অবিলম্বে শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে জোটে ভাঙ্গনের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। আগেই আশংকা করে বলেছিলাম,বহুদলীয় পশ্চিমা শোষনের গনতন্ত্রে সত্যিকার দায়িত্ব শীল বিরুদী দল না থাকলে, ক্ষমতাসীন দলের জন্য যেকোন সময়ে হঠাৎ বিপদ আসতে পারে।বিপদ ঘর থেকেও হতে পারে, বাহির থেকেও হতে পারে।আর ও বলেছিলাম ৭২এ সঞ্জয় গান্ধী গং দের প্ররোচনায় ভারতে ইন্দিরা গান্ধী জরুরী অবস্থা ঘোষনা করার পর সঞ্জয় গান্ধী, কি ভাবে দলীয় নেতা কর্মীদেরর হত্যা করেছিল,ইন্ধীরা গান্ধীকে অন্ধকারে রেখে।তার বিশদ আলোচনা করেছিলাম।ইন্দিরা গান্ধীর নজরে যখন সব পরিস্কার ভাবে এসেছিল তখন আপসোশ ছাড়া আর করার কিছুই ছিল না।বিশ্বের ইতিহাসে বহু নজির আছে,পিতার সাথে পুত্রের,ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের বিশ্বাস ঘাতকতার।ইসলামের ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালেও এমনতর উদাহরনের অভাব হবে না।সুতারাং রাজনীতিতে সবাই আপন যতক্ষন সাথে আছে, এই পুরাতন আপ্ত বাক্যটি জননেত্রীকে স্মরন রাখতে হবে। জাসদের তখনকার ভুমিকা নিয়েও আলোচনা করেছিলাম।বলেছিলাম জাসদের তরুন তুর্কীদের মেজর জলিল, মোস্তাক,জিয়া গং, কিভাবে পথভ্রষ্ট করে সাম্রাজ্যবাদিদের স্বার্থ উদ্ধার করার পর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।আরো বলেছিলাম জাসদ রাজনীতির ভুলের কারনেই দলটি প্রায় বিলীনের পথে।সাম্রাজ্যবাদি চক্র এবং স্বাধিনতা বিরুদিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সেই দিন যারা জাসদকে ভুল পথে পরিচালিত করে জাতির জনকের হত্যা প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করেছিল তাঁরা আজও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নেই,জোটেও নেই।যারা সেদিন শুধু ব্যাবহার হয়েছিলেন, প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের ,তাঁরা আওয়ামী লীগেই আছে অথবা জোটে আছে।যেকোন সময় রাজনীতিতে ভুল হতে পারে,এই ভুলের জন্য জাতি চরম খেসারত দিতে হয়,ব্যক্তি ভুলে শুধু সংসার নষ্ট হয় অথবা দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বল্প সময় জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে, দীর্ঘ সময় পারেনা।৭৫"এর পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব একটা কথাই বার বার বলে আসার চেষ্টা করেছে,"জাতির জনককে হত্যা করে মক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানের দিকে দাবিত করে নিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্য বাদের দোষরেরা"।আওয়ামী লীগের এই বক্তব্য আজকে প্রমানীত সত্য হওয়ার কারনে,লৌহ কঠিন জোট গড়ে উঠেছে।আর এই জোট গড়ে উঠেছে মুক্তি যুদ্ধের ধারায় বাংলা দেশকে ফিরিয়ে এনে বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালী জাতির ভুলুন্ঠিত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আকাংখাকে বাস্তবে রুপায়নের জন্য।এই জোট একদিনে গড়ে উঠে নাই,এই জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে অনেক ত্যাগ স্বিকার করার প্রয়োজন হয়েছে।কমপক্ষে ১৯বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসতে হয়েছে।এমনিতর হামলা গুলী যদি না হত, তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগকে আজকের এই অবস্থানে আমরা পেতাম না।রাজাকারের বিচার হত না,বঙ্গবন্ধুর বিচার সীমিত আকারে যেটা হয়েছে হয়তো সেটাও হতনা।আওয়ামী লীগের উপর বার বার আঘাত আসার কারনে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের, অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে দৃড এক্য গড়ে উঠেছে।৭৫'পরবর্তিতে রাজনৈতিক আবাহাওয়ার কারনেও অনেকে চিরদিনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।সত্যিকার ভাবে দেশ যে সাম্রাজ্যবাদের কলনীতে পরিনত হচ্ছে বা মিনি পাকিস্তানের রুপ ধারন করার জন্য বার বার জননেত্রীর উপর আঘাত করা হচ্ছে,আওয়ামী লীগকে নিচ্ছিন্ন করার জন্য, তাঁর নেতাদের বাচাই করে হত্যা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক মহল বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন ব্যাক্তি বা দল বুঝে উঠতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে সত্য,শেষ অবদি বুঝতে পেরেছেন এটাতে কম সাফল্য কোথায় পেলেন শেখ সেলিমেরা তা বোধগম্য নয়।দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু যখন স্ব-মহিমায় আপন স্থানে অবস্থান নিতে শুরু করেছে, তখনই শেখ সেলিমের মত পরিক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে এহেন বিতর্ক উত্থাপন করে কার স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।দেশরত্মের অক্লান্ত পরিশ্রমে, জাতি যখন তাঁর হারানো গৌরব একে একে ফেরৎ পাচ্ছেন, তখনি বিতর্কটি জুড়ে দিয়ে জোট ভাঙ্গার চেষ্টা কেন হল? শেখ সেলিমদের স্মরনে থাকার কথা জোট নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে।আর সেই উদ্দেশ্য আংশিক বাস্তবায়নের পরক্ষনে, ঘরের ভিতর থেকে বিতর্ক উত্থাপন করে, তিনি কি বুঝাতে চাইলেন।জাসদের কার ভুমিকা কি ছিল, কখন কে কি করেছেন জননেত্রী কি তা জানেন না? দেশরত্ম জননেত্রীতো অনেক বারই বলেছেন,১/১১ তে কে কি করেছেন তা আমি ভুলবো না।তবে তাদেরকে আমি ক্ষমা করতে পারি,ভুলে যেতে পারিনা।দুরদর্শি পিতার দুরদর্শী রাজনৈতিক উক্তি।মতিয়া জাতির জনকের চামড়া তুলে ঢোল বানাবেন বলেছিলেন, সে মতিয়া ছাত্র ইউনিয়নের মতিয়া,অগ্নিকন্যা মতিয়া।সে মতিয়াদের সম্মেলনে জাতির জনক বলেছিলেন আমার আগামীদিনের স্বপ্নের বাংলাদেশের কারিগর হবে তোমরাই।সেই পরিপক্ষ রাজনীতিবিদ মতিয়া ১/১১ এর পর প্রত্যেক দিন কমপক্ষে দুই ঘন্টা জননেত্রীর সাবজেলের অদুরে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে সাহস দিয়ে গেছেন। বিশ্ব বাসী অবাক বিস্ময়ে মতিয়ার সাহসি পদক্ষেপ অবলোকন করেছে।আপনি শেখ সেলিম তখন কোথায় ছিলেন?আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারা কোথায় ছিলেন।মতিয়া যা পেরেছে আপনারা পারলেন না কেন? সারা বিশ্ব যখন দেশরত্মের নেতৃত্বের প্রসংশায় পঞ্চমুখ,স্বাধীনতা বিরুধীরা যখন পালায়নরত,দেশ যখন উচ্ছ আয়ের দেশে পরিনত হওয়ার অপেক্ষায়, জাতি যখন স্বাধীনতার স্বাধ গ্রহন শুরু করেছে তখনি বিতর্কটা উত্থাপন করেছেন শেখ সেলিম।জানসভা বা বিবৃতি দিয়ে নয়,একেবারে জাতিয় সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে।আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি এখানেই ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে,এখনি ব্যাবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন আছে।আমি মনে করি আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক, জনপ্রসাশন মন্ত্রী কয়দিন আগে এই ষড়যন্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে জাতিকে সতর্ক থাকার আহব্বান জানিয়েছেন। ১৯৭৫ থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। ৪০টি বছর। কালের পরিক্রমায় তা খুবই স্বল্প সময়। কিন্তু মনুষ্য জীবনের কাছে অনেকটাই। এ-সময়কালে সংঘটিত হয়েছে লক্ষাধিক ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার কিছুটা হয়েছে কিন্তু তা সম্পূর্ণ নয়। কারণ যারা এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িত ছিলেন এবং এখনও দু'-একজন সদর্পে আওয়ামী লীগের ভেতরেই পদচারণা করছেন; আর যেসব বিদেশি এজেন্সি সহায়তা করেছে তাদের বিচারও সমাপ্ত করতে হবে। আরও কিছু বিচার জাতি দেখতে চায়- জেল হত্যার বিচার, খালেদ মোশাররফ, মঞ্জুর হত্যাকান্ড, জিয়া হত্যাকান্ড, উদীচী ও সিপিবির সমাবেশে হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকান্ড। মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচার চলছে।অনেকের রায় ইতিমধ্যে কায্যকর হয়েছে,কায্যকরের অপেক্ষায় আছে অনেক গুলি, বিচার চলছে আরব অনেকের।জাতির জনকের খুনীদের ফেরৎ এনে রায় কায্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।দেশ বিদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার কান্ডের তথ্য উপাত্য সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত আছে।ইতিমধ্যে বহু চক্রান্তের তথ্য উৎঘাটিত হয়েছে,আরও তথ্য পাওয়া যাবে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। জননেত্রী দেশরত্ম মহান সংসদে দাঁড়িয়ে জাতিকে ওয়াদা দিয়েছেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করে অপরাধীদের বিচার করবেন।সভ্য দুনিয়ায় এমন নজির কোথায় ও নেই মানুষ পুড়িয়ে, সম্পদ ধ্বংশ করে দাবী আদায় করার।বাংলাদেশে তাহাই ঘটেছে।কেন হল তা কি শেখ সেলিমদের অজানা?এই মানবতা বিরুদির বিচার না করতে পারলে আগামী দিনের আন্দোলনের উদাহরন হয়ে সবাই এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থেকে যাবে।বিশ্বের নিকট আমরা পরিচিত হব হিংসুক, বর্বর,মধ্যযুগীয় ভাবধারার জাতি হিসেবে।ষড় যন্ত্র কারীরা চাইবে দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে,তাঁদের সাথে তাল মিলিয়ে যারা কথা বলবে তাঁরা আওয়ামী লীগার হতে পারে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নয়। বহু রক্তের বিনিময়ে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর,বহু অপেক্ষার পর,কষ্টিপাথরের উপর ঘশে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর, এই জোট গঠিত হয়েছে।উদ্দেশ্য দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনা,দেশকে স্বাবলম্বি করে বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তর,সকল হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা,ধীরে ধীরে দেশকে প্রগতির ধারায় নিয়ে আসা,সত্যিকারের গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ কে সামনে রেখে।এক দুই জন শেখ সেলিমের বিতর্কে জোটের কোন ক্ষতি হবে আমি মনে করি না।তারপর ও বলবো বিষয়টি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভাল ভাবেই দেখবেন। আমি আর একটু স্মরন করিয়ে দিতে চাই,জাতির জনকের অনেক ভাষনের মধ্যে একটি ভাষনের অংশিক।সময়টা ১৯৭২ ইং সালের,রাজশাহীতে দেয়া --- আমার ভায়েরা ও বোনেরা, আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু বড় ত্যাগের বিনিময়ে। এত রক্ত কোন দেশের জন্য কোনদিন কোন জাতি দেয়নি, যা আজ আমার বাংলার মানুষকে দিতে হয়েছে। আজ ঘরে ঘরে, গ্রামে গ্রামে মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। জালেমরা রাস্তাঘাট ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। চালের গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার সরকারি কর্মচারীদের, আমার পুলিশ ভাইদের, বিডিআর, সামরিক বাহিনীর ছেলেদের গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে আমার ছাত্র, আমার যুবক, আমার কৃষক, আমার বুদ্ধিজীবী, আমার সাংবাদিকদের। আমি জানতাম না যে, আপনাদের কাছে আমি ফিরে আসব। আমাকে ২৫ তারিখে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। আমি মরে গেলেও আমার দুঃখ হতো না, কেননা আমার বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম করে স্বাধীন হয়েছে। বিশ্বাস করুন, আমি জানতাম না যে, ...... জীবনে কোন দিন আর এই সোনার দেশে সোনার বাংলায় আমি ফিরে আসতে পারব। আপনারা দোয়া করেছেন,. রক্ত দিয়েছন সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন,.আমি পশ্চিম পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্ত হয়ে মাত্র ৪ মাস পূর্বে বাংলার মাটিতে এসেছি। এসে কি দেখলাম!!!! চারিদিকে হাহাকার, গৃহহারা, সর্বহারার আর্তনাদ,.লাখ লাখ লোক বেকার., আমার মা-বোন কাঁদছে। হত্যা করা হয়েছে কারো স্বামীকে, কারো ছেলেকে, জ্বালিয়ে দিয়েছে তার ঘর, ধ্বংস করে দিয়েছে বাজার, গ্রামকে গ্রাম। রেল লাইন উড়িয়ে দিয়েছে স্টিমার ভেঙে দিয়েছে, অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। লুট করেছে বৈদেশিক মুদ্রা। কিছু রেখে যায়নি, ভস্মীভূত একটা দেশ ছাড়া। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন- আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমি যাবার বেলায় বলেছিলাম, আমি যদি মরে যাই, আমি যে ডাক দিয়ে যাব- আমার বাংলার মানুষ অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করবে। আপনারা তা করেছেন। আপনারা বিনা অস্ত্রে জালেমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন,কিন্তু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে আমার সব কিছু। ইনশাল্লাহ সোনার বাংলা একদিন হাসবে.,মানুষ একদিন পেট ভরে ভাত খাবে, বাংলার মানুষ আবার সুখী হবে। শোষণ বাংলাদেশে থাকবে না।' এই ভাষনটির মধ্য আমার ছাড়া একটা লাইন কি আছে।বাঙ্গালি জাতির প্রতি কতবেশি ভাল বাসার মমত্ববোধ থাকলে এমন একটি ভাষন দিতে পারে?সেই ভালবাসার প্রতিদানে জাতি কি দিয়েছে এই মহাপুরুষটিকে?তাঁর কন্যা কি এক চুল পরিমান আদর্শচ্যুত এই পয্যন্ত হয়েছেন?অক্ষরে অক্ষরে প্রতিটি বাক্য প্রতিপালনের প্রচেষ্টা কি অব্যাহত রাখেননি?তার পরও কেন এই মহুর্তে বিতর্কের ঝড় তোলার চেষ্টা? জাতির জনকের প্রতি কথা শতভাগ সত্যে পরিনত হবে কেউ কি চিন্তায় রেখেছিল?প্রত্যেক নাগরীক আজ ভাত খাচ্ছে,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,,জাতি নিচ্ছে মুক্ত বাতাসে বুক ভরা নিশ্বাস।ধীরে হলেও জাতির জনকের কন্যা সতর্কতার সংগে এগিয়ে যাচ্ছেন মুল লক্ষের অভিমুখে।প্রত্যহ হচ্ছে ষড়যন্ত্র,দেশে বিদেশে এমনতর কোন সময় নেই কোন না কোন ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে না।তারপরেও যদি অন্দর মহল থেকে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায় তখন বলতেই হয় এই হতভাগ্য জাতির কপালে আর অনেক দু:খ্য হয়ত লিখা আছে।যদি তাই না হয় কেন সৃষ্টি হবে চাটার দল,কেন সৃষ্টি হবে মাস্তান,কেন সৃষ্টি হবে ষড়যন্ত্র কারী দলের অভ্যন্তরে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন