মহান স্বাধীনতা ও গৌরবের বিজয়--- ========================= বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধু ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরাগান্ধী এবং ভারতের জনগন বাঙালির দু:সময়ে যদি সহযোগিতার হাত না বাড়াতেন তাহলে ইতিহাস অন্য কোন ভাবে তাঁর গতিপথ নির্ণয় করতে বাধ্য হত। জর্জ হ্যারিসন,বাংলাদেশের মানুষের মনের মধ্যে নামটি চিরজাগরুক হয়ে আছে,থাকবেন অনন্তকাল।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এই গুনী শিল্পি সাহায্যের হাত প্রসারীত করেছিলেন,তাঁর নিজস্ব সম্পদ কণ্ঠকে ব্যাবহার করে।তাঁর অবদান বাঙালীর দু:সময়ে মুক্তিযুদ্ধাদের মনে প্রেরনা জুগিয়েছিল নি:সন্দেহে।বৃহৎ শক্তিধর রাষ্ট্র সমুহের প্রধানগন যদিও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন,কিন্তু তাঁদের মুক্তিকামি প্রজাসাধারন, মুক্তিকামী বাঙ্গালীর পক্ষেই ছিল উহাই প্রমানীত হয় ওবালের সেদিনের টিকেট বিক্রির হারের দিকে তাকালেই।বিজয়ের মাসে সেইসব বন্ধুদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই,যারা আমাদের পাশে এসে বিভিন্ন উপায়ে সহযোগিতার হাত প্রসারীত করেছিলেন। জর্জ হ্যারিসনের বিখ্যাত "কনসার্ট ফর বাংলাদশ"-এর কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু ওভালের ‘গুডবাই সামার’ কনসার্টের কথা আমাদের অনেকেরই জানা নাই। সেই কনসার্টের পোস্টার এটি। কি দারুণ এক পোস্টার...বাংলাদেশের শরণার্থীদের সাহায্যে ১৯৭১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ওভালে ‘গুডবাই সামার’ নামের এই কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়েছিলো। সেদিন সেই কনসার্টের টিকেটের দাম ধরা হয়েছিলো সোয়া এক পাউন্ড করে। বিজ্ঞাপনে স্পষ্ট করে লেখা ছিলো বাংলাদেশের শরণার্থীদের কথা। অফিসিয়ালি ৩১,০০০ দর্শক থাকলেও আয়োজকদের মতে সংখ্যাটা ৩৫,০০০ ছাড়িয়ে যায়। সেই কনসার্ট থেকে আয় হয়েছিলো ১৫,০০০ পাউন্ড!! আমরা পরিষ্কারভাবে আমাদের মনের গহীন থেকে তাঁদের কে বার্তা পৌঁছে দিতে চাই,হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের সেই উদার মনের আন্তরীক সমর্থন বৃথা যায়নি।যাদের কাছ থেকে আমরা বাঙ্গালীরা স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ে ব্যাপৃত ছিলাম-যাদের অত্যাচার,অনাচার, জুলুমের চিত্র দেখে আপনাদের বিবেক নাড়া দিয়েছিল।হাজার মাইল দূরে থেকেও সমর্থন দিয়েছিলেন, সাহায্য করেছিলেন,ব্যাথায় আপনাদের মন কুঁকড়ে গিয়েছিল।সেই বর্বর পাকিরা আজও বর্বরই রয়ে গেছে।তাঁরা এখনও বলতে চায় তাঁরা আমাদের উপর কোন অন্যায় করেনি-,তবে আমাদের যুদ্ধ কার সাথে হল,কারা আমাদের মা বোন নির্য্যাতন করলো। কারা আমাদের বাবা,ভাই,বন্ধুদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল??? অসভ্য,বর্বর চাড়া কেউ কি মিথ্যা, চলচাতুরী আর উগ্রতার এমন পরাকাষ্টা দেখাতে পারে?? আমাদের সম্পদে পোদ্দারী করেছিল তাঁরা --তার প্রমান বাংলাদেশ মাত্র ৪৪ বছরে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত হয়ে প্রমান করেছে বিশ্বদরবারে।তাঁরা তখন যেখানে ছিল এখন তাঁর চেয়ে আরো অনেক পিছনে চলে গেছে।আমরা সাহায্যকারি দেশে রুপান্তরীত হয়েছি,তাঁরা এখনও ভিক্ষার জন্য আমেরীকার দালালি করে।ভিক্ষা করে বোমা বানায়,সন্ত্রাসি লালন করে, বিশ্ব মুসলিম দেশ সমুহের কপালে কলংকের তিলক পরায়।আমরা গনতন্ত্রের চর্চায় অনেক দূর এগিয়ে গেছি,আমাদের স্কুল, কলেজ পাড়া মহল্লার ক্লাবেও গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত প্রতিনীধিরা নেতৃত্ব করে। প্রকারান্তরে তাঁদের দেশে এখনও জংলী কাপড় পরা কিছু লোক আছে,যাঁদের ভরন পোষন করে জনগন নীজেদের পাহারা দেয়ার জন্য,তাঁরাই কর্তা সেজে এখনও সেই জনগনকে শাষন করে,সামান্য অজুহাতে ক্ষমতার মসনদ দখল করে বসে থাকে। তাঁদের পালিত কুকুরের দল এখনও গৌরবের মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে মাঝে মাঝে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করে।মাঝখানে ৭৫ থেকে ১৯৯১ ইং সাল- তাঁদের প্রেতাত্বারা আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল। তাঁদের নির্দেশীত পথে দেশ পরিচালনা করে আমাদের অর্জিত গৌরবকে ম্লান করার জন্য।, জাতিকে তাঁদের মত বর্বর জাতিতে রুপান্তরীত করার জন্য।তাঁরা আমাদের পবিত্র সংবিধানকে চিন্নভীন্ন করে দিয়ে গেছে। দেশকে প্রগতির ধারা থেকে অনেক দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে।তাঁরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্টন করে এখন অনেক সম্পদের মালিক হয়ে গেছে।তাঁরা এখন দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র করার মত স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে।তোমরাতো শুনেছ,তোমাদের মিডিয়ায় তোমরাই প্রচার করেছিলে,ষড়যন্ত্রকারি প্রধান ব্যাক্তি, মেজর জিয়া, যিনি ক্ষমতায় থাকাকালিন তাঁর নীজ গোত্রের- তাঁর মত অসভ্য কিছু উর্দি পরা লোক, তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছিল।কথিত আছে,তাঁর কোন হাঁড়-মাংস পাওয়া যায়নি। তোমরাই বেশি করে প্রচার করেছিলে তাঁর কোন সঞ্চিত সম্পদ ছিলনা।অথছ তাঁর পরিবার এখন কত সম্পদের মালিক হয়েছে,হিসেব করার জন্য তোমাদের দেশের নামকরা চাটার্ড একাউন্টস ফার্মকে নিয়োগ দিলেও সঠিকভাবে নির্নয় করতে পারবে কিনা সন্দেহ। তাঁরা বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ লুট করে তোমাদের দেশে বাড়ী ভাড়া করে বিলাসী জীবনযাপন করছে।তোমাদের দেশের ল'ফার্মকে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে ভাড়া করেছে--বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য।,বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বক্ষন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, শুধু মাত্র আমার দেশের আইনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।তোমাদের বিশ্ব ব্যাংক তাঁদের পাঁছ বছরের শাষন পাঁছ বার জরিপ করে পাঁছ বারই শীর্ষস্থানে নির্ধারন করে "দুর্নীতির আখড়া"বলে আমাদের লজ্জা দিয়েছিল। বিশ্বের একনম্বরের দুর্নীতির দেশ বলা কতযে অপমানজনক তা তোমরা বুঝবেনা।কারন তোমদের দেশ এই অখ্যাতি কোনদিন অর্জন করেনি। আমাদের দেশকে আখ্যা দিয়েছিল কি কারনে জান,তাঁদের ইউনিয়ন লেভেল থেকে প্রধান মন্ত্রীর পরিবার পয্যন্ত, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত,এই দেশকে লুটপাটের স্বর্গ রাজ্যে পরিনত করেছিল।"দুর্নীতিই একমাত্র নীতি" এই বিশ্বাস মানুষের মনে গেঁথে দিয়েছিল।বিশ্বাস করবে কিনা জানিনা,তখন আমার দেশের মানুষের মাথা হেট হয়ে যেত,মনে মনে নীজকে অভিসম্পাত করতো- কেন এমন একটা চোরের দেশে মহান আল্লাহ আমাদের জম্ম নিতে বাধ্য করেছেন।তাঁরা রাজনীতিকে জনসেবার অন্যতম মাধ্যম এই ধারনাকে অসার প্রমান করার জন্য রাজনীতিতে দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন।,তাঁদের মরহুম নেতার আদর্শ "রাজনীতিকে আমি রাজনীতিবীদদের জন্য কঠিন করে দেব" এই নীতিকে সর্বস্তরে প্রতিপলিত করার জন্য,যাতে রাজনীতি বিদদের জনগন ঘৃনা করে,তাঁদের কাছ থেকে মুখ পিরিয়ে নেয়।জংলিরা সব সময় তাঁদের মুরুব্বিদেশ পাকিস্তানের আদলে আমার সোনার বাংলাকে শাষন শোষন করতে পারে।সাধারন মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য তাঁরা ঘন ঘন আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যাবহার করে।অথছ ব্যাক্তি জীবনেও তাঁরা কেহই ইসলামের অনুশাষন মেনে চলেনা।রাষ্ট্রীয় ভাবে ইসলামের জন্য কোন স্থাপনা এই পয্যন্ত আদৌ নির্মান করেনি। তোমরাতো অবগত আছ, মাত্র পাঁছ বছরের মধ্যে আমাদের মহান নেতার জৈষ্ঠ কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনা খমতায় আরোহন করেছে।এরই মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশ বিশ্বের নামকরা উন্নত দেশ সমুহের অনেক পিছনে ১৫৯তম অবস্থানে নিয়ে গেছে।সবাইকে খাওয়া পরার ব্যাবস্থা করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরীত করতে সক্ষম হয়েছে।তোমাদের বিশ্বব্যাংক ষড়যন্ত্র করে আমার দেশের পদ্মা সেতুর টাকা দুর্নীতির কারন দেখিয়ে ফেরৎ নিয়ে গেছে,তোমরাই বল টাকা দেয়ার আগে কিভাবে টাকা চুরি হয়? অথছ সেই পদ্মা সেতু আমার দেশের মহান নেতার কন্যা নীজ অর্থে করার জন্য উদ্যোগ নিয়ে সফলতার সংজ্ঞে এগিয়ে যাচ্ছে।অথছ তোমরাই ভয় দেখিয়েছিলে বিদেশি ঋন ছাড়া বাংলাদেশ এত বিশাল প্রজেক্ট করার কথা চিন্তাও করতে পারবেনা।বাঙ্গালী বীরের জাতি, পারেনা এমন কোন অসাধ্য কাজ নেই।তোমরাতো জান, মাত্র নয়মাসে খালী হাতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল বাঙ্গালি।পাকি ৯৩ হাজার সুসর্জ্জিত সেনাবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে মাত্র নয় মাসে অর্থাৎ এই মাসেই আমাদের পায়ের নীছে অস্ত্র সমর্পন করে, মাথা নীছু করে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করেছিল। তাঁরা এতই বেলাজ জাতি এখন আবার আমাদের সাথে উদ্যত, উগ্র মেজাজে কথা বলার চেষ্টা করে।তাঁরা এতই বেয়াদপ জাতি, আমাদের রাজদুতকে ডেকে নিয়ে বলে তাঁদের পরম বন্ধুকে ফাঁসী দেয়ায় তাঁরা নাকি দু:খ্য পেয়েছে,বিব্রত বোধ করছে।কত বেয়াদপ দেখ, প্রকাশ্য স্বীকার করে বলে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা নাকি তাঁদের পরম বন্ধু। তোমরাই বল তাহলে,তাঁদের যারা বন্ধু নিশ্চয়ই স্বাধীন দেশের জনগনের তাঁরাইতো শত্রু। আমাদের দেশের বিচার শতভাগ সঠিক, তাঁদের উদ্যত আচরনেইতো প্রমান করে !! দেখ বন্ধুরা আমাদের সম্পদের লোভ ৪৪বছরেও তাঁরা ভুলতে পারেনি।আমাদের শোষন করে তিনবার রাজধানী পরিবর্তনের নামে নীজেদের শহরগুলী সাজিয়ে নিয়েছে। তাঁদের তিন শহরের মোট ব্যায়ায়ীত টাকার তিনগুন টাকা ব্যয় করে বাংলাদেশ পদ্মাসেতুর মত বিশাল ব্যায়বহুল সেতু নির্মান করার যোগ্যতা অর্জন করেছে তাও শতভাগ নীজের দেশের উপার্জিত অর্থে। তাইতো বিজয়ের এই মাসে বারবার তোমাদের ঋনের কথাগুলি মনে পড়ে।তোমাদের ঋন বাঙ্গালি কোনদিন ভুলে যাবেনা।তোমরা কখনও, কস্মিনকালেও ভেবনা বাঙালি অকৃতজ্ঞ জাতি। জয়বাঙলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা।

আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের পাশাপাশি নাগরিকেরাও বহুবিদ উপায়ে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছিলেন।মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের এই গৌরবের মাসে তাঁদের জানাচ্ছি আন্তরীক অভিনন্দন ও নিয়ন্তর শুভেচ্ছা।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা