আওয়ামী লীগের সদ্য আগত হাইব্রিড মাস্তান, সন্ত্রাসী নেতাদের বাজার চড়া---সর্বত্র বিজয়ের হাসি। ______________________________________________ জাতির জনকের কন্যা এবং তাঁর পরিবার, আত্মীয় স্বজন, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকগন বিগত ৭/৮ বছরের দেশ শাষনে- স্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিমুক্ত ভাবমুর্তি জনগনের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত দেশের প্রতিটি অঙ্গে উন্নতি অগ্রগতির গতিবেগ প্রবাহমান রাখতে সক্ষম হয়েছেন, হচ্ছেন। দেশকে কাংখিত লক্ষের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে আরো দ্রুত বেগে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন, হচ্ছেন। এতে এই কয় বছরে অন্যকোন অপশক্তি রাজনীতি করা দুরের চিন্তা, কথা বলার সুযোগই পাওয়ার কথা ছিলনা। জনগন স্বত:স্ফুর্ত ভাবে রাজপথে সেই সমস্ত অপশক্তিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল,অতীতে হয়েছেও তাই। কিন্তু বাস্তবে বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে তা হয়নি হচ্ছেনা বা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।প্রকৃষ্ট উদাহরন- উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনা জানাজানি হওয়ার পরেও রাজপথে জনগনতো দুরের কথা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগও নামেনি, প্রতিবাদ জানায়নি,প্রতিরোধ করেনি।, দেশের কোথাও একটি খড়ের গাঁদায়ও আগুন জ্বলেনি, কেউ জ্বালায়নি। মনে হচ্ছে- দিনে দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শিকড় আরো গভীরেই যাচ্ছে। তাঁর একমাত্র কারন কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত গুটি কয়েক দুবৃত্ত সকল অর্জনকে বিসর্জনে পরিনত করা। একমণ দুধে একফোঁটা ছনাই (গাভির প্রস্রাব) যথেষ্ট, জাতির জনকের কন্যার সরকারেরও তথৈবছ। ইতিমধ্যে দলের ঐ সমস্ত ভুমি খেঁকো এক প্রভাশালী মন্ত্রীর দুবৃত্তায়নের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে হেনস্তা হতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছিল, রিমান্ডও মঞ্জুর করা হয়েছিল। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। তাঁর উপর এত বেশী অন্যায় হয়েছিল, অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। প্রতিবাদের মুখে রিমান্ড বহাল থাকাবস্থায় জামিন দিতে বাধ্য হয়েছিল আদালত। তাঁর উপর জুলুম নিয্যাতনের প্রতিবাদে আমি নিজেও বেশ কয়েকটি প্রতিবাদি কলাম লিখেছিলাম। অন-লাইনের সকল বন্ধু একযোগে সাড়া দিয়েছিল সেই দিন। যেমনি চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক লড়াকু মুজিব সৈনিক নরুল আজিম (রনি)র জন্য অনলাইনে ঝড় উঠেছে। অন-লাইনের সবাই সাড়া দিয়েছেন, দিচ্ছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, দু:খ্য প্রকাশ করছেন। চট্রগ্রামে ইউপি নির্বাচনে মহানগর ছাত্র লীগ নেতা 'নরুল আজিম (রনি)' কে দুই বছরের 'কারাদন্ডের' কালিমা ভোগ করতে হবে রাজনীতির জীবনভর। যদিও অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড়ের বেগে জেলমুক্তি ঘটবে বা ঘটছে, এতে সর্বস্তরের মুজিবাদর্শের সৈনিকেরা আনন্দিত বটে কিন্তু এই জেলমুক্তির ঘটানাও একপ্রকারের অনৈতিক মুক্তি। উধ্বতন নেতা, যিনি আজিমকে চট্রগ্রাম শহর থেকে গ্রামে নির্বাচনী কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন--নির্বাচন তদারকির জন্য, তাঁর শাস্তি নিশ্চিত হয়নি।, বরং রনির মুক্তির ব্যাপারটিকে তাঁর বিজয় মনে করে সাহষ পাবে, দ্বিগুন বলে বলিয়ান হয়ে দুবৃত্তায়নের পরিধি বাড়াবে। মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদকও দুবৃত্তদের ছোঁবল থেকে রক্ষা পায়নি,সাধারন নেতা-কর্মীতো দুরের কথা। শুধুমাত্র পদপদবি ধরে রাখার জন্যই রনিকে ইউপি ভোটে কেন্দ্র পয্যন্ত যেতে হয়েছে। তাঁর মেধা, যোগ্যতা, রাজনীতি সচেতনতা কোন কিছুই সন্ত্রাসী নেতার নিকট মুল্যায়িত নয়।সে ভোট বাক্স চিনতাই করতে পারল কিনা, নেতার জন্য জমি দখল করতে পারল কিনা, টেন্ডার বাক্স পাহারা দিতে পারল কিনা-তাহাই বিবেচ্য নেতার। অন-লাইন এক্টিভিষ্ট, আমাদের সহযোদ্ধা, অনেক গুলি পাবলিক গ্রুপের এডমিন, ভাল লেখক আসিফ। এমনি ইউপি ভোটে জীবন কেড়ে নিয়েছে তাঁর। কোয়েট খালীর ইউপি নির্বাচনে আমাদের দলের প্রতিপক্ষের হামলায় আসিফকে জীবন দিতে হল। আসিফ কয়েকটি পাবলিক গ্রুপের এডমিন হওয়ার সুবাদে সার্বক্ষনিক অনলাইনে থাকতে হত। তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞানের গভীরতায়- যে কোন এক্টিভিষ্টকে বিমোহীত করার জন্য যথেষ্ট। আসিফের মত আরো কত সম্ভাবনাময়ী ছাত্র যুবনেতা অকালেই ঝরে যাচ্ছে তাঁর কোন ইয়ত্তা নেই। শুধুমাত্র ইউপি নির্বাচনেই ৬২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে জীবন হারাতে হয়েছে, দুবৃত্তদের মনরক্ষা করে রাজনীতি করার প্রয়াসে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের প্রতিপক্ষ, তাঁদের একজন কর্মীর জীবনও আমরা কেড়ে নেইনি বা হারাতে হয়নি চলমান ইউপি নির্বাচনে। বরঞ্চ বলা যায় নখের আঁছড়ও তাঁদের গাঁয়ে লাগেনো যায়নি বা লাগেনি। দুবৃত্তগন এতবেশি মানুষের উপর অত্যাচার নির্য্যাতন করেছে বা করছে- জাতির জনকের কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের সাগরসম উন্নতি অগ্রগতিও তাঁদের বিজয় নিশ্চিত করতে পারছেনা। নির্বাচনে বিজয় সম্পর্কে তাঁদের মনে আস্থার সৃষ্টি হয়নি বা জনগনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। এমনও দেখা গেছে- আওয়ামী লীগের আবহমান কালের ভোটের দুর্গেও তাঁদের ভোট চুরি করতে হয়েছে বা জোর করে নির্বাচিত হতে হয়েছে। প্রভাব বিস্তার বা জোর পুর্বক কেন্দ্র দখল, ভোট চুরির মানষিকতা, প্রভাব বিস্তারের খায়েস পুরন এবং প্রার্থীদের নিকট থেকে বিজয় নিশ্চিত করে দেয়ার ফিস আদায়, লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়কৃত টাকা হজম করার সহায়ক ভুমিকা পালন করতে গিয়ে দলের নিবেদিত ৬২জন নেতাকর্মীকে জীবন বলি দিতে হল। বিএনপির পতনম্মুখ সময়ে দলীয় নেতাদের বিচক্ষনতার সঙ্গে রাজনীতি, প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রচার দলে জনগনের সম্পৃক্ততা, নির্বাচনে স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহন, দলের উন্নতিও বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হত। দৃশ্যমান বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ কৌশলী প্রচার প্রচারনার অংশ করা প্রয়োজন ছিল। জাতির জনকের কন্যার প্রতি নিবেদিত - প্রতিনিয়ত দেশী বিদেশী উপঢৌকন, সনদ, জরিপের ফলাফল, বন্ধু রাষ্ট্র প্রধানদের প্রসংশাবাক্য সমুহ, জাতি সংঘের মুল্যায়নপত্র, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ সম্পর্কে বর্তমান ধারনা ইত্যাদি প্রচারনার অংশ হওয়া উচিৎ ছিল। জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচনের বিধান ও প্রক্রিয়াটি বিরুধীদলের তীব্র বিরুধীতার মুখেও করেছিলেন তাঁর একমাত্র কারন--তৃনমুল পয্যায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, তৃনমুলের জনগনকে দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ করা, প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার বিকাশ, পল্লির অখ্যাত অজ্ঞাত জনগুষ্টির সুপ্ত বাসনা এবং ধ্যান ধারনার বিকাশ ঘটানোর লক্ষকে সামনে রেখে। জনগনকে তৃনমুলে রাজনীতিতে উৎসাহিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষে। এই লক্ষ পুরনে প্রয়োজন ছিল-শুধুমাত্র এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয় নেতাদের নির্বাচন করার সুযোগ দেয়া। সুষ্ঠ, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগনের প্রতি নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস দৃড করা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারনার কলকাঠি ভেঙ্গে দেয়া।ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে তৃনমুলে বিএনপি, জামায়াতের ভরাডুবি নিশ্চিত করা। তৃনমুলে বিএনপি জামায়াত ভোটারদের হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করা। তাঁদের ভোটের দুর্গে চিরস্থায়ী ভাঙ্গন সৃষ্টি করে আজীবন ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি, জনগনের জীবনমান উন্নয়নের কল্যানে অন্তত এই রাজনৈতিক সুযোগটি অবারিতই ছিল বলা যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ এতবড় সুযোগ কাজে লাগাতে সম্পুর্ন ব্যর্থই শুধু নয়- দলকেও অতল গব্বরে নিমজ্জিত করেছে, গুটি কয়েক দুবৃত্ত, সন্ত্রাসি, মাস্তান,হাইব্রিডনেতা। অথর্ব, মাস্তান, সন্ত্রাস নির্ভর, দুবৃত্ত, হাইব্রিড নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাবে, তাঁদের প্রভাব প্রতিপত্তি ধরে রাখার মানসে আওয়ামীলীগ বড় রাজনৈতিক বিজয় থেকে বঞ্চিত হল। বঞ্চিত হলে কথা ছিলনা, দলে প্রতিষ্ঠিত দুবৃত্ত, সন্ত্রাসী, মাস্তান নির্বাচনে যে আচরন জনগনের সাথে করেছে, সদ্য আগত হাইব্রিড মাস্তান কর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে-তাঁর খেসারত আগামী সাধারন নির্বাচনে জাতির জনকের কন্যা এবং আওয়ামী লীগের নিবেদিত, ত্যাগি নেতাকর্মীরা কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে। জনগন সময়ের অপেক্ষায় চুপ করে বসে আছে মাত্র। যারা অপকর্ম, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুবৃত্তায়নে জড়িত তাঁরা নির্বাচনের আগেই বিদেশ পালানোর বিমানের টিকেট কনফার্ম করে রাখবে। তাঁদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম, নির্বাচনে আগেও পাওয়া যায়নি ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবেনা। তাঁদের অপকর্মের কারনে ২০০১ইং সালে সংখ্যা লুঘুসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগি নিবেদিত কর্মীরা কি যে নির্য্যাতন ভোগ করেছে--মনে হলে এখনও সারা শরীর শিউরে উঠে। এবার আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকাই বেশি। কারন শেখ হাসিনার বিচক্ষনতা, দুরদর্শী নেতৃত্ব, দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির কারনে আওয়ামী লীগ বারে বারে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা যত বেশি বাড়বে-অশুভ শক্তি সমুহের সাথে তাঁদের আঁতাত তত শক্তিশালী করবে।আওয়ামী লীগের নেতা, বুদ্ধিজীবি, কবি সাহিত্যিকদের হত্যা, নির্য্যাতনের পরিমান তত বেশী বাড়বে। তাঁদের সম্যক উপলব্দি সত্যিকার অর্থেই বিরাজমান- রাজনৈতিক ভাবে জননেত্রীর সাথে পাল্লা দেয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশের কোনদল বা ব্যাক্তিই শুধু নয়, আসপাশের দেশ সমুহের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল, দলের শীর্ষনেতা, ব্যাক্তিদের মধ্যেও নেই। মুলত: তাঁদের ধারনাটি এই ক্ষেত্রে প্রমানিত সত্য, আমি বিশ্বাস করি। তাই মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে বলতে শুনা যায়, 'শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শুধু নয়, সারা বিশ্বের গর্ব।' জাতি সংঘের বৈঠকে কো-চেয়ারের সম্মান একমাত্র জাতির জনকের কন্যার ললাটেই জোটে।ধনাঢ্য সাত জাতি বৈঠকে একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাই দাওয়াত পায়।" তাই বড্ড চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতা। জাতির জনকের কন্যা বর্তমানের পরিত্যাক্ত, ত্যাগি, সবহারা, অর্ধমৃত, উস্কুখুস্কু, গালভাঙ্গা, কোমরবাঁকা নেতা- কর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশেই অবস্থান করবেন। তিনি পুনরায় রাজনীতি শুরু করবেন, দল ঘুছাবেন। দলের শক্তি সঞ্চয় করবেন, আন্দোলনের ডাক দিবেন। বর্তমানের পরিত্যাক্ত, পরিক্ষিত, শিক্ষিত, সন্ত্রাসমুক্ত, সংগ্রামী, বিপ্লবি ত্যাগি নিবেদিত নেতাকর্মীরা রাজপথে নামবেন।শেখ হাসিনার ডাকে -সংসার,ছেলে মেয়ে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন আন্দোলনে, অনেকে জীবন দিবেন। অনেক সময়ে মানব ঢাল তৈরি করে নেত্রীর জীবন রক্ষাও করবেন। আওয়ামী লীগ রাজপথের আন্দোলনে বিজয়ী হবে, সাধারন নির্বাচন ঘোষনা হবে। কর্মীরা সর্বস্ব দিয়ে লড়বেন, আওয়ামীলীগ জিতবে। আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন, সরকার গঠন করবেন। নেত্রী বলবেন-আমার কর্মীরা প্রতিহিংসার জবাব দিবেনা, সরকার নির্য্যাতন কারিদের আইনের আওতায় আনবে।সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিবেন,প্রচলিত আইন মেনে চলার হুকুম দিবেন। নেত্রীর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে,কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। বউ-বাচচার সাথে সদ্য বিজয়ে, নিজের বিরত্বের গল্প করবে। এই ফাঁকে---- সন্ত্রাসি, মাস্তান লুটেরা বর্তমানের লুটের টাকায় আরাম আয়েশে বিদেশে মোটা তাজা হবেন। তাঁদের তল্পিবাহকদের মাধ্যমে ঘন ঘন খবর নিবেন। মাঝেমাঝে কিছু উচ্ছিষ্ট পাঠাবেন, ভিডিও কনফারেন্স করবেন। চোখের পানিতে আশ্বস্ত করবেন, অতি অল্প সময়ে তিনি ফিরে আসবেন। উচ্ছিষ্ট ভোগিরা বিমান বন্দরে যাবেন, নেতাকে ফুলে ফুলে বরন করবেন। নির্য্যাতনে পিষ্ট বাধ্যগত প্রবাসিনেতা আগে আগে দুই হাত উধ্বাকাশে তুলে জনতাকে সম্ভাসন জানাবেন। আগুন ঝরা বক্তব্য দিবেন, স্বৈরাচার সরকার তাঁকে বিগত পাঁচটি বছর দেশে আসতে দেয়নি। জনগনের জন্য তাঁর প্রান সর্বদাই কেঁদেছে, প্রয়োজনে পেয়াজ একটা হাতের আঙ্গুলের চিপায় রেখে দিবেন। জয় হোক হাইব্রিড প্রতিবেশি স্বজনদের জয় হোক সন্ত্রাসি মাস্তান, দুবৃত্তের দুবৃত্তায়নের ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

সন্ত্রাসী নির্ভর নেতারা সদ্য আগত হাইব্রিড সন্ত্রাসী মাস্তানদের ব্যবহার করে দেশের কিছু অঞ্চলে রামরাজত্ব কায়েম করছে।দলের ত্যাগি নেতাদের উপর নিয্যাতনের ষ্টিমরোলার চালিয়ে এলাকা ছাড়া করছে।আওয়ামী লীগের সাধারন কর্মীরা অত্যাচার নিয্যাতন থেকে পরিত্রান চায়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা