আওয়ামী লীগের সদ্য আগত হাইব্রিড মাস্তান, সন্ত্রাসী নেতাদের বাজার চড়া---সর্বত্র বিজয়ের হাসি। ______________________________________________ জাতির জনকের কন্যা এবং তাঁর পরিবার, আত্মীয় স্বজন, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকগন বিগত ৭/৮ বছরের দেশ শাষনে- স্বচ্ছতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিমুক্ত ভাবমুর্তি জনগনের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত দেশের প্রতিটি অঙ্গে উন্নতি অগ্রগতির গতিবেগ প্রবাহমান রাখতে সক্ষম হয়েছেন, হচ্ছেন। দেশকে কাংখিত লক্ষের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে আরো দ্রুত বেগে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন, হচ্ছেন। এতে এই কয় বছরে অন্যকোন অপশক্তি রাজনীতি করা দুরের চিন্তা, কথা বলার সুযোগই পাওয়ার কথা ছিলনা। জনগন স্বত:স্ফুর্ত ভাবে রাজপথে সেই সমস্ত অপশক্তিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল,অতীতে হয়েছেও তাই। কিন্তু বাস্তবে বর্তমান সরকারের ক্ষেত্রে তা হয়নি হচ্ছেনা বা হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।প্রকৃষ্ট উদাহরন- উন্নয়নের কারিগর প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনা জানাজানি হওয়ার পরেও রাজপথে জনগনতো দুরের কথা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগও নামেনি, প্রতিবাদ জানায়নি,প্রতিরোধ করেনি।, দেশের কোথাও একটি খড়ের গাঁদায়ও আগুন জ্বলেনি, কেউ জ্বালায়নি। মনে হচ্ছে- দিনে দিনে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শিকড় আরো গভীরেই যাচ্ছে। তাঁর একমাত্র কারন কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত গুটি কয়েক দুবৃত্ত সকল অর্জনকে বিসর্জনে পরিনত করা। একমণ দুধে একফোঁটা ছনাই (গাভির প্রস্রাব) যথেষ্ট, জাতির জনকের কন্যার সরকারেরও তথৈবছ। ইতিমধ্যে দলের ঐ সমস্ত ভুমি খেঁকো এক প্রভাশালী মন্ত্রীর দুবৃত্তায়নের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধা প্রবীন সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে হেনস্তা হতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছিল, রিমান্ডও মঞ্জুর করা হয়েছিল। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। তাঁর উপর এত বেশী অন্যায় হয়েছিল, অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। প্রতিবাদের মুখে রিমান্ড বহাল থাকাবস্থায় জামিন দিতে বাধ্য হয়েছিল আদালত। তাঁর উপর জুলুম নিয্যাতনের প্রতিবাদে আমি নিজেও বেশ কয়েকটি প্রতিবাদি কলাম লিখেছিলাম। অন-লাইনের সকল বন্ধু একযোগে সাড়া দিয়েছিল সেই দিন। যেমনি চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক লড়াকু মুজিব সৈনিক নরুল আজিম (রনি)র জন্য অনলাইনে ঝড় উঠেছে। অন-লাইনের সবাই সাড়া দিয়েছেন, দিচ্ছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, দু:খ্য প্রকাশ করছেন। চট্রগ্রামে ইউপি নির্বাচনে মহানগর ছাত্র লীগ নেতা 'নরুল আজিম (রনি)' কে দুই বছরের 'কারাদন্ডের' কালিমা ভোগ করতে হবে রাজনীতির জীবনভর। যদিও অন-লাইনে প্রতিবাদের ঝড়ের বেগে জেলমুক্তি ঘটবে বা ঘটছে, এতে সর্বস্তরের মুজিবাদর্শের সৈনিকেরা আনন্দিত বটে কিন্তু এই জেলমুক্তির ঘটানাও একপ্রকারের অনৈতিক মুক্তি। উধ্বতন নেতা, যিনি আজিমকে চট্রগ্রাম শহর থেকে গ্রামে নির্বাচনী কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন--নির্বাচন তদারকির জন্য, তাঁর শাস্তি নিশ্চিত হয়নি।, বরং রনির মুক্তির ব্যাপারটিকে তাঁর বিজয় মনে করে সাহষ পাবে, দ্বিগুন বলে বলিয়ান হয়ে দুবৃত্তায়নের পরিধি বাড়াবে। মহানগর ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদকও দুবৃত্তদের ছোঁবল থেকে রক্ষা পায়নি,সাধারন নেতা-কর্মীতো দুরের কথা। শুধুমাত্র পদপদবি ধরে রাখার জন্যই রনিকে ইউপি ভোটে কেন্দ্র পয্যন্ত যেতে হয়েছে। তাঁর মেধা, যোগ্যতা, রাজনীতি সচেতনতা কোন কিছুই সন্ত্রাসী নেতার নিকট মুল্যায়িত নয়।সে ভোট বাক্স চিনতাই করতে পারল কিনা, নেতার জন্য জমি দখল করতে পারল কিনা, টেন্ডার বাক্স পাহারা দিতে পারল কিনা-তাহাই বিবেচ্য নেতার। অন-লাইন এক্টিভিষ্ট, আমাদের সহযোদ্ধা, অনেক গুলি পাবলিক গ্রুপের এডমিন, ভাল লেখক আসিফ। এমনি ইউপি ভোটে জীবন কেড়ে নিয়েছে তাঁর। কোয়েট খালীর ইউপি নির্বাচনে আমাদের দলের প্রতিপক্ষের হামলায় আসিফকে জীবন দিতে হল। আসিফ কয়েকটি পাবলিক গ্রুপের এডমিন হওয়ার সুবাদে সার্বক্ষনিক অনলাইনে থাকতে হত। তাঁর রাজনৈতিক জ্ঞানের গভীরতায়- যে কোন এক্টিভিষ্টকে বিমোহীত করার জন্য যথেষ্ট। আসিফের মত আরো কত সম্ভাবনাময়ী ছাত্র যুবনেতা অকালেই ঝরে যাচ্ছে তাঁর কোন ইয়ত্তা নেই। শুধুমাত্র ইউপি নির্বাচনেই ৬২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে জীবন হারাতে হয়েছে, দুবৃত্তদের মনরক্ষা করে রাজনীতি করার প্রয়াসে। বিএনপি-জামায়াত আমাদের প্রতিপক্ষ, তাঁদের একজন কর্মীর জীবনও আমরা কেড়ে নেইনি বা হারাতে হয়নি চলমান ইউপি নির্বাচনে। বরঞ্চ বলা যায় নখের আঁছড়ও তাঁদের গাঁয়ে লাগেনো যায়নি বা লাগেনি। দুবৃত্তগন এতবেশি মানুষের উপর অত্যাচার নির্য্যাতন করেছে বা করছে- জাতির জনকের কন্যার অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশের সাগরসম উন্নতি অগ্রগতিও তাঁদের বিজয় নিশ্চিত করতে পারছেনা। নির্বাচনে বিজয় সম্পর্কে তাঁদের মনে আস্থার সৃষ্টি হয়নি বা জনগনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেনি। এমনও দেখা গেছে- আওয়ামী লীগের আবহমান কালের ভোটের দুর্গেও তাঁদের ভোট চুরি করতে হয়েছে বা জোর করে নির্বাচিত হতে হয়েছে। প্রভাব বিস্তার বা জোর পুর্বক কেন্দ্র দখল, ভোট চুরির মানষিকতা, প্রভাব বিস্তারের খায়েস পুরন এবং প্রার্থীদের নিকট থেকে বিজয় নিশ্চিত করে দেয়ার ফিস আদায়, লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়কৃত টাকা হজম করার সহায়ক ভুমিকা পালন করতে গিয়ে দলের নিবেদিত ৬২জন নেতাকর্মীকে জীবন বলি দিতে হল। বিএনপির পতনম্মুখ সময়ে দলীয় নেতাদের বিচক্ষনতার সঙ্গে রাজনীতি, প্রার্থী বাছাই, নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়ার প্রয়োজন ছিল। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রচার দলে জনগনের সম্পৃক্ততা, নির্বাচনে স্বত:স্ফুর্ত অংশ গ্রহন, দলের উন্নতিও বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হত। দৃশ্যমান বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ কৌশলী প্রচার প্রচারনার অংশ করা প্রয়োজন ছিল। জাতির জনকের কন্যার প্রতি নিবেদিত - প্রতিনিয়ত দেশী বিদেশী উপঢৌকন, সনদ, জরিপের ফলাফল, বন্ধু রাষ্ট্র প্রধানদের প্রসংশাবাক্য সমুহ, জাতি সংঘের মুল্যায়নপত্র, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ সম্পর্কে বর্তমান ধারনা ইত্যাদি প্রচারনার অংশ হওয়া উচিৎ ছিল। জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচনের বিধান ও প্রক্রিয়াটি বিরুধীদলের তীব্র বিরুধীতার মুখেও করেছিলেন তাঁর একমাত্র কারন--তৃনমুল পয্যায়ে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, তৃনমুলের জনগনকে দেশপ্রেমে উদ্ভোদ্ধ করা, প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার বিকাশ, পল্লির অখ্যাত অজ্ঞাত জনগুষ্টির সুপ্ত বাসনা এবং ধ্যান ধারনার বিকাশ ঘটানোর লক্ষকে সামনে রেখে। জনগনকে তৃনমুলে রাজনীতিতে উৎসাহিত ও সচেতন করে গড়ে তোলার লক্ষে। এই লক্ষ পুরনে প্রয়োজন ছিল-শুধুমাত্র এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয় নেতাদের নির্বাচন করার সুযোগ দেয়া। সুষ্ঠ, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনগনের প্রতি নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস দৃড করা। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারনার কলকাঠি ভেঙ্গে দেয়া।ইউপি নির্বাচনের মাধ্যমে তৃনমুলে বিএনপি, জামায়াতের ভরাডুবি নিশ্চিত করা। তৃনমুলে বিএনপি জামায়াত ভোটারদের হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করা। তাঁদের ভোটের দুর্গে চিরস্থায়ী ভাঙ্গন সৃষ্টি করে আজীবন ক্ষমতার বৃত্তের বাহিরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রগতি, জনগনের জীবনমান উন্নয়নের কল্যানে অন্তত এই রাজনৈতিক সুযোগটি অবারিতই ছিল বলা যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ এতবড় সুযোগ কাজে লাগাতে সম্পুর্ন ব্যর্থই শুধু নয়- দলকেও অতল গব্বরে নিমজ্জিত করেছে, গুটি কয়েক দুবৃত্ত, সন্ত্রাসি, মাস্তান,হাইব্রিডনেতা। অথর্ব, মাস্তান, সন্ত্রাস নির্ভর, দুবৃত্ত, হাইব্রিড নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাবে, তাঁদের প্রভাব প্রতিপত্তি ধরে রাখার মানসে আওয়ামীলীগ বড় রাজনৈতিক বিজয় থেকে বঞ্চিত হল। বঞ্চিত হলে কথা ছিলনা, দলে প্রতিষ্ঠিত দুবৃত্ত, সন্ত্রাসী, মাস্তান নির্বাচনে যে আচরন জনগনের সাথে করেছে, সদ্য আগত হাইব্রিড মাস্তান কর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে-তাঁর খেসারত আগামী সাধারন নির্বাচনে জাতির জনকের কন্যা এবং আওয়ামী লীগের নিবেদিত, ত্যাগি নেতাকর্মীরা কড়ায় গন্ডায় দিতে হবে। জনগন সময়ের অপেক্ষায় চুপ করে বসে আছে মাত্র। যারা অপকর্ম, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুবৃত্তায়নে জড়িত তাঁরা নির্বাচনের আগেই বিদেশ পালানোর বিমানের টিকেট কনফার্ম করে রাখবে। তাঁদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম, নির্বাচনে আগেও পাওয়া যায়নি ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবেনা। তাঁদের অপকর্মের কারনে ২০০১ইং সালে সংখ্যা লুঘুসহ আওয়ামী লীগের ত্যাগি নিবেদিত কর্মীরা কি যে নির্য্যাতন ভোগ করেছে--মনে হলে এখনও সারা শরীর শিউরে উঠে। এবার আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকাই বেশি। কারন শেখ হাসিনার বিচক্ষনতা, দুরদর্শী নেতৃত্ব, দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির কারনে আওয়ামী লীগ বারে বারে ক্ষমতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা যত বেশি বাড়বে-অশুভ শক্তি সমুহের সাথে তাঁদের আঁতাত তত শক্তিশালী করবে।আওয়ামী লীগের নেতা, বুদ্ধিজীবি, কবি সাহিত্যিকদের হত্যা, নির্য্যাতনের পরিমান তত বেশী বাড়বে। তাঁদের সম্যক উপলব্দি সত্যিকার অর্থেই বিরাজমান- রাজনৈতিক ভাবে জননেত্রীর সাথে পাল্লা দেয়ার যোগ্যতা বাংলাদেশের কোনদল বা ব্যাক্তিই শুধু নয়, আসপাশের দেশ সমুহের বিদ্যমান রাজনৈতিক দল, দলের শীর্ষনেতা, ব্যাক্তিদের মধ্যেও নেই। মুলত: তাঁদের ধারনাটি এই ক্ষেত্রে প্রমানিত সত্য, আমি বিশ্বাস করি। তাই মার্কিন কংগ্রেসম্যানকে বলতে শুনা যায়, 'শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শুধু নয়, সারা বিশ্বের গর্ব।' জাতি সংঘের বৈঠকে কো-চেয়ারের সম্মান একমাত্র জাতির জনকের কন্যার ললাটেই জোটে।ধনাঢ্য সাত জাতি বৈঠকে একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাই দাওয়াত পায়।" তাই বড্ড চিন্তার বিষয়টি হচ্ছে অতীত অভিজ্ঞতা। জাতির জনকের কন্যা বর্তমানের পরিত্যাক্ত, ত্যাগি, সবহারা, অর্ধমৃত, উস্কুখুস্কু, গালভাঙ্গা, কোমরবাঁকা নেতা- কর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশেই অবস্থান করবেন। তিনি পুনরায় রাজনীতি শুরু করবেন, দল ঘুছাবেন। দলের শক্তি সঞ্চয় করবেন, আন্দোলনের ডাক দিবেন। বর্তমানের পরিত্যাক্ত, পরিক্ষিত, শিক্ষিত, সন্ত্রাসমুক্ত, সংগ্রামী, বিপ্লবি ত্যাগি নিবেদিত নেতাকর্মীরা রাজপথে নামবেন।শেখ হাসিনার ডাকে -সংসার,ছেলে মেয়ে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়বেন আন্দোলনে, অনেকে জীবন দিবেন। অনেক সময়ে মানব ঢাল তৈরি করে নেত্রীর জীবন রক্ষাও করবেন। আওয়ামী লীগ রাজপথের আন্দোলনে বিজয়ী হবে, সাধারন নির্বাচন ঘোষনা হবে। কর্মীরা সর্বস্ব দিয়ে লড়বেন, আওয়ামীলীগ জিতবে। আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন, সরকার গঠন করবেন। নেত্রী বলবেন-আমার কর্মীরা প্রতিহিংসার জবাব দিবেনা, সরকার নির্য্যাতন কারিদের আইনের আওতায় আনবে।সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিবেন,প্রচলিত আইন মেনে চলার হুকুম দিবেন। নেত্রীর আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হবে,কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। বউ-বাচচার সাথে সদ্য বিজয়ে, নিজের বিরত্বের গল্প করবে। এই ফাঁকে---- সন্ত্রাসি, মাস্তান লুটেরা বর্তমানের লুটের টাকায় আরাম আয়েশে বিদেশে মোটা তাজা হবেন। তাঁদের তল্পিবাহকদের মাধ্যমে ঘন ঘন খবর নিবেন। মাঝেমাঝে কিছু উচ্ছিষ্ট পাঠাবেন, ভিডিও কনফারেন্স করবেন। চোখের পানিতে আশ্বস্ত করবেন, অতি অল্প সময়ে তিনি ফিরে আসবেন। উচ্ছিষ্ট ভোগিরা বিমান বন্দরে যাবেন, নেতাকে ফুলে ফুলে বরন করবেন। নির্য্যাতনে পিষ্ট বাধ্যগত প্রবাসিনেতা আগে আগে দুই হাত উধ্বাকাশে তুলে জনতাকে সম্ভাসন জানাবেন। আগুন ঝরা বক্তব্য দিবেন, স্বৈরাচার সরকার তাঁকে বিগত পাঁচটি বছর দেশে আসতে দেয়নি। জনগনের জন্য তাঁর প্রান সর্বদাই কেঁদেছে, প্রয়োজনে পেয়াজ একটা হাতের আঙ্গুলের চিপায় রেখে দিবেন। জয় হোক হাইব্রিড প্রতিবেশি স্বজনদের জয় হোক সন্ত্রাসি মাস্তান, দুবৃত্তের দুবৃত্তায়নের ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

সন্ত্রাসী নির্ভর নেতারা সদ্য আগত হাইব্রিড সন্ত্রাসী মাস্তানদের ব্যবহার করে দেশের কিছু অঞ্চলে রামরাজত্ব কায়েম করছে।দলের ত্যাগি নেতাদের উপর নিয্যাতনের ষ্টিমরোলার চালিয়ে এলাকা ছাড়া করছে।আওয়ামী লীগের সাধারন কর্মীরা অত্যাচার নিয্যাতন থেকে পরিত্রান চায়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন