অশুভ চক্রের উত্থান রোধে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী উচ্চারন "জয়বাংলা"কে  "জাতীয় শ্লোগানে"র মায্যদা প্রদানের কোন বিকল্প নেই।
(রুহুল  আমিন  মজুমদার)

জয় বাংলা:---
জয় বাংলা এমন একটি স্লোগান যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবল ভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল। এর আগে বাঙালি কখনো এত তীব্র, সংহত ও তাৎপর্যপূর্ণ স্লোগান দেয় নি, যাতে একটি পদেই প্রকাশ পেয়েছে রাজনীতি, সংস্কৃতি, দেশ, ভাষার সৌন্দর্য ও জাতীয় আবেগ [১] । জয় বাংলা স্লোগান ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাঙালির প্রেরণার উৎস। সফল অপারেশন শেষে বা যুদ্ধ জয়ের পর অবধারিত ভাবে মুক্তিযোদ্ধারা চিৎকার করে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জয় উদযাপন করত[২]
উদ্ভব:--
কখন কীভাবে এই স্লোগানটির উৎপত্তি হয়েছিল তা সুনিশ্চিতভাবে জানা যায় না। একসূত্রে বলা হয়েছে যে ১৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৯ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর মধুর ক্যান্টিনে শিক্ষা দিবস (১৭ মার্চ) যৌথভাবে পালনের জন্য কর্মসূচি প্রণয়নের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ-এর আহুত সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব আহমেদ ও চিশতী হেলালুর রহমান "জয় বাংলা" স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন।[৩] তবে ১৯ জানুয়ারি ১৯৭০-এ ঢাকা শহরের পল্টনের এক জনসভায় ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান তাঁর ভাষণে সর্বপ্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেছিলেন বলে প্রচলিত আছে।[৪] বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে প্রথম "জয় বাংলা" স্লোগানটি উচ্চারণ করেন ৭ মার্চ ১৯৭০-এ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভার ভাষণে।[৫
        "আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ১৯৭১ তারিখে প্রদত্ত তাঁর বিখ্যাত সাতই মার্চের ভাষণ সমাপ্ত করেছিলেন "জয় বাংলা" উচ্চারণ করে। এই ভাষণের পর থেকে এটি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। "[  তথ্য সুত্র:--বিডি উইকিপিডিয়া]

       বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মুখে প্রথম উচ্চারিত হয় ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ১৯৪২ সালে। তার বক্তৃতা এবং লেখায়। আর ১৯৫৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রথম শ্লোগান হিসেবে তা ব্যবহার করে। যা ছাত্র সমাজের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায় এবং নানাভাবে দেশব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে। জয় বাংলার জনপ্রিয়তা তখন অবিসংবাদিত হয়ে উঠে প্রতিটি বাঙ্গালীর মনে প্রাণে।

  আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয় ১৯৭১ সালে।  মুক্তিযুদ্ধের মহা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এই জয় বাংলা শ্লোগানটি। লাখো শহীদেরা মৃত্যুর আগে শ্লোগানটি উচ্চারণ করে গেছেন-নির্ভয়ে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” শ্লোগানের বিপরীতে।'জয়বাংলা শ্লোগান" রক্ত দিয়ে লেখা ইতিহাসের পাতায় পাতায়। মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী সরকার নিয়ন্ত্রিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্বিকৃত শ্লোগান 'জয়বাংলা'।স্বাধীনতা পরবর্তি চলচ্চিত্র, নাটক, গল্প ও কবিতায় স্বিকৃত 'জয়বাংলা শ্লোগান"। বাংলাদেশের জম্মে জয়বাংলা শ্লোগান, উন্নয়ন অগ্রগতির মহিসোপানে জয়বাংলা শ্লোগান ইনশাল্লাহ সমৃদ্ধ দেশেও উচ্ছারিত হবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরনাদায়ি "শ্লোগান' জয়বাংলা'।

      সম্মানীত পাঠক এবং আজকের প্রজম্মকে আমি শুধুমাত্র একটি বিষয় দৃষ্টি আকর্ষন করে বলতে চাই---"বঙ্গবন্ধুর আগে ব্যাক্তিগত, সংগঠনগত ভাবে বহুবার উচ্ছারিত হয়েছে জয়বাংলা শ্লোগান কিন্তু আপামর বাঙ্গালী সার্বজনীনভাবে উক্ত শ্লোগান গ্রহন করেনি। উল্লেখিত  সুত্রালোকে আপনারাও দেখতে পেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ' জয়বাংলা "শব্দটি যেদিন মুখে উচ্চারন করেছেন সেদিন থেকেই শব্দটি জনপ্রীয়তা পেতে থাকে। শেষ পয্যন্ত ছোট্র এই শব্দটি এত বেশি প্রেরনাদায়ক হয়ে উঠেছিল সমগ্র জাতির মননে--"মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন, শত্রুর আঘাতে মৃত্যু, আক্রমনের বিজয়, শত্রু নিধন, শত্রু সেনা কতৃক আক্রান্ত হলে তৎক্ষনাৎ শক্তির উৎসে পরিণত হয়ে পালটা আঘাতের 'মারাণাস্ত্রের চেয়েও বহুগুন শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এককথায় বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদি চেতনার সর্ব বিষয়ের উৎসে পরিণত হয়েছিল জয়বাংলা।"

        কোন সে মহাশক্তি ছিলো "জয় বাংলা" শ্লোগানে? কোন সে মূলমন্ত্র ছিলো মহান স্বাধীনতার সেই কালজয়ী "জয় বাংলা" উচ্চারণে? কবে এবং কোথায় কীভাবে ‘জয় বাংলা’ শব্দটির উৎপত্তি হলো? যারা রাজনীতির নামে দলবাজি করেন, দেশ প্রেমের কথা বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হবেন, দেশ পরিচালনা করেছেন বা করবেন; তাদের মধ্যে যাদের ভাবনায়  ‘জয় বাংলা’ শব্দটির প্রতি অনীহা ছিল, আছে বা  থাকবে,  অবহেলা ছিল আছে বা থাকবে তাঁরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিরুধী, পাকিস্তানের প্রেতাত্বা।
     সাগরসম রক্ত ঢেলে "পাকিস্তান জিন্দাবাদে"র কবর রচনা করে "জয়বাংলা" শ্লোগান প্রতিষ্ঠিত করেছিল সাড়ে সাতকোটি বাঙ্গালী। "জয়বাংলা শ্লোগান সমগ্র বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। জয়বাংলা শ্লোগান শত্রু নিধনের ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।পরিশেষে "জয়বাংলা শ্লোগান" মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়ার জাতীয় ঐক্যের প্রতিকে পরিণত হয়েছিল।

     যে মহান ব্যাক্তির মুখে উচ্ছারিত একটি মাত্র শব্দ(জয়বাংলা) ধ্বনি প্রতিধ্বনীত হয়ে সাড়ে সাতকোটি মানুষের রক্তে অনুরণ সৃষ্টি করতে পারে, মুক্তির প্রেরনা খুঁজে পেতে পারে, হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দিতে পারে; সেই মহান ব্যাক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান প্রশ্নে বিতর্ক; মানবসৃষ্ট সকল মারাণাস্ত্রের চেয়ে কোটি গুন শক্তি সম্পন্ন "ক্ষেপনাস্ত্র জয়বাংলা স্লোগান" নিয়ে বিতর্ক----'ইহাও কি প্রজর্ম্ম থেকে প্রজর্ম্মান্তরে মেনে নিতে হবে?'
 
   ' বর্তমান প্রজন্ম তাঁদের উত্তরসূরিদের স্বাধীন দেশের মাটিতে বাঁচার মত  বাঁচতে দেয়ার,স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উচু করে দাঁড়াবার ক্ষেত্র  সৃষ্টি করে দিতে নৈতিকভাবে এবং  প্রথাগত,   দায়বদ্ধ।যেমনি আমাদের সুখ শান্তি, সমৃদ্ধির জন্যে, অনন্তকালের পরাধীনতা  থেকে মুক্ত করার লক্ষে আমাদের পুর্ব প্রজম্ম বিশ্বের এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ "বিসর্জন"  দিয়ে, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্তকালের জন্যে গৌরবের অধিকারি করে দিয়ে গেছেন।বাংলাদেশ, বাঙ্গালী জাতিকে অনন্ত, অসীমকালের  ঋনের জালে বন্দি করে গেছেন। তাঁদের রচিত বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মুক্ত নি:শ্বাস নিতে পারায় আমরা বর্তমা প্রজর্ম্মও উত্তর প্রজম্মের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নত জীবনের ভিত্তি রচনা করে, শহীদের রক্তের ঋন শোধের নৈতিক দায়িত্বে আবদ্ধ হয়ে গেছি।
      বর্তমান প্রজম্মের উক্ত ঋনশোধের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজন ঐ আদর্শই অনুসরন। "যাতে মৃত্যুর পুর্ব মুহুর্তেও  বলতে পারি---"আমার সমগ্র জীবন, শক্তি, মেধা, মনন ব্যয় করেছি  এমন একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্যে যে আদর্শ ধারন করে সাড়ে সাতকোটি মানুষের মুক্তির জন্য আমার পুর্ব প্রজম্ম জাতির শ্রেষ্ঠ গৌরব "মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছিল।" সেই আদর্শটি হচ্ছে মুজিবাদর্শ। যে আদর্শ ধারন করে প্রায় অর্ধশত বছর আগে ১৯৭১ ইং সালে  সাড়ে সাত কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।ফলশ্রুতিতে ত্রিশলক্ষ মানুষ অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, পৌণে চার লক্ষ মা-বোন তাঁদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ "নারীত্ব" বিসর্জন দিয়েছিল, নির্যাতীত হয়েছিল।

       অশুভ শক্তি ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট শুধুমাত্র ব্যাক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই। তাঁরা সেদিন বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতাকে হত্যা করেছিল।মুক্তি যুদ্ধকে হত্যা করে পাকিস্তানী প্রেতাত্বার জম্ম দিয়েছিল।  ১৫ই আগষ্ট  সেদিনটিতে আর একটি শ্লোগান জম্ম দিয়েছিল অশুভ শক্তির ভাড়াটিয়া ঘাতক চক্র  "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ"।

      ১৫ই আগষ্টের আগে হাজার বছরের বাঙ্গালী ইতিহাসে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" শব্দটি ছিলনা, পাকিস্তান জিন্দাবাদ ছিল। যদিও বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলতে বাংলাদেশের গুণগানই গাওয়া হয়। তবে এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় খুনী, বদমাইশ কালো সানগ্লাস পরিহিত মীর জাফরের উত্তরসূরি মেজর জিয়া, মোস্তাকদের হাতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় জয় বাংলা শ্লোগানের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় বাংলাদেশের প্রতি ঘৃণা জম্ম দিতে। এ শ্লোগানের উৎপত্তি হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টির লক্ষে। এ শ্লোগানের জন্ম হয়েছে নষ্টামির মধ্য দিয়ে।এই শ্লোগানের জম্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের রক্তের হোলিখেলার মাঠে।'পাকিস্তান জিন্দাবাদের' সাথে হুবহু সামঞ্জস্য রেখে 'বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, ভুট্রোর স্থলে জিয়া, টিক্কার স্থলে ডালিম, ইয়াহিয়ার স্থলে মোস্তাকের নেতৃত্বে।

        ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ ইং সালের ভোর রাতে বাংলাদেশ বেতার শব্দের পরিবর্তন হয়ে রেডিও বাংলাদেশে বার বার খুনী চক্রের ডালিম, ফারুক, মোস্তাক গং দের মুখে "সাধু ও চলিত ভাষার ভীতিকর এলোমেলো ঘোষনা শেষে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" জাতিগত বিভক্তির শ্লোগান শুনতে পেয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। জম্মেই যে শ্লোগান রক্তের বন্যার স্বাদ নিয়ে জম্মেছিল বিভক্তির প্রতীক হিসেবে, বিভেদের চিহ্ন হিসেবে আজ তা দানবের রুপ ধারন করেছে।
   
      আজকের অনৈক্য, অপসংস্কৃতি, নীতি-আদর্শহীন দল, দলনেতা, জঙ্গীবাদের উত্থান, হত্যা, ঘুম, আগুন সন্ত্রাস সবকিছুর মূলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান"।"বাংলাদেশ জিন্দাবাদ রক্তে ভেজা দেশদ্রোহি চেতনা'র প্রতি মীর জাফরের বংশধরদের যতটুকু প্রেম, প্রীতি ভালবাসার উৎগীরন  ঘটে ঠিক  ততটাই স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ শব্দটির অপমান, অবহেলা, অবজ্ঞা, পরিত্যাজ্যতার নিম্নমূখি হতে থাকে।

     একটি স্বাধীন দেশের "জাতীয় শ্লোগান" সে দেশের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখে। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে, উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। প্রগতি ও কল্যাণের পথে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে,  দুয্যোগ, দুর্বিপাক পাড়ি দিতে, ভয়কে জয় করার সাহস যোগাতে সাহায্য করে। স্বাধীনতা অর্জনের ৪৬ বছরের যাত্রায়ও আমরা সেই মহাশক্তি ‘জয় বাংলা’ কে বুকে ধারণ করতে পারিনি? পারিনি আজও "জয়বাংলা শ্লোগান"কে "জাতীয় শ্লোগান" হিসেবে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে এবং প্রতিষ্ঠা করতে।

       প্রিয় পাঠক বন্ধুগন, "মুজিব আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নতুন করে শফথ নিতে হবে বর্তমান প্রজম্মকে।'নতুন করে এই জন্যই বলছি---"দীর্ঘ একুশ বছর জাতিকে অশুভ শক্তি মুজিবাদর্শ অনুসরনে বিচ্যুত রেখে বিভ্রান্ত করেছে। বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার যুগেও অশুভশক্তির সম্মিলীত জোট তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিকে পিছনের অন্ধকার যুগে টেনে নিতে"।

      অশুভ শক্তির উত্থান রোধে এইমহুর্তে প্রয়োজন--"বাঙ্গালী জাতিসত্বার উম্মেষকারি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান এবং "জয়বাংলা" স্লোগান রাষ্টের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার চলমান  "সংগ্রামের তিব্রতা' বৃদ্ধি করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণার উৎস, শক্তির উৎস, অমর, অবিনাশী জাতীয় ঐক্যের মুলমন্ত্র "জয়বাংলা" পবিত্র সংবিধানে সংযোজন করে "জাতীয় শ্লোগান" এর মায্যদায় অধিষ্ঠিত করার নিয়ন্তর সংগ্রামে বর্তমান প্রজম্মকে অবতিন্ন হওয়া।"

     জাতিয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে জাতির পিতার সমান্তরালে অর্থাৎ  "জয়বাংলা----জয়বঙ্গবন্ধু" হোক জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মুলমন্ত্র। মহান নেতার অবিনাশী আদর্শ অনুসরন এবং রাষ্ট্রীয় সর্বস্তরে বাস্তবায়ন করার সংগ্রামের দৃড সংকল্প গ্রহনই কেবলমাত্র ইহা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে বাধ্য করা সম্ভব।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা         জয়বঙ্গবন্ধু"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা