খোলা আবেদন =================== বরাবর, বেগম খালেদা জিয়া। চেয়ারপার্সন, বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল(বিএনপি) বিষয়:- জঙ্গী সম্পর্কিত বিষয়ে ধারনা ও শহীদদের সংখ্যায় বিতর্ক প্রসঙ্গে। জনাবা, যথাবিহীত সম্মানপুর্বক নিবেদন এই,আপনি বাংলাদেশের একজন প্রথম কাতারের রাজনীতিবীদ,বৃহত্তর গনসংগঠন জাতীয়তাবাদি দলের চেয়ারপার্সন,অনুন্নত বাংলাদেশের সাবেক তিন বারের প্রধান মন্ত্রী,সাবেক বিরুদী দলের নেতৃত্বে ছিলেন। ১/১১ এর ঘটনা বহুল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপনি ও বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একত্রে আলাদা আলাদা গৃহে কারাওন্তরালে ছিলেন।রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের জন্য জেল খানা দ্বিতীয় বাড়ী এতে কিছুই যায় আসে না।বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও জীবনের অধিকাংশ সময় জেল খানায় কাটিয়েছেন।কথিত আছে তাঁর জন্য সব সময়ে জেল খানার সরঞ্জাম সহ একটি বাক্স প্রস্তুত করে রাখা হত।সেই সময়ের ব্যাপারটি মানুষ মেনে নিতে পারেনি বলে বিজাতীয় পাঞ্জাবী পাঠানদের বিতাড়িত করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জনগন একতাবদ্ধ হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। মাননীয় নেত্রী, আপনি যদিও অশিক্ষিত হন ভাগ্যদেবী আপনাকে তখনকার সময়ের একজন শিক্ষিত তরুন সামরীক অফিসার কে বরাদ্ধ করেছিলেন বিদায়, আপনার আচার আচরন চলাপেরায় শিক্ষিত মার্জিত একজন গৃহবধুর ভাবমুর্তি সুস্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠতে দেরী হয়নি।রাজনীতির জন্য বা দেশ পরিচালনার জন্য খুব বেশি লেখাপড়ার প্রয়োজন হয়না, তার প্রকৃষ্ট প্রমান আপনি রেখেছেন।কিন্তু অতীব দু:খ্যের সঙ্গে লক্ষ করছি" মহিলারা সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট থাকা তাঁদের ধর্ম" এই পুরুষালী তপ্ত বাক্য থেকে আপনি মুক্ত হতে পারেননি।যাঁর ফলে মেজর জিয়ার মৃত্যুকালে কোন সম্পদ রেখে না গেলেও আপনি তিনবার প্রধান মন্ত্রীত্বের সুযোগ পেয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।দেশের শীর্ষস্থানীয় পরিবারের সদস্য হয়ে,দেশের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করা সর্তেও লুটপাট করে সম্পদ আহরন করা কোনমতেই নীতিনৈতিকতার মধ্যে পড়েনা।যাক আপনি অর্জিত সম্পদ রক্ষা এবং আপনার পরিবারকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বপুরি আপনার"অস্থিমর্জ্জায় লালিত পাকিপ্রেমের অন্ধনুভুতি"কে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার মানসে ন্যাক্কার জনকভাবে মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচারের বিরুধীতা করতেও আপনি কুণ্ঠাবোধ করেননি। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মানবতা বিরুধী সংগঠন জামায়াতের সংগে জোট বেঁধে তাঁদের নেতৃত্ব আপনি গ্রহন করে রাজনীতির সকল সংজ্ঞা বিবর্জিত কর্মকান্ড (জ্বালাও পোড়াও আগুন সন্ত্রাস লুটপাট) পরিচালনা করতেও দ্বিধাবোধ করেননি।এমনতর অবস্থায় দেশকে পৌছে দেয়ার চেষ্টা করেছেন, মধ্যযুগীয় বর্বর যুগে(যাহা থেকে হয়তো আপনিও রক্ষা পাওয়ার কোন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতেননা)।যেমন পারেননি জাসদ ১৯৭৫ ইং সালে। আপনি বাংলাদেশের গনতান্ত্রীক ধারা, আপনার স্বামী প্রতিষ্ঠিত দল,এবং আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যতকেও অন্ধকারে ঠেলে দিতে উদ্যোগি হয়েছিলেন। আপনার সকল প্রচেষ্টা নস্যাৎ হওয়ার পর, প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়ে বলেছিলেন, আপনি আর হিংসাত্বক রাজনীতি করবেন না,যদি কোন দিন সরকারে আসতে পারেন প্রতিশোধ গ্রহন করবেননা। প্রথম বাক্যটি যদিও আপনার রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ফেরৎ আসার ইঙ্গিত বহন করে -দ্বিতীয় বাক্যটি আপনি কেন বলছেন তা অনেকেই না বুঝলেও রাজনীতি সচেতন নাগরিকেরা ঠিকই উপলব্ধি করতে পেরেছেন।তাঁর আগেও তাঁদের প্রতি স্পষ্ট উষ্মা প্রকাশ করে প্রকাশ্য বলেছিলেন, "সেনাবাহিনী বেঈমান"।তাঁরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে মর্মে ওয়াদা করেও ওয়াদা রক্ষা না করার লজ্জায় ঘৃনায় আপনি এখন পয্যন্ত অবরোধ হরতাল প্রত্যাহারেরঘোষনা দিতে পারেননি।আপনার সেই কর্মসুচি চলমান থাকায় আপনার মিত্রদেশ আমেরীকা ও লজ্জায় ঘৃনায় তাঁদের জারী করা রেড এলার্ট প্রত্যাহার করতে পারছেন না।দুই দেশের দুই রাজনৈতিক ভরসার কারনে আন্তজাতিক ভাবে বাংলাদেশ বহু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ও হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।আপনিই বলুন আপনার হরতাল অবরোধ কি এখন ওবহাল আছে?আপনি ও আপনার দল বা জোট কি এখনও তা পালন করছেন? এমনতর পরিস্থিতিতে আপনার দল যখন বহু খন্ডে বিভক্ত হওয়ার উপক্রম,বহুদলীয় গনতন্ত্র হুমকির সম্মুখ্যিন,(,শক্তিশালী বিরুদি দলের অস্তিত্ব থাকা গনতন্ত্রের মুলভিত্তি) গনতন্ত্রের সংজ্ঞার চরম ব্যত্যায়ের উপক্রম,দলে দলে নেতাদের ভীন্ন দলে যোগদান করে নীজেদের রাজনৈতিক ধারা রক্ষায় নিমগ্ন তখন ও আপনি ব্যাস্ত সুদুর লন্ডনে আপনার অথর্ব সন্তান তারেক এবং দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারিদের সাথে বৈঠকে। "ঐ সময়ে আপনাদের দুই নেত্রী জেলখানায় যে আন্তরিকতা গড়ে উঠেছিল, সেই আন্তরীকতার বহি:প্রকাশ ঘটালেন জাতির জনকের কন্যা, বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা।তিনি গনতন্ত্রের স্বার্থে,শক্তিশালী বিরুদী দলের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিয়ে, দেশের সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে,প্রকাশ্য ঘোষনা দিলেন, "একজন নেতা কর্মিকেও আওয়ামী লীগে যোগদান করতে দেয়া হবেনা".।দেশরত্মের ঘোষনায় নিসন্দেহে আপনার দল ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে,রক্ষা পেয়েছে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের দলত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদানের হিড়িক থেকে। শেখ হাসিনার এই উদারতা দেশের মানুষ তৎক্ষনাৎ বুঝতে না পারলেও সচেতন রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ঠিকই বুঝেছেন।আপনার ভক্ত শুসীল সমাজের আলোচনা থেকে সেই দিনের পর রাজনৈতিক দলের গনতন্ত্রের চর্চার বিষয়টি উধাও হয়ে গেছে।এই বদন্যতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলেই দেখাতে পেরেছেন।এইখানেই সামরিক সরকারের সৃষ্ট দল আর জনগনের আন্দোলন সংগ্রামে সৃষ্ট দলের পার্থক্য।এই জায়গা টুকুতেই শিক্ষিত নেতা আর অশিক্ষিত নেতার পার্থক্য।"এইখানেই বুঝা যায় কে গনতন্ত্রের পুজারি কে গনতন্ত্রধ্বংশকারী।কে ক্ষমতালোভী কে রাজনীতি লোভী।কে দেশের উন্নয়ন অগ্রগিতি চায়,কে ধ্বংশ আর অরাজগতা চায়।"" মাননীয় নেত্রী, আপনি যুদ্ধচলাকালিন পাঞ্জাবীদের সাথে ক্যান্টনমেন্টে নিরাপদে আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করেছেন।পাঞ্জাবী সেনা কর্মকর্তাদের প্রত্যহিক সৌয্যবীয্যের আলোচনাই শুনেছেন।বিপরীত কোন আলোচনা সমালোচনা শুনার সুযোগ আপনার ছিলনা।এইখানে আপনার দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই।আপনি যাহা চেয়েছিলেন তাহা পাননি।মানুষ যা চায়, তা কি সবসময়ে পায়?তাঁদের সাথে বসবাসের কারনে আপনি তাঁদের প্রতি আন্তরীক এতেও আমি দোষের কিছু দেখিনা।জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু আপনাকে গ্রহন করার জন্য জিয়াউর রহমানকে বাধ্য করেছে,ইহাও দোষের নয়।বঙ্গবন্ধু বহুজনের ঘর সংসার রক্ষা করে দিয়েছেন।বহু নির্যাতিত নারীকে আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। অনেকেই আজ স্বাবলম্বি,কোটিপতির খাতায় ও অনেকের নাম জ্বল জ্বল করে জ্বলছে।আপনার প্রতি ভাগ্যদেবী অধিকতর দুর্বল, তা নাহলে কি আপনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন? ভাঙ্গা সুটকেষ থেকে কি হাজার হাজার কোটি টাকা বের হতে পারে?আলাদীনের চেরাগের কাহিনীকে হার মানিয়েছে আপনার ভাগ্যের কাহিনী।ইহা কি আমি সত্য বলি নাই মাননীয় নেত্রী? যাক, স্বাধীনতার ৪৫ বছরে বাংলাদেশ আর কিছু দিনের মধ্যে পা দিবে।এমনি সময়ে বিজয়ের মাসের আনন্দ ঘন মহুর্তে শহিদের সংখ্যা বিতর্ক কেন তুলেছেন মাননীয় দেশনেত্রী।আপনি যদি সত্যিকার ভাবে দেশনেত্রী হয়ে থাকেন(আপনার নেতা কর্মিরা এখনও সম্বোধন করে)তবে কি আপনার মুখে বিতর্কটি শোভা পায়?আপনি যাদের রক্ষা করার জন্য নিজের দলের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জোকি গ্রহন করেছিলেন, তাঁদের দিয়ে এই সামান্য বিতর্কটি কি উত্থাপন করানো যেতনা?বিতর্কটি উত্থাপিত আপনার মুখে হওয়ার কারনে দেশের মানুষ, মুক্তিযুদ্ধে আপনার আশ্রয়দাতা এবং আপনার আনন্দমুখর দিনগুলীর অতীত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতেও দ্বিধাবোধ করছেনা।একজন সাবেক প্রধান মন্ত্রীর এই রুপ সমালোচনা যদিও বিবেকবর্জিত সমালোচনা তার পরও না করে পারছেনা।দেশের মানুষ আপনার এই মন্তব্যে রাগে ক্ষোভে দু:খ্যে যারপরনাই জ্ঞানশুন্য।কি বলতে কি বলছেন হয়তো নীজেরাও জানেনা। অনেকেই এমনতর মন্তব্য করতেও পিছপা হয়নি যে,আপনি নাকি সে দিন বেশি মাত্রায় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মাননীয় দেশনেত্রী, আপনার মুখে প্রায়শ:শুনতে পাওয়া যায়, দেশের ছেলে পেলে গুলোকে পুলিশ অযথা ধরে নিয়ে জঙ্গী সাজাচ্ছে।আপনি আবার বলেন বাংলাদেশে জঙ্গীর উপস্থিতি আছে।জঙ্গী কি ভীন গ্রহের কোন অশরীরি জীব? না অন্য দেশের পুশইন হওয়া কোন সন্ত্রাসী ধর্মীয় উগ্রব্যাক্তিবর্গ বিশেষের সংগঠিত দল? মিরপুরে একটানা ১৮/১৯ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে যাদের ধরা হল তাঁরাতো বাংলাদেশের ছেলে পেলে? আপনি কি বুঝাতে চান মাননীয় নেত্রী পরিস্কার করে বলে দিন না।সরকার কে সেই মতে ব্যাবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিতে সাহায্য করুন।আপনার বক্তব্যে পরিস্কার বুঝা যায় তাঁদের আপনি চিনেন।দেশ এবং জনগন সর্বপুরি আমাদের উদার ধর্ম ইসলামের শত্রু এই ধর্মীয় জঙ্গীরা, এটাতো সত্যি।ইসলামতো কখনই উগ্রতা পছন্দ করেনা।যারা ধরা পড়েছে তাঁরা ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মী।এরাই কি আই এস আই?বাংলাদেশের নাগরীক কোন দেশের শাষন কায়েম করার জন্য আই এস আই হয়েছেন? মাননীয় দেশনেত্রী, রাজনৈতিক শুন্যতায় বাংলাদেশের বহু অরাজনৈতিক ব্যাক্তি,সেনা সদস্য,ব্যাবসায়ী রাজনীতিবীদ হতে পেরেছেন। রাজনৈতিক শুন্যতা সৃষ্টি না হলে এরাই রাজনীতিবীদদের তল্পিতল্পা বহন করতেন।ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাংলাদেশের, জাতির জনকের নির্মম হত্যাকান্ডের পর দেশ পাহারাদারদের শাষনেও আমাদের থাকতে হয়েছে।আপনারমত গৃহবধূ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ একাধিকবার অলংকৃত করতে পেরেছেন।অনেক সেনা কর্মকর্তা এমপি মন্ত্রী হতে পেরেছেন।তাতে কোন দু:খ্য নেই,তাঁরা বাংলাদেশের সচেতন নাগরীক। দু:খ্য হয় যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি,মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে অস্ত্রহাতে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল,যাঁরা আমাদের মা বোনদেরকে পাঞ্জাবি পাঠান খাঁনসেনাদের মনোরঞ্জনের খোরাকে পরিনত করেছিল, যারা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ করে বাংলাকে পোড়ামাটিতে রুপান্তরে সহযোগিতা করেছিল,ক্ষেত্র বিশেষে নীজেরাও সম্পৃত্ত হয়েছিল,যারা নতুন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করে রাখার সুদুরপ্রসারী লরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষে শত শত বুদ্ধিজীবিকে হত্যা করেছে তাঁদের হাতেও আপনি বাংলাদেশের রক্তে রাঙানো পতাকা তুলে দিয়েছিলেন।তাঁদেরকে আপনার স্বামী মামলা প্রত্যাহার করে জেল থেকে মুক্ত করে দিয়েছিল।অনেককে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ফেরৎ দিয়েছিল।তাঁদেরকে অবাধে ব্যাবসা বানিজ্য করার লাইসেন্স দিয়ে কোটিপতি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল।আপনি আর ও একধাপ এগিয়ে তাঁদের কে আপনার সরকারের মন্ত্রী বানিয়ে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পতাকা তাঁদের গাড়িতে ব্যাবহার করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। লাখো শহিদের প্রানের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অপদস্ত করতেও আপনি দ্বিধাবোধ করেননি। বাংলাদেশের জনগনের প্রানের দাবী যুদ্ধপরাধীদের বিচার। আপনি সেই বিচারের বিপক্ষে অবস্থান করে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের সন্ধি করে ব্যর্থ হয়েছেন।এখন শহিদের সংখ্যা বিভ্রান্তি করে ৪৪বছরের প্রতিষ্ঠিত সত্যকে বিতর্কে জড়িয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।আপনার এহেন কর্মকান্ড বাংলাদেশের নতুন প্রজর্ম কোনমতেই সহ্য করবে না।আপনি আপনার রাজনৈতিক পথে নীজেই নীজের কাঁটা বিছিয়ে দিলেন,এই কাঁটা আপনাকেই পরিষ্কার করে রাজপথে নামতে হবে।দেশরত্ম সদয় হয়ে আপনার দল বাঁচিয়ে রাজনীতি করার প্লাটফরম রক্ষা করে দিয়েছেন, রাজপথে নেমে রাজনীতি করার গ্যারান্টি দিতে পারবেনা।আপনি যেমন কয়েক সন্ত্রাসী মাস্তান দিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করতে প্ররোচিত করেছেন,শেখ হাসিনা তেমন প্ররোচিত হয়তো করবেন না, কিন্তু কোন মুক্তি যুদ্ধের চেতনা সম্পন্ন ব্যাক্তিকে বারন ও করতে পারবেন না।নতুন প্রজর্মের তরুন মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুত আপনার দেশ বিরুদী কর্মকান্ডের সমুচিত জবাব রাজপথেই দেয়া হবে ইনশাল্লাহ। মাননীয় দেশনেত্রী-বিনীত প্রার্থনা, এখন ও সময় আছে, জাতির নিকট ক্ষমা চেয়ে নিন, নীজকে জাতীয় নেতার মায্যদায় উন্নিত করুন,বিবেকের জ্বালা থেকে দেশবাসিকে মুক্তি দিন।সকল প্রকার ষড়যন্ত্র পরিহার করে গনতন্ত্রের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসুন,দেশ ও জাতিকে রক্ষা করুন।বৃহৎ দলের নেত্রী হিসেবে দায় আপনাকেই নিতে হবে।দেশ আপনার খালি স্যুটকেস পুরে দিয়েছে,বাংলাদেশের সর্বউচ্চ সম্মান প্রধান মন্ত্রী বানিয়েছে,এখনও রাজনীতি করে সময় কাটানোর মত বিরক্তিকর ইস্যু থেকে রক্ষা করে চলেছে।আপনিও দেশের জন্য, গনতন্ত্রের জন্য,উন্নতি অগ্রগতির জন্য এখন ও অনেক কিছুই করতে পারেন,অনেক কিছুই দেয়ার আছে।আপনি আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আকুল আবেদন জানিয়ে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। খোদা হাফেজ। আপনার অনুগত একজন সাধারন নাগরীক। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখহাসিনা

মুক্তিযুদ্ধের মানবতা বিরুধী বিচারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যে অপরাধ খালেদা জিয়া করেছে জাতি তাও ক্ষমা করতে পারেনা,আবার শহিদের সংজ্ঞা নিয়ে বিভ্রানির অপচেষ্টা করে তিনি কার স্বার্থ রক্ষা করতে চান দেশবাসি জানতে চায়।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা