অশুভ চক্রের উত্থান রোধে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী উচ্চারন "জয়বাংলা"কে  "জাতীয় শ্লোগানে"র মায্যদা প্রদানের কোন বিকল্প নেই।
(রুহুল  আমিন  মজুমদার)

জয় বাংলা:---
জয় বাংলা এমন একটি স্লোগান যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবল ভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল। এর আগে বাঙালি কখনো এত তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান দেয় নি, যাতে একটি পদেই প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ [১] । জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস। সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করত[২]
উদ্ভব:--
কখন কীভাবে এই স্লোগানটির উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় না। একসূত্রে বলা হয়েছে যে ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস (১৭ মার্চ) যৌথভাবে পালনের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ-এর আহুত সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব আহমেদ ও চিশতী হেলালুর রহমান "জয় বাংলা" স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন।[৩] তবে ১৯ জানুয়ারি ১৯৭০-এ ঢাকা শহরের পল্টনের এক জনসভায় ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান তাঁর ভাষণে সর্বপ্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে।[৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে প্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেন ৭ মার্চ ১৯৭০-এ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভার ভাষণে।[৫
        "আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রদত্ত তাঁর বিখ্যাত সাতই মার্চের ভাষণ সমাপ্ত করেছিলেন "জয় বাংলা" উচ্চারণ করে। এই ভাষণের পর থেকে এটি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। "[  তথ্য সুত্র:--বিডি উইকিপিডিয়া]

       বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মুখে প্রথম উচ্চারিত হয় ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ১৯৪২ সালে। তার বক্তৃতা এবং লেখায়। আর ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথম শ্লোগান হিসেবে তা ব্যবহার করে। যা ছাত্র সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় এবং নানাভাবে দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। জয় বাংলার জনপ্রিয়তা তখন অবিসংবাদিত হয়ে উঠে প্রতিটি বাঙ্গালীর মনে প্রাণে।

  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে।  মুক্তিযুদ্ধের মহা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এই জয় বাংলা শ্লোগানটি। লাখো শহীদেরা মৃত্যুর আগে শ্লোগানটি উচ্চারণ করে গেছেন-নির্ভয়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” শ্লোগানের বিপরীতে।'জয়বাংলা শ্লোগান" রক্ত দিয়ে লেখা ইতিহাসের পাতায় পাতায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকার নিয়ন্ত্রিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্বিকৃত শ্লোগান 'জয়বাংলা'।স্বাধীনতা পরবর্তি চলচ্চিত্র, নাটক, গল্প ও কবিতায় স্বিকৃত 'জয়বাংলা শ্লোগান"। বাংলাদেশের জম্মে জয়বাংলা শ্লোগান, উন্নয়ন অগ্রগতির মহিসোপানে জয়বাংলা শ্লোগান ইনশাল্লাহ সমৃদ্ধ দেশেও উচ্ছারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরনাদায়ি "শ্লোগান' জয়বাংলা'।

      সম্মানীত পাঠক এবং আজকের প্রজম্মকে আমি শুধুমাত্র একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই---"বঙ্গবন্ধুর আগে ব্যাক্তিগত, সংগঠনগত ভাবে বহুবার উচ্ছারিত হয়েছে জয়বাংলা শ্লোগান কিন্তু আপামর বাঙ্গালী সার্বজনীনভাবে উক্ত শ্লোগান গ্রহন করেনি। উল্লেখিত  সুত্রালোকে আপনারাও দেখতে পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ' জয়বাংলা "শব্দটি যেদিন মুখে উচ্চারন করেছেন সেদিন থেকেই শব্দটি জনপ্রীয়তা পেতে থাকে। শেষ পয্যন্ত ছোট্র এই শব্দটি এত বেশি প্রেরনাদায়ক হয়ে উঠেছিল সমগ্র জাতির মননে--"মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন, শত্রুর আঘাতে মৃত্যু, আক্রমনের বিজয়, শত্রু নিধন, শত্রু সেনা কতৃক আক্রান্ত হলে তৎক্ষনাৎ শক্তির উৎসে পরিণত হয়ে পালটা আঘাতের 'মারাণাস্ত্রের চেয়েও বহুগুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এককথায় বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদি চেতনার সর্ব বিষয়ের উৎসে পরিণত হয়েছিল জয়বাংলা।"

        কোন সে মহাশক্তি ছিলো "জয় বাংলা" শ্লোগানে? কোন সে মূলমন্ত্র ছিলো মহান স্বাধীনতার সেই কালজয়ী "জয় বাংলা" উচ্চারণে? কবে এবং কোথায় কীভাবে ‘জয় বাংলা’ শব্দটির উৎপত্তি হলো? যারা রাজনীতির নামে দলবাজি করেন, দেশ প্রেমের কথা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হবেন, দেশ পরিচালনা করেছেন বা করবেন; তাদের মধ্যে যাদের ভাবনায়  ‘জয় বাংলা’ শব্দটির প্রতি অনীহা ছিল, আছে বা  থাকবে,  অবহেলা ছিল আছে বা থাকবে তাঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিরুধী, পাকিস্তানের প্রেতাত্বা।
     সাগরসম রক্ত ঢেলে "পাকিস্তান জিন্দাবাদে"র কবর রচনা করে "জয়বাংলা" শ্লোগান প্রতিষ্ঠিত করেছিল সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালী। "জয়বাংলা শ্লোগান সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। জয়বাংলা শ্লোগান শত্রু নিধনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।পরিশেষে "জয়বাংলা শ্লোগান" মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতিকে পরিণত হয়েছিল।

     যে মহান ব্যাক্তির মুখে উচ্ছারিত একটি মাত্র শব্দ(জয়বাংলা) ধ্বনি প্রতিধ্বনীত হয়ে সাড়ে সাতকোটি মানুষের রক্তে অনুরণ সৃষ্টি করতে পারে, মুক্তির প্রেরনা খুঁজে পেতে পারে, হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিতে পারে; সেই মহান ব্যাক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান প্রশ্নে বিতর্ক; মানবসৃষ্ট সকল মারাণাস্ত্রের চেয়ে কোটি গুন শক্তি সম্পন্ন "ক্ষেপনাস্ত্র জয়বাংলা স্লোগান" নিয়ে বিতর্ক----'ইহাও কি প্রজর্ম্ম থেকে প্রজর্ম্মান্তরে মেনে নিতে হবে?'
 
   ' বর্তমান প্রজন্ম তাঁদের উত্তরসূরিদের স্বাধীন দেশের মাটিতে বাঁচার মত  বাঁচতে দেয়ার,স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবার ক্ষেত্র  সৃষ্টি করে দিতে নৈতিকভাবে এবং  প্রথাগত,   দায়বদ্ধ।যেমনি আমাদের সুখ শান্তি, সমৃদ্ধির জন্যে, অনন্তকালের পরাধীনতা  থেকে মুক্ত করার লক্ষে আমাদের পুর্ব প্রজম্ম বিশ্বের এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ "বিসর্জন"  দিয়ে, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্তকালের জন্যে গৌরবের অধিকারি করে দিয়ে গেছেন।বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্ত, অসীমকালের  ঋনের জালে বন্দি করে গেছেন। তাঁদের রচিত বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মুক্ত নি:শ্বাস নিতে পারায় আমরা বর্তমা প্রজর্ম্মও উত্তর প্রজম্মের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নত জীবনের ভিত্তি রচনা করে, শহীদের রক্তের ঋন শোধের নৈতিক দায়িত্বে আবদ্ধ হয়ে গেছি।
      বর্তমান প্রজম্মের উক্ত ঋনশোধের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজন ঐ আদর্শই অনুসরন। "যাতে মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তেও  বলতে পারি---"আমার সমগ্র জীবন, শক্তি, মেধা, মনন ব্যয় করেছি  এমন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে যে আদর্শ ধারন করে সাড়ে সাতকোটি মানুষের মুক্তির জন্য আমার পুর্ব প্রজম্ম জাতির শ্রেষ্ঠ গৌরব "মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছিল।" সেই আদর্শটি হচ্ছে মুজিবাদর্শ। যে আদর্শ ধারন করে প্রায় অর্ধশত বছর আগে ১৯৭১ ইং সালে  সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।ফলশ্রুতিতে ত্রিশলক্ষ মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, পৌণে চার লক্ষ মা-বোন তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ "নারীত্ব" বিসর্জন দিয়েছিল, নির্যাতীত হয়েছিল।

       অশুভ শক্তি ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট শুধুমাত্র ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই। তাঁরা সেদিন বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতাকে হত্যা করেছিল।মুক্তি যুদ্ধকে হত্যা করে পাকিস্তানী প্রেতাত্বার জম্ম দিয়েছিল।  ১৫ই আগষ্ট  সেদিনটিতে আর একটি শ্লোগান জম্ম দিয়েছিল অশুভ শক্তির ভাড়াটিয়া ঘাতক চক্র  "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"।

      ১৫ই আগষ্টের আগে হাজার বছরের বাঙ্গালী ইতিহাসে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" শব্দটি ছিলনা, পাকিস্তান জিন্দাবাদ ছিল। যদিও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলতে বাংলাদেশের গুণগানই গাওয়া হয়। তবে এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় খুনী, বদমাইশ কালো সানগ্লাস পরিহিত মীর জাফরের উত্তরসূরি মেজর জিয়া, মোস্তাকদের হাতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় জয় বাংলা শ্লোগানের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণা জম্ম দিতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের জন্ম হয়েছে নষ্টামির মধ্য দিয়ে।এই শ্লোগানের জম্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের রক্তের হোলিখেলার মাঠে।'পাকিস্তান জিন্দাবাদের' সাথে হুবহু সামঞ্জস্য রেখে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ভুট্রোর স্থলে জিয়া, টিক্কার স্থলে ডালিম, ইয়াহিয়ার স্থলে মোস্তাকের নেতৃত্বে।

        ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালের ভোর রাতে বাংলাদেশ বেতার শব্দের পরিবর্তন হয়ে রেডিও বাংলাদেশে বার বার খুনী চক্রের ডালিম, ফারুক, মোস্তাক গং দের মুখে "সাধু ও চলিত ভাষার ভীতিকর এলোমেলো ঘোষনা শেষে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" জাতিগত বিভক্তির শ্লোগান শুনতে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। জম্মেই যে শ্লোগান রক্তের বন্যার স্বাদ নিয়ে জম্মেছিল বিভক্তির প্রতীক হিসেবে, বিভেদের চিহ্ন হিসেবে আজ তা দানবের রুপ ধারন করেছে।
   
      আজকের অনৈক্য, অপসংস্কৃতি, নীতি-আদর্শহীন দল, দলনেতা, জঙ্গীবাদের উত্থান, হত্যা, ঘুম, আগুন সন্ত্রাস সবকিছুর মূলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান"।"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ রক্তে ভেজা দেশদ্রোহি চেতনা'র প্রতি মীর জাফরের বংশধরদের যতটুকু প্রেম, প্রীতি ভালবাসার উৎগীরন  ঘটে ঠিক  ততটাই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ শব্দটির অপমান, অবহেলা, অবজ্ঞা, পরিত্যাজ্যতার নিম্নমূখি হতে থাকে।

     একটি স্বাধীন দেশের "জাতীয় শ্লোগান" সে দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে, উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। প্রগতি ও কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে,  দুয্যোগ, দুর্বিপাক পাড়ি দিতে, ভয়কে জয় করার সাহস যোগাতে সাহায্য করে। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছরের যাত্রায়ও আমরা সেই মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ কে বুকে ধারণ করতে পারিনি? পারিনি আজও "জয়বাংলা শ্লোগান"কে "জাতীয় শ্লোগান" হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে এবং প্রতিষ্ঠা করতে।

       প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, "মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নতুন করে শফথ নিতে হবে বর্তমান প্রজম্মকে।'নতুন করে এই জন্যই বলছি---"দীর্ঘ একুশ বছর জাতিকে অশুভ শক্তি মুজিবাদর্শ অনুসরনে বিচ্যুত রেখে বিভ্রান্ত করেছে। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যুগেও অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিকে পিছনের অন্ধকার যুগে টেনে নিতে"।

      অশুভ শক্তির উত্থান রোধে এইমহুর্তে প্রয়োজন--"বাঙ্গালী জাতিসত্বার উম্মেষকারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং "জয়বাংলা" স্লোগান রাষ্টের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার চলমান  "সংগ্রামের তিব্রতা' বৃদ্ধি করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস, শক্তির উৎস, অমর, অবিনাশী জাতীয় ঐক্যের মুলমন্ত্র "জয়বাংলা" পবিত্র সংবিধানে সংযোজন করে "জাতীয় শ্লোগান" এর মায্যদায় অধিষ্ঠিত করার নিয়ন্তর সংগ্রামে বর্তমান প্রজম্মকে অবতিন্ন হওয়া।"

     জাতিয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে জাতির পিতার সমান্তরালে অর্থাৎ  "জয়বাংলা----জয়বঙ্গবন্ধু" হোক জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মুলমন্ত্র। মহান নেতার অবিনাশী আদর্শ অনুসরন এবং রাষ্ট্রীয় সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করার সংগ্রামের দৃড সংকল্প গ্রহনই কেবলমাত্র ইহা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা সম্ভব।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা         জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন