মুসলিম বিশ্বের শত্রু ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার সংঙ্গে বিএনপির চুক্তি-- সরকার উৎখাত, জনকের পরিবার বিনাশ। _____________________________________ দেশ বিদেশের অনেকে, সরকার, জনগন,বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রসমুহ,তাঁদের জনগন-সবাই কিংকর্তব্যবিমূড় হয়েছেন বিএনপি জামায়াতের ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা "মোসাদের" সাথে সংযোগ দেখে,শুনে। বৈঠকের সচিত্র প্রতিবেদন ইলেকট্রোনিক মিডিয়ায় ইতিমধ্যে প্রকাশিত হচ্ছে। সারা দেশ আশ্চায্য হলেও আমি নগন্য ব্যাক্তি মোটেও হইনি। তাঁরা তাঁদের স্বার্থে পারেনা -এমন কোন কাজ নেই। তাঁদের উত্থানের অতীতের ইতিহাসের দিকে তাকালে স্পষ্ট দেখা যায়। মেজর জিয়ার দিকে নজর দিয়ে দেখুন-কোন মুক্তিযুদ্ধার পরিবার তৎসময়ের পুর্ব পাকিস্তানের কোন পর্বত, বন, জঙ্গলে পালিয়ে বাঁচতে পারেনি। পাঠান- পাঞ্জাবী সেনাদের নিয্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে, অনেকে জীবন দিতে হয়েছে।জিয়া সাহেব মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, তাঁর পরিবার পাঞ্জাবীদের আবাসস্থল সেনাছাউনিতে দিব্যি আরাম আয়েশে ছিলেন।তিনি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস সেখানেই কাটিয়ে দিয়েছেন। নিজের ব্যক্তিস্বার্থে স্ত্রীকে যে দলের প্রতিষ্ঠাতা শত্রু সেনার মনোরঞ্জনে রেখে দিতে পারেন,তিনি বা তাঁর দল অন্যকোন কিছু পারবেনা যারা ভাবেন-তাঁরা বোকার সস্বর্গে আছেন। মেজর জিয়ার সিআইএ কানেকশান, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির উত্থানে সর্বাত্মক রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা, সরকারের সর্বচ্ছ নির্বাহী পদে রাজাকারের আসনের ব্যবস্থা, রাজাকার আলবদর সহ জোট গঠন, জাতির জনকের পরিবার হত্যাকারিদের ক্যন্টনমেন্টে সরকারি চাকুরীরত: অবস্থায় নেতৃত্বদান, পরবর্তীতে সরকার গঠন ও পরিচালনা, ইসলামকে ব্যবহার করে সর্বত্র অনৈসলামিক কর্মকান্ড পরিচালনা, পরাজিত পাকিস্তানের সঙ্গে দহরম মহরম,ক্ষমতা নিস্কটক করার জন্য সাজানো অভ্যুত্থানের নামে মুক্তিযুদ্ধা সামরিক অফিসার হত্যা-কি বাকি ছিল? পরবর্তিতে খালেদা জিয়া কতৃক যুদ্ধপরাধীদের সহ জোট গঠন,জঙ্গী উত্থানে পৃষ্টপোষকতা, আলবদর, রাজাকারদের মন্ত্রীত্ব প্রদান,আই এস আই কানেকশান, পেট্রোল বোমার আগুনে জ্যন্তমানুষ দগ্ধ করে দেয়া, মতিঝিলে আলেম উলামাদের এনে পবিত্র কোরানে আগুন-এমন কি কাজ বাকি রেখেছে যা করেনি? তাঁর পরবর্তিতে তাঁর বরপুত্র বীর তারেক বঙ্গবন্ধু এভ্যিনিউতে বোমা গুলী বৃষ্টি বর্ষন করে জাতির জনকের কন্যাকে হত্যা প্রচেষ্টা,সেনাবিদ্রোহের একাধিকবার চেষ্টা, ভারতে শ্রেষ্ঠ সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহীমের সাথে একাধিক বৈঠক, বিদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের লুটের টাকা খরছ করে আন্তজাতিক লবিষ্ট ফার্ম নিয়োগ সরকার উৎখাতে,আই এস আই এর সাথে চুক্তি কি বাকি রেখেছে? মুক্তিযুদ্ধে স্বজাতি মা-বোনদের ভীনজাতির সেনাকর্ম কর্তাদের মনোরঞ্জনের জন্য তুলে দেয়া, প্রয়োজন মাফিক ধর্মের ফতোয়া দান, জঙ্গিপনা, হত্যা, সন্ত্রাস, রাহাজানী, লুটপাট, ধর্মের অপব্যাখ্যা এমন কি কাজ বাকি আছে যা জামায়াত শিবির করেনি? শেষাবদি সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, মুসলিম বিশ্বকতৃক নিষিদ্ধ ইসরালের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরকার উৎখাতের চুক্তি!!!এতে আশ্চায্য হওয়ার কি আছে? তাঁদের এই সমস্ত কাজ রাজনীতির জন্য প্রযোজ্য - তাঁদের নেতাই একাধিকবার বলে গেছেন! আরো বলেছিলেন রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছুই নেই।আমাদের আবাল নেতারাও অনেকে বলতে আমি শুনেছি, মেজর জিয়ার এই অমৃত বচনটি।যদিও রাজনীতির কোন সুত্রেই এই বচনটি পড়ে না।বচনটির প্রচলনই করেছিল তাঁরা এই সমস্ত আকাম-কুকাম করে জায়েজ করার জন্য।রীতি নীতি বহির্ভুত কর্মকান্ড করে জনগনের দৃষ্টিকে হালকা করার জন্য।তাঁদের নীতিতে তাঁরা অটল আছেন,আমরাই বরং নীতিভ্রষ্ট হয়েছি তুলনামুলক বেশি।তাঁদের জম্ম বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রের ফসল, তাঁরা কি জম্মদাতা ভুলে যেতে পারে? তাঁদের জম্ম হত্যা, খুনের মধ্য দিয়ে-তাঁরা কি ভুলে যেতে পারে হত্যা - খুন ? বরঞ্চ আওয়ামী লীগ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে জম্ম নেয়া জাতির জনকের আদর্শের অনুসারী দল।বর্তমানে আওয়ামী লীগ রাজপথেও নেই, আন্দোলন বা সংগ্রামেও নেই। যাঁর আদর্শকে ধারন করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বার বার ফিরে আসছে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান- তাঁর দৌহিত্র জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের চরিত্র হনন করা হচ্ছে বিগত আট বছর ব্যাপি।অথছ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ প্রতিরোধের কোন কর্মসূচি আজও নেয়া হয়নি, সবাই যেন নির্লিপ্ত। ষড়যন্ত্রকারিদের সর্বাত্মক চেষ্টা জম্মসুত্রের অঙ্গিকার পুরনের স্বার্থে অব্যাহত রেখেছে।, অপর পক্ষে আওয়ামী লীগ রাজপথে জম্ম নেয়ার অঙ্গিকার পুরনে সর্বদাই ব্যার্থ্য হচ্ছে। রাজনীতি দিয়ে হত্যা চক্রান্ত রুখতে - রাজপথে প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। অঙ্গিকার ভঙ্গকারী ষড়যন্ত্রকারিরা-নাকি বর্তমান ক্ষমতাসীন গনতান্ত্রিক দল আওয়ামী লীগ? জয়কে হত্যা পরিকল্পনা জানাজানি হয়েছে ২০১১ ইং সালে। মার্কিন আদালতে বিচার হয়েছে ষড়যন্ত্র কারিদের। তাঁরা এখন জেখানায় আছে সেই দেশের।বাংলাদেশে যারা জড়িত ছিল তাঁদেরকে সবেমাত্র দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ রাজ পথে না গিয়ে- নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। জয়ের বিরুদ্ধে টাকা হ্যকিং করে চুরির অভিযোগ উত্থাপন করা হল, আওয়ামী লীগ কুম্ভঘুমেই রয়ে গেল। হ্যকিং চুরি ধরা পড়েছে ফিলিফিন্সে-তাঁদের বিচার করার জন্য জেলখানায় রাখা হয়েছে সেই দেশের। ,মিথ্যা অভিযোগ আনা হল আইসিটি বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ প্রতিরোধ দুরের কথা- মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপনের বিরুদ্ধে কোন জেলা- উপজেলায় একটি মামলাও হয়নি। এই সেইদিন জয়ের আমেরিকান ব্যাংকের একাউন্টে আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা আছে চেলেঞ্জ দিলেন খালেদা জিয়া।তিনি আরও বললেন এই টাকা বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে গেছে। তাঁরা সবাই জানেন, আমেরিকার কোন ব্যাংকে টাকা রাখতে গেলে সেই টাকা বৈধ পথে আয়ের টাকা হতে হয়। জনমনে জয়ের চরিত্র হনন করার প্রয়োজন তাঁদের-সত্যতার কোন প্রয়োজন নেই।এতবড় অভিযোগ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত কান্ডারির বিরুদ্ধে উত্থাপন করা হল আনুষ্ঠানিক ভাবে-অথছ আওয়ামী লীগ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, ঘুম যেন ভাংছেইনা।কোথাও কোন প্রতিবাদ,সড়ক অবরোধ,আগুন, গাড়ী ভাংচুর নিদেন পক্ষে একটা খড়ের স্তুপে আগুন দিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করার প্রয়োজন অনুভব করেনি আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের সম্যক উপলব্ধিতে এসেছে- রাজনৈতিক কর্মসূচি, আন্দোলন, সংগ্রাম, কৌশল -কূটকৌশলে তারা পেরে উঠবে না। গত সাত বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করে তারা দেখেছে, আন্তজাতিক জরিপ সমুহ লক্ষ করেছে- আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে।শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি দেশ ছেড়ে আন্তজাতিক পয্যায় পৌঁচেছে। তিনি এখন শুধু বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির গর্ব নন, সারা বিশ্বের গর্ব, এটা আমার কথা নয়-মার্কিন কংগ্রেসম্যানের কথা। একদা গরীব ভিক্ষুক দেশ মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত ক্ষুদ্রকায় এবং ভগ্ন দেহের ন্যায় ক্রমাবনতিতে নিচে নামতে নামতে শক্তিশালী আওয়ামী লীগের অত্যাচার, নিয্যাতন এবং বিনোদনের উপকরণে পরিণত হয়েছে।তাঁদের সাবেক মন্ত্রীর মুখেই শুনা গেছে-- বিএনপির কথা বলতে গেলে মানুষ হাসাহাসি করে,। তাঁর এখনও লালা পড়ে মুখের- কথা বলার সময়।অথছ তিনি নাকি উচ্চশিক্ষিত মন্ত্রী ছিলেন বিএনপি সরকারের!! বৃটিশ পার্লামেন্ট তাঁদের বার্ষিক রিপোর্টে বলেছে-"শেখ হাসিনার রাজ নৈতিক কৌশলের কাছে বিএনপি বিলুপ্তির পথে।, খালেদা জিয়া রাজনীতি বিচ্যুত হয়ে জেলখানায় বাকি জীবন অতিবাহিত করতে হবে।" এমনিতর অবস্থায় জম্মসুত্রের অঙ্গিকারের দিকেই দলটি যাবে ইহাই স্বাভাবিক।মোসাদের সাথে চুক্তি শুধু সরকার উৎখাত নয়,জাতির জনকের পরিবারকে সমূলে বিনাশ ও বটে। জাতির জনকের অবশিষ্ট সদস্যদের হত্যা করার পর আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতারা কিভাবে বেঁচে থাকবেন চিন্তা করেন?তাঁদের মধ্যে কি মোস্তাকের দলের ভুমিকায় একাধিক নেতা রয়েছেন?তাঁরপরেও কেউ যে তাজউদ্দিন গং হবেনা তাঁর গ্যারান্টি কি ভাবে পেলেন সবাই? প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের কর্ম রাজপথ।রাজনৈতিক দলের একমাত্র ধর্ম - আন্দোলন, সংগ্রাম। সরকার গঠন, ক্ষমতা উপভোগ করা রাজনৈতিক দলের জন্য দুনিয়াবি বেহেস্ত। আওয়ামী লীগ নেতারা এক ও দুই বাদ দিয়ে তিনে ব্যস্ত। সুতারাং ষড়যন্ত্রকারিরা সবে 'মোসাদের' সাথে চুক্তি করেছে-সুযোগ পেলে মঙ্গল গ্রহের এলিয়েনের সাথে চুক্তি করে আওয়ামী নেতাদের নির্লিপ্ততা ভাঙ্গাবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে সে সময় বেশি দূরে নয়। আল্লাহ সহায় ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

আওয়ামী লীগ রাজপথে না নামলে আরো অনেক বড় বড় ষড়যন্ত্র হতে পারে।তাঁরা অস্তিত্ব রক্ষার্থে দুই চার'শ নেতাকর্মী কোরবান দিতেও দ্বিধা করবেনা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন