মানবতার নেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা বিরল দৃষ্টান্ত!! ============<=======[====== ২১শে আগষ্ট বোমা ও গুলীর যুগৎপৎ হামলার পর,দেশরত্মকে হত্যায় ব্যর্থ হলে, সারাদেশ স্তব্দতার মধ্যেও স্ফুলিঙ্গের মত ফুঁসে উঠার অপেক্ষায় ছিল।সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা শুধু দেশরত্মের হুকুম আর রাজনৈতিক কর্মসূচির অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন।জননেত্রীও কেন্দ্রীয় নেতাদের অব্যাহত চাপের মুখে ছিলেন কর্মসূচি ঘোষনা দেয়ার জন্য।গনহত্যায় ব্যর্থ হয়ে সরকার ছিল টলটলায়মান অবস্থায়।দেশী বিদেশি সমালোচনার মূখে কোনঠাসা।।এমতবস্থায় ধাক্কা দিলে সরকার টিকে থাকার কোন উপায় ছিল না।এমনতর মূহুর্তেও মানবতার নেত্রী ক্ষমতা পাওয়ার লোভ না করে, আহতদের চিকিৎসা এবং নিহতদের লাশ দাফন করার জন্য মনোনিবেশ করেন।দলের কেন্দ্রীয় বেশ কিছু নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে হাসপাতাল গুলোতে প্রেরন করেন।রাত জেগে খবরাখবর সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটান।তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন,এই হামলাটি ক্ষমতাসীন বি,এন,পি সরকারের উচ্চপয্যায়ের দিকনির্দেশনার ফসল।মানবতার নেত্রী চরম ধৈয্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে আগে চিকিৎসাকে প্রাধান্য দিলেন। এতবড় ঘটনার পর ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতো দুরের কথা, কোন মামলাও করার চিন্তা করেননি।মামলার ফলাফল আশানুরুপ হবেনা ধারনা টি, নেত্রী ভুল করেননি পরবর্তিতে সাজানো তদন্ত ও জর্জমিয়া নাটক থেকেই তা প্রমানীত।খালেদা জিয়া,তারেক জিয়া,এবং স্ব্ররাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর সরাসরী জড়িত ছিলেন,তা আরও স্পষ্ট করে যখন তত্বাবধায়ক সকার গঠন প্রশ্নে কার ও সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকে, নীজ দলের প্রেসিডেন্টকে তত্বাবধায়ক প্রধান করে সাজানো নির্বাচন করার জন্য, একের পর এক নিলজ্জ পদক্ষেপ।যেকোন উপায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে বিচারিক কায্যক্রম বাঞ্চালই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য।২১শে আগষ্টের ঘটনার চরিত্রের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যায়, দেশীয়ভাবে তিনটি পক্ষ হামলায় সরাসরী জড়িত ছিল।প্রথম পক্ষে সরকারের উধ্বতন মহল জড়িত ছিল, এটাতে কোন সন্দেহের অবকাশ এখন আর নেই।দ্বিতীয়ত সরকারের সেনাবাহিনীর একটা অংশ,মামলার তদন্তে তাঁর প্রমান পাওয়া যায়।,তৃতিয়ত জঙ্গিদের সম্পৃত্ততা, তাঁরা নিজেরাই স্বিকার‍ উক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়ে স্পষ্ট করেছে।এখন আছে শুধু বিদেশী কোন শক্তি জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা।বি,এন,পি সরকারীভাবে বিচার পতিদের সমন্বয়ে তদন্ত টিম গঠন করেছিলেন।বিচারপতি জয়নুল আবেদীন প্রধান সমন্বয়ক হয়ে একটা রিপোর্টও দিয়েছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বাংলাদেশের কোন একটা বন্ধু রাষ্ট্র সরাসরি জড়িত ছিল।সেই রিপোর্ট ও অত্যাবদি আলোরমুখ দেখেনি। তিনি কিসের ভিত্তিতে বিদেশি রাষ্ট্রের সম্পৃত্ততা পেয়েছিলেন এখন ও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।উক্ত ঘটনার সার্বিক দিক জাতিকে জানানো একান্ত প্রয়োজন।জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে ছোট বড় ১৯ বার জীবন হানি ঘটানোর চেষ্টা হয়েছিল।তম্মধ্যে ১৯৮১ ইং সালের ১১ই সেপ্টেম্ভর চট্রগ্রামের লালদীঘি ময়দানে পুলিশ ও বি,ডি,আরের যৌথ ব্রাস ফায়ারে হত্যার চেষ্টা ও একটা বড় ধরনের কিলিং মিশন ছিল।সেই যাত্রায় জীবন রক্ষা পায় আল্লাহর অশেষ রহমতে।লক্ষ করলে সহজেই দেখা যায় আওয়ামী লীগকে ধ্বংশ করার উদ্দেশ্যে যতবার হামলা হয়েছে তদ্রুপ অন্য কোন দলের উপর বা নেতাদের উপর তাঁর ছিটেফোঁটাও হয়নি।একমাত্র জাতির জনকের পরিবার এবং আওয়ামী লীগের নেতারাই হত্যার শিকার হচ্ছেন,অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছেন।ইহার কারন বের করতে এখন আর বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন নেই।বিশ্বে প্রায় রাষ্ট্রে মাঝে মধ্যেই রাজনৈতিক হত্যার খবর পাওয়া যায়,এই রুপ দল বা পরিবার শুন্য করে দেয়ার জন্য হামলা হয়েছে তাঁর নজির পাওয়া যায় না।একমাত্র জাতির জনকের পরিবার এবং তাঁর নীজ হাতে প্রতিষ্ঠিত দল আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব সমুলে বিনাস করার জন্য যে চেষ্টা স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবদি অব্যাহত রয়েছে।তাঁর পর ও বর্তমান সরকার দুইমেয়াদে ক্ষমতা উপভোগ করতে পারলেও ২১শে আগষ্টের চাঞ্চল্যকর,নজির বিহীন বর্বতা,গনহত্যার মত মানবতা বিরুধি অপরাধের মামলাটি ১১ বছরেও বিচারিক পয্যায় যায়নি। ১৯৭৫ সালে তারিখ হিসেবে ১৫ আগস্ট এবং ২০০৪ সালে মাস হিসেবে আগস্টের মিলটাও লক্ষণীয়। ১৫ আগস্টের মতোই ২১ আগস্টের ঘটনাটিও ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার চেষ্টা। আমাদের প্রচলিত অপরাধে বিচার ব্যবস্থা যে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছে, তার উদাহরণ হলো ৩০ লাখ মামলা জমে যাওয়ার পরেও রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বিকার থাকতে পারছে। আমজনতা আদালত ব্যবস্থা থেকে সহজে কোনো প্রতিকার পায় না। তদুপরি এখনো এই ধারা মোটামুটি ক্রিয়াশীল যে, রাষ্ট্রপক্ষ সক্রিয় হলে এই মামলাজটের বিচার ব্যবস্থার ভেতর দিয়েও প্রতিকার ত্বরান্বিত করা সম্ভব। সামারি ট্রায়াল না করে সাধারণ আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সমাপ্তি তার একটি বড় দৃষ্টান্ত। এখন প্রশ্ন হলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ১১ বছর পূর্তিতে মামলার অগ্রগতি এতটা মন্থর কেন?? ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেডটি যদি ট্রাকে পড়ত, তাহলে এটা শেখ হাসিনাসহ বিপুলসংখ্যক জাতীয় নেতার প্রাণ কেড়ে নিত। এটা হতে পারত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় বর্বরতম হত্যাকাণ্ড। সুতরাং গুরুত্বের বিচারে এই মামলাটির অহেতুক দীর্ঘসূত্রতা জাতি হিসেবে আমাদের কাণ্ডজ্ঞান, দায়িত্ববোধ ও সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। গ্রেনেড হামলার পরে বিএনপি দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা বিচার শুরু দূরে থাক, সুষ্ঠু তদন্তই শেষ করতে পারেনি। আমরা অনুমান করতে পারি যে কেন আওয়ামী লীগ বিচার চায়নি। তারা ধরে নিয়েছিল যে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থেকে যে বিচার করবে, তা বিচারের নামে প্রহসনই হবে। তারা কেবল আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি তুলেছিল। ২১ আগস্ট ২০০৬ প্রথম আলোতে ‘বিচারের আশা করেন না হতাহতদের স্বজনেরা’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, আহত ও নিহতদের স্বজনদের একটাই চাওয়া, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।বর্তমান হত্যাকারীদের মদদ দাতা সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশা নেই। ঘটনার দুই দিন পর আতাউস সামাদ ‘এরপর আর বাকি থাকল কী’ শিরোনামে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় একটি মন্তব্য প্রতিবেদন লিখেছিলেন। সেখানেও তিনি বিচারের প্রসঙ্গ টানেননি। বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া বিচ্ছিন্নভাবে একটি মন্তব্য করেছিলেন যে, সরকার বোমাবাজদের শনাক্ত করে ‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’ দিতে বদ্ধপরিকর। "।প্রয়াত নেতার ঘোষনা পত্রিকা এবং তার মুখেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেল।জাতী পরবর্তিতে দেখলো,কোন এক অজ্ঞাত নামা যুবক,খেটে খাওয়া দিনমুজুরকে ঘটনার প্রধান করে, সাজানো জবান বন্দি নেয়া হচ্ছে,তাঁকে জেলে বন্দি রেখে তাঁর পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে মাসে মাসে খরপোষ দেয়া হচ্ছে।এহেন তামাশা অতিতে কোন দেশে হয়েছে কিনা কেহই বলতে পারবে না।এই এক ঐতিহাসিক তামাশা বলা যেতে পারে। আগেই উল্লেখ করেছি ত্রিধারার সংযোগে বার বার আওয়ামী লীগের উপর নেমে আসে ঘোর অমানিষা।আওয়ামী লীগই একমাত্র সংগঠন,প্রগতির ধারায় এখনও নীজেদের সম্পৃত্ত রেখে দেশ ও জনগনের ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখে অবিচল নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে।ক্ষমতা পাওয়ার চাইতে জনগনকে সাথে রেখে প্রগতির ধারা অব্যাহত ভাবে সামনে এগিয়ে নেয়াকে কর্তব্য মনে করে।আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এইডস জাতিকে স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য, বিশ্ব দরনবারে বাংলাদেশ নামক একটি দেশ আছে তা প্রতিষ্ঠার জন্য,বাঙালী বীরের জাতি তা প্রমানের জন্য,আজিবন সংগ্রাম করে গেছেন।কোন লোভ লালসা, রক্তচক্ষুকে ভয় করেননি।ইচ্ছা করলে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রধান মন্ত্রী একাধিক বার হতে পারতেন,তিনি পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রীর লোভ করেননি,তিনি চেয়েছেন বাঙ্গালীর মুক্তি,বাংলাদেশের স্বাধীনতা।সেই দলের উত্তরসুরী বর্তমান আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতা পাওয়ার জন্য অদ্যাবদি কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন শুনা যায়নি,নিয়মাতান্ত্রিক ভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে।জনগন যখন চায়,তখন সরকার গঠন করে,জনগন যখন চায় না, তখন বিরুদি দলের ভুমিকা পালন অব্যাহত রাখে। প্রশ্ন হচ্ছে গত দুইবার একটানা সরকার গঠন করেও বোমা হামলার বিচার ত্ব্রারান্বিত করার জন্য সকারী ভাবে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা কেন?ইচ্ছা করলে আর ও দ্রুতগতিতে মামলার বিচার কি করা যায়না?জনমনে নানাহ প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঁকি ঝুঁকি দিতে শুরু করেছে।আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম মানবতা বিরুদি এই হত্যা কান্ডের বিচার দ্রুত করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।নচেৎ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বদরবারে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক হয়ে দেখা দিতে পারে। " জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা