জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র--আওয়ামী নেতাদের রহস্যজনক নীরবতা----- _____________________________________ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র, হত্যা বা হত্যা পরিকল্পনায় নোবেল বা তৎসম আন্তজাতিক মানের কোন পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হলে ফি বছরই উক্ত পুরস্কার সাংগঠনিকভাবে বিএনপি জামাতই পাবে।যদিও রাষ্ট্রীয় কোন কাজে বা কোন দর্শনের জন্য এযাবৎ কোন দেশি বিদেশি পুরষ্কার সংগঠন দু'টির শীর্ষনেতাদের ভাগ্যে জোটেনি। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তি সময় তথাকথিত কমিনিষ্টরা সমাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষে শত শত জোতদার, নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হত্যা করে, সর্বহারার 'কৃষকরাজ শ্রমিকরাজ' কায়েমের লক্ষে। জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার,শেখ কামালের বিরুদ্ধে ব্যংক ডাকাতির মত সস্তা মোখরোচক অপবাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল, যদিও অদ্যাবদি সেই ব্যাংক ডাকাতির কোন দালিলিক প্রমান আজ পয্যন্ত তাঁরা দাখিল করতে পারেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নীজ থেকেই 'সংসদে ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন-'শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করেছে, প্রমান দিতে পারলে আমি পদত্যাগ করব।'সেই চেলেঞ্জ এখন পয্যন্ত হাওয়ায় ভাসছে, ষড়যন্ত্রকারিদের পক্ষ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে সফল হত্যাকারি, রাজাকার, আলবদর, সর্বহারা, কমিউনিষ্ট, ধর্মাগ্ধ গোষ্টি সমুহ একাকার হয়ে নতুন রুপে মেজর জিয়ার দৃশ্যপটে আসার প্রারম্ভে আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুরু হয় ভিন্নধর্মী অপপ্রচার-জাতির জনকের ৩২ নম্বরে একাধিক স্বর্ণের মকুট, বস্তায় বস্তায় টাকা,স্বর্ণের খনি ইত্যাদি ইত্যাদি পাওয়া গেছে, যদিও অদ্যাবদি রাষ্ট্রের কোন তহবিলে উক্ত জব্দকৃত মালামাল জমা দেয়া হয়েছে তাঁর তথ্য আদৌ জনগনকে জানানো হয়নি। জাতির জনকের পরিবারের তিরোধান হলেও আওয়ামী লীগের উত্থানের ভয়ে উল্লেখিত অপপ্রচার একতরফাভাবে পরিচালনা করে আওয়ামী লীগের দলীয় ভাবমুর্তি নষ্ট করা এবং জাতির জনকের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্বেস ছড়াতেই এই হীনঅপপ্রচার করেছিল ঘাতক এবং ঘাতকদের অপকর্মের লভ্যাংশভুগীরা। শেখ কামালের বিরুদ্ধে যখন অপপ্রচার তুঙ্গে তখন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। এমনকি কোনো শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্য একটি বক্তৃতা বা বিবৃতি দেননি। ফলে জনমত এবং জনরোষে কেবল শেখ কামাল এবং শেখ পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। পুরো আওয়ামী লীগকেই বদনামের দায়ভার নির্মমভাবে বহন করতে হয়েছিল এবং এখনো হচ্ছে। অথচ একটু চেষ্টা করলেই ইতিহাসের সেই সব মিথ্যা দায় থেকে শেখ কামালের বিদেহী আত্মাকে রক্ষা করা সম্ভব। ৭৫ থেকে ৮১ বলতে গেলে একতরফাভাবেই আওয়ামী বিরুধী প্রচারনা চালিয়ে যাওয়ার পর মুজিব কন্যা দেশে আসার পর কিছু কিছু জবাব এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে থাকলে অপপ্রচারের তীরের আঘাতও কমতে থাকে।৯০'এর স্বৈরাচার বিরুধী আন্দোলনে জননেত্রী শেখ হাসিনার পালে হাওয়া বইতে শুরু করে,অপপ্রচারের জবাবের সাথে সাথে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে উঠে।পরিনামে ১৯৯৬তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় খমতায় ফিরে আসে।৯৬ থেকে ২০০১ ইং পয্যন্ত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ষড়যন্ত্রীদের দাবার ঘুঁটি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়। সরকারের আমলা থেকে দেশ বিদেশের শত্রুশক্তি সমুহ এক ও অভিন্ন ভাবে একাকার হয়ে আওয়ামী লীগের উপর হামলে পড়ে।দেশব্যাপি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, সংখ্যা লঘুদের উপর নেমে আসে ঘোর অমানিশা। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে ঘরবাড়ী ছাড়া করে সাধারন নির্বাচনের ঘোষনা দেয়া হয়।সংগত কারনে আওয়ামী লীগ তথা জাতির জনকের কন্যার সরকারের" গঙ্গার পানিচুক্তি, পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তিচুক্তির মত বিশাল ও যুগান্তকারি অর্জন থাকা সত্তেও চরম ভাবে পরাজিত হতে বাধ্য হয়।" এবার জয়ের প্রসঙ্গে কিছু বলা যাক। জয় রাজনীতিতে যুক্ত আছেন কিনা অথবা অনাগত দিনে আদৌ যুক্ত হবেন কিনা এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী অথবা জয় নিজ থেকে কিছু না বললেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা জয়কে কেন্দ্র করে তাদের প্রচার প্রপাগান্ডা শুরু করে দিয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই। নবম সংসদের ভিতরে, বাইরে, রাজপথে এবং বিদেশে চতুর্মুখী আক্রমণে জয়ের চরিত্রে কালিমা লেপন করার অব্যাহত চেষ্টা শুরু হয়েছে সেই ২০০৯ সালের প্রথম দিন থেকেই। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বেশ কয়েক মাস আগে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ উত্থাপন করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের একটি অ্যাকাউন্টে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লেনদেনের প্রমাণপত্র তাদের হাতে রয়েছে। এ ঘটনার পর বিএনপি নেতারা বিভিন্ন টকশো, সভা সমিতি এবং সেমিনারে মার্কিন ফেডারেল কোর্টের একটি ডকুমেন্টের ফটোকপি উপস্থাপন করে নিজেদের বক্তব্যকে সত্য, বস্তুনিষ্ঠ এবং নির্ভুল বলে প্রমাণের অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে আসছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে। একাজে হাজার হাজার ডলার খরছ করে বিদেশী লবিষ্ট ফার্ম পয্যন্ত নিয়োগ করেছে, যাহা পরবর্তিতে দেশি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে ফলাও প্রচারও পেয়েছিল। দেশে এবং বিদেশে ক্রমাগত প্রচার-প্রপাগান্ডা চালিয়ে যখন এই বিশ্বাসে উপনীত হলো যে, বিষয়টি জনমনে যথেষ্ট বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং আওয়ামী লীগের তরফ থেকে কোনো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া আসছে না, তখন তারা তাদের নেত্রী খালেদাকে দিয়ে বলাল যে," জয়ের অ্যাকাউন্টে আড়াই হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ জমা আছে।" এখানে উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি জাতির জনকের সরকার ও পরিবার বিশেষ করে শেখ কামালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়ে জনমনে বিস্তৃতি পেয়ে ঘৃনায় রুপান্তরের পয্যায়ও সরকার এবং আওয়ামী লীগের দলীয় পয্যায় থেকে কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন পুর্বক বক্তৃতা বিবৃতি, মিটিং মিছিল করে প্রতিবাদ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলত: কানকথা সত্যে রুপান্তরীত হয়ে জাতির জনকের পরিবারের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আওয়ামী লীগকেও বিপযস্ত করেছে, চরম মুল্য দিতে হয়েছে দীর্ঘ একুশ বছর দলটিকে। ২০০৯ইং সাল থেকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক প্রচার-অপপ্রচারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্ব সজিব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধেও প্রপাকান্ড অব্যহত রাখে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪-১৫ইং সালে এসে জয় একক অপপ্রচারের শিকারে পরিনত হতে থাকেন। সর্বশেষ তীর ছোঁড়া হয় খালেদা জিয়াকে দিয়ে ২৫হাজার কোটি টাকা আমেরিকান ব্যাংকে জয়ের একাউন্টে জমা আছে।যদিও একহাজার ডলার জমা রাখতেও সুনির্দিষ্ট আয়ের দলিল প্রদর্শন করতে হয়, আমেরিকার আইন অনুযায়ী।এফবি আই তো রয়েছেই খুঁত খোঁজার চেষ্টায়। এক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পয্যায় থেকে তৃনমুল পয্যন্ত ৭২-৭৫ ইং এর মতই নির্ণিলিপ্ততা দেখা যায়। কোন পক্ষ হতেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া বা প্রতিবাদ জানানো বা প্রতিরোধের লেশমাত্র ও দেখা গেলনা। আওয়ামী লীগ ছাত্র লীগ, সরকারের পোষ্য বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সরকারের বেনিফিসিয়ারি সকল শ্রেনী-পেশার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ দিয়ে বসে আছেন।এমন ভাব দেখাচ্ছেন,বলছেতো জয় সম্পর্কে, আমিতো চুরি করেও বেঁচে গেলাম। '৭৫ এর সময়ে, শেখ কামালের শিক্ষা, রাজনীতি, সামাজিক, ক্রীড়াক্ষেত্রে যে অসামান্য অবদান ছিল, অনায়াসেই অপপ্রচারের জবাব দেয়া সম্ভব হত।বলা যায় তাঁর সেবামুলক, ক্রীড়াক্ষেত্রের অবদান সম্পর্কেও তুলে ধরা হলে ইমেজ বেড়ে অপপ্রচার ইমেজের তলায় চাপা পড়ে পিষ্ট হয়ে যেত। শেষ কথা বলতে গেলে অনায়াসেই বলা যায়, শেখ কামালের যে সামাজিক, রাজনৈতিক ইমেজ গড়ে উঠেছিল-সেই ইমেজের নিম্ন শ্রেনীর কোন পরিবারের সদস্যও অপ-প্রচারের কর্মের সাথে যুক্ত হতে পারেনা, তিনিতো জাতির জনকের সন্তান, তৎসময়ের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের পুত্র। যার নেতৃত্ব দেশ ছেড়ে বিশ্বের নিপিড়িত নির্যাতীত জাতিগোষ্টির সংগ্রামের আধাঁরে পরিনত হয়েছিল। বর্তমান সময়ে সজিব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে আমি কি বলব,এই দেশের অশিক্ষিত চাষাভুষাও জানে জয়ের ব্যক্তিগত প্রোফাইল সম্পর্কে। আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্যও প্রযুক্তির বাংলাদেশ মানেই প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র 'জয়।'যিনি হার্ভাড থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ সর্বউচ্চ ডিগ্রি গ্রহন করে বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনরত: রয়েছেন। যিনি কাজ করেন দিবারাত্র বাংলাদেশকে উন্নত ,সমৃদ্ধ, বিজ্ঞান ভিত্তিক, শিল্প সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু সরকারের কোন বেতন ভাতা গ্রহন করেন না। এর চেয়ে প্রচারের বড় উপকরন আর কি থাকতে পারে? বর্তমান বিশ্বের এমনকোন দেশের সরকার প্রধানের ছেলে/মেয়ের দেশের জন্য, জাতির জন্য এই অসামন্য অবদান কি আছে? কেউ কি একটা উদাহরন দিয়ে বলতে পারবেন? পতুল সম্পর্কে আমি কিছুই আজ লিখবনা, লিখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে। গত সাত আট বছর কোন মন্ত্রী,এমপি, আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা কারো মুখেই এই কথাটিও বের হয়নি জয় স্বেচ্ছাশ্রমে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা। কিন্তু কেন? এতবড় অপবাদ দেয়ার পরও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি নেয়া হয়নি কেন?, আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে কোন বিবৃতি দেয়া হয়নি কেন? জেলা-উপজেলায় প্রতিরোধ গড়ে উঠেনি কেন? এমন কোন নেতা কি আছেন, যিনি কোটি টাকার মালিক হননি? প্রথম থেকে প্রতিবাদি ভুমিকায় আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলে ষড়যন্ত্র কি বিস্তৃতি পেত? শুধু দলকে ব্যবহার করে মন্ত্রী এমপি হবেন,টাকার পাহাড় বানাবেন? যাদের কারনে দল, যাঁদের পরিবারের ভাবমুর্তি বিক্রি করে, যত্রতত্র ব্যবহার করে, এখনও রাজনীতিতে টিকে আছেন,দল টিকিয়ে রেখেছেন -তাঁদের ইমেজ রক্ষায় কোন ভুমিকা রাখবেন না? এটাও কি জনগন মেনে নিতে হবে? এটা কি জাতির জনকের পরিবারের দুভাগ্য? 'জয় নীজ থেকে বলতে হয়েছে, আমার কাছে উল্লেখিত টাকা থাকলে এনে দিন আমি এতিমদের উক্ত টাকা দান করে দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছে-" জয়ের কোন টাকা নেই, থাকলে প্রমান করার চেলেঞ্জ দিলাম। " তাঁর পি,এস বলতে হয়েছে -জয় সরকারের কোন বেতন ভাতা গ্রহন করেন না।'তিনি সম্পুর্ণ অবৈতনিক উপদেষ্টা"।আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা,সরকারের লভ্যাংশভূগীরা, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, পোষ্য বুদ্ধিজীবিরা মনে রাখা প্রয়োজন যা কিছু করছেন, করার আসায় ঘুরঘুর করছেন সব কিছুর মুলে জাতির জনকের পরিবার।দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, সুনাম শেখ হাসিনার কারনে।আগামী দিনের আওয়ামী লীগের কান্ডারী সজিব ওয়াজেদ জয়ই।তাঁর ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের অর্থই হচ্ছে আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন, কারন আওয়ামী লীগ মানেই জাতির জনকের আদর্শ,জাতির জনকের আদর্শএর মুলমন্ত্রই হচ্ছে তাঁর পরিবার।তাঁর পরিবারের শীর্ষ ইমেজের মালিকই হচ্ছে জয় এবং পতুল।জাতীয় ও আন্তজাতিক পয্যায় নীজস্ব পেশা এবং কর্মগুনে ইতিমধ্যেই তাঁরা দুইজন খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে যতদিনই টিকে থাকতে পারবে,জাতির জনকের নাম মুখে উচ্চারন করেই টিকে থাকতে হবে।তাঁর আদর্শকে ধারন করেই এগিয়ে যেতে হবে।জাতির জনকের পরিবারের একজন সদস্য জীবিত থাকলে তাঁর নেতৃত্বেই রাজনীতি করতে হবে,সরকারে যেতে হবে। ইহাই বাস্তবতা, ইহাই সত্য। জাতির জনকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর দু:সময়েও নেতৃত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচরদের মধ্যে কাঁদাছুড়াছুড়ি জাতি দেখেছে।দলকে দ্বিখন্ডিত কারা করেছিল জাতি দেখেছে। নেতৃত্বের কাড়াকাড়িতে একে অপরকে মাইনাস করার লক্ষ নিয়ে তাঁর জৈষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে সভাপতির পদ নেয়ার আহব্বান জানানো হয়েছিল।একান্ত মনের টানে নয়, রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য, দলকে ব্যবহার করে আন্তজাতিক খ্যাতি অর্জনের জন্যই আনা হয়েছিল। সুবিধা করতে না পেরে অনেকেই দল ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বহুগুন শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। শুধু আসেইনি, বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার ক্ষুদামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধশালী, বিজ্ঞানভিত্তিক, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের পয্যায়ে। বিএনপি-জামায়াতের সম্যক উপলব্ধিতে এসেছে- রাজনৈতিক কর্মসূচি, আন্দোলন, সংগ্রাম,এবং কৌশল-কূটকৌশলে তারা পেরে উঠবে না। গত সাত বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে, আন্তজাতিক জরিপ সমুহ লক্ষ করেছে- আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে।শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি দেশ ছেড়ে আন্তজাতিক পয্যায় পৌঁচেছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির গর্ব নন, সারা বিশ্বের গর্ব, এটা আমার কথা নয়-মার্কিন কংগ্রেস ম্যানের কথা। একদা গরীব ভিক্ষুক দেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষুদ্রকায় এবং ভগ্ন দেহের ন্যায় ক্রমাবনতিতে নিচে নামতে নামতে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নিয্যাতন এবং বিনোদনের উপকরণে পরিণত হয়েছে।তাঁদের সাবেক মন্ত্রীর মুখেই শুনা গেছে-- বিএনপির কথা বলতে গেলে মানুষ হাসাহাসি করে,। তাঁর এখনও লালা পড়ে মুখের- কথা বলার সময়।অথছ তিনি নাকি উচ্চশিক্ষিত মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি সরকারের!! বৃটিশ পার্লামেন্ট তাঁদের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে-শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি বিলুপ্তির পথে,খালেদা জিয়া রাজনীতি বিচ্যুত হয়ে জেলখানায় বাকি জীবন অতিবাহিত করতে হবে। এ অবস্থায় তারা আন্দোলন সংগ্রামের পরিবর্তে মস্তিষ্ক ব্যবহার করে ক্ষমতাসীনদের প্রান পাখীর খোঁজ শুরু করেছে-ঠিক যেন রূপকথার গল্পের মত। তারা ১৯৭৪-৭৫ সালের বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ওয়াটার লু যুদ্ধের পূর্ববর্তী প্রথম বছরের ফ্রান্সের ইতিহাসের দুর্বলতা গুলো ২০১৬ সালে এসে নতুন করে মঞ্চায়নের চেষ্টা করছে। তারা জয় সম্পর্কে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দুর্বলতা ,মায়ের মাতৃস্নেহকে পুঁজি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দুর্বল করে মানষিক চাপে রাখার উদ্দেশ্যে জয়ের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে নেমেছে। আরও কয়েকটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য রয়েছে,বাংলাদেশের মানুষ সব কিছুই অবগত আছে। খালেদা জিয়ার পরিবার গন্ধযুক্ত বদহজমী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ক্ষমতার উত্তরসুরি-জয়ের গাঁয়েও যদি সামান্য গন্ধ লাগানো যায়, অপপ্রচারে সেই গন্ধকে দুগন্ধে রুপান্তরীত করা যাবে।রাজনীতিতে ভারসাম্য আনা যাবে।খালেদা জিয়ার রাজনীতি ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার দুরদর্শিতায় ধরাশায়ী।,বরপুত্র তারেককে বীরের বেসে আনতে না পারলে- ইতিহাসের আস্তাকুড়ে যেতে হবে জিয়া পরিবারটি সহসাই। লক্ষ্য পূরণে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের লক্ষকে ভোঁতা করে জয়ের ইমেজ রক্ষা করা আওয়ামী লীগ নীজেদের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্যই প্রয়োজন।শেখ হাসিনা বা জয়ের প্রয়োজন নেই বাংলাদেশে রাজনীতি করার, অথছ প্রতিনিয়ত মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রেখেছেন।সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকে পায়েপিষ্ট করে মা-ছেলে এগিয়ে যাচ্ছেন সমান তালে। 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

বিগত সাত বছর দল একটানা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে আছে।শেখ হাসিনার বুদ্ধিমত্তায় ক্ষমতায় টিকে আছে,নেতাকর্মীদের কোন্রকম পরিশ্রম করার সুযোগ ছিলনা।শেখ হাসিনার পরিবারের ভাবমুর্তিতে ষড়যন্ত্রকারিরা সাত বছর কালিমা লেপন করছে, দল রয়েছে ক্ষমতা উপভোগে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন