lবসুর হাটের দুরন্ত বালক----বাংলাদেশের জননন্দিত জননেতা"----
"বসুর হাটের দুরন্ত বালক--বাংলাদেশের জন নন্দিত জননেতা"
--------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওবায়দুল কাদের। তিক্ষন মেধাসম্পন্ন সজ্জন মানুষ। তাঁর সবচেয়ে বড় গুন-'যে কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে-যে কোন স্থানে-একবার পরিচিত হ'লে- দশ বছর পরেও চলন্ত পথে বা রাস্তায় দেখা হলে 'নামে-স্থানে' চিনতে পারা"। তিনি অত্যান্ত প্রখর 'স্মরণশক্তি' সম্পন্ন মেধাবী নেতা। সর্বপয্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাববিনিময় করার পারঙ্গমতা তাঁকে শীর্ষে যেতে বহুলাংশে সাহায্য করেছে। ভাবটা যেন এমন-"কোন কালে বা কোন সময়ে একসাথে ছিলেন বহুবছর, বহুযুগ'। দক্ষ রাজনীতিবীদের প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্টই হচ্ছে স্মরণ শক্তির প্রখরতা বিদ্যমান থাকা-"রাজনীতির যে গুনটি নেতাকর্মীদের কাছে টানতে, অনুগত রাখতে সাহায্য করে"।এই গুনটি বিদ্যমান থাকার কারনে তিনি রাজনীতিতে অগ্রসরমান ছিলেন বসুরহাট স্কুলের কিশোর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থাকার প্রথমাবস্থা থেকে।
অন্য আর একটি গুন তাঁর রাজনৈতিক জীবনেকে সামনে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে-" দৈব দুর্বিপাকেও তাঁর রাজনীতির গতিধারায় ছেদ পড়েনি।ছাত্র রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার আগ পয্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ 'ফোর্থপোলিউ' বহন করেই রাজনীতি করেছেন।বাংলার বাণী পত্রিকার সহ-সম্পাদক ব্যতিত উল্লেখযোগ্য কোন 'ব্যবসাবানিজ্যে'ও তিনি জড়িত হননি। সাংবাদিকতা, রাজনীতি, লেখালেখি এই তিন জ্ঞানের আবর্তে ছিল তাঁর জীবন চলার পাথেয়।
ব্যাক্তিজীবনে তিনি অত্যান্ত মিতব্যায়ি,বন্ধুবৎসল, কর্মীবান্ধব, জননন্দিত, কর্মঠ, বিচক্ষন, উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারি একজন সজ্জন ব্যাক্তি।কর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমি, বিচক্ষন, প্রাজ্ঞ, মেধা সম্পন্ন রাজনীতিবীদ। আমি মনে করি জীবনের প্রারম্ভিকতা থেকে অদ্যাবদি তিনিই একমাত্র 'অর্থসম্পদহীন' জনগনের প্রিয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বের বৈশিষ্টে বহুবীদ গুনাবলী লক্ষ করা যায়, যেমন--'তিনি অন্তরঙ্গ ব্যবহারে কর্মীদের কাদের ভাই হতে পেরেছেন।' মেধা এবং প্রাজ্ঞতায়-- ''শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবীদ হিসেবে নীজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।" দলের প্রতি ত্যাগ এবং চারিত্রিক সততার গুনে--"বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী' পরিষদে ঠাঁই নিতে পেরেছেন"। অনলবর্ষী বক্তা, ব্যাতিক্রমি বাচনভঙ্গি-- জনপ্রীয় রাজনীতিবীদে পরিণত হতে পেরেছেন"। সুমধুর বক্তব্য, কঠিন রাজনৈতিক ভাষাকে সাধারনের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করার পারমঙ্গতায়-"শ্রোতাদের বিমুগ্ধ করে উপরে উঠার সিঁড়ি তৈরী করতে পেরেছেন।"
নেতৃত্বের মুল গুনাবলী গুলীর মধ্যেও কোন ঘাটতি নেই, যেমন-- 'শারিরীক সৌষ্ঠবতা', চেহারাগত সৌন্দয্যের আকর্ষনীয়তা, অগ্রসরমান চিন্তাচেতনা ধারন, নীজের কর্মগুলী পরিস্ফুটনে দুরদর্শীতা" মানসম্মত পরিধেয়" নিয়মিত জনসংযোগ" নিয়মিত কর্মী সংযোগ " ব্যাতিক্রমি আচার আচরন" সর্বোপরি বিচক্ষন নেতৃত্ব, আদর্শ লালনে একাগ্রতা, নেতৃত্বের প্রতি সদা আনুগত্যতা ইত্যাদি পজেটিভ গুনাবলী জনগনের নিকট দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠেছে বলেই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ''বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের "সাধারন সম্পদকে"র পদ অলংকৃত করতে পেরেছেন।"
জনাব ওবায়দুল কাদের "সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত হওয়ায় "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এই প্রথমবারের মত তৃনমুল থেকে উঠে আসা এবং জনগনের আশা আখাংকার প্রতি শ্রদ্ধা,দলীয় তৃনমুলের নেতাকর্মীদের যথাযথ মুল্যায়ন করা হল। প্রথম কোন সরকারের মন্ত্রী পরিষদেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে, দলীয় নেতৃত্বে" ও জনপ্রীয়তায় শীর্ষে থাকা তৃনমুল থেকে উঠে আসা প্রত্যান্ত গ্রামের একজন "সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত হল। এতে দেশে বিদেশে প্রমানীত হল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এবং তাঁর নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দলে এবং দেশে আন্তরীক ভাবেই গনতন্ত্র চান। দেশ এবং দল গনতন্ত্রের চর্চায় কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল।
এর আগে জাতির জনকের সঙ্গীয় স্নেহধন্য, সিনিয়র অথবা জাতীয় চার নেতার পরিবার উক্ত পদ বহন করেছেন। দল ও সরকার অগনিতবার বিব্রতকর পরিস্থীতি মোকাবেলা করা সত্বেও জাতীয় চার নেতার প্রতি কৃতজ্ঞ "বঙ্গবন্ধু কন্যা" দুই মেয়াদ সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে আরও 'বড় দায়িত্ব ' দেয়ার মানষীকতায় "জনাব আশ্রাফ"কে প্রেসিডিয়ামে অন্তভুক্ত করেছেন। "বঙ্গতাজ" পুত্র জনাব "সোহেল তাজে"র অপেক্ষায় "মন্ত্রীত্ব ও দলীয় পদ" দুই বছরের অধিক সময় শুন্য রেখে দল ও সরকার পরিচালনা করেছেন।'সোহেল তাজে'র শুন্য আসনে "বঙ্গতাজের তনয়া সীমিন হোসেন রীমি"কে মনোনয়ন দেয়ার জন্য "বঙ্গবন্ধু কন্যা" জননেত্রী "শেখ হাসিনা" তাঁদের বাসায় গমন করেন এবং মনোনয়ন প্রদান করেন।যদিও "বঙ্গবন্ধু হত্যা"র পর সীমিন হোসেন রিমি"র কিছু বিতর্কিত বক্তব্য এখনও বিভিন্ন পত্রিকায় চাপাতে দেখা যায়।
স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দমন-পীড়নের মুখে পড়েন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিরা ছিন্নভিন্ন করে দেয় ছাত্র রাজনীতির সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি। দায়িত্বরত ছাত্রনেতাদের অনেকেই জেলখানায় বা বিদেশে পালায়নরত অনেকেই হত্যাকারীদের সঙ্গে আপোষ করে পাঠভ্যাসে ব্রতি হন। বসুরহাটের ছাত্রনেতা পালিয়ে যাননি, আপোষ ও করেননি। ছিন্নভিন্ন ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে ধৃত হন এবং কারাবন্দি হন। কারাবন্দি ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হ'তে যাবতীয় নির্দেশনা দিতে থাকেন "জেলখানা" থেকেই। তাঁর অসীম সাহষীকতার পুরষ্কার জেলে থেকেই "সভাপতি নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের"। '১৯৭৮ সালে সামরিক শাষনের বিরুপ পরিস্থীতিতে ছাত্রলীগ রাজনীতি নিয়মিত করনের সম্মেলনে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।ঐ সময়কালের ছাত্ররাজনীতিতে যারা জড়িত ছিলেন তারাই বলতে পারবেন দলের প্রতি কেমন কমিটমেন্ট থাকলে ছাত্র রাজনীতি করা সম্ভব ছিল।বর্তমানের স্বর্গ সুখের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে তখনকার নরকের ছাত্ররাজনীতির তুলনা চলেনা। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে কিছু ভুল ক্রুটি থাকা সত্বেও ঢাকা ইউনিভারসিটির তৎসময়ের সাহষী ছাত্র নেতা জনাব ওবাদুল কাদের পর পর দুইবার একই পদে নির্বাচিত হন।
ছাত্রজীবন শেষে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলেও রাজনীতিতে ছিলেন সরব। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।আওয়ামী রাজনীতিতে উত্থানপর্ব শুরু হয় তাঁর। ঐ বছরই নবনির্বাচিত সাংসদ শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় ক্রীড়া, যুব ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। নতুন শতকের প্রারম্ভে ২০০০ সালের জাতীয় কাউন্সেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পান। প্রথম ধাক্কায় সম্পাদক মন্ডলীর "সংস্কৃতি ও শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে"।
২০০২ সালের ২৬ ডিসেস্বর আওয়ামী লীগের ১৭তম সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের সাধারন সম্পাদকের নিকটতম "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে"র দায়িত্ব পান। ভাগ্যবিড়ম্বিত ওবায়দুল কাদের "২০০৭ ইং সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাবন্দি হন। শারীরিক, মানষীক নিয্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বর্তমানেও সোজা হয়ে চলতে পারেন না।
২০০৯ ইং সালে ১৮তম কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ওবায়দুল কাদের। পরবর্তী ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম পদে আবার অধিষ্ঠিত হন, যদিও চতুর্দিক থেকে দাবী ছিল "সাধারন সম্পাদক" পদে অধিষ্ঠিত করার জন্য। নেত্রী চারনেতার পরিবার কে কৃতজ্ঞতা জানাতে সকলের দাবী প্রত্যাখ্যান করে "কাদের সাহেব"কে প্রেসিডিয়ামের মত গুরুত্বপুর্ণ নীতিনির্ধারনী পরিষদে অধিষ্ঠিত করে অধিবেশনের ইতি টানেন। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রী হন ওবায়দুল কাদের।
"মন্ত্রী পরিষদের পরিচ্ছন্ন মন্ত্রী, সরকারের জনপ্রিয় মন্ত্রী, জনগনের নন্দিত মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যার বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মন্ত্রী ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তৃতীয় দফায় মন্ত্রী হন। সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম সর্বোপরি কর্মগুনে 'পদ্মা সেতুর' ন্যায় দেশে বিদেশে বিতর্কীত কাজটি সমাপনের জন্যে সেতু মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।অদ্য পয্যন্ত কোনরুপ কেলেংকারি ছাড়াই উক্ত কাজটি নির্দিষ্ট সময় সমাপ্ত করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন।জাতির জনকের কন্যার দেশে বিদেশে সম্মান রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি কাজটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে। এখন পয্যন্ত জাতির জনকের কন্যার ললাটে তিল পরিমান কেলেংকারীর বদনাম কোন শত্রুও দিতে পারেনি, পারবেও না ইনশাল্লাহ।
তৃনমুলের একজন নিবেদিত মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীককে "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত করায় দেশব্যাপি শুভেচ্ছার সাগরে ডুব দিয়ে 'আমি জানাই কৃতজ্ঞতা,অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, সালাম।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
জয় জাতির জনকের কন্যা
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা--
--------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওবায়দুল কাদের। তিক্ষন মেধাসম্পন্ন সজ্জন মানুষ। তাঁর সবচেয়ে বড় গুন-'যে কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে-যে কোন স্থানে-একবার পরিচিত হ'লে- দশ বছর পরেও চলন্ত পথে বা রাস্তায় দেখা হলে 'নামে-স্থানে' চিনতে পারা"। তিনি অত্যান্ত প্রখর 'স্মরণশক্তি' সম্পন্ন মেধাবী নেতা। সর্বপয্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ভাববিনিময় করার পারঙ্গমতা তাঁকে শীর্ষে যেতে বহুলাংশে সাহায্য করেছে। ভাবটা যেন এমন-"কোন কালে বা কোন সময়ে একসাথে ছিলেন বহুবছর, বহুযুগ'। দক্ষ রাজনীতিবীদের প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্টই হচ্ছে স্মরণ শক্তির প্রখরতা বিদ্যমান থাকা-"রাজনীতির যে গুনটি নেতাকর্মীদের কাছে টানতে, অনুগত রাখতে সাহায্য করে"।এই গুনটি বিদ্যমান থাকার কারনে তিনি রাজনীতিতে অগ্রসরমান ছিলেন বসুরহাট স্কুলের কিশোর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থাকার প্রথমাবস্থা থেকে।
অন্য আর একটি গুন তাঁর রাজনৈতিক জীবনেকে সামনে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে-" দৈব দুর্বিপাকেও তাঁর রাজনীতির গতিধারায় ছেদ পড়েনি।ছাত্র রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার আগ পয্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ 'ফোর্থপোলিউ' বহন করেই রাজনীতি করেছেন।বাংলার বাণী পত্রিকার সহ-সম্পাদক ব্যতিত উল্লেখযোগ্য কোন 'ব্যবসাবানিজ্যে'ও তিনি জড়িত হননি। সাংবাদিকতা, রাজনীতি, লেখালেখি এই তিন জ্ঞানের আবর্তে ছিল তাঁর জীবন চলার পাথেয়।
ব্যাক্তিজীবনে তিনি অত্যান্ত মিতব্যায়ি,বন্ধুবৎসল, কর্মীবান্ধব, জননন্দিত, কর্মঠ, বিচক্ষন, উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারি একজন সজ্জন ব্যাক্তি।কর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমি, বিচক্ষন, প্রাজ্ঞ, মেধা সম্পন্ন রাজনীতিবীদ। আমি মনে করি জীবনের প্রারম্ভিকতা থেকে অদ্যাবদি তিনিই একমাত্র 'অর্থসম্পদহীন' জনগনের প্রিয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বের বৈশিষ্টে বহুবীদ গুনাবলী লক্ষ করা যায়, যেমন--'তিনি অন্তরঙ্গ ব্যবহারে কর্মীদের কাদের ভাই হতে পেরেছেন।' মেধা এবং প্রাজ্ঞতায়-- ''শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবীদ হিসেবে নীজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।" দলের প্রতি ত্যাগ এবং চারিত্রিক সততার গুনে--"বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী' পরিষদে ঠাঁই নিতে পেরেছেন"। অনলবর্ষী বক্তা, ব্যাতিক্রমি বাচনভঙ্গি-- জনপ্রীয় রাজনীতিবীদে পরিণত হতে পেরেছেন"। সুমধুর বক্তব্য, কঠিন রাজনৈতিক ভাষাকে সাধারনের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করার পারমঙ্গতায়-"শ্রোতাদের বিমুগ্ধ করে উপরে উঠার সিঁড়ি তৈরী করতে পেরেছেন।"
নেতৃত্বের মুল গুনাবলী গুলীর মধ্যেও কোন ঘাটতি নেই, যেমন-- 'শারিরীক সৌষ্ঠবতা', চেহারাগত সৌন্দয্যের আকর্ষনীয়তা, অগ্রসরমান চিন্তাচেতনা ধারন, নীজের কর্মগুলী পরিস্ফুটনে দুরদর্শীতা" মানসম্মত পরিধেয়" নিয়মিত জনসংযোগ" নিয়মিত কর্মী সংযোগ " ব্যাতিক্রমি আচার আচরন" সর্বোপরি বিচক্ষন নেতৃত্ব, আদর্শ লালনে একাগ্রতা, নেতৃত্বের প্রতি সদা আনুগত্যতা ইত্যাদি পজেটিভ গুনাবলী জনগনের নিকট দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠেছে বলেই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ''বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের "সাধারন সম্পদকে"র পদ অলংকৃত করতে পেরেছেন।"
জনাব ওবায়দুল কাদের "সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত হওয়ায় "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এই প্রথমবারের মত তৃনমুল থেকে উঠে আসা এবং জনগনের আশা আখাংকার প্রতি শ্রদ্ধা,দলীয় তৃনমুলের নেতাকর্মীদের যথাযথ মুল্যায়ন করা হল। প্রথম কোন সরকারের মন্ত্রী পরিষদেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে, দলীয় নেতৃত্বে" ও জনপ্রীয়তায় শীর্ষে থাকা তৃনমুল থেকে উঠে আসা প্রত্যান্ত গ্রামের একজন "সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত হল। এতে দেশে বিদেশে প্রমানীত হল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এবং তাঁর নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দলে এবং দেশে আন্তরীক ভাবেই গনতন্ত্র চান। দেশ এবং দল গনতন্ত্রের চর্চায় কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল।
এর আগে জাতির জনকের সঙ্গীয় স্নেহধন্য, সিনিয়র অথবা জাতীয় চার নেতার পরিবার উক্ত পদ বহন করেছেন। দল ও সরকার অগনিতবার বিব্রতকর পরিস্থীতি মোকাবেলা করা সত্বেও জাতীয় চার নেতার প্রতি কৃতজ্ঞ "বঙ্গবন্ধু কন্যা" দুই মেয়াদ সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে আরও 'বড় দায়িত্ব ' দেয়ার মানষীকতায় "জনাব আশ্রাফ"কে প্রেসিডিয়ামে অন্তভুক্ত করেছেন। "বঙ্গতাজ" পুত্র জনাব "সোহেল তাজে"র অপেক্ষায় "মন্ত্রীত্ব ও দলীয় পদ" দুই বছরের অধিক সময় শুন্য রেখে দল ও সরকার পরিচালনা করেছেন।'সোহেল তাজে'র শুন্য আসনে "বঙ্গতাজের তনয়া সীমিন হোসেন রীমি"কে মনোনয়ন দেয়ার জন্য "বঙ্গবন্ধু কন্যা" জননেত্রী "শেখ হাসিনা" তাঁদের বাসায় গমন করেন এবং মনোনয়ন প্রদান করেন।যদিও "বঙ্গবন্ধু হত্যা"র পর সীমিন হোসেন রিমি"র কিছু বিতর্কিত বক্তব্য এখনও বিভিন্ন পত্রিকায় চাপাতে দেখা যায়।
স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দমন-পীড়নের মুখে পড়েন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিরা ছিন্নভিন্ন করে দেয় ছাত্র রাজনীতির সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি। দায়িত্বরত ছাত্রনেতাদের অনেকেই জেলখানায় বা বিদেশে পালায়নরত অনেকেই হত্যাকারীদের সঙ্গে আপোষ করে পাঠভ্যাসে ব্রতি হন। বসুরহাটের ছাত্রনেতা পালিয়ে যাননি, আপোষ ও করেননি। ছিন্নভিন্ন ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে ধৃত হন এবং কারাবন্দি হন। কারাবন্দি ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হ'তে যাবতীয় নির্দেশনা দিতে থাকেন "জেলখানা" থেকেই। তাঁর অসীম সাহষীকতার পুরষ্কার জেলে থেকেই "সভাপতি নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের"। '১৯৭৮ সালে সামরিক শাষনের বিরুপ পরিস্থীতিতে ছাত্রলীগ রাজনীতি নিয়মিত করনের সম্মেলনে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।ঐ সময়কালের ছাত্ররাজনীতিতে যারা জড়িত ছিলেন তারাই বলতে পারবেন দলের প্রতি কেমন কমিটমেন্ট থাকলে ছাত্র রাজনীতি করা সম্ভব ছিল।বর্তমানের স্বর্গ সুখের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে তখনকার নরকের ছাত্ররাজনীতির তুলনা চলেনা। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে কিছু ভুল ক্রুটি থাকা সত্বেও ঢাকা ইউনিভারসিটির তৎসময়ের সাহষী ছাত্র নেতা জনাব ওবাদুল কাদের পর পর দুইবার একই পদে নির্বাচিত হন।
ছাত্রজীবন শেষে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলেও রাজনীতিতে ছিলেন সরব। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।আওয়ামী রাজনীতিতে উত্থানপর্ব শুরু হয় তাঁর। ঐ বছরই নবনির্বাচিত সাংসদ শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় ক্রীড়া, যুব ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। নতুন শতকের প্রারম্ভে ২০০০ সালের জাতীয় কাউন্সেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পান। প্রথম ধাক্কায় সম্পাদক মন্ডলীর "সংস্কৃতি ও শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে"।
২০০২ সালের ২৬ ডিসেস্বর আওয়ামী লীগের ১৭তম সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের সাধারন সম্পাদকের নিকটতম "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে"র দায়িত্ব পান। ভাগ্যবিড়ম্বিত ওবায়দুল কাদের "২০০৭ ইং সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাবন্দি হন। শারীরিক, মানষীক নিয্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বর্তমানেও সোজা হয়ে চলতে পারেন না।
২০০৯ ইং সালে ১৮তম কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ওবায়দুল কাদের। পরবর্তী ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম পদে আবার অধিষ্ঠিত হন, যদিও চতুর্দিক থেকে দাবী ছিল "সাধারন সম্পাদক" পদে অধিষ্ঠিত করার জন্য। নেত্রী চারনেতার পরিবার কে কৃতজ্ঞতা জানাতে সকলের দাবী প্রত্যাখ্যান করে "কাদের সাহেব"কে প্রেসিডিয়ামের মত গুরুত্বপুর্ণ নীতিনির্ধারনী পরিষদে অধিষ্ঠিত করে অধিবেশনের ইতি টানেন। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রী হন ওবায়দুল কাদের।
"মন্ত্রী পরিষদের পরিচ্ছন্ন মন্ত্রী, সরকারের জনপ্রিয় মন্ত্রী, জনগনের নন্দিত মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যার বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মন্ত্রী ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তৃতীয় দফায় মন্ত্রী হন। সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম সর্বোপরি কর্মগুনে 'পদ্মা সেতুর' ন্যায় দেশে বিদেশে বিতর্কীত কাজটি সমাপনের জন্যে সেতু মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।অদ্য পয্যন্ত কোনরুপ কেলেংকারি ছাড়াই উক্ত কাজটি নির্দিষ্ট সময় সমাপ্ত করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন।জাতির জনকের কন্যার দেশে বিদেশে সম্মান রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি কাজটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে। এখন পয্যন্ত জাতির জনকের কন্যার ললাটে তিল পরিমান কেলেংকারীর বদনাম কোন শত্রুও দিতে পারেনি, পারবেও না ইনশাল্লাহ।
তৃনমুলের একজন নিবেদিত মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীককে "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত করায় দেশব্যাপি শুভেচ্ছার সাগরে ডুব দিয়ে 'আমি জানাই কৃতজ্ঞতা,অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, সালাম।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
জয় জাতির জনকের কন্যা
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা--
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন