বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল-তৃনমূলের ভাবনা--- ______________________________________ রোজার পর জুলাইয়ের ১০/১১ তারিখে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতিয় কাউন্সিল এর তারিখ নির্ধারীত হয়েছে।আওয়ামীলীগ- এর কাউন্সিল অধিবেশন মানেই সংস্কার, গতিশীলতা, নতুনত্ব, আধুনিকতা, প্রগতি। প্রত্যেকবারেই চমক সৃষ্টির ধারাবাহিকতা থেকে দলটি বিচ্যুত হয়নি। গঠন তন্ত্রের সংস্কার করে যুগ উপযোগি রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা থেকেও পিছু হটেনি দলটি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত একটি কথা প্রায়শ: শুনা যায়, "আওয়ামীলীগ আজ যাহা চিন্তা করে অন্য রাজনৈতিক দল তা দশ বছর পর চিন্তা করে।আওয়ামী লীগ শ্রষ্টার ভুমিকা পালন করে,অন্যরা তা ভোগ করে।" বর্তমান আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনকের আদর্শের আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ বিকশিত হয়েছিল ৬ দফা কেন্দ্রিক স্বাধীনতার আখাংকার বহি:প্রকাশ এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের শাষন শোষনের বাস্তব চিত্রের প্রতিবাদের বীজ থেকে।পক্ষান্তরে বর্তমান আওয়ামী লীগ পুন:জীবিত হয়েছে স্বৈরশাষকদের অগনতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট শাষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের ভিত্তি রচনার সফল নেতৃত্বের গুনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি তখন তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল দলটি। তখনই আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের মর্যাদা ও স্বীকৃতি লাভ করেছিল । সত্তরের নির্বাচনের ঐতিহাসিক বিজয় ছিল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এর মধ্য দিয়ে দলটি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার নৈতিক ও আইনগত ভিত্তি অর্জন করেছিল। ইতিহাস এর অংশ নয়, ইতিহাস তৈরিতে একক এবং অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিল আওয়ামী লীগ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাষনভার গ্রহন করে, রাষ্ট্রের সমূদয় কাঠামো গঠন করার প্রাক্কালে সময়ের প্রয়োজন ছিল অবশ্যম্ভাবি। সসস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিল্পকলকারখানা, রাস্তা ঘাট,পুলকালভার্ট,ব্যাংবীমা, বাড়ীঘর সবকিছুই ছিল বিধ্বস্ত লন্ডভন্ড।উপরিন্তু যুদ্ধের ফলে সাধারনের নিকটেও মারানাস্ত্রের মজুদ গড়ে উঠেছিল।নয়মাসের যুদ্ধফেরৎ মুক্তিযুদ্ধা, প্রায় পাঁছ লক্ষের কাছাকাছি বিরঙ্গনা মা বোনের পুণ:বাসন, রাজাকারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেড়ে নেয়া ইত্যাদি সহজ ব্যাপার ছিলনা কিছুতেই। এরই মধ্যে যোগ হয়েছিল প্রকট খাদ্য ঘাটতি। সব কিছু মিলিয়ে নতুন দেশের নতুন সরকার তড়িৎ সব সামাল দেয়ার সক্ষমতা অর্জনের আগেই যুক্ত হতে থাকে দেশী ও আন্তজাতিক চক্রান্ত।মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি নানাভাবে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগের ওপর চরম বিপর্যয় নেমে আসে। জাতির জনকের জাতিয় ও আন্তজাতিক উজ্জ্বল ভাবমুর্তি থাকা সত্ত্বেও শাসক দল হিসেবে সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে এগিয়ে চলছিল দলটি। সেটা কোনো অস্বাভাবিক ঘটনাও ছিল না। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনকালটা কোনোভাবেই ভালো সময় ছিল না, থাকার কথাও নয়। ক্ষমতাসীন হয়ে ফুল বিছানো পথে হাঁটার সুযোগ কিংবা সৌভাগ্য আওয়ামী লীগের হয়নি। জাতীয় ও আন্ত: র্জাতিক ক্ষেত্রে বিরোধী ও বৈরী শক্তিকে মোকাবেলা করে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী দেশীয় ও আন্তজাতিক শক্তির গোপন-প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র, অন্তর্ঘাত-নাশকতা মোকাবেলা করে জাতীয় পুনর্গঠনের কঠিন কাজটি তখন আওয়ামী লীগকে করতে হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। সাফল্য ব্যার্থতার খতিয়ান টানার সময়ের আগেই নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে সম্পুর্ন অবৈধ বিপদগামী সামান্য সংখ্যক সেনাসদস্যের সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত করে একতরফা অপ-প্রচারের মাধ্যমে জাতির জনকের পরিবার ও আওয়ামী লীগের ভাবমুর্তি জাতিয় ও আন্তজাতিক পয্যায়ে ক্ষুন্ন করতে থাকে কুচক্রি মহল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের চাকা উল্টোপথে ঘোরানোর অপচেষ্টা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর পর তার চার রাজনৈতিক সহযোগীকে জেলখানার ভিতর হত্যা, জেলা-থানা পয্যায় গুপ্ত হত্যা, সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধা সেনাকর্মকর্তা নিধন, প্রশাসনের অভ্যন্তরে আওয়ামী ভাবধারার কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিনা অজুহাতে চাটাই, প্রগতিমনা লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিকদের নিগৃহিতের ফলে সর্বস্তরে আওয়ামী শুন্যতার সৃষ্টি করে।জাতির জনকের বিশ্বস্ত সহচরদের হত্যা, মামলা ব্যতিরেকে জেলে প্রেরনের কারনে চরম নেতৃত্ব সংকটে পড়ে আওয়ামী লীগ। দলটি আবার কোনো দিন একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে কিনা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসবে কিনা, পুন:রায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে কিনা– ইত্যাদি চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল জনমনে। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে ষড়যন্ত্রিরা খুব জোরেশোরেই প্রচার করতেন আওয়ামী লীগ মুসলিম লীগের চেয়েও খারাপ অবস্থায় পৌছে গেছে। পকিস্তান প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলিম লীগ কিন্তু পরে পাকিস্তানের রাজনীতিতে দলটি ক্রমাগতই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ রাজনৈতিক লড়াই এবং মুক্তিযুদ্ধে ধারাবাহিক নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সুতারাং আওয়ামী লীগও দেশ শাষনের সুযোগ পাবেনা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপাংক্তেয় হবে দলটি। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচ এম কামারুজ্জামান এবং মনসুর আলীর মতো নেতাদের হত্যা করে নেতৃত্বের যে শূণ্যতা তৈরি করা হয়েছিল তা পূরণ করা কীভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা ও সংশয় দেশব্যাপিতো ছিলই, খোদ মধ্যম সারির আওয়ামী নেতাদের মধ্যেও ছিল। উধ্বতন নেতারা যদিও দল ছেড়ে যাননি কিন্তু দলীয় শীর্ষ পদের নেতৃত্ব নিয়ে কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। মধ্যম ও তৃনমুলের নেতারা, এবং কি মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশও দলে দলে দলত্যাগ করে জাতির জনকের হত্যাকারিদের সাথে হাত মিলায়। ফলে আওয়ামী লীগের নি:শেষের ধারনাটি জনমনে পোক্ত আকারই ধারন করেছিল। কালক্রমে সব শঙ্কা, সংশয় দূর হয়েছে। আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে যারা সন্দেহ পোষণ করতেন তাদের সব অনুমান ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভুল প্রমাণ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহন করা প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে সংক্ষেপে শুধু এটাই বলি, "শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নবজীবন লাভ করেছিল, শক্তি সঞ্চয় করেছিল, ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৬ ইং সালে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল।" তাঁর পরবর্তি ইতিহাস ১৫ ই আগষ্টের বিয়োগান্তক ঘটনাক্রমের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।৯৬-২০০১ ইং সালের সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগ শতভাগ সফল আমি বলবনা। সফলতার উদাহরন যেমন অনেক দেয়া যায় বিফলতার তেমনি শত অভিযোগ আনা যায়। কোন সরকার শতভাগ সফলতার কৃতিত্বের দাবী করতে পারেনা।বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত রাজনৈতিক দল কোন কালেই শতভাগ সফল এমন দাবী করেওনি। কিন্তু ২০০১ ইং সালে ক্ষমতা পরিত্যাগের ঘন্টা খানেকের মধ্যে তথাকথিত তত্বাবধায়ক সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে, 'যে ন্যাক্কার জনক নির্য্যাতনের উদাহরন সৃষ্টি করা হয়েছিল,তাঁর তুলনা শুধুমাত্র ৭১এর হানাদার বাহিনীর অত্যাচার নির্য্যাতনের সঙ্গেই তুলনা করা যায়।আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃনমুলের নেতাকর্মীও নির্য্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি।আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরছাড়া করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে চারদলীয় জোট একরকমের প্রতিরোধহীন একতরফা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে সরকার গঠন করে।সরকার গঠন করেই আর একদফা নিগৃহিতের উদাহরন সৃষ্টি করে জোট সরকার।প্রথম দফায় জামাত বিএনপি -শিবির মিলিত নির্য্যাতন করলেও দ্বিতীয় দফা নিয্যাতন শুরু করা হয় সরকারি পৃষ্টপোষকতায়। ক্ষমতায় বসেই জোট সরকার যার্ব গঠন করে সাথে 'পুলিশ ও বিডি আরের সংযোগ' ঘটিয়ে নাম দেয়া হয় 'যৌথ অভিযান'। নতুনত্বের কারনে জনমনে উল্লেখীত অভিযানের ব্যাপারে ভীতির সঞ্চার করে।শুরু করে আওয়ামী নিধন, তথাকথিত 'ক্রস ফায়ারের 'নতুন শব্দ" আবিস্কৃত করে জোট সরকার। সরকার কতৃক জনগনকে হত্যা করার আইনসিদ্ধ অভিনব একনাম 'ক্রস ফায়ার'। তাঁর আগে ৯১ইং সালে বিএনপি জামায়াতের সমর্থনে সরকার গঠন করার তিন মাসের মাথায় কোন প্রকার ইমার্জেন্সি ঘোষনা ছাড়াই তথাকথিত "ক্লিন হার্ট অপারেশনের" নামে সেনাবাহিনী নামিয়ে অকাতরে হত্যা, গুপ্ত হত্যা, এনকাউন্টারের অজুহাতে হত্যা করে আওয়ামী শুন্য করার চেষ্টা করা হয়। সেনাবাহিনী কতৃক ধৃত হওয়ার সাথে সাথে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলা হতে থাকে 'হার্ট এটাকে' মৃত্যু হয়েছে।কত সংখ্যক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল তার পরিসংখ্যান আদ্যবদি সরকারি তরফ থেকে জানানো হয়নি।'৭১ এর ২৫ শে মার্চ রাতে বাংলার মানুষের উপর এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কতৃক পরিচালনা করা হয়েছিল --"অপারেশন সার্চ লাইট"। স্বাধীন দেশের সরকার কতৃক পরিচালনা করা হয় 'অপারেশন ক্লিন হার্ট।' আওয়ামী নিধনের স্বাধীনতা বিরুদ্ধ শক্তির দ্বয়ের মধ্যে কি অদ্ভুত মিল --!! আজকে যারা জঙ্গিদমনে যৌথ অভিযানের বিরুধিতা করছেন-তাঁদের দ্বারাই 'আইন সিদ্ধ রাষ্ট্রীয় মানুষ হত্যা'র তথাকথিত 'ক্রস ফায়ার' সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। বর্তমান সরকারের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে 'কান্নাকাটি 'শুরু করেছেন বেগম জিয়া এবং তাঁর নেতৃত্বের অন্যরা।পাঁপ বাপকেও ছাড়েনা, তিনি যে তাঁদের 'রক্ষক' নীজেই প্রমান করে দিলেন।এই কারনেই জনগন অনেক আগেই তাঁর নাম রেখেছেন 'জঙ্গীমাতা খালেদা'।" মুলপ্রসঙ্গে আসি, ২০০১ ইং সালের পর কয়েকদফা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়।বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামীলীগকে মাঠেঘাটে দাঁড়াতেও দেয়া হয়নি।এবং কি জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও প্রত্যেক জেলা উপজেলা সফরে বাধা প্রদান করা হয়েছিল।তাঁর নীজ জেলায় জনসভাস্থলে পয্যন্ত ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে শেখ হাসিনার বিচক্ষনতায়, "গনতান্ত্রিক দেশে অগনতান্ত্রিক রীতি, "তত্বাবধায়কে'র নীতি পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন করে 'খালেদা জিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্ত'কে রুখে দিতে সক্ষম হন।খালেদা জিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখাকে প্রতিহত করতে গিয়ে আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয় বাংলাদেশকে। মাত্র নির্বাচনের জন্য গঠিত তিন মাসের সরকার- দুই বছর বাংলাদেশের জনগনের উপর চেপে বসে,শুধু তাই নয় ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার বহুবীদ ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হয়।শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের মানুষের অনড় অবস্থানের কারনে আন্তজাতিক ষড়যন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য হয়, শেষাবদি সাধারন নির্বাচন ঘোষনা করে শেখ হাসিনাকে 'জেলমুক্তি'দিতে বাধ্য হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষনতা,অপরিসিম ধৈয্য, রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঘোষিত নির্বাচনে নিরঙ্কুস সংখ্যা গরিষ্টতা পেয়ে সদর্পে বাংলাদেশের ক্ষমতায় ফিরে আসে। ৭০এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগের উত্থান ছিল দেশপ্রেমের আবেগের উত্থান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ইং সালের আওয়ামীলীগের উত্থান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বুঝাপড়ার উত্থান।সুতারাং বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগকে পতন ঘটানো যতই সহজ হয়েছিল- শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে পতন ঘটানো ততই কঠিন হবে। ইহা একান্তই সত্য যে,' আবেগের মৃত্যু হতে পারে-আদর্শের মৃত্যু হয়না'। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্ব দল এবং দেশকে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল- তাঁর কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্ব-সে উচ্চতার মাত্রা কোন অংশেই কমেনি। বরং অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামীলীগ কতৃক সরকার পরিচালনা দৃশ্যত উন্নত, আধুনিক ধ্যান ধারনায় পরিপুষ্ট। জাতিয় ও আন্তজাতিক পয্যায় দল এবং দেশ স্বাধীনতার পরে যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে। উপসংহারে বলতে পারি, এবারের আওয়ামী লীগের জাতিয় কাউন্সিল- অন্য যে কোন সময়ের কাউন্সিল অধিবেসনের চেয়ে গুনগত, রাজনৈতিক, সরকার পরিচালনা, দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনে আলাদা আবেদন সৃষ্টি করবে।দলের গঠনতন্ত্রেও আসবে সুদুর প্রসারী চিন্তাচেতনায় পরিপুষ্ট অধিকতর গনতান্ত্রিক সংস্কার। যা দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসি আশা করে, "জাতির জনকের কন্যার গতিশীল নেতৃত্বের নিকট"। পরিশেষে দলের কাউন্সিল অধিবেশনের সফলতা কামনা করছি কায়মনে-- 'জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

নি:সন্দেহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বৃহৎ গনতান্ত্রিক সংগঠন।দলটি গনতন্ত্রের চর্চা প্রতিষ্ঠাললগ্ন থেকেতো করছেই,অন্যান্য অগনতান্ত্রিক সংগঠন গুলিকেও ধাক্কা দিয়ে দিয়ে গনতন্ত্রের পথে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।ফলে দলটিতে অসংখ্য ত্যাগী নিবেদিত নেতাকর্মীর সমাহার ঘটেছে এবং গনতন্ত্র মনা রাজনীতিবীদদের শিক্ষালয়রুপে দলটি  অস্তিত্ব ধরে রাখতে পেরেছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন