স্বাধীনতা বিরুধীদের নাম ফলক সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের--মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানের বড় পদক্ষেপ।
স্বাধীনতা বিরোধীদের নামফলক সরানোর হাইকোর্টের নির্দেশ--"মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মানে বড় পদক্ষেপ।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বাংলাদেশের ৪৫ বছরের ইতিহাসে হাইকোর্ট যুগান্তকারি এক রায় প্রদান করেছেন। দেশের সকল স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নামফলক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুইমাসের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও শিক্ষা সচিবকে এ নির্দেশ পালন করে একটি প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি কজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্যাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আইনজীবি ব্যারিস্টার একে রাশেদুল হক মামলাটি পরিচালনা করেছিলেন।
ধীরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনার স্রোতে একিভূত হতে চলেছে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। বিজয়ের মাসের প্রথম সপ্তাহ শেষ হওয়ার লগ্নেই ঐতিহাসিক রায়টি এল। এই রায় সংবিধান সমূন্নত রাখার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত বদ্ধপরিকর--তাই প্রমান করে। এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত, লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মুল্যবোধকে ভুলন্ঠিত করে এই দেশীয় স্বাধীনতা বিরুধী অপ-শাষকদের দীর্ঘদিনের অপ-শাষনে জনমনে গনতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার, জাতির জনক, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা, বাঙ্গালী জাতি ও জাতীয়তাবোধ, ধর্মনিরপেক্ষতা, বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সম্পর্কে একতরফা অপ-প্রচারের মাধ্যমে বিরুপ ধারনার সৃষ্টি করা হয়েছিল। স্বল্প সময়ে উল্লেখিত ধারনার আমূল পরিবর্তন সম্ভব নহে।
জাতির জনকের কন্যা আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তর করে স্বাধীনতার ৫০বছর ফুর্তি উপলক্ষে মহান স্বাধীনতা দিবসের রজতজয়ন্তি পালন করবেন।এই লক্ষকে সামনে রেখে "ভিশন ২০২১" ঘোষনা করে দৃড পদক্ষেপে,অসীম ধৈয্যের সহিত দেশ, সরকার, দল পরিচালনা করে যাচ্ছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাবাদি ২০২১ ইং সালের মধ্যেই গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার পুর্ণ বাস্তবায়ন, স্বাধীনতা বিরুধী শক্তির বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্তি, সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত, মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
উল্লেখিত লক্ষ বাস্তবায়নের নিমিত্তে বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহের গঠনতন্ত্রে দলের সর্বস্তরে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহে গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতার অঙ্গিকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের স্বীকৃতি, বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ অনুশীলন, বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে প্রাধান্য, পবিত্র ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ারে পরিনত না করার অঙ্গিকার সংযুক্তি বাধ্যতামুলক(mandentorry) সংক্রান্ত সর্ব উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জনগন আশা করে।
জনগনের মননে গনতন্ত্রের চর্চা ও অভ্যেস গড়ে তোলার নিমিত্তে বর্তমানের প্রচলিত ত্রি-স্তরের স্থানীয় সরকার নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক সংসদ নির্বাচন,শ্রমিক ইউনিয়ন সমূহের নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা (mandentorry) সংবলিত সর্ব উচ্চ আদালতের নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমানে বিদ্যমান রাজনৈতিক দল ও জোট সমুহ গনতন্ত্র চর্চায় সর্বদিক থেকে ব্যার্থ।গনতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল কর্মীবাহিনী, দক্ষ নেতৃত্ব গনতন্ত্রের অপরিহায্য অঙ্গ।উক্তরুপ একাধিক রাজনৈতিক দলের বিকাশমান ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে দেশের সুশিল সমাজ,শিক্ষিত জনগোষ্টি,বুদ্ধিজীবি,সাংবাদিক সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা জাতি আশা করে।
সমশক্তি সম্পন্ন,সুশিক্ষিত রাজনৈতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ নেতাকর্মী সমৃদ্ধ একাধিক রাজনৈতিক দলের উপস্থীতি গনতন্ত্রের অপরিহায্য অঙ্গ।সত্যিকারের গনতান্ত্রিক দলের অভাব স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও বাংলাদেশে পুরণ হয়নি। সময় এসেছে সকলে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে একযোগে গনতান্ত্রিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি ও বিকাশমান ধারা অক্ষুন্ন রাখার ক্ষেত্রে কাজ করার।প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের উৎপত্তি ঘটিয়ে গনতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার চিন্তাভাবনা করতে হবে ; সেই লক্ষে বিবেকবান রাজনৈতিক সচেতন ব্যাক্তিবর্গের চিন্তাভাবনা এখনই শুরু করা প্রয়োজন।
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন