সর্বগ্রাসী দূর্নীতি'র উৎপত্তি--টি,আই, বি'র ভূমিকা--বর্তমান সরকারের দূর্নীতি বিরূধী মনোভাব। (দশম এবং শেষ কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:--বিকৃত মানষিকতার বুদ্ধিজীবি যারা--'যারা দেশে নারকীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে তাদেরকে পূর্ণ সমর্থন দিতেও তাঁদের বিবেকে বাঁধেনি'। বিরোধী দল কিংবা সরকারের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোর এহেন অপতৎপরতা এবং নাগরিক সমাজের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা নি:সন্দেহে সুশাসনের অন্তরায়। কোনো দেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং বৃহত্তর কোনো অর্জনে কেবল সরকার নয়, বিরোধী দলসহ সব শ্রেনী-পেশার মানুষকে আন্তরিকভাবে তৎপর হতে হয়। সুশাসন তেমনই একটি বিষয়। সরকার, বিরোধী দল এবং দেশের সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রয়াসেই কেবল সুশাসনের সোনার হরিণকে বাগে আনা যায়। সর্বক্ষেত্রে না সূচক মনমানষিকতা আর যাই হোক--গনতন্ত্র তাঁর স্বাভাবিক গতি পায়না, গনতন্ত্রের স্বাভাবিক গতি না থাকলে সু-শাষন প্রতিষ্ঠা পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।গনতন্ত্র এবং সূশাষন একে অপরের পরিপূরক।
খুনী ও ধর্ষক এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের পক্ষে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ যে দেশের বিরুধীদল সহ নাগরিক সমাজ করতে পারে, সেদেশের সুশাসন সুদূরপরাহতই নয়, কস্মিনকালেও সম্ভব হবেনা। কোনো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হচ্ছে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সহ যে কোন সংঘঠিত অপরাধের বিচার অনুষ্ঠান এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান কায্যকর করা।এক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরোধী দল সহ কতিপয় ব্যাক্তির অবস্থান কেবল বিপরীত ধর্মীই নয় লজ্জাজনক বটে। লজ্জাজনক এই কারনে--শীর্ষ নেত্রী দেশের শীর্ষ স্থান অধিকারি থাকাবস্থায় অগাধ কালটাকার মালিক হয়েছিলেন।তিনি নিজে ক্ষমতা ছাড়ার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সরকারের নির্দিষ্ট কর পরিশোধের মাধ্যমে প্রকাশ্য উক্ত "কালটাকা সাদা' করেন। সেই নেত্রীর নীতিনৈতিকতার বহর যখন মনে পড়ে--চোখ লুকাবার জায়গা পাইনা। নেত্রীর নীতিনৈতিকতা নিয়ে লজ্জিত নাই বা হলাম--তিনি এবং তাঁর পরিবার অশিক্ষিত।তথাকথিত শিক্ষিত জনেরা যখন তাঁর পক্ষে সাফাই গায় তখন লজ্জিত না হয়ে পারিনা।
সারকথা হচ্ছে--বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজনীতি ত্থেকে চিরতরে স্বাধীনতার বিপক্ষশক্তির বিনাশ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা ও গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার নিমিত্তে একাধিক বিকল্প স্বাধীনতার পক্ষশক্তির 'রাজনৈতিক দলের উত্থান' ঘটাতে হবে। এতে সংঘাত যেমন দূরীভূত হবে তেমনি সুশাসনের পথও প্রশস্ত হবে।বাংলাদেশের জনগন নিজের কাজ সেরে ভোট কেন্দ্রে যেতে চায়,তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে এসে ঘুমাতে চায়।সকালে উঠে খবর দেখতে চায়--কোন দল সরকারে গেল।
আমৃত্যু সংঘাতে থাকার জন্যে বাঙ্গালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। প্রতিপক্ষের হামলা মামলার ভয়ে জীবন কাটাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়নি।এরোদোগানের ছবি বুকে লাগিয়ে বুক ফুঁলিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে চলার জন্যে মা বোন ইজ্জত বিলিয়ে দেয়নি। পাকিস্তানের পতাকা গালে এঁকে মেরী মি-মেরী মি--মেরী মি চিৎকার করে জারজ সন্তানদের বেলেল্লাপনার দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্যে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি।স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির সংঙ্গে ভোটযুদ্ধে অবতির্ন হতে হবে কেন?স্বাধীনতা বিরুধীদের সঙ্গে ভোটে হারার গ্লানিমুক্ত থাকাই বাংলাদেশের মানুষের তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির একান্ত কাম্য।
সুশাসনের জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য। নির্বাচনসহ নানা ইস্যু ও অজুহাতে সনাতন ধর্ম ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া স্বাধীনতা বিরুধী শক্তির রাজনৈতিক এজেন্ডায় রুপ নিয়েছে।এই ধারা থেকে জাতিকে পরিত্রান দেয়ার একমাত্র অধিকারী স্বাধীনতার পক্ষে নেতৃত্বদানকারি দলের দ্বারা গঠিত সরকারের।আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা সুশাষন নিশ্চিত করবে- সুশাষন নিশ্চিত করবে অনৈতিকতা, অনৈতিকতা দূর হলে দুর্নীতি যাদুঘরে যেতে বাধ্য হবে।
উল্লেখিত সমূদয় রীতিনীতি প্রতিষ্ঠা কোনক্রমেই স্বল্পসময়ের ব্যাপার নয়। অশুভ বাংলাদেশ বিরুধী শক্তির অনৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় যতদিন সময় লেগেছে অনৈতিকতার পঙ্কিলে সমাজকে নিয়ে যেতে ; নীতিনৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর দ্বিগুনেরও বেশী সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। বদভ্যাসে লিপ্ত হওয়া যত সহজ, ছেড়ে দেয়া তত সহজ নয়। তাছাড়া খোলাবাজার অর্থনীতির বাংলাদেশে দুর্নীতি নির্মূল হয়তোবা সম্ভব নয় ; নিয়ন্ত্রন যে সম্ভব বর্তমান সরকারের বিগত ৮বছরের শাষনকালে দূর্নীতিতে ১ নম্বর অবস্থান থেকে ১৩ নম্ভর অবস্থানে নামিয়ে আনাই প্রমান করে।
গত ৩০/০৭/২০০১৭ ইং বিশ্বখ্যাত ফোবর্স ম্যাগাজিন দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। গর্ব এবং অহংকারের বিষয়টি হচ্ছে ভারতের অবস্থান তালিকার শীর্ষে।এবং অবস্থান অন্যান্ন চারটি দেশ দূর্নীতিতে শীর্ষে থাকলেও বাংলাদেশের নাম উক্ত দুর্নীতির তালিকার কোন পয্যায়েই নেই।(চলমান পাতা:--১০ এবং শেষ)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন