ত্রিদেশীয় জোট-- বাংলাদেশের সরকার উৎখাত এবং জাতির জনকের পরিবারকে বিনাশ করতে চায়-- ____________________________________________ বিএনপির ভিতরে বাইরে কম্পন শুরু হয়ে গেছে, খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে ইত্যাদি হুমকি ধমকি শুরু হয়েছে।একের পর এক ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার পর নিশ্চিত ধরে নিয়েছে দলটি - এবার তাঁদের আর রক্ষা নেই।দুই দুই বার জনসম্পৃত্ত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সহিংসতার পথ বেঁচে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। সকল ষড়যন্ত্র, নাশকতা, ব্যর্থ আন্দোলন জিয়া পরিবারকে রক্ষা করার জন্যই অনুষ্ঠিত হয়েছে, ইহা দিবালোকের মতই সত্যে পরিনত হল। মামলাগুলি রায়ের পয্যায় এখনও যায়নি, অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পয্যায় রয়েছে। তাঁরা নিশ্চিত জানে বিচারে জিয়া পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের শাস্তি অনিবায্য।পাঁপি জানে সে কতটুকু পাঁপ করেছে। জিয়া পরিবারের ষড়যন্ত্রের গর্ব থেকে জম্ম নিয়েছিল বিএনপি। সেই জিয়া পরিবারের পাঁপের ভারেই দলটি বর্তমানে অস্তিত্বহীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাঁপের ভারে ন্যুজ দলটি প্রথম থেকেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, যে কোন উপায় বিচার প্রক্রিয়া থেকে জিয়া পরিবারকে রক্ষা করার জন্য। সেই হৃদকম্পন থেকেই আগে ভাগে অরাজগতা সৃষ্টি করে সরকার পতনের একাধিক চেষ্টা ও করেছিল দলটি। দলটি মহাগুরু কিসিঞ্জারের আদিনিবাস মেজর জিয়ার অকৃত্তিম বন্ধু বিশ্বমোড়ল আমেরিকার একান্ত বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি দাপটের সঙ্গেই করে আসছিল এযাবৎকাল। আমেরিকার দুই বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং ইজরাইলের সাথেও যে সখ্যতা ছিল- এখন তা আর উদাহরন দিয়ে বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা। বিপদেই বন্ধুর পরিচয় -প্রবাদটির যথাযথ মার্য্যদা দিতে কার্পন্য করেছে ত্রিদেশ এমন কথা চরম শত্রুরাষ্ট্রও বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলতে পারবেনা। তাঁরা তাঁদের সর্বস্ব দিয়েই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে শুরু থেকে অদ্যাবদি- বিএনপিকে টেনে টুনে কোন রকমে দলীয় অস্তিত্ব রক্ষা করে রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য। এবারও তাঁদের দরবারে যেতে ভুল করেনি দলটি। তবে এবারের যাওয়ার মধ্যে অস্থিরতা, ভীতি, আশংকা যে কাজ করছে বিএনপি নেতাদের বিবৃতি থেকেই তা স্পষ্ট। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের কোন আলোচনা বা সমালোচনা সরকারে বা দেশে বিদেশে না থাকলেও দলটির নেতারা ইদানিং এমন ভাষায় বিবৃতি দেয়া শুরু করেছে-মনে হয় যেন তাঁদের নেত্রীকে আজ রাতেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। প্রবনতাটির মাত্রাতিরিক্ত প্রকাশ শুরু হয়েছে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স্ ব্লুম বার্নিকাটের বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠক শুরু হওয়ার পর থেকে। বি এন পির কূটনীতিক উইংয়ের নেতারা গত সোমবার থেকে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের বাংলাদেশ দুতাবাসে লাগাতার আলোচনা,বৈঠক শুরু করেছেন। গত সোমবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া বৈঠক বিরামহীন ভাবে কখনও টেলিফোনে কখনও অনুষ্ঠানিক বৈঠকে কখনও চা-চক্রের মধ্য দিয়ে চলছেই। ঐ সমস্ত আলোচনা,বৈঠক, পরামর্শ সভায় যুক্ত আছেন বি এন পির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, এনাম আহমেদ চৌধুরী ও রিয়াজ রহমান প্রমুখ। ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম ই-টোডও ক্ষনে ক্ষনে উপস্থিত হচ্ছেন। বি এন পির অন্যতম থিংকট্যাঙ্ক প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদর রহমান 'সজীব ওয়াজেদ জয় হত্যা'র পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে এখন কারাগারে আছেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচারিক আদালতে কয়েকজন বাংলাদেশি সহ সেই দেশের নাগরিক- বিচারে শাস্তি ভোগরত: আছেন। বিষয়টি ২০০১১ সালে এফবি আইয়ের নজরে এলে তাঁদের গ্রেপ্তার করে-সেই দেশে বিচারের আওতায় নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ বিচারে দুষি প্রমানীত হয়ে শাস্তিভোগের নিমিত্তে জেলখানায় যাওয়ার পর- বাংলাদেশ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ নেয়। অতি সম্প্রতি খালেদা জিয়া 'জয়ের একাউন্ট এ ২৫০০ কোটি টাকা জমা আছে- এইরুপ মনগড়া কথা বলে বিপাকে পড়েছেন। এ বক্তব্য নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত হচ্ছে। খালেদা জিয়াকেও তথ্য দেয়ার এবং জয়ের চেলেঞ্জ মোকাবেলা করার আহব্বান জানিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। '৭৪-'৭৫ এর ন্যায় জাতির জনকের পরিবারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে রটানো কল্পকাহিনীকে মাথায় রেখে তদ্রুপ কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রকে এবার শক্তহাতেই মোকাবেলা করার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই সরকারি তদন্তের পাশাপাশি অভিযোগ উত্থাপনকারি খালেদা জিয়া, আমেরিকান সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কতৃপক্ষ এবং এফবিআইকেও তথ্য দেয়ার অনুরুধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার। উল্লেখিত ঘটনা- তদন্তে মিথ্যা প্রমানীত হলে বড়ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে পারেন বাংলাদেশ সরকার।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ঘটনা সত্যতার কাছাকাছি হলেও জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে পিছপা হবেনা সরকার। সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারি ঘটনা হচ্ছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মো'সাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্মমহা সচিব আসলাম চৌধুরী দিল্লিতে বৈঠক। আসলাম চৌধুরী সরকারকে উৎখাত করতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মো'সাদের প্রতিনিধির সঙ্গে হোটেল এবং হোটেলের বাহিরে একাধিক গোপন বৈঠক করেন। গত মার্চে মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করলে ইত্তেফাক পত্রিকায় সম্প্রতি সে ষড়যন্ত্রের খবর ফাঁস হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সরকারি পয্যায় এবং দেশে বিদেশে ব্যপক আলোচনা শুরু হয়। ইতোমধ্যে মোসাদ প্রতিনিধির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর গোপন বৈঠকের বেশ কয়েকটি ছবি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নড়েচড়ে বসে এবং সেই বৈঠকগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থা সমুহ নিশ্চিত হন উল্লেখিত বৈঠক বাংলাদেশের বর্তমান সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের বৈঠক।শুধু তাই নয়- সাথে জাতির জনকের জীবিত সদস্যদের প্রান বিনাস করার বিষয়টিও প্রকাশ পায়। সাফাদি ও আসলাম চৌধুরীর এক সঙ্গে বৈঠক করার অনেকগুলি ছবি ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ফেসবুক পেইজেও মেন্দির সঙ্গে আসলামের বৈঠক, আলাপ-আলোচনাও খাওয়া-দাওয়ার একাধিক ছবি প্রকাশ পায়। এ সম্পর্কে ইজরায়েল ভিত্তিক অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, জেরুজালেম অনলাইন ডটকম সংবাদ প্রকাশ করে মেন্দি এন সাফাদি সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। সেখানে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। নতুন সরকার ইজরাইলের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলবে। গত সম্মেলনে চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়া আলোচনার মুল ব্যাক্তি আসলাম চৌধুরীকে বি এন পির যুগ্ম মহাসচিব ঘোষনা করেছে। আসলাম চৌধুরী খবরটি অস্বীকার করেননি যে তিনি সাফাদের সঙ্গে কোনপ্রকার আলোচনা বা বৈঠক করেনি। অন্যদিকে, ইজরায়েলের কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে বন্ধুত্বকে প্রকারন্তরে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় ফিলিস্তিনি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস রামাদান। ইউসূফ এস রামাদান 'রাজনৈতিক আত্মহত্যা'উক্তিটি প্রমান করে বিএনপি আরব বিশ্বের সাথে প্রতারনার আশ্রয় গ্রহন করেছে এবং কুফরী করেছে। দুতাবাসের বিবৃতির পরেই বিএনপির সকল পয্যায় চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বি এন পি নিঃসন্দেহে একটি জনসমর্থিত বড় দল, ইসলামী অনেকগুলী দল তাঁদের জোটেও আছে। অনেকেই বিএনপিকে ইসলামের রক্ষক হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধও করেন।যদিও খালেদা জিয়ার জীবনাচারনের সাথে এর কোন সত্যতা বা কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়না। ফিলিস্তিনী দুতাবাসের বিবৃতির পর বিএনপি দলের অভ্যন্তরে ফণা তুলেছে নানা প্রশ্ন-আসলাম চৌধুরীকে নিয়ে। বিএনপি দলের অভ্যন্তরে উঠেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সাথে যুক্ত হয়েছে খালেদা জিয়ার জাজ্যল্যমান মিথ্যার বেসাতি। আসলাম চৌধুরীর গ্রেফতারের পর দলটির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলেন 'আসলাম চোধুরী'কে তিনি চিনেন না বা জানেন না। বড়ই হাস্যকর উক্তি,প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আসলাম চৌধুরী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাংবাদিকদের সরবরাহ করা তালিকা ভুল? নাকি সাংবাদিক ভুল?নাকি চোখের বিভ্রাট। মিথ্যাটিই প্রমান করে জিয়া পরিবার মো'সাদ কাহিনীর সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। দলের নেতারাই বলছেন, আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর পরই দলীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিলো। তিনি নিজেও সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে পারতেন। ইজরাইল কানেকশান ইতিমধ্যে দলের তৃনমুল পয্যায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে।এই প্রভাব ধীরে ধীরে উধ্বমুখি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।কারন বাংলাদেশের কোন মসুলমান চায়না কোন ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে বা আরব বিশ্বের শত্রুর সাথে বাংলাদেশে বিদ্যমান কোন রাজনৈতিক দলের বা ব্যক্তির সু-সম্পর্ক থাকুক।ইহুদীরা আমাদের প্রীয় নবীকে কষ্ট দিয়েছে ,ইসলামকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, বর্তমানেও আরব বিশ্বের মুসলিম ভাইদের সাথে বহুযুগ যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। বি এন পির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রামানিত অভিযোগ গুলী অত্যন্ত মারাত্মক এবং দেশদ্রুহীতা মুলক। বিদেশী কোন বন্ধুরাষ্ট্রের সহযোগিতা পাওয়ার মত একটি অভিযোগও নহে। বাংলাদেশের ধর্মভীরু জনগনের সহানুভুতি পাওয়া অলিক কল্পনা মাত্র। অস্থিরতা, শংকা, ভয়ভীতি সেখানেই তাঁদের কাঁতর করছে খুব বেশি মাত্রায়। নিম্নে একান্ত ক্ষমা অযোগ্য কিছু কর্মকান্ড তুলে ধরার চেষ্টা করছি------ (ক) ২০০৮ইং সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহন করার তিনমাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বি এন পি-জামাত জোটের সম্পৃক্ততার খবর দেশ-বিদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। (খ) এর পর পরই একটি আর্মিক্যু করার চেষ্টা প্রাথমিক পয্যায় সরকারের নজরে আসে। গোলাম আযমের ছেলে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল। তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। বিদেশী সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রাশিত হয়েছে বি এন পির জড়িত থাকার বিষয়। (গ) বি এন পির উত্থান কালে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থান, শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা, জেল চার জাতিয় নেতা হত্যা, কর্ণেল তাহের হত্যা, বিগ্রেডিয়ার খালেদ মোশারফকে হত্যার অভিযোগ আগে থেকেই বিদ্যমান। (ঘ) গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বি এন পি জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে লাগাতার অবরোধ, হরতাল, জ্বালাও পোড়াও, ঘেরাও করে দেশে চরম অস্থিরতা তৈরি করে।নিম্ন আয়ের মানুষ, পেশাজীবী, শ্রমজীবী নরনারীরা বিপুল আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। লুটপাট,অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস, সৃষ্টি করে দেশব্যাপি অরাজক পরিস্থীতি সৃষ্টি করে। (ঙ) রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অগ্নিবোমার আমদানী করে দলটি। শত শত মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। অনেকের চেহারা বিভৎস করে দেয়,সারা অঙ্গে ক্ষত নিয়ে পঙ্গুত্ব বরন করে শত শত মানুষ। (চ) কোটি কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে স্বর্ণদোকান লুট, পবিত্র কোরানে আগুন, বিদ্যুতের পিলার উপড়ে ফেলে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করন, ব্যাংক বীমা লুটপাট অগ্নিদংযোগ, প্রাইমারি স্কুলে আগুন ,যানবাহনে আগুন, রেললাইন উপড়ে ফেলা, রেলে আগুন ধরিয়ে শত শত যাত্রীর জীবন হানী করার একাধিক পরিকল্পনা। (ছ) পাকিস্তানের ভয়ঙ্কর গোয়েন্দা সংস্থা আই এস আইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ওপেন সিক্রেট। তাদের নির্দেশে জামাত-শিবিরিকে দিয়ে বাংলাদেশে সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে আই এসের অস্তিত্ব প্রমান করার একাধিক ষড়যন্ত্র। (জ) খালেদা জিয়া বিদেশি পত্রিকায় প্রতিবেদন লিখে ইঙ্গো-মার্কিন শক্তিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ আক্রমন করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে উচ্চেদ করার জন্য। (ঝ) সর্বশেষ মানবতা বিরুধী অপরাধে নিজামীর ফাঁসি কায্যকর হলে ইজরাইল, তুরস্ক ও পাকিস্তানকে বাংলাদেশ আক্রমনের উস্কানী দেয় খালেদা।বর্তমানে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।নিশ্চিত সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহন করার পক্ষে বাংলাদেশ সরকার। উপসংহারে বলতে চাই, মোসাদ ইজরাইলের মারাত্মক-হিংস্র গোয়েন্দা সংস্থা। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকারকে মোসাদ তথা ইজরায়েলের জায়নিস্টরা মোটেই পছন্দ করে না। কারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ফিলিস্তিনের অবিসংবদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা দু’জনই প্যালেস্টাইনি মুক্তি সংগ্রামকে জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন সরকারে থেকে এবং সরকারের বাহিরে থেকেও। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই প্যালেষ্টানী মুসলিম ভাইদের সাহায্যার্থে দুতাবাস খোলার অনুমতি দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনাও প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে প্যালেষ্টাইনী ভাইদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আরব বিশ্ব কতৃক গঠিত সন্ত্রাস বিরুধি জোটেও যোগ দিয়েছেন । বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্টি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আরব বিশ্বের সঙ্গে জোটে থাকার অর্থই হচ্ছে ইহুদীদের আস্ফালনের আঁতে প্রচন্ড ঝাঁকুনি। সঙ্গতকারনে "ইজরাইল, আমেরিকা, পাকিস্তান ত্রিদেশীয় জোট " শেখ হাসিনার সরকারকে উচ্ছেদ করতে চায়।জাতির জনকের পরিবারকে বিনাস করতে চায়। এই ক্রদ্ধতা কাজে লাগিয়ে বি এন পি আসলাম চৌধুরীকে ব্যবহার করে-- মোসাদ কানেকশন করেছেন সরকার উৎখাতের তাগিদে। অর্থাৎ মার্কিন, পাকিস্তান ও ইজরাইল- তিন অক্ষ শক্তির সঙ্গে বিএনপি মিত্রতার অর্থই হচ্ছে ইসলামকে চিরতরে ধ্বংস করার চক্রান্ত। জিয়া পরিবারকে প্রচলিত আইন আদালতের শাস্তি থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে-- আরব বিশ্ব, মুসলিম জাহান, পবিত্র কোরান, ইসলামকেও হত্যা করতে তাঁদের বুকে এতটুকু কাঁপন ধরবে না নরপিসাচের দলটির।তাঁর প্রমান পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই-হেফাজতের শাফলা চত্বরে অবস্থানের দিনটিতে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

জাতির জনকের কন্যা তাঁর একমাত্র পুত্রের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে, লুট করতে আসিনি, দেশের সেবা করতে এসেছি -উক্তির যথার্থ মায্যদা রক্ষা করেছেন।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন