অবিলম্বে শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে জোটে ভাঙ্গনের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। আগেই আশংকা করে বলেছিলাম,বহুদলীয় পশ্চিমা শোষনের গনতন্ত্রে সত্যিকার দায়িত্ব শীল বিরুদী দল না থাকলে, ক্ষমতাসীন দলের জন্য যেকোন সময়ে হঠাৎ বিপদ আসতে পারে।বিপদ ঘর থেকেও হতে পারে, বাহির থেকেও হতে পারে।আর ও বলেছিলাম ৭২এ সঞ্জয় গান্ধী গং দের প্ররোচনায় ভারতে ইন্দিরা গান্ধী জরুরী অবস্থা ঘোষনা করার পর সঞ্জয় গান্ধী, কি ভাবে দলীয় নেতা কর্মীদেরর হত্যা করেছিল,ইন্ধীরা গান্ধীকে অন্ধকারে রেখে।তার বিশদ আলোচনা করেছিলাম।ইন্দিরা গান্ধীর নজরে যখন সব পরিস্কার ভাবে এসেছিল তখন আপসোশ ছাড়া আর করার কিছুই ছিল না।বিশ্বের ইতিহাসে বহু নজির আছে,পিতার সাথে পুত্রের,ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের বিশ্বাস ঘাতকতার।ইসলামের ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরালেও এমনতর উদাহরনের অভাব হবে না।সুতারাং রাজনীতিতে সবাই আপন যতক্ষন সাথে আছে, এই পুরাতন আপ্ত বাক্যটি জননেত্রীকে স্মরন রাখতে হবে। জাসদের তখনকার ভুমিকা নিয়েও আলোচনা করেছিলাম।বলেছিলাম জাসদের তরুন তুর্কীদের মেজর জলিল, মোস্তাক,জিয়া গং, কিভাবে পথভ্রষ্ট করে সাম্রাজ্যবাদিদের স্বার্থ উদ্ধার করার পর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।আরো বলেছিলাম জাসদ রাজনীতির ভুলের কারনেই দলটি প্রায় বিলীনের পথে।সাম্রাজ্যবাদি চক্র এবং স্বাধিনতা বিরুদিদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সেই দিন যারা জাসদকে ভুল পথে পরিচালিত করে জাতির জনকের হত্যা প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করেছিল তাঁরা আজও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নেই,জোটেও নেই।যারা সেদিন শুধু ব্যাবহার হয়েছিলেন, প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের ,তাঁরা আওয়ামী লীগেই আছে অথবা জোটে আছে।যেকোন সময় রাজনীতিতে ভুল হতে পারে,এই ভুলের জন্য জাতি চরম খেসারত দিতে হয়,ব্যক্তি ভুলে শুধু সংসার নষ্ট হয় অথবা দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বল্প সময় জাতিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারে, দীর্ঘ সময় পারেনা।৭৫"এর পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব একটা কথাই বার বার বলে আসার চেষ্টা করেছে,"জাতির জনককে হত্যা করে মক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তানের দিকে দাবিত করে নিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্য বাদের দোষরেরা"।আওয়ামী লীগের এই বক্তব্য আজকে প্রমানীত সত্য হওয়ার কারনে,লৌহ কঠিন জোট গড়ে উঠেছে।আর এই জোট গড়ে উঠেছে মুক্তি যুদ্ধের ধারায় বাংলা দেশকে ফিরিয়ে এনে বিশ্ব দরবারে বাঙ্গালী জাতির ভুলুন্ঠিত গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার আকাংখাকে বাস্তবে রুপায়নের জন্য।এই জোট একদিনে গড়ে উঠে নাই,এই জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে অনেক ত্যাগ স্বিকার করার প্রয়োজন হয়েছে।কমপক্ষে ১৯বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসতে হয়েছে।এমনিতর হামলা গুলী যদি না হত, তাহলে হয়তো আওয়ামী লীগকে আজকের এই অবস্থানে আমরা পেতাম না।রাজাকারের বিচার হত না,বঙ্গবন্ধুর বিচার সীমিত আকারে যেটা হয়েছে হয়তো সেটাও হতনা।আওয়ামী লীগের উপর বার বার আঘাত আসার কারনে মুক্তি যুদ্ধের পক্ষের, অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে দৃড এক্য গড়ে উঠেছে।৭৫'পরবর্তিতে রাজনৈতিক আবাহাওয়ার কারনেও অনেকে চিরদিনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।সত্যিকার ভাবে দেশ যে সাম্রাজ্যবাদের কলনীতে পরিনত হচ্ছে বা মিনি পাকিস্তানের রুপ ধারন করার জন্য বার বার জননেত্রীর উপর আঘাত করা হচ্ছে,আওয়ামী লীগকে নিচ্ছিন্ন করার জন্য, তাঁর নেতাদের বাচাই করে হত্যা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক মহল বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন ব্যাক্তি বা দল বুঝে উঠতে অনেক সময় পার হয়ে গেছে সত্য,শেষ অবদি বুঝতে পেরেছেন এটাতে কম সাফল্য কোথায় পেলেন শেখ সেলিমেরা তা বোধগম্য নয়।দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু যখন স্ব-মহিমায় আপন স্থানে অবস্থান নিতে শুরু করেছে, তখনই শেখ সেলিমের মত পরিক্ষিত আওয়ামী লীগ নেতা সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে এহেন বিতর্ক উত্থাপন করে কার স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।দেশরত্মের অক্লান্ত পরিশ্রমে, জাতি যখন তাঁর হারানো গৌরব একে একে ফেরৎ পাচ্ছেন, তখনি বিতর্কটি জুড়ে দিয়ে জোট ভাঙ্গার চেষ্টা কেন হল? শেখ সেলিমদের স্মরনে থাকার কথা জোট নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে।আর সেই উদ্দেশ্য আংশিক বাস্তবায়নের পরক্ষনে, ঘরের ভিতর থেকে বিতর্ক উত্থাপন করে, তিনি কি বুঝাতে চাইলেন।জাসদের কার ভুমিকা কি ছিল, কখন কে কি করেছেন জননেত্রী কি তা জানেন না? দেশরত্ম জননেত্রীতো অনেক বারই বলেছেন,১/১১ তে কে কি করেছেন তা আমি ভুলবো না।তবে তাদেরকে আমি ক্ষমা করতে পারি,ভুলে যেতে পারিনা।দুরদর্শি পিতার দুরদর্শী রাজনৈতিক উক্তি।মতিয়া জাতির জনকের চামড়া তুলে ঢোল বানাবেন বলেছিলেন, সে মতিয়া ছাত্র ইউনিয়নের মতিয়া,অগ্নিকন্যা মতিয়া।সে মতিয়াদের সম্মেলনে জাতির জনক বলেছিলেন আমার আগামীদিনের স্বপ্নের বাংলাদেশের কারিগর হবে তোমরাই।সেই পরিপক্ষ রাজনীতিবিদ মতিয়া ১/১১ এর পর প্রত্যেক দিন কমপক্ষে দুই ঘন্টা জননেত্রীর সাবজেলের অদুরে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে সাহস দিয়ে গেছেন। বিশ্ব বাসী অবাক বিস্ময়ে মতিয়ার সাহসি পদক্ষেপ অবলোকন করেছে।আপনি শেখ সেলিম তখন কোথায় ছিলেন?আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতারা কোথায় ছিলেন।মতিয়া যা পেরেছে আপনারা পারলেন না কেন? সারা বিশ্ব যখন দেশরত্মের নেতৃত্বের প্রসংশায় পঞ্চমুখ,স্বাধীনতা বিরুধীরা যখন পালায়নরত,দেশ যখন উচ্ছ আয়ের দেশে পরিনত হওয়ার অপেক্ষায়, জাতি যখন স্বাধীনতার স্বাধ গ্রহন শুরু করেছে তখনি বিতর্কটা উত্থাপন করেছেন শেখ সেলিম।জানসভা বা বিবৃতি দিয়ে নয়,একেবারে জাতিয় সংসদে দাঁড়িয়ে জাতির সামনে।আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি এখানেই ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে,এখনি ব্যাবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজন আছে।আমি মনে করি আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক, জনপ্রসাশন মন্ত্রী কয়দিন আগে এই ষড়যন্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে জাতিকে সতর্ক থাকার আহব্বান জানিয়েছেন। ১৯৭৫ থেকে ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ। ৪০টি বছর। কালের পরিক্রমায় তা খুবই স্বল্প সময়। কিন্তু মনুষ্য জীবনের কাছে অনেকটাই। এ-সময়কালে সংঘটিত হয়েছে লক্ষাধিক ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার কিছুটা হয়েছে কিন্তু তা সম্পূর্ণ নয়। কারণ যারা এ হত্যাকান্ডের নেপথ্যে জড়িত ছিলেন এবং এখনও দু'-একজন সদর্পে আওয়ামী লীগের ভেতরেই পদচারণা করছেন; আর যেসব বিদেশি এজেন্সি সহায়তা করেছে তাদের বিচারও সমাপ্ত করতে হবে। আরও কিছু বিচার জাতি দেখতে চায়- জেল হত্যার বিচার, খালেদ মোশাররফ, মঞ্জুর হত্যাকান্ড, জিয়া হত্যাকান্ড, উদীচী ও সিপিবির সমাবেশে হত্যাকান্ডসহ সকল হত্যাকান্ড। মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরুদি অপরাধের বিচার চলছে।অনেকের রায় ইতিমধ্যে কায্যকর হয়েছে,কায্যকরের অপেক্ষায় আছে অনেক গুলি, বিচার চলছে আরব অনেকের।জাতির জনকের খুনীদের ফেরৎ এনে রায় কায্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।দেশ বিদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার কান্ডের তথ্য উপাত্য সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত আছে।ইতিমধ্যে বহু চক্রান্তের তথ্য উৎঘাটিত হয়েছে,আরও তথ্য পাওয়া যাবে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। জননেত্রী দেশরত্ম মহান সংসদে দাঁড়িয়ে জাতিকে ওয়াদা দিয়েছেন, সাম্প্রতিক আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করে অপরাধীদের বিচার করবেন।সভ্য দুনিয়ায় এমন নজির কোথায় ও নেই মানুষ পুড়িয়ে, সম্পদ ধ্বংশ করে দাবী আদায় করার।বাংলাদেশে তাহাই ঘটেছে।কেন হল তা কি শেখ সেলিমদের অজানা?এই মানবতা বিরুদির বিচার না করতে পারলে আগামী দিনের আন্দোলনের উদাহরন হয়ে সবাই এহেন কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থেকে যাবে।বিশ্বের নিকট আমরা পরিচিত হব হিংসুক, বর্বর,মধ্যযুগীয় ভাবধারার জাতি হিসেবে।ষড় যন্ত্র কারীরা চাইবে দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে,তাঁদের সাথে তাল মিলিয়ে যারা কথা বলবে তাঁরা আওয়ামী লীগার হতে পারে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী নয়। বহু রক্তের বিনিময়ে অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর,বহু অপেক্ষার পর,কষ্টিপাথরের উপর ঘশে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর, এই জোট গঠিত হয়েছে।উদ্দেশ্য দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে আনা,দেশকে স্বাবলম্বি করে বংগবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রুপান্তর,সকল হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা,ধীরে ধীরে দেশকে প্রগতির ধারায় নিয়ে আসা,সত্যিকারের গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ কে সামনে রেখে।এক দুই জন শেখ সেলিমের বিতর্কে জোটের কোন ক্ষতি হবে আমি মনে করি না।তারপর ও বলবো বিষয়টি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ভাল ভাবেই দেখবেন। আমি আর একটু স্মরন করিয়ে দিতে চাই,জাতির জনকের অনেক ভাষনের মধ্যে একটি ভাষনের অংশিক।সময়টা ১৯৭২ ইং সালের,রাজশাহীতে দেয়া --- আমার ভায়েরা ও বোনেরা, আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু বড় ত্যাগের বিনিময়ে। এত রক্ত কোন দেশের জন্য কোনদিন কোন জাতি দেয়নি, যা আজ আমার বাংলার মানুষকে দিতে হয়েছে। আজ ঘরে ঘরে, গ্রামে গ্রামে মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাচ্ছে। জালেমরা রাস্তাঘাট ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। চালের গুদাম ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার সরকারি কর্মচারীদের, আমার পুলিশ ভাইদের, বিডিআর, সামরিক বাহিনীর ছেলেদের গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যা করেছে আমার ছাত্র, আমার যুবক, আমার কৃষক, আমার বুদ্ধিজীবী, আমার সাংবাদিকদের। আমি জানতাম না যে, আপনাদের কাছে আমি ফিরে আসব। আমাকে ২৫ তারিখে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। আমি মরে গেলেও আমার দুঃখ হতো না, কেননা আমার বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম করে স্বাধীন হয়েছে। বিশ্বাস করুন, আমি জানতাম না যে, ...... জীবনে কোন দিন আর এই সোনার দেশে সোনার বাংলায় আমি ফিরে আসতে পারব। আপনারা দোয়া করেছেন,. রক্ত দিয়েছন সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন,.আমি পশ্চিম পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্ত হয়ে মাত্র ৪ মাস পূর্বে বাংলার মাটিতে এসেছি। এসে কি দেখলাম!!!! চারিদিকে হাহাকার, গৃহহারা, সর্বহারার আর্তনাদ,.লাখ লাখ লোক বেকার., আমার মা-বোন কাঁদছে। হত্যা করা হয়েছে কারো স্বামীকে, কারো ছেলেকে, জ্বালিয়ে দিয়েছে তার ঘর, ধ্বংস করে দিয়েছে বাজার, গ্রামকে গ্রাম। রেল লাইন উড়িয়ে দিয়েছে স্টিমার ভেঙে দিয়েছে, অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। লুট করেছে বৈদেশিক মুদ্রা। কিছু রেখে যায়নি, ভস্মীভূত একটা দেশ ছাড়া। আপনারা আমাকে ভালোবাসেন- আমি আপনাদের ভালোবাসি। আমি যাবার বেলায় বলেছিলাম, আমি যদি মরে যাই, আমি যে ডাক দিয়ে যাব- আমার বাংলার মানুষ অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করবে। আপনারা তা করেছেন। আপনারা বিনা অস্ত্রে জালেমদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন,কিন্তু তারা ধ্বংস করে দিয়েছে আমার সব কিছু। ইনশাল্লাহ সোনার বাংলা একদিন হাসবে.,মানুষ একদিন পেট ভরে ভাত খাবে, বাংলার মানুষ আবার সুখী হবে। শোষণ বাংলাদেশে থাকবে না।' এই ভাষনটির মধ্য আমার ছাড়া একটা লাইন কি আছে।বাঙ্গালি জাতির প্রতি কতবেশি ভাল বাসার মমত্ববোধ থাকলে এমন একটি ভাষন দিতে পারে?সেই ভালবাসার প্রতিদানে জাতি কি দিয়েছে এই মহাপুরুষটিকে?তাঁর কন্যা কি এক চুল পরিমান আদর্শচ্যুত এই পয্যন্ত হয়েছেন?অক্ষরে অক্ষরে প্রতিটি বাক্য প্রতিপালনের প্রচেষ্টা কি অব্যাহত রাখেননি?তার পরও কেন এই মহুর্তে বিতর্কের ঝড় তোলার চেষ্টা? জাতির জনকের প্রতি কথা শতভাগ সত্যে পরিনত হবে কেউ কি চিন্তায় রেখেছিল?প্রত্যেক নাগরীক আজ ভাত খাচ্ছে,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে,,জাতি নিচ্ছে মুক্ত বাতাসে বুক ভরা নিশ্বাস।ধীরে হলেও জাতির জনকের কন্যা সতর্কতার সংগে এগিয়ে যাচ্ছেন মুল লক্ষের অভিমুখে।প্রত্যহ হচ্ছে ষড়যন্ত্র,দেশে বিদেশে এমনতর কোন সময় নেই কোন না কোন ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে না।তারপরেও যদি অন্দর মহল থেকে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যায় তখন বলতেই হয় এই হতভাগ্য জাতির কপালে আর অনেক দু:খ্য হয়ত লিখা আছে।যদি তাই না হয় কেন সৃষ্টি হবে চাটার দল,কেন সৃষ্টি হবে মাস্তান,কেন সৃষ্টি হবে ষড়যন্ত্র কারী দলের অভ্যন্তরে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা