-'৫৭ ধারা বাতিল নয় আরও বিস্তৃত করে সংজ্ঞায়িত করা হোক =========================== ব্যক্তিগত ভাবে আমি "৫৭ ধারা বাতিলের পক্ষে নই।কারন আমাকে আগে বুঝতে হবে আইনটি ভাল না খারাপ।আইনটি কি আমার মৌলিক অধিকার বাক স্বাধীনতার পরিপন্থি হয়েছে ,না রক্ষিত হচ্ছে।আইন টি কি অপব্যবহার হল ,না সঠিক ভাবে প্র‍য়োগ করা হচ্ছে।আইন পরিবর্তন প্রয়োজন ,না ব্যাক্তি মানষিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তাহলে দেখি আইনে কি আছে--- (১) কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটিবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ এখানে আইনে কাল দিক কোন বিষয়টি আগে আমাদের দেখা দরকার।একটা বিষয় স্বিকায্য যে আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বরেন্য ব্যাক্তিদের এমন কিছু ছবি আপলোড করা হয়, যাহা সুস্থ্য কোন মানষিকতার লোক নিন্দা না করে পারেন না।রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব বেশী চোখে পড়ে।এমন সব পেইজ থেকে ছবি গুলি আপলোড করা হয়, তার কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।আইন তাঁকে খুঁজে বের করতে পারবেনা।এখন বিষয়টি কি দাঁড়াল,নাম, ঠিকানা ছাড়া আই, ডি খোলার উপর নিষেদাজ্ঞা প্রয়োজন, না যার পেইজে এসে ছবিটা আরো অনেকে শেয়ার করার কারনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন?মুলত এখানেও আমাদের মানষিকতার, রুচিবোধের পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখার প্রয়োজন গনতন্ত্র,বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ইত্যকার সব কিছুরই স্বাধীনতা উপভোগের সীমাবদ্ধতা আরও কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য আইন করে দেয়া প্রয়োজন।আইন অবশ্যই আছে,মানার মানষিকতা নেই বা প্রয়োগের অভাব, এবং থাকাটাই স্বাভাবিক কারন আমরা এখনও সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে পারিনি।নির্ভেজাল গনতন্ত্র, বাকও ব্যাক্তি,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা উপভোগের জন্য ,নির্ভেজাল আইনী বেষ্টনীতে তাঁদের পরিবেষ্টন করে রাখতে হবে।আইন যত কঠোর হবে ,স্বাধীনতা উপভোগ তত সহজ হবে।সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়,যা ইচ্ছা তাই প্রকাশ করে যাব।মিথ্যাকে সত্যে, সত্যকে মিথ্যায় রুপান্তর সংবাদ পত্রের কাজ নয়।সংবাদ পত্রের দায়িত্ব বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা।ব্যত্যায় হলে আইনী ব্যবস্থা নিতেই হবে।আইনী ব্যবস্থা নিতে গেলে চারিদিকে রব যদি উঠে,সংবাদ পত্রের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে ,তা হলে ব্যপার টি কেমন হবে?সংবাদ পত্রে হামেশা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, তাঁর জন্য ব্যবস্থা নিলে, সংবাদ পত্রের কন্টরোধ হয় কিভাবে? মুলত আমাদের রাজনীতিতে বলেন বা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের বেলায় একই কথা প্রযোজ্য,সৎ,দক্ষ,সৌজন্যতা সম্পন্ন,রুচিশীল,জ্ঞানী,চিন্তাশীল ব্যাক্তির একান্ত অভাব।উল্লেখীত ব্যাক্তিচরিত্র সম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজেরই সৃষ্ট।সমাজের পরিবর্তন না করে আইনের পরিবর্তন করে, কি কোন লাভ হবে?সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের আটক ও ৫৭ ধারা প্রয়োগ এর পর থেকে উল্লেখীত আইনটি বাতিলের জন্য সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে।এখানে আইনের অসংতি দূর করা যেতে পারে ,বা সংজ্ঞায়ীত করার দাবি আসতে পারে, বাতিলের দাবী আসবে কেন? এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, ১ উপধারায় বর্ণিত অপরাধগুলো সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়। বরং পুরো উপধারাটি এমন বিস্তৃতভাবে ব্যক্ত যে একেকটি অপরাধের সংজ্ঞা বহুভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। সে কারণেই আইন বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ৫৭ ধারার ব্যাপক অপব্যাবহারের সুযোগ আছে। অপব্যবহার যে হচ্ছে, তাও ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে মাত্র সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বেলায়।একজনের বেলায় অপব্যবহারে গোটা আইনটি বাতিল করা লাগবে কেন? সর্বশেষ আমরা দেখলাম, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেন, যেখানে একজন মন্ত্রীসহ তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনের শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রবীর সিকদারের নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার বোধ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সেই বোধের সঙ্গে এমন গভীর হতাশাও মিশে আছে যে তিনি মরিয়া হয়ে, আর কোনো উপায় না পেয়ে সরকারসহ দেশবাসীকে তাঁর শঙ্কা ও উদ্বেগের কথা জানাতে ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্ট্যাটাসে উল্লেখিত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, তাঁর পক্ষে সংক্ষুব্ধ হয়ে ফরিদপুর জেলা আদালতের এক সহকারী সরকারি কৌঁসুলি ৫৭ ধারার অধীনে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলেন। মন্ত্রীর পক্ষে কেউ হয়তো বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন যে প্রবীর সিকদার নিজের সম্ভাব্য মৃত্যুর জন্য মন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর নাম প্রচার করায় মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বা তাঁর মানহানি ঘটেছে। কিন্তু সমুদয় পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণের ধারণা হয়েছে যে ৫৭ ধারায় প্রবীর সিকদারের মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে। এখানে স্পষ্টযে আদালত ও তাদের আওতার বাহিরে পদক্ষেপ নিয়েছেন।যেমন প্রবীর শিকদার সরাসরী তিন জনের নাম উল্লেখই করেছেন,তাঁর জীবনের শংকাও প্রকাশ করেছেন।শংকা প্রকাশ করার কারন আর ও একটি হতে পারে,২০০১ইং সালে তাঁর উপর পৈশাচিক নির্যাতন করে ,তাঁর একটি পা নষ্ট করে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসীরা।এখন ও আইন তাঁদের শনাক্ত করতে পারেন নাই।না পারার কারনে এহেন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হলে কে দায়ী হতে পারেন ,তাই তিনি লিখেছেন।আইনের জন্য অনেক কাজ তিনি এগিয়ে রেখেছেন।আদালত তাঁকে রিমান্ড দিবে কেন?তিনি স্পষ্ট সব লিখেই দিলেন,আর কি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দশ দিন রিমান্ড দিলেন।থানাও চাইবে কেন?অপপ্রয়োগ কারিদের শাস্তি না চেয়ে আইন বাতিল চাওয়ার কি কারন? এতবড় একটা জগৎ আইনের পরিবেষ্টন ছাড়াই চলবে? এখানে ৫৭ধারার অপব্যবহার হল, না সঠিক প্রয়োগ হল তাঁর চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন হতে পারে।ফলাফল যা আসবে, সরকার সেইমতে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই আইনের অপব্যবহার যাতে কোন প্রভাব শালী মহল বা থানা বা আদালত করতে না পারে,, তাঁর গ্যারান্টি ক্লজ থাকতে পারে, বাতিল হবে কেন?বরঞ্চ প্রয়োগের ক্ষেত্র আর ও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন আমি মনে করি।কেন করি তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছি--- নিম্নের আলোচনাটি আমাদের সমাজ কল্যান মন্ত্রী মহোদয়ের। "সমালোচনা আমি আশা করি। আরও সমালোচনা হোক।....... কিন্তু সেটার লিমিট থাকবে। আমার বিরুদ্ধে সিগারেট খাওয়ার ছবি দিয়েছেন পত্রিকায়। আপনারা পড়েছেন তো? লজ্জা নাই আমার। বাট আমিতো.... কলকাতার মঞ্চে বসেও সিগারেট খেয়েছি। কোনো সাংবাদিক ছবি তোলে নাই। মঞ্চে বসে। আমাকে জওহর লাল নেহেরু সম্মাননা দিল, অ্যান্ড অতীশ দীপংকর। দুটোতো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। আমি মঞ্চে সিগারেট খেয়েছি। আই এম এ কমপ্লিট চেইন স্মোকার। কিন্তু ওখানকার সাংবাদিকেরা এই ছবি তোলে নাই। আর আমাদের, ঘরে বসে সিগারেট খেলেও আপনার ছবি তোলেন। এ এটা হলো কী, আমার অধিকারটুকু আমাকে করতে দিতে হবে। আই এম নট বাউন্ড টু ইউ, অ্যান্ড ইউ আর নট বাউন্ড টু মি।......সাংবাদিক ভায়েরাও নিজেদের স্ট্যাটাস বাড়ান। আপনাদের প্রেসক্লাবগুলো ভালো করেন। এ ব্যাপারে আমরা সাহায্য সহযোগিতা করব।’' এতে তেমন কি বলেছেন তিনি।পত্রিকায় বড় বড় হেডিং দিয়ে প্রকাশ করা হল, সমাজ কল্যান মন্ত্রী আবারও সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন।সাংবাদিক হলেই তাঁর বা তাঁদের সম্পর্কে আলোচনা করা যাবে না!!!তাঁদের হাতে কলম কাগজ আছে যা মন চায় তাই লিখে দিতে পারবেন?আপনার স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমাজ কল্যান মন্ত্রীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পারবেন?তেমন কি কথা সেদিন তিনি বলেছেন?উপদেশ, উদাহরন দেয়া কি হুমকি? সমাজ কল্যান মন্ত্রী যদি ঐ পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতেন, সেটাই যুক্তি যুক্ত হত।কিন্তু তিনি তাহা নেন নাই।সহনশীলতার উদাহরন সৃষ্টি করেছেন।তৎদ্রুপ আমাদের প্রবীর শীকদার দাদা যদি ভুল করে থাকে ,যিনি রেগেছেন উনার সনশীলতা দেখানো উচিৎ ছিল।আমি প্রথম দিন বলেছিলাম এর দায় আগামী কাল যা হবে, তা সহ্য করার ক্ষমতা ঐ ক্ষমতাধর মহামান্য ব্যাক্তি মহোদয়ের নেই।হয়েছেও তাই।অক্ষরে অক্ষরে ঘটে গেল,আমি ভীষন খুশী। আই,সি,টি,আইনে সীমাবদ্ধতা দূর করা প্রয়োজন।আইনটির ফাঁক ফোঁকরে কারোরই সাজা সঠিক ভাবে হচ্ছে না।ডিজিটাল যুগের অপরাধ এনালগ যুগের আইন দিয়ে চালানো যাবে না।দেশ যতদুর অগ্রসর হচ্ছে অপরাধ প্রবনতার ধরন তাঁর চাইতে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।ইতিমধ্যে বাহাত্তরে সংবিধানে দেশ প্রবেশ করেছে।বাহাত্তরের সংবিধানে অনেক বিষয় বর্তমানে অচল।ঐ সমস্ত অচল দিক গুলী সচল করার জন্য কমিশন গঠন হয়েছে।আর যাতে কোন অপশক্তি সংবিধান কাঁটাচেড়া করতে না পারে তাঁর ও গ্যারান্টিক্লজ সংযুক্ত করা হোক। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বলেছেন,গনতন্ত্রের বা স্বাধীনতার স্বাধ পুরাপুরী উপভোগ করতে হলে, আইনের মাধ্যমে তাঁদের বেষ্টনী করে দিতে হবে।যুগ উপযোগী আইন না হলে এবং আইনের সঠিক ব্যবহার না হলে স্বাধীনতার স্বাধ অপূর্ণই থেকে যাবে।দেশের সার্বিক উন্নতির ধারার সাথে সংগতি রেখে আইনের পরিবর্তন পরিবর্ধন,সংযোজন বিয়োজন,প্রয়োগের সীমা,অপপ্রয়োগের শাস্তি নির্ধারন করা প্রয়োজন।গনন্ত্রের, স্বাধীনতার,অর্থনোতিক মুক্তির স্বাধ বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়,বরঞ্চ সঠিক কারন নির্নয় পুর্বক যথাযথ চিকিৎসাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।সামাজিক মাধ্যম ফেইজ বুকের প্রতি তরুন সমাজ যে হারে আকৃষ্ট হচ্ছে,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই মাধ্যমটি হবে রাজনীতির মুল প্লাটফরম।সুতারাং কি ভাবে এই মাধ্যমকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে, তাই নিয়ে আলোছনা প্রয়োজন আছে।আমি লক্ষ করে দেখেছি, এই মাধ্যমটি কে স্বাধীনতা বিরুদীরা যে হারে অপব্যাবহার শুরু করেছে,যে হারে আজগুবী খবর ও তথ্য প্রতিনিয়ত সরবরাহ করা হচ্ছে,এতে একশ্রেনীর রুচিশীল তরুন নীজকে সরিয়ে নিয়ে আপাত সম্মান রক্ষা করা শ্রেয় মনে করবে।অসংখ্য পেইজ দেশের বাহির থেকে তাঁরা চালু করেছে,সেখানে শুধুই আজগুবী সব খবর আর রগরগে সব পর্ণ ছবি ছাড়া আর কিছুই নেই।সুতারাং এই সমস্ত পেইজ কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই চেষ্টাই করা উচিৎ। প্রগতিশীল চিন্তাধারার অধিকারীরা তাঁদের প্রচারনা থেকে অনেক পিছনে পড়ে আছে।তাছাড়া ও জ্ঞানী ছেলে মেয়েরা সময় নষ্ট মনে করে অনেকে দূরে সরে রয়েছে।তুলনা মুলক জ্ঞান আহরনের মুর্খ স্থান পেইজ বুক হতে পারে, এই ধারনা টুকু আমরা তাদের দিতে অপরাগ। জামাত শিবিরের এমন কোন পরিবার নেই যেই পরিবারে সদস্য সংখ্যার চাইতে নামে বেনামে দ্বিগুন আই,ডি নেই।সর্বক্ষন মেয়েরা প্রগতিশীল ছেলেদের ,যারা কিছু কিছু লিখা লিখি করে, তাঁদের সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করে অযথা চ্যাটিং এ ব্যাস্ত রাখে,এক সময় মগজ ধোলাই করে প্রগতির ধারা থেকে বিচ্যুত করার প্রয়াস চালায়।অনেক ক্ষেত্রে সফল আবার অনেক ক্ষেত্রে বিফল হয়।তাতে তাদের চেষ্টায় কোন ঘাটতি দেখা যায়না। সুতারাং পরিশেষে বলতে চাই, এক বা একাদিক উদাহরনকে সামনে রেখে কুচক্রি মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে যখন তখন যে কোন দাবী উত্থাপন থেকে বিরত থাকুন,অপপ্রয়োগ কারীদের প্রতি নিন্দা জানান,আইনী ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান,বাতিলের দাবী করা সমচিন নহে। "" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা""

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা