অশুভ চক্রের উত্থান রোধে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী উচ্চারন "জয়বাংলা"কে "জাতীয় শ্লোগানে"র মায্যদা প্রদানের কোন বিকল্প নেই।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
জয় বাংলা:---
জয় বাংলা এমন একটি স্লোগান যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবল ভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল। এর আগে বাঙালি কখনো এত তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান দেয় নি, যাতে একটি পদেই প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ [১] । জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস। সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করত[২]
উদ্ভব:--
কখন কীভাবে এই স্লোগানটির উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় না। একসূত্রে বলা হয়েছে যে ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস (১৭ মার্চ) যৌথভাবে পালনের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ-এর আহুত সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব আহমেদ ও চিশতী হেলালুর রহমান "জয় বাংলা" স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন।[৩] তবে ১৯ জানুয়ারি ১৯৭০-এ ঢাকা শহরের পল্টনের এক জনসভায় ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান তাঁর ভাষণে সর্বপ্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে।[৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে প্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেন ৭ মার্চ ১৯৭০-এ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভার ভাষণে।[৫
"আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রদত্ত তাঁর বিখ্যাত সাতই মার্চের ভাষণ সমাপ্ত করেছিলেন "জয় বাংলা" উচ্চারণ করে। এই ভাষণের পর থেকে এটি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। "[ তথ্য সুত্র:--বিডি উইকিপিডিয়া]
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মুখে প্রথম উচ্চারিত হয় ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ১৯৪২ সালে। তার বক্তৃতা এবং লেখায়। আর ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথম শ্লোগান হিসেবে তা ব্যবহার করে। যা ছাত্র সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় এবং নানাভাবে দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। জয় বাংলার জনপ্রিয়তা তখন অবিসংবাদিত হয়ে উঠে প্রতিটি বাঙ্গালীর মনে প্রাণে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের মহা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এই জয় বাংলা শ্লোগানটি। লাখো শহীদেরা মৃত্যুর আগে শ্লোগানটি উচ্চারণ করে গেছেন-নির্ভয়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” শ্লোগানের বিপরীতে।'জয়বাংলা শ্লোগান" রক্ত দিয়ে লেখা ইতিহাসের পাতায় পাতায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকার নিয়ন্ত্রিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্বিকৃত শ্লোগান 'জয়বাংলা'।স্বাধীনতা পরবর্তি চলচ্চিত্র, নাটক, গল্প ও কবিতায় স্বিকৃত 'জয়বাংলা শ্লোগান"। বাংলাদেশের জম্মে জয়বাংলা শ্লোগান, উন্নয়ন অগ্রগতির মহিসোপানে জয়বাংলা শ্লোগান ইনশাল্লাহ সমৃদ্ধ দেশেও উচ্ছারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরনাদায়ি "শ্লোগান' জয়বাংলা'।
সম্মানীত পাঠক এবং আজকের প্রজম্মকে আমি শুধুমাত্র একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই---"বঙ্গবন্ধুর আগে ব্যাক্তিগত, সংগঠনগত ভাবে বহুবার উচ্ছারিত হয়েছে জয়বাংলা শ্লোগান কিন্তু আপামর বাঙ্গালী সার্বজনীনভাবে উক্ত শ্লোগান গ্রহন করেনি। উল্লেখিত সুত্রালোকে আপনারাও দেখতে পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ' জয়বাংলা "শব্দটি যেদিন মুখে উচ্চারন করেছেন সেদিন থেকেই শব্দটি জনপ্রীয়তা পেতে থাকে। শেষ পয্যন্ত ছোট্র এই শব্দটি এত বেশি প্রেরনাদায়ক হয়ে উঠেছিল সমগ্র জাতির মননে--"মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন, শত্রুর আঘাতে মৃত্যু, আক্রমনের বিজয়, শত্রু নিধন, শত্রু সেনা কতৃক আক্রান্ত হলে তৎক্ষনাৎ শক্তির উৎসে পরিণত হয়ে পালটা আঘাতের 'মারাণাস্ত্রের চেয়েও বহুগুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এককথায় বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদি চেতনার সর্ব বিষয়ের উৎসে পরিণত হয়েছিল জয়বাংলা।"
কোন সে মহাশক্তি ছিলো "জয় বাংলা" শ্লোগানে? কোন সে মূলমন্ত্র ছিলো মহান স্বাধীনতার সেই কালজয়ী "জয় বাংলা" উচ্চারণে? কবে এবং কোথায় কীভাবে ‘জয় বাংলা’ শব্দটির উৎপত্তি হলো? যারা রাজনীতির নামে দলবাজি করেন, দেশ প্রেমের কথা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হবেন, দেশ পরিচালনা করেছেন বা করবেন; তাদের মধ্যে যাদের ভাবনায় ‘জয় বাংলা’ শব্দটির প্রতি অনীহা ছিল, আছে বা থাকবে, অবহেলা ছিল আছে বা থাকবে তাঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিরুধী, পাকিস্তানের প্রেতাত্বা।
সাগরসম রক্ত ঢেলে "পাকিস্তান জিন্দাবাদে"র কবর রচনা করে "জয়বাংলা" শ্লোগান প্রতিষ্ঠিত করেছিল সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালী। "জয়বাংলা শ্লোগান সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। জয়বাংলা শ্লোগান শত্রু নিধনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।পরিশেষে "জয়বাংলা শ্লোগান" মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতিকে পরিণত হয়েছিল।
যে মহান ব্যাক্তির মুখে উচ্ছারিত একটি মাত্র শব্দ(জয়বাংলা) ধ্বনি প্রতিধ্বনীত হয়ে সাড়ে সাতকোটি মানুষের রক্তে অনুরণ সৃষ্টি করতে পারে, মুক্তির প্রেরনা খুঁজে পেতে পারে, হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিতে পারে; সেই মহান ব্যাক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান প্রশ্নে বিতর্ক; মানবসৃষ্ট সকল মারাণাস্ত্রের চেয়ে কোটি গুন শক্তি সম্পন্ন "ক্ষেপনাস্ত্র জয়বাংলা স্লোগান" নিয়ে বিতর্ক----'ইহাও কি প্রজর্ম্ম থেকে প্রজর্ম্মান্তরে মেনে নিতে হবে?'
' বর্তমান প্রজন্ম তাঁদের উত্তরসূরিদের স্বাধীন দেশের মাটিতে বাঁচার মত বাঁচতে দেয়ার,স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবার ক্ষেত্র সৃষ্টি করে দিতে নৈতিকভাবে এবং প্রথাগত, দায়বদ্ধ।যেমনি আমাদের সুখ শান্তি, সমৃদ্ধির জন্যে, অনন্তকালের পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার লক্ষে আমাদের পুর্ব প্রজম্ম বিশ্বের এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ "বিসর্জন" দিয়ে, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্তকালের জন্যে গৌরবের অধিকারি করে দিয়ে গেছেন।বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্ত, অসীমকালের ঋনের জালে বন্দি করে গেছেন। তাঁদের রচিত বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মুক্ত নি:শ্বাস নিতে পারায় আমরা বর্তমা প্রজর্ম্মও উত্তর প্রজম্মের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নত জীবনের ভিত্তি রচনা করে, শহীদের রক্তের ঋন শোধের নৈতিক দায়িত্বে আবদ্ধ হয়ে গেছি।
বর্তমান প্রজম্মের উক্ত ঋনশোধের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজন ঐ আদর্শই অনুসরন। "যাতে মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তেও বলতে পারি---"আমার সমগ্র জীবন, শক্তি, মেধা, মনন ব্যয় করেছি এমন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে যে আদর্শ ধারন করে সাড়ে সাতকোটি মানুষের মুক্তির জন্য আমার পুর্ব প্রজম্ম জাতির শ্রেষ্ঠ গৌরব "মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছিল।" সেই আদর্শটি হচ্ছে মুজিবাদর্শ। যে আদর্শ ধারন করে প্রায় অর্ধশত বছর আগে ১৯৭১ ইং সালে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।ফলশ্রুতিতে ত্রিশলক্ষ মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, পৌণে চার লক্ষ মা-বোন তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ "নারীত্ব" বিসর্জন দিয়েছিল, নির্যাতীত হয়েছিল।
অশুভ শক্তি ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট শুধুমাত্র ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই। তাঁরা সেদিন বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতাকে হত্যা করেছিল।মুক্তি যুদ্ধকে হত্যা করে পাকিস্তানী প্রেতাত্বার জম্ম দিয়েছিল। ১৫ই আগষ্ট সেদিনটিতে আর একটি শ্লোগান জম্ম দিয়েছিল অশুভ শক্তির ভাড়াটিয়া ঘাতক চক্র "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"।
১৫ই আগষ্টের আগে হাজার বছরের বাঙ্গালী ইতিহাসে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" শব্দটি ছিলনা, পাকিস্তান জিন্দাবাদ ছিল। যদিও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলতে বাংলাদেশের গুণগানই গাওয়া হয়। তবে এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় খুনী, বদমাইশ কালো সানগ্লাস পরিহিত মীর জাফরের উত্তরসূরি মেজর জিয়া, মোস্তাকদের হাতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় জয় বাংলা শ্লোগানের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণা জম্ম দিতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের জন্ম হয়েছে নষ্টামির মধ্য দিয়ে।এই শ্লোগানের জম্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের রক্তের হোলিখেলার মাঠে।'পাকিস্তান জিন্দাবাদের' সাথে হুবহু সামঞ্জস্য রেখে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ভুট্রোর স্থলে জিয়া, টিক্কার স্থলে ডালিম, ইয়াহিয়ার স্থলে মোস্তাকের নেতৃত্বে।
১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালের ভোর রাতে বাংলাদেশ বেতার শব্দের পরিবর্তন হয়ে রেডিও বাংলাদেশে বার বার খুনী চক্রের ডালিম, ফারুক, মোস্তাক গং দের মুখে "সাধু ও চলিত ভাষার ভীতিকর এলোমেলো ঘোষনা শেষে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" জাতিগত বিভক্তির শ্লোগান শুনতে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। জম্মেই যে শ্লোগান রক্তের বন্যার স্বাদ নিয়ে জম্মেছিল বিভক্তির প্রতীক হিসেবে, বিভেদের চিহ্ন হিসেবে আজ তা দানবের রুপ ধারন করেছে।
আজকের অনৈক্য, অপসংস্কৃতি, নীতি-আদর্শহীন দল, দলনেতা, জঙ্গীবাদের উত্থান, হত্যা, ঘুম, আগুন সন্ত্রাস সবকিছুর মূলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান"।"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ রক্তে ভেজা দেশদ্রোহি চেতনা'র প্রতি মীর জাফরের বংশধরদের যতটুকু প্রেম, প্রীতি ভালবাসার উৎগীরন ঘটে ঠিক ততটাই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ শব্দটির অপমান, অবহেলা, অবজ্ঞা, পরিত্যাজ্যতার নিম্নমূখি হতে থাকে।
একটি স্বাধীন দেশের "জাতীয় শ্লোগান" সে দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে, উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। প্রগতি ও কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে, দুয্যোগ, দুর্বিপাক পাড়ি দিতে, ভয়কে জয় করার সাহস যোগাতে সাহায্য করে। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছরের যাত্রায়ও আমরা সেই মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ কে বুকে ধারণ করতে পারিনি? পারিনি আজও "জয়বাংলা শ্লোগান"কে "জাতীয় শ্লোগান" হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে এবং প্রতিষ্ঠা করতে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, "মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নতুন করে শফথ নিতে হবে বর্তমান প্রজম্মকে।'নতুন করে এই জন্যই বলছি---"দীর্ঘ একুশ বছর জাতিকে অশুভ শক্তি মুজিবাদর্শ অনুসরনে বিচ্যুত রেখে বিভ্রান্ত করেছে। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যুগেও অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিকে পিছনের অন্ধকার যুগে টেনে নিতে"।
অশুভ শক্তির উত্থান রোধে এইমহুর্তে প্রয়োজন--"বাঙ্গালী জাতিসত্বার উম্মেষকারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং "জয়বাংলা" স্লোগান রাষ্টের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার চলমান "সংগ্রামের তিব্রতা' বৃদ্ধি করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস, শক্তির উৎস, অমর, অবিনাশী জাতীয় ঐক্যের মুলমন্ত্র "জয়বাংলা" পবিত্র সংবিধানে সংযোজন করে "জাতীয় শ্লোগান" এর মায্যদায় অধিষ্ঠিত করার নিয়ন্তর সংগ্রামে বর্তমান প্রজম্মকে অবতিন্ন হওয়া।"
জাতিয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে জাতির পিতার সমান্তরালে অর্থাৎ "জয়বাংলা----জয়বঙ্গবন্ধু" হোক জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মুলমন্ত্র। মহান নেতার অবিনাশী আদর্শ অনুসরন এবং রাষ্ট্রীয় সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করার সংগ্রামের দৃড সংকল্প গ্রহনই কেবলমাত্র ইহা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা সম্ভব।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
জয় বাংলা:---
জয় বাংলা এমন একটি স্লোগান যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবল ভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল। এর আগে বাঙালি কখনো এত তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান দেয় নি, যাতে একটি পদেই প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ [১] । জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস। সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করত[২]
উদ্ভব:--
কখন কীভাবে এই স্লোগানটির উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় না। একসূত্রে বলা হয়েছে যে ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস (১৭ মার্চ) যৌথভাবে পালনের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ-এর আহুত সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব আহমেদ ও চিশতী হেলালুর রহমান "জয় বাংলা" স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন।[৩] তবে ১৯ জানুয়ারি ১৯৭০-এ ঢাকা শহরের পল্টনের এক জনসভায় ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান তাঁর ভাষণে সর্বপ্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে।[৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে প্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেন ৭ মার্চ ১৯৭০-এ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভার ভাষণে।[৫
"আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রদত্ত তাঁর বিখ্যাত সাতই মার্চের ভাষণ সমাপ্ত করেছিলেন "জয় বাংলা" উচ্চারণ করে। এই ভাষণের পর থেকে এটি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। "[ তথ্য সুত্র:--বিডি উইকিপিডিয়া]
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মুখে প্রথম উচ্চারিত হয় ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ১৯৪২ সালে। তার বক্তৃতা এবং লেখায়। আর ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথম শ্লোগান হিসেবে তা ব্যবহার করে। যা ছাত্র সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় এবং নানাভাবে দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। জয় বাংলার জনপ্রিয়তা তখন অবিসংবাদিত হয়ে উঠে প্রতিটি বাঙ্গালীর মনে প্রাণে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে। মুক্তিযুদ্ধের মহা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এই জয় বাংলা শ্লোগানটি। লাখো শহীদেরা মৃত্যুর আগে শ্লোগানটি উচ্চারণ করে গেছেন-নির্ভয়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” শ্লোগানের বিপরীতে।'জয়বাংলা শ্লোগান" রক্ত দিয়ে লেখা ইতিহাসের পাতায় পাতায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকার নিয়ন্ত্রিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্বিকৃত শ্লোগান 'জয়বাংলা'।স্বাধীনতা পরবর্তি চলচ্চিত্র, নাটক, গল্প ও কবিতায় স্বিকৃত 'জয়বাংলা শ্লোগান"। বাংলাদেশের জম্মে জয়বাংলা শ্লোগান, উন্নয়ন অগ্রগতির মহিসোপানে জয়বাংলা শ্লোগান ইনশাল্লাহ সমৃদ্ধ দেশেও উচ্ছারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরনাদায়ি "শ্লোগান' জয়বাংলা'।
সম্মানীত পাঠক এবং আজকের প্রজম্মকে আমি শুধুমাত্র একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই---"বঙ্গবন্ধুর আগে ব্যাক্তিগত, সংগঠনগত ভাবে বহুবার উচ্ছারিত হয়েছে জয়বাংলা শ্লোগান কিন্তু আপামর বাঙ্গালী সার্বজনীনভাবে উক্ত শ্লোগান গ্রহন করেনি। উল্লেখিত সুত্রালোকে আপনারাও দেখতে পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ' জয়বাংলা "শব্দটি যেদিন মুখে উচ্চারন করেছেন সেদিন থেকেই শব্দটি জনপ্রীয়তা পেতে থাকে। শেষ পয্যন্ত ছোট্র এই শব্দটি এত বেশি প্রেরনাদায়ক হয়ে উঠেছিল সমগ্র জাতির মননে--"মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন, শত্রুর আঘাতে মৃত্যু, আক্রমনের বিজয়, শত্রু নিধন, শত্রু সেনা কতৃক আক্রান্ত হলে তৎক্ষনাৎ শক্তির উৎসে পরিণত হয়ে পালটা আঘাতের 'মারাণাস্ত্রের চেয়েও বহুগুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এককথায় বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদি চেতনার সর্ব বিষয়ের উৎসে পরিণত হয়েছিল জয়বাংলা।"
কোন সে মহাশক্তি ছিলো "জয় বাংলা" শ্লোগানে? কোন সে মূলমন্ত্র ছিলো মহান স্বাধীনতার সেই কালজয়ী "জয় বাংলা" উচ্চারণে? কবে এবং কোথায় কীভাবে ‘জয় বাংলা’ শব্দটির উৎপত্তি হলো? যারা রাজনীতির নামে দলবাজি করেন, দেশ প্রেমের কথা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হবেন, দেশ পরিচালনা করেছেন বা করবেন; তাদের মধ্যে যাদের ভাবনায় ‘জয় বাংলা’ শব্দটির প্রতি অনীহা ছিল, আছে বা থাকবে, অবহেলা ছিল আছে বা থাকবে তাঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিরুধী, পাকিস্তানের প্রেতাত্বা।
সাগরসম রক্ত ঢেলে "পাকিস্তান জিন্দাবাদে"র কবর রচনা করে "জয়বাংলা" শ্লোগান প্রতিষ্ঠিত করেছিল সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালী। "জয়বাংলা শ্লোগান সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। জয়বাংলা শ্লোগান শত্রু নিধনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।পরিশেষে "জয়বাংলা শ্লোগান" মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতিকে পরিণত হয়েছিল।
যে মহান ব্যাক্তির মুখে উচ্ছারিত একটি মাত্র শব্দ(জয়বাংলা) ধ্বনি প্রতিধ্বনীত হয়ে সাড়ে সাতকোটি মানুষের রক্তে অনুরণ সৃষ্টি করতে পারে, মুক্তির প্রেরনা খুঁজে পেতে পারে, হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিতে পারে; সেই মহান ব্যাক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান প্রশ্নে বিতর্ক; মানবসৃষ্ট সকল মারাণাস্ত্রের চেয়ে কোটি গুন শক্তি সম্পন্ন "ক্ষেপনাস্ত্র জয়বাংলা স্লোগান" নিয়ে বিতর্ক----'ইহাও কি প্রজর্ম্ম থেকে প্রজর্ম্মান্তরে মেনে নিতে হবে?'
' বর্তমান প্রজন্ম তাঁদের উত্তরসূরিদের স্বাধীন দেশের মাটিতে বাঁচার মত বাঁচতে দেয়ার,স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবার ক্ষেত্র সৃষ্টি করে দিতে নৈতিকভাবে এবং প্রথাগত, দায়বদ্ধ।যেমনি আমাদের সুখ শান্তি, সমৃদ্ধির জন্যে, অনন্তকালের পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার লক্ষে আমাদের পুর্ব প্রজম্ম বিশ্বের এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ "বিসর্জন" দিয়ে, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্তকালের জন্যে গৌরবের অধিকারি করে দিয়ে গেছেন।বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্ত, অসীমকালের ঋনের জালে বন্দি করে গেছেন। তাঁদের রচিত বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মুক্ত নি:শ্বাস নিতে পারায় আমরা বর্তমা প্রজর্ম্মও উত্তর প্রজম্মের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নত জীবনের ভিত্তি রচনা করে, শহীদের রক্তের ঋন শোধের নৈতিক দায়িত্বে আবদ্ধ হয়ে গেছি।
বর্তমান প্রজম্মের উক্ত ঋনশোধের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজন ঐ আদর্শই অনুসরন। "যাতে মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তেও বলতে পারি---"আমার সমগ্র জীবন, শক্তি, মেধা, মনন ব্যয় করেছি এমন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে যে আদর্শ ধারন করে সাড়ে সাতকোটি মানুষের মুক্তির জন্য আমার পুর্ব প্রজম্ম জাতির শ্রেষ্ঠ গৌরব "মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছিল।" সেই আদর্শটি হচ্ছে মুজিবাদর্শ। যে আদর্শ ধারন করে প্রায় অর্ধশত বছর আগে ১৯৭১ ইং সালে সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।ফলশ্রুতিতে ত্রিশলক্ষ মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, পৌণে চার লক্ষ মা-বোন তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ "নারীত্ব" বিসর্জন দিয়েছিল, নির্যাতীত হয়েছিল।
অশুভ শক্তি ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট শুধুমাত্র ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই। তাঁরা সেদিন বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতাকে হত্যা করেছিল।মুক্তি যুদ্ধকে হত্যা করে পাকিস্তানী প্রেতাত্বার জম্ম দিয়েছিল। ১৫ই আগষ্ট সেদিনটিতে আর একটি শ্লোগান জম্ম দিয়েছিল অশুভ শক্তির ভাড়াটিয়া ঘাতক চক্র "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"।
১৫ই আগষ্টের আগে হাজার বছরের বাঙ্গালী ইতিহাসে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" শব্দটি ছিলনা, পাকিস্তান জিন্দাবাদ ছিল। যদিও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলতে বাংলাদেশের গুণগানই গাওয়া হয়। তবে এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় খুনী, বদমাইশ কালো সানগ্লাস পরিহিত মীর জাফরের উত্তরসূরি মেজর জিয়া, মোস্তাকদের হাতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় জয় বাংলা শ্লোগানের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণা জম্ম দিতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের জন্ম হয়েছে নষ্টামির মধ্য দিয়ে।এই শ্লোগানের জম্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের রক্তের হোলিখেলার মাঠে।'পাকিস্তান জিন্দাবাদের' সাথে হুবহু সামঞ্জস্য রেখে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ভুট্রোর স্থলে জিয়া, টিক্কার স্থলে ডালিম, ইয়াহিয়ার স্থলে মোস্তাকের নেতৃত্বে।
১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালের ভোর রাতে বাংলাদেশ বেতার শব্দের পরিবর্তন হয়ে রেডিও বাংলাদেশে বার বার খুনী চক্রের ডালিম, ফারুক, মোস্তাক গং দের মুখে "সাধু ও চলিত ভাষার ভীতিকর এলোমেলো ঘোষনা শেষে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" জাতিগত বিভক্তির শ্লোগান শুনতে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। জম্মেই যে শ্লোগান রক্তের বন্যার স্বাদ নিয়ে জম্মেছিল বিভক্তির প্রতীক হিসেবে, বিভেদের চিহ্ন হিসেবে আজ তা দানবের রুপ ধারন করেছে।
আজকের অনৈক্য, অপসংস্কৃতি, নীতি-আদর্শহীন দল, দলনেতা, জঙ্গীবাদের উত্থান, হত্যা, ঘুম, আগুন সন্ত্রাস সবকিছুর মূলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান"।"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ রক্তে ভেজা দেশদ্রোহি চেতনা'র প্রতি মীর জাফরের বংশধরদের যতটুকু প্রেম, প্রীতি ভালবাসার উৎগীরন ঘটে ঠিক ততটাই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ শব্দটির অপমান, অবহেলা, অবজ্ঞা, পরিত্যাজ্যতার নিম্নমূখি হতে থাকে।
একটি স্বাধীন দেশের "জাতীয় শ্লোগান" সে দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে, উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। প্রগতি ও কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে, দুয্যোগ, দুর্বিপাক পাড়ি দিতে, ভয়কে জয় করার সাহস যোগাতে সাহায্য করে। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছরের যাত্রায়ও আমরা সেই মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ কে বুকে ধারণ করতে পারিনি? পারিনি আজও "জয়বাংলা শ্লোগান"কে "জাতীয় শ্লোগান" হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে এবং প্রতিষ্ঠা করতে।
প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, "মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নতুন করে শফথ নিতে হবে বর্তমান প্রজম্মকে।'নতুন করে এই জন্যই বলছি---"দীর্ঘ একুশ বছর জাতিকে অশুভ শক্তি মুজিবাদর্শ অনুসরনে বিচ্যুত রেখে বিভ্রান্ত করেছে। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যুগেও অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিকে পিছনের অন্ধকার যুগে টেনে নিতে"।
অশুভ শক্তির উত্থান রোধে এইমহুর্তে প্রয়োজন--"বাঙ্গালী জাতিসত্বার উম্মেষকারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং "জয়বাংলা" স্লোগান রাষ্টের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার চলমান "সংগ্রামের তিব্রতা' বৃদ্ধি করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস, শক্তির উৎস, অমর, অবিনাশী জাতীয় ঐক্যের মুলমন্ত্র "জয়বাংলা" পবিত্র সংবিধানে সংযোজন করে "জাতীয় শ্লোগান" এর মায্যদায় অধিষ্ঠিত করার নিয়ন্তর সংগ্রামে বর্তমান প্রজম্মকে অবতিন্ন হওয়া।"
জাতিয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে জাতির পিতার সমান্তরালে অর্থাৎ "জয়বাংলা----জয়বঙ্গবন্ধু" হোক জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মুলমন্ত্র। মহান নেতার অবিনাশী আদর্শ অনুসরন এবং রাষ্ট্রীয় সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করার সংগ্রামের দৃড সংকল্প গ্রহনই কেবলমাত্র ইহা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা সম্ভব।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন