অনুপ্রবেশকারিদের কারনে আওয়ামীলীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হোক-'ত্যাগী নিবেদিত কর্মীরা মেনে নিতে পারেনা'----_______________________________________ অবশেষে আমাদের ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙ্গেছে।জাতিয় নেতাদেরও কিছুটা বোধদয় হচ্ছে,রাজনীতিতে কিছুটা স্থবিরতা এসেছে, অনুপ্রবেশকারি ডুকে পড়েছে,ফ্রাংকেস্টাইলে কোথাও কোথাও রাজনীতির গতিধারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, প্রভুত্বের রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। যত্রতত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগকে ব্যবহার করা হচ্ছে, নেতাদের ব্যাক্তিগত স্বার্থ্য হাসিলে-ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্ষেত্রবিশেষ জীবনও বিলিয়ে দিচ্ছে।দুইদিনব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন-প্রধান অতিথি সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি জনাব ওবায়দুল কাদের একই সুরে- 'একই উপদেশ দিয়ে বলেন, 'ভাই লীগ ত্যাগ করে ছাত্র লীগ করার জন্য।" বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় একটা কলাম পড়ে ছিলাম গত কয়মাস আগে। সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাদের নানাহ কায্যকলাপের বিষয়-সুনির্দিষ্ট ব্যাক্তি, স্থান উল্লেখ করে বিস্তারীত আলোচনা দেখতে পেয়েছিলাম। পত্রিকায় যা এসেছে তা হয়তবা শতভাগ সত্য অথবা মিথ্যা ,কম বেশি হতে পারে।পত্রিকার আংশিক আমি নিম্নে তুলে ধরা বাঞ্চনীয় মনে করি।পত্রিকাটি লিখেছে-'এক সময় আওয়ামী লীগের জেলা পয্যায়ের নেতারা ছিল ঐজেলায় সর্বজন শ্রদ্ধেয়। নির্লোভ সেই নেতারা রাজনীতির জন্য শুধু ত্যাগই করেছেন। কালক্রমে পাল্টে গেছে সেই রাজনীতির চিত্র। সর্বশেষ টানা সাত বছর দল ক্ষমতায়, তাই আওয়ামী লীগের জেলা নেতাদের সংগঠনের চেয়ে অন্যদিকেই মনোযোগ বেশি। কমপক্ষে দুই ডজন নেতা ক্ষমতা ভাগাভাগি ও নিজেদের আখের গোছানোয় ব্যস্ত। সরকারি-বেসরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে জেলার সব ব্যবসা-বাণিজ্য ও নিয়োগের একচ্ছত্র আধিপত্য নিজেদের মধ্যে করে নিয়েছেন ভাগবাটোয়ারা। অন্যগুলোতে এ দুই পদের রাজনীতিকদের নাম ব্যবহার করে অহরহই হচ্ছে দখল, তদবির, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি। টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এসব ক্ষেত্রে এসেছে বেপরোয়া ভাব। দেখে বা শুনেও তারা কিছু বলছেন না বা বলতে পারছেন না। অবশ্য বেশকিছু জেলায় সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের চেয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে বসেছেন হাইব্রিড নেতারা। তারা নিজেদের মতো করে চলছেন। তোয়াক্কা করছেন না ত্যাগী রাজনীতি-বীদদের। বেশির ভাগ জেলায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের চেয়ে এখন কদর বেশি সুযোগসন্ধানীদেরই। এমপিদের মাধ্যমে তারাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ওপর। প্রতিবেদনটি হাজার হাজার আওয়ামী লীগ কর্মীর অন্ত: দহনের কথাই বলেছে।যে সমস্ত নেতাকর্মী বিশেষ করে-"যারা জাতির জনকের আদর্শকে আঁকড়ে ধরে সারাটি জীবন শুধু মাঠে ময়দানে আন্দোলন সংগ্রামই করেছেন-বিনিময় কখনই দলের নিকট কিছুই চাননি তাঁদের।এমন অনেক নেতাকর্মী আমার জানামতে এখনও কোনমতে বেঁচে আছেন-যাঁরা দলের দুর্দিনে পৈতৃক সম্পদ বিক্রি করে দলীয় কর্মী লালন করতে গিয়ে ভুমিহীনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।সম্মান জনক চাকুরী হারিয়ে বাদবাকী জীবন বেকারের খাতায় নাম লিখিয়ে বৃদ্ধাবস্থায় মানবেতর জীবন যাপনের ঝুঁকিতে আছেন। এখনও দিনের ১৮/২০ ঘন্টা সময়-সবার অগোচরে দলের আদর্শ প্রচার ও প্রসারে নিবেদিত রেখেছেন। অনেকেই স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে প্রতিনিয়ত দলের মঙ্গলে নীজকে রেখেছেন ব্যপৃত। মিথ্যা মামলা জেল জুলুম সহ্য করেও আদর্শচ্যুত হননি কখনও।সারা দেশে এমন লাখ লাখ নেতাকর্মী বুকের অন্তদহনে জ্বলে পুড়ে চারখার হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমন নেতাকর্মী আছে আমি জানি চিনি, ভাল সম্পর্কে সম্পর্কিত আছি বহু আগে থেকে। ২০০৮ইং সালে নতুন প্রজম্মের উত্থান লক্ষ করে আত্মতৃপ্তিতে তাঁদের বসার জায়গা দিয়ে নীজে রাজনীতি থেকে স্বেচ্চায় অবসর নিয়ে প্রতিনিয়ত দলের মঙ্গল কামনায় সময় কাটান।" আমি স্বীকার করি আওয়ামী লীগ বুর্জোয়া সংগঠন। জেলা উপজেলার নেতা হলে ব্যাবসা করা যাবেনা তাও নয়। দল ব্যাবসা করার জন্য অনুপ্রেরনা দেয়। স্বাবলম্বী না হয়ে রাজনীতি করা বা সমাজ সেবা করা যায়না সত্য কথা। তবে সেই ব্যবসা কোন অবস্থায় অবৈধ পথে, জোর করে, জবরদখল করে নয়।দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজে জেলা উপজেলার নেতারা জড়াতে পারেন না- কোন অবস্থাতেই। রাজনীতির ধ্যানধারনার মধ্যে পার্থক্য এসেছে ইহা বাস্তব।বর্তমানের কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই কোননা কোন ব্যবসা বানিজ্যের সাথে সম্পৃত্ত রয়েছেন।সার্বক্ষনিক রাজনীতি করেন এমন নেতা কোন দলেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা।অথছ বেশীর ভাগ নেতাই সার্বক্ষনিক রাজনীতিতে থাকার কথা ছিল।'৭৫এর পট পরিবর্তনের আগেকার সময় সার্বক্ষনিক নেতাদের বিচরন রাজনীতিকে মুখরীত করে রেখেছিল।সম্মান শ্রদ্ধাও ছিল অন্য যে কোন পেশার চাইতে অনেক বেশী। কালচশমাধারী,তথাকথিত মেজর জিয়ার-- "রাজনীতিবীদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে দেব" জতীয় কর্মসুচী সূক্ষভাবে পরিচালনা করা হয়। সার্বক্ষনিক রাজনীতি এবং রাজনীতিবীদদের কবর রচনা করে পুর্নজম্ম ঘটিয়েছে রাজাকার, আলবদর, সেনাকর্মকর্তা, ব্যবসায়ী টাউট, বাটপার, কালোবাজারি নানান শ্রেনীর পঁচাগন্ধময় সমাজের কাল কীটপতঙ্গ গুলীর। এই অরাজনৈতিক ব্যাক্তিরাই রাজনীতিকে বিনিয়োগে পরিনত করেছে।তাঁদের মুখরোচক কথারঢালি বিমুগ্ধ করেছে আমজনতাকে।তাঁরাই আমদানী ঘটিয়েছে রাজনীতিতে পেশী শক্তির,কালো টাকার, অস্ত্র, মাস্তান, হোন্ডাগুন্ডার।তাঁরাই রাজনীতিতে কায়েম করেছে প্রভুত্বতন্ত্রের।রাজনীতির সিনিয়র নেতা হয়ে গেছে রাতারাতি বস। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ ত্যাগী নিবেদিত কর্মীরা জানে বর্তমানের উত্থিত হাইব্রিড,তথাকথিত লুটেরা শ্রনীকে স্বল্প সময়ে নিয়ন্ত্রন করা যাবেনা। ৪০বছর আগে রুপিত বীজ- সুক্ষাতিসুক্ষ পরিচর্য্যায়, বিদেশী মদদের প্রলোভন, শক্তিধর ভিটামীনের অবাধ ব্যবহারে বটবৃক্ষ আকার ধারন করেছে, শীকড় অনেক গভীরে পৌঁছে গেছে। ইচ্ছা করলেই জাতির জনকের কন্যা অল্প সময়ে শিকড় উপড়ে ফেলতে পারবেন না। আশার কথা হচ্ছে-'সবমহলে তৃনমুল হতে গনতন্ত্র চর্চার লক্ষন ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে। এই ধারাবাহিকতা যদি নিদেনপক্ষে ২০/২৫ বছর সচল থাকে, তবেই তাঁদের শিকড় উপড়ানো সম্ভব হতে পারে।' বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন রাজনীতিবীদদের হাতে রাজনীতির চাবি তুলে দেয়ার লক্ষে।(১)স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও তৃনমুলের কর্মীদের কতৃক প্রার্থী বাছাই, মনোনয়ন বোর্ড কতৃক মনোনয়ন দান।(২)আওয়ামী লীগে বহিরাগত সন্ত্রাসী মাস্তান লুটেরাদের অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর নিষেদাজ্ঞা জারী। (৩) নির্বাচনে পেশীশক্তি, কালটাকার ব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে আইন পাশ। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচনে মাস্তানী প্রতিরোধে যথাযথ কায্যকর ভুমিকা নিয়েও প্রতিরোধ করা কোন কোন বিশেষ এলাকায় সম্ভব হয়নি।ঐ সমস্ত এলাকায় না পারার বহুবিধ কারনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারন আমি মনে করি তিনটি--(১) বিএনপি জামায়াত জোটের তৃনমুলে শক্তিহীনতা। (২) দুর্বল প্রতিদ্বন্ধির প্রতিরোধহীন প্রচার প্রচারনা।(৩) ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের আন্তরীকতার অভাব বা স্বেচ্ছায় নেয়া কৌশল।" যাহোক--'আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাত্বনা দেয়ার মানসে আমার এই লেখনি নয়।আমার লেখনি তাঁদের জন্য,'যারা ফসল রোপন না করে জোর পুর্বক রোপিত ফসল নিয়ে যাচ্ছেন-তাঁদের উদ্দেশ্যে। তাঁদের প্রতি অনুরুধ থাকবে, "আমার ভুমিতে এসেছেন, প্রয়োজনে আমার ঘরেও বসেন আপত্তি নেই বরং খুশী হব -- কিছু নিয়ম কানুন যে ভাই আগে থেকে আমি পালন করি, তা যে আপনাকেও কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে ---" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

  কেন্দ্র থেকে তৃনমুল পয্যন্ত সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে দুবৃত্ত নেতা, সন্ত্রাসি, লুটেরাদের দল থেকে বের করে দেয়ার এখনই সময়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা