খোলা আবেদন =================== বরাবর, বেগম খালেদা জিয়া। চেয়ারপার্সন, বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল(বিএনপি) বিষয়:- জঙ্গী সম্পর্কিত বিষয়ে ধারনা ও শহীদদের সংখ্যায় বিতর্ক প্রসঙ্গে। জনাবা, যথাবিহীত সম্মানপুর্বক নিবেদন এই,আপনি বাংলাদেশের একজন প্রথম কাতারের রাজনীতিবীদ,বৃহত্তর গনসংগঠন জাতীয়তাবাদি দলের চেয়ারপার্সন,অনুন্নত বাংলাদেশের সাবেক তিন বারের প্রধান মন্ত্রী,সাবেক বিরুদী দলের নেতৃত্বে ছিলেন। ১/১১ এর ঘটনা বহুল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপনি ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একত্রে আলাদা আলাদা গৃহে কারাওন্তরালে ছিলেন।রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জন্য জেল খানা দ্বিতীয় বাড়ী এতে কিছুই যায় আসে না।বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও জীবনের অধিকাংশ সময় জেল খানায় কাটিয়েছেন।কথিত আছে তাঁর জন্য সব সময়ে জেল খানার সরঞ্জাম সহ একটি বাক্স প্রস্তুত করে রাখা হত।সেই সময়ের ব্যাপারটি মানুষ মেনে নিতে পারেনি বলে বিজাতীয় পাঞ্জাবী পাঠানদের বিতাড়িত করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জনগন একতাবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। মাননীয় নেত্রী, আপনি যদিও অশিক্ষিত হন ভাগ্যদেবী আপনাকে তখনকার সময়ের একজন শিক্ষিত তরুন সামরীক অফিসার কে বরাদ্ধ করেছিলেন বিদায়, আপনার আচার আচরন চলাপেরায় শিক্ষিত মার্জিত একজন গৃহবধুর ভাবমুর্তি সুস্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠতে দেরী হয়নি।রাজনীতির জন্য বা দেশ পরিচালনার জন্য খুব বেশি লেখাপড়ার প্রয়োজন হয়না, তার প্রকৃষ্ট প্রমান আপনি রেখেছেন।কিন্তু অতীব দু:খ্যের সঙ্গে লক্ষ করছি" মহিলারা সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট থাকা তাঁদের ধর্ম" এই পুরুষালী তপ্ত বাক্য থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেননি।যাঁর ফলে মেজর জিয়ার মৃত্যুকালে কোন সম্পদ রেখে না গেলেও আপনি তিনবার প্রধান মন্ত্রীত্বের সুযোগ পেয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবারের সদস্য হয়ে,দেশের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা সর্তেও লুটপাট করে সম্পদ আহরন করা কোনমতেই নীতিনৈতিকতার মধ্যে পড়েনা।যাক আপনি অর্জিত সম্পদ রক্ষা এবং আপনার পরিবারকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বপুরি আপনার"অস্থিমর্জ্জায় লালিত পাকিপ্রেমের অন্ধনুভুতি"কে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার মানসে ন্যাক্কার জনকভাবে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের বিরুধীতা করতেও আপনি কুণ্ঠাবোধ করেননি। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মানবতা বিরুধী সংগঠন জামায়াতের সংগে জোট বেঁধে তাঁদের নেতৃত্ব আপনি গ্রহন করে রাজনীতির সকল সংজ্ঞা বিবর্জিত কর্মকান্ড (জ্বালাও পোড়াও আগুন সন্ত্রাস লুটপাট) পরিচালনা করতেও দ্বিধাবোধ করেননি।এমনতর অবস্থায় দেশকে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করেছেন, মধ্যযুগীয় বর্বর যুগে(যাহা থেকে হয়তো আপনিও রক্ষা পাওয়ার কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেননা)।যেমন পারেননি জাসদ ১৯৭৫ ইং সালে। আপনি বাংলাদেশের গনতান্ত্রীক ধারা, আপনার স্বামী প্রতিষ্ঠিত দল,এবং আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকেও অন্ধকারে ঠেলে দিতে উদ্যোগি হয়েছিলেন। আপনার সকল প্রচেষ্টা নস্যাৎ হওয়ার পর, প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন, আপনি আর হিংসাত্বক রাজনীতি করবেন না,যদি কোন দিন সরকারে আসতে পারেন প্রতিশোধ গ্রহন করবেননা। প্রথম বাক্যটি যদিও আপনার রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ফেরৎ আসার ইঙ্গিত বহন করে -দ্বিতীয় বাক্যটি আপনি কেন বলছেন তা অনেকেই না বুঝলেও রাজনীতি সচেতন নাগরিকেরা ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছেন।তাঁর আগেও তাঁদের প্রতি স্পষ্ট উষ্মা প্রকাশ করে প্রকাশ্য বলেছিলেন, "সেনাবাহিনী বেঈমান"।তাঁরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে মর্মে ওয়াদা করেও ওয়াদা রক্ষা না করার লজ্জায় ঘৃনায় আপনি এখন পয্যন্ত অবরোধ হরতাল প্রত্যাহারেরঘোষনা দিতে পারেননি।আপনার সেই কর্মসুচি চলমান থাকায় আপনার মিত্রদেশ আমেরীকা ও লজ্জায় ঘৃনায় তাঁদের জারী করা রেড এলার্ট প্রত্যাহার করতে পারছেন না।দুই দেশের দুই রাজনৈতিক ভরসার কারনে আন্তজাতিক ভাবে বাংলাদেশ বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ও হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।আপনিই বলুন আপনার হরতাল অবরোধ কি এখন ওবহাল আছে?আপনি ও আপনার দল বা জোট কি এখনও তা পালন করছেন? এমনতর পরিস্থিতিতে আপনার দল যখন বহু খন্ডে বিভক্ত হওয়ার উপক্রম,বহুদলীয় গনতন্ত্র হুমকির সম্মুখ্যিন,(,শক্তিশালী বিরুদি দলের অস্তিত্ব থাকা গনতন্ত্রের মুলভিত্তি) গনতন্ত্রের সংজ্ঞার চরম ব্যত্যায়ের উপক্রম,দলে দলে নেতাদের ভীন্ন দলে যোগদান করে নীজেদের রাজনৈতিক ধারা রক্ষায় নিমগ্ন তখন ও আপনি ব্যাস্ত সুদুর লন্ডনে আপনার অথর্ব সন্তান তারেক এবং দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিদের সাথে বৈঠকে। "ঐ সময়ে আপনাদের দুই নেত্রী জেলখানায় যে আন্তরিকতা গড়ে উঠেছিল, সেই আন্তরীকতার বহি:প্রকাশ ঘটালেন জাতির জনকের কন্যা, বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা।তিনি গনতন্ত্রের স্বার্থে,শক্তিশালী বিরুদী দলের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে, দেশের সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে,প্রকাশ্য ঘোষনা দিলেন, "একজন নেতা কর্মিকেও আওয়ামী লীগে যোগদান করতে দেয়া হবেনা".।দেশরত্মের ঘোষনায় নিসন্দেহে আপনার দল ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে,রক্ষা পেয়েছে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের দলত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক থেকে। শেখ হাসিনার এই উদারতা দেশের মানুষ তৎক্ষনাৎ বুঝতে না পারলেও সচেতন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ঠিকই বুঝেছেন।আপনার ভক্ত শুসীল সমাজের আলোচনা থেকে সেই দিনের পর রাজনৈতিক দলের গনতন্ত্রের চর্চার বিষয়টি উধাও হয়ে গেছে।এই বদন্যতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই দেখাতে পেরেছেন।এইখানেই সামরিক সরকারের সৃষ্ট দল আর জনগনের আন্দোলন সংগ্রামে সৃষ্ট দলের পার্থক্য।এই জায়গা টুকুতেই শিক্ষিত নেতা আর অশিক্ষিত নেতার পার্থক্য।"এইখানেই বুঝা যায় কে গনতন্ত্রের পুজারি কে গনতন্ত্রধ্বংশকারী।কে ক্ষমতালোভী কে রাজনীতি লোভী।কে দেশের উন্নয়ন অগ্রগিতি চায়,কে ধ্বংশ আর অরাজগতা চায়।"" মাননীয় নেত্রী, আপনি যুদ্ধচলাকালিন পাঞ্জাবীদের সাথে ক্যান্টনমেন্টে নিরাপদে আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করেছেন।পাঞ্জাবী সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যহিক সৌয্যবীয্যের আলোচনাই শুনেছেন।বিপরীত কোন আলোচনা সমালোচনা শুনার সুযোগ আপনার ছিলনা।এইখানে আপনার দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই।আপনি যাহা চেয়েছিলেন তাহা পাননি।মানুষ যা চায়, তা কি সবসময়ে পায়?তাঁদের সাথে বসবাসের কারনে আপনি তাঁদের প্রতি আন্তরীক এতেও আমি দোষের কিছু দেখিনা।জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু আপনাকে গ্রহন করার জন্য জিয়াউর রহমানকে বাধ্য করেছে,ইহাও দোষের নয়।বঙ্গবন্ধু বহুজনের ঘর সংসার রক্ষা করে দিয়েছেন।বহু নির্যাতিত নারীকে আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। অনেকেই আজ স্বাবলম্বি,কোটিপতির খাতায় ও অনেকের নাম জ্বল জ্বল করে জ্বলছে।আপনার প্রতি ভাগ্যদেবী অধিকতর দুর্বল, তা নাহলে কি আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন? ভাঙ্গা সুটকেষ থেকে কি হাজার হাজার কোটি টাকা বের হতে পারে?আলাদীনের চেরাগের কাহিনীকে হার মানিয়েছে আপনার ভাগ্যের কাহিনী।ইহা কি আমি সত্য বলি নাই মাননীয় নেত্রী? যাক, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে বাংলাদেশ আর কিছু দিনের মধ্যে পা দিবে।এমনি সময়ে বিজয়ের মাসের আনন্দ ঘন মহুর্তে শহিদের সংখ্যা বিতর্ক কেন তুলেছেন মাননীয় দেশনেত্রী।আপনি যদি সত্যিকার ভাবে দেশনেত্রী হয়ে থাকেন(আপনার নেতা কর্মিরা এখনও সম্বোধন করে)তবে কি আপনার মুখে বিতর্কটি শোভা পায়?আপনি যাদের রক্ষা করার জন্য নিজের দলের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জোকি গ্রহন করেছিলেন, তাঁদের দিয়ে এই সামান্য বিতর্কটি কি উত্থাপন করানো যেতনা?বিতর্কটি উত্থাপিত আপনার মুখে হওয়ার কারনে দেশের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধে আপনার আশ্রয়দাতা এবং আপনার আনন্দমুখর দিনগুলীর অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতেও দ্বিধাবোধ করছেনা।একজন সাবেক প্রধান মন্ত্রীর এই রুপ সমালোচনা যদিও বিবেকবর্জিত সমালোচনা তার পরও না করে পারছেনা।দেশের মানুষ আপনার এই মন্তব্যে রাগে ক্ষোভে দু:খ্যে যারপরনাই জ্ঞানশুন্য।কি বলতে কি বলছেন হয়তো নীজেরাও জানেনা। অনেকেই এমনতর মন্তব্য করতেও পিছপা হয়নি যে,আপনি নাকি সে দিন বেশি মাত্রায় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মাননীয় দেশনেত্রী, আপনার মুখে প্রায়শ:শুনতে পাওয়া যায়, দেশের ছেলে পেলে গুলোকে পুলিশ অযথা ধরে নিয়ে জঙ্গী সাজাচ্ছে।আপনি আবার বলেন বাংলাদেশে জঙ্গীর উপস্থিতি আছে।জঙ্গী কি ভীন গ্রহের কোন অশরীরি জীব? না অন্য দেশের পুশইন হওয়া কোন সন্ত্রাসী ধর্মীয় উগ্রব্যাক্তিবর্গ বিশেষের সংগঠিত দল? মিরপুরে একটানা ১৮/১৯ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে যাদের ধরা হল তাঁরাতো বাংলাদেশের ছেলে পেলে? আপনি কি বুঝাতে চান মাননীয় নেত্রী পরিস্কার করে বলে দিন না।সরকার কে সেই মতে ব্যাবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে সাহায্য করুন।আপনার বক্তব্যে পরিস্কার বুঝা যায় তাঁদের আপনি চিনেন।দেশ এবং জনগন সর্বপুরি আমাদের উদার ধর্ম ইসলামের শত্রু এই ধর্মীয় জঙ্গীরা, এটাতো সত্যি।ইসলামতো কখনই উগ্রতা পছন্দ করেনা।যারা ধরা পড়েছে তাঁরা ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মী।এরাই কি আই এস আই?বাংলাদেশের নাগরীক কোন দেশের শাষন কায়েম করার জন্য আই এস আই হয়েছেন? মাননীয় দেশনেত্রী, রাজনৈতিক শুন্যতায় বাংলাদেশের বহু অরাজনৈতিক ব্যাক্তি,সেনা সদস্য,ব্যাবসায়ী রাজনীতিবীদ হতে পেরেছেন। রাজনৈতিক শুন্যতা সৃষ্টি না হলে এরাই রাজনীতিবীদদের তল্পিতল্পা বহন করতেন।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাংলাদেশের, জাতির জনকের নির্মম হত্যাকান্ডের পর দেশ পাহারাদারদের শাষনেও আমাদের থাকতে হয়েছে।আপনারমত গৃহবধূ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ একাধিকবার অলংকৃত করতে পেরেছেন।অনেক সেনা কর্মকর্তা এমপি মন্ত্রী হতে পেরেছেন।তাতে কোন দু:খ্য নেই,তাঁরা বাংলাদেশের সচেতন নাগরীক। দু:খ্য হয় যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি,মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে অস্ত্রহাতে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল,যাঁরা আমাদের মা বোনদেরকে পাঞ্জাবি পাঠান খাঁনসেনাদের মনোরঞ্জনের খোরাকে পরিনত করেছিল, যারা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ করে বাংলাকে পোড়ামাটিতে রুপান্তরে সহযোগিতা করেছিল,ক্ষেত্র বিশেষে নীজেরাও সম্পৃত্ত হয়েছিল,যারা নতুন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করে রাখার সুদুরপ্রসারী লরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষে শত শত বুদ্ধিজীবিকে হত্যা করেছে তাঁদের হাতেও আপনি বাংলাদেশের রক্তে রাঙানো পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।তাঁদেরকে আপনার স্বামী মামলা প্রত্যাহার করে জেল থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল।অনেককে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফেরৎ দিয়েছিল।তাঁদেরকে অবাধে ব্যাবসা বানিজ্য করার লাইসেন্স দিয়ে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল।আপনি আর ও একধাপ এগিয়ে তাঁদের কে আপনার সরকারের মন্ত্রী বানিয়ে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা তাঁদের গাড়িতে ব্যাবহার করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। লাখো শহিদের প্রানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অপদস্ত করতেও আপনি দ্বিধাবোধ করেননি। বাংলাদেশের জনগনের প্রানের দাবী যুদ্ধপরাধীদের বিচার। আপনি সেই বিচারের বিপক্ষে অবস্থান করে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের সন্ধি করে ব্যর্থ হয়েছেন।এখন শহিদের সংখ্যা বিভ্রান্তি করে ৪৪বছরের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিতর্কে জড়িয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।আপনার এহেন কর্মকান্ড বাংলাদেশের নতুন প্রজর্ম কোনমতেই সহ্য করবে না।আপনি আপনার রাজনৈতিক পথে নীজেই নীজের কাঁটা বিছিয়ে দিলেন,এই কাঁটা আপনাকেই পরিষ্কার করে রাজপথে নামতে হবে।দেশরত্ম সদয় হয়ে আপনার দল বাঁচিয়ে রাজনীতি করার প্লাটফরম রক্ষা করে দিয়েছেন, রাজপথে নেমে রাজনীতি করার গ্যারান্টি দিতে পারবেনা।আপনি যেমন কয়েক সন্ত্রাসী মাস্তান দিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করতে প্ররোচিত করেছেন,শেখ হাসিনা তেমন প্ররোচিত হয়তো করবেন না, কিন্তু কোন মুক্তি যুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন ব্যাক্তিকে বারন ও করতে পারবেন না।নতুন প্রজর্মের তরুন মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুত আপনার দেশ বিরুদী কর্মকান্ডের সমুচিত জবাব রাজপথেই দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। মাননীয় দেশনেত্রী-বিনীত প্রার্থনা, এখন ও সময় আছে, জাতির নিকট ক্ষমা চেয়ে নিন, নীজকে জাতীয় নেতার মায্যদায় উন্নিত করুন,বিবেকের জ্বালা থেকে দেশবাসিকে মুক্তি দিন।সকল প্রকার ষড়যন্ত্র পরিহার করে গনতন্ত্রের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসুন,দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন।বৃহৎ দলের নেত্রী হিসেবে দায় আপনাকেই নিতে হবে।দেশ আপনার খালি স্যুটকেস পুরে দিয়েছে,বাংলাদেশের সর্বউচ্চ সম্মান প্রধান মন্ত্রী বানিয়েছে,এখনও রাজনীতি করে সময় কাটানোর মত বিরক্তিকর ইস্যু থেকে রক্ষা করে চলেছে।আপনিও দেশের জন্য, গনতন্ত্রের জন্য,উন্নতি অগ্রগতির জন্য এখন ও অনেক কিছুই করতে পারেন,অনেক কিছুই দেয়ার আছে।আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আকুল আবেদন জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। খোদা হাফেজ। আপনার অনুগত একজন সাধারন নাগরীক। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরুধী বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যে অপরাধ খালেদা জিয়া করেছে জাতি তাও ক্ষমা করতে পারেনা,আবার শহিদের সংজ্ঞা নিয়ে বিভ্রানির অপচেষ্টা করে তিনি কার স্বার্থ রক্ষা করতে চান দেশবাসি জানতে চায়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

বেয়োনেটের খোঁচায় জিয়াই শুরু করেন রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতপন বিশ্বাসদৈনিক জনকন্ঠ(মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০)পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিলেন মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালে এই বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়ার পর অন্য কোন সরকার আর এই বিচার কার্যক্রম চালাতে পারেনি। মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আবারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে দেশজুড়ে।স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা নিয়ে নানান মিথ্যাচার করে চলেছে। ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ২৬ হাজারকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়। বাকি ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ক্ষমার আওতামুক্তরয়ে যায়। সামরিক ফরমান জারির মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) মেজর জেনারেল(অব) জিয়াউর রহমান যুদ্ধাপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড প্রাপ্ত ২০, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৬২ যুদ্ধাপরাধীসহ মোট ৭৫২ সাজাপ্রাপ্ত রাজাকারকে মুক্ত করে দেন। এর পরই শুরু হয় এ দেশে রাজাকার পুনর্বাসন কার্যক্রম।রাজাকার পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন। দ্বিতীয় সামরিক ফরমান দিয়েসংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে ধর্মীয় রাজনীতি তথা রাজাকারদের প্রকাশ্য রাজনীতির পথ উন্মুক্তকরেন। ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক দল প্রকাশ্য রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ লাভ করে।১৯৭৫ সালের এই দিনে (৩১ ডিসেম্বর) বিচারপতি সায়েম এক সামরিক ফরমান বলে ‘দালাল আইন, ১৯৭২’ বাতিল করেন। একই সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত সারাদেশের ৬৩টি ট্রাইব্যুনাল বিলুপ্ত করা হয়। একই সামরিক ফরমানে জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই দালাল আইন বাতিলের ফলেট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন সহস্রাধিক মামলা বাতিল হয়ে যায় এবং এ সকল মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ হাজার দালাল, রাজাকার, আলবদর, আল শামস মুক্তি পেয়ে যায়। এর মধ্যে ২০ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত, ৬২ যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ যুদ্ধাপরাধীও মুক্তি পেয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত রাজাকাররা বীরদর্পে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসে।প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতা বহির্ভূত ছিল। ১৯৭৩ সালের ৩০ নবেম্বর সরকারী যে ঘোষণার মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছিল তার মুখবন্ধে এবং উক্ত ঘোষণার ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যারা বাংলাদেশের দন্ডবিধি আইন, ১৮৬০ অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরুদ্ধে দ-বিধি আইন, ১৮৬০ এর অধীন নিম্নোক্ত ধারা মোতাবেক কোনটি অথবা সব অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তারা এ আদেশ দ্বারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়বেন না। এগুলো হলো- ১২১ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো); ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র); ১২৪ক (রাষ্ট্রদোহিতা); ৩০২ (হত্যা); ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা); ৩৬৩ (অপহরণ); ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ); ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা); ৩৭৬ (ধর্ষণ); ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি); ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তির কালে আঘাত); ৩৯৫ (ডাকাতি); ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি); ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্মক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি); ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধন); ৪৩৬ (বাড়ি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবহার) এবং ৪৩৭ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান, পৃষ্ঠপোষকতা বা নেতৃত্ব দেয়া বা প্ররোচিত করা)।সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার অভিযুক্ত দালাল আইন, ১৯৭২ সালে বাতিল হওয়ার পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে রয়ে যাওয়া আরেকটি শক্তিশালী আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ এ দুর্বল ভাষার ব্যবহার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচার বিলম্বের একটি কারণ। আইনটির ৬ ধারায় বলা হয়েছে “দ্য গবর্নমেন্ট মে, বাই নোটিফিকেশন ইন দ্য অফিসিয়াল গেজেট, সেট আপ ওয়ান অর মোর ট্রাইব্যুনালস” অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে এই আইনের কার্যকারিতা। সরকার ইচ্ছা করলে সরকারী গেজেট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে। কিন্তু এই ধরনের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ আইন শর্তসাপেক্ষে প্রণয়ন করারফলে এর কার্যকারিতা দুর্বল হয়। যদি ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হতো তা হলে এটি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব বাড়ত। আইনটি কার্যকর বা বলবত করতে তারিখ দিয়ে যে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারির প্রয়োজন ছিল ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদের আগে তা করা হয়নি।১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর তৎকালীন সামরিক সরকারের সময় প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল (অব) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের শাসনামলে দালাল আইন, ১৯৭২ বাতিল করা হয়। এতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও দালাল আইনে আটক প্রায় ৩৭ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর মধ্যে প্রায় ২৬ হাজার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রেক্ষিতে পূর্বেই বেকসুর খালাসপেলেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতার বাইরে থাকা পূর্বোল্লিখিত গুরুতর কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত ও আটকঅবশিষ্ট প্রায় ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদেরও জেল থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ঘটে। সে সময় এদের মধ্যে যেসব অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধী বিচারের রায়ে ইতোমধ্যে সাজা ভোগ করেছিল তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর পরবর্তী কোন কোন সরকারের শাসনকালে রাষ্ট্রদূত, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়েছে, যারা বাংলাদেশ নামে কোন ভূখন্ডই চায়নি।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার ‘বাংলাদেশ দালাল আইন, ১৯৭২” প্রণয়ন করে এবং যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করে। ১৯৭৩ সালে ৩০ নবেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পূর্বে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দালাল আইনে অভিযুক্ত ও আটক মোট ৩৭ হাজার ৪৭১ অপরাধীর মধ্যে ২ হাজার ৮৪৮ জনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছিল। এর মধ্যে দণ্ড প্রাপ্তহয়েছিল ৭৫২ অপরাধী। বাকি ২ হাজার ৯৬ ব্যক্তি বেকসুর খালাস পায়। দ-প্রাপ্তদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ২০ রাজাকারকে। পরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে এবং দালালির দায়ে অভিযুক্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কিংবা তাদের বিচার বা শাস্তি প্রদানের বিষয়টি ১৯৭৫ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ধামাচাপা পড়ে যায়। ২০০৯ সালের আগে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচারের আর কোন ঘটনা বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ঘটেন