সর্বগ্রাসী দূর্নীতির উৎপত্তি, টি আই বি--বর্তমান সরকারের দূর্নীতি বিরূধী মনোভাব। (তৃতীয় কিস্তি)
রুহুল আমিন মজুমদার:--প্রারম্ভিক পয্যায় "জাতির জনক বঙ্গবন্ধু" পাকিস্তান জেল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের হাল ধরেন। এবং প্রথমাবস্থায় তিনি সর্বস্তরে নীতিনৈতিকতার আদর্শকে প্রধান্য দিয়ে তাঁর রাষ্ট্রপরিচালনার কাজ শুরু করেন। তিনি মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন--' স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙ্গালী কৃষক, শ্রমিক,ছাত্র, জনতা সহ অন্যান্ন জাতি-গোষ্টি সমূহ আ-জম্ম শৃঙখল মুক্তির মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের সর্বস্ব ত্যাগ করে যুদ্ধ করেছে।
তিনি আরো বিশ্বাস করতেন বাঙ্গালী জাতীর বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের সঙ্গে অপরাপর জাতি, গোষ্টি, সম্প্রদায় সমূহ--ধর্ম, বর্ণ, গোষ্টি ভেদাবেদ ভুলে একতাবদ্ধ হয়েছিল। অত্রভূখন্ডের স্থায়ী সকল নাগরিক তাঁদের সর্বস্ব উজাড় করে মরনপণ অসম যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে কাংক্ষীত স্বাধীনতার লাল সূর্য্য চিনিয়ে এনেছে।
সুতারাং তিনি মনে করেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পরিচালনায় ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্টি সম্প্রদায় ভেদে সকল নাগরিক সমান অধিকারের দাবীদারে পরিণত হয়েছে। অর্জিত সার্বভৌম ভূখন্ডে জাতি, গোষ্টি, ধর্ম, বর্ণ ভেদে যেহেতু সকলেই স্বতন্ত্র 'বাঙ্গালী জাতি'র জাতিসত্বার অধিকার আদায়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং সার্বভৌম ভূখন্ডের স্থায়ী অধিবাসি সংখ্যালুঘু জাতি, গোষ্টি, সম্প্রদায় একজোটে বাঙ্গালী জাতীসত্বার পূর্ণতা প্রাপ্তিতে তাঁদের নি:শর্ত অবদান রেখেছিল।নি:সন্দেহে তাঁদের অকুন্ট নি:শর্ত সমর্থন ভূখন্ডের অধিবাসি হিন্দু-মুসলিম বাঙ্গালী সংখ্যাগরিষ্ট নাগরীকদের দীর্ঘযুগের স্বতন্ত্র জাতিসত্বা আদায়ের সংগ্রামকে বিশ্ব দরবারে গৌরাম্বিত করেছে।ভূখন্ডে বসবাসরত: সংখ্যাগরিষ্ট বাঙ্গালী নাগরিকদের সঙ্গে অন্যসকল সংখ্যালঘু স্থায়ী নৃগোষ্টি নাগরিকগন স্বাধীন দেশের সর্বক্ষেত্রে সমান সুযোগ, সুবিধা, অধিকার পাওয়ার নৈতিক, আত্মিক, বৈষয়িক সহ সর্বদিক বিবেচনায় অধিকারী।
সুতারাং রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি সহ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সমান সুযোগ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রকে অঙ্গিকারাবদ্ধ রেখে 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু' তাঁর সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশের সু-লিখিত সংবিধান রচনা করার জন্যে তাঁর সহযোগীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।তাঁর নির্দেশ মোতাবেক রচিত নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে তিনি অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রে বসবাসরত: নাগরিকদের--'জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আবিস্কার, উদ্ভাবন, শিল্প, সর্বোপরি আদর্শ, নীতি, নৈতিকতার'।
উক্ত আদর্শকে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে প্রতিফলিত করার নিমিত্তে তিনি সর্বতোভাবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্টি, সম্প্রদায়গত ভেদাভেদের উধ্বে অ-সাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ সু-লিখিত একটি সংবিধান স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতিকে উপহার দেন। শুধু এখানেই তিনি ক্ষান্ত হননি--''তিনি রাষ্ট্রকে উক্ত অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে অঙ্গিকারাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে "সংবিধান প্রস্তাবনার শিরোভাগে অ-পরিবর্তনীয়, অ-মোছনীয়, অলঙনীয় "চার মূলস্তম্ভে''র অন্যতম একটি স্তম্ভ "ধর্মনিরপেক্ষতা বাদে"র নীতি সংযোজন করেন।
উক্ত অ-সাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ নীতি নৈতিকতার আদর্শকে সমুন্নত রেখে তিনি রচনা করেছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র পরিচালনার সু-লিখিত দলিল 'সংবিধান'। এখানেই শেষ নয়--"রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইন কাঠামো, রীতিনীতি সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধনে সংবিধানের মূল 'চার স্তম্ভে'র সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার বাধ্যবাধকতার বিধানও তিনি রেখেছিলেন।এইরূপ ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট আইন-কাঠামো, রীতিনীতির সাংঘর্ষিক অংশ বা পূর্ণাঙ্গ 'স্বয়ংক্রিয় বাতিলের ঘোষনা সংযোজন' করে 'সম্পর্ণ সংবিধানকে তিনি মূলত: চার স্তম্ভের গ্যারান্টি ক্লজে' পরিণত করেছিলেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই--বঙ্গবন্ধু' খুব কম সময়ের মধ্যে (মাত্র দশমাসের মধ্যে) বাঙ্গালী জাতীকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধান শাষক পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ২৩বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেও জাতি পায়নি। উক্ত সংবিধান বাংলাদেশ সরকারের প্রেস থেকে গেজেটাকারে প্রকাশের পর দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের টনক নড়ে উঠে। বঙ্গবন্ধু সরকারকে ব্যর্থ সরকারে রুপান্তরের লক্ষে হেন কোন কাজ নেই যা যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা করেনি। (সেই ইতিহাসে অদ্য যেতে চাইনা।)
'৭৫ ইং ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনীচক্র এবং পরবর্তীতে সেনা শাষক, স্বৈরশাষক গন 'বাজার অর্থনীতি'র অন্তরালে প্রতি্যোগীতা মূলক "পুঁজিবাদী অর্থনীতি'র ধারা চালু করেন। উল্লেখ্য খুনী চক্র সর্বদাই 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে'র পূণ:ত্থানের ভয়ে ভীত ছিল।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্থানরোধে খুনীচক্র অশুভ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, সাম্রাজ্যবাদী, সামন্তবাদী, সম্প্রসারন বাদী শক্তির সংঙ্গে অশুভ আঁতাতে লিপ্ত হয়।একাজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের পূর্বের সৃষ্ট কতিপয় সাম্রাজ্যবাদের পেইড দালাল, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারী আওয়ামী লীগের ভিতরে বাহিরে লুকিয়ে থাকা অপশক্তি, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এদেশীয় তাঁবেদার, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্টির বৃহদাংশ এক জোটবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলে।
তাঁদের হীনকাজের সাথে যুক্ত করে নেয় 'বঙ্গবন্ধু' হত্যায় সাহায্যকারি শত্রুদেশ পাকিস্তান সহ বহি:বিশ্বে বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয় ও স্বাধীনতা বিরুধী রাষ্ট্রশক্তি সমূহকে। অশুভ চক্রের সম্মিলীত সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জনগনকে শোষন শাষনের এক
অ-লিখিত চুক্তিতে উপনিত হয়। উক্ত সময়ে বাংলাদেশ বিরূধী অশুভ চক্র ঐক্যবদ্ধ দুর্ভেদ্য শক্তি অর্জন করে এবং স্থায়ীভাবে বাংলাদেশের জনগনের ঘাঁড়ের উপর প্রচন্ড শক্তি নিয়ে বসে পড়ে।(চলমান পাতা:-৩)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
রুহুল আমিন মজুমদার:--প্রারম্ভিক পয্যায় "জাতির জনক বঙ্গবন্ধু" পাকিস্তান জেল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের হাল ধরেন। এবং প্রথমাবস্থায় তিনি সর্বস্তরে নীতিনৈতিকতার আদর্শকে প্রধান্য দিয়ে তাঁর রাষ্ট্রপরিচালনার কাজ শুরু করেন। তিনি মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন--' স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশে বসবাসকারী বাঙ্গালী কৃষক, শ্রমিক,ছাত্র, জনতা সহ অন্যান্ন জাতি-গোষ্টি সমূহ আ-জম্ম শৃঙখল মুক্তির মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের সর্বস্ব ত্যাগ করে যুদ্ধ করেছে।
তিনি আরো বিশ্বাস করতেন বাঙ্গালী জাতীর বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের সঙ্গে অপরাপর জাতি, গোষ্টি, সম্প্রদায় সমূহ--ধর্ম, বর্ণ, গোষ্টি ভেদাবেদ ভুলে একতাবদ্ধ হয়েছিল। অত্রভূখন্ডের স্থায়ী সকল নাগরিক তাঁদের সর্বস্ব উজাড় করে মরনপণ অসম যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে কাংক্ষীত স্বাধীনতার লাল সূর্য্য চিনিয়ে এনেছে।
সুতারাং তিনি মনে করেন স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পরিচালনায় ধর্ম, বর্ণ, জাতি, গোষ্টি সম্প্রদায় ভেদে সকল নাগরিক সমান অধিকারের দাবীদারে পরিণত হয়েছে। অর্জিত সার্বভৌম ভূখন্ডে জাতি, গোষ্টি, ধর্ম, বর্ণ ভেদে যেহেতু সকলেই স্বতন্ত্র 'বাঙ্গালী জাতি'র জাতিসত্বার অধিকার আদায়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং সার্বভৌম ভূখন্ডের স্থায়ী অধিবাসি সংখ্যালুঘু জাতি, গোষ্টি, সম্প্রদায় একজোটে বাঙ্গালী জাতীসত্বার পূর্ণতা প্রাপ্তিতে তাঁদের নি:শর্ত অবদান রেখেছিল।নি:সন্দেহে তাঁদের অকুন্ট নি:শর্ত সমর্থন ভূখন্ডের অধিবাসি হিন্দু-মুসলিম বাঙ্গালী সংখ্যাগরিষ্ট নাগরীকদের দীর্ঘযুগের স্বতন্ত্র জাতিসত্বা আদায়ের সংগ্রামকে বিশ্ব দরবারে গৌরাম্বিত করেছে।ভূখন্ডে বসবাসরত: সংখ্যাগরিষ্ট বাঙ্গালী নাগরিকদের সঙ্গে অন্যসকল সংখ্যালঘু স্থায়ী নৃগোষ্টি নাগরিকগন স্বাধীন দেশের সর্বক্ষেত্রে সমান সুযোগ, সুবিধা, অধিকার পাওয়ার নৈতিক, আত্মিক, বৈষয়িক সহ সর্বদিক বিবেচনায় অধিকারী।
সুতারাং রাষ্ট্র, সরকার, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি সহ রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সকল নাগরিকের সমান সুযোগ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রকে অঙ্গিকারাবদ্ধ রেখে 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু' তাঁর সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশের সু-লিখিত সংবিধান রচনা করার জন্যে তাঁর সহযোগীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।তাঁর নির্দেশ মোতাবেক রচিত নতুন বাংলাদেশের নতুন সংবিধানে তিনি অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রে বসবাসরত: নাগরিকদের--'জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা, সংস্কৃতি, আবিস্কার, উদ্ভাবন, শিল্প, সর্বোপরি আদর্শ, নীতি, নৈতিকতার'।
উক্ত আদর্শকে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে প্রতিফলিত করার নিমিত্তে তিনি সর্বতোভাবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্টি, সম্প্রদায়গত ভেদাভেদের উধ্বে অ-সাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ সু-লিখিত একটি সংবিধান স্বল্প সময়ের মধ্যে জাতিকে উপহার দেন। শুধু এখানেই তিনি ক্ষান্ত হননি--''তিনি রাষ্ট্রকে উক্ত অ-সাম্প্রদায়িক চেতনার আলোকে অঙ্গিকারাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে "সংবিধান প্রস্তাবনার শিরোভাগে অ-পরিবর্তনীয়, অ-মোছনীয়, অলঙনীয় "চার মূলস্তম্ভে''র অন্যতম একটি স্তম্ভ "ধর্মনিরপেক্ষতা বাদে"র নীতি সংযোজন করেন।
উক্ত অ-সাম্প্রদায়িক চেতনা সমৃদ্ধ নীতি নৈতিকতার আদর্শকে সমুন্নত রেখে তিনি রচনা করেছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ রাষ্ট্র পরিচালনার সু-লিখিত দলিল 'সংবিধান'। এখানেই শেষ নয়--"রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইন কাঠামো, রীতিনীতি সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধনে সংবিধানের মূল 'চার স্তম্ভে'র সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার বাধ্যবাধকতার বিধানও তিনি রেখেছিলেন।এইরূপ ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট আইন-কাঠামো, রীতিনীতির সাংঘর্ষিক অংশ বা পূর্ণাঙ্গ 'স্বয়ংক্রিয় বাতিলের ঘোষনা সংযোজন' করে 'সম্পর্ণ সংবিধানকে তিনি মূলত: চার স্তম্ভের গ্যারান্টি ক্লজে' পরিণত করেছিলেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই--বঙ্গবন্ধু' খুব কম সময়ের মধ্যে (মাত্র দশমাসের মধ্যে) বাঙ্গালী জাতীকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। যে সংবিধান শাষক পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ২৩বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেও জাতি পায়নি। উক্ত সংবিধান বাংলাদেশ সরকারের প্রেস থেকে গেজেটাকারে প্রকাশের পর দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের টনক নড়ে উঠে। বঙ্গবন্ধু সরকারকে ব্যর্থ সরকারে রুপান্তরের লক্ষে হেন কোন কাজ নেই যা যুদ্ধবিধ্বস্ত নতুন বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা করেনি। (সেই ইতিহাসে অদ্য যেতে চাইনা।)
'৭৫ ইং ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে খুনীচক্র এবং পরবর্তীতে সেনা শাষক, স্বৈরশাষক গন 'বাজার অর্থনীতি'র অন্তরালে প্রতি্যোগীতা মূলক "পুঁজিবাদী অর্থনীতি'র ধারা চালু করেন। উল্লেখ্য খুনী চক্র সর্বদাই 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে'র পূণ:ত্থানের ভয়ে ভীত ছিল।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্থানরোধে খুনীচক্র অশুভ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, সাম্রাজ্যবাদী, সামন্তবাদী, সম্প্রসারন বাদী শক্তির সংঙ্গে অশুভ আঁতাতে লিপ্ত হয়।একাজে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের পূর্বের সৃষ্ট কতিপয় সাম্রাজ্যবাদের পেইড দালাল, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারী আওয়ামী লীগের ভিতরে বাহিরে লুকিয়ে থাকা অপশক্তি, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির এদেশীয় তাঁবেদার, মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্টির বৃহদাংশ এক জোটবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলে।
তাঁদের হীনকাজের সাথে যুক্ত করে নেয় 'বঙ্গবন্ধু' হত্যায় সাহায্যকারি শত্রুদেশ পাকিস্তান সহ বহি:বিশ্বে বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয় ও স্বাধীনতা বিরুধী রাষ্ট্রশক্তি সমূহকে। অশুভ চক্রের সম্মিলীত সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের জনগনকে শোষন শাষনের এক
অ-লিখিত চুক্তিতে উপনিত হয়। উক্ত সময়ে বাংলাদেশ বিরূধী অশুভ চক্র ঐক্যবদ্ধ দুর্ভেদ্য শক্তি অর্জন করে এবং স্থায়ীভাবে বাংলাদেশের জনগনের ঘাঁড়ের উপর প্রচন্ড শক্তি নিয়ে বসে পড়ে।(চলমান পাতা:-৩)
ruhulaminmujumder27@gmail.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন