পাকিস্তানের অস্থির চিত্তই প্রমান করে, মানবতা বিরোধী অপরাধে দন্ডিতরা তাঁদের পোষা ভৃত্য ছিল। ---------------------------------------------- সচরাচর আমরা জানি মানুষ মিথ্যা বলে।সমাজে মিথ্যাবাদি থাকতে পারে।সব ধরনের পাঁপকে বিশালত্বে অথবা গৌনত্বে পাঁপ হিসেবে গন্য করা হয়। কিন্তু মিথ্যাকে মহাপাঁপ বলে গন্য করে ইসলাম ধর্মে।ব্যাক্তির মিথ্যে নয়,রাষ্ট্র মিথ্যাচার করতে পারে তাও কি সম্ভব? এমনিতে ডিসেম্বরর মাস সমাসন্ন হলে আমাদের দেশের কিছু ব্যাক্তি এবং রাজনৈতিক দলের মতিভ্রম হতে দেখা যায়।মানবতা বিরোধী বিচার শুরু হলে পাকিস্তান নামক বর্বর রাষ্ট্রটির মতিভ্রম শুরু হয়।যতই বিচারের রায় কায্যকরের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে,পাকিস্তানের মতিভ্রম রাজনৈতিক দল,ব্যাক্তি এবং সরকারের অস্থির চিত্তের প্রকাশের উদাহরনের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। বাংলাদেশের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তান একের পর এক আন্তরাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক শিষ্টাচার লংঘন করে চলেছে, সীমাহীন ধৃষ্টতার পরিচয় দিচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উদ্বত্যপুর্ণ আচরন এবং চরম মিথ্যাচার করছে। ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মৌসুমী রহমানকে গত সোমবার ডেকে নিয়ে বলেছে, পাকিস্তান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যাসহ কোনোরকম দুষ্কর্ম করেনি! কী ভয়াবহ মিথ্যাচারের আশ্রয় নিল পাকিস্তান ভাবতেও অবাক লাগে। এর আগে গত তিনবারে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে যদিও প্রতিবাদ না জানায় এবার কিন্তু তাও করেছে। পাকিস্তানের এই ধরনের আচরন, মিথ্যা বক্তব্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এককথায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। উল্লেখ্য "মুক্তিযুদ্ধে গনহত্যাসহ কোন দুস্কর্ম করেনি" কথাটা বলে তাঁরা নীজেরাই ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে সেই দিকেও তাঁদের কোন খেয়াল নেই।কথায় আছেনা--একটা মিথ্যাকে সত্যে পরিনত করতে হাজারো মিথ্যা বলা প্রয়োজন হয়।যাঁরা গত ৪৫ বছর মুক্তিযুদ্ধকে- মুক্তিযুদ্ধ না বলে "গৃহ যুদ্ধ "বলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন তাঁরাই বলছেন মুক্তিযুদ্ধে কোন গনহত্যা করেনি। তাঁদের ধৃষ্টতার উপর নির্ভর করে জাতীয়তাবাদি দলের প্রধান নেত্রী -খালেদা জিয়া হুংকার দিয়ে বলেছিলেন -'৭১ এর মুক্তিযুদ্ধাদের মানবতা বিরোধী অপরাধে বিচারের সম্মুখিন করবেন। তখন পাকি জামায়াতের পক্ষ থেকে তাঁদের সরকারের নিকট দাবী করা হয়েছিল- পাকিদের এ দেশীয় দোষর রাজাকার, আলবদরদের রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ আক্রমন করতে। পাকিস্তানের এহেন আচরনের কারনে বাংলাদেশের অগ্নিস্ফুলিঙ্গের শিখার আগুনে দগ্ধ হওয়ার আগেই বিএনপি বিবৃতি দিয়ে জনরোষ থেকে আপাতত বেঁচে গেলেন। পাকিস্তান যদি ১৯৭১ সালে গণহত্যা না করে থাকে, তাহলে ৩০ লাখ শহীদ এবং লাখ লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির জন্য দায়ী কি বর্তমানে বিচারাধীন মানবতা বিরোধী অপরাধীদের? বিএনপির পক্ষ থেকে ডিসেম্ভরের পহেলা তারিখে '৭১ এ গনহত্যার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছেন।অবশ্য বাঙালী মা বোনের উপর চরম নির্যাতনের ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে ভুল করেননি--!! এরপরই জামায়াতের অনেক নেতাই বিএনপিকে মোনাফেকের দল বলে উষ্মা প্রকাশ করে চলেছেন।তবে কি জামায়াতের সাথে বিএনপির অন্যকোন চুক্তি আছে?জামায়াত -বিএনপি-পাকিস্তান মিলে অন্যকোন ষড়যন্ত্র আছে কিনা তলিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।পাকিস্তানের ধৃষ্টতা-খালেদার মুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের হুংকার,বিএনপির ৪০ বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বল্পকথার বিবৃতি-জামায়াতের উষ্মা,পাকিস্তানের নীরবতা এই গোলক ধাঁধাঁর মধ্যেই বাংলাদেশের সকল অশুভ চক্রান্তের বীজ নিহিত আছে বলে আমি মনে করি। পাকিস্তান যদিও সত্য অস্বীকার করে, সারা বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তান সরকারের লেলিয়ে দেয়া সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ আর বাঙালী রমনীদের ইজ্জত লুন্ঠনের নির্মম নিষ্ঠুর ইতিহাসের কথা। বিংশ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের দলিল হয়ে শত শত বছর পরেও মানুষ ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাবে তাঁদের এই বর্বরতার ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি পাকিস্তান সরকারের গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশনের চেয়ারম্যান "বিচারপতি হামদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টে" পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যা এবং নারীর সভ্রমহানীর- মানবতা বিরোধী অপরাধের ব্যাপার গুলি বিশেষ ভাবে উঠে এসেছিল। অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের তালিকা দিয়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুপারিশ করা হয়েছিল। পাকিস্তান তাদের কমিশনের রিপোর্টতো মানেইনি,১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিচার সেই দেশের প্রচলিত আইনে করবেন ওয়াদা করেও সেই বিচার করেননি। মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শুরু থেকেই নানা আপত্তি জনক ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করে আসছে। মানবতাবিরোধী অপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তারা ‘ডিস্টার্বড’ বোধ করছে!!! এর আগে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে অপর মানবতাবিরোধী অপরাধী আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামী দলের নেতারা বিভিন্ন আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও দুই প্রাদেশিক পরিষদে প্রস্তাব পাস করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পরাজয়ের গ্লানি পাকিস্তান সরকারী ভাবে, কিছু সংখ্যক রাজনীতিক দল, কতেক বুদ্ধিজীবিরা এখনও ভুলতে পারেননি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশে যে নজিরবিহীন বর্বরতা চালিয়েছে, তারজন্য পাকিস্তান সরকারের যেখানে ক্ষমা চাওয়া ফরজ ছিল,সেখানে মনের অন্তজ্বালা এখনও ভুলতে নাপেরে,বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার হীন উদ্দেশ্যে বিচারের বিরোদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বার বার বাঙালীর নৈতিক শক্তির নিকট অপরাধীর দুর্বল চিত্তের পরাজয়কেই ডেকে আনছেন।তাঁরা যদি সভ্য জাতি হতেন,পরাজয়ের পরেই ক্ষমা চেয়ে জাতি হিসেবে মহত্বের পরিচয় তুলে ধরতেন।বর্বর জাতি হওয়ার কারনে বার বার ইস্যুটিকে সামনে এনে অতীত কর্মকান্ডকে ঢাকা দেয়ার ব্যার্থ অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা নাকরা পয্যন্ত সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত রাখা উচিৎ। পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া কেবল বাংলাদেশের জনগণের প্রাণের দাবি নয়, পাকিস্তানের অনেক সচেতন নাগরিকও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। আমরা আশা করব, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে নিয়ে পাকিস্তান নাক গলাবে না। বাংলা দেশে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জোর দাবি উঠেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে চাইলে পাকিস্তানকে তার ধৃষ্টতা ও মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরার অপচেষ্টা থেকে তাদের সরে আসতে হবে। তারা সত্যকে স্বীকার করে নিয়ে অপরাধ ও ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাষ্টীয় শিষ্টাচারের পরিচয় দেবেন,ইহাই বাংলাদেশের জনগন আশা করে।তাঁদের ভুলে গেলে চলবেনা, দিনে দিনে তাঁদের মিত্রের সংখ্যা বাংলাদেশে কমেই আসছে,এহেন ভুমিকার কারনে মিত্র বাড়বেনা আর কোন দিন।উদ্যত আচরনে বন্ধু কমতে কমতে শুন্যে এসে যাবে,তখন রাষ্ট্রীয় আন্তসম্পর্ক ও ধরে রাখা মহাদায় হয়ে যাবে। তাঁদের আচরনে প্রমান করে মানবতা বিরোধিদের বিচার যুক্তিযুক্তই হচ্ছে,তাঁরা পাকিস্তানের দালালই ছিল বর্তমানেও তাঁদের স্বার্থই রক্ষা করে চলেছে। বর্তমান বিশ্ব যেখানে দিনে দিনে একে অপররের কাছাকাছি আসতে সুদীর্ঘ কালের বৈরীতাকে বিসর্জন দিচ্ছে, অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন নতুন দ্বার উম্মোচন করছে, তখন পাকিস্তান অন্ধকার যুগের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে তাঁদের বৃহৎ মিত্র বিএনপি জোটের গত ১/১২/২০১৫ ইং তারিখে ৭১ এর গনহত্যার বিচার বিভাগিয় তদন্তের দাবি তাহাই প্রমান করে বলে আমি মনে করি। যদিও প্রায় অর্ধশত বছর পর তদন্তের দাবি করে তাঁদের বর্তমান রাজনীতির অস্থির মানষিকতারই পরিচয় দিয়েছেন বলে অভিজ্ঞরা মনে করছেন। জাতির জনকের কন্যা এই সমস্ত আচরনের তীর কোন দিক থেকে আসতে পারে তা জেনে শুনেই বিচার প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হয়েছেন। ভয় দেখিয়ে, চোখ রাঙিয়ে,রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার লংগন করে,বিশ্ব দরবারে নালিশ দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া থেকে বিরত রাখা যাবেনা।আন্তজাতিক জঙ্গি সংগঠন গুলোকে যে দৃডতায় বাংলাদেশ থেকে নিস্তেজ করতে সক্ষম হয়েছেন, ঠিক একই মনোবলে বর্তমানের পাকিস্তানের প্রেতাত্বাদের সৃষ্ট নব্য আইএস আইকেও দমন করে বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক বিভাজনকে চিরতরে ধ্বংশ করে উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাকে সমুন্নত রাখা হবে।বাংলাদেশের মানুষের মনের আকাঙ্ক্ষা উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশকে সম্পৃত্ত রেখে উন্নত জীবন যাপনের নিয়ন্তর প্রচেষ্টায় সরকার ব্যাপৃত থাকুক।জনগনের মনের তীব্র আকাঙ্ক্ষার মুল্য দিতেই বর্তমান সরকার রাজনৈতিক বিতর্কের চিরবসানের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।ইতিমধ্যে তাঁর সুফল জনগন ভোগ করা শুরু করেছে,সুতারাং কোন অশুভ শক্তির ষড়যন্ত্র জাতির জনকের কন্যার রাজনৈতিক বিতর্কের অবসানে নেয়া পদক্ষেপ থেকে চুল পরিমান সরাতে পারবেনা। বাংলাদেশের জনগনের তীব্র আকাংখা- স্বাধীনতার স্বাধ উপভোগের নিমিত্তে, দেশে সত্যিকারের আইনের শাষন প্রতিষ্ঠিত হোক।এই প্রাপ্তির আখাংকায় দীর্ঘ ৪০ বছর নিয়ন্তর আন্দোলন সংগ্রামে জনগন ব্যাপৃত রয়েছে।বহু ত্যাগী নেতাকর্মির আত্মত্যাগে,অনেকের পঙ্গুত্বে,স্বজন হারানোর বেদনা বুকে ধারন করে সেই কাংখিত লক্ষের দিকে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে,একে একে অমিমাংসীত জমে থাকা চাঞ্চল্যকর হত্যাযজ্ঞের বিচারকায্য শুরু করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করা হচ্ছে-তখনি কায়েমি স্বার্থান্বেষি মহলের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ভেঙ্গে চুরে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্রের রুপ ধারন করেছে। বিগত দিনে যারা বাংলাদেশকে তল্পিবাহক,অন্য জাতির কলোনি করে রাখার জন্য দেশের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন তাঁদের মুখোশ ও দেশবাসি অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করছে। বিভিন্ন অজুহাতে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাস করেও যারা পাকিস্তানের দালাল ছিলেন, পাকিস্তানের অস্থির মানষিকতা তাঁদের চিহ্নিত করতে আরো বেশি সহজতর করেছে।নতুন প্রজম্মের নিকট ঐ সমস্ত দালালদের স্বজনেরা সারাজীবনের জন্য অপাংত্তেয় অসুচি, ঘৃনার বহ্নিশিখার জলন্ত দৃষ্টান্ত হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবেন। তাঁদের পরিবার পরিজনকে ধীক্কার জানাতে আর কাউকে প্রচার করে, যুক্তি উপস্থাপন করে সময়ক্ষেপনের প্রয়োজন হবেনা,সেই কাজটি তাঁদের মুরুব্বি বর্তমান পাকিস্তানের সরকার,রাজনৈতিক দল গুলীর অস্থির চিত্তের বর্হিপ্রকাশেই যথেষ্ট।সত্য বড়ই নির্মম নিষ্ঠুর হয়ে তাঁদের এদেশীয় দালাল, মানবতা বিরুধীদের রেখে যাওয়া বংশধরদের নিয়তির উপর প্রতিঘাত শুরু করেছে।এই জয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির প্রাপ্য ছিল স্বাধীনতার পরেই, প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কোপানলে জাতিকে পরিবেষ্টন করে ৪০ বছর পিছিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে অশুভ শক্তি।ইতিহাসের অমোঘ বিধানের নিয়মতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থেকে রক্ষা পাননি নীজে,রক্ষা করতে পারেননি পরিবার,রক্ষিত হয়নি প্রভুদের দীর্ঘকালের মনোবাসনা প্রভুত্বের আখাংকা। জয় হয়েছে মানবতার,পরাজিত হয়েছে অন্ধকারের অশুভ শক্তির।এই জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার দায়িত্ব নতুন প্রজম্মের। তাই সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে নতুন প্রজর্মকে আধুনিক, বিজ্ঞান মনস্ক যুগ -উপযোগি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। বর্তমান প্রজর্মের মানষিক স্পৃহার নিকট রচিত হবে অশুভ শক্তির সকল ষড় যন্ত্রের কবর, সেই দিন আর বেশি দেরী নেই। "জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা"

পাকিস্তান শেষ পয্যন্ত সত্যকে স্বীকার করেই নিল, এযাবৎ তাঁদের এদেশীয় ভৃত্যরা তাঁদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন