পাঠ্যপুস্তকে শুধু বানান,প্রচ্ছদে ভুল তাই নয়----"মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতিরও সম্পূর্ণ বিপরীত।
(রুহুল আমিন মজুমদার)
পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রোনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন খবর দেখে শুনে একটি বিষয় নিশ্চিত হ'তে পেরেছি--"এবারের পাঠ্য বই কেলেংকারি এক অর্থে ভয়াবহ ; নিকট অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে একত্রে, এতগুলী পরিবর্তন, একসাথে আর কখনই ঘটেনি।" বলতে গেলে অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার আবরণ ঝেড়ে ফেলে রাতারাতি সাম্প্রদায়িক আলখেল্লা পরিধান করার যুগান্তকারি সাহষিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের নেতৃদানকারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের "শিক্ষা মন্ত্রনালয়"।তাও জাতীরজনকের কন্যা জীবিতবস্থায় এবং কি তাঁর নেতৃত্বে চলমান সরকারের শাষমলে।
এবারের পাঠ্যপুস্তকের কেলেংকারি শুধুমাত্র বানানে, প্রচ্ছদ অংকনে সীমাবদ্ধ তাই নয়; ধর্মনিরপেক্ষতায় পরিপুষ্ট শিশুমেধা ধোলাই করে রাতারাতি ইসলামীকরনের অভিনব পদক্ষেপ।
বাস্তবতা হচ্ছে---"কোন কো'রানে হাফেজ মাওলানা যদি পথভ্রষ্ট হয় তবে তাঁর আচার আচরন কায্যকলাপ নাস্তিক খোদাদ্রোহীকেও হারমানায়।"আমাদের শিক্ষামন্ত্রী সাহেবের "পাঠ্যপুস্তক'' সম্পর্কীত সদ্য সিদ্ধান্ত তাঁর চেয়ে অধিকগুনে গুনাম্ভিত। তাঁর ছাত্রজীবন হতে তিনি লালন করেছেন অ-সাম্প্রদায়িক চেতনা। এখন বলতে দ্বিধা নেই তাঁর ধারনকৃত অসাম্প্রদায়িক বিশ্বাস ছিল হঠকারি, উগ্র, তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক--"যাহা চৈনিক আদর্শে উজ্জিবীত কমিউনিষ্টদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট।"
তিনি যে চেতনা ধারন করে নেতৃত্বে উঠে এসেছেন;--ভুমিষ্ট থেকে বর্তমান সময় পয্যন্ত একান্ত স্বচ্ছ, বাঙ্গালী জাতি একাধিকবার সংগ্রামে বিজয়ী, সর্বসাধারনে গ্রহনযোগ্য, জাতির জনকের লালিত আদর্শ,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় আদর্শের অন্যতম নীতি "অসাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে জাতি গঠন" নীতিনিষ্ট দলে যোগদান করে, মন্ত্রীত্বের বলে বলিয়ান হয়ে, এমন পদস্থলন ঘটেছে-- "একটি অসাম্প্রদায়িক জাতিকে উগ্র সাম্প্রদায়িক জাতিতে রুপান্তরের দায়িত্ব এককভাবে নীজ কাঁধে তোলে নেয়ার সাহষ দেখাতে পেরেছেন"।
দেখে শুনে মনে হচ্ছে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ' তার জম্মব্দি জাতির জনকের লালিত আদর্শ 'ধর্মনিরপেক্ষতা'র আবরন খুলে পেলে দিতে চাইছেন।বর্তমান আওয়ামী লীগকে একক "মুসলিম জাতীয়তাবাদে"র দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ (টেষ্টকেস) নিয়েছেন 'জাতির মেরুদন্ড বলে কথিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে" খৎনার মাধ্যমে।
কিন্তু কেন? বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে কি আওয়ামী লীগ সদর্পে বঙ্গবন্ধুকে সহ ভুমিধ্বস বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৯ ইং সালে ক্ষমতায় আসেনি?তাঁর আগে ১৯৯৬ ইং সালের সাধারন নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জাতির জনকের স্ব-পরিবারে হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেনি?জাতির জনকের ভূবনজয়ী আদর্শ ধারন করে১৯৭১ ইং সালে বাঙ্গালী জাতি সর্বস্ব ত্যাগ করে বাঁশের লাঠি হাতে দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করার লক্ষে সসস্ত্র পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অসম মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে 'সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প' তথা 'দ্বিজাতি তত্ব'কে কবর দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেনি?
'৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা দখলকারি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ 'চেতনার আলোকবর্তিকা' হয়ে প্রজম্ম থেকে প্রজম্মান্তরে লালন করতে গিয়ে, লাখ লাখ তরুন, যুবক, ছাত্র জনতা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে রাজপথ রঞ্জিত করেনি? বিগত ১৫ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ দুইবার ক্ষমতায় আসতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কি কোনই প্রয়োজন হয়নি? বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যদি লড়াই সংগ্রামে প্রয়োজন হয়, ক্ষমতার মসনদে উঠার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার হয় ;ক্ষমতা উপভোগে তাঁর আদর্শ বিসর্জন দিতে হবে কেন, কোন যুক্তিতে?
ধর্মাশ্রয়ী দল এবং তাঁদের প্রতিভুদের বাংলাদেশের ক্ষমতায় আনার জন্যে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের জনগন স্বত:স্ফুর্ত কোন আন্দোলনে, সংগ্রামে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে? যতবারই তাঁরা ক্ষমতায় এসেছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অথবা বিদেশী প্রভূদের ষড়যন্ত্রে। বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিমগন ধর্ম ভীরু কিন্ত্যু ধর্মান্ধ নয়; ইহা বহুবার তিক্ত অভিজ্ঞতায় প্রমানীত সত্যে রুপান্তরীত হয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রমানীত সত্য-- বাঙ্গালী মসুলমানগন ধর্মান্ধ হলে '৭১এ মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হতনা। তাঁর আগে ভাষা রক্ষার সাংস্কৃতিক আন্দোলন থেকে শুরু করে '৬৯ এর গনভ্যুত্থান সংগঠিত হত না।বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানগন বিজাতীয় পাকিস্তানী শাষক শোষকদের তাঁবেদারীই করতেন।
যদি এমন ঘটনা চলতে থাকে তবে জামায়াত, বিএনপি আর হেফাজতের সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য রইল কোথায়? স্বৈরাচার সেনা শাষক জিয়া, সেনা শাষক এরশাদ, সর্বশেষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দীর্ঘ ২৭ বছর দোদন্ড প্রতাপে শাষন করার পরেও যে কাজটি করতে সাহস পায়নি। মাত্র একমাসের মধ্যে তড়িৎকর্মা, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সাহেব অবলীলায় করে গেলন সেই কাজটি। আওয়ামী লীগ সরকারের "শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক, বাহক তথাকথিত কমিনিউনিষ্ট নেতা মাননীয় মন্ত্রী জনাব নাহিদ সাহেব--"যে পথে নিতে চেয়েছেন শিক্ষা ব্যবস্থাকে, বর্তমান শিক্ষানীতি কি সেই অন্ধকার পথেই প্রনীত?"
মাননীয় মন্ত্রীর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন দেখার আগে বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি দেখে আসা সমচিন মনে করি।শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ নিয়ে ত্রিশটি যুগ উপযোগি কায্যধারায় বিস্তারীত আলোকপাত করা আছে '২০১০ইং সালের শিক্ষা নীতিতে। ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারীতে উক্ত কায্যসুচি হালনাগাদ করা হলেও লক্ষ ও উদ্দেশ্যে কোন রুপ পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা হয়নি।এখানে বিস্তারীত আলোচনা না করে উল্লেখযোগ্য দুটি ধারা সম্মানীত পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করি। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে--ত্রিশ দফার প্রত্যেক দফায় প্রগতিশীলতার সুস্পষ্ট লক্ষন অনুভব সম্ভব--"যেকোন সচেতন পাঠকের"।
******* শিক্ষার লক্ষ ও উদ্দেশ্য::*******
ধারা---(৩) মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রানীত করে তোলার ও তাঁদের চিন্তা চেতনায় দেশাত্ববোধ,জাতীয়তাবাদ এবং তাঁদের চরিত্রে সুনাগরীকের গুনাবলী যেমন-- ন্যায়বোধ, অ-সাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ, কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃংখলা, সৎ জীবন যাপনের মানষিকতা, সৌদার্দ ও অধ্যবসায়) ইত্যাদি বিকাশ ঘটানো।
ধারা--(৭) জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে আর্থসামাজিক শ্রেনী বৈশম্য ও নারী পুরুষের বৈশম্য দূর করা।অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব ভাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ ওমানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ গড়ে তোলা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তোলা।
উল্লেখিত শিক্ষানীতির দু'টি ধারাও যদি বিশ্লেষন করা হয়, তাহলে বর্তমান পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তন তাঁর আওতায় পড়ে কিনা, সম্মানীত পাঠক বর্গ বিচার বিশ্লেষন করে দেখার অনুরুধ রইল। পাঠ্যপুস্তকের বিশদ পরিবর্তনের তালিকা স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।আমি শুধুমাত্র সরকারের শিক্ষানীতি সংশ্লিষ্ট কতিপয় পরিবর্তনের তালিকা তুলে ধরার প্রয়াস নিচ্ছি।
(১) স্বর্ণকুমারী দেবীর 'উপদেশ' ' কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।অভিমত-- শুধুমাত্র পিতামাতাকে দেবতুল্য বলায়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গল্প 'লালু' বাদ দেওয়া হয়েছে অভিমত:-- কালীপূজা ও পাঁঠা বলির উল্লেখ আছে।
(২) উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী রচিত 'রামায়ণ কাহিনী 'আদিখন্ড' গল্প।
জ্ঞান দাস রচিত 'সুখের লাগিয়া' কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।অভিমত:-- 'কবিতাটিতে রামকৃষ্ণের ভক্তি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।'
(৩) ভারতচন্দ্র গুণাকর রচিত 'আমার সন্তান' এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'সাঁকোটা দুলছে' কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে। অভিমত:-- উক্ত কবিতায় ৪৭ এর দেশভাগকে তিরস্কার করা হয়েছে ।
(৪) রঙ্গলাল বন্দোপাধ্যায়ের 'স্বাধীনতা' কবিতা।লালন শাহ রচিত 'সময় গেলে সাধন হবে না' কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে।
(৫) সবচেয়ে বড় চমক হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বাংলাদেশের হৃদয়' কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিমত:-- 'দেবী দুর্গার প্রশংসা বাণী রয়েছে।
(৬) এদের কাছে 'পশু ' 'ফুল ' সবকিছুই অস্পৃস্য।সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যসূচি থেকে নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের 'লাল ঘোড়া ' নামক গল্প এবং সুকুমার রায়ের 'আনন্দ ' কবিতাটি বাদ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র পশুপ্রেমী এবং ফুলকে ভালবাসার অপরাধে।অভিমত:-- লাল ঘোড়া গল্পে 'লালু ' নামক পশুটির প্রতি ভালবাসা মুসলমানদের পশু কোরবানি বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র। তাছাড়া, ফুলের প্রতি ভালবাসা ইসলাম বিরোধী।
(৭) কালীদাস রায়ের 'অপূর্ব প্রতিশোধ' বাদ দেওয়া হয়েছে। এই কবিতাটি ইসলামি ধ্যান -ধারনা সম্বলিত ছিল। তারপরও বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিমত:--লেখক হিন্দু।
(৮) সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'মে দিনের কবিতা'। রণেশ দাশগুপ্তের 'মাল্যদান' যেখানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা হয়েছে। অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বইতে বুদ্ধদেব বসুর 'নদীর স্বপ্ন' কবিতা। নবম শ্রেণীর বাংলা বইতে সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পালামৌ' গল্প।
(৯) হুমায়ূন আজাদ স্যারের 'বই ' এর পরিবর্তে 'বিদায় হজ্ব ' এর অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে।স্বীকৃত মাধ্যম না হলেও হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো তথ্য। অভিমত:--"আগের পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রাখা নৈতিক দায়িত্ব বটে।" হুমায়ূন আজাদ স্যারের 'বই' কবিতাটিতে কুরআন শরীফকে ইঙ্গিত করে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ। যদিও উক্ত কবিতায় কোন নির্দিষ্ট 'বই' এর কথা উল্লেখ করা হয়নি।
আমরা দেখিছি--সরকারের শিক্ষানীতিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে অসাম্প্রদায়িক, বর্ণ বৈশম্যহীন, গোত্র ভেদাভেদহীন, নারীর সমধিকার, অ-সাম্প্রদায়িক শিক্ষা ব্যবস্থা সুনির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। হিন্দু কবি, সাহিত্যিক, গল্পকারদের লেখাগুলী একতরফা বাতিল করে কোন অসাম্প্রদায়িক চেতনার সাক্ষর রাখতে চাইলেন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী? মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কোন দেশের, কোন সাম্প্রদায়িক সরকারের শিক্ষানীতি অনুসরন করে পাঠ্যপুস্তক রচনা করেছেন--"জানতে চাওয়া কি অপরাধ হিসেবে গন্য হবে?"
শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের এবারের পাঠ্যপুস্তক রদবদলের মাধ্যমে জাতিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে--"ধর্মবর্ণ, গোত্রভেদ, নারী পুরুষের সমধিকার, অ-সাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ইত্যাদি সুন্দর সুন্দর শব্দগুলী শুধুমাত্র প্রবন্ধ, কবিতা, নীতি, আদর্শে, বক্তৃতা, বিবৃতির জন্যে সংরক্ষিত--"বাস্তবতায় জাতি গঠনের হাতিয়ার শিক্ষানীতিতে শব্দগুলীর প্রয়োগ আদৌ সম্ভব নয়।"
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা------জয়বঙ্গবন্ধু"
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

এর দ্বারা পোস্ট করা
Unknown
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন