ষড়যন্ত্র কারীরা থেমে নেই,একই সুতায় গাঁথা। ==================>===========   ১৯৭২/৭৫--২০১৩/১৫ বৈশিষ্ট এক ও অভিন্ন। ____ গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে। দেশের মানুষ অতীতে কখনো একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। তিনি বলেন, গায়ের জোরে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।     বঙবধুর আদর্শ অনুস্মরন করলে দেশ আরো আগেই, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হত।শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ড, কামাল হোসেন।    তত্বাবধায়ক  সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।বেগম খালেদা জিয়া,।   অবিলম্বে যে কোন নামে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে মধ্যবর্তি নির্বাচনের  ব্যবস্থা করার জন্য আমি আহব্বান জানাচ্ছি।খালেদা জিয়া।   এই সরকার কোন উন্নয়ন করতে পারেনি,আইন শৃংখলার চরম অবনতি দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন।উন্নয়ন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যখন ছিল,তখন হয়েছে। হোসেইন মোহাম্মদ  এরশাদ।   আমি যাহা পারিনি,হাসিনা তা পেরেছে।তিস্তার বুকে আর গরুর গাড়ী চলবে না। কোরান ও সুন্নার বিরুদ্ধে আইন করে এই সরকার মসুলমানের কলিজায় আঘাত দিয়েছে,এই নাস্তিক,ইসলাম বিদ্বেশি সরকার পদ ত্যাগ করতে হবে। সফি হুজুর    ছাত্র লীগ যুব লীগ আমাদের শত্রু নয়।আমরা তাঁদের সাথে মিলে মিশে থাকতে কোন আপত্তি নেই। সফি হুজুর।      জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমার বাবা।আমাকে তিনি নতুন জীবন দান করেছেন।বেগম খালেদা জিয়া(১৯৭২)   ১৫ই আগষ্ট আমার জম্ম দিন আড়ম্বরতার সহিত পালন করা হবে। খালেদা জিয়া (১৯৯৬)    জাতির জনকের জম্ম না হলে স্বাধীন বাংলা দেশের উদ্ভব হত না।,জনাব মওদুদ আহম্মদ।   মেজর জিয়া স্বাধিনতার ঘোষনা না দিলে,দেশ স্বাধীন হত না।মওদুদ আহম্মদ।    স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বঙ্গ বন্ধু ১৯৬৬ সালেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রিক নিউক্লিয়াস   গঠন করে দিয়েছেন।আর তখন থেকেই মুলত আমাদের প্রস্তুতি  শেখ মনির নেতৃত্বে শুরু করি। আ,স,ম,আবদুর রব।   ৭ই মার্চের ভাষন বঙ্গবন্ধু ৩২নং বাড়ীর লনে হাঁটতে হাঁটতে মুখস্ত করেছিলেন। আ,স,ম,আবদুর রব সাম্প্রতিক।     ১৯৭২ /৭৫ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান,দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে,দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নের জন্য বাকশাল পদক্ষেপ। সেনাবাহীনির পক্ষ থেকে আমি সর্বান্তকরনে সমর্থন করছি।আপনিও এই মহতি উদ্যোগের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্য অনুরুধ জানাচ্ছি।জি,ও সি জিয়াউর রহমান,সিভিল কর্মকর্তাদের লিখিত চিঠিতে ১৯৭৫.ইং সালে।   শেখ মজিবের একদলীয় শাষন থেকে উত্তরনের জন্য শিঘ্রই হাঁ-না ভোটের আয়োজন করব। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ইং।     আমার বাবা কে কবরে রেখে আমি উপরে গিয়ে কি করবো,তোমরা আমারে সহ মাটি চাপা দিয়ে দাও।জাতির জনকের পিতা মারা গেলে কবর থেকে উঠতে বললে খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ।     গনতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাষন কায়েম করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনি শেখ মজিবকে হত্যা করেছে।আজ থেকে  বাংলা দেশ ইসলামী  প্রজাতন্ত্র  হবে। খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ ১৯৭৫ ইং।      ১৯৭২ ইং সালের আগষ্ট/সেপ্টেম্বর হতে ১৯৭৪ইং সালের নভেম্বর /ডিসেম্বর পয্যন্ত দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত দল সমুহ করেছিল ঠিক ২০১৩ইং সালের জুন/জুলাই থেকে আজ পয্যন্ত একই কায়দায় বর্তমানের বিরুদীদল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত দল সমুহ করে, একই পরিবেশ  সৃষ্টি করার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।তখন বিরুধী দল যে কায়দায় অরাজগতা সৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছিল ঠিক একই কায়দায় বর্তমানের বিরুধি দল থেকেও লক্ষ করা যাচ্ছে।   তখন যেমন একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নেতা ধরা কে স্বরাজ্ঞান মনে করে যা ইচ্ছে তাই করেছে,এখনও তদ্রুপ একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নেতা ধরাকে স্ব্ররাজ্ঞান  ভেবে যা মন চাইছে তাই করে যাচ্ছে।    তখন যেমন বঙ্গবন্ধুর একান্ত আপঞ্জনকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে এবং নেত্রীর একান্ত আপঞ্জনকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।    তখন যেমন একশ্রেনীর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী জাতির জনকের পিতার জন্য  কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিয়েছিলেন,এখন ও একশ্রেনীর মন্ত্রী নেতারা জননেত্রীর বাবার জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন।    তখন যেমন বাকশালে যোগ দেয়ার জন্য হিড়িক পড়েছিল,এখন ও ডিজিটাল বাংলা দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার হিড়িক পড়েছে।   তখন ও দলের অভ্যন্তর থেকে বাকশালের স্বপ্ন বাস্তবায়নের তেমন বিরুধিতা হয়নি,এখনও ডিজিটাল বাংলা দেশ গড়ার  স্বপ্নের তেমন বিরুধিতা হয়েছে বা হচ্ছে  শুনা যায়নি।   তখন যেমন ত্যাগি নেতাকর্মিদের কোন মুল্যায়ন ছিল না,এখনও তথৈবচ।তখন যেমন বঙ্গবন্ধু নেতাদের উপর বিরক্ত হয়ে হুমকি দিতেন কিন্তু ব্যবস্থা নিতেন না।এখনও জননেত্রী প্রত্যহ হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন,কোন  দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে  দেখা যায়নি।তখনও নেতাদের খাবি খাবি ভাব,এখনও তেমনি ভাব রয়েছে আগের তুলনায় আরও বেশি।    তখনও অর্ধ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত রক্ষী বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বহু নেতাকে পঙ্গু করে দিয়েছিলেন,এখনও তাঁর ব্যাতিক্রম হচ্ছে বলে মনে হয় না।তখনও রক্ষি বাহিনী থেকে বাঁচাতে বঙ্গবন্ধুর নিকট ধরনা দিতে হয়েছে,অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মি,সাহিত্যিক সাংবাদিকদের র‍্যাব এরং ডি,বির হাত হতে বাঁচাতে জননেত্রীর নিকট ধরনার প্রয়োজন হতে পারে। তখন কেবিনেট মন্ত্রীদের চাইতে অন-অনুমোদিত কিচেন মিনিষ্টারদের দাপট অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল,এখন ও জননেত্রীর কিচেন কেবিনেটের দাপুটে মন্ত্রীদের নিকট--,প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রীরা জিম্মি বলে অনুমেয়। জাতির পিতাকে যেমনিভাবে চাটুকারেরা ঘেরাও করে প্রকৃত অবস্থা জানার সুযোগ দেয়নি,এখন তা আরও তিব্র আকার ধারন করেছে বলেই মনে হয়।জাতির জনক প্রকাশ্য জনসভায় তাঁদের ব্যাঙ্গ করে হাজার কথা বলেও পিছু হঠাতে না পেরে, শ্রেষ্ঠ চাটুকারের মুল ষড়যন্ত্রে প্রান দিতে হয়েছে,বর্তমানে জননেত্রীও প্রকাশ্যে বহু কথাই বলছেন,ফললাভ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। '৭৩এর নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধুর ইমেজে বহু অপদার্থ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে গিয়েছিলেন,বর্তমানেও বহু সন্ত্রাসী, মাস্তান,অপদার্থ জননেত্রীর কৌশলে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। জাতির পিতার সময়েও বহু বাংলাদেশের বিরুদিতা কারী রাজাকার দালাল বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল,বর্তমানেও লুটপাট,বোমা হামলা, মানবতা বিরুধি বিচারের সম্মুখিন হওয়ার ভয়ে, বহু নেতাকর্মি বাংলাদেশের শত্রু দেশ সমুহে পালিয়ে আছে।তখন তাঁরা যেমন বিদেশী রাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুধিতা করেছে এখন ও তাঁরা একই কায়দায় ঠিকই লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুধিতার পথ বেঁচে নিয়েছে।তখন কো -অডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন গোলাম আযম,এখন সেই দায়িত্ব পালন করছেন ড,ইউনূস সাহেব। জাতির জনক ও খড়া,অতিবৃষ্টি অনাবৃস্টি,দুর্ভিক্ষের চোঁবল থেকে রক্ষা করে দেশকে স্থিতাবস্থায় এনে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন,বর্তমানেও মানব সৃষ্ট দুর্ভিপাক থেকে জননেত্রী দৃডতা, অসীম সাহস,প্রখর রাজনৈতিক জ্ঞান, দৃশ্যত বিচক্ষনতা দিয়ে দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাবাবিক পয্যায় নিয়ে এসেছেন,তখন প্রভাব শালী মন্ত্রী এম,পিরা পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের নিগৃহিত করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। '৭২ থেকে ৭৫ পয্যন্ত যেমন দায়িত্বশিল দেশপ্রেমিক বিরুধিদলের অভাব জাতি তিব্র ভাবে অনুভব করেছে, বর্তমানেও জাতি শক্তিশালি, দায়িত্ব শীল,দেশপ্রেমিক বিরুধি দলের তিব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। বিরুধীদলের সংকটের কারনে জাতীর জনককে দেশ হারিয়েছে,রক্ষীবাহিনী যথেচ্ছ ভাবে পরিক্ষিত,ত্যাগি মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের উপর অকথ্য নিয্যাতন করার সুযোগ পেয়েছিল,এখন ও শক্তিশালী বিরুধী দল না থাকার কারনে,বিরুধী দল দায়িত্ব শীল ভুমিকা পালন না করার কারনে, বদির মত অপদার্থ অনেক এমপি নির্বাচিত হয়ে,কোথাও কোথাও রাজাকারের বংশদবদ কুলংগার নির্বাচিত হয়ে, প্রবীর শিকদারের মত পরিক্ষিত নেতা, ,যুদ্ধে যার একটি পাও হারিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেন,যার পরিবার থেকে একক ভাবে ১৪জন শহিদ হয়েছেন, একজন প্রতিষ্ঠিত কলম সৈনিক কে; ,রাজাকারের নির্দেশে চোরের মত হাত কড়া পড়িয়ে পুলিশ নিয়ে এসেছে, তাঁর প্রতি ঘৃনা, ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।! যদি কোন নেতা জনগনের সমালোচনা সহ্য করতে না পারেন,তিনি বহু দলীয় গনতন্ত্রে রাজনীতি করার জন্য এলেন কেন? এতক্ষমতার উৎস কোথায় মানুষ জানে।এখন তথ্যপ্রযুক্তির যোগ,এমন কোন বিষয় নেই যাহা ম্মানুষ জানবে না।জ্ঞানবিজ্ঞানের যখন উন্নিতিও হয়নি, রঙিন ছবি কি জানতো না, তখন ও সচিত্র রঙিন ছবি সহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জিবনের, বহু ছবি ও ভিডি,ও ক্লিপ ফ্রান্স,জার্মানী,আমেরীকায় পাওয়া গেছে।আরও বহু তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপরে স্বাধীনতার পরের এবং বর্তমানের বিরুধীতা করার ধরন,চারিত্রিক বৈশিষ্ট,উদ্দেশ্য আদর্শ,বৈদিশিক সংযোগ,অর্থ যোগান দাতা,প্রভৃতি বিষয়ে আপাত কোন পরিবর্তন হয়েছে বলে ধারনা করার কোন সুযোগ নেই।জাতীর পিতার সময়ে,দলে যেমন দুষ্টচক্রের আধিপত্য দেখা যেত,শেষ পয্যন্ত জীবন দিয়ে সত্যতা প্রমান করতে হয়েছে,তদ্রুপ বর্তমানেও ধারনা করা যায়,নেত্রীর মৃত্যু ছাড়া প্রমান করা যাবে না,নেত্রীকে দুষ্ট চক্র ঘেরাও করে রেখেছে। ভারতে ১৯৭৪ইংরেজীতে, নকশালদের উৎপাত বৃদ্ধি পেলে,রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যেও দুরত্ব সৃষ্টি হলে,কুচক্রি মহল জরুরী অবস্থা জারী করায়।উক্ত ষড়যন্ত্রে তাঁরই পুত্র সঞ্জয় গান্ধী সরাসরি জড়িত ছিলেন।জরুরী অবস্থায় দুই বছরে, নীজ দলের যুব কংগ্রেসের নেতাদের এতবেশী নিপিড়ন করা হয়,অনেকেই মারা যায়,বহু নেতা(--সকল অংগ সংগঠনের) পুঙ্গুত্ব বরন করে।বহু ব্যবসায়ী চাঁদার দাবি পরিশোধ করতে না পেরে' বিদেশে পাড়ি জমায়।সমস্ত অঘটন তাঁর আপন পরিবারের সদস্যের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়।সংঙ্গত কারনে গান্ধী পরিবারের মুল নেতৃত্ব দুইজনেই আততায়ীর হাতে নিহত হন।সর্বভারতীয় দল আঞ্চলিক দলের পয্যায় থেকেও খারাপ অবস্থায় নিপতিত হয়।কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী একক দল ছিল।সেখানেও দায়িত্বশীল সর্বভারতীয় বিরুধীদলের অনুপস্তিতির কারনেই,শীর্ষ তিন নেতা শুধু গান্ধী পরিবার থেকেই প্রান দিতে হয়। ভারতের রাজনৈরিক ধারা আর আমাদের রাজনৈতিক ধারায় বিস্তর ফারাক আছে।তাঁরা মুলত পশ্চিমা গনতন্ত্রের বহুদলীয় পদ্ধতি অনুস্মরন করে বিভিন্ন জাতিগোষ্টিকে শাষন শোষন অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।অন্য কোন প্রচলিত পদ্ধতিতে ভারত শাষন করা যেতনা।গনতন্ত্র, বহুদলীয় ধারনা স্বাধীনতা কামি আন্দোলন দমন করার মোক্ষম হাতিয়ার।সৌভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে রাজ্যগুলিকে একত্রে ধরে রাখতে পারেনি।চিনে একই জাতি গোষ্টির দেশ বিধায় এখন ও টিকে আছে। সাম্রাজ্যবাদের পরোক্ষ শাষন অব্যাহত রাখার জন্য স্বাধিনতার পর যেই নিয়ম রীতি নীতি অনুস্মরন করে জাতির জনকের পরিবার সহ হত্যা করেছে,এখন সেই একই কায়দায় তাঁর কন্যাকেও হত্যার পরিকল্পনায় দলের ভিতরে শতশত মোস্তাক টাকা দিয়ে ভাড়া করে রেখেছে।তাঁরাই মুলত বিরুধি দলে গেলে রাজপথে,সরকারী দলে এলে দলের অভ্যন্তর, সেনাসদস্য,জঙ্গির মাধ্যমে হত্যার চক বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।সবকিছুই কাকতালিয় ভাবে মিলে যাওয়ার অন্য কোন কারন আছে বলে আমি মনে করি না। ইন্দিরা গান্ধির মত দিনের পর দিন সত্য জানানোর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে, তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথ আর ও সাবলিল হবে অসুবিধা কি।১৪/১৫ জন জলজ্যন্ত মানুষ দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে যে পরিবার থেকে জীবন দিতে পারে,সেই পরিবারের একজন সদস্য ফৌজদারী অপরাধেও হাতকড়া পরাতে হবে কেন?পঙ্গু সাংবাদিক কি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল?নিজামি দেলুরা ভাল পা নিয়েও বুঝি দৌড়াতে পারেনা? সকল সচেতন মানুষকে আহব্বান জানাব এই পরিস্থিতির কঠোর ধৈয্যের সংগে মোকাবেলা করতে হবে,সামান্য ভুলের কারনে জননেত্রীর প্রান সংহারের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।অনলাইন অপ-লাইনের সকল সচেতন ভাইদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সোচ্ছার হওয়ার আহব্বান জানাই।ইনশাল্লা প্রবীর দাদার কিছুই হবে না।লাখো লাখো মুক্তিকামি জনতার দোয়া তাঁর প্রতি থাকবে।এই জনতাকে যেদিন সংগঠিত করা যাবে ,সেই দিন গলা ধাক্কা দিয়ে সুদাসদন,বঙ্গভবন,ধানমন্ডি, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে মোস্তাক চক্রকে বের করে দিয়ে, জননেত্রীকে প্রগতির চালিকাশক্তির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জীবন রক্ষা করা হবে।ঠিক ২১শে আগষ্ট যেভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। "" জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশ্রত্ম শেখ হাসিনা"          

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা