা করি উপযুক্ত জবাব দিয়ে আশান্ত মনকে শান্ত করার উদ্যোগ নিবেন বিচক্ষন নেতা।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফুলের তোড়া হাতে শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান তিনি।
প্রায় আধাঘণ্টা কেবিনে থেকে মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কামরুল হাসানকে ফোন করে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
(ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতির বাইরেও একটা সম্পর্ক থাকে।)
উল্লেখিত খবরটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।ওবায়দুল কাদের নি:সন্দেহে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম।তাঁর দুরদর্শিতা, বিচক্ষনতা, সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত।আমার আলোচনা সেই দিকে মোটেই নয়--
গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে শিষ্টাচার বাঞ্চনীয়।আদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে, গনতন্ত্রের চর্চায় পার্থক্য থাকতে পারে, গনতন্ত্রের প্রায়োগিক রীতিতে পার্থক্য থাকতে পারে।গনতন্ত্রে বহুমত ও পথের ভিন্নতা থাকা সত্বেও সকল রাজনৈতিক দলের সহবস্থান নিশ্চিত হয় বিধায় বিশ্বব্যাপি গনতান্ত্রিক শাষনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সংগ্রাম নিয়ন্তর প্রবাহমান রয়েছে।গনতন্ত্রের সৌন্দয্য, সৌহার্দতা, সংযমতার নিকট বিশ্বের পরাক্রমশালী দর্শনভিত্তিক শাষন ব্যবস্থাও নতিস্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।একদা সৌভিয়েত ইউনিয়নের জগৎবিখ্যাত দার্শনীক মার্কস, লেলিনের দর্শনভিত্তিক সামাজতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থাও গনমানুষের আক্ষাংখিত গনতান্ত্রিক দর্শনের নিকট ধরাশায়ী হতে বাধ্য হয়েছে।
রাজনৈতিক শিষ্টাচার গনতন্ত্রের সৌন্দয্যকে মহিমাম্ভিত করেছে নি:সন্দেহে। কারন গনতন্ত্রে সকল বাহনের উপস্থীতি পরিলক্ষিত হলেও ষড়যন্ত্রের উপস্থীতি আদৌ নেই।যেহেতু গনতন্ত্রের ধর্মই প্রকাশ্য সেহেতু গোপনীয়তা সর্বক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য হিসেবে স্বীকৃত।
সাংবাদিক, কলামিষ্ট শফিক রেহমান, গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূছ, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হোসেন আবেদ, গনস্বাস্থ্যের জাফর উল্যা চৌধুরী উল্লেখিত ব্যাক্তিদের কোন রাজনৈতিক দল নেই।গনমানুষের সাথে তাঁদের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক হতে আগ্রহী।প্রকাশ্যে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতিতে তাঁদের বিচরন রয়েছে শুধুমাত্র তাঁদের কায়েমী স্বার্থ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। এইশ্রেনীটি স্বার্থ্য উদ্ধারে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধেনা। অ-প্রকাশ্য সমগোত্রীয় আরো বহু সংখ্যক মুখোশধারীর বিচরন আমাদের সমাজে রয়েছে।তাঁদের মধ্যে গর্ত থেকে বের হয়ে খোলানছে পরিবর্তন করে এসেছিল ২০০৮ ইংরেজী সালে একটি অংশ। তাঁরা সারা বাংলাদেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে দীর্ঘ দুইবছর জনগনের রক্ত শোষন করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।তাঁর আগে উনারাই মিডিয়ায় সুন্দর সুন্দর কথা বলে সরকার সমুহকে গনতন্ত্রের ছবক দিতেন, শাষন ব্যবস্থার পাঠ দিতেন, গনতন্ত্রের বুলিতে জনগনকে মুখরীত করে রাখতেন।তাঁদের আলোচনা শুনে চায়ের দোকানে আমজনতা তর্কের ফানুস উড়িয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর উঠাতেন।
মাহমুদুর রহমান (মান্না), নুরে আলম সিদ্দিকী(চার খলিফাভুক্ত), সিরাজুল আলম খাঁন (দাদাভাই), ফেরদৌস আহম্মেদ কৌরেশী(ফখরুদ্দিন,মাঈনুদ্দিন সরকারের রাজপথের প্রকাশ্য শক্তি)সর্বদা অ-প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রকারী। তাঁদের শক্তির উৎস দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান রাজনৈতিক দল এবং সরকারের প্রতিটি অঙ্গে সংগোপনে বিরাজমান। প্রয়োজনীয় সময় উক্ত শক্তি দৃশ্যমান হতে দেখা যায়। উনারা প্রত্যেকেই রাজনীতিতে নীজস্ব দলে ভাল অবস্থানে ছিলেন।কেউ কেউ থিংক ট্যাংকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।পর্দার অন্তরালে থেকে কায্যসিদ্ধি করাই তাঁদের মুখ্য ভাবনা।বিদ্যমান সকল রাজনৈতিক দলের ভিতরে এবং বাইরে তাঁদের রয়েছে অসংখ্য মুুরিদান,অনুসারি, শুভানুধ্যায়ী , শুভাকাংখী।
ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রাশেদ খাঁন মেনন, লে, কর্ণেল আকতারুজ্জমান প্রমুখ রাজনীতির সবজান্তাদলের অন্তভুক্ত।দলীয় ছায়ায় উনারা সবাই বাঘের চেয়ে শক্তিধর ছিলেন; ছায়া সরে যাওয়ার পর সবাই কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছেন। তাঁদের দ্বারা জনগন উপকৃত হতে পারে;দেশ ও জনগনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।তম্মধ্যে রাশেদ খাঁন মেননের নিজস্ব দলীয় অবস্থা ও অবস্থান পোক্ত বিধায় রাজনীতিতে কোন রকমে অস্তিত্ব ধরে রাখতে পেরেছেন।
গনতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের মধ্যে এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তির মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ অবস্থান বিরাজমান রাখা; যাহা দেশে উদ্ভুত সংকট, সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে। আদর্শগত বিরুধ থাকা সত্বেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থের প্রয়োজনে সৌহার্দপুর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান জনগনের ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তেমনি ব্যাক্তিগত সম্পর্ককে রাজনৈতিক সৌহার্দপুর্ণ অবস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে নেতিবাচক ভাবে দেখার উপায় নেই।উল্লেখিত দিকটি রাজনীতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য মাত্র।
দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করে যে সমস্ত ব্যাক্তি বা গোষ্টি বিদেশী রাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে অথবা তাঁদের কায়েমী স্বার্থ হাসিলের চেষ্টারত: থাকে--"রাজনীতির ভাষায় তাঁদের বলা হয় অশুভ শক্তি"।অশুভশক্তির নিজস্ব কোন রাজনৈতিক ক্ষমতা বা গনতান্ত্রিক কোন রাজনৈতিক দল থাকেনা। তাঁরা সাম্রাজ্যবাদি চক্রের এজেন্ডা ববাস্তবায়নের লক্ষে কখনও সামাজিক সংস্থা, কখনও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান কখনও বা এন, জি ও এর মাধ্যমে তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করতে থাকে।তাঁদের এই কাজে সাম্রাজ্যবাদি চক্রের একাধিক সংস্থা (বিশ্বব্যাংক সহ) বিভিন্নভাবে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। দেশের ক্রান্তিকাল সৃষ্টির হোতা প্রথমোক্ত শক্তির অন্তরালে অশুভশক্তির অবস্থান ছায়াসদৃস হয়ে নির্বিত্তে আত্মগোপনে অবস্থান গ্রহন করে। উপযুক্ত সময়ে তাঁরা বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে তাঁদের পোষ্যব্যাক্তি, সরকারের উচ্চমহল, বিদেশী দুতাবাস সমুহের মাধ্যমে কায্যসিদ্ধির চেষ্টারত: থাকে।
প্রথমোক্ত দলটি আচরনে যদিও অনুভব হয় তাঁরা একটা রাজনৈতিক দলের থিমট্যাংক হিসেবে কাজ করছে--' তা কিন্তু আদৌ সত্য নয়'।সর্বসময়ে তাঁরা রাষ্ট্রীয় বেনিফিসিয়ারী।তাঁদের চেনা অত্যান্ত সহজ কিন্তু গোপন ষড়যন্ত্রকারীদের চেনার কোন উপায় থাকেনা।তাঁরা সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের জন্যেই বিপদজনক। প্রতিষ্ঠিত দলে উপদল সৃষ্টি করে তাঁরা তাঁদের কায্যসিদ্ধি করতেও পিছপা হয়না। রাষ্ট্র সমাজ, রাজনৈতিক দল, সরকার সবার জন্যই এই চক্রটি সমান বিপদ বয়ে আনতে পারে।তাই সকল দল তাঁর সরকার পরিচালনায় অশুভ শক্তিটির প্রতি সজাগ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হয়। যতদিন পয্যন্ত অশুভ শক্তির ক্ষমতার উৎস নিস্তেজ করা সম্ভব না হয়; ততদিন সরকার স্থীতিশীলতা পেতে পারেনা।
বর্তমান সরকারের অ-প্রকাশ্য অ-শুভশক্তির প্রকাশ্যরুপ 'মাহমুদুর রহমান মান্না।' তিনি নাগরিক কমিটির অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে সরকার উৎখাতে সেনাবাহিনীকে প্রলুব্ধ করেছেন; ঢাকা ইউনিভারসিটিতে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টারত: ছিলেন। সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা জনাব "খোকা" গনতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল বিধায় তাঁর সাথে টেলিফোনের আলাপ প্রকাশ করেছেন।তাঁর আগে সংঘটিত তদ্রুপ 'বি ডি আর' হত্যাযজ্ঞের ষড়যন্ত্র 'পিন্টু' কি প্রকাশ করেছে? অ-শুভশক্তি সময়ের প্রয়োজনে তাঁদের পোষ্যদের ব্যবহার করে থাকে। খোকাও তদ্রুপ পোষ্যই বটে--- 'কি কারনে ঘটনা প্রকাশ করেছেন সময় তা প্রকাশিত হবে'।
মাহমুদুর রহমান মান্না যতদিন রাজনীতিতে ছিলেন ততদিন তাঁর কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি।১/১১ সৃষ্টি হলে তাঁর মত অনেকেরই মুখোশ খুলে পড়ে। রাজনৈতিক ব্যাক্তির জেলমুক্তি বা অন্য কোন কারনে ফুল নিয়ে হাসপাতালে গেলে 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকে'র বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপনের কোন কারনই ছিলনা। "মান্না" বর্তমান সরকারের বিশেষকরে শেখ হাসিনার জন্যে একজন শক্তিধর অ-শুভশক্তির আঁধার।সেই অ-শুভশক্তির হোতার জন্যে ফুল নিয়ে তাঁর দলের সাধারন সম্পাদক হাসপাতালে কোন অবস্থায় যেতে পারেন না। 'রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কোন সংজ্ঞাতেই অ-শুভশক্তির আঁধারের স্থান নেই।' দেশে বিদ্যমান সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংস্থা, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যেই "মান্না গং বিষফোঁড়া।"
২০০৯ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে অদ্যাবদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশুভ শক্তির সকল উৎস নিস্তেজ করার কাজে রাষ্ট্রশক্তিকে সর্বাত্মক কাজে লাগিয়েছেন।আওয়ামী লীগ অ-শুভশক্তির বিরুদ্ধে প্র
তিনিয়ত তাঁর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দলের অন্যতম শক্তিধর ব্যাক্তি অ-শুভশক্তির ছায়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যাবেন- এই সময়ে--"ইহা কাম্য হতে পারেনা।"
সারাদেশব্যাপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যখন নারায়নগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিশাল জয়ে আনন্দে আত্মহারা ; তখনই তাঁদের সেই আনন্দের বন্যায় কালমেঘের ছায়ায় ঢেকে দিলেন জনাব 'ওবায়দুল কাদের সাহেব' ফুল নিয়ে মান্না দর্শন করে।
অবিলম্ভে জনাব " মান্না" সাহেবকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়ার ব্যাখ্যা দাবি করছে দেশব্যাপি চড়িয়ে চিটিয়ে থাকা অসংখ্য মুজিব সৈনিক।আশা করি উপযুক্ত জবাব দিয়ে আশান্ত মনকে শান্ত করার উদ্যোগ নিবেন বিচক্ষন নেতা।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন