জিয়া পরিবারের বিচারের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে
জিয়া পরিবারের বিচার সাংবিধানীক বাধ্যবাধকতা।
==================
অবৈধ ভাবে বসবাস করে তারেক বালাদেশের ভাবমুতি নষ্ট করেছেন।একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের পুত্র পরবর্তিতে সাবেক প্রধান মন্ত্রির পূত্র হিসাবে বিদেশে অবৈধ ভাবে বসবাস করা কতটুকু যুক্তিপুর্ন হয়েছে তা দেশের বিবেক বান মানুষের নিকট বিরাট প্রশ্ন হিসাবে দেখা দিয়েছে।এর আগে ১ /১১ এর সময় সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ২য় ছেলে মরহুম কোকো বাংলাদেশ সরকারকে কর দিয়ে কাল টাকা সাদা করেছেন।একজন প্রধান মন্ত্রী এবং তার পরিবার দেশের ক্ষমতায় থাকা অবস্হায় এত বিশাল অংকের কাল টাকার মালিক কিভাবে হলেন দেশ বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি দারুন ভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়। একটা পরিবারের জন্য বাঙলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগন বার বার লজ্জায় মাথা হেট করে বিদেশীদের চোর আখ্যা শুনতে হবে ইহা কি করে সম্ভব।
শীষ রাজনীতিবিদ বা কোন দলের শীর্ষনেতা যদি নীতিহীন-দুনীতিগ্রস্ত হয়, সেই দলের অপরাপর নেতারাও দুনীতি পরায়ন হওয়া স্বাভাবিক।শীর্ষনেতারা দুনীতি করে বা অনৈতিক ভাবে টাকা রোজগারে লিপ্ত থাকে, এইধরনের নেতা খুজে নিতে সময়ের প্রয়োজন হতেপারে কিন্তু কোন দুনীতিতে লিপ্ত নেই, এই প্রকৃতির নেতা খুজে নিতে সময়ক্ষেপনের প্রয়োঞ্জন হয় না।অনেকের নিকট কথাটার সত্যতা নাও থাকতে পারে,তাদেরকে গভীরভাবে চিন্তা করার অনুরোধ করবো।
আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের
চিন্তা চেতনায় গভির ভাবে প্রোথিত যে, নেতাই দুনীতিবাজ।এমন ধারনা,নেতা
হয় শুধু দুনীতি করে টাকা রোজগারের জন্য।নাগরিকদের মনে এই ধারনাবদ্ধমুল হওয়ার পিছনেও অকাট্য যুক্তি বিদ্যমান আছে।তবে সর্বাংশে তদ্রুপ নয়,তাহা একটু গভীর মনোযোগে চিন্তায় নিলে স্পষ্ট ধারনা পাওয়া যেতে পারে।সারা বিশ্বের দেশ সমুহ শাষন করে কোন না কোন ভাবে রাজনীতিবিদরাই।আবহমান কাল থেকেই নিয়মটি প্রত্যেক দেশেই কমবেশি ক্ষনকালের বিরতিতে হলেও পালিত হয়ে
আসছে।কোন দেশের শীষ নেতা দুনিতি
করেছে বলতে পারবেন?যে দেশেই যে শীষ নেতা দুনীতিতে জড়িয়েছেন, তার দল বা তার পরিবার রাজনীতি থেকে
ছিটকে ইতিহাসের অতলগব্বরে হারিয়ে গেছেন।ফিলিফাইনের মাকোস পরিবার
প্রমানিত দুনীতিবাজ হওয়ার পর ফিলি ফাইনের রাজনীতি থেকে ঐ পরিবার হারিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।তবে তৃতীয় বিশ্বের নেতাদের মধ্যে দুনীতির কিছুটা উদাহরন থাকলেও উন্নত বিশ্বে ছিটে ফোঁটাও মেলানো দুষ্কর বলা যায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ওয়াটার
গেট কেলেংকারি? অর্থসংক্রান্ত কোন বিষয় নয়।রাজনীতির শীর্ষ পয্যায়ে থেকে ভোগ বিলাশের নিমিত্তে অনৈতিক টাকা আহরনের বিষয়ই আমার প্রতিপাদ্যয়। প্রায় দেশের রাষ্ট্র নায়কদের বহু ধরনের কেলেংকারি পাওয়া যেতে পারে, অথনৈতিক বিষয়ক কেলেংকারি খুজে বের করা কষ্টসাধ্য,"আমার আলোচ্য বিষয়।"
রাষ্ট্র পরিচালক সে যে দেশেরেই হোক, অর্থবিষয়ক কেলেংকারিতে জড়িত আছে প্রমানিত হলেই,তারপরিবারের জন্য রাজনীতির কবর হয়ে যায়,রাজনৈতিক অংগন থেকে বিদায় নিতে হয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে উক্ত নিয়মের ব্যতিক্রম হবে আশা করা যায়না।দীঘ নয় বছর দেশ শাষন করার পর,জাতীয়পাটি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ দুনীতির কারনে গনআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা চ্যুতির ২৫বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর ও রাজনীতিতে ভাল অবস্থানে পৌছাতে পারেন নাই।দিন যতই গড়াচ্ছে ততই তার দল বা তিনি নিজেও অন্য দল বা ব্যক্তির উপর নিভর হয়ে রাজনৈতিক ময়দানে উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।দিনে দিনে দল ছোট হয়ে বিলিন হুওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।রাজনীতিতে বারংবার ভুলের কারনেও একসময়ের গনমুখী জনগন নির্ভর দল রাজনৈতিক ময়দান থেকে জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার উদাহরন এই উপ মহাদেশেই বিদ্যমান আছে।
পাকিস্তান রাষ্টের স্বাধিনতায় নেতৃত্ব দানকারি দল মুসলিম লীগ, মহান মুক্তি যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানের কারনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দান থেকে অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে,ইহা কিন্তু বেশিদিন আগের কথা নহে।
আমদের সকলেরই জানা আছে,মেজর
জিয়া কতৃক প্রতিষ্ঠিত বি,এন,পি যে ভাবেই ক্ষমতায় আসুকনা কেন,কয়েক বারই বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা করেছেন।ভাল করেছেন মন্দ করেছেন আমি সে দিকে আলোকপাত করবো না।
জিয়া পরিবার ২০০৬সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর, খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান তারেক জিয়া ও কোকো সরকারকে যথা রীতি টেক্স প্রদান করে কালোটাকা সাদা করেছেন। এটা প্রমানিত চিরন্তন সত্য। যে পরিবারের বাংলাদেশ কয়েকবার শাষন করার সৌভাগ্য হয়েছে, একটা বৃহৎ দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দুই যুগেরও অধিক সময়। সেই দলের প্রধান বা তার পরিবার কাল টাকা সাদা করতে পারে ইহা সপ্তমআচায্য থেকেও আরও বিষ্ময় সৃষ্টিকারি ঘটনা।পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির আছে কিনা আমার জানা নাই।
এখানে বিষয়টা অনেকেরই জানার বাহিরে রয়ে গেছে বা সঠিকভাবে অনেকেই বুঝতে পারেন নাই,আসলে কাল টাকা কি? আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যতটুকু বুঝি,কাল টাকা হচ্ছে"আয় বহিভুত টাকা"।"অর্থাৎ নিদিষ্ট বা ঘোশিত সম্পদ থেকে বছরান্তে যে আয় আসার কথা তার চাইতে বেশী টাকা যদি কারো নিয়ন্ত্রনে বা হেফাযতে থাকে তাকেই কালো টাকা হিসাবে অভিহিত করা হয়।""
এখন প্রশ্ন হল জিয়া পরিবারের নিকট
কাল টাকা জমা হওয়ার উৎস কোথায় থেকে এল? কি ভাবে এত কাল টাকার
মালিক হলেন?কি করে সম্ভব হল?একটা দেশের প্রধান এবং পরিবারের সকল সদস্য কালটাকা আহরনের রাস্তাই বা কি
করে পেলেন?কোন রকমেই বিশ্বাস করার কারন হত না,"যদি তারা নিজেরাই উদ্যোগি হয়ে সরকারি কোষাগারে নিদিষ্ট পরিমান কর পরিশোধ করে,কালটাকা সাদা না করতেন"।এরশাদের বিরোদ্ধে দুনীতির ব্যাপক অভিযোগ ছিল।এখনও তিনি অভিযোগ মানুষের মন থেকে দুরিভুত করতে পারেন নাই।তার ক্ষেত্রেও কাল টাকা সাদা করার প্রমান আমার মনে হয় নাই।খালেদার পরিবারের ক্ষেত্রে তারা নিজেরাই প্রমান করে দিল।উন্নত বিশ্বের কোন দেশ যদি হত,তাহলে কত বছর জেলে থাকতে হত তার কোন হিসাব করা যেতনা।জিয়া পরিবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার ফিরে আসতে পারবে কস্মিন কালেও বিশ্বাস করার কোন কারন নাই।
জনস্বার্থে জিয়া চ্যারিটেবল ফান্ড গঠন করেছেন,ইহা প্রসংশার দাবী রাখে নিসন্দেহে।নিসন্দেহে ইহা জনগনের সম্পদ।স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে সেই ফান্ড থেকে টাকা উত্তলন করে নীজের ভোগ বিলাসের জন্য খরছ করার অধিকার চ্যারিটেবল ফান্ড গঠন কারীর কি আছে?বর্তমানে তদ্রুপ মামলায় যদি শাস্তি হয়, খালেদা জিয়া জেলে যেতে হয় তাঁর দায় কি বাংলাদেশ সরকারের?মামলায় যথারীতি হাজিরা না দেয়া অনৈতিকতার মধ্যে পড়ে না?এই ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কি বলে দেখা যাক---।
(অধিকার ও কর্তব্য-রূপে কর্ম) সংবিধান থেকে--
২০৷ (১) কর্ম হইতেছে কর্মক্ষম প্রত্যেক নাগরিকের পক্ষে অধিকার, কর্তব্য ও সম্মানের বিষয়, এবং “প্রত্যেকের নিকট হইতে যোগ্যতানুসারে ও প্রত্যেককে কর্মানুযায়ী”-এই নীতির ভিত্তিতে প্রত্যেকে স্বীয় কর্মের জন্য পারিশ্রমিক লাভ করিবেন৷
(২) রাষ্ট্র এমন অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা করিবেন, যেখানে সাধারণ নীতি হিসাবে কোন ব্যক্তি অনুপার্জিত আয় ভোগ করিতে সমর্থ হইবেন না এবং যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিমূলক ও কায়িক-সকল প্রকার শ্র্রম সৃষ্টিধর্মী প্রয়াসের ও মানবিক ব্যক্তিত্বের পূর্ণতর অভিব্যক্তিতে পরিণত হইবে৷
নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
২১৷ (১) সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিক দায়িত্ব পালন করা এবং জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য৷
(২) সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য৷
(২০)১এ কর্মকে সম্মানের আসনে স্থান দেয়ার কথা বলা আছে।কর্মের জন্য নির্দিষ্ট বেতন ভাতার পাওয়ার অধিকারের কথা বলা আছে।
(২০) ২ এ পরিষ্কার বলা আছে অনৈতিক উপার্জন কোন অবস্থায় ব্যক্তি ভোগ করিতে পারিবেন না।
(২১) ১এ কি লিখা আছে সবাই আমরা দেখতেই পাচ্ছি।জিয়া চ্যারিটেবল বা জিয়া অর্ফানেজ বাংলাদেশ সরকারের দুটি সেবা ধর্মি প্রতিষ্ঠান।অনৈতিক ভাবে বা যথেচ্ছভাবে দুটি প্রিতিষ্ঠানকে পরিচালনা করা বা অর্থ আত্মসাৎ করা আইনের দৃষ্টিতে বা বাংলাদেশের সংবিধানের দৃষ্টিতে বেয়াঈনী।সুতারাং জিয়া পরিবার পরতিষ্ঠানদ্বয় এর প্রতিষ্ঠাতা হলেও তা যথেচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারেননা।
উল্লেখীত মামলায় যদি সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বেগম জিয়া ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ হারান, তাঁর দায় আওয়ামী লীগকে কেন নিতে হবে?
সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিষ্কার ভাবেই উল্লেখ আছে, প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক নাগরীক আইনের দৃষ্টিতে সমান।খালেদা জিয়া কি বাংলাদেশের বিশেষ নাগরীক?বিশেষ নাগরীকের কোন সংজ্ঞা কি সংবিধানে আছে?
যদি তদ্রুপ না হয় তবে খালেদা জিয়াকে বারংবার মামলা তারিখ পেছানোর সুযোগ দিয়ে আদালত কি সংবিধানের সমান সুযোগের প্রস্তাবনার ধারাকে উপেক্ষা করছে না?
তারেক জিয়াকে বৃটেন বিভিন্ন নিষেদাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশকে কি অপমানিত করছেন না।একব্যাক্তির জন্য বাংলাদেশ বিদেশী কোন রাষ্ট্রের নিকট হেয় প্রতিপন্ন হতে হবে ইহার কি কোন বিহিত রাষ্ট্রের করার নেই?রাষ্ট্র কেন এতগুলী মামলার আসামী হওয়ার পর ও তাঁকে বিদেশের মাটিতে অবস্থানের সুযোগ দিচ্ছে,নাগরীকদের কি ইহা জানার অধিকার নেই?কেন তারেক জিয়াকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে না?
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতা বিরুধি অপরাধের সাথে জড়িত ছিল,দীর্ঘ বছর পর হলেও জাতী তাঁদেরকে বিচারের আওতায় এনেছে।বি,ডি,আর বিদ্রোহের মানবতা বিরুধীদের বিচার ও হচ্ছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার জন্য কি মানবতা বিরুধি অপরাধ হয়নি?মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বিশেষ ট্রাইবুনাল করে বিচারের ব্ব্যবস্থা করবেন বলেছিলেন,সেই ট্রাইবুনাল কবে নাগাদ হবে জাতি কি তা জানতে পারবেনা? কেন বিলম্ব করা হচ্ছে জাতি তাও জানতে চায়।
একটা পরিবার বিদেশে পালিয়ে থাকা অবস্থায় ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে, ক্ষমতায় থেকে বিশাল কাল টাকার মালিক হবে,দিনের পর দিন মামলায় হাজিরা না দিয়ে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাবে,আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করবে,মানুষ কে আগুন দিয়ে জ্যান্ত মেরে পেলবে,তারপর ও রাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবে না, ইহা কি সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঙ্গন নহে?
( "" আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;"")
সংবিধানের প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রের অঙ্গিকারের উল্লেখীত ধারাটি বেগম জিয়ার পরিবারের ক্ষেত্রে কি কায্যকর হচ্ছে?
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু
জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা" http://countries71.blogspot.com/2015/08/blog-post_71.html
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন