বঙ্গবন্ধু , আওয়ামীলীগ, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ। লিখেছেন--Shahalam Sajeeb ____________________________________ ★ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন : ঢাকার কে.এম দাস লেনের কে.এম বশির হুমায়নের বাসভবন ‘রোজ গার্ডেন’- এ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন ★ ২৪ জুন : সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আরমানিটোলা মাঠে দলের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ★ ১৫ আগস্ট : দলের প্রথম সাপ্তাহিক মুখপত্র ইত্তেফাক প্রকাশিত হয়। ★ ১৯৫০- ০১ জানুয়ারি : শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার। ★ ২৪ জানুয়ারি : হোসেন সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা। সভাপতি মানকি শরীফের পীর এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক ওসমানী। ★ ১৯৫২-২৬ জানুয়ারি : নাজিমুদ্দিনের ঘোষণা উর্দুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। কারাবন্দী শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন। মেডিকেলে প্রিজন সেলে থাকা অবস্থায় বাইরের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার দিক-নির্দেশনা দেন। ★ ৩১ জানুয়ারি : তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠিত। ★ ১৬ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে হস্তান্তর। ★ ২১ ফেব্রুয়ারি : ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি। রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত ও অহিউল্লাহ শহীদ। ★ ২২ ফেব্রুয়ারি : প্রতিবাদ মিছিলে আবার গুলি, সফিকুর রহমান শহীদ। ★ ১৯৫৩-০৯ জুলাই : ময়মনসিংহে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন। ভাসানী সভাপতি, শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। ★ ১৪ নভেম্বর : ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত এবং ২১ দফার খসড়া গৃহীত। ★ ০৪ ডিসেম্বর : যুক্তফ্রন্ট গঠিত। স্বায়ত্তশাসন, ভাষা এবং বাঙালি অধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ২১ দফা ঘোষণা করা হয়। ★ ১৯৫৪- ০৮ মার্চ : প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে ২১-দফার পক্ষে নিরঙ্কুশ রায়, যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয়। মুসলিমলীগের ভরাডুবি। ★ ১৯ এপ্রিল : পাকিস্তান গণপরিষদ কর্তৃক বাংলা ও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা। ★ ১৯৫৫- ২১-২৩ অক্টোবর : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ★ ১৯৫৬-০২ মার্চ : গণপরিষদে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান পাস। ★ ৬ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বাংলার এবং ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা গঠন। ★ ১৯৫৭- ১৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ থেকে মওলানা ভাসানীর পদত্যাগ। ★ ৩১ মে : মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ★ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর : হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার। ★ ১৯৫৮- ০৭ অক্টোবর : পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি, সংবিধান বাতিল। শেখ মুজিবসহ বহু নেতা গ্রেফতার। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। ★ ১৯৫৯-৭ ডিসেম্বর : শেখ মুজিবের মুক্তিলাভ। গোপনে সহকর্মীদের কাছে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রকাশ। ★ ১৯৬২- স্বাধীনতার লক্ষ্যে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রস্তুতির সূচনা। এ লক্ষ্যে ছাত্র-যুব নেতাদের নিয়ে গোপন নিউক্লিয়াস গঠন। ★ ৩০ জানুয়ারি : সোহরাওয়ার্দী গ্রেফতার। প্রতিবাদে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সূচনা। ★ ০৭ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের ধরপাকড়। ★ ২৪ জুন : আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ৯ নেতার ঐতিহাসিক বিবৃতি। ★ ১৭ সেপ্টেম্বর : শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট-বিরোধী আন্দোলন, দুজন নিহত। ★ ০৪ অক্টোবর : রাজনৈতিক দল পুনরুজ্জীবিত না করে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কেএসপি প্রভৃতি দল মিলে এনডিএফ বা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠন। ★ ১৯৬৩- ০৫ ডিসেম্বর : বৈরুতে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু। ★ ১৯৬৪- ১৪ জানুয়ারি : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। ★ ১৬ জানুয়ারি : শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দাঙ্গাবিরোধী প্রতিরোধ। ‘পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও’ ইশতেহার প্রচার। ★ ২৫ জানুয়ারি : এনডিএফ ত্যাগ করে আওয়ামীলীগ পুনরুজ্জীবন। শেখ মুজিব মূল উদ্যোক্তা। এনডিএফ-পন্থিদের দল ত্যাগ। ★ ১৯৬৬- ০৫ ফেব্রুয়ারি : লাহোরে শেখ মুজিবের ৬-দফা দাবি উত্থাপন। ★ ১৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ কাউন্সিলে ‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬-দফা কর্মসূচি’ অনুমোদন। শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। ★ ২০ মার্চ : আইয়ুব খানের হুমকি : ৬-দফা নিয়ে চাপাচাপি করলে অস্ত্রের ভাষায় জবাব দেওয়া হবে, গৃহযুদ্ধ হবে। ★ ০৮ মে : শেখ মুজিব ও তাজউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার। ★ ০৭ জুন : ৬-দফা ও বন্দী মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী হরতাল। ১০ জন নিহত। ★ ১৭ জুন : ইত্তেফাক পত্রিকা নিষিদ্ধ ঘোষিত। ★ ১৯৬৭- ২২ জুন : রেডিওতে সরকারের রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ ঘোষণা। ★ ১৯৬৮- ১৭ জানুয়ারি : ১৯৬৬ সালের ৮ মে কারাবন্দী শেখ মুজিবকে ঢাকা জেল থেকে মুক্তি দিয়ে জেলগেটে আবার গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে আটক। ★ ১৮ জানুয়ারি : শেখ মুজিবকে ১নং আসামি করে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব এবং অন্যান্য’ মামলা দায়ের। এ মামলাটিই ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা হিসেবে পরিচিত। ★ ১৯ জুন : আগরতলা মামলার আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু। ♦ ডিসেম্বর : ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন (দুই গ্রুপ), এনএসএস (একাংশ) ও ডাকসুর নেতৃত্বে আন্দোলনের লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের উদ্যোগ। ★ ১৯৬৯-০৮ জানুয়ারি : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও আইয়ুব শাহীর পতনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ ৮টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি (ডাক) গঠন। ★ ১০ জানুয়ারি : ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ৬-দফাভিত্তিক ১১-দফা কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা। ★ ১৭-২০ জানুয়ারি : ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্রদের প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। পুলিশি হামলা। ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদ নিহত। ★ ২৪ জানুয়ারি : ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান। স্কুলছাত্র মতিউরসহ কয়েকজন নিহত। কারফিউ ভঙ্গ। ♦ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবের মুক্তি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল ও ১১-দফা দাবিতে সারাদেশে গণ-অভ্যুত্থানের বিস্তৃতি। ★ ২২ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবের নিঃশর্ত মুক্তি, আগরতলা মামলা প্রত্যাহার। ★ ২৩ ফেব্রুয়ারি : রেসকোর্স ময়দানের লক্ষ লক্ষ মানুষের গণসংবর্ধনায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক শেখ মুজিব ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত। ★ ২৫ মার্চ : আইয়ুব খানের পতন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা গ্রহণ, সামরিক আইন জারি। ★০৫ ডিসেম্বর : সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু দিবসে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা, ‘এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম হবে ‪#‎বাংলাদেশ‬ ’। ★ ১৯৭০- ০৭ ডিসেম্বর : পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ৩০০ আসনের জাতীয় পরিষদে পূর্ব বাংলার ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ১৬৭টি আসনে জয়লাভ। ★ ১৭ ডিসেম্বর : পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। ৩০০ আসনে আওয়ামীলীগের ২৮৮ আসন লাভ। ★ ০৩ জানুয়ারি : রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের (এমএনএ ও এমপিএ) ৬-দফা ও স্বাধিকারের নামে শপথ গ্রহণ। এই শপথ অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া হয়। ★ ১৯৭১- ০১ থেকে ২৫ মার্চ : বাংলাদেশের।প্রশাসন, বিচার বিভাগ, ব্যবসা- বাণিজ্য, ব্যাংক শিল্প-কারখানা, পরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু পরিচালিত হয় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। এই সময়কালে বঙ্গবন্ধু ৩৫-দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। ( বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ১০-দফা কর্মসূচী ) ★ ০১ মার্চ : ইয়াহিয়া কর্তৃক ৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা।ইয়াহিয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ। ‘জয় বাংলা, বীর বাঙালি অস্ত্র ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর, তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা, জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ প্রভৃতি স্লোগানে সারাদেশ আন্দোলিত। কারফিউ জারি। ★ ০২ মার্চ : বঙ্গবন্ধুর হরতাল-ধর্মঘট আহ্বান। ♦ ৩ মার্চ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক প্রথম ‘জাতীয় পতাকা’ উত্তোলন। ★ ০৩ মার্চ : পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার’ ঘোষণাপত্র পাঠ, জাতীয় পতাকা প্রদর্শন ও জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবেশন। ★ ০৭ মার্চ : রেসকোর্স ময়দানের ১০ লাখ লোকের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। (বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ১০-দফা কর্মসূচি ঘোষণা) ★ ১৬ মার্চ : ইয়াহিয়া খানের সাথে বঙ্গবন্ধুর আলোচনা শুরু। আলোচনার নামে কালক্ষেপণের কৌশল নিয়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ★ ২৩ মার্চ : আলোচনা কার্যত ভেঙে যায়। বঙ্গবন্ধু ৩২নং বাসভবনে নিজ হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ★ ২৫ মার্চ : রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর সামরিক অভিযান এবং রাজধানী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে। ★ ২৬ মার্চ : পঁচিশে মার্চ রাত ১২টার কিছু পরে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তৎকালীন ইপিআরের ওয়ারলেসযোগে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রচারিত হয়। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা মাইকিং করে এবং লিফলেট আকারে বিতরণ করা হয়। -বেলা সোয়া ২টায় চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন করেন এবং সেখান থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।

জাতির জনক,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠবাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের খন্ডিতাংশ বিধৃত করার ক্ষুদ্র চেষ্টামাত্র। আগামী প্রজম্মের নিকট সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধের প্রচেষ্টা মাত্র।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা