অ-শুভশক্তির আঁধারকে ফুল দেয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সংজ্ঞায় পড়ে? "অভিলম্বে ব্যাখ্যা চাই"

  অ-শুভশক্তির আঁধারকে ফুল দেয়া রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সংজ্ঞায় পড়ে?                                       "অভিলম্বে ব্যাখ্যা চাই।"
           (রুহুল  আমিন  মজুমদার)

       
          নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফুলের তোড়া হাতে শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান তিনি।
 প্রায় আধাঘণ্টা কেবিনে থেকে মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য কামরুল হাসানকে ফোন করে সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।
(ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতির বাইরেও একটা সম্পর্ক থাকে।)
           উল্লেখিত খবরটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।ওবায়দুল কাদের নি:সন্দেহে বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম।তাঁর দুরদর্শিতা, বিচক্ষনতা, সাংগঠনিক দক্ষতা প্রশ্নাতীত।আমার আলোচনা সেই দিকে মোটেই নয়--
      গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে শিষ্টাচার বাঞ্চনীয়।আদর্শগত পার্থক্য থাকতে পারে, গনতন্ত্রের চর্চায় পার্থক্য থাকতে পারে, গনতন্ত্রের প্রায়োগিক রীতিতে পার্থক্য থাকতে পারে।গনতন্ত্রে বহুমত ও পথের ভিন্নতা থাকা সত্বেও সকল রাজনৈতিক দলের সহবস্থান নিশ্চিত হয় বিধায় বিশ্বব্যাপি গনতান্ত্রিক শাষনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, সংগ্রাম নিয়ন্তর প্রবাহমান রয়েছে।গনতন্ত্রের সৌন্দয্য, সৌহার্দতা, সংযমতার নিকট বিশ্বের পরাক্রমশালী দর্শনভিত্তিক শাষন ব্যবস্থাও নতিস্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।একদা সৌভিয়েত ইউনিয়নের জগৎবিখ্যাত দার্শনীক মার্কস, লেলিনের দর্শনভিত্তিক সামাজতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থাও গনমানুষের  আক্ষাংখিত গনতান্ত্রিক দর্শনের নিকট ধরাশায়ী হতে বাধ্য হয়েছে।

     রাজনৈতিক শিষ্টাচার গনতন্ত্রের সৌন্দয্যকে মহিমাম্ভিত করেছে নি:সন্দেহে। কারন গনতন্ত্রে সকল বাহনের উপস্থীতি পরিলক্ষিত হলেও ষড়যন্ত্রের উপস্থীতি আদৌ নেই।যেহেতু গনতন্ত্রের ধর্মই প্রকাশ্য সেহেতু গোপনীয়তা সর্বক্ষেত্রেই পরিত্যাজ্য হিসেবে স্বীকৃত।

       সাংবাদিক, কলামিষ্ট শফিক রেহমান, গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূছ, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হোসেন আবেদ, গনস্বাস্থ্যের জাফর উল্যা চৌধুরী উল্লেখিত ব্যাক্তিদের কোন রাজনৈতিক দল নেই।গনমানুষের সাথে তাঁদের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু তাঁরা বাংলাদেশের ভাগ্যনিয়ন্ত্রক হতে আগ্রহী।প্রকাশ্যে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতিতে তাঁদের বিচরন রয়েছে শুধুমাত্র তাঁদের কায়েমী স্বার্থ্য চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে। এইশ্রেনীটি স্বার্থ্য উদ্ধারে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধেনা। অ-প্রকাশ্য সমগোত্রীয়  আরো বহু সংখ্যক মুখোশধারীর বিচরন আমাদের সমাজে রয়েছে।তাঁদের মধ্যে গর্ত থেকে বের হয়ে খোলানছে  পরিবর্তন করে এসেছিল ২০০৮ ইংরেজী সালে একটি অংশ। তাঁরা সারা বাংলাদেশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে দীর্ঘ দুইবছর জনগনের রক্ত  শোষন করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।তাঁর আগে উনারাই মিডিয়ায় সুন্দর সুন্দর কথা বলে সরকার সমুহকে গনতন্ত্রের ছবক দিতেন, শাষন ব্যবস্থার পাঠ দিতেন, গনতন্ত্রের বুলিতে জনগনকে মুখরীত করে রাখতেন।তাঁদের আলোচনা শুনে চায়ের দোকানে আমজনতা তর্কের ফানুস উড়িয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর উঠাতেন।

    মাহমুদুর রহমান (মান্না), নুরে আলম সিদ্দিকী(চার খলিফাভুক্ত), সিরাজুল আলম খাঁন (দাদাভাই), ফেরদৌস আহম্মেদ কৌরেশী(ফখরুদ্দিন,মাঈনুদ্দিন সরকারের রাজপথের প্রকাশ্য শক্তি)সর্বদা অ-প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রকারী। তাঁদের শক্তির উৎস দেশের অভ্যন্তরে বিদ্যমান রাজনৈতিক দল এবং সরকারের প্রতিটি অঙ্গে সংগোপনে বিরাজমান। প্রয়োজনীয় সময় উক্ত শক্তি দৃশ্যমান হতে দেখা যায়। উনারা প্রত্যেকেই রাজনীতিতে নীজস্ব দলে ভাল অবস্থানে ছিলেন।কেউ কেউ থিংক ট্যাংকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।পর্দার অন্তরালে থেকে কায্যসিদ্ধি করাই তাঁদের মুখ্য ভাবনা।বিদ্যমান সকল রাজনৈতিক দলের ভিতরে এবং বাইরে তাঁদের রয়েছে অসংখ্য মুুরিদান,অনুসারি, শুভানুধ্যায়ী , শুভাকাংখী।

    ড. কামাল হোসেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকি, ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, রাশেদ খাঁন মেনন, লে, কর্ণেল আকতারুজ্জমান প্রমুখ রাজনীতির সবজান্তাদলের অন্তভুক্ত।দলীয় ছায়ায় উনারা সবাই বাঘের চেয়ে শক্তিধর ছিলেন; ছায়া সরে যাওয়ার পর সবাই কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছেন। তাঁদের দ্বারা জনগন উপকৃত হতে পারে;দেশ ও জনগনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।তম্মধ্যে রাশেদ খাঁন মেননের নিজস্ব দলীয় অবস্থা ও অবস্থান পোক্ত বিধায় রাজনীতিতে কোন রকমে অস্তিত্ব ধরে রাখতে পেরেছেন।
      গনতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের মধ্যে এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তির মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ অবস্থান বিরাজমান রাখা; যাহা দেশে উদ্ভুত সংকট, সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারে। আদর্শগত বিরুধ থাকা সত্বেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থের প্রয়োজনে সৌহার্দপুর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান জনগনের ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তেমনি ব্যাক্তিগত সম্পর্ককে রাজনৈতিক সৌহার্দপুর্ণ অবস্থান সৃষ্টির লক্ষে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে নেতিবাচক ভাবে দেখার উপায় নেই।উল্লেখিত দিকটি রাজনীতির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য মাত্র।

     দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি করে যে সমস্ত ব্যাক্তি বা গোষ্টি বিদেশী রাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে অথবা তাঁদের কায়েমী স্বার্থ হাসিলের চেষ্টারত:  থাকে--"রাজনীতির ভাষায় তাঁদের বলা হয় অশুভ শক্তি"।অশুভশক্তির নিজস্ব কোন রাজনৈতিক ক্ষমতা বা গনতান্ত্রিক কোন রাজনৈতিক দল থাকেনা। তাঁরা সাম্রাজ্যবাদি চক্রের এজেন্ডা ববাস্তবায়নের লক্ষে কখনও সামাজিক সংস্থা, কখনও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান কখনও বা এন, জি ও এর মাধ্যমে তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করতে থাকে।তাঁদের এই কাজে সাম্রাজ্যবাদি চক্রের একাধিক সংস্থা (বিশ্বব্যাংক সহ) বিভিন্নভাবে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। দেশের ক্রান্তিকাল সৃষ্টির হোতা প্রথমোক্ত শক্তির অন্তরালে অশুভশক্তির অবস্থান ছায়াসদৃস হয়ে নির্বিত্তে আত্মগোপনে অবস্থান গ্রহন করে। উপযুক্ত সময়ে তাঁরা বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে তাঁদের পোষ্যব্যাক্তি, সরকারের উচ্চমহল, বিদেশী দুতাবাস সমুহের মাধ্যমে কায্যসিদ্ধির চেষ্টারত: থাকে।

     প্রথমোক্ত দলটি আচরনে যদিও অনুভব হয় তাঁরা একটা রাজনৈতিক দলের থিমট্যাংক হিসেবে কাজ করছে--' তা কিন্তু আদৌ সত্য নয়'।সর্বসময়ে তাঁরা রাষ্ট্রীয় বেনিফিসিয়ারী।তাঁদের চেনা অত্যান্ত সহজ কিন্তু গোপন ষড়যন্ত্রকারীদের চেনার কোন উপায় থাকেনা।তাঁরা সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের জন্যেই বিপদজনক। প্রতিষ্ঠিত দলে উপদল সৃষ্টি করে তাঁরা তাঁদের কায্যসিদ্ধি করতেও পিছপা হয়না। রাষ্ট্র সমাজ, রাজনৈতিক দল, সরকার সবার জন্যই এই চক্রটি সমান বিপদ বয়ে আনতে পারে।তাই সকল দল তাঁর সরকার পরিচালনায় অশুভ শক্তিটির প্রতি সজাগ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখতে হয়। যতদিন পয্যন্ত অশুভ শক্তির ক্ষমতার উৎস নিস্তেজ করা সম্ভব না হয়; ততদিন সরকার স্থীতিশীলতা পেতে পারেনা।

    বর্তমান সরকারের অ-প্রকাশ্য অ-শুভশক্তির প্রকাশ্যরুপ 'মাহমুদুর রহমান মান্না।' তিনি নাগরিক কমিটির অভ্যন্তরে অবস্থান নিয়ে সরকার উৎখাতে সেনাবাহিনীকে প্রলুব্ধ করেছেন; ঢাকা ইউনিভারসিটিতে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টারত: ছিলেন। সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা জনাব "খোকা" গনতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল বিধায় তাঁর সাথে টেলিফোনের আলাপ প্রকাশ করেছেন।তাঁর আগে সংঘটিত তদ্রুপ 'বি ডি আর' হত্যাযজ্ঞের ষড়যন্ত্র 'পিন্টু' কি প্রকাশ করেছে? অ-শুভশক্তি সময়ের প্রয়োজনে তাঁদের পোষ্যদের ব্যবহার করে থাকে। খোকাও তদ্রুপ পোষ্যই বটে--- 'কি কারনে ঘটনা প্রকাশ করেছেন সময় তা প্রকাশিত হবে'।

      মাহমুদুর রহমান মান্না যতদিন রাজনীতিতে ছিলেন ততদিন তাঁর কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি।১/১১ সৃষ্টি হলে তাঁর মত অনেকেরই মুখোশ খুলে পড়ে। রাজনৈতিক ব্যাক্তির জেলমুক্তি বা অন্য কোন কারনে ফুল নিয়ে হাসপাতালে গেলে 'আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদকে'র বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপনের কোন কারনই ছিলনা। "মান্না" বর্তমান সরকারের বিশেষকরে শেখ হাসিনার জন্যে একজন শক্তিধর অ-শুভশক্তির আঁধার।সেই অ-শুভশক্তির  হোতার জন্যে ফুল নিয়ে তাঁর দলের সাধারন সম্পাদক  হাসপাতালে কোন অবস্থায় যেতে পারেন না। 'রাজনৈতিক শিষ্টাচারের কোন সংজ্ঞাতেই অ-শুভশক্তির আঁধারের স্থান নেই।' দেশে বিদ্যমান সকল গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংস্থা, রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্যেই "মান্না গং বিষফোঁড়া।"

      ২০০৯ ইং সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকে অদ্যাবদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অশুভ শক্তির সকল উৎস নিস্তেজ করার কাজে রাষ্ট্রশক্তিকে সর্বাত্মক কাজে লাগিয়েছেন।আওয়ামী লীগ অ-শুভশক্তির বিরুদ্ধে প্র
তিনিয়ত তাঁর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। দলের অন্যতম শক্তিধর ব্যাক্তি অ-শুভশক্তির ছায়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে যাবেন- এই সময়ে--"ইহা কাম্য হতে পারেনা।"

    সারাদেশব্যাপি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যখন নারায়নগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিশাল জয়ে আনন্দে আত্মহারা ; তখনই তাঁদের সেই আনন্দের বন্যায় কালমেঘের ছায়ায়  ঢেকে দিলেন জনাব 'ওবায়দুল কাদের সাহেব' ফুল নিয়ে মান্না দর্শন করে।
     অবিলম্ভে জনাব " মান্না" সাহেবকে ফুলের তোড়া উপহার দেয়ার ব্যাখ্যা দাবি করছে দেশব্যাপি চড়িয়ে চিটিয়ে থাকা অসংখ্য মুজিব সৈনিক।আশা করি উপযুক্ত জবাব দিয়ে আশান্ত মনকে শান্ত করার উদ্যোগ নিবেন বিচক্ষন নেতা।
               ruhulaminmujumder27@gmail.com
                   "জয়বাংলা          জয়বঙ্গবন্ধু"
   
   
   
    

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা