মহান স্বাধীনতা ও গৌরবের বিজয়_________ ================================ মুলত: বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের পর জাতিয় ও আন্তজাতিক রাজনীতির সমিকরন দ্রুত পাল্টাতে থাকে।ছাত্র যুবকেরা যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে। বাংলাদেশের বহুস্থানে রীতিমত ট্রেনিং নেয়া শুরু করে। ঐ দিকে পাকিস্তানী শাষকবর্গ পুর্ব পাকিস্তানকে তাঁদের করতলগত রাখার সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের জন্য সময়ক্ষেপন করছিল।অবশেষে ২৫শে মার্চের মধ্যরাতে তথাকথিত অপারেশন সার্চলাইটের ঘোষনা দিয়ে পাকবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর সকল শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যা ইতিহাসের বিরল এক গনহত্যা।নারী শিশু,বৃদ্ধ,যুবক,ছাত্র শিক্ষক,বুদ্ধিজীবি কেহই তাঁদের বন্দুকের নিশানা থেকে রক্ষা পায়নি। নির্বিচারে যেখানে যাকে পেয়েছে সেখানেই হত্যাকরে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম,বর্বর রক্তের হোলিখেলা শুরু করে পাকিস্তানী সামরিকজান্তা বাহিনী। মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২৫শে মার্চের মধ্য রাতের পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে তৎকালিন ই,পি,আরের ওয়ারলেস ম্যাসেজে স্বাধীনতার কঠিন অভিযাত্রায় সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দিয়ে ঘোষনা করেন, "বাংলাদেশের মানুষ যে যেখানে আছেন, আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে (পাকিস্তানি) সেনাবাহিনীর দখল থেকে প্রীয় মাতৃভূমির দখল্মুক্ত করতে সর্বাত্মক মোকাবেলা করার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাত করে চূড়ান্তবিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আপনাদেরকে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহব্বান জানাচ্ছি।" এই ঘোষণার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু চূড়ান্ত বিষয়টি সামনে আনেন সহস্র বছরের সাধনায় অর্জিত_ "আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন"। স্বাধীনতা ঘোষনা করার আগে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আওয়ামী লীগ নেতাদের স্ব-স্ব এলাকায় চলে যেতে বলে নীজে ৩২ নম্বরে অবস্থান গ্রহন করেন।নেতারা বঙ্গবন্ধুকে ৩২ নম্বর ছেড়ে চলে যেতে অনুরুধ করলেও বঙ্গবন্ধু বলেন,ওরা যদি আমাকে না পায় আমার সারা বাংলা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে চারখার করে দিবে,তোমাদের প্রতি অনুরুধ রইলো, "যাকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সে সেই দায়িত্ব পালন করবে।ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।" ই,পি,আরের ওয়ারলেস ম্যাসেজে দেয়া ঘোষনা তৎক্ষনাৎ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেল।বিদেশী গনমাধ্যমে ব্যাপক ভাবে বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা প্রচার করা হল।যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ার প্রচলন খুব বেশি না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতারা ২৬/২৭ শে মার্চে মাইকের মাধ্যমে স্ব-স্ব এলাকায় উক্ত ঘোষনা প্রচারের ব্যাবস্থা করেন। পুরো জাতি ঝাঁপিয়ে পড়লো সেই ঘোষণা শুনে হানাদার দখলদার পাকি বাহিনীকে হটাতে। বাঙালি জাতি সর্বত্র রুখে দাঁড়ায়। নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণ তীব্রতর হতে থাকে। বাঙালি জাতি জড়িয়ে পড়লো এক অসম যুদ্ধে। যে যুদ্ধ পাকিস্তানী জান্তারা তাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। নিরস্ত্র ববাঙালি প্রান বিসর্জন দিতে থাকলো পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নির্বিচারে। রাস্তাঘাটে, রিকশায়, গাড়িতে, ঘরে, বাসা,বাড়িতে, প্রতিষ্ঠানে, স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রী,শিক্ষকদের হোস্টেলে বাঙালি নিহত হতে লাগল অকাতরে। চারিদিকে লাশ আর লাশ। দাপন করার কোন ব্যাবস্থা সিমারের দল করেনি,শৃগাল কুকুরের টানাটানি করে লাশ খাচ্ছে।নদীতে লাশ,নর্দমায় লাশ,বাড়ীতে লাশ,হাটে ঘাটে শুধু লাশ আর লাশ।এই যেন এক আদিম যুগের মৃত্যুপুরি।শুরু হয় নারী জাতির উপর অত্যাচার। প্রকাশ্য দিবালোকে নারীর স্তন কেটে বেয়নেটের মাথায় নিয়ে উল্লাস করে ফিরতে লাগল পাকিস্তানী হানাদার সেনারা। নারী ধর্ষিত হতে থাকে গ্রাম গঞ্জে। শিশুরা বেয়নেটের ডগায় উড়তে লাগল রক্তাক্ত নিশানের মত। অস্ত্র হাতে না ধরতে শেখা বাঙালি গেরিলা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার ডাকও দিয়েছিলেন। সেই সাথে আহ্বান জানিয়েছিলেন, "যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।" বাঙালি সে ঘোষনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে শত্রুর মোকাবেলা করেছে।স্থানে স্থানে প্রতিরোধের দুর্ঘ গড়ে তুলে।কিন্তু আধুনিক সমরাস্ত্রের মুখে টিকতে না পেরে ছাত্র যুবক ইপিয়ার বাহিনি আস্তে আস্তে পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। সে দিন জনতার সাথে ই,পি,আর বাঙ্গালি সেনা বাহিনীর চৌকস বিগ্রেড ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট,পুলিশ বাহিনীও যোগ দেয়।পাকিরা প্রথম আক্রমনেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন,ঢাকা ইউনিভারসিটির হল সমুহ দখল করে নেয়।রোকেয়া হলের ছাত্রীদের উপর নেমে আসে বিভীষিকার এক রজনী।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সারা বাংলাদেশ পাকিস্তানী হানাদার দখল করে নিতে সক্ষম হয়। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বন্ধু ভারত মানব সভ্যতার চরম ভাবে ভুলুন্ঠিত করে আক্রমন পরিচালনা করলে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পুর্ব পাকিস্তান বেষ্টিত ১৭০০মেইল বর্ডার খুলে দেয় বাঙালিদের আশ্রয়ের জন্য।স্রোতের মত বাঙ্গালিরা ভারতে আশ্রয় নিতে থাকে।এককোটির ও অধিক মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়।ছাত্র যুবক ভাইয়েরা যার যার মত করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে।আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনীধিরাও ভারতে গিয়ে যুদ্ধপ্রস্তুতি গ্রহন শুরু করে।মুক্তি বাহিনী গঠন,প্রবাসি সরকার গঠন সহ একান্ত প্রয়োজনীয় কর্মগুলি যথারীতি শুষ্ঠভাবে সম্পাদনের জন্য সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মেহের পুরের আম্রবাগান বৈদ্যনাথে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রীয় সকল বিধিবিধান অনুসরন করে প্রবাসি মুজিব নগর সরকার গঠন করা হয়।মুক্তিযুদ্ধাদের চৌকস এক দল তরুন মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের গার্ড অব অনারের মাধ্যমে সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরাম্ভ হয়। মেহের পুরের বৈদ্যনাথ এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুজিব নগর। পলাশীর আম্রকাননে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার হাত থেকে যে স্বাধীনতার আলোক বর্তিকা কেড়ে নিয়েছিল মীরজাফরের সহযোগিতায়,সে স্বাধীনতার আলোক বর্তিকা প্রজ্জলিত করার দৃড শফথের জন্য প্রবাসি সরকার গঠন করা হয় মেহের পুরের আর এক আম্রবাগানে।বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি তাঁর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ি রাষ্ট্রপতি তাজউদ্দিন আহম্মেদ কে প্রধান মন্ত্রী করে সরকার গঠিত হয়।শুরু হয় আনুষ্ঠানিক শুত্রু মুক্ত করার লড়াই।প্রবাসি সরকার সারা বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে ১১জন সেনা কর্মকর্তাকে প্রধান করে যুদ্ধ কৌশল অবলম্বন করে।প্রধান সেনাপতি করা হয় বাঙ্গালি সেনা কর্মকর্তা(অব:) মেজর জেনারেল ওসমানীকে।মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক পদাধিকার বলে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তাঁর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। অভ্যন্তরীন সকল কর্মকান্ড সম্পাদন করে প্রবাসি সরকার বিদেশিদের সমর্থন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষন, অনুষাঙ্গিক অন্যান্ন বিষয়াবলির উপর নজর দেয়।স্বল্প সময়ে যোদ্ধকৌশল গ্রহন করে শুরু হয় পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর উপর সাড়াষি গেরিলা আক্রমন।মুক্তিযোদ্ধারা স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষন নিয়ে দলে দলে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে গেরিলা কায়দায় আক্রমন পরিচালনা করে পাকিদের দিকবিদিক জ্ঞান শুন্য কিরে দিতে সক্ষম হয়।গেরিলা আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এদেশিয় দোষরদের সহযোগিতায় গঠন করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি ইত্যাদি নানাবীদ বাহিনী। তাঁদের এ কাজে সহযোগিতা করার জন্য সর্বাজ্ঞে এগিয়ে আসে পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামী এবং তাঁদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ। যাহা পরবর্তিতে নাম পরিবর্তন করে ইসলামী ছাত্র শিবির নাম ধারন করে।পুর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগ,নেজামে ইসলাম,ইসলামি ডেমোক্রেটিক পার্টি সহ আরো কতিপয় ছোট ছোট দল ও গ্রুপ।এদিকে পাকি দখদার বাহিনী সারা বাংলাদেশ ব্যাপি শুরু করে রাজাকারের সহযোগিতায় তান্ডবলীলা--অগ্নিসংযোগ, লুটপার্ট, হত্যা, নারী নির্যাতন এমন কোন কিছু বাদ নেই যা তাঁরা অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেনা।সভ্যতা মুখ থুবড়ে পড়েছে সে দিন তাঁদের অত্যাচারের বিভীষিকার নিকট.,মায়ের সামনে মেয়ে,বাবার সামনে মা,ভাইয়ের সামনে বোন,স্বামীর সামনে স্ত্রীকে দর্শন করতেও তাঁদের বুক কাঁপেনি। মহান ভারতের মহিয়ষী নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী এবং ভারতের জনগন বাঙালির এই বিপদের সময়ে সর্বোচ্ছ ত্যাগ স্বীকার করে শরনার্থীদের থাকা খাওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং, অস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে সহযোগিতার হাত প্রাসারীত রাখতে কোনরুপ দ্বিধাবোধ করেননি। সেই দিনের সেই সাহায্য যদি ভারতের জনগন বাঙালি শরনার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের না দিতেন,তাহলে ইতিহাস হয়তোবা অন্যভাবে তাঁর গতিপথ নির্ধারন করে নিতে হত। ভারত শুধু আশ্রয় দিয়ে তাঁর কর্তব্য শেষ করেনি,মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে তাঁর দেশ সর্বচ্ছো কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখে।ভারতের প্রধান মন্ত্রী বিরামহীন বিশ্বভ্রমন করে বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে বৈঠক করে বাঙালিদের ন্যায্য অধিকারের স্বপক্ষে তাঁর দেশের অবস্থান তুলে ধরেন,আন্তজাতিক মহলের সাহায্য কামনা করেন।এদিকে প্রবাসি সরকারের পক্ষ থেকেও দুত পাঠিয়ে স্বাধীনতার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়।এতে আন্তজাতিক ভাবে স্পষ্টতই দ্বিধাবিভক্তি দেখা দেয়।সৌভিয়েত ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু দেশের জনগন ও সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহন করে,অন্য দিকে আমেরীকা চীন সহ বেশ কিছু দেশ পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে নিলর্জ্জভাবে তাঁদের সহযোগিতা করতে থাকে।উল্লেখ্য আমেরীকার জনগন সর্বতোভাবে বাংলাদেশের মুক্তিকামি মানুষের পক্ষে অবস্থান গ্রহন করে-- চাঁদা তুলে সাহায্য করতে থাকে।স্কুল পড়ুয়া শিশুরা তাঁদের টিফিনের টাকা বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জন্য পাঠাবার ব্যাবস্থা করে।এমনিতর পরিস্থিতিতে মধ্য ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ পরিপুর্নতা পেতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা চোরাগুপ্তা হামলায় ব্যাপক পাকি সৈন্য মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে প্রতিনিয়ত:। আক্রমনের মুখে ব্যাপক সৈন্যের মৃত্যুতে পশ্চিম পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।সেন্যবাহিনীর আত্মীয়স্বজনেরা তাঁদের সন্তানদের অকালে আত্মাহতির কারন ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন শুরু করে।বিশেষ করে পাঞ্জাব ছাড়া আরো দু'টি প্রদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থাশীল নেতৃবৃন্দ ও জনগন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোদ্ধে আন্দোলনের হুশিয়ারি উচ্ছারন শুরু করে। ইয়াহিয়া চতুর্দিকে বিপদের অশনি সংকেত শুনতে পেয়ে যুদ্ধের আশু ফলাফল পাওয়ার ফন্দিফিকিরে লিপ্ত হন। ইয়াহিয়া খাঁন এবং তাঁর পরিষদবর্গ, পরামর্শ দাতাদের তড়িৎ ফলাফল পাওয়ার অস্থিরতায় পেয়ে বসে।তাঁদের মিত্র আমেরীকা সাম্রাজ্যবাদ এবং তাঁর মিত্রদের নিকট সাহায্য কামনা করে পাক সরকারের পক্ষ হতে। এমনিতর সাহায্যের আবেদনের জন্য আমেরীকা ওৎ পেতে বসেছিলেন। কালবিলম্ব না করে বন্ধু পাকিস্তানের জনগনকে সাহায্যের জন্য সপ্তম নৌবহরকে যুদ্ধ সাজে সাজিয়ে বঙ্গোবসাগরে -বাংলাদেশের অদুরে মোতায়েন করা হয়। আমেরীকা বিশ্বের একনম্বর পরাশক্তি তাঁদের নৌবহর মোতায়েনে প্রবাসি সরকারের মধ্যে কিছুটা ভীতির সঞ্চার করে। এই দুর্বলতার মহুর্তে প্রবাসি সকারের মধ্যে আমেরীকার চর রাজনৈতিক ভাবে সংকট নিরসনের জন্য প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিনের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন।মীরজাপর মোস্তাক পাকিস্তানের সাথে কনফেড়ারেশন গঠন করার প্রস্তাব দিলে বিচক্ষন প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মেদ ষড়যন্ত্রের আলামত পেয়ে ভারত সরকারের সাথে আলোচনার আয়োজন করেন।বিস্তারীত আলোচনার পর ইন্ধীরাগান্ধী শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন।পরের দিনই মহান বন্ধু সৌভিয়েত ইউনিয়ন বঙ্গোবসাগরের উদ্দেশ্যে তাঁর অষ্টম নৌবহরকে যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়ে রওয়ানা হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। অষ্টম নৌবহর বাংলাদেশের অদুরে আসার আগেই সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের আশংকায় আমেরীকা তাঁর যুদ্ধ জাহাজ প্রত্যাহারের ঘোষনা প্রদান করে। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা

মহান বন্ধু ভারতের প্রধান মন্ত্রী শ্রীমতি ইন্ধীরাগান্ধী ও ভারতের জনগন বাঙালির এই মহা বিপদে সাহায্যের হাত না বাড়াতেন তবে ইতিহাস হয়তোবা অন্যভাবে তাঁর গতিপথ নির্ধারন করে নিতে বাধ্য হত।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন