সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, টিআইবি--সরকারের দূর্নীতি বিরূধী মনোভাব।
(দ্বিতীয় কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:--দূর্নীতি" শব্দটি তিন অক্ষরের অত্যান্ত নগন্য শব্দ সত্য, কিন্তু সাধারনে যত সহজে শব্দটির পরিধি, বিস্তৃতি, তাৎপয্য বোধগম্য হয়--বাংলা ভাষায় তদ্রুপ আদৌপান্ত বুঝার মত 'শব্দ' দ্বিতীয়টি চোখে পড়েনা। দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিককে সমাজ দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তি বলে। শব্দটি আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশের সর্বমহলে অত্যান্ত ঘৃনিত, নিন্দিত এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তি ও গোষ্টি শাস্তিমূলক অপরাধী। ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারীক দিক থেকেও অনৈতিক।
লক্ষ করলে দেখা যায় শব্দটি আপাত:দৃষ্টে তিন অক্ষরের হলেও আরো কতক বর্ণরাজী উহার ভিতরে রয়েছে। সাধারনে কয়টি বর্ণ এবং বর্ণগুলির কি নাম--আদৌ বুঝে উঠার ক্ষমতা রাখেনা। 'শব্দটি'র আকারে প্রকারে যেমন বিভিন্ন অক্ষরের সংযুক্তি রয়েছে তেমনি সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবারে ইহার উপস্থীতিতেও রয়েছে বহুবিদ রকমফের।'এমন অনেক কর্মকান্ডে দূর্নীতি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে,যাহা সাধারনে নির্ণয় করা আপাত:দৃষ্টে আদৌ সম্ভব নয়।'
বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সকলেরই আশা ছিল--নতুন দেশটি দুর্নীতিমূক্ত,শোষনমুক্ত, স্বজন প্রীতিমুক্ত হবে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় নতুন দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্র দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি, দখলবাজি, ঘোষ, সূদের সাগরে ডুবে যেতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কলামিষ্টগন তাঁদের নিবন্ধে, কবিতায়, লেখনীতে ঘৃনিত ও' নিন্দিতকারে প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
দুর্নীতি আগে কখনই ছিলনা এমন নয়। সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকতা বা ব্যাপকতা পেতে শুরু করে '৭৫ পরবর্তী অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি সেনা সরকার সমূহের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার মানসে অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে দলে টানার প্রক্রিয়া শুরু হলে।তখন থেকে দুর্নীতি এবং দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি সমাজে তাঁদের অবস্থান ধীরে ধীরে পাকাপোক্ত করে নেয়া শুরু করে।
পরিশেষে এমন একটি অদ্ভূত দূর্নীতিগ্রস্ত সমাজ তাঁরা প্রতিষ্ঠা ককরতে সক্ষম হয় বিজ্ঞজনের লেখনীতে দূর্নীতিবাজ যতবেশী ঘৃনীত, নিন্দিতকারে প্রকাশ পেয়েছে; বাস্তবতায় রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, ব্যাক্তির অন্তরে বিষয়টি ততবেশী গ্রহনীয়, অহংকারী, প্রতিযোগী, সম্মান, মায্যদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
অস্বীকারের উপায় নেই দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তিবর্গ বর্তমান সময়ে এসে রাজনীতি, সমাজনীতি,অর্থনীতির চালিকাশক্তির ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। রাষ্ট্র কতৃক প্রকাশ্য এহেন দূর্নীতিবাজদের পৃষ্টপোষকতা দেয়া শুরু হলে জনগনের ভক্তি শ্রদ্ধায়ও দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। সর্বমহলের নিন্দা, ঘৃনায় 'লজ্জিত দুর্নীতিবাজ' ব্যাক্তি ধীরে ধীরে সমাজের সর্বক্ষেত্রে ভূষনে পরিণত হতে থাকে। দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি ও গোষ্টির সীমাহীন স্পর্ধা বর্তমান সময়ে এমন পয্যায়ে এসে পৌছে গেছে--'স্বয়ং 'মহান আল্লাহ'কেও ঘুষ দিয়ে বশিভূত করার প্রক্রিয়ায় তাঁরা সামিল হতে লজ্জা অনূভব করছেনা।
দূর্নীতিবাজগন দূর্নীতির টাকায় পরকালে আল্লাহর দরবারে সুখে শান্তিতে কোটি বছর অতিবাহিত করার বিশেষ অবলম্বন--'যত্রতত্র 'মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা নির্মানে মনযোগী হয়ে পড়েছেন।একাজে তাঁরা সহযোগী হিসেবে কিনে নিতে পেরেছেন, আমাদের স্বল্প বেতনে তুষ্ট গরীব 'আলেম ওলামাদেরকে'। ফলে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ীঘর বসবাস অনূপযোগী থাকলেও বেশীর ভাগ মসজিদ, মাদ্রাসা,মন্দির, গির্জা শ্বেত পাথরের শুভ্রতায় ঝক ঝক করছে। অথছ কোন কোন মসজিদ মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মূসুল্লি, মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী, মন্দিরে পূজারীও নেই। আপাত:দৃষ্টে অসংলগ্ন বক্তব্যটি অনেকের নিকট বিতর্কিত, অগ্রহন-যোগ্য মনে হতে পারে ; চতূদিকে খোলা চোখে তাকালে ইহার সত্যতা পাওয়া যাবে।
মূলত: '২০০১-২০০৬' ইং সালে চারদলীয় জোটের নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনাকালীন সময়ে দূর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ পরিগ্রহ করে। উক্ত সময়ে '২০০২--২০০৬' ইং সালের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দূর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, বিশ্বের ১৭৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ পর পর ৪বার দূর্নীতিতে শীর্ষস্থান দখল করে। তখন পয্যন্ত বাংলাদেশের বিশ্বদরবারে গর্ব করার তেমন কোন উপযোগিতা না থাকলেও লজ্জিত হওয়ার উপযোগীতায় বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
সঙ্গত কারনে বিষয়টির প্রভাবে বিদেশী বিনিয়োগ, দেশীয় ব্যবসা বানিজ্য, আন্তরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ, চুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে হতাশা নেমে আসে। বাংলাদেশ সর্বদিক থেকে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রের দিকে দাবিত হতে থাকে। উক্ত সময়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ব্যাক্তিবর্গের অবাধ লুন্টন, অর্থপাচার, বিদেশে অর্থলগ্নি, বিদেশী সরকার কতৃক তদীয় দেশের ব্যাংকে জমানো বাংলাদেশের লুটের টাকা জব্দ, বিদেশে ক্রয়কৃত সম্পত্তি তদীয় সরকার কতৃক বাজায়াপ্তের নানাবিধ কাহিনী দেশী--বিদেশী মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয়।দেশের স্বনামধন্য লেখক,বুদ্ধিজীবি,সমাজের নানাস্তরের ব্যাক্তিবর্গ-- "খালেদা পরিবারের দুর্নীতি, লুটপাটের নানাচিত্র তুলে ধরে, তাঁর কূফল ও নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কীত বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করা হলেও অকুন্ঠ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত জিয়া পরিবার কারো কথাই কানে তুলেনি।
বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যাক্তি হিসেবে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজেই নিজের পরিবারের দূর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে সামান্য লজ্জিত বা বুক কাঁপেনি। তাঁর পরিবারের তিন সদস্যই 'মঈন ইউ আহম্মদের সেনা সমর্থিত ফখরু উদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার'কে যথারীতি 'কালটাকা সাদা করার ধায্য কর' পরিশোধ করে সাদা টাকায় রুপান্তর করার মাধ্যমে। দেশবাসী এবং বিশ্ববাসি অবাক, স্তম্ভিত হয়ে পড়ে খালেদা জিয়ার উক্ত নিলজ্জ ঘটনার প্রেক্ষিত বিবেচনায়।বাংলাদেশের সদ্য সর্বোচ্চ নির্বাহী কি করে আয় বহির্ভূত কাল টাকার মালিক হতে পারে! উক্ত অনৈতিক উপার্জনের বিরূদ্ধে সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা আজো নেয়া হয়নি।ব্যবস্থা না নেয়ার কারন মজ্জাগতভাবে এতদিনে বাঙ্গালী চরিত্রে দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বৈধতা পেয়ে গেছে।রাষ্ট্রীয় ভাবে আইনী ব্যবস্থা নিতে গেলে হয়তো বা দেশটাই অনির্দিষ্ট কালের জন্যে অচল করে দিতে পারে।
চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী--রাষ্ট্রপরিচালনায় শীর্ষ ব্যাক্তিত্রয়(মা+দুইছেলে) দূর্নীতিতে জড়িত, সেখানে মনিষীদের উপদেশ মূখরোচক কাহিনী হয়ে জনগনের মূখে মূখেই থেকে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি সবমহলের আশা ছিল-- স্বাধীন সাররবভৌম বাংলাদেশে বসবাসকারী সকলেই যেহেতু একই জাতিসত্বার অধিকারী;সেহেতু সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে অধিক মূল্য, গুরুত্ব, প্রভাব থাকবে--'জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আবিস্কার, উদ্ভাবন, শিল্প, সর্বোপরি আদর্শ, নীতি-নৈতিকতার'।সেখানে---(চলমান-২)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
(দ্বিতীয় কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:--দূর্নীতি" শব্দটি তিন অক্ষরের অত্যান্ত নগন্য শব্দ সত্য, কিন্তু সাধারনে যত সহজে শব্দটির পরিধি, বিস্তৃতি, তাৎপয্য বোধগম্য হয়--বাংলা ভাষায় তদ্রুপ আদৌপান্ত বুঝার মত 'শব্দ' দ্বিতীয়টি চোখে পড়েনা। দূর্নীতির মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিককে সমাজ দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তি বলে। শব্দটি আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশের সর্বমহলে অত্যান্ত ঘৃনিত, নিন্দিত এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তি ও গোষ্টি শাস্তিমূলক অপরাধী। ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারীক দিক থেকেও অনৈতিক।
লক্ষ করলে দেখা যায় শব্দটি আপাত:দৃষ্টে তিন অক্ষরের হলেও আরো কতক বর্ণরাজী উহার ভিতরে রয়েছে। সাধারনে কয়টি বর্ণ এবং বর্ণগুলির কি নাম--আদৌ বুঝে উঠার ক্ষমতা রাখেনা। 'শব্দটি'র আকারে প্রকারে যেমন বিভিন্ন অক্ষরের সংযুক্তি রয়েছে তেমনি সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবারে ইহার উপস্থীতিতেও রয়েছে বহুবিদ রকমফের।'এমন অনেক কর্মকান্ডে দূর্নীতি আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে,যাহা সাধারনে নির্ণয় করা আপাত:দৃষ্টে আদৌ সম্ভব নয়।'
বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সকলেরই আশা ছিল--নতুন দেশটি দুর্নীতিমূক্ত,শোষনমুক্ত, স্বজন প্রীতিমুক্ত হবে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় নতুন দেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্র দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি, দখলবাজি, ঘোষ, সূদের সাগরে ডুবে যেতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কলামিষ্টগন তাঁদের নিবন্ধে, কবিতায়, লেখনীতে ঘৃনিত ও' নিন্দিতকারে প্রতিনিয়ত প্রকাশ করে যাচ্ছেন।
দুর্নীতি আগে কখনই ছিলনা এমন নয়। সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকতা বা ব্যাপকতা পেতে শুরু করে '৭৫ পরবর্তী অবৈধ ক্ষমতা দখলকারি সেনা সরকার সমূহের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার মানসে অ-রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের নানা প্রলোভনের মাধ্যমে দলে টানার প্রক্রিয়া শুরু হলে।তখন থেকে দুর্নীতি এবং দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি সমাজে তাঁদের অবস্থান ধীরে ধীরে পাকাপোক্ত করে নেয়া শুরু করে।
পরিশেষে এমন একটি অদ্ভূত দূর্নীতিগ্রস্ত সমাজ তাঁরা প্রতিষ্ঠা ককরতে সক্ষম হয় বিজ্ঞজনের লেখনীতে দূর্নীতিবাজ যতবেশী ঘৃনীত, নিন্দিতকারে প্রকাশ পেয়েছে; বাস্তবতায় রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, ব্যাক্তির অন্তরে বিষয়টি ততবেশী গ্রহনীয়, অহংকারী, প্রতিযোগী, সম্মান, মায্যদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।
অস্বীকারের উপায় নেই দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তিবর্গ বর্তমান সময়ে এসে রাজনীতি, সমাজনীতি,অর্থনীতির চালিকাশক্তির ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। রাষ্ট্র কতৃক প্রকাশ্য এহেন দূর্নীতিবাজদের পৃষ্টপোষকতা দেয়া শুরু হলে জনগনের ভক্তি শ্রদ্ধায়ও দ্রুত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। সর্বমহলের নিন্দা, ঘৃনায় 'লজ্জিত দুর্নীতিবাজ' ব্যাক্তি ধীরে ধীরে সমাজের সর্বক্ষেত্রে ভূষনে পরিণত হতে থাকে। দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তি ও গোষ্টির সীমাহীন স্পর্ধা বর্তমান সময়ে এমন পয্যায়ে এসে পৌছে গেছে--'স্বয়ং 'মহান আল্লাহ'কেও ঘুষ দিয়ে বশিভূত করার প্রক্রিয়ায় তাঁরা সামিল হতে লজ্জা অনূভব করছেনা।
দূর্নীতিবাজগন দূর্নীতির টাকায় পরকালে আল্লাহর দরবারে সুখে শান্তিতে কোটি বছর অতিবাহিত করার বিশেষ অবলম্বন--'যত্রতত্র 'মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা নির্মানে মনযোগী হয়ে পড়েছেন।একাজে তাঁরা সহযোগী হিসেবে কিনে নিতে পেরেছেন, আমাদের স্বল্প বেতনে তুষ্ট গরীব 'আলেম ওলামাদেরকে'। ফলে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ীঘর বসবাস অনূপযোগী থাকলেও বেশীর ভাগ মসজিদ, মাদ্রাসা,মন্দির, গির্জা শ্বেত পাথরের শুভ্রতায় ঝক ঝক করছে। অথছ কোন কোন মসজিদ মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মূসুল্লি, মাদ্রাসায় ছাত্র ছাত্রী, মন্দিরে পূজারীও নেই। আপাত:দৃষ্টে অসংলগ্ন বক্তব্যটি অনেকের নিকট বিতর্কিত, অগ্রহন-যোগ্য মনে হতে পারে ; চতূদিকে খোলা চোখে তাকালে ইহার সত্যতা পাওয়া যাবে।
মূলত: '২০০১-২০০৬' ইং সালে চারদলীয় জোটের নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনাকালীন সময়ে দূর্নীতি সর্বগ্রাসী রূপ পরিগ্রহ করে। উক্ত সময়ে '২০০২--২০০৬' ইং সালের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের দূর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে, বিশ্বের ১৭৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ পর পর ৪বার দূর্নীতিতে শীর্ষস্থান দখল করে। তখন পয্যন্ত বাংলাদেশের বিশ্বদরবারে গর্ব করার তেমন কোন উপযোগিতা না থাকলেও লজ্জিত হওয়ার উপযোগীতায় বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে বিরল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
সঙ্গত কারনে বিষয়টির প্রভাবে বিদেশী বিনিয়োগ, দেশীয় ব্যবসা বানিজ্য, আন্তরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ, চুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে হতাশা নেমে আসে। বাংলাদেশ সর্বদিক থেকে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রের দিকে দাবিত হতে থাকে। উক্ত সময়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে অধিষ্ঠিত ব্যাক্তিবর্গের অবাধ লুন্টন, অর্থপাচার, বিদেশে অর্থলগ্নি, বিদেশী সরকার কতৃক তদীয় দেশের ব্যাংকে জমানো বাংলাদেশের লুটের টাকা জব্দ, বিদেশে ক্রয়কৃত সম্পত্তি তদীয় সরকার কতৃক বাজায়াপ্তের নানাবিধ কাহিনী দেশী--বিদেশী মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয়।দেশের স্বনামধন্য লেখক,বুদ্ধিজীবি,সমাজের নানাস্তরের ব্যাক্তিবর্গ-- "খালেদা পরিবারের দুর্নীতি, লুটপাটের নানাচিত্র তুলে ধরে, তাঁর কূফল ও নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কীত বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করা হলেও অকুন্ঠ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত জিয়া পরিবার কারো কথাই কানে তুলেনি।
বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যাক্তি হিসেবে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিজেই নিজের পরিবারের দূর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে সামান্য লজ্জিত বা বুক কাঁপেনি। তাঁর পরিবারের তিন সদস্যই 'মঈন ইউ আহম্মদের সেনা সমর্থিত ফখরু উদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকার'কে যথারীতি 'কালটাকা সাদা করার ধায্য কর' পরিশোধ করে সাদা টাকায় রুপান্তর করার মাধ্যমে। দেশবাসী এবং বিশ্ববাসি অবাক, স্তম্ভিত হয়ে পড়ে খালেদা জিয়ার উক্ত নিলজ্জ ঘটনার প্রেক্ষিত বিবেচনায়।বাংলাদেশের সদ্য সর্বোচ্চ নির্বাহী কি করে আয় বহির্ভূত কাল টাকার মালিক হতে পারে! উক্ত অনৈতিক উপার্জনের বিরূদ্ধে সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থা আজো নেয়া হয়নি।ব্যবস্থা না নেয়ার কারন মজ্জাগতভাবে এতদিনে বাঙ্গালী চরিত্রে দূর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ বৈধতা পেয়ে গেছে।রাষ্ট্রীয় ভাবে আইনী ব্যবস্থা নিতে গেলে হয়তো বা দেশটাই অনির্দিষ্ট কালের জন্যে অচল করে দিতে পারে।
চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী--রাষ্ট্রপরিচালনায় শীর্ষ ব্যাক্তিত্রয়(মা+দুইছেলে) দূর্নীতিতে জড়িত, সেখানে মনিষীদের উপদেশ মূখরোচক কাহিনী হয়ে জনগনের মূখে মূখেই থেকে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তি সবমহলের আশা ছিল-- স্বাধীন সাররবভৌম বাংলাদেশে বসবাসকারী সকলেই যেহেতু একই জাতিসত্বার অধিকারী;সেহেতু সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে অধিক মূল্য, গুরুত্ব, প্রভাব থাকবে--'জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আবিস্কার, উদ্ভাবন, শিল্প, সর্বোপরি আদর্শ, নীতি-নৈতিকতার'।সেখানে---(চলমান-২)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন