জাতীয় কাউন্সিলে গঠনতন্ত্রের ব্যাপক সংস্কার---'সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে গনতন্ত্র চর্চার অঙ্গিকার সংযোজন।
     (রুহুল আমিন মজুমদার)

  আমাদের একটি কথা স্মরনে থাকা প্রয়োজন প্রচলিত রীতিনীতির বিপরীতে আধুনিক,যুগোপযোগী রাষ্ট্রীয় কোন ব্যবস্থাপনা সংযোজন করতে গেলে চতুর্দিকে হৈচৈ পড়ে যায়।সব গেল সব গেল বলে একশ্রেনীর মানুষ দৌঁড়ঝাপ শুরু করে দেন। কি গেল পরিবর্তে কি এল সেইদিকে চোখ রাখার প্রয়োজনবোধ করেনা। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গিকার গনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।পশ্চিমা গনতন্ত্রে অভ্যস্ত বাঙ্গালীরা নীজস্ব গনতন্ত্র কেমন হওয়া উচিৎ,কেমন শাষনব্যবস্থা গঠন--নতুন বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য;সেই গভেষনা না করে বঙ্গবন্ধুর বাকশালকে একদলীয় শাষন ব্যবস্থা হিসেবে বর্ণনা করতে পছন্দ করেন। "বাকশালে" আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দলের অস্তিত্ব কি ছিলনা?
     বর্তমানের রাষ্ট্রের বিশেষ প্রয়োজনে সবদল মিলে যে সরকার গঠিত হয় বা হবে সেই সরকার যদি "জাতীয় সরকারের" নাম নিয়ে গ্রহন যোগ্যতা পেতে পারে "বাকশাল" কেন বিভেষীকা? বাকশাল গঠন হয়েছিল নতুন রাষ্ট্র, নতুন প্রশাসন চালাবার জন্য, আর এখন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে দেশের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করার জন্য--- ব্যবধান এখানেই।স্বাধীন দেশের প্রশাসন- পরাধীন দেশের প্রশাসন দিয়ে চালাতে যারা আগ্রহী ছিলেন;তাঁরাই ছিলেন বাকশালের বিরুধীতাকারী। মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাকশাল শাষনকে ভীতিকর শাষনব্যবস্থা হিসেবে জনগনের মনে গেঁথে দিয়ে জাতীরজনকের পরিবারকে হত্যা করার ক্ষেত্র সাজানোই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।
    গনতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না প্রতিনিয়ত শুনতে পাওয়া যায় অথছ তাঁদের দলেই গনতন্ত্রের চর্চা নেই।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের অভ্যন্তরে গনতন্ত্রের চর্চা সীমিত পরিসরে করে এলেও এবার তাঁর ব্যাত্যায় ঘটিয়ে পুর্নাঙ্গ গনতন্ত্রের চর্চায় দলকে ফিরিয়ে এনেছে।শুধু তাই নয় স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর হলেও সরকারের সর্বস্তরে গনতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখার অঙ্গিকার গঠনতন্ত্রে সংযোজন করেছে। এই ধারাটি অন্য কোন দলের গঠনতন্ত্রে সংযোজনের জন্যে প্রথমেই দলের গনতন্ত্র চর্চার বিষয়টি সংশোধন করে গঠনতন্ত্রে সংযোজনের পর তা চর্চা করে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে নেতাকর্মীদের।তারপর দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকারে ফিরে আসতে কয়েকযোগ সময় পার হয়ে যাবে।তাঁদের শুসীল এবং  তাঁরা নীজেরা গনতন্ত্রের জন্য প্রতিনিয়ত কান্নাকাটি করে।আমি শতবার বলার চেষ্টা করেছি --আজ আবার বলছি  "বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক নড়বড়ে কাঠামোতে,প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাঁর পরিষদকে সহ একটিমাত্র কেন্দ্রেও পাহারায় বসে থাকে;তবুও নির্বাচন সুষ্ঠ করতে পারবেনা। কারন গনতন্ত্রে সমশক্তির লড়াই প্রয়োজন হয় এবং সবল দুর্বলের উপর আঘাত করার রীতিনীতি সিদ্ধ।"
 
       এবারের কাউন্সিল গুরুত্বপুর্ন অনেক পরিবর্তনের মধ্যে গনতন্ত্রকে"দল, দেশ, সমাজে সুদৃড করার লক্ষে এবং তাঁর চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য তিনটি গুরুত্বপুর্ণ সংযোজন ঘটিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা। তম্মধ্যে নিম্নে একটি বিষয় উল্লেখে রেখে বাকি দু'টি বিষয় তৎসম্পর্কে লিখার প্রয়োজনে উল্লেখ করার আশা রাখি----

১."গঠনতন্ত্রের ২নং ধারার অঙ্গীকার অনুচ্ছেদে ৬নং উপ-ধারায় ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিটি স্তরের সকল প্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও রীতি-নীতির চর্চা ও অনুশীলন করা’ সংযোজন করা হয়েছে।"

         গনতন্ত্রের রাজারাণীদের দেশে এবারের নির্বাচনে শুধুমাত্র শেষ মহুর্তের অপপ্রচারের কারনে হিলারীর জনপ্রীয়তা থাকা সত্তেও ট্রাম্প পাস করেছে। ট্রাম্প পাস করার জন্য যে অনৈতিক অপ-প্রচারের দৃষ্টান্ত রেখেছে গনতন্ত্র তাঁর খেসারত দিতে হবে কয়েক যুগ।তাঁদের গনতান্ত্রিক চর্চা শতবছরের, তাঁর পরেও অনৈতিক প্রচারনা থামেনি,ভোট কেনার অভিযোগও শুনা গেছে।আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমুহে রাতারাতি গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে বা করে ফেলেছি যারা বলে তারা আদৌ গনতন্ত্রের সংজ্ঞা জানেন কিনা আমার সন্দেহ হয়। গনতন্ত্র অব্যাহত চর্চার বিষয়,প্রতিষ্ঠার বিষয় নয়।সর্বস্তরে গনতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হলে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায়। প্রাতিষ্ঠানিক রুপ ফেলে যারাই ক্ষমতায় আসবে শাষন ব্যবস্থা পরিবর্তন করার সুযোগ পায়না।যেমন- বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য বাবরী মসজীদ ভেঙ্গে হিন্দুধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করেছিল। বাবরী মসজিদ ইস্যু বিজিপিকে আঞ্চলিক দল থেকে উন্নিত করে সর্ব ভারতীয় দলে রুপান্তরীত করে। দুইবার ক্ষমতায় এসেও কি বাবরী মসজিদ ভাঙতে পেরেছে?
       ভারতে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধিকে দলীয় ভাবে বিজেপি স্বীকার করে না। কিন্ত্যু সরকারের জাতীয় অনুষ্ঠানে স্মরণ না করে কি উপায় আছে? ভারতের সংবিধান 'ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধান';পরিবর্তন করে 'হিন্দু জাতীয়তাবাদি' সংবিধানে রুপান্তর করার উদ্যোগ নিতে পারছেনা কেন বিজিপি সরকার? বিরুধী দলে থেকে বহুবার হুমকি শুনেছি- হিন্দুদের দেশে হিন্দুরাই থাকবে। কায্যকর হয়েছে কখনও? না পারার একটি মাত্র কারন গনতন্ত্র সর্বত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ ধারন করার কারন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলের অঙ্গিকার নামায় অন্যতম ধারায় যাহা গত সম্মেলনে সংযোজন করেছে।

    উল্লেখিত ধারাটি ভিন্নকোন রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে সংযোজন হ'তে কমকরে হলেও ১০/২০ বছর সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে তাঁদের দলের গনতন্ত্রের ভিত্তি কি, কেমন তাঁর বৈশিষ্ট, চর্চা কেন করতে হয় এতদবিষয়ে সম্যক ধারনা আছে বলেও মনে হয়না। বিরুদীদলের রাজনৈগিক জ্ঞানহীনতায় এবং তাঁদের সাংগঠিনক ভিত্তির দুর্বলতার কারনে আওয়ামী লীগ বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হাজারো চেষ্টা অব্যাহত রেখেও তাঁর দলীয় কঠামো, রাজনৈতিক শিষ্টাচার,গনতন্ত্রের চর্চা সঠিকভাবে অনুসরন করাতে পারছেনা আঞ্চলীক নেতাদের। দলের জেলা, ,উপজেলা, আঞ্চলিক নেতাকর্মীদেরকে যতই হুমকি ধমকি প্রদান করা হোকনা কেন বহিস্কার, জেল, ক্রসফায়ার করুকনা কেন, একজনের পরিবর্তে সমমানের বা তারচেয়ে আরো জগন্য নেতাকর্মীর উত্থান ঘটে যাচ্ছে এলাকা ভিত্তিক।যে সমস্ত এলাকায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিচরন রয়েছে এবং একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নির্বাচনী এলাকা সেই সমস্ত এলাকায় দলে কোন সন্ত্রাসী, মাস্তান,গডফাদার উৎপত্তি হতে দেখা যায়না। কেন্দ্রীয় নেতা বিচরন হীন এলাকা সমুহে তাঁর আধিক্য সরকারের ভাবমুর্তি আগেও ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে, এবারও তার ব্যত্যায় হবে না।
 
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে ঘাপটি মেরে আদর্শ বিরুধী নেতাকর্মীর অবস্থান পাকাপোক্তভাবে অতীতেও ছিল বর্তমানেও আছে--""তাঁর উৎকৃষ্ট উদাহরন অতীতের বঙ্গবন্ধুর "মোস্তাক গং-। "বর্তমান সময়ে  "নাসিরনগর রংপুরের সাঁওতাল পল্লি উচ্ছেদ" বিশ্লেষন করে দেখলেই বিতর্ক করার প্রয়োজন হয়না। যুগে যুগে আদর্শ বিরুধী নেতা কর্মী আওয়ামী লীগের অগ্রযাত্রায় বড় বাঁধার সৃষ্টি করে রেখেছিল এবং এখনও তাঁরই আলামত পরিদৃষ্ট হচ্ছে।

      আমি আরও সহজভাবে আমার এলাকার আওয়ামী রাজনীতির অবক্ষয়ের কিঞ্চিত উদাহরন দিয়ে পাঠকবন্ধুদের সহজভাবে বুঝিয়ে লেখা শেষ করতে চাই--।

      "আমিনূল করীম মজুমদার (খোকা) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রান উন্নত নৈতিকতার অধিকারি,জনদরদী নেতা ছিলেন।তিনি ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে ফেনীর আপামর জনগনের প্রানের নেতা মরহুম খাজা আহাম্মদ সাহেবকে পরাজিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।ফেনী জেলাব্যাপি মাটিও মানুষের নেতা হয়েও(ফেনীর উত্তরের) আঞ্চলিক নেতা মরহুম খোকা ভাইয়ের নিকট হেরে তৎক্ষনাৎ মঞ্চে দাঁড়িয়ে নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। নির্বাচিত হলে কি হবে?নেতাকর্মীদের তোper মুখে পড়ার আশংকায় খোকা ভাই জেলা কায্যালয় (তিন বছর মেয়াদকাল) বসে কোন সভা করার সাহষ করেননি।"
    খোকা ভাইয়ের নৈতিক মনোবল এতই প্রবল ছিল যে---জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী মন্ত্রী কর্ণেল জাফর ইমাম (বীর বিক্রম) এর প্রভাবকে তোয়াক্কা না করে তাঁর প্রর্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। খোকা ভাইয়ের নির্বাচনে কোন টাকা পয়সা খরছ করার সামর্থ ছিলনা, করতেন ও না।তাঁর জন্যই কর্মীরা সামর্থ্যানুযায়ী খরছ করতেন। বাংলাদেশের ছয় ঋতুর পোষাক তাঁর একটাই--"লুঙ্গি পাঞ্জাবি মুজিব কোট"। "বিদেশ হতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, শশুরবাড়ী হ'তে নীজ বাড়ী, প্রান্তর হ'তে পরশুরামের দলীয় কায্যালয়" ঐ একটি পোশাকই তাঁর গাঁয়ে পরিহীত দেখা যেত সর্বসময়ে।প্রচন্ড শীতে যেমন মুজিব কোর্টের উপর চাদর জড়াতেন না তেমনি প্রচন্ড গরমে পাঞ্জাবী গাঁয়ে দিয়ে মুজিব কোর্ট রেখে দিতেন না।
    তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় একদিন ''উপজেলা কর্মকর্তাদের অফিসকক্ষে" তালা লাগিয়ে দেন।কারন কর্মকর্তাগন সময়মত অফিসে হাজিরা দেননা। বাংলাদেশের ক্ষমতায় জাতীয় পার্টি তাঁর মন্ত্রী 'জাফর ইমাম' খোকা ভাই আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জনগনের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য যে নতুন গঠিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গনের তখন এত বেশী ক্ষমতাও ছিলনা, তাঁর সরকারও ক্ষমতায় ছিলনা। তাছাড়াও তাঁর মাথার উপর বসে ছিল সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী 'জাফর ইমাম'--প্রতিনয়ত "যুদ্ধ তো হচ্ছেই মন্ত্রী বনাম খোকা মিয়া- অর্থাৎ আওয়ামী লীগ বনাম জাতীয় পার্টি।" এমন পরিস্থীতিতে তিনি তালা ঝুলিয়ে দিলেন কর্মকর্তাদের অফিসে!!! ভাবুনতো বন্ধুরা--তিনি কেমন নৈতিক বলে বলিয়ান ছিলেন? কেমন সৎ জীবন যাপন করলে এমন সাহষী কাজ করতে পারেন- একজন বিরুধী দলের নির্বাচিত চেয়ারম্যান? তাঁর পরনের লুঙ্গি অত্র এলাকায় বর্তমান সময়েও "খোকা লুঙ্গি" হিসেবেই পরিচিত।
    জাতীয় পার্টির শাষনামল--এবারও একই মন্ত্রীর দাপট।মন্ত্রীর প্রকাশ্য ঘোষনা-"একভোট পেলেও তাঁর মনোনীত প্রার্থীকে তিনি বিজয়ী ঘোষনা করবেন। " এমতবস্থায়  ভয়ে আওয়ামী লীগের কোন নেতা ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন না।স্থানীয় নির্বাচনে যুৎসই প্রাত্থী দিতে না পারলে জাতীয় রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা---"বিপদে পড়েছেন খোকা ভাই"।যারা প্রার্থী হতে আগ্রহী তাঁদের গ্রহন যোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখ্যীন।তিনি অল্পবয়স্ক এক ছাত্রকে বেছে নিলেন ইউপি নির্বাচনে জাফর ইমাম সাহেবকে চেলেঞ্জ করার জন্য।ছাত্রটি ছাত্র লীগের পরশুরাম কলেজ শাখা অথবা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক হতে পারেন--'এতদিনে স্মরন করতে পারছিনা'। নাম তাঁর "কামাল আহাম্মদ মজুমদার"। বহুভোটে জিতে গেল কামাল-জিতে গেল আওয়ামী লীগ, জীতে গেলেন আমিনুল করিম মজুমদার (খোকা) ভাই। তাঁরপরেও রাজনীতির আদর্শের বাহিরে কোনদিন চিন্তা করেন নাই। বাহিরে কাউকে ছাড় দেননি, আপোষ করেননি, নৈতিকতা হারাননি। তিনিই হচ্ছেন আজকের দিনের পরশুরাম উপজেলা পরিষদের সম্মানীত---"চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জনাব কামাল আহম্মদ মজুমদার। যোগ্য নেতার যোগ্য উত্তরসুরী।"
      আজকে কি দেখি কি শুনি-- নির্বাচনে বিএনপির মার্কা আছে কিন্তু প্রার্থী, প্রচারনা কিছুই ছিলনা--"তারপরেও নির্বাচনে তিন চার হাজার ভোট পায়না আওয়ামী লীগ প্রার্থী।আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে পাস করে বিএনপির মেম্ভার!!!!আওয়ামী লীগ মনোনীত মেম্বার প্রার্থী কেন্দ্রেই যেতে পারেনা--স্বতন্ত্র প্রার্থীর কথা আলাদা। চেয়ারম্যান মনোনয়ন হাতিয়ে নেয় অশিক্ষিত অথর্ব হাইব্রিড। আওয়ামী পরিবার ধ্বংসকারি পরিবারের সদস্য নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব হাইব্রিডের হাতে দিয়ে ত্যাগী নেতাদেরকে প্রত্যহ অপমান অপদস্ত করার অবাধ লাইসেন্স দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ ধ্বংসের চক্রান্তে এমন গভীর ষড়যন্ত্র আমি আর কখনও দেখিনি; আপনারা কেউ কি দেখেছেন? এই সম্পর্কীত বিষয় বিস্তারীত লিখার আশায় তথ্যের সন্ধানে রইলাম।
        বর্তমানের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কোন কোন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরাও নিজের পরিবার এবং প্রশাসনকে উপঢৌকন দিয়ে খুশী রাখার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত রয়েছে।নির্বাচিত হয়ে ছেলেকে খুশী করে পাঁছ কোটি টাকা দামের গাড়ী উপহার দিতে শুনা যায়, সাংসদ হয়ে কোরবাণীর জন্য গরু ক্রয় করে দেয় রাষ্ট্রের সেবক তথা জনপ্রতিনীধির আজ্ঞাবহ পুলিশকে!! কেন দেয়, কেন দিতে হয়--'তাও কি মানুষ বুঝেনা, জানেনা'।তাঁদের মনোনীত প্রার্থী হাইব্রিড হবেনা খোকাদের মনোনীত প্রার্থী হাইব্রিড হবে? সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচিত হলেও পুর্বের একজন আঞ্চলিক নেতা বা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নৈতিক চরিত্রের সংঙ্গে তুলনীয় হওয়ার যোগ্যতা আছে কি? কিভাবে, কি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন তাঁর কন্যা!!!

    আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব ওমর ফারুক সাহেবের ফেনী যুবলীগের কাউন্সিলে দেয়া রেকর্ডকৃত ভাষন শুনছিলাম গতকয়দিন আগে। উপস্থীত নেতাকর্মীদের অনেক রাত্রী পয্যন্ত বসে থাকা নিয়ে তিনি যে প্রশংসা করেছেন এবং সৌন্দয্য নিয়ে অহংকার করেছেন ফেনী বাসি হিসেবে আমি ও খুশী হওয়ার কথা ছিল-কিন্তু তা হতে পারিনি।বাহিরের চাকচিক্য জয়নাল হাজারীর সময়ও কম ছিলনা।জাতির পিতার কন্যাও কোন এক মহা সমাবেশে বলতে শুনেছিলাম--"শৃংখলা শিখতে হলে ফেনীতে যাও,জয়নাল হাজারীর নিকট থেকে শিখে আস।"বরাবরই বাংলাদেশের যেকোন এলাকার সংগঠনের চেয়ে ফেনী  অধিক শক্তিশালী ছিল, আছে, থাকবে। ২০০১ ইং সালে তত্ববধায়ক সরকারের রোষানল থেকে সুশৃংখল বাহিনী জয়নাল হাজারীকে রক্ষা করতে পারেনি। জনগনের নেতারা বিভিন্ন এলাকায় ছিলেন, আছেন, থাকবেন।থাকার কারন তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের, যুবলীগের নেতাকর্মী পরিবেষ্টিত ছিলেন, নেতা জনগনের পাশে ছিলেন। বর্তমানেও অধিকরাত্রী নেতাকর্মীগন  ধৈয্যধারন না করে উপায় নেই বিধায় মনযোগী শ্রোতা হয়ে বসেছিলেন-জনগন এক সেকেন্ড বসবেনা, শুনবেনা কি বলেন আওয়ামী লীগ নেতা।কারন বর্তমানের আওয়ামী লীগ নেতারা সরকারের পুলিশ বাহিনী কতৃক পরিবেষ্টিত-জনগন কতৃক পরিবেষ্টিত নেই। সম্মানীত যুবলীগ প্রেসিডেন্ট বুঝবেন কি করে-জাতির জনকের কন্যা ও তার আগে যেখানে বুঝেননি।
     ফেনীর আপামর জনগনের রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের মায্যাদা আওয়ামী লীগের খাজা সাহেবের মৃত্যুর পর উধাও হয়ে গেছে--"ফিরে আর আসেনি, আসবেনা।" বরঞ্চ অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান অবস্থা দিনে দিনে আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হচ্ছে। প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে--??
    কিছুকাল আগেও স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের একাধিক প্রার্থী থাকা সত্তেও বিএনপি বা অন্য দলের একক প্রার্থীকে হারাতে পেরেছে। বর্তমানে অন্য কোন দলের প্রার্থী মাঠে ছিলনা, কেন্দ্রে ছিলনা, এজেন্ট ছিলনা - একক প্রার্থী আওয়ামী লীগের; ভোট পেয়েছে তিন থেকে চার হাজার। নিয়ন্ত্রনের মধ্যেও আওয়ামী লীগের কর্মীরাই অন্য দলের প্রার্থীকে সম্মান জনক ভোট দিয়ে দিয়েছে, প্রায় এক দেড় হাজার করে---'যেখানে সুযোগ পেয়েছে সেখানে'। মেম্ভার পদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকা সত্তেও বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বিএনপির নিকট। নৈতিক চরিত্রের কত অধ:পতন ঘটলে দলবিরুধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে পারে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এবং তাঁদের নমিনেশন দাতারা?

    জাতির জনকের কন্যা প্রতিটি ক্ষেত্র উম্মোচন করে দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর মেধার সর্ব উচ্চ ব্যবহার করে।আগামী দিনের রাজনীতিবীদেরা অনুসরন করে চালিয়ে নেয়ার উপযোগীতাও  দিয়ে যাচ্ছেন।প্রতিটি রাজনৈতিক দলের অনুসরন যোগ্য গনতন্ত্রের ধারাবাহিকতাও উম্মমোচন করে দিয়ে যাচ্ছেন।ত্রিস্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামো তিনিই উম্মোচচন করেছেন।আগামীর বাংলাদেশ তাঁর নতুন প্রজম্ম প্রবাহমান ধারা অব্যাহত রাখার উপর নির্ভর করবে সর্বস্তরে গনতন্ত্র 'প্রাতিষ্ঠানিকতা' পেতে--" সময় কত স্বল্প বা দীর্ঘ হবে।"
    ruhulaminmujumder27@gmail.com
 
 
 
 
 
 
 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা