সাফাদীর নতুন প্রেম রক্ষায় মরিয়া প্রচেষ্টা অব্যাহত-- ________________________________________ হাজারো মিথ্যা দিয়ে একটি সত্যকে ঢাকা যায়না,প্রবাদটি ইসলামের শত্রু ইহুদীদের ক্ষেত্রে প্রজোয্য হয়না।মিথ্যা,ষড়যন্ত্র, অবিশ্বাস দিয়ে ইসলামের প্রাথমিক যুগে নবী (স)এর বিরুদ্ধে যে শত্রুতা আরাম্ভ করেছিল তাঁর ধারাবাহিকতা তাঁরা হারাননি--হারিয়েছে সত্য, ন্যায়, সমতা ও সার্বজনীন ধর্ম ইসলামের অনুসারী মসুলমানদের বিশ্বাসের।মুসলিম বিশ্বের একটি দেশও বাকী নেই যে দেশটিতে হানাহানি,মারামারি নেই।ইহুদীরাই সমস্ত হানাহানীর মুলকারিগর তবে ইসলামের অনুসারী সেই দেশের নাগরীকদের মাধ্যমেই তাঁরা অপ-কর্মকান্ড গুলী বাস্তবায়ন করে।তদ্রুপ বাংলাদেশেও তাঁদের এজেন্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকেই মিত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে।যে ব্যাক্তির মাধ্যমে মহৎ ইসলাম বিরুধী কর্মটি সম্পাদন করার জন্য বিএনপি ইজরাইলের মত শক্তিশালী মুসলিম বিদ্বেসী রাষ্ট্রের সাথে সংযোগ রক্ষা করতে পেরেছে, সেই অচেনা অজানা,অরাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ব্যাক্তিটিকে প্রাথমিক পয্যায় উপহার হিসেবে দলের অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ণ পদ 'যুগ্ম মহাসচিবের' দায়িত্ব প্রদান করেছে খালেদা জিয়া। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে,'তাঁর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হলে ঢাকার পথকলিদের কুখ্যাত সন্ত্রাসী জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবরের চাইতে আরো গুরুত্বপুর্ণ অবস্থানেই রাখা হত।' মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় অন্য শত ষড়যন্ত্রের ন্যায় বাংলাদেশের সরল্প্রান মসুলমানদেরকে- ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রাথমিক পয্যায়ে গোয়েন্দাদের নজরে এনে দিয়েছেন। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ,বাংলাদেশের ইসলামধর্মের অনুসারীদের কড়া সমালোচনার মুখে অতীতের ন্যায় সেই ইহুদী একের পর এক মিথ্যে সাজানো নাটকের পর্ব মঞ্চস্ত করে যাচ্ছেন তাঁদের বন্ধু রাজনৈতিক দল 'বিএনপিকে'রক্ষা করার মানসে। সুপ্রীয় পাঠক,সাফাদী অদ্যকার সাক্ষাতকারে একটি গুরুত্ব পুর্ন তথ্য তুলে ধরেছেন,"জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়ের একান্ত অনুরুধে তাঁদের দুই জনের অনুষ্ঠিত বৈঠকটি একান্ত গোপনীয় কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল,এবং সেখানে কোন ছবি ধারন করার কোন সুযোগ ছিলনা।" সুপ্রীয় বন্ধুগন, সাফাদীর বক্তব্য যদি এই হয়,তাহলে প্রচারীত ইউটিউব কি মিথ্যা?নাকি সাফাদীর আজকের বক্তব্য মিথ্যা? বিচারের ভার আপনাদের হাতে দিলাম-- _____________________________ (কপি পেষ্ট--আমাদের সময়.কম)০১/০৬/২১৬ তারিখে প্রকাশিত পত্রিকা থেকে নিম্নের অংশটি __________ __________ শামস সয়ূজ : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে করা বৈঠকটি তার অনুরোধেই অত্যন্ত গোপনে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদি। আর সেকারণে বৈঠকের কোনো ছবিও তোলা হয়নি বলে দাবি তার। এ বৈঠক হয়েছে তাদের দুজনের এক বন্ধুর মাধ্যমে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি পক্ষপাতিত্ব নেই বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে মি. রহমান নামে এক বাংলাদেশির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে বলে আগে জানিয়েছিলেন সাফাদি। তবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই ব্যক্তি নন বলে নিশ্চিত করেছেন সাফাদি। তিনি জানান, তারেক রহমানের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি। সাফাদির সঙ্গে ই-মেইলে নেয়া সাক্ষাৎকারে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির পক্ষ থেকে তাকে তিনটি প্রশ্ন করা হয়। সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন মমিনুল ইসলাম। পুরো সাক্ষাৎকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো। প্রশ্ন : খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জাহিদ এফ সর্দার সাদী ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার পোস্ট করেছেন, যেখানে আপনি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পুত্র এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে বৈঠক করার দাবি করেছেন। জয় এ দাবিকে জঘন্য অভিহিত করে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। জয় ২৯ মে ফেসবুক পোস্টে বৈঠকের সঠিক ঠিকানা দেয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? মেন্দি এন সাফাদি : এটা স্পষ্ট যে, সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের ওয়াশিংটনের বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন। তার অনুরোধেই বৈঠকটি অত্যন্ত গোপনে করা হয়েছে। [ কিন্তু সাফাদি কথিত গোপনীয়তা রক্ষা তো করলেন না Ñসম্পাদক ] সে কারণেই বৈঠকের কোনো ছবি তোলা হয়নি। আমাদের দুজনের পারষ্পরিক এক বন্ধুর অফিসে এ বৈঠক হয়েছে। তার (বন্ধু) অনুরোধের কারণে নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। কারণ সে আমাকে বলেছে, তার নাম প্রকাশ করা হলে মার্কিন প্রশাসনে তার অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রশ্ন : চলতি মাসের শুরুর দিকে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির এক সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন, মি. রহমান নামে বিএনপির কোনো নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন কি না তা স্মরণ করতে পারছেন না। মেইলে তারেক রহমানের ছবি সংযুক্ত করা হলো। ইনি কি সেই রহমান? মেন্দি এন সাফাদি : আমি রহমানের পূর্ণ নাম জানি না। তিনি আমাকে তার পুরো নাম বলেননি। কেবলমাত্র বাংলাদেশ থেকে মি. রহমান হিসেবে পরিচয় দেয়া হয়। তবে কোনো ধরনের কথোপকথন বা বৈঠক, এর পেছনে করমর্দন ও আশীর্বাদ কামনা ছাড়া অন্য কিছু ছিল না। যে ছবিটি সংযুক্ত করা হয়েছে তার সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করিনি। প্রশ্ন : আপনার সাম্প্রতিক মন্তব্য ও সাক্ষাৎকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার ও গণতন্ত্রায়নের স্বার্থের চেয়ে রাজনৈতিক অবস্থার প্রতি আপনার আগ্রহ বেশি। সেই সঙ্গে এটাকে বিএনপির দাবির প্রতি সমর্থন হিসেবে দেখা হয়। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? মেন্দি এন সাফাদি : বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে আমার কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। ‘পিএনবি’র (বিএনপি) একজন নেতার সঙ্গেও আমার সরাসরি যোগাযোগ হয়নি। আমি পূর্বেই বলেছি, আমি যখন আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছি, তখন তাকে ‘পিএনবি’র একজন সিনিয়র ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় করনো হয়নি। তবে সংখ্যালঘু অধিকারের সমর্থক হিসেবে পরিচয় করানো হয়। আমাদের কথোপকথন মোটের ওপরে ৫-৬ মিনিটের মতো সংক্ষিপ্ত ছিল। এতে দলীয় বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা কেবলমাত্র সব সংখ্যালঘুর সহাবস্থানে রাখা নিয়ে আলোচনা করি। ফেসবুকে নেওয়া ইংরেজী সাক্ষাৎকারটি আমাদেরসময়.কমের পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো- Q 1 : In a recent interview posted on the you tube channel of F R Sadi, you claimed you have had a meeting with Mr. Sajeeb Wazed Joy in Washington DC. However, Mr. Wazed has vehemently denied such an outrageous claim. In a Facebook post on 29 May, 2016, Sajeeb Wazed Joy challenged you to provide evidence regarding the exact location of your “meeting” with him. What would be your response to Mr. Sajeeb Wazed Joy’s recent Facebook post? Q. 2 In an interview taken by Daily Amader Orthoneeti earlier this month you said, you could not remember any BNP leader named Mr. Rahman with whom you talked. Please have a look at the attached picture of Mr. Tareq Rahman along with this message, and tell us, if this was the person you talked to? Q 3 It has been argued that from your recent comments and interviews it seems you are more inclined to supporting BNP’s claims and interests regarding Bangladesh’s political situation than ensuring the rights and interests of the minorities and democratization of Bangladesh society. What would be your response regarding this allegation? Hope to get from you very soon. Thanks in advance. 1, it was clear that Mr. Sajeeb Wazed Joy deny our meeting in Washington, the meeting was highly secret at his request, so no pictures from the meeting, the meeting was held in the office of a mutual friend that I did not want to reveal his name because he asked because revealing his name could harm his standing in the American administration. 2 The answer to question who it Rahman, I said that I do not know what the full name of Rahman because did not tell me his full name, just was introduced as Mr. Rahman from Bangladesh, shaken hands and blessings It was not beyond that any kind of conversation or meeting, and about the picture attached it’s not the guy I met . 3- I have no preference about the political parties in Bangladesh, and had no direct contact with any one of the leaders of the at PNB, and as I said before when I met Mr. Aslam Chaudhry and not treated presented to me as a senior figure at PNB party, but as a supporter of the rights of minorities, and our conversations were short a total of 5-6 minutes and not treated the subject of parties, we treated only for the purposes of keeping all minorities and to coexist.

সাফাদী প্রথম সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন," জয়ের নিউইয়র্কের অফিসে জয়ের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল,অফিস কোথায় জয়ের প্রশ্নের জবাব না দিতে পেরে অদ্য নতুন করে বলছেন," তাঁর এক বন্ধুর অফিসে সাক্ষাৎ হয়েছিল।"তিনি আরো বলেন জয়ের অনুরুধে সেখানে কোন ছবি বা ভিডিও আপলোড করা হয়নি-তবে ইউটিউবে প্রচারীত ভিডিও কি মিথ্যা?

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা