সর্বগ্রাসি দূর্নীতি, টি,আই, বি--সরকারের দূর্নীতি বিরূধী মনোভাব।
(প্রথম কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:-বিশ্বখ্যাত ফোবর্স ম্যাগাজিনের দ: এশিয়ায় দূর্নীতি বিষয়ক রিপোর্ট গত পহেলা সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে।উক্ত নিবন্ধে তথ্য উপাত্ত সহকারে ভারতকে একনম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।পয্যায়ক্রমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ ৫টি দেশকে অধিক দূর্নীতিগ্রস্ত দেখালেও বাংলাদেশ উক্ত অধিকের তালিকায় আসেনি।ইহার অর্থ এই নয় যে, দূর্নীতি হচ্ছেনা, তবে প্রকোপ যে অনেকাংশে কমেছে ইহাও বলার অপেক্ষা রাখেনা। এতে সন্তোষ প্রকাশের কোনপ্রকার অবকাশ আছে বলে মনে করিনা।
প্রতিযোগীতার অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখে দুর্নীতি শুন্যের কোটায় আনা যাবেনা সত্য, নিয়ন্ত্রন করা যে সম্ভব সদ্য প্রকাশিত ফোবর্সের তালিকাই তা প্রমানের জন্যে যথেষ্ট।গত বছর প্রকাশিত দুর্নীতির তালিকায় বাংলাদেশ দ:পূর্ব এশিয়ায় তৃতীয় স্থানে ছিল, সরকারের দূর্নীতি বিরুধী মনোভাব এবং দূর্নীতি দমন কমিশনের বিরামহীন অভি্যানের কারনে হয়তোবা দূর্নীতি স্তিমিতকার ধারন করেছে। উক্ত অভিযানে শীতিলতা দেখা দিলে দূর্নীতি তুলনামূলক বেড়ে যাবে,ইহা বলার অপেক্ষা রাখেনা। উল্লেখ্য দুর্নীতি দমন কমিশন চলতি অর্থ বছরের প্রথমদিক থেকে আটটি দলে বিভক্ত হয়ে বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে চলেছে। মোটামোটি অভিযানের সূফল যে দৃশ্যমান হচ্ছে, ফোবর্সের রিপোর্ট পয্যালোচনা করলেই যে কারো বোধগম্য হওয়ার কথা।
সাধারনত: "দূর্নীতি" বলতে আমরা বুঝি--
(১)অবৈধ উপায়, অনৈতিক ভাবে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো অর্থ সম্পদ জোরপূর্বক দখল। (২) যে কোন সরকারি বেসরকারি কাজ, সেবা মূলক কাজের বিনিময়ে অর্থ, সম্পদ, উপহার গ্রহন।(৩) অপর কোন ব্যাক্তির অর্থ সম্পদ প্রতারনা বা জোচ্ছরির মাধ্যমে আত্মসাৎ (৪) কারো সম্পদ, অর্থ, উপহার গ্রহন ইত্যাদি মন্দ কাজ সমূহকে দূর্নীতি বলি।
দুর্নীতি অর্থ উপার্জনের এমন একটি অবৈধ উপায়- যাহা পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত, দুষনীয়, অপরাধ মূলক কাজ। এককথায় দূর্নীতি সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যাবসা, চাকুরি সহ "সর্বক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা বিবর্জীত উপায় অর্থ বা সম্পদ আহরন করাই দুর্নীতি। যে ব্যাক্তি, গোষ্টি,সম্প্রদায় উল্লেখিত বিষয়গুলীর একটির সাথে সম্পৃত্ত থাকে সেই ব্যাক্তি, গোষ্টি ও সম্প্রদায় রাষ্ট্রীয় আইন, ধর্মীয় বিধান, সামাজিক রীতি নীতিতে নিন্দিত এবং রাষ্ট্রীয় প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধী।(চলবে)
(প্রথম কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:-বিশ্বখ্যাত ফোবর্স ম্যাগাজিনের দ: এশিয়ায় দূর্নীতি বিষয়ক রিপোর্ট গত পহেলা সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে।উক্ত নিবন্ধে তথ্য উপাত্ত সহকারে ভারতকে একনম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।পয্যায়ক্রমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান সহ ৫টি দেশকে অধিক দূর্নীতিগ্রস্ত দেখালেও বাংলাদেশ উক্ত অধিকের তালিকায় আসেনি।ইহার অর্থ এই নয় যে, দূর্নীতি হচ্ছেনা, তবে প্রকোপ যে অনেকাংশে কমেছে ইহাও বলার অপেক্ষা রাখেনা। এতে সন্তোষ প্রকাশের কোনপ্রকার অবকাশ আছে বলে মনে করিনা।
প্রতিযোগীতার অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখে দুর্নীতি শুন্যের কোটায় আনা যাবেনা সত্য, নিয়ন্ত্রন করা যে সম্ভব সদ্য প্রকাশিত ফোবর্সের তালিকাই তা প্রমানের জন্যে যথেষ্ট।গত বছর প্রকাশিত দুর্নীতির তালিকায় বাংলাদেশ দ:পূর্ব এশিয়ায় তৃতীয় স্থানে ছিল, সরকারের দূর্নীতি বিরুধী মনোভাব এবং দূর্নীতি দমন কমিশনের বিরামহীন অভি্যানের কারনে হয়তোবা দূর্নীতি স্তিমিতকার ধারন করেছে। উক্ত অভিযানে শীতিলতা দেখা দিলে দূর্নীতি তুলনামূলক বেড়ে যাবে,ইহা বলার অপেক্ষা রাখেনা। উল্লেখ্য দুর্নীতি দমন কমিশন চলতি অর্থ বছরের প্রথমদিক থেকে আটটি দলে বিভক্ত হয়ে বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে চলেছে। মোটামোটি অভিযানের সূফল যে দৃশ্যমান হচ্ছে, ফোবর্সের রিপোর্ট পয্যালোচনা করলেই যে কারো বোধগম্য হওয়ার কথা।
সাধারনত: "দূর্নীতি" বলতে আমরা বুঝি--
(১)অবৈধ উপায়, অনৈতিক ভাবে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে কারো অর্থ সম্পদ জোরপূর্বক দখল। (২) যে কোন সরকারি বেসরকারি কাজ, সেবা মূলক কাজের বিনিময়ে অর্থ, সম্পদ, উপহার গ্রহন।(৩) অপর কোন ব্যাক্তির অর্থ সম্পদ প্রতারনা বা জোচ্ছরির মাধ্যমে আত্মসাৎ (৪) কারো সম্পদ, অর্থ, উপহার গ্রহন ইত্যাদি মন্দ কাজ সমূহকে দূর্নীতি বলি।
দুর্নীতি অর্থ উপার্জনের এমন একটি অবৈধ উপায়- যাহা পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নীতি নৈতিকতা বহির্ভূত, দুষনীয়, অপরাধ মূলক কাজ। এককথায় দূর্নীতি সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যাবসা, চাকুরি সহ "সর্বক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা বিবর্জীত উপায় অর্থ বা সম্পদ আহরন করাই দুর্নীতি। যে ব্যাক্তি, গোষ্টি,সম্প্রদায় উল্লেখিত বিষয়গুলীর একটির সাথে সম্পৃত্ত থাকে সেই ব্যাক্তি, গোষ্টি ও সম্প্রদায় রাষ্ট্রীয় আইন, ধর্মীয় বিধান, সামাজিক রীতি নীতিতে নিন্দিত এবং রাষ্ট্রীয় প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধী।(চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন