বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির গর্বিত সম্পদ-- "তিনি কোন রাজনৈতিক দল, ব্যাক্তি বা গোষ্টির একক সম্পদ নন।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বঙ্গবন্ধু ধর্ম বর্ণ, ধনী গরীব, সামাজিক, রাজনৈতিক, সরকারি বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক,অ-প্রাতিষ্ঠানিক সর্বত্র, সর্বস্তরে,মত ও পথ নির্বিশেষে সকলের। তিনি নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের অবশ্যই নন ; তিনি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের এবং তিনি সার্বজনীন ।এতে কোনপ্রকার বিতর্ক, যুক্তি, তুলনা, সাদৃশ্যতা, উদাহরণ আসতে পারেনা,আসা উচিৎ নয়।
"যারা সেদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে, ছোট্ট শিশু রাসেল হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল , হত্যার পর ইনুর সাথে যাদের ট্যাঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে উল্লাস করেছিল,এরশাদসহ যারা খুনীদের পূর্নবাসিত করেছিল--" তাদের ও বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখা দরকার।" আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গিকারাবদ্ধ বর্তমান সরকার--" চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক হত্যাসহ সকল হত্যার বিচার ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।"জাতিকে বিচার হীনতার সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করার শুভ সুচনা করে সরকার সর্বস্তরে স্বস্তি ও শান্তির বাতায়ন প্রবাহমান রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সভ্য দুনীয়ার কোথাও বিচারহীনতার দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশে যুগ-যুগান্তর উক্ত সংস্কৃতি রাষ্ট্রীয় পয্যায় লালন করা হয়েছে।এই পঙ্কিলতা থেকে জাতীকে মুক্ত করা ছাড়া সভ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প কোন পথ নেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা রাজনৈতিক হত্যা হতে পারে কিন্তু তাঁর পরিবারের অন্যান্ন সদস্য সহ কাজের লোকদের হত্যা --'কস্মিনকালেও রাজনৈতিক হতে পারেনা'।
আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে শুধুমাত্র হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া কতিপয় ব্যাক্তির বিচার অনুষ্ঠিত হলে--'ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলা যায়না'। হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ জড়িত, উস্কানিদাতা, হত্যাকারিদের পুর্ণবাসনকারি, হত্যাকান্ডের বিচার রহিত করে আইন প্রনয়নকারি সহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্ন বিষয়গুলিও ভেবে দেখা দরকার। আইনসিদ্ধ তদন্তে যার বা যাদের নাম আসবে তাঁর বা তাঁদেরও বিচার অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন---"তবেই বলা যাবে বিচার বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ, আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত।"
এক্ষেত্রে অনুমিত বিতর্ক এড়াতে প্রয়োজনে দেশীয় তদন্তদলের সমান্তরালে স্বনামধন্য বিদেশী তদন্তদলকেও সম্পৃত্ত করা যেতে পারে।ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে বিস্তৃতকারে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থেই প্রয়োজন।দেশী বিদেশী সাংবাদিক, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া কুটনৈতিক দলিল দস্তাবেজ, ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের সম্প্রতি প্রকাশিত দলিল পত্র ইত্যাদি এখনই একিভূত পুস্তকারে প্রকাশ ও সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বিশ্বের কোন স্বাধীন জাতির একক রাষ্ট্রে জাতির জনক বিরুধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই, স্বাধীনতা বিরুধী ব্যাক্তি বা গোষ্টিরও নাগরিক অধিকার নেই।বহু জাতি-গোষ্টি, ভাষাবাসির বিচরন থাকা সত্বেও একিভূত পাকিস্তানে জাতির জনক 'কায়দে আযম মহাম্মদ আলী জিন্নাহ'কে সর্বস্তরে যথাযথ ভক্তি শ্রদ্ধা করার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল।
অথছ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাঙ্গালী, বাংলা ভাষাবাসির একক অধিপত্য এবং কি ভুখন্ডগত ভাবে একিভূত দেশ হওয়া সত্বেও জাতিসত্বার উম্মেষকারি, স্বাধীনতার মহা নায়কের নাম বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলীর গঠনতন্ত্রে সংযোজিত নেই।সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে জাতির জনকের ছবি শোভা পায়না। এহেন বৈসাদৃশ্যতা জাতি হিসেবে আমাদের অত্যান্ত হীনমন্য, নিম্নমনা, তাঁবেদার সদৃশ, বিকলাঙ্গ, শংকরতারই পরিচয় বহন করে। বিশ্বের বিদ্যমান শ্রেষ্ঠ জাতি গোষ্ঠিসমূহের ইতিহাসে এহেন বৈপরিত্য কস্মিনকালেও পরিদৃষ্ট হয়না।
'৭৫ এ পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ বিরুধী শক্তির রাজনীতিতে পূর্ণবাসন, 'বঙ্গবন্ধু' নামের উপর শাষকশ্রেণীর অ-ঘোষিত সেন্সরশীপ, জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একতরফা অপ-প্রচার করা হয়েছে। দীর্ঘবছর অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্বের কারনে হতাশাগ্রস্তের সংখ্যা বৃদ্ধিও অন্যতম একটি কারন। বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে প্রজম্মান্তরে অন্ধকারে রাখার উদ্দেশ্যে সমৃদ্ধ বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সম্পর্কীত ছায়াছবি, পত্রপত্রিকা, স্কুলকলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবইতে স্থান দেয়া হয়নি।গল্প, প্রবন্ধ, কবিতায় এবং কি ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রেও স্থান হয়নি। সম্পুর্ণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস চর্চায় উদ্ভোদ্ধ করা সহ উল্লেখিত নানাবিধ কারনে জাতিয়তাবোধ সম্পর্কীত গর্বের অনুষঙ্গগুলি বিস্মৃত, ম্লান, অ-স্পষ্টকার ধারন করেছে।
বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি দল কতৃক গঠিত সরকার। তারচেয়েও বড় কথা জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দলের নেতৃত্বে গঠিত এবং তাঁরই জৈষ্ঠকন্যার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার। সুতারাং বর্তমান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সার্বজনীন করার ক্ষেত্রে অনুমিত বাধাসমূহ দূরীভূত করা।
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে মায্যদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবেনা।অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের সমান্তরালে জাতীয় কলংক সমূহ দুরীভূত করার পদক্ষেপ গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।মায্যদাহীন প্রতাপশালী ব্যাক্তি বা গোষ্টিকে সর্বদা মায্যদাবান ব্যাক্তি ও গোষ্টি ভয় করে কিন্তু 'সম্মান, শ্রদ্ধা, ইজ্জত,সমীহ কিছুই করে না'। তদ্রুপ বিশ্বের বিদ্যমান বলদর্পী ধনী রাষ্ট্রকে বিশ্বব্যাপি বিস্তৃত মায্যদাশীল দেশ ও জাতি সমুহ ভয় করে কিন্তু সম্মান, শ্রদ্ধা, ইজ্জত, সমীহ কিছুই করেনা।
জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাছিনার একান্ত ইচ্ছা ও স্বপ্ন ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।এতদ্বদ্দেশ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা ও দিবারাত্র পরিশ্রমের বিনিময়ে দেশব্যাপি উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু করে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করতে পেরেছেন।চেষ্টা ও পরিশ্রমের গুনে দেশ হয়তোবা উন্নত, সমৃদ্ধ হবে ঠিকই কিন্তু মায্যদাশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পাবে কিনা সময় বলে দিবে।বঙ্গবন্ধু হত্যা,জাতীয় চার নেতা হত্যা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্নে জাতি আংশিক কলংকমুক্ত হলেও পূর্ণাঙ্গ কলংক মুক্ত হয়েছে বলা যাবে না।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হলেও 'বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতিকে হত্যা প্রচেষ্টার' বিচার আদৌ সম্পন্ন হয়নি।ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ যেমন কলংক মোচন ব্যাতিরেকে ভদ্র,শুসিল, সভ্য হয়না তেমনি 'রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।'
masterruhulamin@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
(রুহুল আমিন মজুমদার)
বঙ্গবন্ধু ধর্ম বর্ণ, ধনী গরীব, সামাজিক, রাজনৈতিক, সরকারি বেসরকারি, প্রাতিষ্ঠানিক,অ-প্রাতিষ্ঠানিক সর্বত্র, সর্বস্তরে,মত ও পথ নির্বিশেষে সকলের। তিনি নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের অবশ্যই নন ; তিনি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের এবং তিনি সার্বজনীন ।এতে কোনপ্রকার বিতর্ক, যুক্তি, তুলনা, সাদৃশ্যতা, উদাহরণ আসতে পারেনা,আসা উচিৎ নয়।
"যারা সেদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে, ছোট্ট শিশু রাসেল হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল , হত্যার পর ইনুর সাথে যাদের ট্যাঙ্কের উপর দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে উল্লাস করেছিল,এরশাদসহ যারা খুনীদের পূর্নবাসিত করেছিল--" তাদের ও বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখা দরকার।" আইনের শাষন প্রতিষ্ঠায় অঙ্গিকারাবদ্ধ বর্তমান সরকার--" চাঞ্চল্যকর রাজনৈতিক হত্যাসহ সকল হত্যার বিচার ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।"জাতিকে বিচার হীনতার সংস্কৃতি থেকে রক্ষা করার শুভ সুচনা করে সরকার সর্বস্তরে স্বস্তি ও শান্তির বাতায়ন প্রবাহমান রাখতে সক্ষম হয়েছে।
সভ্য দুনীয়ার কোথাও বিচারহীনতার দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া না গেলেও বাংলাদেশে যুগ-যুগান্তর উক্ত সংস্কৃতি রাষ্ট্রীয় পয্যায় লালন করা হয়েছে।এই পঙ্কিলতা থেকে জাতীকে মুক্ত করা ছাড়া সভ্য সমাজ প্রতিষ্ঠার বিকল্প কোন পথ নেই। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা রাজনৈতিক হত্যা হতে পারে কিন্তু তাঁর পরিবারের অন্যান্ন সদস্য সহ কাজের লোকদের হত্যা --'কস্মিনকালেও রাজনৈতিক হতে পারেনা'।
আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে শুধুমাত্র হত্যাকান্ডে অংশ নেয়া কতিপয় ব্যাক্তির বিচার অনুষ্ঠিত হলে--'ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলা যায়না'। হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ জড়িত, উস্কানিদাতা, হত্যাকারিদের পুর্ণবাসনকারি, হত্যাকান্ডের বিচার রহিত করে আইন প্রনয়নকারি সহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্ন বিষয়গুলিও ভেবে দেখা দরকার। আইনসিদ্ধ তদন্তে যার বা যাদের নাম আসবে তাঁর বা তাঁদেরও বিচার অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন---"তবেই বলা যাবে বিচার বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ, আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত।"
এক্ষেত্রে অনুমিত বিতর্ক এড়াতে প্রয়োজনে দেশীয় তদন্তদলের সমান্তরালে স্বনামধন্য বিদেশী তদন্তদলকেও সম্পৃত্ত করা যেতে পারে।ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে বিস্তৃতকারে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থেই প্রয়োজন।দেশী বিদেশী সাংবাদিক, প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া কুটনৈতিক দলিল দস্তাবেজ, ভারতের পররাষ্ট্র দফতরের সম্প্রতি প্রকাশিত দলিল পত্র ইত্যাদি এখনই একিভূত পুস্তকারে প্রকাশ ও সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বিশ্বের কোন স্বাধীন জাতির একক রাষ্ট্রে জাতির জনক বিরুধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই, স্বাধীনতা বিরুধী ব্যাক্তি বা গোষ্টিরও নাগরিক অধিকার নেই।বহু জাতি-গোষ্টি, ভাষাবাসির বিচরন থাকা সত্বেও একিভূত পাকিস্তানে জাতির জনক 'কায়দে আযম মহাম্মদ আলী জিন্নাহ'কে সর্বস্তরে যথাযথ ভক্তি শ্রদ্ধা করার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল।
অথছ মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাঙ্গালী, বাংলা ভাষাবাসির একক অধিপত্য এবং কি ভুখন্ডগত ভাবে একিভূত দেশ হওয়া সত্বেও জাতিসত্বার উম্মেষকারি, স্বাধীনতার মহা নায়কের নাম বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলীর গঠনতন্ত্রে সংযোজিত নেই।সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষে জাতির জনকের ছবি শোভা পায়না। এহেন বৈসাদৃশ্যতা জাতি হিসেবে আমাদের অত্যান্ত হীনমন্য, নিম্নমনা, তাঁবেদার সদৃশ, বিকলাঙ্গ, শংকরতারই পরিচয় বহন করে। বিশ্বের বিদ্যমান শ্রেষ্ঠ জাতি গোষ্ঠিসমূহের ইতিহাসে এহেন বৈপরিত্য কস্মিনকালেও পরিদৃষ্ট হয়না।
'৭৫ এ পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ বিরুধী শক্তির রাজনীতিতে পূর্ণবাসন, 'বঙ্গবন্ধু' নামের উপর শাষকশ্রেণীর অ-ঘোষিত সেন্সরশীপ, জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একতরফা অপ-প্রচার করা হয়েছে। দীর্ঘবছর অর্থনৈতিক বন্ধ্যাত্বের কারনে হতাশাগ্রস্তের সংখ্যা বৃদ্ধিও অন্যতম একটি কারন। বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালী জাতির অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে প্রজম্মান্তরে অন্ধকারে রাখার উদ্দেশ্যে সমৃদ্ধ বাঙ্গালী সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সম্পর্কীত ছায়াছবি, পত্রপত্রিকা, স্কুলকলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যবইতে স্থান দেয়া হয়নি।গল্প, প্রবন্ধ, কবিতায় এবং কি ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রেও স্থান হয়নি। সম্পুর্ণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস চর্চায় উদ্ভোদ্ধ করা সহ উল্লেখিত নানাবিধ কারনে জাতিয়তাবোধ সম্পর্কীত গর্বের অনুষঙ্গগুলি বিস্মৃত, ম্লান, অ-স্পষ্টকার ধারন করেছে।
বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি দল কতৃক গঠিত সরকার। তারচেয়েও বড় কথা জাতির জনকের প্রতিষ্ঠিত দলের নেতৃত্বে গঠিত এবং তাঁরই জৈষ্ঠকন্যার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার। সুতারাং বর্তমান সরকারের নৈতিক দায়িত্ব সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানকে সার্বজনীন করার ক্ষেত্রে অনুমিত বাধাসমূহ দূরীভূত করা।
শুধুমাত্র অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে মায্যদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবেনা।অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের সমান্তরালে জাতীয় কলংক সমূহ দুরীভূত করার পদক্ষেপ গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।মায্যদাহীন প্রতাপশালী ব্যাক্তি বা গোষ্টিকে সর্বদা মায্যদাবান ব্যাক্তি ও গোষ্টি ভয় করে কিন্তু 'সম্মান, শ্রদ্ধা, ইজ্জত,সমীহ কিছুই করে না'। তদ্রুপ বিশ্বের বিদ্যমান বলদর্পী ধনী রাষ্ট্রকে বিশ্বব্যাপি বিস্তৃত মায্যদাশীল দেশ ও জাতি সমুহ ভয় করে কিন্তু সম্মান, শ্রদ্ধা, ইজ্জত, সমীহ কিছুই করেনা।
জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গকন্যা শেখ হাছিনার একান্ত ইচ্ছা ও স্বপ্ন ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।এতদ্বদ্দেশ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা ও দিবারাত্র পরিশ্রমের বিনিময়ে দেশব্যাপি উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ শুরু করে ইতিমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করতে পেরেছেন।চেষ্টা ও পরিশ্রমের গুনে দেশ হয়তোবা উন্নত, সমৃদ্ধ হবে ঠিকই কিন্তু মায্যদাশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পাবে কিনা সময় বলে দিবে।বঙ্গবন্ধু হত্যা,জাতীয় চার নেতা হত্যা, যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্নে জাতি আংশিক কলংকমুক্ত হলেও পূর্ণাঙ্গ কলংক মুক্ত হয়েছে বলা যাবে না।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পন্ন হলেও 'বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতিকে হত্যা প্রচেষ্টার' বিচার আদৌ সম্পন্ন হয়নি।ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ যেমন কলংক মোচন ব্যাতিরেকে ভদ্র,শুসিল, সভ্য হয়না তেমনি 'রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রযোজ্য।'
masterruhulamin@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন