বিচার বর্হিভূত হত্যা কি একান্ত প্রয়োজন সরকারের জন্য?? ============>=========== বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড সুফল ভয়ে আনে না।আইন শৃংখলা উন্নয়নের জন্য প্রথাটি কোন দেশে চালু হয়েছিল প্রথম তা সঠিক বলা মুস্কিল।বাংলাদেশে এই প্রথা প্রথম ব্যাপক চালু হয় ১৯৯১ ইং সালে।বাংলা দেশ জাতিয়তা বাদি দল সংখ্যা গরিষ্টতা পেয়ে সেইবার সরকার গঠন করার পর, আইন শৃংখলার উন্নতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রথমবারের মত জরুরী অবস্থা ঘোষনা ব্যতিরেকে, সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়।অপারেশন "ক্লিনহার্ট" নামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড শুরু করে।কথিত আছে তখন পিটিয়ে বেশির ভাগ হত্যা করে। মারা যাওয়ার পর বলা হত হার্ট এটাকে মারা গেছে।আইন শৃংখলা বাহিনী কতৃক প্রথমবারের মত হত্যাযজ্ঞ চালানোর কারনে সকল শ্রেনীর সন্ত্রাসি চাঁদাবাজদের মনে ভিতির সঞ্চার করতে সক্ষম হয়।ফলে স্বল্প সময়ে আইন শৃংখলার ব্যাপক উন্নতি হয় বটে,দেশে নজির হিসেবে এহেন কর্মকান্ড সকল সরকার অনুসরন করা শুরু করে। বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদেও এই হত্যাকান্ডের প্রতি আগ্রহ কমেছে বলে মনে হয় না।অতিষ্ট জনগনের সমর্থন সরকারের যে কোন কাজের চাইতে বেশি ইহা সত্য।তারপরেও বলা যায় মানুষ হত্যা করে কি সমস্যার সমাধান করা যায়?সমাধান যদি হত ১৯৯১---২০১৫সময় কি একান্তই কম বলে মনে হয়।এই সময়ের মধ্যে দেশ সর্বক্ষেত্রে বহুগুন এগিয়ে গেলেও আইনশৃংখলা বাহিনি কতৃক মানুষ হত্যা বন্ধ হয়নি।আমি মনে করি সমাজে এই সমস্ত দুষ্ট চক্র সৃষি এবং বংশ বৃদ্ধির জন্য,যেই লোক টি হত্যার স্বিকার হল তার দায় একেবারেই নেই।কারন কেহই মায়ের পেট থেকে জম্ম নিতে সন্ত্রাসী হয়ে জম্ম নেয় না,সন্ত্রাসি তাকে বানানো হয়।এই সমাজ,রাষ্ট্র,ব্যাক্তি,চলমান অসুস্থ্য রাজনীতি,অর্থের অসম বন্টন ব্যবস্থাপনা,পুঁজির প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কারনে স্কুল কলেজের মেধাবী ছেলেটি মাস্তান হতে বাধ্য হয়ে যায়। ক)আমাদের সমাজ স্বাধিনতার ৪৫বছর পর ও যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে।গোষ্টি বৈষম্য ,ধনী গরীবের ব্যবধান, ইংরেজদের ফেলে যাওয়া সমাজ যেমন ছিল তেমন রয়ে যাওয়ার কারনে, তরুনদের সমাজ ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোবতো কমেইনি,বরঞ্চ বৃদ্ধি পেয়েছে। খ)তরুন বয়সের ধর্মই বেপরোয়া জীবন যাপন।পরিবার বা সমাজ বেপরোয়া ভাবকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে বিদ্যালয়মুখি না করে,শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে।এতে দুই একবার লজ্জার সম্মুখীন হওয়ার পর ছেলেটি অস্বাভাবিক হয়ে যায়।বন্ধু বান্ধবদের বৈরী আচরনে,নিজকে হিরু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বিপদগামিতার শেষ পয্যায় চলে যায়।তখনি সমাজের একশ্রেনীর শোষক নীজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে মাস্তান হিসেবে ব্যবহার শুরু করে।হাতে তুলে দেয় অগ্নেয়াস্র।। গ) রাষ্ট্রের নীতি আদর্শ এক্ষেত্রে বেশী দায়ি বলে আমি মনে করি। আমাদের মত উন্নয়নকামী দেশ সমুহে মধ্যস্বত্ব ভোগীর নিয়মনীতি---যথারীতি প্রতিপালিত হয়ে আসছে।এই তৃতীয় ধারাটির উপস্থিতি ব্যতিরেকে কোনকায্য সম্পাদিত হয়না। সমাজের অভ্যন্তরে দুষ্টক্ষতটির কারনে মাস্তানের দৌরাত্ব অপিরিহায্য।মধ্যস্বত্ব শ্রেনীকে আবার রাষ্ট্র যথারীতি পৃষ্টপোষকতা করে থাকে।যেহেতু রাষ্ট্রীয়কাঠামো শোষনের হাতিয়ার হিসেবে তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্টে পরিবর্তন আসেনি,চলতি নিয়মের ব্যত্যায় ঘটানো রাষ্ট্রের সম্ভব নহে।রাষ্ট্র তাঁর চিরায়ত বৈশিষ্ট পরিবর্তনের পদক্ষেপ নিতে গেলেই একশ্রেনীর মানুষের আঁতে গা লাগে।তাঁরা সমাজে তৎক্ষনাৎ অশান্তি সৃষ্টি করে শুভ উদ্যোগ বানচাল করে দিতে ঊঠে পড়ে লেগে যায়। ঘ)সামান্তপ্রথার উচ্ছেদ যদিও আইনগত ভাবে নেয়া হয়,তাঁর অবশিষ্টাংশ সমাজে এখনও বিদ্যমান রয়ে গেছে।আইন টি জমিদার প্রথা উচ্ছেদ এবং প্রজাস্বত্ব কায়েম ছাড়া আর কোন অগ্রগতি সম্পন্ন করতে পারেনি।সুদক্ষ নেতৃত্বের অভাবই ইহার একমাত্র কারন।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যথারীতি পদক্ষেপ নিয়েও বাস্তবায়নের আগেই কায়েমি স্বার্থবাদিদের হাতে স্বপরিবারে নিহত হন।জাতির জনকের উদ্যোগ কিছুটা সময়ক্ষেপনের কারনে ,কায়েমী স্বার্থবাদিরা সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।এতে পরিবারের সকলেই প্রান বিসর্জন দিয়ে, সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবের হাতিয়ার রেখে গেছেন আগামী প্রজর্ম্মের ধারক ও বাহকদের কাছে।নীজে পরিবর্তনের ধারা সুচনা করে যেতে পারেননি।ঘুনে ধরা সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ গড়ার মত সাহসি নেতৃত্ব সৃষ্টি হওয়া পয্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। (ঙ)সমাজে চলমান অসম প্রতিযোগিতা,ধনী আরো ধনী হওয়ার নিয়ন্তর প্রচেষ্টা যুব সমাজকে সাংঘাতিক প্রলুব্দ করে বলে আমি মনে করি।সৃজনশীল কাজের উপহার দেয়া যাদের নিকট ন্যস্ত,তাঁরা সর্বদা শোষনের ফিকিরে থাকে।কোন কাজটির প্রকল্প হাতে নিলে মধ্যস্বত্ব ভোগী অংশকে উপঢৌকন দিয়ে নিজেদের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো যাবে, সেই চিন্তায় অস্থির সময় কাটে।সৃজনশীল,উৎপাদন মূখী প্রকল্প হাতে নিয়ে সার্বিক বেকার সমস্যার সমাধানের প্রতি তাদের নজর থাকে না।এমত অবস্থায় মানষিক ভাবে বেকার ছেলেটি মা বাবার বোঝা হিসেবে নীজেকে চিন্তা করে। একসময় তাঁকে হতাশায় গ্রাস করে পেলে।গত্যান্তর না দেখে এলাকার বড়ভাইয়ের নিকট ধর্না দিতে বাধ্য হয়। বড় ভাই তাঁর স্বার্থসিদ্ধির মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া না করে কাজে লাগিয়ে দেয়। ইহা একান্তই বিদ্যমান আমাদের রাজনীতির ধারাবাহিকতার ফসল। (চ) আমাদের রাজনীতিতে বিদ্যমান রীতির বাহিরে যাওয়া কার ও পক্ষে সম্ভব নহে।বর্তমান গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা পশ্চিমাদের আমদানী করা পেশী শক্তির বহুদলীয় ভোটের গনতন্ত্র।এখানে নির্বাচিত হওয়াটাই প্রধান বিবেচ্য।সংসদে সংখ্যাগরিষ্ট আসন পেতেই হবে।এক রাজনৈতিক দল আর এক রাজনৈতিক দলের উপর প্রভাব বিস্তার করে, শক্তির মহড়ার প্রদর্শন করে একে অপরকে নিস্তেজ করে মসনদ দখল করাই মূখ্য।নীতি নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মনে করেনা।প্রত্যেক দলেই গনসংগঠন হিসেবে বিবেচিত।দলে লোক সমাগম প্রধান বিষয়।নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া বা আদর্শ ধারন করার কোন বিষয় বিদ্যমান নেই বলে, পথভ্রষ্ট লোক ও দল করার সনদ সংগ্রহ করা দুষ্কর নহে।তাই দেখা যায় মুক্তি যুদ্ধের চেতনার বিরুদিতা কারি দলের মধ্যেও বহু মুক্তিযুদ্ধাই রাজনীতির শীর্ষ পয্যায় অবস্থান নিতে।আবার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান কারি দলের মধ্যেও বহু রাজাকার শীর্ষ পদে রাজনীতি অবলিলায় করছে।আদর্শ গত দিক বিবেচনা করতে গেলে যাহা কখনও সম্ভব নহে। দেখা যায় রাষ্ট্র, সমাজ,ব্যক্তির সম্মিলীত প্রয়াসের ফসল একজন সন্ত্রাসী।তাঁকে একক ভাবে জীবনহানী করে বাদবাকি সবাইকে খালাস দিয়ে সমস্যার কি সমাধান হবে?এই রুপে যদি সমাধান করা যেত রাষ্ট্রের অন্যসব বিষয় বিস্ময়কর উন্নতি হলেও, এই বিচার বর্হিভুত হত্যার ভুক্তিভুগিদের মধ্যে সামান্যতম উন্নতি কি সাধিত হল? তাঁদের ব্যবহার করে অর্থবিত্তের মালিক হব,ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাব,সমালোচনার মুখে তাঁদেরই বলি দেব?যারা এই অসৎ ব্যাক্তিদের সমালোচনা করে বিচার বর্হিভুত হত্যায় উস্কানি দিল,তাঁদের স্বার্থে যখন ঐ সন্ত্রাসীকে ব্যবহার করে, তখন তা কি জায়েজ হয়? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে তাঁর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মিরা পথে ঘাটে বেওয়ারীশ লাশ হবে তাও কি সম্ভব!দেশের আইন কি অচল হয়ে গেল?যদি অচল হয়ে যায় সবাইকে নিয়ে তা কি সচল করার কোন উপায় নেই?।ভুক্তভুগি দুই দলইতো ক্ষমতায় আসে আর যায়,দুই দলের কর্মিরাইতো হত্যার শিকার হয়,তাঁরপর ও কেন ঐক্যমতে আসতে পারবেনা?আমাদের রক্তের উপর পা দিয়ে ক্ষমতায় যাবেন,আবার আমাদের রক্তের হুলিখেলে ক্ষমতার মসনদ পাকাপুক্ত করবেন,ইহাই কি অধম রাজনীতির চালিকাশক্তি হত্যার শিকার যুবকের নিয়তি? আর কোন যুবকের প্রান সংহার না করে উল্লেখিত কাঠামো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহন করুন,তাই যদি না হয় যে বড় ভাইয়ের কারনে মাস্তান হলাম ,তাঁকে নিদেনপক্ষে দল থেকে বহিস্কার করুন,দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহন করে প্রমান করুন,আপনারা সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজী চান না। জনগন বুঝতে পারবে সন্ত্রাস দমনে আপনাদের সদিচ্ছা যথেষ্ট আছে। একদিকে শহিদ পরিবারের সন্তান হাতকড়া পড়ে কোর্টে যাবে,আর এক দিকে যুব লীগ,ছাত্রলীগ বেওয়ারিশ লাশ হবে তা চলতে দেয়া যায় না।সরকারের অভ্যন্তরে কোন দুষ্ট চক্র এহেন কর্মে জড়িত তা চির্হিত করার এখনি সময়। দলের অভ্যন্তরীন কোন্দলে মারা যাবে উদিয়মান তরুন নেতারা,তথাকথিত ক্রসফায়ারে যাবে দলের প্রেসার গ্রুপের অন্যতম সদস্যরা,বুদ্ধিজীবিরা যাবে দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোস্তাকের বংশের ষড়যন্ত্রে। রাজনীতি করবে কে? অথবা প্রত্যেক ইউনিটে দলের আদর্শ উদ্দেশ্য সম্বলীত বিষয়ে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করে আদর্শবান চারিত্রিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন নেতৃত্ব গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহন করা হোক,আর চাইনা ভাইয়ের রক্তের হলিখেলা।আর চাইনা পেশী শক্তির মহড়া,আর চাইনা বড়নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা,আর চাইনা অধিপত্য বিস্তারের রাজনীতির বিকাশ। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা