সর্বগ্রাসী দূর্নীতির উৎপত্তি, টি আই বি' র ভূমিকা--বর্তমান সরকারের দূর্নীতি বিরূধী মনোভাব--  (৬ষ্ঠ  কিস্তি)

  রুহুল আমিন মজুমদার:--'৭৫ পরবর্তী খুনিচক্র, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি, চাটুকার, মৌসাহেব,পুঁজিবাদের দোষরদের সম্মিলীত শক্তি "বাকশালের" বিপরীতে আমদানী করে "বাজার অর্থনীতির দর্শন")। তাঁরা তাঁদের প্রভুদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আ-জীবন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ,  পরিপক্ক রাজনীতি, নিচ্ছিদ্র অভিজ্ঞতা, মেধা, প্রাজ্ঞতার উৎগীরনকৃত দর্শন  "বাকশাল"কে পরিত্যাগ করে।

   বিশ্বব্যাপী স্নায়ু যুদ্ধের ভয়াবহ আন্তজাতিক রাজনীতি, বাংলাদেশের  ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, পাশ্ববর্তী বৃহৎ জনসংখ্যা অধ্যুষিত প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনা সাপেক্ষ প্রাজ্ঞতা, অভিজ্ঞতা, সর্বোৎকৃষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক মেধার উৎসরনের অপর নাম 'বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ'(বাকশাল)। অশুভ শক্তির জোট "সর্বদলের সারমর্ম একমাত্র জাতীয় দল (বাকশাল)কে পরিহার করে তদস্থলে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত "পশ্চিমা পুজিবাদী গনতন্ত্রের" ধারায় চালু করে তথাকথিত "বহুদলীয় রাজনীতির উদ্ভট দর্শন।" গনতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম সহনশীলতার মাধ্যম " বহু মত ও পথের একাধিক রাজনৈতিক দলের সহবস্থানে"র ধারনার বিপরীতে ''বহুদলীয়" শব্দটি যুক্ত করে মূলত: অশুভ শক্তি  সারাসরি "ডানপন্থি উগ্রবাদের" চরম ধারায় নিজেদের সম্পৃত্ত করে নেয়।

      বাংলাদেশে বসবাসরত সর্বস্তরের বাঙ্গালী অধিবাসির মন মেজাজ, ষড় ঋতুর নানামূখী আবাহাওয়া উপযোগী দর্শন "বাকশালে'র বিপরীতে--পশ্চিমা জগতের ভদ্রতার আবরনে ঢাকা পূঁতিগন্ধময় প্রতিযোগীতামূলক "বাজার অর্থনীতি" (মূলত: পুঁজিবাদী অর্থনীতি") দর্শন আমদানী করে--"খুনীচক্র দেশব্যাপি লুটপাটের রামরাজত্ব কায়েম করে"। সঙ্গত কারনে ব্যাক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার সর্বত্র প্রতিযোগীতা মূলক অর্থনীতির ধারনা সহজ উপায় "গরীব থেকে 'ধনীতে রুপান্তরের" মানষিকতা' বাঙ্গালী চরিত্রে দ্রুত প্রভাব বিস্তার করে। বাঙালীর আজম্ম পরাধীনতার চারিত্রিক বৈশিষ্ট "মৌসাহেবী"কে মাধ্যম করে সদ্য ক্ষমতাসীন খুনীচক্রের কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে রাতারাতি বঙ্গবন্ধু সরকারের জাতীয়করনকৃত জনগনের সম্পদ--"কল কারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান নামমাত্র মূল্যে, ক্ষেত্র বিশেষ বিনামূল্যে ধুর্ত ব্যাক্তিদের পক্ষে নামজারী, ভূয়া রেজি: ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে নেয়।রাষ্ট্র দুর্নীতি বাজ ব্যাক্তিদের এই সমস্ত  অনৈতিক কাজে সর্বাত্বক সহযোগীতা প্রদান করতে থাকে।

     পূঁজিতান্ত্রিক অর্থনীতির সুযোগে পাকিস্তানের ২৩ বছর শাষনামলে কতিপয় ব্যাক্তি ও সংস্থা জাল জালিয়াতি, লূটপাটের মাধ্যমে সমূদয় সম্পদ গুটিকয়েক পরিবার সঞ্চিত করেছিল।  ধনাঢ্য সেই ২২ পরিবারের পরিত্যাক্ত  বাড়ী, গাড়ী, শিল্প, বাগান, সম্পত্তি জালজালিয়াতির মাধ্যমে খুনীচক্র, স্বাধীনতা বিরুধীচক্র দখল করে নেয়। সরকারি বাড়ী, গাড়ী, প্লট, প্লাট, খাস ভূমি, স্থাপনা কিছুই রেহাই পায়নি দখলবাজ পাকি প্রেতাত্বাদের কবল থেকে। এবং কি তাঁদের নিকটতম বন্ধু বিহারীদের ফেলে যাওয়া বাড়ী, ,গাড়ী, ব্যাবসা, বানিজ্য, প্রতিষ্ঠান দখল করে নিতেও দ্বিধা করেনি।শহর বন্দর, গ্রামেগঞ্জে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়িয়ে বাঙ্গালী সংখ্যালুঘু হিন্দুদেরকে ভয়ভীতি, মারপিট, দাঙ্গাহাঙ্গামার মাধ্যমে  তাঁদের যুগযুগান্তরের অর্জিত সহায় সম্পদ,ব্যবসা বানিজ্য,স্থাপনা প্রতিষ্ঠান পেলেরেখে দেশত্যাগে বাধ্য করে।সংখ্যালুঘুদের পরিত্যাক্ত সম্পদ ও সম্পত্তি স্থানীয় প্রভাবশালী একাধিক দূর্বৃত্ত যোগসাজসে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে।

      ধূর্ত সাম্প্রদায়িক গোষ্টি, মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী রাজাকার, আলবদর, শান্তিবাহিনীর সদস্য, বঙ্গবন্ধুর খুনীচক্র, সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন স্বাধীনতা বিরুধীচক্র সম্মিলীত ভাবে লুটপাট, দখলবাজি, কালবাজারী, হঠকারীতা, চৌয্যবৃত্তি, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রাতারাতি ফুঁলেফেঁপে কলাগাছে পরিণত হয়। একসময়ে ঘামের গন্ধে যাদের পাশে বসার উপায় ছিলনা সময়ের ব্যবধানে তাঁদের গাড়ীর পেট্রোলের পোড়া গন্ধে গ্রাম, পাড়া মহল্লায় স্বাভাবিক ধম বন্ধ হয়ে সাধারন মানুষের  মৃত্যুর আশংকা দেখা দেয়।  পশ্চিমাদের বাড়ীর পাহারাদার, তল্পিবাহক, মৌসাহেব গন সময়ের ব্যবধানে পরিণত হয় বহু সহজ সরল বাঙ্গালী পাহারাদারের 'অক্ষর জ্ঞান শুন্য 'মস্তবড় সাহেবে'।

     মূলত: জাতির জনকের হত্যাকারী অশুভচক্র অবৈধ, অনৈতিক, নিকৃষ্টতম উপায়ে ক্ষমতা দখল করনকে জাতীয় পয্যায় বৈধতা দানের মানষিকতায় ইচ্ছাকৃত বাঙ্গালী জাতীকে অনৈতিকতার সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনৈতিকতার বিষবাস্প ছড়িয়ে দিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশ পরিচালনার নিমিত্তে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু সরকার কতৃক প্রনীত, দেশে বিদেশে সর্বজনগ্রাহ্য সংবিধান উপেক্ষা করে খুনীচক্র রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে।বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রনীত  সংবিধানে রাষ্ট্র, সরকার, সংবিধানের একমাত্র  রক্ষক সুপ্রিমকোর্টকে সমূদয় ক্ষমতার অধিকারী করে ধারা সংযুক্ত করা হয়েছিল।আইন প্রনয়ন, রাষ্ট্র পরিচালনা, দেশ ও জনগনের যে কোন  জটিলতা দেখা দিলে সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত ধরে ধারাও সংযুক্ত করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং তৎপরবর্তী খুনীচক্রের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল পরবর্তীতে রাষ্ট্রের 'পাহারাদার'দের ক্ষমতা দখল, সংবিধান স্থগিত, জনগনের মৌলিক অধিকার সমূহ স্থগিত, জনগনের চলাচলের স্বাধীনতা খর্ব করে "মার্শাল ল" জারি ইত্যাদি নানা উপায়ে দেশ শাষন করার পরও 'রাষ্ট্রের রক্ষক' 'সুপ্রীমকোর্ট' ছিল একেবারেই নীরব নির্বীকার। ক্ষেত্র বিশেষে "সুপ্রিমকোর্টে'র বিচারপতিগন অশুভশক্তির ক্ষমতা দীর্ঘায়িতকরন, পাকাপোক্তকরনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতা দিয়েছে"।প্রধান বিচারপতি এবং আপীল বিভাগের বিচারপতি গনের মধ্যে অনেকে রাষ্ট্রপতি পদ সহ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করে তাঁদের শাষনকালকে দেশে বিদেশে বৈধতা দিয়েছিলেন।

    বাংলাদেশের জনগন তাঁদের শাষন ক্ষমতা পূণ:দ্ধার এবং গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে দীর্ঘ একুশ বছর সেনাশাষক, স্বৈরাচারী শাষক, খুনীচক্রের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে লিপ্ত থাকে।  অবশেষে ১৯৯০ ইং সালে রাজপথে রক্তের স্রোত ঢেলে দিয়ে  গনতন্ত্র, জনগনের শাষন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জনগন চুড়ান্ত  বিজয় অর্জন করে। এমত:বস্থায় নিলজ্জ 'উচ্চ আদালত' (সুপ্রীমকোর্ট) একুশবছর অবৈধ সরকার সমূহের পদলেহন করে, জনগনের হাতে ক্ষমতা আসার পর জৈনক "মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র" মামলার রায়ের পয্যবেক্ষন সংযুক্তিতে 'সেনা শাষক'দের  ক্ষমতা দখল "অবৈধ এবং তাঁদের সমূদয় সংশোধনী" বাতিল ঘোষনা করে।

    ততদিনে বাঙ্গালী মানসে জাতীয়ভাবে অশুভশক্তি অনৈতিকতার বিষ রন্ধে রন্ধে প্রবেশ করে পূর্ণ কায্যকর অবস্থায় বিরাজমান। সমগ্র  জাতি নীতিনৈতিকতা হারিয়ে "কি বৈধ, কি অবৈধ, পার্থক্য করার বোধশক্তি হারিয়ে পেলেছে। বর্তমান সময়ে অনেকেই মনে করেন সেনাশাষক গন এবং তাঁদের শাষনকাল বৈধ ছিল এবং কি উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষনা করে রায় দেয়ার পরও। মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার করার বিপক্ষে অনেকের অবস্থান সুস্পষ্ট ছিল এবং কি মানবতা বিরূধী বিচার বানচালে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে প্রতিতযসা বুদ্ধিজীবিদের অনেকেরই সায় দেখা গেছে।

    খালেদা পরিবারের দূর্নীতি তাঁদের নিজস্ব স্বীকারোক্তি বলা যায়।কালটাকা সাদা করে প্রমান করেছেন তাঁরা  স্বঘোষিত দূর্নীতিবাজ, কাল টাকার মালিক-।-তাঁদের দখলীয় রাষ্ট্রীয় সম্পদ আদায় করার উদ্যোগ নিতে গেলে তাঁদের রক্ষা এবং তাঁদের সম্পদ রক্ষা করার আন্দোলন--এই বাংলাদেশেই হয়। অনৈতিক আন্দোলনে তদীয় সমর্থক ব্যাতিরেকে সুসিল সমাজের বিদ্যান ব্যাক্তিদের সমর্থন, সহযোগীতা চোখে পড়ার মতই লক্ষনীয়, অস্বীকারের উপায় নেই।একবারের জন্যেও কাউকে  চিন্তা করতে দেখিনা সেইদিনের ভাঙ্গা স্যুটকেস, ছেঁড়া গেঞ্জীর ভিতর থেকে এত সম্পদ, অর্থবিত্ত কি করে বের হল!

      জাতির নীতি নৈতিকতা কত নিম্নগামী হয়েছে মাত্র ত্রিশ/বত্রিশ বছরের ষড়যন্ত্র, অপশাষনের কারনে তাঁর চিত্র সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান।  কালটাকার মালিক সংসদ সদস্য সহ অপরাপর জনপ্রতিনীধি নির্বাচনে সৎ, নির্লোভ, জনবান্ধব, ত্যাগীদের বিপুল ভোটে হারিয়ে দেয়। দূর্নীতিবাজ ব্যাক্তির গাড়ীর পিছনে শতশত মানুষ প্রতিনিয়ত দাবমান। তিনি হচ্ছেন সমাজ হৈতষি, পরপোকারী জনবান্ধব।একবারও কেউ চিন্তা করে দেখেনা--জনবান্ধব লোকটিই ব্যাংকের কোটি কোটি জনগনের টাকা ফেরৎ দেয়নাই।সেই চুরির টাকায় কেনা এই গাড়ীটিও।

আমি কাউকে বলতে শুনিনা--জিয়া/এরশাদ অবৈধ উপায়ে বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল করেছিল।বরং অনেকে বলতে শুনী তাঁরা সফল রাজনীতিবীদ ছিলেন! কেউ কেউ আগবাড়িয়ে বলে থাকেন--মেজর জিয়া ছিল নির্লোভ, সফল রাষ্ট্রনায়ক! !" জেনারেল এরশাদকে অনেকেই বলেন 'পল্লিবন্ধু'! উপরোক্ত কথাগুলী অশিক্ষিতরাই শুধু বলে তা নয়--দেশের শিক্ষিত সমাজের অনেকের মধ্যে বুদ্ধিজীবি, সুসিল, উচ্চপদস্ত সাংবাদিক সাহিত্যিকেরাও বলেন। জাতীগতভাবে নীতিনৈতিকতার মানদন্ড কতবেশী নিম্নগামী হলে বিপরীতধর্মীতা সর্বস্তরে গ্রহনযোগ্যতা পেতে পারে--তাও কি বলার অপেক্ষা রাখে!!
(চলমান পাতা:--৬)
      ruhulaminmujumder27@gmail.com

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা