ষড়যন্ত্র কারীরা থেমে নেই,একই সুতায় গাঁথা। ==================>===========   ১৯৭২/৭৫--২০১৩/১৫ বৈশিষ্ট এক ও অভিন্ন। ____ গণফোরাম সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে। দেশের মানুষ অতীতে কখনো একদলীয় শাসন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নেবে না। তিনি বলেন, গায়ের জোরে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।     বঙবধুর আদর্শ অনুস্মরন করলে দেশ আরো আগেই, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হত।শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ড, কামাল হোসেন।    তত্বাবধায়ক  সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।বেগম খালেদা জিয়া,।   অবিলম্বে যে কোন নামে নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে মধ্যবর্তি নির্বাচনের  ব্যবস্থা করার জন্য আমি আহব্বান জানাচ্ছি।খালেদা জিয়া।   এই সরকার কোন উন্নয়ন করতে পারেনি,আইন শৃংখলার চরম অবনতি দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন।উন্নয়ন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যখন ছিল,তখন হয়েছে। হোসেইন মোহাম্মদ  এরশাদ।   আমি যাহা পারিনি,হাসিনা তা পেরেছে।তিস্তার বুকে আর গরুর গাড়ী চলবে না। কোরান ও সুন্নার বিরুদ্ধে আইন করে এই সরকার মসুলমানের কলিজায় আঘাত দিয়েছে,এই নাস্তিক,ইসলাম বিদ্বেশি সরকার পদ ত্যাগ করতে হবে। সফি হুজুর    ছাত্র লীগ যুব লীগ আমাদের শত্রু নয়।আমরা তাঁদের সাথে মিলে মিশে থাকতে কোন আপত্তি নেই। সফি হুজুর।      জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমার বাবা।আমাকে তিনি নতুন জীবন দান করেছেন।বেগম খালেদা জিয়া(১৯৭২)   ১৫ই আগষ্ট আমার জম্ম দিন আড়ম্বরতার সহিত পালন করা হবে। খালেদা জিয়া (১৯৯৬)    জাতির জনকের জম্ম না হলে স্বাধীন বাংলা দেশের উদ্ভব হত না।,জনাব মওদুদ আহম্মদ।   মেজর জিয়া স্বাধিনতার ঘোষনা না দিলে,দেশ স্বাধীন হত না।মওদুদ আহম্মদ।    স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বঙ্গ বন্ধু ১৯৬৬ সালেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রিক নিউক্লিয়াস   গঠন করে দিয়েছেন।আর তখন থেকেই মুলত আমাদের প্রস্তুতি  শেখ মনির নেতৃত্বে শুরু করি। আ,স,ম,আবদুর রব।   ৭ই মার্চের ভাষন বঙ্গবন্ধু ৩২নং বাড়ীর লনে হাঁটতে হাঁটতে মুখস্ত করেছিলেন। আ,স,ম,আবদুর রব সাম্প্রতিক।     ১৯৭২ /৭৫ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান,দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে,দেশের আর্থসামজিক উন্নয়নের জন্য বাকশাল পদক্ষেপ। সেনাবাহীনির পক্ষ থেকে আমি সর্বান্তকরনে সমর্থন করছি।আপনিও এই মহতি উদ্যোগের সাথে সংহতি প্রকাশ করার জন্য অনুরুধ জানাচ্ছি।জি,ও সি জিয়াউর রহমান,সিভিল কর্মকর্তাদের লিখিত চিঠিতে ১৯৭৫.ইং সালে।   শেখ মজিবের একদলীয় শাষন থেকে উত্তরনের জন্য শিঘ্রই হাঁ-না ভোটের আয়োজন করব। মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ইং।     আমার বাবা কে কবরে রেখে আমি উপরে গিয়ে কি করবো,তোমরা আমারে সহ মাটি চাপা দিয়ে দাও।জাতির জনকের পিতা মারা গেলে কবর থেকে উঠতে বললে খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ।     গনতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাষন কায়েম করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনি শেখ মজিবকে হত্যা করেছে।আজ থেকে  বাংলা দেশ ইসলামী  প্রজাতন্ত্র  হবে। খোন্দকার মোস্তাক আহম্মদ ১৯৭৫ ইং।      ১৯৭২ ইং সালের আগষ্ট/সেপ্টেম্বর হতে ১৯৭৪ইং সালের নভেম্বর /ডিসেম্বর পয্যন্ত দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত দল সমুহ করেছিল ঠিক ২০১৩ইং সালের জুন/জুলাই থেকে আজ পয্যন্ত একই কায়দায় বর্তমানের বিরুদীদল ও নিষিদ্ধ ঘোষিত দল সমুহ করে, একই পরিবেশ  সৃষ্টি করার আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।তখন বিরুধী দল যে কায়দায় অরাজগতা সৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছিল ঠিক একই কায়দায় বর্তমানের বিরুধি দল থেকেও লক্ষ করা যাচ্ছে।   তখন যেমন একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নেতা ধরা কে স্বরাজ্ঞান মনে করে যা ইচ্ছে তাই করেছে,এখনও তদ্রুপ একশ্রেনীর আওয়ামী লীগ নেতা ধরাকে স্ব্ররাজ্ঞান  ভেবে যা মন চাইছে তাই করে যাচ্ছে।    তখন যেমন বঙ্গবন্ধুর একান্ত আপঞ্জনকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে এবং নেত্রীর একান্ত আপঞ্জনকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।    তখন যেমন একশ্রেনীর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী জাতির জনকের পিতার জন্য  কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিয়েছিলেন,এখন ও একশ্রেনীর মন্ত্রী নেতারা জননেত্রীর বাবার জন্য কেঁদে কেঁদে বুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন।    তখন যেমন বাকশালে যোগ দেয়ার জন্য হিড়িক পড়েছিল,এখন ও ডিজিটাল বাংলা দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দলে দলে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার হিড়িক পড়েছে।   তখন ও দলের অভ্যন্তর থেকে বাকশালের স্বপ্ন বাস্তবায়নের তেমন বিরুধিতা হয়নি,এখনও ডিজিটাল বাংলা দেশ গড়ার  স্বপ্নের তেমন বিরুধিতা হয়েছে বা হচ্ছে  শুনা যায়নি।   তখন যেমন ত্যাগি নেতাকর্মিদের কোন মুল্যায়ন ছিল না,এখনও তথৈবচ।তখন যেমন বঙ্গবন্ধু নেতাদের উপর বিরক্ত হয়ে হুমকি দিতেন কিন্তু ব্যবস্থা নিতেন না।এখনও জননেত্রী প্রত্যহ হুমকি দিয়েই যাচ্ছেন,কোন  দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে  দেখা যায়নি।তখনও নেতাদের খাবি খাবি ভাব,এখনও তেমনি ভাব রয়েছে আগের তুলনায় আরও বেশি।    তখনও অর্ধ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত রক্ষী বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বহু নেতাকে পঙ্গু করে দিয়েছিলেন,এখনও তাঁর ব্যাতিক্রম হচ্ছে বলে মনে হয় না।তখনও রক্ষি বাহিনী থেকে বাঁচাতে বঙ্গবন্ধুর নিকট ধরনা দিতে হয়েছে,অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মি,সাহিত্যিক সাংবাদিকদের র‍্যাব এরং ডি,বির হাত হতে বাঁচাতে জননেত্রীর নিকট ধরনার প্রয়োজন হতে পারে। তখন কেবিনেট মন্ত্রীদের চাইতে অন-অনুমোদিত কিচেন মিনিষ্টারদের দাপট অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল,এখন ও জননেত্রীর কিচেন কেবিনেটের দাপুটে মন্ত্রীদের নিকট--,প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রীরা জিম্মি বলে অনুমেয়। জাতির পিতাকে যেমনিভাবে চাটুকারেরা ঘেরাও করে প্রকৃত অবস্থা জানার সুযোগ দেয়নি,এখন তা আরও তিব্র আকার ধারন করেছে বলেই মনে হয়।জাতির জনক প্রকাশ্য জনসভায় তাঁদের ব্যাঙ্গ করে হাজার কথা বলেও পিছু হঠাতে না পেরে, শ্রেষ্ঠ চাটুকারের মুল ষড়যন্ত্রে প্রান দিতে হয়েছে,বর্তমানে জননেত্রীও প্রকাশ্যে বহু কথাই বলছেন,ফললাভ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না। '৭৩এর নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধুর ইমেজে বহু অপদার্থ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে গিয়েছিলেন,বর্তমানেও বহু সন্ত্রাসী, মাস্তান,অপদার্থ জননেত্রীর কৌশলে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। জাতির পিতার সময়েও বহু বাংলাদেশের বিরুদিতা কারী রাজাকার দালাল বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল,বর্তমানেও লুটপাট,বোমা হামলা, মানবতা বিরুধি বিচারের সম্মুখিন হওয়ার ভয়ে, বহু নেতাকর্মি বাংলাদেশের শত্রু দেশ সমুহে পালিয়ে আছে।তখন তাঁরা যেমন বিদেশী রাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুধিতা করেছে এখন ও তাঁরা একই কায়দায় ঠিকই লবিস্ট নিয়োগ করে বিরুধিতার পথ বেঁচে নিয়েছে।তখন কো -অডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন গোলাম আযম,এখন সেই দায়িত্ব পালন করছেন ড,ইউনূস সাহেব। জাতির জনক ও খড়া,অতিবৃষ্টি অনাবৃস্টি,দুর্ভিক্ষের চোঁবল থেকে রক্ষা করে দেশকে স্থিতাবস্থায় এনে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন,বর্তমানেও মানব সৃষ্ট দুর্ভিপাক থেকে জননেত্রী দৃডতা, অসীম সাহস,প্রখর রাজনৈতিক জ্ঞান, দৃশ্যত বিচক্ষনতা দিয়ে দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাবাবিক পয্যায় নিয়ে এসেছেন,তখন প্রভাব শালী মন্ত্রী এম,পিরা পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের নিগৃহিত করার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন। '৭২ থেকে ৭৫ পয্যন্ত যেমন দায়িত্বশিল দেশপ্রেমিক বিরুধিদলের অভাব জাতি তিব্র ভাবে অনুভব করেছে, বর্তমানেও জাতি শক্তিশালি, দায়িত্ব শীল,দেশপ্রেমিক বিরুধি দলের তিব্র প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। বিরুধীদলের সংকটের কারনে জাতীর জনককে দেশ হারিয়েছে,রক্ষীবাহিনী যথেচ্ছ ভাবে পরিক্ষিত,ত্যাগি মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের উপর অকথ্য নিয্যাতন করার সুযোগ পেয়েছিল,এখন ও শক্তিশালী বিরুধী দল না থাকার কারনে,বিরুধী দল দায়িত্ব শীল ভুমিকা পালন না করার কারনে, বদির মত অপদার্থ অনেক এমপি নির্বাচিত হয়ে,কোথাও কোথাও রাজাকারের বংশদবদ কুলংগার নির্বাচিত হয়ে, প্রবীর শিকদারের মত পরিক্ষিত নেতা, ,যুদ্ধে যার একটি পাও হারিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলেন,যার পরিবার থেকে একক ভাবে ১৪জন শহিদ হয়েছেন, একজন প্রতিষ্ঠিত কলম সৈনিক কে; ,রাজাকারের নির্দেশে চোরের মত হাত কড়া পড়িয়ে পুলিশ নিয়ে এসেছে, তাঁর প্রতি ঘৃনা, ধিক্কার জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা।! যদি কোন নেতা জনগনের সমালোচনা সহ্য করতে না পারেন,তিনি বহু দলীয় গনতন্ত্রে রাজনীতি করার জন্য এলেন কেন? এতক্ষমতার উৎস কোথায় মানুষ জানে।এখন তথ্যপ্রযুক্তির যোগ,এমন কোন বিষয় নেই যাহা ম্মানুষ জানবে না।জ্ঞানবিজ্ঞানের যখন উন্নিতিও হয়নি, রঙিন ছবি কি জানতো না, তখন ও সচিত্র রঙিন ছবি সহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জিবনের, বহু ছবি ও ভিডি,ও ক্লিপ ফ্রান্স,জার্মানী,আমেরীকায় পাওয়া গেছে।আরও বহু তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপরে স্বাধীনতার পরের এবং বর্তমানের বিরুধীতা করার ধরন,চারিত্রিক বৈশিষ্ট,উদ্দেশ্য আদর্শ,বৈদিশিক সংযোগ,অর্থ যোগান দাতা,প্রভৃতি বিষয়ে আপাত কোন পরিবর্তন হয়েছে বলে ধারনা করার কোন সুযোগ নেই।জাতীর পিতার সময়ে,দলে যেমন দুষ্টচক্রের আধিপত্য দেখা যেত,শেষ পয্যন্ত জীবন দিয়ে সত্যতা প্রমান করতে হয়েছে,তদ্রুপ বর্তমানেও ধারনা করা যায়,নেত্রীর মৃত্যু ছাড়া প্রমান করা যাবে না,নেত্রীকে দুষ্ট চক্র ঘেরাও করে রেখেছে। ভারতে ১৯৭৪ইংরেজীতে, নকশালদের উৎপাত বৃদ্ধি পেলে,রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যেও দুরত্ব সৃষ্টি হলে,কুচক্রি মহল জরুরী অবস্থা জারী করায়।উক্ত ষড়যন্ত্রে তাঁরই পুত্র সঞ্জয় গান্ধী সরাসরি জড়িত ছিলেন।জরুরী অবস্থায় দুই বছরে, নীজ দলের যুব কংগ্রেসের নেতাদের এতবেশী নিপিড়ন করা হয়,অনেকেই মারা যায়,বহু নেতা(--সকল অংগ সংগঠনের) পুঙ্গুত্ব বরন করে।বহু ব্যবসায়ী চাঁদার দাবি পরিশোধ করতে না পেরে' বিদেশে পাড়ি জমায়।সমস্ত অঘটন তাঁর আপন পরিবারের সদস্যের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়।সংঙ্গত কারনে গান্ধী পরিবারের মুল নেতৃত্ব দুইজনেই আততায়ীর হাতে নিহত হন।সর্বভারতীয় দল আঞ্চলিক দলের পয্যায় থেকেও খারাপ অবস্থায় নিপতিত হয়।কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী একক দল ছিল।সেখানেও দায়িত্বশীল সর্বভারতীয় বিরুধীদলের অনুপস্তিতির কারনেই,শীর্ষ তিন নেতা শুধু গান্ধী পরিবার থেকেই প্রান দিতে হয়। ভারতের রাজনৈরিক ধারা আর আমাদের রাজনৈতিক ধারায় বিস্তর ফারাক আছে।তাঁরা মুলত পশ্চিমা গনতন্ত্রের বহুদলীয় পদ্ধতি অনুস্মরন করে বিভিন্ন জাতিগোষ্টিকে শাষন শোষন অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য।অন্য কোন প্রচলিত পদ্ধতিতে ভারত শাষন করা যেতনা।গনতন্ত্র, বহুদলীয় ধারনা স্বাধীনতা কামি আন্দোলন দমন করার মোক্ষম হাতিয়ার।সৌভিয়েত ইউনিয়ন সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে রাজ্যগুলিকে একত্রে ধরে রাখতে পারেনি।চিনে একই জাতি গোষ্টির দেশ বিধায় এখন ও টিকে আছে। সাম্রাজ্যবাদের পরোক্ষ শাষন অব্যাহত রাখার জন্য স্বাধিনতার পর যেই নিয়ম রীতি নীতি অনুস্মরন করে জাতির জনকের পরিবার সহ হত্যা করেছে,এখন সেই একই কায়দায় তাঁর কন্যাকেও হত্যার পরিকল্পনায় দলের ভিতরে শতশত মোস্তাক টাকা দিয়ে ভাড়া করে রেখেছে।তাঁরাই মুলত বিরুধি দলে গেলে রাজপথে,সরকারী দলে এলে দলের অভ্যন্তর, সেনাসদস্য,জঙ্গির মাধ্যমে হত্যার চক বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।সবকিছুই কাকতালিয় ভাবে মিলে যাওয়ার অন্য কোন কারন আছে বলে আমি মনে করি না। ইন্দিরা গান্ধির মত দিনের পর দিন সত্য জানানোর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারলে, তাঁদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পথ আর ও সাবলিল হবে অসুবিধা কি।১৪/১৫ জন জলজ্যন্ত মানুষ দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে যে পরিবার থেকে জীবন দিতে পারে,সেই পরিবারের একজন সদস্য ফৌজদারী অপরাধেও হাতকড়া পরাতে হবে কেন?পঙ্গু সাংবাদিক কি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল?নিজামি দেলুরা ভাল পা নিয়েও বুঝি দৌড়াতে পারেনা? সকল সচেতন মানুষকে আহব্বান জানাব এই পরিস্থিতির কঠোর ধৈয্যের সংগে মোকাবেলা করতে হবে,সামান্য ভুলের কারনে জননেত্রীর প্রান সংহারের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।অনলাইন অপ-লাইনের সকল সচেতন ভাইদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সোচ্ছার হওয়ার আহব্বান জানাই।ইনশাল্লা প্রবীর দাদার কিছুই হবে না।লাখো লাখো মুক্তিকামি জনতার দোয়া তাঁর প্রতি থাকবে।এই জনতাকে যেদিন সংগঠিত করা যাবে ,সেই দিন গলা ধাক্কা দিয়ে সুদাসদন,বঙ্গভবন,ধানমন্ডি, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে মোস্তাক চক্রকে বের করে দিয়ে, জননেত্রীকে প্রগতির চালিকাশক্তির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জীবন রক্ষা করা হবে।ঠিক ২১শে আগষ্ট যেভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল। "" জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশ্রত্ম শেখ হাসিনা"          

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন