-'৫৭ ধারা বাতিল নয় আরও বিস্তৃত করে সংজ্ঞায়িত করা হোক =========================== ব্যক্তিগত ভাবে আমি "৫৭ ধারা বাতিলের পক্ষে নই।কারন আমাকে আগে বুঝতে হবে আইনটি ভাল না খারাপ।আইনটি কি আমার মৌলিক অধিকার বাক স্বাধীনতার পরিপন্থি হয়েছে ,না রক্ষিত হচ্ছে।আইন টি কি অপব্যবহার হল ,না সঠিক ভাবে প্র‍য়োগ করা হচ্ছে।আইন পরিবর্তন প্রয়োজন ,না ব্যাক্তি মানষিকতা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। তাহলে দেখি আইনে কি আছে--- (১) কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটিবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ। (২) কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ এখানে আইনে কাল দিক কোন বিষয়টি আগে আমাদের দেখা দরকার।একটা বিষয় স্বিকায্য যে আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত বরেন্য ব্যাক্তিদের এমন কিছু ছবি আপলোড করা হয়, যাহা সুস্থ্য কোন মানষিকতার লোক নিন্দা না করে পারেন না।রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব বেশী চোখে পড়ে।এমন সব পেইজ থেকে ছবি গুলি আপলোড করা হয়, তার কোন নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।আইন তাঁকে খুঁজে বের করতে পারবেনা।এখন বিষয়টি কি দাঁড়াল,নাম, ঠিকানা ছাড়া আই, ডি খোলার উপর নিষেদাজ্ঞা প্রয়োজন, না যার পেইজে এসে ছবিটা আরো অনেকে শেয়ার করার কারনে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন প্রয়োজন?মুলত এখানেও আমাদের মানষিকতার, রুচিবোধের পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের মনে রাখার প্রয়োজন গনতন্ত্র,বাক ও ব্যাক্তি স্বাধীনতা,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ইত্যকার সব কিছুরই স্বাধীনতা উপভোগের সীমাবদ্ধতা আরও কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রনের জন্য আইন করে দেয়া প্রয়োজন।আইন অবশ্যই আছে,মানার মানষিকতা নেই বা প্রয়োগের অভাব, এবং থাকাটাই স্বাভাবিক কারন আমরা এখনও সুশিক্ষিত জাতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে পারিনি।নির্ভেজাল গনতন্ত্র, বাকও ব্যাক্তি,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা উপভোগের জন্য ,নির্ভেজাল আইনী বেষ্টনীতে তাঁদের পরিবেষ্টন করে রাখতে হবে।আইন যত কঠোর হবে ,স্বাধীনতা উপভোগ তত সহজ হবে।সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়,যা ইচ্ছা তাই প্রকাশ করে যাব।মিথ্যাকে সত্যে, সত্যকে মিথ্যায় রুপান্তর সংবাদ পত্রের কাজ নয়।সংবাদ পত্রের দায়িত্ব বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করা।ব্যত্যায় হলে আইনী ব্যবস্থা নিতেই হবে।আইনী ব্যবস্থা নিতে গেলে চারিদিকে রব যদি উঠে,সংবাদ পত্রের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে ,তা হলে ব্যপার টি কেমন হবে?সংবাদ পত্রে হামেশা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, তাঁর জন্য ব্যবস্থা নিলে, সংবাদ পত্রের কন্টরোধ হয় কিভাবে? মুলত আমাদের রাজনীতিতে বলেন বা সরকারের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের বেলায় একই কথা প্রযোজ্য,সৎ,দক্ষ,সৌজন্যতা সম্পন্ন,রুচিশীল,জ্ঞানী,চিন্তাশীল ব্যাক্তির একান্ত অভাব।উল্লেখীত ব্যাক্তিচরিত্র সম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজেরই সৃষ্ট।সমাজের পরিবর্তন না করে আইনের পরিবর্তন করে, কি কোন লাভ হবে?সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের আটক ও ৫৭ ধারা প্রয়োগ এর পর থেকে উল্লেখীত আইনটি বাতিলের জন্য সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে।এখানে আইনের অসংতি দূর করা যেতে পারে ,বা সংজ্ঞায়ীত করার দাবি আসতে পারে, বাতিলের দাবী আসবে কেন? এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, ১ উপধারায় বর্ণিত অপরাধগুলো সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়। বরং পুরো উপধারাটি এমন বিস্তৃতভাবে ব্যক্ত যে একেকটি অপরাধের সংজ্ঞা বহুভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ আছে। সে কারণেই আইন বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, ৫৭ ধারার ব্যাপক অপব্যাবহারের সুযোগ আছে। অপব্যবহার যে হচ্ছে, তাও ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে মাত্র সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের বেলায়।একজনের বেলায় অপব্যবহারে গোটা আইনটি বাতিল করা লাগবে কেন? সর্বশেষ আমরা দেখলাম, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেন, যেখানে একজন মন্ত্রীসহ তিন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘আমার জীবনের শঙ্কা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন’। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রবীর সিকদারের নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার বোধ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সেই বোধের সঙ্গে এমন গভীর হতাশাও মিশে আছে যে তিনি মরিয়া হয়ে, আর কোনো উপায় না পেয়ে সরকারসহ দেশবাসীকে তাঁর শঙ্কা ও উদ্বেগের কথা জানাতে ফেসবুকের আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্ট্যাটাসে উল্লেখিত তিন ব্যক্তির মধ্যে একজন, যিনি সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, তাঁর পক্ষে সংক্ষুব্ধ হয়ে ফরিদপুর জেলা আদালতের এক সহকারী সরকারি কৌঁসুলি ৫৭ ধারার অধীনে প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিলেন। মন্ত্রীর পক্ষে কেউ হয়তো বিষয়টি এভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন যে প্রবীর সিকদার নিজের সম্ভাব্য মৃত্যুর জন্য মন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর নাম প্রচার করায় মন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বা তাঁর মানহানি ঘটেছে। কিন্তু সমুদয় পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণের ধারণা হয়েছে যে ৫৭ ধারায় প্রবীর সিকদারের মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তাঁকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে। এখানে স্পষ্টযে আদালত ও তাদের আওতার বাহিরে পদক্ষেপ নিয়েছেন।যেমন প্রবীর শিকদার সরাসরী তিন জনের নাম উল্লেখই করেছেন,তাঁর জীবনের শংকাও প্রকাশ করেছেন।শংকা প্রকাশ করার কারন আর ও একটি হতে পারে,২০০১ইং সালে তাঁর উপর পৈশাচিক নির্যাতন করে ,তাঁর একটি পা নষ্ট করে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসীরা।এখন ও আইন তাঁদের শনাক্ত করতে পারেন নাই।না পারার কারনে এহেন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হলে কে দায়ী হতে পারেন ,তাই তিনি লিখেছেন।আইনের জন্য অনেক কাজ তিনি এগিয়ে রেখেছেন।আদালত তাঁকে রিমান্ড দিবে কেন?তিনি স্পষ্ট সব লিখেই দিলেন,আর কি জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দশ দিন রিমান্ড দিলেন।থানাও চাইবে কেন?অপপ্রয়োগ কারিদের শাস্তি না চেয়ে আইন বাতিল চাওয়ার কি কারন? এতবড় একটা জগৎ আইনের পরিবেষ্টন ছাড়াই চলবে? এখানে ৫৭ধারার অপব্যবহার হল, না সঠিক প্রয়োগ হল তাঁর চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন হতে পারে।ফলাফল যা আসবে, সরকার সেইমতে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এই আইনের অপব্যবহার যাতে কোন প্রভাব শালী মহল বা থানা বা আদালত করতে না পারে,, তাঁর গ্যারান্টি ক্লজ থাকতে পারে, বাতিল হবে কেন?বরঞ্চ প্রয়োগের ক্ষেত্র আর ও বিস্তৃত হওয়া প্রয়োজন আমি মনে করি।কেন করি তার ব্যাখ্যাও দিচ্ছি--- নিম্নের আলোচনাটি আমাদের সমাজ কল্যান মন্ত্রী মহোদয়ের। "সমালোচনা আমি আশা করি। আরও সমালোচনা হোক।....... কিন্তু সেটার লিমিট থাকবে। আমার বিরুদ্ধে সিগারেট খাওয়ার ছবি দিয়েছেন পত্রিকায়। আপনারা পড়েছেন তো? লজ্জা নাই আমার। বাট আমিতো.... কলকাতার মঞ্চে বসেও সিগারেট খেয়েছি। কোনো সাংবাদিক ছবি তোলে নাই। মঞ্চে বসে। আমাকে জওহর লাল নেহেরু সম্মাননা দিল, অ্যান্ড অতীশ দীপংকর। দুটোতো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। আমি মঞ্চে সিগারেট খেয়েছি। আই এম এ কমপ্লিট চেইন স্মোকার। কিন্তু ওখানকার সাংবাদিকেরা এই ছবি তোলে নাই। আর আমাদের, ঘরে বসে সিগারেট খেলেও আপনার ছবি তোলেন। এ এটা হলো কী, আমার অধিকারটুকু আমাকে করতে দিতে হবে। আই এম নট বাউন্ড টু ইউ, অ্যান্ড ইউ আর নট বাউন্ড টু মি।......সাংবাদিক ভায়েরাও নিজেদের স্ট্যাটাস বাড়ান। আপনাদের প্রেসক্লাবগুলো ভালো করেন। এ ব্যাপারে আমরা সাহায্য সহযোগিতা করব।’' এতে তেমন কি বলেছেন তিনি।পত্রিকায় বড় বড় হেডিং দিয়ে প্রকাশ করা হল, সমাজ কল্যান মন্ত্রী আবারও সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন।সাংবাদিক হলেই তাঁর বা তাঁদের সম্পর্কে আলোচনা করা যাবে না!!!তাঁদের হাতে কলম কাগজ আছে যা মন চায় তাই লিখে দিতে পারবেন?আপনার স্বাধীনতা প্রয়োগ করতে গিয়ে সমাজ কল্যান মন্ত্রীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পারবেন?তেমন কি কথা সেদিন তিনি বলেছেন?উপদেশ, উদাহরন দেয়া কি হুমকি? সমাজ কল্যান মন্ত্রী যদি ঐ পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতেন, সেটাই যুক্তি যুক্ত হত।কিন্তু তিনি তাহা নেন নাই।সহনশীলতার উদাহরন সৃষ্টি করেছেন।তৎদ্রুপ আমাদের প্রবীর শীকদার দাদা যদি ভুল করে থাকে ,যিনি রেগেছেন উনার সনশীলতা দেখানো উচিৎ ছিল।আমি প্রথম দিন বলেছিলাম এর দায় আগামী কাল যা হবে, তা সহ্য করার ক্ষমতা ঐ ক্ষমতাধর মহামান্য ব্যাক্তি মহোদয়ের নেই।হয়েছেও তাই।অক্ষরে অক্ষরে ঘটে গেল,আমি ভীষন খুশী। আই,সি,টি,আইনে সীমাবদ্ধতা দূর করা প্রয়োজন।আইনটির ফাঁক ফোঁকরে কারোরই সাজা সঠিক ভাবে হচ্ছে না।ডিজিটাল যুগের অপরাধ এনালগ যুগের আইন দিয়ে চালানো যাবে না।দেশ যতদুর অগ্রসর হচ্ছে অপরাধ প্রবনতার ধরন তাঁর চাইতে দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।ইতিমধ্যে বাহাত্তরে সংবিধানে দেশ প্রবেশ করেছে।বাহাত্তরের সংবিধানে অনেক বিষয় বর্তমানে অচল।ঐ সমস্ত অচল দিক গুলী সচল করার জন্য কমিশন গঠন হয়েছে।আর যাতে কোন অপশক্তি সংবিধান কাঁটাচেড়া করতে না পারে তাঁর ও গ্যারান্টিক্লজ সংযুক্ত করা হোক। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বলেছেন,গনতন্ত্রের বা স্বাধীনতার স্বাধ পুরাপুরী উপভোগ করতে হলে, আইনের মাধ্যমে তাঁদের বেষ্টনী করে দিতে হবে।যুগ উপযোগী আইন না হলে এবং আইনের সঠিক ব্যবহার না হলে স্বাধীনতার স্বাধ অপূর্ণই থেকে যাবে।দেশের সার্বিক উন্নতির ধারার সাথে সংগতি রেখে আইনের পরিবর্তন পরিবর্ধন,সংযোজন বিয়োজন,প্রয়োগের সীমা,অপপ্রয়োগের শাস্তি নির্ধারন করা প্রয়োজন।গনন্ত্রের, স্বাধীনতার,অর্থনোতিক মুক্তির স্বাধ বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়,বরঞ্চ সঠিক কারন নির্নয় পুর্বক যথাযথ চিকিৎসাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।সামাজিক মাধ্যম ফেইজ বুকের প্রতি তরুন সমাজ যে হারে আকৃষ্ট হচ্ছে,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই মাধ্যমটি হবে রাজনীতির মুল প্লাটফরম।সুতারাং কি ভাবে এই মাধ্যমকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে, তাই নিয়ে আলোছনা প্রয়োজন আছে।আমি লক্ষ করে দেখেছি, এই মাধ্যমটি কে স্বাধীনতা বিরুদীরা যে হারে অপব্যাবহার শুরু করেছে,যে হারে আজগুবী খবর ও তথ্য প্রতিনিয়ত সরবরাহ করা হচ্ছে,এতে একশ্রেনীর রুচিশীল তরুন নীজকে সরিয়ে নিয়ে আপাত সম্মান রক্ষা করা শ্রেয় মনে করবে।অসংখ্য পেইজ দেশের বাহির থেকে তাঁরা চালু করেছে,সেখানে শুধুই আজগুবী সব খবর আর রগরগে সব পর্ণ ছবি ছাড়া আর কিছুই নেই।সুতারাং এই সমস্ত পেইজ কিভাবে বন্ধ করা যায় সেই চেষ্টাই করা উচিৎ। প্রগতিশীল চিন্তাধারার অধিকারীরা তাঁদের প্রচারনা থেকে অনেক পিছনে পড়ে আছে।তাছাড়া ও জ্ঞানী ছেলে মেয়েরা সময় নষ্ট মনে করে অনেকে দূরে সরে রয়েছে।তুলনা মুলক জ্ঞান আহরনের মুর্খ স্থান পেইজ বুক হতে পারে, এই ধারনা টুকু আমরা তাদের দিতে অপরাগ। জামাত শিবিরের এমন কোন পরিবার নেই যেই পরিবারে সদস্য সংখ্যার চাইতে নামে বেনামে দ্বিগুন আই,ডি নেই।সর্বক্ষন মেয়েরা প্রগতিশীল ছেলেদের ,যারা কিছু কিছু লিখা লিখি করে, তাঁদের সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করে অযথা চ্যাটিং এ ব্যাস্ত রাখে,এক সময় মগজ ধোলাই করে প্রগতির ধারা থেকে বিচ্যুত করার প্রয়াস চালায়।অনেক ক্ষেত্রে সফল আবার অনেক ক্ষেত্রে বিফল হয়।তাতে তাদের চেষ্টায় কোন ঘাটতি দেখা যায়না। সুতারাং পরিশেষে বলতে চাই, এক বা একাদিক উদাহরনকে সামনে রেখে কুচক্রি মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে যখন তখন যে কোন দাবী উত্থাপন থেকে বিরত থাকুন,অপপ্রয়োগ কারীদের প্রতি নিন্দা জানান,আইনী ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান,বাতিলের দাবী করা সমচিন নহে। "" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা""

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন