চক্রান্তের বেড়াজালে বাংলাদেশ সরকার--মুল লক্ষ সজিব ওয়াজেদ (জয়)------ ___________________________________________ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। সরকার প্রধান জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানের অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক অবৈতনিক উপদেষ্টা হচ্ছেন তাঁরই একমাত্র পুত্র আই সি টি বিশেষজ্ঞ জনাব সজীব ওয়াজেদ (জয়)। তিনি ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন কিনা এখনও জনসমক্ষে কিছুই বলেননি, তাঁর 'মা' মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'তিনি পুত্রকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন,তাঁর পেশা বেচে নেয়ার যথেষ্ট জ্ঞান আছে,সুতারাং সে কি করবে-তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।তবে আমি নীজেও তাঁর নিকট থেকে অনেক কিছুই শিখছি।' সুহৃদ পাঠকবৃন্দ, অতীতের হাজারো মিথ্যে ষড়যন্ত্রের ন্যায় গত ১৫ দিনের ব্যবধানে দুইটি ষড়যন্ত্র সর্বমহলে, আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ, দেশ বিদেশের সচেতন মহলের বিবেকে নাড়া দিয়েছে। (এক) বেগম খালেদা জিয়া এক অনুষ্ঠানে বলেছেন,' জয়ের একাউন্টে আমেরিকার ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে লুট করা আড়াই হাজার কোটি টাকা জমা আছে'। (দুই) ইজরাইলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের মুখপাত্র সাফাদির সাথে ধৃত আসলামের আগে সাক্ষাৎ ঘটেছিল নিউইয়র্কে সজিব সাহেবের অফিস কক্ষে। উল্লেখিত দুটি ঘটনার প্রেক্ষাপট রচিত হয় জয়কে হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১১ ইং সালে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশী বংশদ্ভোত একজন সহ বিদেশে কয়জন ব্যাক্তির সাজা হওয়ার পর। ঐ মামলার শুনানীতে বাংলাদেশে অবস্থানরত: একজন সাংবাদিক এবং এক জন পত্রিকা সম্পাদকের নাম উঠে আসে।বাংলাদেশে জড়িত সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সরকার আইনের আওতায় নিয়ে আসে।, কারাগারে আগে থেকে আটক আমার দেশ সম্পাদক সাহেবকেও অত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।অত্র মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার প্রথমিক চেষ্টার ফসল "জয়ের একাউন্টে গচ্ছিত বাংলাদেশের লুটের টাকা।"যাহা বাংলাদেশের সাবেক আড়াইবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কতৃক উত্থাপিত হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি প্রকাশ পায়--বিএনপি দলের নতুন সংযোজিত অচেনা অজানা ব্যবসায়ী আসলাম চৌধুরীর ইজরাইলের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রতিনীধি সাফাদির সাথে একাধিক বৈঠকের সচিত্র প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশের পর। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে উক্ত ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে কোন প্রকার কুটনৈতিক,ব্যবসায়িক সম্পর্ক নাই বিধায় আসলামকে আইনের আওতায় আনায়ন করেছে সরকার। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে যা প্রকাশ করেছেন আসলাম,' তাতে প্রত্যেক সচেতন নাগরিক উদ্ভিগ্ন না হয়ে পারেন না।' সুহৃদ পাঠক বন্ধুগন, এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করে রাখতে চাই,' গ্রপ্তার ও রিমান্ডের পর দুই ঘটনার দুই ব্যাক্তিই জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং আরও অনেকের জড়িত থাকার ব্যাপারেও সুস্পষ্ট ধারনা দিয়েছেন বাংলাদেশী গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে।' পাঠকবর্গ লক্ষ করুন, ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে সজিব ওয়াজেদ জয় নেই, আগামীতে আসবেন-তাঁর আবাস ইঙ্গিতও দেননি। সরকারের বিরুদ্ধে এবং সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার না করে কুচক্রিমহল জাতির জনকের দৌহিত্রের বিরুদ্ধে কেন হঠাৎ একের পর এক ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারে মরিয়া? সুপ্রীয় পাঠক,৭২-৭৫ ইং সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কোন অপ-প্রচার হয়নি,যা হয়েছে শেখ কামাল এবং শেখ মনির বিরুদ্ধে। দুইজনই ছিলেন জাতির জনকের পরিবারের উজ্বল নক্ষত্র। দুইজনের চরিত্র হনন করা হয়েছে উলঙ্গচিত্তে।আওয়ামী লীগের নেতারা তখন নাকে তৈল দিয়ে অপ-প্রচারের রসালো কাহিনী শুনেছেন আর হাসাহাসি করেছেন।ভিত্তিহীন খবর নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন আছে বলেই মনে করেননি।ফলত: মুখরোচক আলোচনা মানুষের মনে দিব্যি সত্যি হয়ে অন্তরে গেথে গেছে পয্যায়ক্রমে। বর্তমানেও শেখ হাসিনার সরকার এবং শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উল্লেখীত ষড়যন্ত্র না করে- কুচক্রিমহল জাতির জনকের পরিবারের জৈষ্ঠকন্যা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর একমাত্র সুশিক্ষিত পুত্র জনাব জয়ের বিরুদ্ধেই একে একে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশিত ষড়যন্ত্রের দিকগুলো নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শেষে দেখা যায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আবার নতুন করে আলোড়িত হচ্ছে। কারণ গোয়েন্দা সংস্থার কল্যাণে পত্র-পত্রিকায় কিছুদিন আগে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে আসলাম চৌধুরী নামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের এক নেতা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের একজন সাবেক এজেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের রূপরেখা রূপায়িত হয়েছে এ সংবাদও গোপন নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোয়েন্দা সংস্থার উল্লেখ দিয়ে আরো জানিয়েছেন- কেবল জাতীয়তা বাদী দল নয়, অপর কয়েকটি দলের নামও জড়িয়ে গেছে এই সুগভীর চক্রান্তের রূপায়ণকারী হিসেবে। উল্লেখিত ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মাতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম বাদ দিয়ে একক ভাবে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং বর্তমান সরকারকে অগনতান্ত্রিকভাবে উৎখাতের দুইটি কারন থাকতে পারে--- (১) বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে, বিগত দিনের লুটপাটের ইতিহাস, আগুন সন্ত্রাসের ইতিহাস, ষড়যন্ত্রের ইতিহাস নিয়ে খমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পুরন না হওয়ার আশংকা। (২) শেখ হাসিনার অবর্তমানে সজিব ওয়াজেদ জয়ের আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার সমুহ সম্ভাবনা। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে যেহেতু তারেকের বিএনপি দলের নেতৃত্ব পাওয়ার নিশ্চয়তা ইতিমধ্যে স্থীর হয়েছে সুতারাং তাঁর ইমেজ সংকট দুরিভূত করার নিমিত্তে জয়ের ইমেজে কালিমালিপ্ত করার অপকৌশল প্রয়োগ। সুপ্রীয় বন্ধুগন, এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই--মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এদেশের বুদ্ধিজীবি সমাজ তাদের লেখনিতে, আলোচনায়, সেমিনারে বিদেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়ান।বিদেশী রাষ্ট্র সমুহের ষড়যন্ত্র অবশ্যই আছে,তবে তাঁদের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে। তাঁরা সহায়ক শক্তি হিসেবে সহযোগিতা করেন, আশ্রয়- প্রশ্রয় দেন কিন্তু এদেশীয় ষড়যন্ত্রকারিরাই মুল কাজটি ঘটান।এ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের কথা আমাদের বুদ্ধিজীবি সমাজ মুখে আনেন না। যেন ভাঁসুরের নাম মুখে নেয়া যায়না, তবে কেহ কেহ আচার আচরনে, ইঙ্গিতে ঈশারায় বলতে চেষ্টা করেন।স্পষ্ট ভাষায় ষড়যন্ত্রকারীদের তথ্য তাঁদের আলোচনায় আসলে হয়তোবা অনেক হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা থেকে দেশের অনেক প্রথিতযষা লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিক রক্ষা পেতেন।বিদেশীদের সাথে সম্পর্ক যারা তৈরী করেন, এদেশে প্রগতিমনাদের হত্যা করতে, প্রগতিশীল রাজনীতিবীদদের হত্যা করতে- তারা মঙ্গল গ্রহের মানুষ নন, তাঁরা বাংলাদেশেরই অধিবাসি। উল্লেখিত ষড়যন্ত্র প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে পালটা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন প্রমানের জন্য।এরই মধ্যে মিডিয়া ষড়যন্ত্রের উৎসস্থল আবিস্কার করে পত্র পত্রিকায় প্রমান সহ উল্লেখ করেছেন। মুল ষড়যন্ত্রকারী খালেদা জিয়া, তারেক গং ফুঁটা বেলুনের মত চুপসে গেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী একপয্যায় খালেদার প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন জয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য। ইতিমধ্যে অপ-প্রচারের লক্ষন লক্ষ করলে একটা বিষয় পরিস্কার ধারনা পাওয়া যায়-তাঁরা মুলত সত্যতা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উল্লেখিত ষড়যন্ত্রগুলী করেন না। জনমানসে তাঁদের ধারনা প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই অপপ্রচারের ডালা মেলে দেন।দীর্ঘ শাষনে তাঁদের যে প্রেতাত্বার ছায়া স্থাপন করতে পেরেছেন- তাঁদের মানসিক যন্ত্রনা লাঘবের নিমিত্তেই অপ-প্রচার গুলী নিত্য বাজারে গুজবকারে প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে হাজারো ষড়যন্ত্র হয়েছে।হাজার হাজার প্রগতিশীল মানুষ জীবন দিয়েছে।পক্ষান্তরে সাম্প্রদায়িক শক্তির উৎসস্থল সম্পর্কে সকলেরই কমবেশী জানা আছে,কিন্তু তাঁদের উৎসস্থলে একটি বোমার আঘাতও কোন দিন পড়েছে কেউ বলতে পারবেনা।একজন সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভু প্রগতিশীল সংগঠনের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে- এমন নজীর নেই। খালেদা জিয়ার জনসভায় একটি বোমা ফুটেছে চরম শত্রুও স্বাক্ষী দিতে পারবেনা। আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই-এদেশীয় অশুভ চক্রের বিদেশী রাষ্ট্র সমুহের সাথে সম্পর্কসূত্রের কারণেই সত্তরের দশকে সপরিবারে জাতির জনককে গণতান্ত্রিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার শুভস্বপ্ন অপূর্ণ রেখে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে নিহত হতে হয়েছে। প্রাণ দিতে হয়েছে সুরক্ষিত জেলখানার অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক জাতীয় চার নেতাকে। ইদানীং এসব ষড়যন্ত্রের সাগরে বহতা নদীর স্রোতের মতোই যুক্ত হয়েছে হরেক প্রকার স্বার্থান্বেষী মানুষের উদ্দেশ্য আর অভিপ্রায়। কারণ দেশের সর্বস্তরেই কিছু মানুষের নৈতিক অধঃপতন এতটাই তীব্র হয়েছে যে, নাগরিক হিসেবে দায়িত্ববোধ কিংবা কর্তব্য পালনের কোনো তাগিদই তাদের মধ্যে অবশিষ্ট নেই। বাংলাদেশের বড় দুর্ভাগ্য, এদেশে অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রমনা সম্প্রদায়ের অবস্থান থাকা সত্ত্বেও অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তিগুলো দীর্ঘকাল গায়ের জোরে,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে,হত্যার মাধ্যমে জয়ের মুকুট মাথায় পরেছে। মিথ্যা, কুপন্ডতার অলীক গল্প শুনিয়ে জনতার মনের অধীশ্বর হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তগত করেছে। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রেই তার অশুভ শক্তির বিস্তার ঘটিয়েছে। অশুভ শক্তি ক্ষমতার বিস্তার ঘটিয়ে অধিকাংশ মানুষের মনে এমন এক অপরিচ্ছন্ন, অসুস্থ মানসিকতা সৃষ্টি করেছে যা থেকে সহজে উত্তরন হয়তোবা অচিরেই সম্ভব নয়। তারই ফল দেখা যায় আসলাম চৌধুরীর ষড়যন্ত্রের খবর নিয়ে যখন টেলিভিশন চ্যানেলে আলাপ আলোচনার ঝড় ঊঠে, তখনো বহু শিক্ষিত জনের মুখেই কোমল কণ্ঠে উচ্চারিত হয়- আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ওই গোয়েন্দা ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয়েছে তো ভারতের মাটিতে বসে। ভারত কি ইসরায়েলকে বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটাতে দিবে?তাও আবার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে? খোদ বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখেও শুনা গেছে এমন বাক্য। তাদের ধারনার ধরনখানা এমন, যেন পুরো ভারতবাসী এবং ভারত সরকার জানেন, সেই দেশের গোপন কোন এক প্রান্তে বসে বাংলাদেশের কুচক্রিমহল, চক্রান্তকারীরা- নিজ দেশের সরকার উৎখাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন! ঠিক এই ধরনের সমাজতাত্বিক এবং মনস্তাত্বিক কারণেই দেশের বরেণ্য প্রবীণ সাংবাদিকও নিজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে বিদেশের মাটিতে বসে জঘন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে দ্বিধাগ্রস্ত হন না! নারায়ণগঞ্জে শ্রদ্ধেয় প্রধান শিক্ষক শ্যামলবাবুর বিরুদ্ধে পবিত্র ধর্ম অবমাননার মিথ্যে অজুহাতে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাঁকে উন্মত্ত জনতার হাতে তুলে দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়। একুশে আগস্ট ভয়ঙ্কর গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয় বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল সমাবেশে।একই মানসিকতা থেকেই মন্দিরের পুরোহিতের গলা কাটা হয়! অসাম্প্রদায়িক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে জবাই হতে হয় অকারণ নিষ্ঠুরতায়! খ্রিস্টানের গির্জায় বিশাল আকারের বোমা ফাটে! জজ মিয়ার নাটক তৈরি হয়। নিরীহ তরুণ পার্থ সাহাকে--পুলিশি নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা দেহমনে ধারণ করে হতে হয় স্বদেশছাড়া। সংখ্যালঘু উৎপাটনের নিরন্তর চেষ্টা চলে-- সমাজের, রাষ্ট্রের অনুকুল্যে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক বাহকদের লুলোপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়না সংখ্যা লুঘুদের বাড়ীঘর,জায়গা জমি।অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনের কিরিচের কোপে ক্ষতবিক্ষত হয় সংখ্যালুঘুর যুবকের দেহ। মুক্তমনা, প্রগতিমনা, কবি সাহিত্যিক, রাজনীতির মানুষগুলোর হত্যাকাণ্ড ঘটে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়। সুপ্রীয় বন্ধুরা, উল্লেখীত ষড়যন্ত্র সর্বতো মিথ্যা প্রমানীত হওয়ার পরও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর অঙ্গ সংগঠন সমুহ নির্বিকার।দেশের কোথাও রাজনৈতিক কোন কর্মসুচি নেই,প্রতিরোধের কোন লক্ষন নেই।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মাঝেমধ্যে বিবৃতি দেয়া ছাড়া কায্যত আর কোন প্রতিরোধের লক্ষন নেই।কিন্তু কেন? রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কেন আওয়ামী লীগ? যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মি:ত্রাম্পকে সভাসমাবেশ করতে দিচ্ছেনা সে দেশের জনগন তাঁর অসংলগ্ন বক্তব্যের কারনে।বাংলাদেশে কি এত ষড়যন্ত্রের পরেও তদ্রুপ কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়না? অবশ্যই যায়। প্রতিরোধ করা গনতন্ত্রের অংশ, গনতন্ত্রের সংজ্ঞার মধ্যেই প্রতিরোধের মর্মবানী নিহিত। এই বিষয়ে দুইটি কারন অনুধাবন করা যেতে পারে-- (১) রাজনৈতিক কর্মসুচিতে না গিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ বর্তমানের সংঘাতহীন রেখে দেশকে উন্নতির শীখরে নিয়ে যাওয়া। (২) রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রের মুল উৎপাটন করা। আমরা জানি, জাতির জনকের কন্যা প্রধান অশুভ শক্তি জামায়াতে ইসলামীর সাথে লড়াইরত: রয়েছেন। ইতিমধ্যে সর্ব উচ্চ দলীয় ঝুঁকিকে জিম্মি করে লড়াইতে জেতার দ্বারপ্রান্তে উপনীত। বৃহৎ সন্ত্রাসী শক্তির বিনাসের পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অশুভ শক্তির পতন অনিবায্য ধরে নিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা। ইতিমধ্যে ষড়যন্ত্রের গর্ভে জম্ম নেয়া বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করার সরঞ্জাম প্রস্তুতি পর্ব সমাপন করে লস্কর নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন।সুতাররাং কৌশলেই যদি কপোকাত করা যায়, হানাহানির প্রয়োজনীয়তা কি? 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

  অশুভ শক্তির চক্রান্ত ফাঁস।রাজনৈতিক প্রতিরোধের ভাবনা বাদ দিয়ে রাষ্ট্রীয় শক্তিতে সকল ষড়যন্ত্রের মূলৎপাটনের সরকারি কৌশল।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা