বঙ্গবন্ধু , আওয়ামীলীগ, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ। লিখেছেন--Shahalam Sajeeb ____________________________________ ★ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন : ঢাকার কে.এম দাস লেনের কে.এম বশির হুমায়নের বাসভবন ‘রোজ গার্ডেন’- এ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন ★ ২৪ জুন : সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আরমানিটোলা মাঠে দলের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ★ ১৫ আগস্ট : দলের প্রথম সাপ্তাহিক মুখপত্র ইত্তেফাক প্রকাশিত হয়। ★ ১৯৫০- ০১ জানুয়ারি : শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার। ★ ২৪ জানুয়ারি : হোসেন সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা। সভাপতি মানকি শরীফের পীর এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক ওসমানী। ★ ১৯৫২-২৬ জানুয়ারি : নাজিমুদ্দিনের ঘোষণা উর্দুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। কারাবন্দী শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন। মেডিকেলে প্রিজন সেলে থাকা অবস্থায় বাইরের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার দিক-নির্দেশনা দেন। ★ ৩১ জানুয়ারি : তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠিত। ★ ১৬ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে হস্তান্তর। ★ ২১ ফেব্রুয়ারি : ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি। রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত ও অহিউল্লাহ শহীদ। ★ ২২ ফেব্রুয়ারি : প্রতিবাদ মিছিলে আবার গুলি, সফিকুর রহমান শহীদ। ★ ১৯৫৩-০৯ জুলাই : ময়মনসিংহে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন। ভাসানী সভাপতি, শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। ★ ১৪ নভেম্বর : ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত এবং ২১ দফার খসড়া গৃহীত। ★ ০৪ ডিসেম্বর : যুক্তফ্রন্ট গঠিত। স্বায়ত্তশাসন, ভাষা এবং বাঙালি অধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ২১ দফা ঘোষণা করা হয়। ★ ১৯৫৪- ০৮ মার্চ : প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে ২১-দফার পক্ষে নিরঙ্কুশ রায়, যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয়। মুসলিমলীগের ভরাডুবি। ★ ১৯ এপ্রিল : পাকিস্তান গণপরিষদ কর্তৃক বাংলা ও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা। ★ ১৯৫৫- ২১-২৩ অক্টোবর : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। ★ ১৯৫৬-০২ মার্চ : গণপরিষদে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান পাস। ★ ৬ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বাংলার এবং ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা গঠন। ★ ১৯৫৭- ১৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ থেকে মওলানা ভাসানীর পদত্যাগ। ★ ৩১ মে : মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ★ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর : হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার। ★ ১৯৫৮- ০৭ অক্টোবর : পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি, সংবিধান বাতিল। শেখ মুজিবসহ বহু নেতা গ্রেফতার। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। ★ ১৯৫৯-৭ ডিসেম্বর : শেখ মুজিবের মুক্তিলাভ। গোপনে সহকর্মীদের কাছে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রকাশ। ★ ১৯৬২- স্বাধীনতার লক্ষ্যে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রস্তুতির সূচনা। এ লক্ষ্যে ছাত্র-যুব নেতাদের নিয়ে গোপন নিউক্লিয়াস গঠন। ★ ৩০ জানুয়ারি : সোহরাওয়ার্দী গ্রেফতার। প্রতিবাদে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সূচনা। ★ ০৭ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের ধরপাকড়। ★ ২৪ জুন : আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ৯ নেতার ঐতিহাসিক বিবৃতি। ★ ১৭ সেপ্টেম্বর : শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট-বিরোধী আন্দোলন, দুজন নিহত। ★ ০৪ অক্টোবর : রাজনৈতিক দল পুনরুজ্জীবিত না করে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কেএসপি প্রভৃতি দল মিলে এনডিএফ বা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠন। ★ ১৯৬৩- ০৫ ডিসেম্বর : বৈরুতে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু। ★ ১৯৬৪- ১৪ জানুয়ারি : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। ★ ১৬ জানুয়ারি : শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দাঙ্গাবিরোধী প্রতিরোধ। ‘পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও’ ইশতেহার প্রচার। ★ ২৫ জানুয়ারি : এনডিএফ ত্যাগ করে আওয়ামীলীগ পুনরুজ্জীবন। শেখ মুজিব মূল উদ্যোক্তা। এনডিএফ-পন্থিদের দল ত্যাগ। ★ ১৯৬৬- ০৫ ফেব্রুয়ারি : লাহোরে শেখ মুজিবের ৬-দফা দাবি উত্থাপন। ★ ১৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ কাউন্সিলে ‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬-দফা কর্মসূচি’ অনুমোদন। শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগের সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। ★ ২০ মার্চ : আইয়ুব খানের হুমকি : ৬-দফা নিয়ে চাপাচাপি করলে অস্ত্রের ভাষায় জবাব দেওয়া হবে, গৃহযুদ্ধ হবে। ★ ০৮ মে : শেখ মুজিব ও তাজউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার। ★ ০৭ জুন : ৬-দফা ও বন্দী মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী হরতাল। ১০ জন নিহত। ★ ১৭ জুন : ইত্তেফাক পত্রিকা নিষিদ্ধ ঘোষিত। ★ ১৯৬৭- ২২ জুন : রেডিওতে সরকারের রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ ঘোষণা। ★ ১৯৬৮- ১৭ জানুয়ারি : ১৯৬৬ সালের ৮ মে কারাবন্দী শেখ মুজিবকে ঢাকা জেল থেকে মুক্তি দিয়ে জেলগেটে আবার গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে আটক। ★ ১৮ জানুয়ারি : শেখ মুজিবকে ১নং আসামি করে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব এবং অন্যান্য’ মামলা দায়ের। এ মামলাটিই ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা হিসেবে পরিচিত। ★ ১৯ জুন : আগরতলা মামলার আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু। ♦ ডিসেম্বর : ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন (দুই গ্রুপ), এনএসএস (একাংশ) ও ডাকসুর নেতৃত্বে আন্দোলনের লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের উদ্যোগ। ★ ১৯৬৯-০৮ জানুয়ারি : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও আইয়ুব শাহীর পতনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ ৮টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি (ডাক) গঠন। ★ ১০ জানুয়ারি : ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ৬-দফাভিত্তিক ১১-দফা কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা। ★ ১৭-২০ জানুয়ারি : ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্রদের প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। পুলিশি হামলা। ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদ নিহত। ★ ২৪ জানুয়ারি : ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান। স্কুলছাত্র মতিউরসহ কয়েকজন নিহত। কারফিউ ভঙ্গ। ♦ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবের মুক্তি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল ও ১১-দফা দাবিতে সারাদেশে গণ-অভ্যুত্থানের বিস্তৃতি। ★ ২২ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবের নিঃশর্ত মুক্তি, আগরতলা মামলা প্রত্যাহার। ★ ২৩ ফেব্রুয়ারি : রেসকোর্স ময়দানের লক্ষ লক্ষ মানুষের গণসংবর্ধনায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক শেখ মুজিব ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত। ★ ২৫ মার্চ : আইয়ুব খানের পতন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা গ্রহণ, সামরিক আইন জারি। ★০৫ ডিসেম্বর : সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু দিবসে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা, ‘এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম হবে ‪#‎বাংলাদেশ‬ ’। ★ ১৯৭০- ০৭ ডিসেম্বর : পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ৩০০ আসনের জাতীয় পরিষদে পূর্ব বাংলার ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ১৬৭টি আসনে জয়লাভ। ★ ১৭ ডিসেম্বর : পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। ৩০০ আসনে আওয়ামীলীগের ২৮৮ আসন লাভ। ★ ০৩ জানুয়ারি : রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের (এমএনএ ও এমপিএ) ৬-দফা ও স্বাধিকারের নামে শপথ গ্রহণ। এই শপথ অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া হয়। ★ ১৯৭১- ০১ থেকে ২৫ মার্চ : বাংলাদেশের।প্রশাসন, বিচার বিভাগ, ব্যবসা- বাণিজ্য, ব্যাংক শিল্প-কারখানা, পরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু পরিচালিত হয় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। এই সময়কালে বঙ্গবন্ধু ৩৫-দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। ( বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ১০-দফা কর্মসূচী ) ★ ০১ মার্চ : ইয়াহিয়া কর্তৃক ৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা।ইয়াহিয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ। ‘জয় বাংলা, বীর বাঙালি অস্ত্র ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর, তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা, জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ প্রভৃতি স্লোগানে সারাদেশ আন্দোলিত। কারফিউ জারি। ★ ০২ মার্চ : বঙ্গবন্ধুর হরতাল-ধর্মঘট আহ্বান। ♦ ৩ মার্চ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক প্রথম ‘জাতীয় পতাকা’ উত্তোলন। ★ ০৩ মার্চ : পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার’ ঘোষণাপত্র পাঠ, জাতীয় পতাকা প্রদর্শন ও জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবেশন। ★ ০৭ মার্চ : রেসকোর্স ময়দানের ১০ লাখ লোকের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। (বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ১০-দফা কর্মসূচি ঘোষণা) ★ ১৬ মার্চ : ইয়াহিয়া খানের সাথে বঙ্গবন্ধুর আলোচনা শুরু। আলোচনার নামে কালক্ষেপণের কৌশল নিয়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করে। ★ ২৩ মার্চ : আলোচনা কার্যত ভেঙে যায়। বঙ্গবন্ধু ৩২নং বাসভবনে নিজ হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ★ ২৫ মার্চ : রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর সামরিক অভিযান এবং রাজধানী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে। ★ ২৬ মার্চ : পঁচিশে মার্চ রাত ১২টার কিছু পরে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তৎকালীন ইপিআরের ওয়ারলেসযোগে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রচারিত হয়। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা মাইকিং করে এবং লিফলেট আকারে বিতরণ করা হয়। -বেলা সোয়া ২টায় চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন করেন এবং সেখান থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।

জাতির জনক,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠবাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের খন্ডিতাংশ বিধৃত করার ক্ষুদ্র চেষ্টামাত্র। আগামী প্রজম্মের নিকট সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরার নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধের প্রচেষ্টা মাত্র।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন