"নাসিক" নির্বাচন, বিমানে নাশকতা-"বিএনপির হাসির তাৎপয্যের সাথে সম্পৃত্ত।"
(রুহুল  আমিন  মজুমদার)
রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনার পর বিএনপি যারপরনাই খুশীর ভাব প্রদর্শনের বহুবিদ কারন রয়েছে।রাজনীতির ধারাবাহিকতা অনুযায়ী গনতান্ত্রিক কোন দলের ভুল সিদ্ধান্তের কারনে একবার যদি জনবিচ্ছিন্ন হয় সেই দলটি ঘুরে দাঁড়াতে বহু সময়ের প্রয়োজন হয়।রাজনীতির এই সুত্রটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়--পাকিস্তান আমলের মুসলিম লীগের ক্ষেত্রে যেমন উদাহরন টি দেয়া যায় তেমনি ভারতের কংগ্রেস দলের ক্ষেত্রেও একই ভাবে উদাহরনটি টেনে আনা যেতে পারে।
'৭৪ ইং সালে ইন্দিরা গান্ধী দেশব্যাপি জরুরী অবস্থা ঘোষনা করে যে ভুলটি করেছিলেন তাঁর খেসারত আজও বয়ে বেড়াচ্ছে দলটি।ভারতব্যাপি একক দল ক্রমান্বয়ে শক্তি হারিয়ে ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে চলে যাওয়ার কারনে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে হিন্দুত্ববাদি দলের ক্রমশ উত্থান ঘটাতে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। হিন্দুত্ববাদি বিজেপির শুধুমাত্র বিস্তৃতি ঘটেছে বললে ভুল হবে-- ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতেও পৌছে গেছে।এবারকার নির্বাচনে সব প্রদেশে ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে তাঁদের শেকড়ের গভীরতাও প্রমান করেছে। কত গভীরে পৌছে গেছে ভারতের সব প্রদেশে উপস্থীতি জানান দিয়ে তাঁর সত্যতা বিশ্ববাসির নিকট তুলে ধরতেও সক্ষম হয়েছে।কংগ্রেস ৭৪ ইং সালের ভুলটি যদি না করতেন তবে অন্য ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটলেও---"হিন্দু জাতিয়তাবাদি দলের উত্থান কোন ভাবেই সম্ভব হতনা।"পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথামার্ধে বাঙ্গালীর ভাষা কেড়ে নেয়ার প্রচেষ্টা না করলে মুসলিম লীগের পতন পাকিস্তানের পুর্বাংশে সহজেই ঘটতনা--বাংলাদেশের অভ্যুদয় অন্যকোন ইস্যুতে হলেও ভাষা রক্ষার সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে  ধর্মনিরপেক্ষতার আদলে হয়ত সংঘঠিত হ'ত না।"
 বিএনপি প্রতিনীধি দলের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে উৎফুল্লতার সবিশেষ কারন তাঁদেরকে দেখা করার সুযোগ দেয়া,সামনে অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচনে নেতাকর্মীদের ভোটযুদ্ধে স্বাভাবিক অংশগ্রহন নিশ্চিত করে সাধারন ভোটারদের তাঁদের প্রতি  মুল্যায়ন কেমন হয় তা যাছাই-- "একমাত্র উদ্দেশ্য।" সারাদেশের স্থানীয় সরকারে অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে না পেরে তাঁরা ঠিকই বুঝতে পেরেছে সরকারের একতরফা নীতির কারনে ভোট একতরফা হয়নি--"তাঁদের অংশগ্রহন নিশ্চিত ছিলনা বলেই একতরফা  হয়েছে অনেকাংশে"।
" নাসিক" নির্বাচনকে বেছে নেয়ার অন্যতম কারন---"বিগত দিনে নারায়নগঞ্জে সাত খুনের কারন সহ সরকার দলের আরো কিছু নেতিবাচক কর্মকান্ডে আওয়ামীলীগ জনগন থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে"।এই সু্যোগে বিএনপি প্রার্থীকে বিজয়ী করে নিয়ে আসতে পারলে জাতীয় ও আন্তজাতিকভাবে বিএনপির অবস্থান জানান দেয়া যাবে এই বলে--"সুষ্ট নির্বাচন হলে বিএনপি সারা দেশে ঠিক নারায়ন গঞ্জের মতই জিততে পারবে"।তাই  সারাদিন দেখা গেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের উৎসাহ দেয়ার লক্ষে ইতিবাচক বিবৃতি দেয়া হচ্ছে এবং কোন অবস্থায় এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বাহিরে না আসার ব্রিফিং দেয়া হচ্ছে।তাঁদের ধারনা আওয়ামী লীগ নেতাদের নেতিবাচক কর্মকান্ডে তাঁদের জেতার পাল্লা ভারী হয়ে আছে--"নীরবে তাঁদের পক্ষে ভোটের বিপ্লব ঘটবে।"
  তাঁদের ধারনা অমূলক হ'তনা যদিনা তাঁদের দ্বারা ২০১৪/১৫ সালে হঠকারি রাজনীতি সংগঠিত না হ'ত।এই লেখাটি যখন শুরু করতে বসেছি তখন সবেমাত্র নির্বাচন শেষ হয়ে গননার জন্য কর্মকর্তারা প্রস্তুতি গ্রহন করছেন।আশা করি স্থানীয় নেতাদের নেতিবাচক কর্মকান্ডকে নারায়নগঞ্জ বাসি খুব বেশী ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি।সকাল থেকে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থীতি তাই প্রমান করে। ভোটারের উপস্থীতির অর্থই হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়--"সন্ত্রাসী মাস্তানের উপস্থীতির অর্থই হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভরাডুবি"।কারন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ভোট দেয় সাধারন মানুষ- সাধারন মানুষের সমাগম যেহেতু ভোট কেন্দ্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জয়ও অনেকাংশে নিশ্চিত ভাবা অমূলক হবে না।তাঁদের সৃষ্ট হটকারী রাজনীতির কারনে দেশ ও জনগন যে ক্ষতির সম্মুখ্যিন হয়েছিল নারায়ন গঞ্জের সাতখুন এবং আইভি বনাম শামীম ওসমানের কাঁদাছোড়াছোড়ি তাঁর চেয়ে হাজার গুন কম ইহা বুঝতে বিএনপির হাই থর্টের রাজনীতিবীদদের যে ভুল হয়েছে----"রাত পোয়ালেই আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে আসা করি।" যদিও আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতি জনগন বিমূখ হন তাহলেও খুব বেশী ভোটে বিএনপি প্রার্থী যে জিতবেনা ইহা আমি হলফ করেই বলতে পারি। সাত খুনের ঘটনা না ঘটলে কম করে হলেও একলক্ষ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিতে যেত নির্দ্ধিধায় বলতে পারতাম।
 সংসদ বয়কট, প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন আমন্ত্রণ বয়কট, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের আহ্বান বয়কট, নির্বাচন বয়কটের পটভূমিতে পাকিস্তানি মদদে পর পর দুইবার আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করার পর বিএনপির হাতে রাজপথে আসার বর্তমানে কোন ইস্যু নেই। আগেই উল্লেখ করেছি---"একবার বাস্তবতাবর্জিত গণবিচ্ছিন্ন  হঠকারী কিছু করে ফেললে বাস্তবভিত্তিক গণসম্পৃক্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল স্বাভাবিক রাজনৈতিক পদ্ধতিতে ফেরা খুবই জটিল কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে উঠে।ততদিন ধৈয্য ধরে রাজনীতি করার নেতা বিএনপিতে একজন ও যে নেই--" ইহা বলার অপেক্ষা রাখেনা।"
 তাই দেখা গেছে নির্বাচন বর্জন করে অশুভশক্তিকে ক্ষমতায় আনার চক্রান্তে ষড়যন্ত্রমুলক অপ- প্রচার থেকে হঠকারী নাশকতামূলক কর্মকান্ড কিছুই বাদ যায়নি-- "যাহা তাঁদের দ্বারা সংঘটিত করার বাকী আছে।" সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর দেশ পরিচালনায় শীর্ষস্থানীয়দের চোরাগুপ্তা নাশকতার মাধ্যমে হত্যা করে হলেও শুন্যতা সৃষ্টির একটি লক্ষন ইতিমধ্যেই লক্ষ করা গেছে।আমি সেই দিনেই লিখেছিলাম দায়িত্ব প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারিং দলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রধানমন্ত্রীর বিমানের নাটবল্টু খুলে রাখার চক্রান্ত "নাশকতা না অবহেলা" বুঝা যাবে।অবশ্যই ইহা যে একটি বড় ধরনের নাশকতা ছিল ইতিমধ্যেই তা প্রমানীত হয়েছে। একইভাবে রাষ্ট্রপতির বিমানেও দায্য পদার্থের সংমিশ্রন ঘটিয়ে আকাশে অগ্নি প্রজ্জলনের মাধ্যমে হত্যা প্রচেষ্টা হয়েছিল--"ইহাও সত্য হয়ে দেখা দিবে কিছু দিনের মধ্যেই।"
 তাই দেশ পরিচালনায় নেতৃত্বে আসীন এক বা একাধিক নেতাকে হত্যা বা অন্য যে কোনভাবে  ভাগ্যবিড়ম্বিত পথটি লাফ দিয়ে পার হওয়ার একাধিক সুযোগের অপেক্ষার প্রহর গুনছে বিএনপি দলটি।অতি সহজে রাজনীতিতে সচল ও সক্রিয় হয়ে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে অবৈধ শক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার ইস্যু পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাথা তুলে দাঁড়ানোর ইস্যু দলটির এখন চাই-ই চাই।
        ইস্যু যদি পেতে হয় তবে দলটিকে এখন খুশি খুশি ভাব দেখাতে হবে। রাষ্ট্রপতি গার্জিয়ান, রাষ্ট্রপতি আশার বাণী শুনিয়েছেন, সংলাপ সৌহার্দ্যপূর্ণ ও উষ্ণতম, সংলাপ ফলপ্রসূ প্রভৃতি বলে রাষ্ট্রপতির প্রশংসায় বিএনপি এখন গদগদ থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই। ভেতরে ভেতরে বিএনপির  ঝুঁকে থাকা অপরিপক্ষ সুশীল সমাজও এই খুশি ভাবটা মধ্যরাতের টকসো গুলীতে সামনে আনতে তৎপর থাকবে। এখন খুশিতে গদগদ না হলে পরে সরকারকে দোষারোপ করে মাঠে নামার ইস্যু পাবে কিভাবে দলটি? জনগনের মধ্যে এখন বিএনপি তীব্র আশাবাদ সৃষ্টি করতে চাইবে --"নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সদিচ্ছা রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা কুক্ষিগত ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সমঝোতা চায়না। প্রকৃতপক্ষে এই আশাবাদ আরো ব্যাপকভাবে সৃষ্টি করতেই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে সরে এসে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের দাবি সামনে এনেছে বিএনপি। কেননা জনগণকে তারা এই বুঝ দিতে চায় যে---"বিএনপি এখন নির্বাচন বিষয়ে যে কোনো ধরনের সমঝোতায় রাজি"।
       নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং সহায়ক সরকারের আলোচনায় অনির্ধারীত সময় দিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে এক বা একাধিক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে তাঁর প্রতিবাদে হলেও মাঠে আসাই তাঁদের এখন মূর্খ্য উদ্দেশ্য। সরকারের উচ্চ পয্যায় হত্যাকান্ড ঘটানোর কাজটি বাংলাদেশ থেকে মনিটর করা হচ্ছেনা--"ইহা মনিটর করা হচ্ছে তাঁদের কোটি কোটি ডলার ব্যায়ে নিয়োগকৃত লবিষ্ট ফার্মকে দিয়ে। বিমান কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিদেশ সফর বাতিল করে দিলে কখনই বিমানে নাশকতার চেষ্টা পরিলক্ষিত হবে না। অচিরেই ধৃতব্যাক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে দেখা যাবে--"বিদেশ সফর করে আসা কোন এক কর্মকর্তার যোগ সাজসে পর পর দুইবার বিমানে নাশকতা করার চেষ্টা হয়েছিল"।আমার এই বক্তব্য কখনই অসার হবেনা --" এই আমার দৃড বিশ্বাস"।
  ফিরে আসি বিএনপির খুশির তাৎপয্যে---" আমি মনে করি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান বিএনপিকে বর্তমান সরকারের গনতন্ত্রের চর্চার প্রতি আগ্রহের বোধোদয় সৃষ্টি করার সর্বৈব চেষ্টা করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করেই  বলেছেন--"যে কোনো আলোচনা সমস্যা সমাধানে বহুমুখী পথ দেখায়।'’ বলাই বাহুল্য, এই বিষয়টা বুঝতেই অতীতে বিশেষত বিগত নির্বাচনের আগে চরম ভুল করেছেন বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী খালেদা জিয়া। কেবল ভুলই নয়, রাজনীতিতে মাত্রাতিরিক্ত লিফট পাওয়া অর্বাচীন এবং পাকিস্তানি কানেকশনে দুর্দমনীয় হয়ে ওঠা ছেলে তারেকের পরামর্শে এর সম্পূর্ণ বিপরীত পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।তাঁর খেসারত দিতে দিতেই দলটি সময়ে বিলীন হয়ে যাবে--" মুসলিম লীগ এবং ভারতের কংগ্রেসের প্রতি নজর দিলে বিএনপি কর্মীদের ভালভাবেই উপলব্দিতে আসবে।"
     " নাসিক" নির্বাচনে কোন কারনে যদি বিএনপির ভরাডুবি ঘটে তাহলে ধরেই নিতে পারি আর কোন স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপি ভাল ফলাফল করতে পারবেনা বিএনপি দলটি। যদিও কখনও কোথাও জিতে যায় তল্লাসি দিলে দেখা যাবে বিজিত ব্যাক্তি বিএনপির নমিনেশন না পেয়ে-- 'স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি হতেন আরো ভাল ভোট পেয়ে জিতে আসতেন।'প্রত্যেক এলাকায় রাজনীতির বাইরেও কিছু সাদামনের মানুষ আছেন যারা ভোটে দাঁড়ালে দলমত নির্বিশেষে সাধারন মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়ে দেয়-- "সময় সময় বিএনপির ক্ষেত্রেও তাই ঘটবে, এর চেয়ে বেশী নয়।"
     তবে কামনা করি বিএনপির এই হাসি অমলিন থাকুক। গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় তাঁদের অংশ গ্রহন গনতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নিকট " নাই মামার চেয়ে কানা মামার" কাজ দিলেও কোনরকমে চালাতে পারবেন।"যেহেতু ক্ষমতা ভোগের কোন লক্ষন দেশরত্ম শেখ হাসিনার বিগত শাষনকালে ফুঁটে উঠেনি--ভবিষ্যতেও দেখা যাবেনা--এই বিশ্বাস রাখতেই পারি।
       ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা