বঙ্গোবসাগরের তলদেশে প্রথমিক অনুসন্ধান--অঢেল সম্পদের সন্ধান।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
২০১৪ সালের জুলাইয়ে ভারত এবং এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা (টেরিটোরিয়াল সি), ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণিজ ও অ-প্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার পেয়েছে। এ বিশাল অঞ্চলে কি পরিমাণ মৎস্য ও খনিজ সম্পদ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ১৯টি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্লু ইকোনমি বা নীল সমুদ্রের অর্থনীতি হিসেবে খ্যাত এ খনিজ সম্পদ উত্তোলন করতে পারলে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যাবে বাংলাদেশের।
মন্ত্রনালয় সমুহ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষজ্ঞকমিটি গঠন করে তাঁদের কর্মতৎপরতা শুরু করে।বিশেষজ্ঞরা তাদের রিপোর্টে মন্ত্রনালয়কে জানান, সমুদ্রে মূলত দুই ধরনের সম্পদ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে প্রাণিজ (লিভিং) ও অপ্রাণিজ (নন-লিভিং) সম্পদ। অপ্রাণিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, চুনাপাথর প্রভৃতি। খনিজের মধ্যে আরও রয়েছে ১৭ ধরনের খনিজ বালু। এর মধ্যে ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, গ্যানেট, মোনাজাইট, কায়ানাইট, লিকোঙ্নি উল্লেখযোগ্য। এ আটটি খনিজ বালু বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলোর দামও বেশি। বঙ্গোপসাগরের অর্জিত সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ১০ লাখ টন এসব খনিজ বালু আহরণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাগরের তলদেশে ক্লেসার ডেপোজিট, ফসফরাস ডেপোজিট, এভাপোরাইট, পলিমেটালিক সালফাইড, ম্যাঙ্গানিজ নডিউল, ম্যাগনেসিয়াম নডিউল নামক খনিজ পদার্থ আকরিক অবস্থায় পাওয়া যাবে। এদের নিষ্কাশন করে লেড, জিংক, কপার, কোবাল্ট, মলিবডেনামের মতো দুষ্কর ধাতুগুলো আহরণ করা সম্ভব হবে। এসব দুষ্কর ধাতু উড়োজাহাজ নির্মাণ, রাসায়নিককাজে এবং বিভিন্ন কলকারখানায় ব্যবহার করাযাবে।(সংগৃহিত)
মহান সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় বাংলাদেশব্যাপি সমতল ভুমিতে একের পর এক তেল, গ্যাস,কয়লা, পদ্মার বালুচরে মুল্যবান ইউরিনিয়াম, সিমেন্ট তৈরীর উন্নতমানের কাঁচামাল প্রাপ্তির পর নতুন করে খবর আসতে শুরু করেছে বঙ্গোবসাগরের তলদেশেও প্রচুর উত্তোলনযোগ্য সম্পদ মজুদ রয়েছে।নি:সন্দেহে উক্ত সম্পদ প্রাপ্তি ছোট আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের জনগনের জন্যে উদ্বেলীত হওয়ার মতই সংবাদ।বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে সমুদ্রের বিশালকায় সম্পদ,গরীব দেশের জনগনের জন্যে উক্ত সম্পদ অবশ্যই অমূল্য রত্মভান্ডার হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতিকে দিয়েছেন, সর্বভৌম বাংলাদেশ।নৈরাশ্যবাদিরা যখন ষড়যন্ত্র করেছেন শেখ মজিব ভারতকে অত্র ভুখন্ড দিয়ে দিতেই পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে চায়, স্বাধীনতা চায়।এই দেশ চলবে কিভাবে, যেখানে একটা সুঁই বানাতে পারেনা যেই দেশের মানুষ।
ষড়যন্ত্রকারিদের চক্রান্তের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু বাংলার মাটিতে অঢেল সম্পদের প্রাচুয্য এবং সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার সম্পর্কে আশাবাদি করে স্বাধীনতার পক্ষে উদ্বেলীত করেছিলেন জাতিকে। ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছিলেন বলেই ২৫শে মার্চ হায়নারা বাঙ্গালী নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে তৎক্ষনাৎ বাঙ্গালী দামাল ছেলেরাও প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী অসম যুদ্ধে জয়ী হয়ে 'বাঙ্গালী' বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল।
অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়, যে মহান ব্যাক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার আদেশ পাওয়ার পরও পাকিস্তানী শাষকগোষ্টি হত্যা করার সাহষ করেনি,মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই মহান জাতির জনককে তাঁরই স্বাধীন দেশে কতিপয় বিপদগামি সেনাসদস্য '৭৫ এ ১৫ই আগষ্ট 'রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে হত্যা করে। বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি তথা জাতির জনকের "স্বপ্নের সোনার বাংলা" গড়ার অপার সম্বাবনাকে খুনিচক্র একরাতেই কবর রচনা করে।
তাঁর জীবিত দুই কন্যার এককণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একুশবছর একই অভিযোগে একতরফা অপপ্রচার (ভারতের নিকট দেশবিক্রি) চালিয়েছে। শেখ হাছিনাও হাজারো ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে বার বার অশুভশক্তির মৃত্যু পরওয়ানাকে উপেক্ষা করে দুর্নীতি, দু:শাষন, লুটপাটের বিরুদ্ধে বিরামহীন সংগ্রাম অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের জনগনকে একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রীত্বে মহাজোট ২০০৯ইং সালে বিশাল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, আওয়ামী লীগের নেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধ্র জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাছিনা সররারের প্রধানমন্ত্রীর শফথ গ্রহন করেন। বিগতদিনের জাতিসংঘ কতৃক পাঁছবারের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ, দারিদ্র সীমার নীছে অবস্থান প্রাপ্তের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারের দায়িত্বগ্রহন করে বিচক্ষনতা, দেশপ্রেম, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তড়িৎ পদক্ষেপের মাধ্যমে কঠোরভাবে সরকারের কায্যাবলী নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
সরকারের স্থীরতার পর পরই তিনি বৃটিশ পাকদের কারসাজিতে পুর্ববঙ্গের হাতছাড়া ভুখন্ড---" যাহা পাকিস্তানের তেইশবছর শাষন, বাংলাদেশের ত্রিশ বৎসরের শাষনকালে কোন সরকার উক্ত ভুখন্ড উদ্ধার করার চেষ্টা করেনি, যদিও বঙ্গবন্ধু আদায়ের পথ খুলে রেখেছিলেন।সমুদ্রের বিশাল জলরাশির অংশ পড়ে আছে--"কোন সরকার দাবি করেনি, কোন সরকার জনগনকে জানতেও দেয়নি।" অজানা, অ-প্রাপ্য সেই সমস্ত ভুমি ও জলরাশি উদ্ধার করে বাংলাদেশের সীমানা রেখাকে দ্বিগুনের চাইতেও বড় করেছেন একমাত্র জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী "শেখ হাছিনা"। তাই নতুন বাংলাদেশের জনক মানননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা "শেখ হাছিনা"।
বঙ্গবন্ধু দেশ কাউকে দেননি--"তিনি আজম্ম সাধনায় ৫৫,০০০ বর্গমাইলের স্বাধীন সার্বর্ভৌম বাংলাদেশ বাঙ্গালী জাতিকে উদ্ধার করে স্বাধীন করে দিয়েছেন।" তাঁর জৈষ্ঠকন্যাও কারো নিকট দেশ বিক্রি করেননি--"নীজের জীবন এবং পরিবারের জীবনের তোয়াক্কা নাকরে "মুক্তিযুদ্ধের পরম বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এবং বার্মা থেকে নিয়ে এসেছেন একলক্ষ বর্গমাইলেরও অধিক ভুখন্ড।" অধিকৃত অংশের মধ্যে "দশহাজার একর চাষযোগ্য ভুমি"ও অন্তভুক্ত রয়েছে। এত বড় বিশাল অর্জনের পিছনে--"তিনি এককনা বারুদ খরছ করেননি, একজন সৈন্যও মোতায়েন করেননি, আকাশে একটিও জঙ্গিবিমান উড়াননি, তাঁর একবাক্য সামরিক হুমকির ও প্রয়োজন হয়নি।" "যাহা বিশ্ব ইতিহাসে অতীতে কখনই সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতেও কখনই হওয়ার সম্ভাবনা নেই"।
আজকের শক্তিশালী দেশসমুহের অন্তজ্বালা সৃষ্টি করে রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে "শেখ হাছিনার অর্জিত বাংলাদেশের সম্পদরাজির প্রাচুর্য্য।" তাঁরা জাতির জনকের "সোনার বাংলা" গড়ার স্বপ্নকে বানচাল করতে তাঁকে হত্যা করার জন্যে যাঁদেরকে ভাড়া করেছিল '৭৫ এ আজকেও তাঁর কন্যার "ডিজিটাল বাংলাদেশ" এর স্বপ্নকে বানচাল করতে এবং তাঁকেও হত্যা করার জন্যে তাঁদেরকেই ভাড়ায় নিয়েছে।তাঁদের আন্দোলন সংগ্রামের জোট এবং ধরন দেখেই বুঝা যায় তাঁদের উদ্দেশ্য কি?
বিশ্বের কোন দেশেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ইতিহাসে নেই আগুনসন্ত্রাস, পেট্রোল বোমাবাজি, লুটপাট, নাশকতা, হত্যা, গুম রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করার হঠকারিতা। একমাত্র বাংলাদেশে জাতির জনকের কন্যা "শেখ হাছিনা"কে খমতা থেকে সরাতে মোড়ল রাষ্ট্র সমুহ 'সম্মিলীত অ-শুভজোট'কে তাই করার অনুমোদন দিয়েছে। তাঁরাও একই সাথে "বিপজ্জনক রাষ্ট্র" বাংলাদেশ কর্মসুচি যুগৎপৎ এযাবৎকাল পালন করেছে। বাংলাদেশের সম্মিলীত অশুভ শক্তির 'মহাজোট' সাময়িক পরাজয়ের পর তাঁরও গতমাসে কর্মসূচি আপাতত: প্রত্যাহার করে সাময়িক পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। বাংলাদেশের অশুভশক্তির যেমন লজ্জাবোধ নেই তাঁদেরও পরাজয়ে গ্লানি নেই--"তাই তো সর্বমহলে বঙ্গকন্যাকে নিয়ে যত ভয়"।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
২০১৪ সালের জুলাইয়ে ভারত এবং এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তির পর বাংলাদেশ এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা (টেরিটোরিয়াল সি), ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণিজ ও অ-প্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার পেয়েছে। এ বিশাল অঞ্চলে কি পরিমাণ মৎস্য ও খনিজ সম্পদ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ১৯টি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্লু ইকোনমি বা নীল সমুদ্রের অর্থনীতি হিসেবে খ্যাত এ খনিজ সম্পদ উত্তোলন করতে পারলে রাতারাতি ভাগ্য বদলে যাবে বাংলাদেশের।
মন্ত্রনালয় সমুহ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশেষজ্ঞকমিটি গঠন করে তাঁদের কর্মতৎপরতা শুরু করে।বিশেষজ্ঞরা তাদের রিপোর্টে মন্ত্রনালয়কে জানান, সমুদ্রে মূলত দুই ধরনের সম্পদ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে প্রাণিজ (লিভিং) ও অপ্রাণিজ (নন-লিভিং) সম্পদ। অপ্রাণিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, চুনাপাথর প্রভৃতি। খনিজের মধ্যে আরও রয়েছে ১৭ ধরনের খনিজ বালু। এর মধ্যে ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, গ্যানেট, মোনাজাইট, কায়ানাইট, লিকোঙ্নি উল্লেখযোগ্য। এ আটটি খনিজ বালু বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলোর দামও বেশি। বঙ্গোপসাগরের অর্জিত সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ১০ লাখ টন এসব খনিজ বালু আহরণ করা সম্ভব। এছাড়াও সাগরের তলদেশে ক্লেসার ডেপোজিট, ফসফরাস ডেপোজিট, এভাপোরাইট, পলিমেটালিক সালফাইড, ম্যাঙ্গানিজ নডিউল, ম্যাগনেসিয়াম নডিউল নামক খনিজ পদার্থ আকরিক অবস্থায় পাওয়া যাবে। এদের নিষ্কাশন করে লেড, জিংক, কপার, কোবাল্ট, মলিবডেনামের মতো দুষ্কর ধাতুগুলো আহরণ করা সম্ভব হবে। এসব দুষ্কর ধাতু উড়োজাহাজ নির্মাণ, রাসায়নিককাজে এবং বিভিন্ন কলকারখানায় ব্যবহার করাযাবে।(সংগৃহিত)
মহান সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় বাংলাদেশব্যাপি সমতল ভুমিতে একের পর এক তেল, গ্যাস,কয়লা, পদ্মার বালুচরে মুল্যবান ইউরিনিয়াম, সিমেন্ট তৈরীর উন্নতমানের কাঁচামাল প্রাপ্তির পর নতুন করে খবর আসতে শুরু করেছে বঙ্গোবসাগরের তলদেশেও প্রচুর উত্তোলনযোগ্য সম্পদ মজুদ রয়েছে।নি:সন্দেহে উক্ত সম্পদ প্রাপ্তি ছোট আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের জনগনের জন্যে উদ্বেলীত হওয়ার মতই সংবাদ।বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে সমুদ্রের বিশালকায় সম্পদ,গরীব দেশের জনগনের জন্যে উক্ত সম্পদ অবশ্যই অমূল্য রত্মভান্ডার হিসেবেই চিহ্নিত হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতিকে দিয়েছেন, সর্বভৌম বাংলাদেশ।নৈরাশ্যবাদিরা যখন ষড়যন্ত্র করেছেন শেখ মজিব ভারতকে অত্র ভুখন্ড দিয়ে দিতেই পাকিস্তান থেকে আলাদা করতে চায়, স্বাধীনতা চায়।এই দেশ চলবে কিভাবে, যেখানে একটা সুঁই বানাতে পারেনা যেই দেশের মানুষ।
ষড়যন্ত্রকারিদের চক্রান্তের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু বাংলার মাটিতে অঢেল সম্পদের প্রাচুয্য এবং সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার সম্পর্কে আশাবাদি করে স্বাধীনতার পক্ষে উদ্বেলীত করেছিলেন জাতিকে। ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙ্গালী জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছিলেন বলেই ২৫শে মার্চ হায়নারা বাঙ্গালী নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে তৎক্ষনাৎ বাঙ্গালী দামাল ছেলেরাও প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী অসম যুদ্ধে জয়ী হয়ে 'বাঙ্গালী' বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল।
অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়, যে মহান ব্যাক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার আদেশ পাওয়ার পরও পাকিস্তানী শাষকগোষ্টি হত্যা করার সাহষ করেনি,মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। সেই মহান জাতির জনককে তাঁরই স্বাধীন দেশে কতিপয় বিপদগামি সেনাসদস্য '৭৫ এ ১৫ই আগষ্ট 'রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে হত্যা করে। বাংলাদেশের উন্নতি অগ্রগতি তথা জাতির জনকের "স্বপ্নের সোনার বাংলা" গড়ার অপার সম্বাবনাকে খুনিচক্র একরাতেই কবর রচনা করে।
তাঁর জীবিত দুই কন্যার এককণ্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একুশবছর একই অভিযোগে একতরফা অপপ্রচার (ভারতের নিকট দেশবিক্রি) চালিয়েছে। শেখ হাছিনাও হাজারো ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে বার বার অশুভশক্তির মৃত্যু পরওয়ানাকে উপেক্ষা করে দুর্নীতি, দু:শাষন, লুটপাটের বিরুদ্ধে বিরামহীন সংগ্রাম অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের জনগনকে একতাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রীত্বে মহাজোট ২০০৯ইং সালে বিশাল জনসমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে, আওয়ামী লীগের নেত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধ্র জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাছিনা সররারের প্রধানমন্ত্রীর শফথ গ্রহন করেন। বিগতদিনের জাতিসংঘ কতৃক পাঁছবারের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ, দারিদ্র সীমার নীছে অবস্থান প্রাপ্তের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারের দায়িত্বগ্রহন করে বিচক্ষনতা, দেশপ্রেম, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তড়িৎ পদক্ষেপের মাধ্যমে কঠোরভাবে সরকারের কায্যাবলী নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন।
সরকারের স্থীরতার পর পরই তিনি বৃটিশ পাকদের কারসাজিতে পুর্ববঙ্গের হাতছাড়া ভুখন্ড---" যাহা পাকিস্তানের তেইশবছর শাষন, বাংলাদেশের ত্রিশ বৎসরের শাষনকালে কোন সরকার উক্ত ভুখন্ড উদ্ধার করার চেষ্টা করেনি, যদিও বঙ্গবন্ধু আদায়ের পথ খুলে রেখেছিলেন।সমুদ্রের বিশাল জলরাশির অংশ পড়ে আছে--"কোন সরকার দাবি করেনি, কোন সরকার জনগনকে জানতেও দেয়নি।" অজানা, অ-প্রাপ্য সেই সমস্ত ভুমি ও জলরাশি উদ্ধার করে বাংলাদেশের সীমানা রেখাকে দ্বিগুনের চাইতেও বড় করেছেন একমাত্র জাতির জনকের কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী "শেখ হাছিনা"। তাই নতুন বাংলাদেশের জনক মানননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের জৈষ্ঠকন্যা "শেখ হাছিনা"।
বঙ্গবন্ধু দেশ কাউকে দেননি--"তিনি আজম্ম সাধনায় ৫৫,০০০ বর্গমাইলের স্বাধীন সার্বর্ভৌম বাংলাদেশ বাঙ্গালী জাতিকে উদ্ধার করে স্বাধীন করে দিয়েছেন।" তাঁর জৈষ্ঠকন্যাও কারো নিকট দেশ বিক্রি করেননি--"নীজের জীবন এবং পরিবারের জীবনের তোয়াক্কা নাকরে "মুক্তিযুদ্ধের পরম বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এবং বার্মা থেকে নিয়ে এসেছেন একলক্ষ বর্গমাইলেরও অধিক ভুখন্ড।" অধিকৃত অংশের মধ্যে "দশহাজার একর চাষযোগ্য ভুমি"ও অন্তভুক্ত রয়েছে। এত বড় বিশাল অর্জনের পিছনে--"তিনি এককনা বারুদ খরছ করেননি, একজন সৈন্যও মোতায়েন করেননি, আকাশে একটিও জঙ্গিবিমান উড়াননি, তাঁর একবাক্য সামরিক হুমকির ও প্রয়োজন হয়নি।" "যাহা বিশ্ব ইতিহাসে অতীতে কখনই সম্ভব হয়নি, ভবিষ্যতেও কখনই হওয়ার সম্ভাবনা নেই"।
আজকের শক্তিশালী দেশসমুহের অন্তজ্বালা সৃষ্টি করে রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে "শেখ হাছিনার অর্জিত বাংলাদেশের সম্পদরাজির প্রাচুর্য্য।" তাঁরা জাতির জনকের "সোনার বাংলা" গড়ার স্বপ্নকে বানচাল করতে তাঁকে হত্যা করার জন্যে যাঁদেরকে ভাড়া করেছিল '৭৫ এ আজকেও তাঁর কন্যার "ডিজিটাল বাংলাদেশ" এর স্বপ্নকে বানচাল করতে এবং তাঁকেও হত্যা করার জন্যে তাঁদেরকেই ভাড়ায় নিয়েছে।তাঁদের আন্দোলন সংগ্রামের জোট এবং ধরন দেখেই বুঝা যায় তাঁদের উদ্দেশ্য কি?
বিশ্বের কোন দেশেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের ইতিহাসে নেই আগুনসন্ত্রাস, পেট্রোল বোমাবাজি, লুটপাট, নাশকতা, হত্যা, গুম রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করার হঠকারিতা। একমাত্র বাংলাদেশে জাতির জনকের কন্যা "শেখ হাছিনা"কে খমতা থেকে সরাতে মোড়ল রাষ্ট্র সমুহ 'সম্মিলীত অ-শুভজোট'কে তাই করার অনুমোদন দিয়েছে। তাঁরাও একই সাথে "বিপজ্জনক রাষ্ট্র" বাংলাদেশ কর্মসুচি যুগৎপৎ এযাবৎকাল পালন করেছে। বাংলাদেশের সম্মিলীত অশুভ শক্তির 'মহাজোট' সাময়িক পরাজয়ের পর তাঁরও গতমাসে কর্মসূচি আপাতত: প্রত্যাহার করে সাময়িক পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। বাংলাদেশের অশুভশক্তির যেমন লজ্জাবোধ নেই তাঁদেরও পরাজয়ে গ্লানি নেই--"তাই তো সর্বমহলে বঙ্গকন্যাকে নিয়ে যত ভয়"।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন