খালেদার অভিযোগ-- জয়ের চেলেঞ্জ।পালটা জাতিকে কৃতজ্ঞতার ঋনের জালে আমুক্ত বাঁধন-- _______________________________ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় খালেদা জিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যদি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২৪০০ কোটি টাকা) প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে সব টাকা এতিমদের দিয়ে দেব। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মন্তব্যের জবাবে রবিবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। এর আগে শনিবার রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের (সজীব ওয়াজেদ জয়) একটি অ্যাকাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা আছে। এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায়'বলে জানিয়েছেন'। জয়ের ফেসবুক পেজের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে দৃডতার সহিত জানান, সম্পুর্ণ দায় দায়িত্ব নিয়েই বলছি, "সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসাবে কোন সরকারি সুযোগ – সুবিধা নেন না । তার নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈতনিক ।" এই বিষয়ে বলার প্রয়োজন হল , কারণ সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা এবং তথাকথিত শুশীল সমাজ --তথ্য প্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন । কারণ আর কিছুই নয়, তারেক – কোকোদের সমান্তরাল নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করাই মূল উদ্দেশ্য। নীজের ছেলেতো চুরির দায়ে পরবাসে অচেনা অজানা পথে ধুঁকে ধুঁকে মরছে,জাতির জনকের দৌহিত্রের গায়ে যদি সামান্য আঁছড় লাগানো যায়, তাহলেও কোন এক সময় হয়তবা দেশবাসিকে চোখ দেখানো যেত। বলা যেত আমার ছেলে একা চুরি করেনি, শেখ হাসিনার ছেলেও চুরি করেছে-ক্ষমতা পেলে ছেলেপেলেরা এমন এক আধটু করে,এতে তেমন অপরাধের কিছুই নেই। তথ্য ও প্রযুক্তিবীদ হিসেবে জনাব সজিব ওয়াজেদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও বেশ নাম করেছেন।মেধাবী ছাত্র হিসেবে হার্ভাডেও তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। জয় দেশ মাতৃকার প্রতি অসীম ভালবাসার প্রতিদান দিতে লোভনীয় বেতন ভাতার অপার প্রত্যাখ্যান করে সম্পুর্ণ অবৈতনিক স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তাঁর অর্জিত মেধাকে দেশের নতুন প্রজর্ম্মের প্রতি উৎসর্গ করেছেন। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কি হতে পারে, দুর্মুখ্যেরা বলে জয় আমেরিকার ব্যাংকে টাকা জমা রেখে দিয়েছেন। হায়রে বাঙ্গালী-হায়রে বাংলাদেশ-- তোদের জন্য পরিবারটি রক্ত, মেধা, শ্রম, ত্যাগ কি দিতে বাকি রেখেছে? জয় সম্পুর্ণ অবৈতনিক এবং স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাংলাদেশের তরুন প্রজর্ম্মের জন্য তাঁর মেধার সবটুকু অর্জন ঢেলে দিয়েছে। কোনদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বা ঐ পরিবারের কোন সদস্যের মুখ থেকে গুনাক্ষরেও কেউ কি প্রকাশ করেছেন? চমক দেখালেন জাতিকে? ঋনের জালে আবদ্ধ করেছেন? উপহাস করেছেন? না আমি আর চিন্তা করতে পারছিনা,আমার চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছে, একি শুনলাম? কেন এই পরিবারটি বাঙ্গালী জাতিকে এত ঋনের জালে আবদ্ধ করছেন? বাঙ্গালী জাতি- জাতির জনকের ২৩ বছরের ত্যাগের বিনিময় দিয়েছে স্ব-পরিবারকে কোরবানি দিয়ে। স্ব-পরিবারের রক্তের ঋন শোধ করার জন্য তাঁর জৈষ্ঠ কন্যাকে কমপক্ষে ১৯ বার চেষ্টা করেছে হত্যা করতে। বাংলাদেশকে উন্নতি অগ্রগতির শিখরে নেয়ার এবং তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিনিময়ে পেয়েছে জয়কে সুদুর আমেরিকায় হত্যা করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। ঋন শোধ করার আদৌ কোন উপলব্ধি, অনুভব, অনুকম্পা এই জাতির মনে বাসা বাঁধবে? আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা জাতি এই সাগরসম রক্ত ঋন আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময় মুল্য দিবে কোন দিন, নাকি ষড়যন্ত্রের জালকে আরো বিস্তৃত করবে? আমি আর লিখতে পারছিনা,আমি আবেগে আপ্লুত, হতভম্ব, অতিশয় কৃতজ্ঞতায় মাথা বারবার ঝুঁকে পড়ছে -মহান নেতার পরিবারের সদস্যদের প্রতি, তাঁদের মহানুভবতার প্রতি। হে মহান আল্লাহ-তুমি সর্বদ্রষ্টা, সর্বজ্ঞানী, মহানুভব-তোমার মহানুভবতার কিঞ্চিত তুমি কি ইচ্ছা করেই দিয়েছে সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী পরিবারটিকে--!!!! জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
খালেদা জিয়ার অভিযোগ বিষয়ে জয়ের চেলেঞ্জের জবাব কিভাবে দেন জাতি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে।আমেরিকায় তথ্য আইন অত্যান্ত স্বচ্ছ। যে কোন নাগরিকের তথ্য চাওয়া মাত্র সংশ্লিষ্ট দফতর প্রদান করতে বাধ্য। আশা করি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের দাপ্তরিক তথ্য খালেদা জিয়া প্রকাশ করবেন। অন্যথায় প্রতিটি উপজেলা হতে একাধিক মানহানির মামলা মোকাবেলা করার জন্য খালেদাকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন