খালেদা পরিবারের জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, বাঙ্গালী জাতিকে নিয়ে কটুক্তি ---মৃত্যুর আগে বাঁচার শেষ শক্তি প্রদর্শন। ___________________________________________________ মেজর জিয়া স্বরুপে আত্মপ্রকাশ করে ক্ষমতাগ্রহন করেছিলেন,জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ ছড়িয়ে চিটিয়ে দিয়েছিলেন,কোন অপবাদ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেননি,অসত্য বিকৃত সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।কিন্তু জিয়া সাহেব বক্তৃতা, বিবৃতি আচর-আচরন দিয়ে জাতির জনকের পরিবারের মহিমা ক্ষুন্ন করেনি। জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী খালেদা রাজনীতিতে আসেন।দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে ১৯৯১ ইং সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংখ্যাগরিষ্টতা পান এবং জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন।জামায়াতকে সরকারের অংশিদারিত্ব দেয়নি।সরকারে থেকে আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী মনোভাবের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে, কিন্তু জাতির জনকের পরিবারকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য,বিবৃতি দেননি।স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত কোন মন্তব্য করেনি।স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদের সংখ্যা বিতর্ক উত্থাপন করেনি।জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনাকারি বলেছেন- কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব অস্বিকার করেনি।১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে তাঁর নীজের জম্ম দিন পালন করে উল্লাস করার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন কিন্তু বিবৃতি দিয়ে, বক্তব্য দিয়ে জাতির জনকের ত্যাগের মহিমা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করেনি। একবার কোন একটা পত্রিকায় দেখেছিলাম তারেককে জিয়ার প্যান্ট কেটে সেলাই করে দেয়া হয়েছে,বিদ্যালয়ে যাওয়া আসায় সরকারি গাড়ী ব্যবহার করতে দেয়নি জিয়া।ব্যক্তিগত বা পারিবারিক গাড়ী ছিলনা জিয়া পরিবারের।জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর সত্যতা পেয়েছিলাম বাসা তল্লাসি করে যখন একটা ভাঙ্গা স্যুটকেস এবং তাঁর ভেতরে ছেঁড়া একটিমাত্র গেঞ্জী পাওয়া গিয়েছিল। আমরা হুজুগের বাঙ্গালীরা সে দিন চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।আভেগের বসে জাতি দুই ছেলের লেখাপড়া,ভরনপোষনের ভার নিয়েছিল।তাঁদের থাকার জন্য ঢাকায় সরকার একটা বাড়ী বরাদ্ধ দিয়েছিল। খালেদা জিয়া বরাদ্ধকৃত বাড়ী ভাড়া দিয়ে ক্যান্টনমেন্টে মেজর জিয়ার জন্য বরাদ্ধকৃত বাড়িতে ববসবাস করতেন। সরকারে এসে বিধি লঙন করে সেনানিবাসের বাড়ী নিজের নামে বরাদ্ধ করে নিতে ভুল করেননি। যদিও সেনানিবাসে পাবলিকের কোন বাড়ী বরাদ্ধ নেয়ার বিধান আগেও ছিলনা এখনও নেই। জাতি তাঁর দুই ছেলের ভরন পোষন, লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছিল, মাসে মাসে সরকারি বরাদ্ধ উত্তোলন করেছেন খালেদা জিয়া,প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করার পরেও উক্ত বরাদ্ধ তুলে নিতে ভুল করেননি ঠিকই কিন্তু লেখাপড়া করিয়েছেন কিনা, কতটুকু করিয়েছেন, সেই লেখাপড়া জাতির কোন উপকারে আসবে কিনা - উক্ত বিষয়গুলি জাতিকে অদ্যাবদি জানানো হয়নি। ভাবচক্করে অনুমান করা যায় খালেদা ছেলেকে বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিতই করেছেন।খালেদা জিয়ার নষ্টামীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে শিক্ষা দিয়েছেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেন্সেলর মি: ফালু সাহেব।প্রফেসর, লেকচারারের সংখ্যা গুনে দেয়া যাবেনা।অন্ধকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অন্ধকারই হয়,সময় সময় তা প্রকাশ করতে হয়।জিয়া পরিবার যা আগে প্রকাশ করেনি এখন তা প্রকাশ করছে। ‘যোগ্য পুত্র’-এর পথেই হাঁটছেন ‘যোগ্য মাতা’। যদি তা না হয়, তবে ষোলকলা পূর্ণ হবে কিভাবে! প্রবাদ বলে, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। অল্প বিদ্যা! ছোটবেলার কোনো গণ্ডমূর্খ কোনো মতে ম্যাট্রিক পাস করে যদি হাবভাবে নিজেকে জাহির করতে যেত; তবে আমরা মজা করে বলতাম, ডিগ্রি হচ্ছে টি.টি.এম.পি অর্থাৎ টেনে টুনে ম্যাট্রিক পাস। পুত্র তেমন ডিগ্রিপ্রাপ্ত। আর মাতা বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক স্তর শেষ করেছেন।এমন যাদের শিক্ষা এবং শিক্ষালয়, ইতিহাস জানা সম্পর্কে তারা কতটুকু যোগ্য তা সহজেই অনুমেয়। বিদ্যার এই জাহাজের মধ্যে যদি থাকে প্রচণ্ড লোভ লালসা, প্রতিহিংসা, তবে তা হয় সোনায় সোহাগা। লোভ ও প্রতিহিংসাজাত নিজ স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য তখন ভয়ঙ্কররা দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য ‘আপসহীন’ হয়ে ওঠে। ভয়ঙ্কর হওয়াটা তখন পৌঁছে চরমে। বলাই বাহুল্য, এই ধরনের গণ্ডমূর্খ, অতি লোভী ও প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিরা যত থাকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের উচ্চাসনে, ততই তা প্রকাশিত হয় সর্বনাশা রূপ নিয়ে। খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে এবং আরো হবে বলে ধারণা করা চলে। খালেদা জিয়া সম্যক বুঝতে পেরেছেন জামায়াত ইস্যু শেষ হওয়ার সাথে সাথে জিয়া পরিবারের উপর চড়াও হবে সরকার।তাঁর একাধিক প্রমান ইতিমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ বাঁধানোর পরিকল্পনা, সেনাবিদ্বেষ ঘটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানোর একাধিক চেষ্টা, সুদুর আমেরিকায় জয়কে হত্যা করার পরিকল্পনা, সরকার উৎখাতে ইসরাইলের সাথে চুক্তি,জাতির জনকের পরিবার বিনাশ করার একাধিক ষড়যন্ত্র ফাঁস, দুর্নীতির মামলা সমুহ সহ চলমান সরকার উৎখাতে একাধিক চেষ্টার বিচার শুরু হওয়া সময়ের ব্যাপার। খালেদা জিয়া সম্যক উপলব্দি করতে পেরেছেন, তাঁর নীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ ডিগ্রিপ্রাপ্ত যোগ্য ছেলে ইসরাইল কানেকশান সহ অতীতের একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্তি সময়ের ব্যাপার।তাঁর নীজেরও একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্তি সময়ের ব্যাপার। মামলাগুলী এমন স্পর্ষকাতর- একটা মামলার অজুহাতেও রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার উপযুক্ত নহে। দুর্নীতির মামলার অজুহাতে দেশ এবং বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্র সমুহের সহানুভুতি পাওয়ার মত অবস্থাও নেই। এমনতর পরিস্থীতিতে রাজবন্দি হিসেবে ভাবমুর্তি নিয়ে জেলে যাওয়ার পরিবেশ করাই মুল লক্ষ, অন্তত সেই পরিবেশটাই চাইতেছেন মানষিক ভাবে খালেদা গং। রাজবন্দির মায্যদা নিয়ে জেলে যেতে হলে জাতির জনক, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা ইত্যকার বিষয়ে তাঁর লাগাতার মন্তব্য করতেই হবে-যাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির মানষিক আঘাতপ্রাপ্তি ঘটে এবং জাতির জনকের কন্যারও আঁতে ঘা লাগে। সরকার অবশ্যই সেন্টিমেন্ট হবে,মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি রাজপথে নামবে, তাঁকে প্রতিরোধ করবে। তাঁরা দেশে বিদেশে মিথ্যে প্রচার করবে খালেদা জিয়াকে রাজপথে প্রতিরোধ করছে সরকারি দল। সরকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করার কারনে তাঁকে জেলহাজতে প্রেরন করেছে।অন্তত আর যাই হোক তাঁর দুর্নীতির কারনে জেলখানায় যাওয়ার বদনাম ঘোচাতে পারবে। , যেভাবেই খালেদা জিয়া অগ্রসর হোক না কেন, জনতার আদালতে এসব উক্তি ও এতদ্সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য খালেদা জিয়া কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েই আছেন। জনতার আদালতের বিচারে খালেদার শাস্তি হচ্ছে ও হতেই থাকবে। প্রবাদ বলে, প্রদীপ নেভার আগে জ্বলে বেশি। ক্ষমতা হাতছাড়া হতে থাকায় তিনি জ্বলছেন এবং নিজের আগুনে দেশ ও মানুষকে জ্বালিয়ে মারতে চাইছেন। কিছুদিন আগেও খালেদা জিয়া পাকিস্তানের মুসলিম লীগের মতো ‘ভারত’ জুজু দেখিয়ে মানুষকে মাত করতে চাইতেন। এখন সেই পথ খালেদা জিয়ার জন্য বন্ধ। এখন আছে পাকিস্তান আমলের মতোই কেবল ধর্মের জুজু। এটাও ভোঁতা হতে বসেছে। ইসলামের শত্রু ইহুদি এবং আরবদের রাষ্ট্রীয় শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে সখ্যতা করতে গিয়ে সেই পথও রুদ্ধ করেছে।তাছাড়া জাতির জনকের কন্যা মুসলিম দেশ সমুহের সন্ত্রাস বিরুধীজোটে যোগ দিয়ে এবং আরব বিশ্বের দেশ সমুহের দীর্ঘদিনের বৈরিতাহেতু বন্ধ হওয়া শ্রমবাজার খুলে যাওয়ায় আওয়ামী লীগের উপর ধর্মবিদ্বেষী মনোভাবেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।সুতারাং ধর্মের তাবিজে উলটা কাজ করার কারনে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভাবে মরতে বসেছেন।এমন পরিস্থীতিতে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ছাড়া তাঁর কোন গত্যান্তর আছে বলে আমিও মনে করিনা। বাজারে প্রবলভাবে প্রচারিত বিষয়টি হচ্ছে খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত জীবনাচারন বিষয়টি। মানুষ বলে, খালেদার জীবনাচরণ ধর্মের সঙ্গে যায় না। আর ভারসাম্য বজায় না রাখতে পারায় জাতিকে আর সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে অনেক মূল্য দিতে হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ধর্ম যাবে, এটাও মিথ্যা প্রমাণিত হতে বসেছে। এই অবস্থায় বিএনপির প্রদীপ নিভে যাওয়া ছাড়া আর উপায় কোথায়।মৃত্যুর আগে প্রতিটি জীবই শক্তির মহরৎ করে বাঁচার তাগিদে,খালেদা পরিবারের অবস্থাটাও তথৈবচ ছাড়া আর কিছুই নয়। ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

বিএনপি নেত্রীর একান্ত চেষ্টা যে কোন ভাবে পরিবেশ সৃষ্টি করা অন্তত রাজনৈতিক একটি মামলা নিয়ে হলেও জেলখানায় যাওয়া।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা