যারা বলে আওয়ামী লীগই বঙ্গবন্ধুকে সার্বজনীন হতে দেয়নি তাঁরাই বর্ণচোরা। ========================= আগষ্ট মাস প্রায় শেষ পয্যায়।আর মাত্র কয় দিন পরই চল্লিশ দিনের জাতিয় শোক দিবসে কর্মসুচি ইতি ঘটবে।এবারের শোক দিবস বিভিন্ন দিক থেকে ইতি বাচক কিছু দিকের যেমন প্রস্ফুটিত হয়েছে আবার কিছু নেতিবাচক বাড়াবাড়ি ও লক্ষ করা গেছে।সর্বিক বিবেচনায় আমি মনে করি ইতিবাচক ঘটনাবলীর চাপায় নেতিবাচক ঘটনাবলী জনসম্মুখ থেকে হারিয়ে গেছে।এই বছরের শোক দিবসের সব ইতিবাচক-নেতিবাচক ঘটনার মুল্যায়ন পুর্বক আগামী বছরের শোক দিবসের কর্মসুচি প্রনয়ন করা নৈতিক ভাবেই সরকারের উচিৎ হবে বলে আমি মনে করি। আজ স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে অনেকে বিতর্ক করার চেষ্টা করেন।৭ই মার্চের ভাষন তারা ভাল করে না শুনে বিতর্ক করার চেষ্টা করেন।মেজর জিয়া নিজেই যেখানে তাঁর বিচিত্রায় দেয়া নিবন্ধে লিখেছেন,বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই বাঙ্গালী অফিসারেরা স্বাধীনতার গ্রীন সিগনাল পেয়ে গিয়েছিলাম।পাকিস্তান পুর্ববাংলা আক্রমন করে ন্যায্য দাবী ধুলিসাৎ করার জন্য আলোচনার নামে সময় ক্ষেপন করছেন তা কি বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেননি?না পারলে তিনি কেন বলবেন,"তোমাদের যা কিছু আছে,তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে"।তিনি থাকবেন না,বা কারাগারে দেয়া হবে ,তাও তিনি বুঝতে পেরেছিলেন,তাইতো সেই দিনই বলে দিলেন,"আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি।"তাঁর পর ও জ্ঞান পাপিরা বিতর্কে লিপ্ত হতে সামান্যতম দ্বিধাবোধ করেন না।তাঁরাই আবার অনেকে এখন দেখা যায় বঙ্গবন্ধু পয্যন্ত বলা শুরু করেছে।আশা করা যায় আগামী বছরের মধ্যে জাতির জনক ও বলা শুরু করতে পারে। দেশকে, দেশের মানুষকে যতখানি ভালোবাসা যায়, তার চেয়েও হয়তো বেশিই ভালোবেসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ, জাতি তার প্রতিদান দিল নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে! বাঙালি জাতির তো বটেই গোটা বিশ্বের ইতিহাসে এর চেয়ে জঘন্য, কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড আর ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। ঘৃণ্য সেই ষঢ়যন্ত্রের এত বছর পর আজ আমার মনে হয়, ঘাতকরা আসলে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি ছিলেন না। দেশ-কাল-সময়ের সীমানা পেরিয়ে তিনি যেন কিংবদন্তির এক মহানায়ক। আপনি ব্যক্তিকে হত্যা করতে পারেন। কিন্তু আদর্শকে? কখনো নয়। জাতীর জনকের, অসিম সাহস, দৃড়চেতা মনোবল ,দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা, প্রখর জ্ঞান, সমস্যা মোকাবেলা করার অভাবনীয় মনোবল, মাটি ও মানুষের প্রতি অসিম ভাল বাসা ,বাঙ্গালি জাতীয়তার প্রতি আস্হা ও বিশ্বাস,ধর্ম বর্ণ, ছোট বড় সব মানুষের প্রতি গভীর ভালবাসা ছিল বলেই টুঙ্গীপাড়ার দামাল ছেলে "খোকা "ক্রমান্বয়ে কলকাতা রেসিডেনসিয়ালের শেখ মুজিবর রহমান,ছাত্র জনতার বঙ্গবন্ধু,সর্বশেষ মহান মুক্তিযোদ্ধের মহা নায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান হতে পেরে ছিলেন।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জ্বল জ্বল করে জ্বলবে প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়ের মানসপটে। ৭৫ পরবর্তি আওয়ামী লীগের দুরদর্শি নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন,জীবিত বঙ্গবন্ধুর চাইতে মৃত বঙ্গবন্ধুকে যত বেশী আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরনায় ফিরিয়ে আনা যাবে তত বেশী আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় ফেরার পথ প্রসস্থ হবে। ইতিমধ্যে অনেকে বলে বেড়ান,বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগই সার্বজনীন হতে দেয় নাই।আওয়ামী লীগের একক দখলে থাকার কারনে বঙ্গবন্ধু সার্বজনীন হতে পারেনি।এরাই আসলে বর্নচোরা।৭৫থেকে '৯১ইং পয্যন্ত অঘোশিত ভাবে সরকারী সকল অনুষ্ঠানে তখন তাঁরা একবার ও বলেন নাই, বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রীয় পয্যায় অবহেলা করা হচ্ছে।'৭৫ এর পর আওয়ামী লীগ স্বল্প পরিসরে যদি অন্তরে ধরে না রাখতেন, তাহলে আজকে স্বমহিমায় ফিরে আসতো কিভাবে।ফিরে এসেছে বলেই আজ সর্বমহল থেকে দাবী উঠেছে সার্বজনীন করার। বঙ্গবন্ধু আসলে কতবড় মাপের নেতা সেটা সর্ব প্রথম বুঝতেই পারেনি, দলের নেতাকর্মীরা।বিশ্ববরেন্য ব্যাক্তি,বিশ্বের স্বাধীনতা কামী নিপিড়িত মানুষের যখন বনঙ্গবন্ধুকে স্বরন করে বই লিখা শুরু করেছেন,আন্দোলনের শ্লোগানের প্রেরনায় দিক্নির্দেশনায় নিয়ে এসেছেন তখননি কেবল বুঝা গেল বঙ্গবন্ধু আসলে কে ছিলেন,তাঁর আদর্শই বা কি ছিল।বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেও আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর উদ্ভাবীত বাকশাল সম্পর্কে কোন চিন্তা বা গভেষনাও করেন নাই।বিদেশীরা ঠীকই গভেষনা করে প্রমান করেছেন, মুলতই বঙ্গবন্ধু শোষিত নীপিড়িত মানুষেরই নেতা।আদর্শবাদী নেতা।সামাজতান্ত্রীক দুনিয়ায় যদি সামাজতন্ত্রের ধ্বস না নামতো,রাশিয়ার ক্ষমতায় ব্রেজনেব,সংস্কার প্রক্রিয়া সাধনের নামে পুঁজি বাদের ধারনাকে প্রাধান্য না দিতেন,আমি বিশ্বাশ করি লেলিন,মাও সেতুং এর নামের পাশে বাংলা দেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হতেন, আধুনিক ধ্যান ধারনা সম্পন্ন,ধর্মীয় মুল্যবোধ সম্পন্ন,বিজ্ঞানের আধুনীক গনতান্ত্রিক সমাজ তন্ত্রের প্রবক্তা।ধর্ম কর্ম করেও সমাজতন্ত্র এর ধ্যান ধারনা পোষন করা যায়, তাই বঙ্গবন্ধু নির্দেশনা দিয়ে গেছেন।আমরা গভেষনা করে তথ্য উৎঘাটন করতে পারিনি,বিদেশীরা পেরেছে।১৬ই আগষ্ট বি,বি,সি, সংবাদ মাধ্যমে যেই ভাবে বঙ্গবন্ধুকে, তাঁর দর্শনকে মুল্যায়ন করেছিল, তাঁর আশেপাশেও আমাদের দেশের গভেষকেরা পা মাড়াননি।বিদেশীদের মুল্যায়নের পর আমাদের দেশেও ইদানিং অনেকের চিন্তাচেতনায় বঙ্গবন্ধুকে পিরিয়ে আনার চেষ্টায় আছেন।তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ শুরু করেছেন।কোন কোন ইতিহাসবিদ বিখ্যাত হওয়ার স্বপ্নেও বিভোর হয়ে আছেন,কখন তথ্য বহুল বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস রচনা করে জাতির মনিকোঠায় স্থান নিতে পারেন। মৃত্যুর এত বছর পর এসে আবার মনে হচ্ছে- জীবিত মুজিবের চাইতে মৃত মুজিব অনেক বেশি শক্তিশালী ও ব্যাপক। '৭৫ পরবর্তীতে আমাদের প্রত্যয় ছিল মৃত মুজিবই বেশি শক্তিমান হবেন ইতিহাসের পাতায়। আজকে দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- মৃত মুজিবকে এক শ্রেণীর আওয়ামী লীগ নেতারা ভাগ্য গড়ার দৃষ্টিতে অবলোকন করা শুরু করেছেন।তাঁদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে আমবশ্যার চাঁদ হয়ে যান।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এমন ভাব প্রদর্শন করেন যেন,বঙ্গবন্ধু দেবতার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও পুঁজনীয় । এটা যে নেতার প্রতি কতবড় অসম্মানের ব্যাপার তা বোঝার মতো জ্ঞান বুদ্ধিও এক শ্রেণীর মানুষের লোপ পেয়েছে। লোভী,ধান্ধাবাজ,কপট,ব্যক্তি ও সংগঠনের মুজিব চরিত্র হননের হাত থেকে রক্ষা পেতে কিছু সুনির্দিষ্ট কাজ করা দরকার আমি মনে করি। (ক) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এখনি প্রয়োজন। যার সরাসরি তত্ত্বাবধান করবে আওয়ামী লীগ বা যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সেই দল বা সরকার। (খ)বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক লেখার একটি জাতীয় লেখক প্যানেল তৈরি করার সময় হয়ে গেছে।বঙ্গবন্ধুর নানাহ দিক নিয়ে লিখা বই, রচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখার পর রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে তা প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। (গ) স্বনামধন্য বঙ্গবন্ধুর অনুরক্ত ইতিহাসবিদদের নিয়ে একটা জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে, যারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মূল্যবান উন্নতমানের ইতিহাস পুস্তক রচনা করবে। (ঘ)আগামী ১৫ আগষ্ট আসার কমপক্ষে তিনমাস আগে শোক দিবস পালনের সুনির্দিষ্ট নীতি মালা সরকারী ভাবে ঘোষনা করার ব্যবস্থা করতে হবে। (ঙ) সর্বোপরি শোক দিবসসহ অন্যান্ন দিবস সমুহের পালনের জন্য একটি নীতিমালা সরকারী ভাবে তৈরি করে জাতীয় সংসদের মাধ্যমে আইনে রুপ দেয়া যায় কিনা ভেবে দেখার এখনি সময়। (চ)সকল জাতীয় দিবস রাষ্ট্রীয় অনুকুল্লে পালন করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা দরকার। সবকিছু একটা নিয়মতান্ত্রিক পথে পরিচালিত করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসার মৌলিকত্ব আসতে বাধ্য হত। নিয়মের মধ্যে না এনে, নেতারা দায়িত্ব পালন না করে বঙ্গবন্ধুকে এখন হাটবাজারে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ফলে এখন কেউ মিষ্টির প্যাকেটে বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করছে, কেউবা আত্মপ্রচারে ব্যবহার করছে। ভবিষ্যতে যদি অশ্লীল আরও কোন স্থানে তার ছবি ব্যবহার করা হয় তাতেও আশ্চর্যের কিছু থাকবে না। আগস্ট মাস শেষ হচ্ছে। পরের মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শোক দিবসের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। লেখার বিষয় তাই শোক পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। ব্যতিক্রম শুধু- মহান নেতার এই মহাপ্রয়াণ দিবস পালনে যেসব বিচ্যুতি-ভ্রান্তি ও ক্ষতিকর বিষয় সে সম্পর্কেই কিঞ্চিৎ আলোকপাত। এখনও সময় আছে, যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে যথার্থ ভালোবাসি তাহলে তাকে খন্ডিত, বিকৃত, ব্যবসা, ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার না বানিয়ে প্রকৃত সার্বজনীন সমাদরে আকৃষ্ট ও সমুজ্জল করে তোলার মহাপরিকল্পনা নিতে হবে দূরদর্শী দেশরত্ম জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। ""জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা।"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা