ভিন্ন মাত্রায় জাতিয় শোক দিবস ===================>========= বাংলাদেশের কোন এলাকায় কেমন শোক দিবস পালিত হয়েছে এখনও খবর পাইনি।তবে আমার এলাকায় এবারের শোক দিবস ভিন্ন মাত্রায় পালিত হল।আমার খুবই ভাল লাগছে,নতুন প্রজম্মের ভাইবোনদের নিকট আজকের দিনে অন্তত জাতির পিতার মহিমা তুলে ধরার ব্যবস্থা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।প্রত্যেক হাইস্কুল গুলোকে আগেই চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে,যথাযোগ্য মায্যদায় জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকি পালনের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য।স্কুল সমুহ কমবেশি প্রতিপালন করার চেষ্টা করেছে।এতে পর্নাংঙ্গ না হলেও আংশিক সফলতা এসেছে বলা যায়।অন্তত পক্ষে স্বাধীনতার ৪৫বছর পর হলেও নতুন প্রজর্ম্মের একটা বিরাট অংশকে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামি জীবনের ইতিহাস,মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্ব্ররুপ,সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্তের কারন,১৫ই আগষ্টের মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ,ইত্যাদি বিষয়ে কিছুটা ধারনা দেয়া সম্ভব হয়েছে।আমি আগষ্টের প্রথম দিকেই ঠিক এই ভাবেই সকল জাতীয় দিবস গুলী পালন করার প্রয়োজনীয়তার উপর একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম।অন-লাইন পত্রিকা বিডি প্রেস ও কলামটি তাঁদের পত্রিকায়ও চাপিয়েছিল। ফুল গাজী উপজেলা পরিষদের সম্মানীত চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সমমনা দল সমুহ,বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধা সংসদ ফুলগাজী যৌথ সিন্ধান্তের আলোকে উপজেলায় বিদ্যমান সকল হাই স্কুল ইস্রাসায় দুইজন মুক্তিযোদ্ধা ২জন আওয়ামী লীগের নেতা,২জন অন্যান্ন দলের নেতার সমন্বয়ে পরিদর্শক টিম গঠন করে স্বুল সুমুহে ১৫ই আগষ্ট সকাল ৮..০০টায় পাঠিয়ে দেয়।আমাকেও তদ্রুপ ভাবে একটা স্কুলে থাকার জন্য সমন্বয় কমিটি থেকে একটা চিঠি পাঠিয়ে অনুরুধ করে।চিঠ মোতাবেক আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় ফুলগাজী উপজেলার আমজাদ হাট ইউনিয়নের জাপর ঈমাম বীর বিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ে।যথারীতি আমি সকাল দশটার কিছু আগেই বিদ্যালয় আঙ্গিনায় পৌছে দেখি আমার সাথে যে দুই জন মুক্তি যুদ্ধাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাঁরা দুই জন দায়িত্ব প্রাপ্ত ছাত্র নেতা সহ বিদ্যালয়ের সন্নিকটের চা দোকানে বসে চা খাচ্ছেন, আর গল্প করছেন।আমি প্রথমে সেখানে অবস্থানরত ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরুধ করে পতাকা টাঙ্গানীর জন্য।অনেকে তৎক্ষনাৎ আমার আহব্বানে সাড়া দিয়ে পতাকা উড়ায়,কিছু সওদাগর বলে যে তাঁদের নিকট পতাকা নেই।আমি তাঁদেরকে জোর না করে বলে দেই,আগামী ১৬ই ডিসেম্বরের আগে পতাকা প্রস্তুত রাখার জন্য।এর পর আগত মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের সাথে কথা বলি,তখনও তাঁরা স্কুলে না গিয়ে দোকানে বসে থাকার কারন জিজ্ঞাসা করি,কেউ উত্তর না দেয়ায় আমি বুঝতে পারলাম,মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা মানষিক চাপে আছেন বিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাঁদের গ্রহন করবে কিনা? বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকা এবং কাল পতাকা টাঙ্গানোর ভুল সংশোধন করে, সেখানে কথা না বলে তাঁদের নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করি। ,তখন ও প্রধান শিক্ষক না আসায় অন্য শিক্ষকদের নিকট আজকের প্রস্তুতি জানার চেষ্টা করলাম।বুঝা গেল তাঁরা দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান করার প্রস্তুতি রেখেছেন।যাহা হউক,,প্রধান শিক্ষক আমার আগমনের সংবাদে হউক আর রুটিন মাফিক বিদ্যালয়ে আগমনের সময় সুচির কারনেই হউক, ১১'০০কিছু আগেই এসেছেন।আমি আর দেরী না করে আনুষ্ঠানিকতা শুরুর করার অনুরুধ করি।বিদ্যালয়ের নিজস্ব আনুষ্ঠানিকতার পর আলোচনা সভা শুরু হলে,আগত মেহমানদের সাথে ছাত্রছাত্রি শিক্ষক অবিভাবকদের পরিচয় পর্বের পর মুল আলোচনায় ফিরে গেলাম।এখানেই বলে নিই দায়িত্ব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের দুইজন, একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ফুলগাজীর জনাব আবদুল বারেক সাহেব অন্যজন অত্র ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব আবুল খায়ের সাহেব।বিদ্যালয়ের পাশেই উনার বাড়ী।তাঁর পরেও বিদ্যালয়ে প্রবেশে মানষিক দুশ্চিন্তা হচ্ছে, ,বিদ্যালয় কতৃপক্ষ যদি সহজ ভাবে না নেয়!!গত জীবনে কোন দিন এই ভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য দেয়া হয়নি বা করা হয়নি। উপজেলা পরিষদ আওয়ামী লীগ ও মুক্তি যোদ্ধা সংসদকে ভাল একটা উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।সাথে সাথে আর একটি উদ্যোগ উপজেলা আওয়ামী লীগ নিয়েছে পত্রিকায় দেখা যায়,খালেদা জিয়ার আদি নিবাসের বাড়ীতে নাকি কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেছিল।এটা কেন হল,বা কি কারনে হল, এখনও বোধগম্য নয়।প্রধান অতিথি ছিলেন এককালের তুখোড় ছাত্রনেত্রী বাসদের পক্ষ থেকে জোটগত ভাবে নির্বাচিত জনাবা শিরীন আখতার।পোড় খাওয়া, রাজপথের নিবেদিত নেত্রীর এহেন কাজে কেন অংশ নিতে হল, আমি বুঝে উঠতে পারছিনা।ফেনীর সাংসদ জনাব নিজাম হাজারী সাহেবও নাকি উপস্থিত ছিলেন। যাক যে কারনেই করা হোক, আমি মনে করি কাজটা সমচিন হয়নি।কাঙ্গালী ভোজ একটা সার্বজনীন কর্মসুচি।এই কর্মসুচি কোন আওয়ামী লীগের বাড়িতেও করা উচিৎ নয়।খোলা মাঠেই করা উচিৎ। এই মাসটি সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের জন্য শোকের মাস।জাতীয় ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে।আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের কর্তব্য হচ্ছে, জাতীয় শোকের দিন গুলীকে সার্বজ্নিনতা দেয়ার জন্য, যত টুকু প্রয়োজন স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে সরকারকে সহযোগিতা দিয়ে যাওয়া।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, আবার বাঙ্গালী জাতীর জীবনে ফিরে আসার পথে যত কাঁটা বিছানো আছে, তা পরিষ্কারের জন্য প্রয়োজনে মালির দায়িত্ব পালন করা।বঙ্গবন্ধু কন্যা ,তাঁর দৃড়তায়,রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়,অসীম সাহষিকতায় সংগঠিত সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্ত রুখে দিয়ে, আওয়ামী লীগের জন্য আর ও পাঁচটি বছরের আয়ু বাড়িয়ে দিয়েছেন।তাঁর পর ও যদি আওয়ামী লীগের নেতা কর্মিরা, জনগনের সান্নিধ্যে যেতে না পারে,জাতির জনককে স্ব-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে,তবে এর চেয়ে দু:খ জনক বঙ্গরত্মের জন্য আর কি হতে পারে।জননেত্রীর পরিবার এবং আত্মীয় স্বজন কেউতো লুটপাটে অংশ নিতে দেয়নি জনিনেত্রী,আত্মীয় স্বজনদের ক্ষমতার বৃত্তের অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছেন।নতুন প্রজর্ম্মের অহংকার দেশরত্মের সুযোগ্য পুত্র জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আগামী প্রজর্ম্মকে বিজ্ঞান মনষ্ক, তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন,জ্ঞান বিজ্ঞানে শিক্ষিত আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য।উন্নত যে কোন দেশে চাকুরী নিলেও বাংলাদেশ সরকার যে সম্মানী দেয়, তাঁর তিনগুন বেতন তিনি পেতেন।বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের কোন প্রধান মন্ত্রী বা সাধারন উপমন্ত্রী,নিদেনপক্ষে সরকারী দলের জেলা উপজেলার নেতার ছেলেরাও চাকুরী ব্যবসা করার প্রয়োজন হয়না।সজিব ওয়াজেদ জয় জাতির পিতার দৌহিত্র,বিশ্বের ক্ষমতারধর নারীনেত্রীদের অন্যতম,সফল তিন তিন বারের প্রধান মন্ত্রীর আদরের পুত্র।তারপর ও দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন,কি ভাবে আরো নতুন নতুন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাতিকে, দেশকে, আগামি প্রজর্ম্মকে, সুখী সমৃদ্ধশালী,উন্নত জীবনের অধিকারী করা যায় সেই লক্ষ নিয়ে।যেখানে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক সাহাদাতের পর বিশ্বের তাবৎ নিয্যাতিত মানুষের নেতারা শোকে দু:খ্যে মুহ্যমান,বাকরুদ্ধ, কথা বলার ভাষা হারিয়ে মুক হয়ে গিয়েছিলেন তখন তাঁর প্রিয় জম্মভুমি, যে জম্ম ভূমির নাগরীক বাঙ্গালীদের মুক্তির জন্য ,স্বাধীনতার জন্য, কম করে হলেও দুই বার নিশ্চিত ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসেছিলেন।প্রথমবার আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামালায়, দ্বিতীয় বার মুক্তি যুদ্ধের সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে থাকাকালিন সময়ে, ইয়াহিয়া ফাসির আদেশে সই করার পর, দেশের আভ্যন্তরীন গন্ডগোলের কারনে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ায়, জনাব ভুট্রু সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসেন,আভ্যন্তরীন গন্ডগোল সামাল দেয়ার আগেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত হয়, ৯৩ নব্বই হাজার সৈনীক বন্দি হয়ে যায়, আন্তজাতিক চাপ, সেন্যদের রক্ষার কারন,কনফেডারেশন করার ক্ষীন আশায় ভুট্রু ফাসী কায্যকর থেকে বিরত থাকে।সেই ত্যাগের মহিমায় সিক্ত,বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, জাতির জনককে হত্যা করে একশ্রেনীর কুলাঙ্গার উল্লাসে মেতে উঠেছিল,স্ব-দম্ভে হত্যার কৃতিত্ব দেশী বিদেশী গনমাধ্যমে ঘোষনা করছে বার বার, তখন বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে তাঁদের হৃদয়ের অন্তজ্বালা বহুজন বহুভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছিল।আমি নিম্নে কয়েক জনের তখনকার মন্তব্য উপস্থাপন করছি:--- কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলেন, ‘মুজিব তোমার মত আমারও শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের সংগ্রাম। কিন্তু বন্ধু সাবধান, সুযোগ পেলেই শোষক শ্রেণি তোমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।’ তিনি অপর এক মন্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল সেই হিমালয় প্রত্যক্ষ করার।’ দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তির দূত নেলসন ম্যান্ডেলা বঙ্গবন্ধুকে আখ্যায়িত করেছিলেন শোষিতের ‘অকৃত্রিম বন্ধু’ বলে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত্ বরণের খবরে মুষড়ে পড়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, শেখ মুজিবের মৃত্যুতে বিশ্বের শোষিত মানুষ হারালো তাদের একজন মহান নেতাকে, আমি হারালাম একজন অকৃত্রিম বিশাল হূদয়ের বন্ধুকে।’ মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত বঙ্গবন্ধুর করুণ মৃত্যুতে, শোকে কাতর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, তৃতীয় বিশ্ব একজন যোগ্য নেতৃত্বকে হারালো। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘শেখ মুজিব নিহত হওয়ার খবরে আমি মর্মাহত। তাঁর অনন্য সাধারণ সাহসিকতা এশিয়া ও আফ্রিকার জনগণের জন্য প্রেরণাদায়ক ছিল। স্বাধীনতা ও জনগণের সার্বিক সংগ্রামের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেইজাতির জনক স্ব-মহিমায় ফিরে আসতে শুরু করেছে হৃতগৌরব নিয়ে,এই মহুর্তে আমরা আওয়ামী লীগারেরা আসার আগেই খাঁচায় বন্দি করার জন্য উদ্যোগি হই,তাহলে কেন দেশরত্মের এত পরিশ্রম, সজিব ওয়াজেদ জয়ের উন্নত জীবন যাপনের সকল সুযোগ বিদ্যমান থাকা সত্বেও গরীব দেশের এতবড় দায়িত্ব কাধেঁ নিয়ে,সদা মৃত্যুর ঝুঁকিতে থেকে নিয়ন্তর পরিশ্রম করা। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি,স্বাধিনতা যুদ্ধের পর দায়িত্বশীল বিরুদিদলের অভাবে,জনসম্পৃত্ত রাজনৈতিক দলের অভাবে,হিমালয়সম ব্যাক্তিত্ব থাকার পরও, নীজস্ব রাজনৈতিক দর্শন থাকার পরও, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতাকে হারাতে হয়েছিল।আজও ঠিক একই রীতিতে দেশব্যাপি অরাজগতা সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে,ধর্মীয় উগ্রতা সৃষ্টি করে,জননেত্রীকে হত্যা করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়।বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আর কিছু না পারুক, তাঁদের শক্তিতো সঞ্চয় করতে পেরেছে।ইচ্ছা করলেও হাজার বছর চেষ্টা করে, তাঁদের শেকড় উপড়ানো যাবে না।যেখানে প্রতি গ্রামে একটি প্রাইমারী বিদ্যালয় বৃটিশ শাষন থেকে এই পয্যন্ত নিয়ন্তর চেষ্টা করেও নিশ্চিত করা যায়নি,সেখানে মাত্র একুশ বছরের রাজনৈতিক সুযোগ নিয়ে ,প্রতি গ্রামে ২এর অধিক কওমি মাদ্রাসা স্থাপন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করে পেলেছেন।আমরা আওয়ামী লীগ নেতারা বেহেস্থের টিকেটের জন্য তাঁদের মাদ্রাসায় গিয়ে সালামি দিয়ে আসি।ফুলে ফেঁপে তাঁরা যেন আল্লাহর কোরানের নির্দেশিত,নবী করিম(স)এর নির্দেশিত পথের বিপরীতে আর ও শক্তি শালী অবস্থান নিতে পারেন।গত কয়দিন আগে কোরানের নির্দেশের বাহিরে সরকার তথা শেখ হাসিনা আইন করেছে তা বাতিলের নামে কি তান্ডব করেছে,কারা তাঁদের উস্কানী দিয়েছে,সব দেখে শুনেও আওয়ামী নেতারা তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতার দ্বজাদারিরা হুজুরের দোয়ার জন্য দিনের পর দিন পাঁয়ের নিছে বসে থাকে। যদি সত্যিকারের ইসলাম কায়েমের জন্য লড়াই করতো অবশ্যই মহান আল্লাহ তাঁদের সাহায্য করতেন।আল্লাহ যাদের কোরান পোঁড়ানোর অপরাধে শাস্তির সমুখ্যিন করেছেন,আমরা যাচ্ছি তখন তাদের দোয়ার জন্য।আইন যদি সত্যিকার ভাবে ইসলাম বিরুদি হয় তবে তারা কেন আন্দোলন বন্দ করে ঘরে ডুকে যাবে।সরকার কি সেই আইন বাতিল করেছে?শাফলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছে ভাল কথা ,খালেদা জিয়া কেন ঢাকার জনগনকে রাস্তায় নামার আহব্বান জানাবে?খালেদা যে গনতন্ত্র চর্চা করে বা বর্তমান আওয়ামী লীগ যে গনতন্ত্রের চর্চা করে সেই গনতন্ত্র কি ইসলাম অনুমোদন করে?তাঁরা যদি একান্তই ইসলামের জন্য জিহাদ করে তবে প্রথমে বাকশালের জন্য তাঁদের আন্দোলন করা দরকার।কারন বাকশালের নির্বাচনি ব্যবস্থা খোলাফায়ে রাশেদিনের শাষনের সময়ের নির্বাচনী ব্যাবস্থার কাচাকাছি।তখন হয়তো ব্যালটের ব্যবস্থা ছিল না,নিজেরা মসজিদে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,বাকশালে ব্যলটের ব্যবস্থা ছিল এতটুকুই পার্থক্য।তখন ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল বাকশালেও ধর্ম নিরপেক্ষতা বিদ্যমান ছিল।তখন ধনী গরিবের পার্থক্য নিরসনে কঠোর ভাবে যাকাত প্রথার ব্যবস্থা প্রচলন করা হয়েছিল,বাকশালে ধনী গরীবের পার্থক্য নিরসনে শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিল।সব কিছুর মিল থাকার পর ও তাঁরা বাকশাল প্রতিষ্ঠার আন্দোলন না করে পশ্চিমা শোষনের গনতন্ত্রের সমর্থনে শাপলা চত্ব্ররে অবস্থান নিয়ে লুটতরাজ, অগ্নি সংযোগ পবিত্র কোরানে পয্যন্ত আগুন দিতে দ্বিধা করেনি।আওয়ামী নেতারা কি বুঝে না কেন এই ন্যক্কার জনক কাজ তাঁরা করতে গেল? কোরান বা ইসলাম আল্লাহই রক্ষা করবেন।যেই সময়টাতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি,সাম্রাজ্যবাদের দোষরের পরামর্শে একের পর এক ধর্মবিরুদি আইন বাতিলের জন্য, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের আশ্রয় নিয়ে, জনজীবন বিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে, তখন একের পর এক বিধর্মীদের বাড়ীতে তাঁদেরগ্রন্থ শালায় হাজার বছরের পবিত্র কোরানের অংশ উদ্ধার হচ্ছে,তাঁর পর ও তাঁরা এতই অন্ধযে নীজেরা ধর্ম রক্ষার নামে রাজপথে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করার অপচেষ্যতায় লিপ্ত হয়।মুলত ধর্ম রক্ষা নয়,স্বাধীনতা বিরুধী,সাম্রাজ্যবাদ,সাম্রদায়িক শক্তির ইচ্ছা পুরন করা। সবচাইতে বড় যে ইচ্ছাটি ছিল তা হল,আওয়ামী লীগের কপালে ধর্মদ্রহীতার, নাস্তিকতার তিলক পড়িয়ে সারা জীবনের জন্য ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে রেখে বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ এর স্থায়ী ঠিকানা করে দেয়া। এর পরও যদি প্রগতির ধারনায় বিশ্বাসি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি,আওয়ামী লীগ নেতা কর্মিদের অপরিনামদর্শি কর্মকান্ডের কারনে, জাত্য জীবনে জাতির জনকের হৃতগৌরব সহ,সমহিমায় ফিরে আসার আগে জননেত্রী বা আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারায়, তাহলে জাতীয় জীবনে আবার নেমে আসবে ঘোর অমানীষা। "জয়বাঙলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা