সর্বগ্রাসী দূর্নীতির উৎপত্তি, টি আই বি--বর্তমান সরকারের দূর্নীতি বিরুধী মনোভাব।(৪র্থ কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:--বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিদেশী রাষ্ট্রের তাঁবেদার শাষকশ্রেনী তাঁদের পরামর্শে 'বঙ্গবন্ধুর' যুগান্তকরি শোষনহীন সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার পূরণের নিমিত্তে নেয়া অর্থনীতির ধারা বাতিল করে দেন। তদস্থলে পরাজিত শক্তির শোষন, লুটপাট, বঞ্চনার অর্থনীতি তথা "পূজিবাদী অর্থনীতি"র ধারা প্রবর্তন করেন।
শুরু হয় সমাজের অভ্যন্তরে দেশব্যাপি অসম এক প্রতিযোগীতার ধারা। ব্যাক্তি সাথে ব্যাক্তি,পরিবারের সাথে পরিবারের বিত্তভৈবব অর্জনের প্রতিযোগীতার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অনৈতিকতার বিষবাস্প ঘুষ, দূর্নীতি, দখলবাজী, প্রতারনার নিত্যনতুন কৌশল, ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কার আগে কে বিত্তশালী, অর্থশালী, প্রভাবশালী সাম্রাজ্যের অধিকারি হবে তাঁর এক অলিখিত প্রতিযোগীতায় সমাজ হয়ে পড়ে অস্থির, অসহনশীল।
সমাজে প্রভাব বিস্তারে লক্ষে দূবৃত্তগন আমদানী করতে থাকে পেশী শক্তি প্রদর্শনের নিমিত্তে সন্ত্রাসী, মাস্তান,অস্ত্র, বোমা।একাজে যুক্ত হতে থাকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং শক্তি সামর্থ প্রদর্শনের প্রয়োজনে নব নব আবিস্কৃত অস্ত্র, গোলা বারূদের সংযোজন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতের নাগালে এসে যায় অস্ত্র, মাদক, নারী--জড়িয়ে পড়ে তাঁরা নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত কর্মকান্ডে।
একশ্রেনীর চতুর লোক বেকার যুব সমাজের অর্থনৈতিক দূর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁদেরকে নানাহ প্রলোভনের মাধ্যমে অসামাজিক, অনৈতিক কাজে জড়িয়ে দিতে থাকে। অবশেষে বিপদগামী যুব শক্তিকে ব্যবহার করে তাঁরা চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, দখলবাজীর সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। সেদিনের "ছিচকে চোর" অস্ত্র হাতে পেয়ে রাতারাতি পরিণত হয় আন্ডার ওয়ার্ল্ডের দূর্ধষ্য ক্যাডারে। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ক্যাডারের নামের বহরের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে সাধু ছদ্মবেশী অসাধু লুটেরা, ব্যাংক লুটকারী অসাধু কর্মকর্তা, ব্যাবসায়ী, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যাবসায়ী, ঠিকাদার, ঘুষ খোর সরকারী কর্কর্তাদের চাঁদার পরিমাণ। সর্বত্র চলতে থাকে দূবৃত্তায়ন, পেশীশক্তি প্রদর্শন, মাস্তানী, দখলবাজীর অনিয়ন্ত্রিত মহৌৎসব। দেশব্যাপী গড়ে উঠে ব্যাবসা, বানিজ্য, দখল, পূণ:দখল, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানী, মাস্তনীর নামভিত্তিক সিন্ডিকেট। ধীরে ধীরে সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রন চলে যেতে থাকে দেশের ব্যাবসা, বানিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার।
দেশব্যাপি গড়ে ঊঠে তথাকথিত পশ্চিমা অর্থনীতি পূঁজিবাদের আর্শিবাদে অসুস্থ্য, অসম এক শোষনের নয়া এক সমাজ ব্যবস্থা। দূবৃত্তায়ন, পেশীশক্তি প্রদর্শনের এই বনাঢ্য আয়োজন থেকে বাদ যায়নি রাজনীতিও।রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার দূর্বৃত্ত ব্যাক্তিগনের পেশীশক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে "দেশ ও জাতীর কল্যানে নিবেদিত" দেশ ও জনগনের আশা ভরসার শেষ ঠিকানা" দেশের একমাত্র সংগঠিত শক্তি রাজনীতিকেও তাঁরা প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়। ত্যাগী, আদর্শবান, অভিজ্ঞ, সার্বক্ষনিক রাজনীতিবীদদের বিতাড়িত করে তাঁর স্থান দখল করে নেয় নব্য দখলবাজ, চাঁদাবাজ, পেশীশক্তি সম্পন্ন অথর্ব, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, সন্ত্রাসী, মাস্তান, অরাজনৈতিক সেনাকর্মকর্তা, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তা, সাম্রাজ্যবাদের দোসর সূদখোর এনজিও কর্মকর্তাগন।
এই সমস্ত অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিগন জনকল্যানের বিপরীতে নিজেদের লাভালাভ ঘটিয়েছে ঠিকই অনন্তকালের জন্যে দেশ ও জগনের নীতি নৈতিকতায় ধ্বস নামিয়ে ক্ষতির শেষ সিমানায় নিয়ে গেছে জাতিকে।(চলমান পাতা:-৪)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
রুহুল আমিন মজুমদার:--বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত বিদেশী রাষ্ট্রের তাঁবেদার শাষকশ্রেনী তাঁদের পরামর্শে 'বঙ্গবন্ধুর' যুগান্তকরি শোষনহীন সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার পূরণের নিমিত্তে নেয়া অর্থনীতির ধারা বাতিল করে দেন। তদস্থলে পরাজিত শক্তির শোষন, লুটপাট, বঞ্চনার অর্থনীতি তথা "পূজিবাদী অর্থনীতি"র ধারা প্রবর্তন করেন।
শুরু হয় সমাজের অভ্যন্তরে দেশব্যাপি অসম এক প্রতিযোগীতার ধারা। ব্যাক্তি সাথে ব্যাক্তি,পরিবারের সাথে পরিবারের বিত্তভৈবব অর্জনের প্রতিযোগীতার অন্তরালে লুকিয়ে থাকা অনৈতিকতার বিষবাস্প ঘুষ, দূর্নীতি, দখলবাজী, প্রতারনার নিত্যনতুন কৌশল, ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কার আগে কে বিত্তশালী, অর্থশালী, প্রভাবশালী সাম্রাজ্যের অধিকারি হবে তাঁর এক অলিখিত প্রতিযোগীতায় সমাজ হয়ে পড়ে অস্থির, অসহনশীল।
সমাজে প্রভাব বিস্তারে লক্ষে দূবৃত্তগন আমদানী করতে থাকে পেশী শক্তি প্রদর্শনের নিমিত্তে সন্ত্রাসী, মাস্তান,অস্ত্র, বোমা।একাজে যুক্ত হতে থাকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং শক্তি সামর্থ প্রদর্শনের প্রয়োজনে নব নব আবিস্কৃত অস্ত্র, গোলা বারূদের সংযোজন। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতের নাগালে এসে যায় অস্ত্র, মাদক, নারী--জড়িয়ে পড়ে তাঁরা নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত কর্মকান্ডে।
একশ্রেনীর চতুর লোক বেকার যুব সমাজের অর্থনৈতিক দূর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাঁদেরকে নানাহ প্রলোভনের মাধ্যমে অসামাজিক, অনৈতিক কাজে জড়িয়ে দিতে থাকে। অবশেষে বিপদগামী যুব শক্তিকে ব্যবহার করে তাঁরা চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, দখলবাজীর সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। সেদিনের "ছিচকে চোর" অস্ত্র হাতে পেয়ে রাতারাতি পরিণত হয় আন্ডার ওয়ার্ল্ডের দূর্ধষ্য ক্যাডারে। আন্ডার ওয়ার্ল্ডের ক্যাডারের নামের বহরের উপর নির্ভর হয়ে পড়ে সাধু ছদ্মবেশী অসাধু লুটেরা, ব্যাংক লুটকারী অসাধু কর্মকর্তা, ব্যাবসায়ী, মধ্যস্বত্বভোগী ব্যাবসায়ী, ঠিকাদার, ঘুষ খোর সরকারী কর্কর্তাদের চাঁদার পরিমাণ। সর্বত্র চলতে থাকে দূবৃত্তায়ন, পেশীশক্তি প্রদর্শন, মাস্তানী, দখলবাজীর অনিয়ন্ত্রিত মহৌৎসব। দেশব্যাপী গড়ে উঠে ব্যাবসা, বানিজ্য, দখল, পূণ:দখল, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানী, মাস্তনীর নামভিত্তিক সিন্ডিকেট। ধীরে ধীরে সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রন চলে যেতে থাকে দেশের ব্যাবসা, বানিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার।
দেশব্যাপি গড়ে ঊঠে তথাকথিত পশ্চিমা অর্থনীতি পূঁজিবাদের আর্শিবাদে অসুস্থ্য, অসম এক শোষনের নয়া এক সমাজ ব্যবস্থা। দূবৃত্তায়ন, পেশীশক্তি প্রদর্শনের এই বনাঢ্য আয়োজন থেকে বাদ যায়নি রাজনীতিও।রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার দূর্বৃত্ত ব্যাক্তিগনের পেশীশক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে "দেশ ও জাতীর কল্যানে নিবেদিত" দেশ ও জনগনের আশা ভরসার শেষ ঠিকানা" দেশের একমাত্র সংগঠিত শক্তি রাজনীতিকেও তাঁরা প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়। ত্যাগী, আদর্শবান, অভিজ্ঞ, সার্বক্ষনিক রাজনীতিবীদদের বিতাড়িত করে তাঁর স্থান দখল করে নেয় নব্য দখলবাজ, চাঁদাবাজ, পেশীশক্তি সম্পন্ন অথর্ব, অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, সন্ত্রাসী, মাস্তান, অরাজনৈতিক সেনাকর্মকর্তা, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তা, সাম্রাজ্যবাদের দোসর সূদখোর এনজিও কর্মকর্তাগন।
এই সমস্ত অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিগন জনকল্যানের বিপরীতে নিজেদের লাভালাভ ঘটিয়েছে ঠিকই অনন্তকালের জন্যে দেশ ও জগনের নীতি নৈতিকতায় ধ্বস নামিয়ে ক্ষতির শেষ সিমানায় নিয়ে গেছে জাতিকে।(চলমান পাতা:-৪)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন