উত্তরায় বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা,ডিএমপির সংবাদ সম্মেলন--জনমনে মেজর জিয়ার ক্ষমতা গ্রহনকে মনে করিয়ে দিল। _______________________________________ ঢাকার উত্তরা থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্র গোলাবারুদের বিশাল চালানটি বিএনপি-জামায়াত-শিবির-জঙ্গীদের বলে অনেকটাই নিশ্চিত তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। দেশে ভয়াবহ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই অস্ত্রের চালানটি আনা হয়েছিল। এরসঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত। চক্র দুটি ২০১৩ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মরিয়া হয়ে আছে। দেশী ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে অস্ত্রের চালানটির যোগান এসেছে ভারতের নিষিদ্ধ সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসমের (উলফা) কাছ থেকে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে উলফা যাতে আবার বাংলাদেশে তাদের ঘাঁটি ঘাড়তে পারে, তার অংশ হিসেবেই অস্ত্রের চালানটি সরকার বিরোধীদের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা হয়েছিল। বড় ধরনের অস্ত্রের চালান ধরা পড়ায়, বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে দেশ রক্ষা পেয়েছে। ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, এতবড় অস্ত্রের চালান আনার সঙ্গে কোন সাধারণ বা কোন অস্ত্র ব্যবসায়ী চক্রের জড়িত থাকার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। স্বাভাবিকভাবেই এতবড় অস্ত্র গোলাবারুদের চালানের সঙ্গে দেশী-বিদেশী চক্র জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট। ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যারা দেশে নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে সরকার উৎখাতের চেষ্টা করছে, তারাই এমন অস্ত্রের চালান আনতে পারে। প্রসঙ্গত, বিএনপি-জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা দেশব্যাপী তান্ডব চালিয়ে দেশে পরিকল্পিত ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশে একের পর এক শিক্ষক, ব্লগার, প্রকাশক, লেখক, পুরোহিত, ধর্মযাজক ও পুলিশসহ নারী শিশুদের হত্যা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্টার সঙ্গে যারা জড়িত তারাই দেশে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে চালানটি এনেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। অস্ত্রগুলো একেবারেই নতুন। পুরোপুরি প্যাকিং করা। এসব অস্ত্র গোলাবারুদ কোন সময়ই ব্যবহৃত হয়নি। পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে উদ্ধারকৃত পিস্তল গুলোর সঙ্গে তার মিল রয়েছে। তবে একটি অদ্ভুত বিষয়, অস্ত্রের গায়ে সিরিয়াল নম্বর থেকে শুরু করে অনেক কিছুই স্থায়ীভাবে খোদাই করে লেখা রয়েছে। শুধু অস্ত্রগুলো কোন দেশের তৈরি তা লেখা নেই। এ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, অস্ত্রের চালানটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্র ও চক্রান্ত জড়িত।কোন সময় অস্ত্র গোলাবারুদ ধরা পড়লে যাতে তৈরিকারক দেশ সম্পর্কে কোনদিনই কোন দালিলিক প্রমাণাদি না থাকে এজন্যই ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরিকারক দেশ অস্ত্রের গায়ে তাদের দেশের নাম লেখেনা। এটি তৈরিকারক দেশের কৌশল। এযাবত ঘটিত নৃশংস হত্যাকান্ডের অধিকাংশ ঘটনারই রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। চালানো ধারাবাহিক অভিযানে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত জঙ্গী গ্রেফতার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র গোবারুদ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র গোলাবারুদের সঙ্গে উত্তরা থেকে উদ্ধারকৃত পিস্তল ও পিস্তলের বুলেটের মিল পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, কলাবাগানে জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু তনয় হত্যার পর পালানোর সময় পুলিশ এক জঙ্গীকে ঝাপটে ধরে। ওই জঙ্গী তার ব্যাগ ফেলেই চলে যায়। ফেলে যাওয়া ব্যাগে সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বোরের বিদেশী পিস্তল উদ্ধার হয়।সেই পিস্তল ও বুলেটের সঙ্গে উত্তরা থেকে উদ্ধারকৃত পিস্তল ও বুলেটের মিল রয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পরই উলফার তৎপরতা বন্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাঁড়াশি অভিযান চলে। বাংলাদেশের মাটি কোন বিদেশী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বা জঙ্গী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেয় সরকার। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উলফার ঘাঁটির সন্ধানে সাঁড়াশি অভিযান চালানো অব্যাহত রেখেছে। অভিযানে গুঁড়িয়ে যায় অনেক উলফার ঘাঁটি। একের পর এক আটক হতে থাকে উলফা নেতারা। আবার অনেক উলফা নেতা অভিযানের মুখে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। অভিযানের পাশাপাশি সর্বশেষ গত বছর বাংলাদেশ থেকে উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া ওরফে গোলাপ বড়ুয়াকে তার দুই সহযোগী লক্ষ্মী প্রদীপ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়াও বিভিন্ন সময় উলফা চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া, সামরিক শাখার উপ-প্রধান রাজু বড়ুয়া, পররাষ্ট্র সচিব শশধর চৌধুরী, অর্থ সচিব চিত্রবন হাজারিকা, সংস্কৃতি সচিব প্রণতি ডেকা ও শীর্ষ নেতা পরেশ বড়ুয়ার পরিবারের সদস্যসহ অন্তত ২৮ জনকে ভারত সীমান্ত দিয়ে পুশব্যাক করা হয়। উলফা নেতাদের ভারতে পূশব্যাকসহ বাংলাদেশে উলফার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে আওয়ামীলীগ সরকারের কড়া অভিযানে বাংলাদেশে উলফার নিরাপদ আস্তানা ও নেটওয়ার্ক পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। এতে উলফা আওয়ামী লীগ সরকারের উপর চরম ক্ষিপ্ত। উলফা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতীয় এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টাকারী বিএনপি-জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের সঙ্গে হাত মেলায়। বাংলাদেশে ব্যাপক জঙ্গী তৎপরতা ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের অস্ত্র গোলাবারুদ দিয়ে সহায়তা করতে তৎপর হয়ে পড়ে। যাতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে উলফা আবার বাংলাদেশে তাদের নিরাপদ ঘাঁটি গাড়তে পারে। এমন আশায় উলফা আন্তর্জাতিক মদদে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের ব্যাপক উত্থান ঘটানোর চেষ্টা করতে থাকে। তারই অংশ হিসেবে উলফা তাদের সংগ্রহে থাকা জব্দকৃত অস্ত্রের বড় চালানটি তাঁদের চিহ্নিত লোকদের দেয়ার জন্য সেখানে রেখে যায়। এসব অস্ত্রের পুরোটাই জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীদের হাতে হস্তান্তর করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে সার্বিক পর্যালোচনায় এবং প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে। যেসব অস্ত্রগোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে, এর চেয়েও ভারি অস্ত্র গোলাবারুদ ইতোপূর্বে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ার নজির রেকর্ড আছে। উদ্ধারকৃত পিস্তলগুলো পেশাদার সন্ত্রাসী ও জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। তবে পেশাদার সন্ত্রাসীদের কাছে এতবড় অস্ত্রের চালান আসার ন্যূনতম কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া উদ্ধারকৃত বেয়োনেটগুলো নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি সদস্যদের মধ্যে কমান্ডো নাইফ (গেরিলা চাকু) হিসেবে ব্যবহারের নজির আছে। "অভিযানে খালের পানিতে ডুবে থাকা সাতটি ট্রাভেল ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেই ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু বোরের ৯৫টি ও ২টি দেশীয় পিস্তল, সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু বোবের ১৯২টি ম্যাগজিন, ১০টি ম্যাগজিন গ্লোক পিস্তল, ২৯৫টি এসএমজির (সাব মেশিন গান) ২৬৩টি ম্যাগজিন, ১০টি বেয়োনেট, ১০৪টি ছোট সিলিন্ডার আকারের বুলেট তৈরির বাক্স, নাইন এমএম (নয় মিলিমিটার) পিস্তলের ৮৪০টি তাজা বুলেট, চীনের তৈরি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু বোরের ২১৭টি তাজা বুলেট ও অস্ত্র পরিষ্কার করার ক্লিনিং রড ১৮৮টি উদ্ধার হয়।" সম্মানীত পাঠকদের একটু পেছনে যাওয়ার অনুরুধ করছি। ৭৫' এ বঙ্গবন্ধুকে নৃসংশভাবে হত্যা করার পর এদেশ মুলত: স্বাধীনতা বিরুধী দল ও জোট কতৃক শাষিত হতে থাকে।তাঁদের সকলের আমলেই ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত বিচ্ছিন্নতাবাদি সংঘঠন গুলী বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা এবং টেকনাফ, সিলেট এলাকায় তাঁদের ঘাঁটির সৃষ্টি করে।বার্মার বিচ্ছিন্নতাবাদি নেতার ঘাঁটিও গত কিছুদিন আগে কক্সবাজার এলাকা থেকে আবিস্কৃত হতে দেখা গেছে।প্রতিবেশি দেশ সমুহের বিচ্ছিন্নতাবাদিদের আশ্রয় দেয়ার কারনে সেই দেশগুলিও এযাবৎকাল বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্টি গুলিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে প্রতিশোধ নেয়ার একরকম কৌশল দেখা গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এই দেশটির জম্মদাতা। জম্মদাত্রী মা'য়ের আন্তরীকতায় আর পালিত মা'সীর আন্তরীকতায় ব্যবধান বুঝিয়ে বলার দরকার হয়না। সুতারাং এই দেশটিকে নিয়ে আন্তজাতিক মহলকে খেলার সুযোগ আওয়ামী লীগ দিতে পারেনা। সঙ্গত কারনে সীমান্তের পার্বত্য এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিশাল বিশাল কয়েকটি ঘাঁটি বাংলাদেশ সরকার ঘুটিয়ে দেয় এবং বিপুল অস্ত্রও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। বাংলাদেশের সরকার প্রধান প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়েই বিদেশী সন্ত্রাসী গুষ্টি গুলীকে বাংলাদেশের ভুখন্ড থেকে উচ্ছেদ করে।ফলও লাভ করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে তালমিলিয়ে ভারতীয় সরকারও তাঁদের সীমান্ত এলাকায় উপয্যপুরী অভিযান পরিচালনা করা শুরু করে।ফলত: পার্বত্য এলাকার অস্ত্রধারী সন্তু লারমা সহ অপরাপর সন্ত্রাসী গ্রুপ গুলী ভারতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থান করতে না পেরে- আওয়ামী লীগের গতবারের শাষনে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়।এবারও সুন্দরবন কেন্দ্রিক বেশ কিছু জলদুস্যু গ্রুপ ভারত মহাসাগরে এবং সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে অবস্থান করতে না পেরে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়েছে। তাছাড়াও বড় একটি রাজনৈতিক বিজয় সম্পর্কে আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।বিজেপি ভারতের মৌলবাদি সংগঠন।শিবসেনা সহ আরো কয়েকটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন উগ্র হিন্দু জাতীয়তা বাদি সংগঠন।ভারতের কংগ্রেস অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল।দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিজেপি বাংলাদেশের দৃশ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে আওয়ামী লীগের কখনই বন্ধু ছিলনা।তাঁদের দলীয় কাউন্সিল এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন সমুহেও ডেলিকেট পাঠিয়ে তেমন বন্ধুত্বের নিদর্শন রাখার তোড়জোড় কখনই দেখা যায়নি। কমিউনিষ্ট আন্দোলনে বা সমাজতন্ত্রীদের আন্দোলনে আন্তজাতিকতা স্পষ্ট অনুভব করা যায়। তেমনি মৌলবাদিদের আন্দোলন সংগ্রামেও ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আন্তজাতিকতার রেশ স্পষ্ট দৃশ্যমান।পাকিস্তানের জামায়াত,ভারতের শিবসেনা,বার্মার বোরোদের মধ্যে যোগসাজস মাঝে মধ্যেই টের পাওয়া যায়। পাঠক লক্ষ করেছেন কিনা জানিনা, বিজেপি সর্বশেষ সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে সরকার গঠন স্পস্ট হতে না হতে বাংলাদেশে বিএনপি জামায়াত সহ আরো কতিপয় দলের কেন্দ্রীয় অফিস সহ সারা দেশব্যাপি মিষ্টি বিতরন এবং মিষ্টিমূখের বন্যা বয়ে যায়।তাঁরা এতবেশি উৎফুল্ল হয়েছিল যে, "মনে হচ্ছিল বিজেপি দিল্লির মসনদ দখল করার আগেই- বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা বিএনপি জামায়াতই পেয়ে গেছে।" তাঁদের আনন্দের এই মহোৎসব অমূলক নয়। ভারতের কংগ্রেসের সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাল সম্পর্কের অতীত ইতিহাস রয়েছে।কংগ্রেস ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়ার পর সঙ্গত কারনে তাঁদের বন্ধুদলের যেহেতু ক্ষমতা গ্রহন নিশ্চিত দেখা যাচ্ছিল তখন তাঁদের আনন্দ হওয়ারই কথা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কখনই কংগ্রেসের খমতায় থাকা না থাকার মধ্যে এইরুপ উল্লাস বা বেদনার লক্ষন দেখা যায়নি।ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটেই ভারতীয় জনগনের সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিসমুহের নিবিড় বন্ধন রয়েছে।আওয়ামীলীগের উল্লাস বা বেদনা প্রকাশ করা না করায়, 'এই বন্ধন কখনই চিহ্ন হওয়ার নয়।'ভারতের বিজেপি এবং বাংলাদেশের বিএনপি জামায়াত বিষয়টি সম্পর্কে 'জানেনা বা ধারনায় নেই 'এইরুপ চিন্তা যারাই করেন তাঁরা বোকার স্বর্গেই বাস করেন।' বর্তমানের ভারতীয় খমতাসীন দল বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ সরকারকে নি:শর্ত সমর্থন দেয়ার একমাত্র কারন শান্তিতে ভারতের শাষনকায্য পরিচালনা করা। নির্ভেজাল শাষনকায্য পরিচালনায় বিজেপিকে আগামী সংসদ নির্বাচনেও খমতায় আনতে সাহায্য করতে পারে।আর তাই বিজেপি সরকার তাঁদের দলের অভ্যন্তরে মতবেদ থাকা সত্বেও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।সমর্থনের বিনিময়ে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদি শক্তিসমুহকে নিস্তেজ করে ভারতকে খন্ড বিখন্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের বর্তমান সরকারের ঠিক এই দুর্বলতাকেই বেশ সুন্দর কৌশলি ভাবে কাজে লাগিয়ে সীমান্ত সমস্যা সহ আরো কতিপয় যুগযুগান্তরের বিরাজমান সমস্যা সমাধান করে নিয়েছেন।এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেয়ানেয়ার কুটনীতি অনুসরন করে শতভাগ স্বার্থ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন। বিনাযুদ্ধে সীমান্ত সমস্যার সমাধান কোন দেশ করতে পেরেছে, এইরুপ উদাহরন না থাকা সত্বেও বাংলাদেশ -ভারত হাজার বছরের ঐতিহ্য ভেঙ্গে তাও সম্ভব করতে পেরেছে। ভারত এবং বার্মার নিকট থেকে বিশাল সমুদ্র এলাকা দখলে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এইক্ষেত্রে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদিদের চেয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থীতিশীলতা ও জঙ্গী গোষ্টি, পাহাড়ি সসস্ত্র গোষ্টি,বঙ্গোবসাগরে জলদুস্যু, সুন্দরবন কেন্দিক সসস্ত্র বাহিনী সমুহের অপ-তৎপরতা বন্ধ করাই আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য। তথাকথিত বঙ্গদেশ প্রতিষ্ঠা বা আরাকান সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারকেও এক্ষেত্রে উড়িয়ে দেয়া যায়না।ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উচ্ছেদ করে সরকার বাংলাদেশের সমূহ দুটি বড় বিপদ সংকেত থেকেও দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা তাঁর সুদুরপ্রসারী চিন্তাচেতনার ফলপ্রসূ বাস্তব পদক্ষেপ সমুহের উৎকৃষ্ট বাস্তবায়নে শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন। সঙ্গত কারনেই বাংলাদেশের উগ্রজঙ্গীগোষ্টি, ভারতীয় জঙ্গীগোষ্টি, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত শিবির, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি,বাংলাদেশের বিচ্ছিন্নতা বাদী শক্তি সমূহের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থেই অলিখিত ঐক্য হতে বাধ্য।তাঁদের পরস্পরকে সাহায্য সহযোগিতা করার ইতিপুর্বে একাধিক উদাহরন চোখের সামনেই বিদ্যমান রয়েছে।এক্ষেত্রে বিএনপি জামায়াতের ২০০১ইং সালে সরকার পরিচালনার সময়ে দশট্রাক অস্ত্র চট্রগ্রাম বন্দরে আটকের সংবাদ বিস্মৃত হওয়ার কথা নয়।তাঁদের সম্মিলিত সম্যক উপলব্দি স্পষ্ট, "আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তাঁদের কারো স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার সুযোগ নেই।বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার ব্যতিরেকে ভারত ও বার্মায় কোনপ্রকার সসস্ত্র আন্দোলনের চিন্তা করা বাতুলতা মাত্র।" সুপ্রীয় পাঠকগন, আপনারা একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই একটা বিষয় পরিস্কারভাবে অনূধাবন করতে পারেন।বিএনপির নেতারা যখনই সরকার উৎখাতের প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করে তার কয়েকদিন পরেই- হয় বড় রকমের নাশকতার ঘটনা ঘটে, নয়তো বড় জঙ্গী গোষ্টির অস্তিত্ব ধরা পড়ে।সর্ব শেষ হান্নান শাহর সাতদিনের মধ্যে সরকার উৎখাতের ঘোষনার দুইদিন পরেই এই বিশাল অস্ত্রের চালান দৃশ্যমান হল। তাঁদের অদ্য পয্যন্ত কোন হুমকিই অমূলক নয়-প্রত্যেকবারের হুমকিতে কিছুনা কিছু বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। এই সমস্ত অশুভ শক্তির চক্রান্তের সম্মুখভাগে থেকে বিএনপি রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।জন সম্পৃত্ত আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে দলটি অশুভ শক্তির কাঁধে ভর দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়। অবশ্য দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানও ঠিক এমন কৌশলি ভুমিকা গ্রহন করেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় দৃশ্যমান হয়েছিলেন।তাঁর ব্যতিক্রমতো হতেই পারেনা। ' জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু'

বিএনপি জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খেই হারিয়ে জনবিচ্ছিন্ন দলে রুপান্তরীত হয়েছে।তাঁদের অশুভ শক্তির উপর নির্ভর করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।এমতবস্থায় তাঁদের মদদে অশুভ শক্তি দানবাকার ধারন করে জনমানসে ভয়ংকর ভীতি সঞ্চার করেছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা