জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র--আওয়ামী নেতাদের রহস্যজনক নীরবতা----- _____________________________________ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র, হত্যা বা হত্যা পরিকল্পনায় নোবেল বা তৎসম আন্তজাতিক মানের কোন পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হলে ফি বছরই উক্ত পুরস্কার সাংগঠনিকভাবে বিএনপি জামাতই পাবে।যদিও রাষ্ট্রীয় কোন কাজে বা কোন দর্শনের জন্য এযাবৎ কোন দেশি বিদেশি পুরষ্কার সংগঠন দু'টির শীর্ষনেতাদের ভাগ্যে জোটেনি। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তি সময় তথাকথিত কমিনিষ্টরা সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে শত শত জোতদার, নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হত্যা করে, সর্বহারার 'কৃষকরাজ শ্রমিকরাজ' কায়েমের লক্ষে। জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার,শেখ কামালের বিরুদ্ধে ব্যংক ডাকাতির মত সস্তা মোখরোচক অপবাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল, যদিও অদ্যাবদি সেই ব্যাংক ডাকাতির কোন দালিলিক প্রমান আজ পয্যন্ত তাঁরা দাখিল করতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নীজ থেকেই 'সংসদে ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন-'শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে, প্রমান দিতে পারলে আমি পদত্যাগ করব।'সেই চেলেঞ্জ এখন পয্যন্ত হাওয়ায় ভাসছে, ষড়যন্ত্রকারিদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সফল হত্যাকারি, রাজাকার, আলবদর, সর্বহারা, কমিউনিষ্ট, ধর্মাগ্ধ গোষ্টি সমুহ একাকার হয়ে নতুন রুপে মেজর জিয়ার দৃশ্যপটে আসার প্রারম্ভে আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরু হয় ভিন্নধর্মী অপপ্রচার-জাতির জনকের ৩২ নম্বরে একাধিক স্বর্ণের মকুট, বস্তায় বস্তায় টাকা,স্বর্ণের খনি ইত্যাদি ইত্যাদি পাওয়া গেছে, যদিও অদ্যাবদি রাষ্ট্রের কোন তহবিলে উক্ত জব্দকৃত মালামাল জমা দেয়া হয়েছে তাঁর তথ্য আদৌ জনগনকে জানানো হয়নি। জাতির জনকের পরিবারের তিরোধান হলেও আওয়ামী লীগের উত্থানের ভয়ে উল্লেখিত অপপ্রচার একতরফাভাবে পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের দলীয় ভাবমুর্তি নষ্ট করা এবং জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্বেস ছড়াতেই এই হীনঅপপ্রচার করেছিল ঘাতক এবং ঘাতকদের অপকর্মের লভ্যাংশভুগীরা। শেখ কামালের বিরুদ্ধে যখন অপপ্রচার তুঙ্গে তখন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এমনকি কোনো শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্য একটি বক্তৃতা বা বিবৃতি দেননি। ফলে জনমত এবং জনরোষে কেবল শেখ কামাল এবং শেখ পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। পুরো আওয়ামী লীগকেই বদনামের দায়ভার নির্মমভাবে বহন করতে হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। অথচ একটু চেষ্টা করলেই ইতিহাসের সেই সব মিথ্যা দায় থেকে শেখ কামালের বিদেহী আত্মাকে রক্ষা করা সম্ভব। ৭৫ থেকে ৮১ বলতে গেলে একতরফাভাবেই আওয়ামী বিরুধী প্রচারনা চালিয়ে যাওয়ার পর মুজিব কন্যা দেশে আসার পর কিছু কিছু জবাব এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে থাকলে অপপ্রচারের তীরের আঘাতও কমতে থাকে।৯০'এর স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনার পালে হাওয়া বইতে শুরু করে,অপপ্রচারের জবাবের সাথে সাথে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে উঠে।পরিনামে ১৯৯৬তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় খমতায় ফিরে আসে।৯৬ থেকে ২০০১ ইং পয্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ষড়যন্ত্রীদের দাবার ঘুঁটি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়। সরকারের আমলা থেকে দেশ বিদেশের শত্রুশক্তি সমুহ এক ও অভিন্ন ভাবে একাকার হয়ে আওয়ামী লীগের উপর হামলে পড়ে।দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, সংখ্যা লঘুদের উপর নেমে আসে ঘোর অমানিশা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ঘরবাড়ী ছাড়া করে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেয়া হয়।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ তথা জাতির জনকের কন্যার সরকারের" গঙ্গার পানিচুক্তি, পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তিচুক্তির মত বিশাল ও যুগান্তকারি অর্জন থাকা সত্তেও চরম ভাবে পরাজিত হতে বাধ্য হয়।" এবার জয়ের প্রসঙ্গে কিছু বলা যাক। জয় রাজনীতিতে যুক্ত আছেন কিনা অথবা অনাগত দিনে আদৌ যুক্ত হবেন কিনা এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী অথবা জয় নিজ থেকে কিছু না বললেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জয়কে কেন্দ্র করে তাদের প্রচার প্রপাগান্ডা শুরু করে দিয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই। নবম সংসদের ভিতরে, বাইরে, রাজপথে এবং বিদেশে চতুর্মুখী আক্রমণে জয়ের চরিত্রে কালিমা লেপন করার অব্যাহত চেষ্টা শুরু হয়েছে সেই ২০০৯ সালের প্রথম দিন থেকেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেশ কয়েক মাস আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের প্রমাণপত্র তাদের হাতে রয়েছে। এ ঘটনার পর বিএনপি নেতারা বিভিন্ন টকশো, সভা সমিতি এবং সেমিনারে মার্কিন ফেডারেল কোর্টের একটি ডকুমেন্টের ফটোকপি উপস্থাপন করে নিজেদের বক্তব্যকে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ এবং নির্ভুল বলে প্রমাণের অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে আসছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে। একাজে হাজার হাজার ডলার খরছ করে বিদেশী লবিষ্ট ফার্ম পয্যন্ত নিয়োগ করেছে, যাহা পরবর্তিতে দেশি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে ফলাও প্রচারও পেয়েছিল। দেশে এবং বিদেশে ক্রমাগত প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়ে যখন এই বিশ্বাসে উপনীত হলো যে, বিষয়টি জনমনে যথেষ্ট বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং আওয়ামী লীগের তরফ থেকে কোনো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসছে না, তখন তারা তাদের নেত্রী খালেদাকে দিয়ে বলাল যে," জয়ের অ্যাকাউন্টে আড়াই হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ জমা আছে।" এখানে উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি জাতির জনকের সরকার ও পরিবার বিশেষ করে শেখ কামালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়ে জনমনে বিস্তৃতি পেয়ে ঘৃনায় রুপান্তরের পয্যায়ও সরকার এবং আওয়ামী লীগের দলীয় পয্যায় থেকে কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন পুর্বক বক্তৃতা বিবৃতি, মিটিং মিছিল করে প্রতিবাদ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলত: কানকথা সত্যে রুপান্তরীত হয়ে জাতির জনকের পরিবারের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগকেও বিপযস্ত করেছে, চরম মুল্য দিতে হয়েছে দীর্ঘ একুশ বছর দলটিকে। ২০০৯ইং সাল থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক প্রচার-অপপ্রচারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও প্রপাকান্ড অব্যহত রাখে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪-১৫ইং সালে এসে জয় একক অপপ্রচারের শিকারে পরিনত হতে থাকেন। সর্বশেষ তীর ছোঁড়া হয় খালেদা জিয়াকে দিয়ে ২৫হাজার কোটি টাকা আমেরিকান ব্যাংকে জয়ের একাউন্টে জমা আছে।যদিও একহাজার ডলার জমা রাখতেও সুনির্দিষ্ট আয়ের দলিল প্রদর্শন করতে হয়, আমেরিকার আইন অনুযায়ী।এফবি আই তো রয়েছেই খুঁত খোঁজার চেষ্টায়। এক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পয্যায় থেকে তৃনমুল পয্যন্ত ৭২-৭৫ ইং এর মতই নির্ণিলিপ্ততা দেখা যায়। কোন পক্ষ হতেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া বা প্রতিবাদ জানানো বা প্রতিরোধের লেশমাত্র ও দেখা গেলনা। আওয়ামী লীগ ছাত্র লীগ, সরকারের পোষ্য বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সরকারের বেনিফিসিয়ারি সকল শ্রেনী-পেশার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ দিয়ে বসে আছেন।এমন ভাব দেখাচ্ছেন,বলছেতো জয় সম্পর্কে, আমিতো চুরি করেও বেঁচে গেলাম। '৭৫ এর সময়ে, শেখ কামালের শিক্ষা, রাজনীতি, সামাজিক, ক্রীড়াক্ষেত্রে যে অসামান্য অবদান ছিল, অনায়াসেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া সম্ভব হত।বলা যায় তাঁর সেবামুলক, ক্রীড়াক্ষেত্রের অবদান সম্পর্কেও তুলে ধরা হলে ইমেজ বেড়ে অপপ্রচার ইমেজের তলায় চাপা পড়ে পিষ্ট হয়ে যেত। শেষ কথা বলতে গেলে অনায়াসেই বলা যায়, শেখ কামালের যে সামাজিক, রাজনৈতিক ইমেজ গড়ে উঠেছিল-সেই ইমেজের নিম্ন শ্রেনীর কোন পরিবারের সদস্যও অপ-প্রচারের কর্মের সাথে যুক্ত হতে পারেনা, তিনিতো জাতির জনকের সন্তান, তৎসময়ের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের পুত্র। যার নেতৃত্ব দেশ ছেড়ে বিশ্বের নিপিড়িত নির্যাতীত জাতিগোষ্টির সংগ্রামের আধাঁরে পরিনত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে আমি কি বলব,এই দেশের অশিক্ষিত চাষাভুষাও জানে জয়ের ব্যক্তিগত প্রোফাইল সম্পর্কে। আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্যও প্রযুক্তির বাংলাদেশ মানেই প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র 'জয়।'যিনি হার্ভাড থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ সর্বউচ্চ ডিগ্রি গ্রহন করে বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনরত: রয়েছেন। যিনি কাজ করেন দিবারাত্র বাংলাদেশকে উন্নত ,সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান ভিত্তিক, শিল্প সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু সরকারের কোন বেতন ভাতা গ্রহন করেন না। এর চেয়ে প্রচারের বড় উপকরন আর কি থাকতে পারে? বর্তমান বিশ্বের এমনকোন দেশের সরকার প্রধানের ছেলে/মেয়ের দেশের জন্য, জাতির জন্য এই অসামন্য অবদান কি আছে? কেউ কি একটা উদাহরন দিয়ে বলতে পারবেন? পতুল সম্পর্কে আমি কিছুই আজ লিখবনা, লিখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। গত সাত আট বছর কোন মন্ত্রী,এমপি, আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা কারো মুখেই এই কথাটিও বের হয়নি জয় স্বেচ্ছাশ্রমে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা। কিন্তু কেন? এতবড় অপবাদ দেয়ার পরও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি কেন?, আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি কেন? জেলা-উপজেলায় প্রতিরোধ গড়ে উঠেনি কেন? এমন কোন নেতা কি আছেন, যিনি কোটি টাকার মালিক হননি? প্রথম থেকে প্রতিবাদি ভুমিকায় আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে ষড়যন্ত্র কি বিস্তৃতি পেত? শুধু দলকে ব্যবহার করে মন্ত্রী এমপি হবেন,টাকার পাহাড় বানাবেন? যাদের কারনে দল, যাঁদের পরিবারের ভাবমুর্তি বিক্রি করে, যত্রতত্র ব্যবহার করে, এখনও রাজনীতিতে টিকে আছেন,দল টিকিয়ে রেখেছেন -তাঁদের ইমেজ রক্ষায় কোন ভুমিকা রাখবেন না? এটাও কি জনগন মেনে নিতে হবে? এটা কি জাতির জনকের পরিবারের দুভাগ্য? 'জয় নীজ থেকে বলতে হয়েছে, আমার কাছে উল্লেখিত টাকা থাকলে এনে দিন আমি এতিমদের উক্ত টাকা দান করে দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছে-" জয়ের কোন টাকা নেই, থাকলে প্রমান করার চেলেঞ্জ দিলাম। " তাঁর পি,এস বলতে হয়েছে -জয় সরকারের কোন বেতন ভাতা গ্রহন করেন না।'তিনি সম্পুর্ণ অবৈতনিক উপদেষ্টা"।আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা,সরকারের লভ্যাংশভূগীরা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পোষ্য বুদ্ধিজীবিরা মনে রাখা প্রয়োজন যা কিছু করছেন, করার আসায় ঘুরঘুর করছেন সব কিছুর মুলে জাতির জনকের পরিবার।দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, সুনাম শেখ হাসিনার কারনে।আগামী দিনের আওয়ামী লীগের কান্ডারী সজিব ওয়াজেদ জয়ই।তাঁর ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের অর্থই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন, কারন আওয়ামী লীগ মানেই জাতির জনকের আদর্শ,জাতির জনকের আদর্শএর মুলমন্ত্রই হচ্ছে তাঁর পরিবার।তাঁর পরিবারের শীর্ষ ইমেজের মালিকই হচ্ছে জয় এবং পতুল।জাতীয় ও আন্তজাতিক পয্যায় নীজস্ব পেশা এবং কর্মগুনে ইতিমধ্যেই তাঁরা দুইজন খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যতদিনই টিকে থাকতে পারবে,জাতির জনকের নাম মুখে উচ্চারন করেই টিকে থাকতে হবে।তাঁর আদর্শকে ধারন করেই এগিয়ে যেতে হবে।জাতির জনকের পরিবারের একজন সদস্য জীবিত থাকলে তাঁর নেতৃত্বেই রাজনীতি করতে হবে,সরকারে যেতে হবে। ইহাই বাস্তবতা, ইহাই সত্য। জাতির জনকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর দু:সময়েও নেতৃত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচরদের মধ্যে কাঁদাছুড়াছুড়ি জাতি দেখেছে।দলকে দ্বিখন্ডিত কারা করেছিল জাতি দেখেছে। নেতৃত্বের কাড়াকাড়িতে একে অপরকে মাইনাস করার লক্ষ নিয়ে তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে সভাপতির পদ নেয়ার আহব্বান জানানো হয়েছিল।একান্ত মনের টানে নয়, রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য, দলকে ব্যবহার করে আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের জন্যই আনা হয়েছিল। সুবিধা করতে না পেরে অনেকেই দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বহুগুন শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। শুধু আসেইনি, বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধশালী, বিজ্ঞানভিত্তিক, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের পয্যায়ে। বিএনপি-জামায়াতের সম্যক উপলব্ধিতে এসেছে- রাজনৈতিক কর্মসূচি, আন্দোলন, সংগ্রাম,এবং কৌশল-কূটকৌশলে তারা পেরে উঠবে না। গত সাত বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে, আন্তজাতিক জরিপ সমুহ লক্ষ করেছে- আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে।শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি দেশ ছেড়ে আন্তজাতিক পয্যায় পৌঁচেছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির গর্ব নন, সারা বিশ্বের গর্ব, এটা আমার কথা নয়-মার্কিন কংগ্রেস ম্যানের কথা। একদা গরীব ভিক্ষুক দেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষুদ্রকায় এবং ভগ্ন দেহের ন্যায় ক্রমাবনতিতে নিচে নামতে নামতে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নিয্যাতন এবং বিনোদনের উপকরণে পরিণত হয়েছে।তাঁদের সাবেক মন্ত্রীর মুখেই শুনা গেছে-- বিএনপির কথা বলতে গেলে মানুষ হাসাহাসি করে,। তাঁর এখনও লালা পড়ে মুখের- কথা বলার সময়।অথছ তিনি নাকি উচ্চশিক্ষিত মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি সরকারের!! বৃটিশ পার্লামেন্ট তাঁদের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে-শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি বিলুপ্তির পথে,খালেদা জিয়া রাজনীতি বিচ্যুত হয়ে জেলখানায় বাকি জীবন অতিবাহিত করতে হবে। এ অবস্থায় তারা আন্দোলন সংগ্রামের পরিবর্তে মস্তিষ্ক ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনদের প্রান পাখীর খোঁজ শুরু করেছে-ঠিক যেন রূপকথার গল্পের মত। তারা ১৯৭৪-৭৫ সালের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ওয়াটার লু যুদ্ধের পূর্ববর্তী প্রথম বছরের ফ্রান্সের ইতিহাসের দুর্বলতা গুলো ২০১৬ সালে এসে নতুন করে মঞ্চায়নের চেষ্টা করছে। তারা জয় সম্পর্কে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দুর্বলতা ,মায়ের মাতৃস্নেহকে পুঁজি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দুর্বল করে মানষিক চাপে রাখার উদ্দেশ্যে জয়ের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে নেমেছে। আরও কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে,বাংলাদেশের মানুষ সব কিছুই অবগত আছে। খালেদা জিয়ার পরিবার গন্ধযুক্ত বদহজমী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষমতার উত্তরসুরি-জয়ের গাঁয়েও যদি সামান্য গন্ধ লাগানো যায়, অপপ্রচারে সেই গন্ধকে দুগন্ধে রুপান্তরীত করা যাবে।রাজনীতিতে ভারসাম্য আনা যাবে।খালেদা জিয়ার রাজনীতি ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় ধরাশায়ী।,বরপুত্র তারেককে বীরের বেসে আনতে না পারলে- ইতিহাসের আস্তাকুড়ে যেতে হবে জিয়া পরিবারটি সহসাই। লক্ষ্য পূরণে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের লক্ষকে ভোঁতা করে জয়ের ইমেজ রক্ষা করা আওয়ামী লীগ নীজেদের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্যই প্রয়োজন।শেখ হাসিনা বা জয়ের প্রয়োজন নেই বাংলাদেশে রাজনীতি করার, অথছ প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেন।সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকে পায়েপিষ্ট করে মা-ছেলে এগিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

বিগত সাত বছর দল একটানা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে।শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তায় ক্ষমতায় টিকে আছে,নেতাকর্মীদের কোন্রকম পরিশ্রম করার সুযোগ ছিলনা।শেখ হাসিনার পরিবারের ভাবমুর্তিতে ষড়যন্ত্রকারিরা সাত বছর কালিমা লেপন করছে, দল রয়েছে ক্ষমতা উপভোগে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা