আওয়ামী লীগের কতিপয় দুবৃত্ত বঙ্গরত্মের মানচিত্র পরিবর্তনের সাফল্যকেও ম্লান করে দিল---- _____________________________________________ কোন দেশের জনসম্পৃত্ত রাজনৈতিক দলের একমেয়াদে একটি সাফল্যই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে যথেষ্ট।অতিব দু:খ্যের বিষয় বর্তমান সরকারের শত সাফল্য জাতির ললাটে যুক্ত করেও জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা চক্রান্ত রুখতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের হত্যা পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জনগনের স্বত:স্ফুর্ত গনজাগরন সৃষ্টি হয়নি , প্রতিবাদ হয়নি, প্রতিরোধ হয়নি। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি- 'তার একমাত্র কারন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অতি অল্প সংখ্যক দুবৃত্তের দুবৃত্তায়নে সরকারের সকল সাফল্যকে ম্লান করে দেয়া।' বঙ্গরত্ম শেখ হাসিনার সর্বচ্ছ আন্তরিকতা দিয়ে দেশকে উন্নতি ও অগ্রগতির শীর্ষে নিয়ে গেলেও জনমানসে তাঁর প্রভাব পরিদৃষ্ট হচ্ছেনা-' ঐ সমস্ত জেলা উপজেলায় দায়িত্বরত দলীয় দুবৃত্তদের অপকর্মের কারনে"। জাতির জনকের কন্যার দুরদর্শী নেতৃত্বে তেমনি এক শ্রেষ্ঠ সাফল্য 'মানচিত্র পরিবর্তন'।বিশ্বের একটি দেশও খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যে দেশ একটি সাইমানা পিলারের অবস্থান দুই ইঞ্চি পরিবর্তনের জন্যেও যুদ্ধ বিগ্রহ করা লাগেনি।সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান সীমারেখার প্রায় সমপরিমান সীমারেখার ভুখন্ড একটি গোলা বারুদের কণা খরছ ব্যতিরেকে শুধুমাত্র দুরদর্শিতা দিয়ে অর্জন করেছেন জাতির জনকের কন্যা। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি একটি দেশ ও জাতির জন্য আর কি হতে পারে? বাংলাদেশের বর্ধিত ভূখন্ডের নতুন সীমানা অংকিত মানচিত্র সর্বত্র প্রকাশ এবং বহুল প্রচার ও হয়নি।সবাই সবার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত,এতবড় সাফল্য তুলে ধরে জনগনকে সংগঠিত করার সময় কোথায়? অথছ বর্তমান সরকারের সাফল্যের এবং নানাবিধ অর্জনের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হল বাংলাদেশের 'নতুন সীমানা' বা সদ্য প্রকাশিত 'নতুন মানচিত্র'। এটা এখন সূর্য্যালোকের মত সত্যি যে, এ অর্জন কোন সাধারণ অর্জন নয়। একটি স্বাধীন দেশের পুরো মানচিত্রে নতুন ভূ-খন্ড এবং জলাভুমি সংযুক্তি সাধারন ব্যাপার নয়। মানচিত্র বদলের সাথে সাথে বদলে গেছে ৪৫ বছরের পুরাতন মানচিত্রের সীমানা রেখা, বদলে গেছে পুরো জাতীর ভবিষ্যৎ। ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়, অ-দখলীয় জমি একে অপরের কাছে হস্তান্তর, সাড়ে ছয় কিলোমিটার সীমান্ত চিহ্নিত হওয়ার পর এখন দুই দেশের নতুন করে মানচিত্র তৈরি করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নব সূচনা। তবে এখনো সর্বত্র প্রকাশ এবং বহুল প্রচারের অভাবে সাধারণ জনগণ জানতে পারেনি সীমানায় নতুন করে পাঁকাপিলার বসানোর ভারত-বাংলাদেশ এর সর্বশেষ সীমান্ত রেখা সম্পর্কে। তেমন ভাবে জানতে পারেনি জমি বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার রাজ্য- আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানারেখায় পরিবর্তিত সীমারেখা সম্পর্কেও। ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তানের সীমানার একটি খসড়া দিয়ে বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তরেখা করা হয়েছিল। এরপর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়ার পরও বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা রয়েই যায়। এ সমস্যা নিরসনে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধী একটি চুক্তি করেছিলেন।সেই বিখ্যাত চুক্তির নাম ভারত -বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি যাহা 'ইন্দিরা-মুজিব মৈত্রী চুক্তি' হিসেবে খ্যাত। তবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ওই চুক্তি কার্যকরের সব প্রক্রিয়া সেরে উঠতে পারেনি ভারত কিন্তু ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে এ চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তর হয় দুদেশের মধ্যে। এরপর জানানো হয় গত বছর ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়। যার ফলে বিরাট পরিবর্তন এসেছে দুই দেশের মানচিত্রেও। বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অবশ্য এই প্রসঙ্গে ২০১৫ সালে বলেছিলেন , "দুদেশের মধ্যে স্থল সীমান্ত চুক্তি বিনিময়ের ফলে কোথাও ভারতের সীমানারেখা বাংলাদেশের বর্তমান সীমানার ভেতর ঢুকে যাবে। আবার কোথাও বাংলাদেশের আগের জমি ভারতে চলে যাবে। " এবং হয়েছে ও ই, আর এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের আয়তন কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে এটা এখন কমবেশী সকলেই আন্দাজ করছে। তবে কিছু সংখ্যক সচেতন মানুষ ছাড়া, ব্যাপক প্রচারণার অভাবে এখনো দেশের অনেকেই জানেনা সেই নতুন ভাবে আঁকা মানচিত্রের সম্পর্কে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ইন্দিরা-মুজিব মৈত্রী চুক্তির আলোকে চিটমহল বিনিময় চুক্তি সংগঠিত হয় মৌদি-হাসিনার হাত ধরে।এই মৈত্রী চুক্তি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশের সর্বমহল হতে দেশরত্ম উপাধি পেলেও মুল কারিগর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরুধীদের অপপ্রচারের শিকার হয়ে স্বপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাফল্যগাঁথা, সুদুরপ্রসারি চিন্তা চেতনার ফসল 'মৈত্রীচুক্তি" অংশবিশেষ' চিটমহল বিনিময়'। তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাফল্যে রচিত সম্পুর্ণ নতুন করে আঁকা সোনার বাংলার মানচিত্র দেখলে গর্বে বুক ফুলে উঠবেনা এমন বাঙ্গালী একজনও পাওয়া যাবেনা।অতিব দু:খ্যের সংগে বলতে হচ্ছে নিরানব্বই শতাংশ মানুষ এখন পয্যন্ত নতুন অঙ্কিত মানচিত্র দেখেনি, শুনেনি, জানেওনা। শুধু মাত্র ব্যাপক প্রচার প্রচারণার অভাবেই এমনটি হয়েছে মনে করি। বড় একটি অর্জন 'সমুদ্রসীমা' মামলায় নেদারল্যান্ড এর স্থায়ী সালিশি আদালতের রায়ে বঙ্গোপসাগরে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র এলাকা পায় বাংলাদেশ। বাকি ছয় হাজার ১৩৫ বর্গকিলোমিটার পেয়েছে ভারত। গত ২০১৪ সালের ৭ জুলাই এই ঐতিহাসিক রায় পাওয়া যায়।অখন্ড পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশের কোন সরকার আদৌ কোন দিন যা চিন্তাও করেনি সমুদ্রে বাংলাদেশের এত বিশাল পরিমান জলাশয় বেহাত হয়ে আছে যুগের পর যুগ। তার আগে মিয়ানমারের সঙ্গে রায়ে বাংলাদেশ পায় ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটার নতুন জলাশয়। "" সবসাকুল্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তন সমৃদ্ধ নতুন যুক্ত বাংলাদেশের মানচিত্র।১৯৭১ ইং সালের সার্বভৌম বাংলাদেশের যাহা দ্বিগুনের কাছাকাছি।"" অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশের মানচিত্রে যোগ হয়েছে আরো নীট ১০ হাজার ৫০ একর জমি। বাংলাদেশের নতুন মানচিত্র যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়াই অর্জন। এই নতুন মানচিত্র কতবড় বিশাল অর্জন তা সকলের অনুধাবন করার যোগ্যতাও হয়ত নেই। সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের নতুন মানচিত্রের ছবি এবং তথ্য ব্যাপক ভাবে খবরের কাগজ, ইলেকট্রোনিক মিডিয়া এবং অনলাইন মাধ্যমে দেশবাসিকে জানানোর জন্য সদাশয় সরকার, দায়িত্বরত: তথ্য মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সেলকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। স্বাধীনতার ৪৫ বছর বহু আন্দোলন,সংগ্রাম, অসংখ্য স্বাধীনতা প্রীয় মানুষের আত্মত্যাগের পর আজ বাংলার মানুষের প্রাণের দাবী রাজাকার মুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রাপ্তির শুভক্ষনে--নতুন মানচিত্র পাওয়ার আনন্দ নতুন প্রজর্মকে বদলে দিতে পারে তাঁদের ৪৫বছর স্বাধীনতা বিরুধী রাজাকার, জাতির জনকের খুনীচক্রের ধোলাই করা মননকে। অদ্যাবদি যারা বাংলাদেশের সকল মৌলিক সুবিধা গ্রহন করে,সার্বিক নাগরিক সুযোগ গ্রহন করেও প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের নতুন নতুন দিক উম্মোচন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত বাংলাদেশের আবহাওয়ায় হৃষ্টতা পেয়ে,স্বাধীন বাংলাদেশের ভাত হজম করে বেড়ে উঠে যাদের পরাজিত করে স্বাধীনতা এনেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধারা সেই পাকিস্তানী হায়নাদের নীতি আদর্শ, স্বপ্ন বাস্তবায়নে এখনও অহরাত্র ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জাতির পিতার বদন্যতায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের সমনাগরিক সুবিদা সহ অন্যান্য সকল প্রকার বাড়তি সুবিধা নিয়েও প্রতি মুহূর্তে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে।বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচারে সদা সর্বদা লিপ্ত রয়েছে। আজ সময় এসেছে নতুন করে ষড়যন্ত্রকারিদেরকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্জিত তথ্য সহ মানচিত্র সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেয়ার, নতুন প্রজর্ম্মকে নতুন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানোর। সদাশয় জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন থাকবে, 'গুটি কতক দুবৃত্তের কারনে আপনার সরকারের যুগান্তকারি সাফল্য সমুহ বানের জলে ভেসে যাবে,কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।বহু রথি মহারথি আওয়ামী লীগ ছেড়ে, আপনাকে একা পেলে চলে গেছে,আপনার অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি।গুটি কতক দুবৃত্তকে দলছাড়া করলেও আপনার সরকারের তেমন কিছুই হবে বলে মনে করিনা।অভিলম্বে অপরাজনীতি, সন্ত্রাস, মাস্তানী, দুবৃত্তায়ন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করুন।বাংলার জনগন আপনার পাশে থাকবে ইনশাল্লাহ। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা