সাতখুনের মামলার রায়----" সরকারের  আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গিকার পূরণে যুগান্তকারি দৃষ্টান্ত"।
        (রুহুল  আমিন  মজুমদার)
-
          নি:সন্দেহে বাংলাদেশের এযাবৎ সংঘটিত লোমহর্ষক, চাঞ্চল্যকর, দেশে বিদেশে আলোচিত হত্যাকান্ড গুলীর মধ্যে নারায়ন গঞ্জের ৭খুনের ঘটনাটি অন্যতম না হলেও একটি।সরকারের প্রশাসন যন্ত্র, আইন শৃংখলা বাহিনী এবং পাবলিক সহযোগে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় হত্যাকান্ড গুলির মধ্যে ১৫ই আগষ্ট, ২১ শে আগষ্ট, জেল হত্যা, কিবরিয়া হত্যা, আহসান উল্যা মাষ্টার হত্যা, চট্রগ্রামে শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টায় সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের হত্যা,  উদিচি হত্যাকান্ড, রমনা বটমুলে হত্যাকান্ড গুলি অন্যতম হলেও তখনকার সরকার প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিয়ে ইতিহাসে কালোধ্যায় সৃষ্টি করেছিল।
   দেশের বিভিন্ন সেনাসদর সমূহে নাটকীয় অভ্যুত্থানের অজুহাতে অগনিত মেধাবি তরুন সেনা কর্মকর্তা হত্যা সংগঠিত হলেও কোন হত্যাকান্ডের অদ্যাবদি তদন্ত পয্যন্ত হয়নি।আনসার সদর দপ্তরে তাঁদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষে সংগঠিত হলে তাঁদেরকে 'আনসার বিদ্রোহে''র নামে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর যুগৎপত গুলি ও বোমা হামলার মাধ্যমে নির্বিচারে হত্যার ন্যাক্কারজনক ইতিহাসও এদেশে সংগঠিত হ'তে দেখা গেছে। যদিও অনেকগুলি প্রশ্নের মধ্যে একটি প্রশ্নও করা হয়--"আনসার বাহিনীর ন্যায় গুলি,বন্দুকহীন একটি বাহিনী সত্যিকার অর্থে বিদ্রোহ যদিও বা করে থাকে- সেই বিদ্রোহ কতদিন  পয্যন্ত তাঁরা চালিয়ে যেতে সক্ষম ছিল।"

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫ ইং সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ একুশ বছর অপ-প্রচারের শিকার হয়ে দেশ ও জনগনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।বিরুধী দলে থেকেও সেনা শাষিত সরকারের সামরিক আইন প্রত্যাহার থেকে শুরু করে--স্বৈরাচার সরকার, আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা, জনগনের মৌলিক অধিকার, ব্যাক্তি ও বাক স্বাধীনতা,সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, সভা সমাবেশের স্বাধীনতা, তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, ভোট ও ভাতের অধিকার, সর্বশেষ চারদলীয় জোট ও তত্ববধায়ক সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার সংগ্রাম অব্যাহত রাখে এবং ২০০৯ ইং সালের সাধারন নির্বাচন দিতে বাধ্য করে। বাংলাদেশকে সত্যিকারের গনতন্ত্র, উন্নয়ন, মৌলিক অধিকার,কল্যান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা, গনতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনতে গিয়ে বহু নেতাকর্মীকে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে,অনেক নেতাকর্মী সরকারের পৃষ্টপোষকতায় হত্যা, গুমের শিকার হয়েছে।

      অবশেষে ২০০৯ইং সালের সাধারন নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে সরকার গঠন করে।সরকার গঠনের তিনমাসের মাথায় এযাবৎকালের সর্ব বৃহৎ লোমহর্ষক ঘটনা সংগঠিত হয় ঢাকা তৎকালীন  বি, ডি আর সদর দপ্তরে। "ফখরুল-মঈন আহম্মদে"র সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকারের শাষনামলে বি, ডি আর জোয়ানদের মধ্যে তিলে তিলে  রোপিত বীজ অবশেষে ঘৃনা আর ক্ষোবে রুপান্তরীত হয়। দেশী বিদেশী শক্তির মদদ পেয়ে উক্ত ঘৃনা ও ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটায় তাঁরা সেনাবাহিনীর ৬০/৭০ জন মেধাবি কর্মকর্তাকে হত্যার মাধ্যমে।নতুন সরকারের জন্যে উক্ত বিদ্রোহ দমন এবং বিদ্রোহে অংশ নেয়া সদস্যদের বিচারের মুখামুখী করা, ষড়যন্ত্রকারি, ইন্দনদাতা  খুঁজে বের করে তাঁদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, নি:সন্দেহে কঠিন একটি কাজ ছিল। শেখ হাছিনার সরকার সকল প্রকার রক্তপাত এড়িয়ে উক্ত ঘটনা অত্যান্ত স্বাভাবিক এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে  নিয়ন্ত্রন করেন এবং কি ঘটে যাওয়া মানবতা বিরুধী কর্মকান্ড ও সেনা কর্মকর্তা  হত্যার বিচার একাধিক দেশী বিদেশী  তদন্ত দলের দেয়া প্রতিবেদনের আলোকে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াও সমাপ্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করেন।

      বাংলাদেশের জনগনের আকাংক্ষীত     আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার লক্ষে '৭১ইং সালের মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া একাধিক আন্তজাতিক মানসম্পন্ন ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার ককায্য শুরু করে বর্তমান সময় পয্যন্ত চলমান রেখেছেন। ইতিমধ্যে শীর্ষ অপরাধী কয়েকজনের সাজা বাস্তবায়িত হয়েছে। '৭৫ ইং সালের বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার ৯৬ইং সালে আওয়ামীলীগ সরকার শেখ হাছিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করার পর শুরু করে নিম্ন আদালতের রায় পয্যন্ত চালিয়ে নিতে পেরেছিল।২০০১ ইং সালে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা না হওয়ায় উক্ত রায় কায্যকর করা সম্ভব হয়নি।চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে বিচারক স্বল্পতার অজুহাতে উক্ত বিচার কায্যক্রম দীর্ঘ পাঁছ বছর অঘোষিতভাবে স্থগিত করে রাখে।২০০৬ ইং সালে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার উচ্চ আদালতের রায় সাপেক্ষে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিদের সাজা কায্যকর করে।'

১৯৯৬ইং সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ হাছিনা  সরকার গঠন করে শুধুমাত্র জাতির জনক এবং তাঁর পরিবারের হত্যাকান্ড নয় জেলখানার অভ্যন্তরে চার জাতীয়নেতা হত্যা সহ পরবর্তী প্রায় সকল চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের বিচার কায্যক্রম শুরু করে।অধিকাংশ মামলা নিস্পত্তি হলেও  কিছু মামলা এখনও চুড়ান্ত নিস্পত্তির অপেক্ষায় উচ্চ আদালতে রয়েছে। আশা করা যায় প্রত্যকটি মামলার বিচার সম্পন্ন হবে এবং হত্যাকারি শাস্তির আওতায় আসবে।দীর্ঘ বিরতির কারনে অনেক মামলার সাক্ষী  হয় মৃত্যু বরন করেছে নয়তোবা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বেশীরভাগ মামলার আলামত পয্যন্ত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে অথবা সুরক্ষিত আদালত কক্ষ হ'তে মামলার ডকেট সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বাদী-সাক্ষী, আলামত ইত্যাদি সংগ্রহ করে মামলাগুলী প্রমান করা সত্যি এক কঠিন ব্যাপার।তারপরও আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার পুরনে সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে প্রত্যকটি মামলা নিস্পত্তির উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

      ২০১৪ইং সালের সাধারন নির্বাচনের পর সরকারি বাহিনী ও ষড়যন্ত্রকারিদের যোগসাজসে সবচেয়ে বড় ও চাঞ্চল্যকর হত্যা কান্ডটি ঘটে নারায়ন গঞ্জ। সরকারের সবচেয়ে  উন্নত, চৌকস বাহিনী কতিপয় দুস্কৃতিকারীর প্ররোচনায়  সাতজন বিশিষ্ট নাগরিককে ঐদিন একই সাথে অপহরন করে হত্যা করে এবং কি  লাশ ঘুম করে।সাড়া জাগানো হত্যাকান্ড দেশে বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি সাংঘাতিক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে। উক্ত ঘটনা তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় ষড়যন্ত্রকারিরা প্রকাশ্য অ-প্রকাশ্য বলতে থাকে-- "হত্যাকান্ডের বিচার সরকার ধামাচাপা দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।" সরকার উক্ত হত্যার বিচার করবেনা বা  করতে পারবে না।আদালত পাঁড়ার ভিতরে বাহিরে আসামী পক্ষের উদ্যত আচার আচরন বিরুধী পক্ষের অভিযোগের সত্যতা অনেকাংশে প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভুমিকা পালন করে। সাধারন মানুষও অনেকাংশে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিল হত্যাকারিদের নিশ্চয়ই সরকারের সাথে যোগসাজস রয়েছে।আসামীগন এতবড় ঘটনা করার পরও ছিল স্বাভাবিক কোন কোন ক্ষেত্রে প্রভাব প্রতিপত্তিও দেখা গেছে চোখে পড়ার মতই।

      নারায়ণগঞ্জের র্যব-১১-এর তৎকালীন সদস্যরা অপহৃত সাতজনকে  প্রথমে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে  অচেতন করেন। তারপর মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। সর্বশেষ নদীতে ফেলার সময় লাশগুলোর পেট চিরে দেন তাঁরা। জড়িত র্যব সদস্যদের জবানবন্দিতেই উঠে এসেছে ঘটনার নৃশংসতার বিবরণ।

      অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অদ্য  ৭খুনের মামলায় র্যব কর্মকর্তা সহ ২৬ জন প্রভাবশালী হত্যাকারির মৃত্যুদন্ডের রায়ের মাধ্যমে বিচার কায্য সম্পন্ন হয়েছে।সন্দেহ প্রবন সকল পক্ষের মুখে চুনকালি মেখে চাঞ্চল্যকর হত্যার বিচারের মাধ্যমে প্রমান হল বর্তমান সরকার আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার থেকে চুল পরিমানও বিচ্যুত হয়নি। বাংলাদেশকে সভ্য দুনিয়ায় একটি সভ্যদেশ ও জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা সর্বাজ্ঞে প্রয়োজন।বর্তমান শেখ হাছিনার সরকার প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সরকার প্রধান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সরকার সমুহের "ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কায্যকর একটি অমানবিক শাস্তির বিধান" অজুহাতে "ফাঁসি রহিতকরনের জন্য প্রচন্ড চাপ,দেশের অভ্যন্তরে সম্মিলীত অশুভশক্তির সকল ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে আদালতের দেয়া প্রত্যেকটি সাজা কায্যকর করেছে।বাংলাদেশকে এযাবৎ কাল  চলে আসা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করার লক্ষে নীজের এবং পরিবারের জীবনহানীকেও তোয়াক্কা করেননি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী।তিনি এবং তাঁর সরকার  দৃডতার সাথে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন---"তার উৎকৃষ্ট একটি প্রমান নারায়ন গঞ্জে সংঘটিত ৭জন বিশিষ্ট নাগরিক হত্যায় জড়িত সরকারের আইন শৃংখলা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে এবং কি বিদ্যমান আদালতের মাধ্যমে বিচারকায্য সম্পন্ন করে সাজা নিশ্চিত করেছেন।"
   অতীতের কোন সরকার দেশে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য কোন উদাহরন সৃষ্টি করতে পারেননি যাহা বর্তমান সরকারের আজকের দিনেও একটি বড় উদাহরন স্থাপিত হল ।

            masterruhulamin@gmail.com
              "জয়বাংলা----------জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা