lবসুর হাটের দুরন্ত বালক----বাংলাদেশের জননন্দিত জননেতা"----

"বসুর হাটের দুরন্ত বালক--বাংলাদেশের জন নন্দিত জননেতা"

--------------------------------------------------------------------------------------------------------

         ওবায়দুল কাদের। তিক্ষন মেধাসম্পন্ন সজ্জন মানুষ। তাঁর সবচেয়ে বড় গুন-'যে কোন নেতাকর্মীর সঙ্গে-যে কোন স্থানে-একবার পরিচিত হ'লে- দশ বছর পরেও চলন্ত পথে বা রাস্তায় দেখা হলে 'নামে-স্থানে' চিনতে পারা"। তিনি অত্যান্ত প্রখর 'স্মরণশক্তি' সম্পন্ন  মেধাবী নেতা। সর্বপয্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে  অন্তরঙ্গ ভাববিনিময় করার পারঙ্গমতা তাঁকে শীর্ষে যেতে বহুলাংশে সাহায্য করেছে। ভাবটা যেন এমন-"কোন কালে বা কোন সময়ে একসাথে ছিলেন বহুবছর,  বহুযুগ'। দক্ষ রাজনীতিবীদের প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্টই হচ্ছে স্মরণ শক্তির প্রখরতা বিদ্যমান থাকা-"রাজনীতির যে গুনটি নেতাকর্মীদের কাছে টানতে, অনুগত রাখতে সাহায্য করে"।এই গুনটি বিদ্যমান থাকার কারনে তিনি রাজনীতিতে অগ্রসরমান ছিলেন  বসুরহাট স্কুলের কিশোর ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থাকার প্রথমাবস্থা থেকে।
   অন্য আর একটি গুন তাঁর রাজনৈতিক জীবনেকে সামনে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে-" দৈব দুর্বিপাকেও  তাঁর রাজনীতির গতিধারায় ছেদ পড়েনি।ছাত্র রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার আগ পয্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ   'ফোর্থপোলিউ' বহন করেই রাজনীতি করেছেন।বাংলার বাণী পত্রিকার সহ-সম্পাদক ব্যতিত উল্লেখযোগ্য কোন 'ব্যবসাবানিজ্যে'ও তিনি জড়িত হননি। সাংবাদিকতা, রাজনীতি, লেখালেখি এই তিন জ্ঞানের আবর্তে ছিল তাঁর জীবন চলার পাথেয়।
 ব্যাক্তিজীবনে তিনি অত্যান্ত মিতব্যায়ি,বন্ধুবৎসল, কর্মীবান্ধব, জননন্দিত, কর্মঠ, বিচক্ষন, উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারি একজন সজ্জন ব্যাক্তি।কর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমি, বিচক্ষন, প্রাজ্ঞ, মেধা সম্পন্ন রাজনীতিবীদ। আমি মনে করি জীবনের প্রারম্ভিকতা থেকে অদ্যাবদি তিনিই একমাত্র 'অর্থসম্পদহীন' জনগনের প্রিয় নেতা। তাঁর নেতৃত্বের বৈশিষ্টে বহুবীদ গুনাবলী লক্ষ করা যায়, যেমন--'তিনি অন্তরঙ্গ ব্যবহারে কর্মীদের  কাদের ভাই হতে পেরেছেন।' মেধা এবং প্রাজ্ঞতায়-- ''শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবীদ হিসেবে নীজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।" দলের প্রতি ত্যাগ এবং চারিত্রিক সততার গুনে--"বাংলাদেশ  সরকারের মন্ত্রী' পরিষদে ঠাঁই নিতে পেরেছেন"। অনলবর্ষী বক্তা, ব্যাতিক্রমি বাচনভঙ্গি-- জনপ্রীয় রাজনীতিবীদে পরিণত হতে পেরেছেন"। সুমধুর বক্তব্য, কঠিন রাজনৈতিক ভাষাকে সাধারনের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করার পারমঙ্গতায়-"শ্রোতাদের  বিমুগ্ধ করে উপরে উঠার সিঁড়ি তৈরী করতে পেরেছেন।"
   নেতৃত্বের মুল গুনাবলী গুলীর মধ্যেও কোন ঘাটতি নেই, যেমন-- 'শারিরীক সৌষ্ঠবতা',  চেহারাগত সৌন্দয্যের আকর্ষনীয়তা, অগ্রসরমান চিন্তাচেতনা ধারন, নীজের কর্মগুলী পরিস্ফুটনে  দুরদর্শীতা" মানসম্মত পরিধেয়" নিয়মিত জনসংযোগ"  নিয়মিত কর্মী সংযোগ " ব্যাতিক্রমি আচার আচরন"  সর্বোপরি বিচক্ষন নেতৃত্ব, আদর্শ লালনে একাগ্রতা, নেতৃত্বের প্রতি সদা আনুগত্যতা  ইত্যাদি পজেটিভ গুনাবলী জনগনের নিকট দৃশ্যমান হয়ে ফুটে উঠেছে বলেই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ''বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের "সাধারন সম্পদকে"র পদ অলংকৃত করতে পেরেছেন।"
    জনাব ওবায়দুল কাদের "সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত হওয়ায় "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এই প্রথমবারের মত তৃনমুল থেকে উঠে আসা এবং জনগনের আশা আখাংকার প্রতি শ্রদ্ধা,দলীয় তৃনমুলের নেতাকর্মীদের যথাযথ মুল্যায়ন করা হল। প্রথম কোন সরকারের মন্ত্রী পরিষদেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে, দলীয় নেতৃত্বে" ও জনপ্রীয়তায় শীর্ষে থাকা তৃনমুল থেকে উঠে আসা প্রত্যান্ত গ্রামের একজন "সাধারন সম্পাদক"  নির্বাচিত হল। এতে দেশে বিদেশে প্রমানীত হল "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" এবং তাঁর নেত্রী মাননীয় প্রধান মন্ত্রী  দলে এবং দেশে আন্তরীক ভাবেই গনতন্ত্র চান। দেশ এবং দল গনতন্ত্রের  চর্চায় কয়েক ধাপ এগিয়ে গেল।
      এর আগে জাতির জনকের সঙ্গীয় স্নেহধন্য, সিনিয়র অথবা জাতীয় চার নেতার পরিবার উক্ত পদ বহন করেছেন। দল ও সরকার অগনিতবার বিব্রতকর পরিস্থীতি মোকাবেলা করা সত্বেও  জাতীয় চার নেতার প্রতি কৃতজ্ঞ "বঙ্গবন্ধু কন্যা"  দুই মেয়াদ সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে আরও 'বড় দায়িত্ব ' দেয়ার মানষীকতায় "জনাব আশ্রাফ"কে প্রেসিডিয়ামে অন্তভুক্ত করেছেন। "বঙ্গতাজ" পুত্র জনাব "সোহেল তাজে"র অপেক্ষায় "মন্ত্রীত্ব ও দলীয় পদ" দুই বছরের অধিক সময় শুন্য রেখে দল ও সরকার পরিচালনা করেছেন।'সোহেল তাজে'র শুন্য আসনে "বঙ্গতাজের তনয়া সীমিন হোসেন রীমি"কে মনোনয়ন দেয়ার জন্য "বঙ্গবন্ধু কন্যা" জননেত্রী "শেখ হাসিনা" তাঁদের বাসায় গমন করেন এবং মনোনয়ন প্রদান করেন।যদিও "বঙ্গবন্ধু হত্যা"র পর সীমিন হোসেন রিমি"র কিছু বিতর্কিত বক্তব্য এখনও বিভিন্ন পত্রিকায় চাপাতে দেখা যায়।
 
    স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দমন-পীড়নের মুখে পড়েন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিরা ছিন্নভিন্ন করে দেয় ছাত্র রাজনীতির সুতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি। দায়িত্বরত ছাত্রনেতাদের অনেকেই জেলখানায় বা বিদেশে পালায়নরত অনেকেই হত্যাকারীদের সঙ্গে আপোষ করে পাঠভ্যাসে ব্রতি হন। বসুরহাটের ছাত্রনেতা পালিয়ে যাননি, আপোষ ও করেননি। ছিন্নভিন্ন ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য ঢাকায় অবস্থানকালে ধৃত হন এবং কারাবন্দি হন। কারাবন্দি ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হ'তে  যাবতীয় নির্দেশনা দিতে থাকেন "জেলখানা" থেকেই। তাঁর অসীম সাহষীকতার পুরষ্কার জেলে থেকেই "সভাপতি নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের"। '১৯৭৮ সালে সামরিক শাষনের বিরুপ পরিস্থীতিতে ছাত্রলীগ রাজনীতি নিয়মিত করনের সম্মেলনে পুনর্নির্বাচিত হন তিনি।ঐ সময়কালের ছাত্ররাজনীতিতে যারা জড়িত ছিলেন তারাই বলতে পারবেন দলের প্রতি কেমন কমিটমেন্ট থাকলে ছাত্র রাজনীতি করা সম্ভব ছিল।বর্তমানের স্বর্গ সুখের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে তখনকার নরকের ছাত্ররাজনীতির তুলনা চলেনা। বঙ্গবন্ধু সরকারের সময়ে কিছু ভুল ক্রুটি থাকা সত্বেও ঢাকা ইউনিভারসিটির তৎসময়ের সাহষী ছাত্র নেতা জনাব ওবাদুল কাদের পর পর দুইবার একই পদে নির্বাচিত হন।
    ছাত্রজীবন শেষে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিলেন সক্রিয়। ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলেও রাজনীতিতে ছিলেন সরব। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।আওয়ামী রাজনীতিতে উত্থানপর্ব শুরু হয় তাঁর। ঐ বছরই নবনির্বাচিত সাংসদ শেখ হাসিনার প্রথম মন্ত্রিসভায় ক্রীড়া, যুব ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। নতুন শতকের প্রারম্ভে ২০০০ সালের জাতীয় কাউন্সেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পান। প্রথম ধাক্কায় সম্পাদক মন্ডলীর "সংস্কৃতি ও শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে"।
২০০২ সালের ২৬ ডিসেস্বর আওয়ামী লীগের ১৭তম সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের সাধারন সম্পাদকের নিকটতম  "যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকে"র দায়িত্ব পান। ভাগ্যবিড়ম্বিত ওবায়দুল কাদের "২০০৭ ইং সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কারাবন্দি হন। শারীরিক, মানষীক নিয্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বর্তমানেও সোজা হয়ে চলতে পারেন না।
 
      ২০০৯ ইং সালে ১৮তম কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ওবায়দুল কাদের। পরবর্তী ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম  পদে আবার অধিষ্ঠিত হন, যদিও চতুর্দিক থেকে দাবী ছিল "সাধারন সম্পাদক" পদে অধিষ্ঠিত করার জন্য। নেত্রী চারনেতার পরিবার কে কৃতজ্ঞতা জানাতে সকলের দাবী প্রত্যাখ্যান করে "কাদের সাহেব"কে প্রেসিডিয়ামের মত গুরুত্বপুর্ণ নীতিনির্ধারনী পরিষদে অধিষ্ঠিত করে অধিবেশনের ইতি টানেন। ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো মন্ত্রী হন ওবায়দুল কাদের।

"মন্ত্রী পরিষদের পরিচ্ছন্ন মন্ত্রী, সরকারের জনপ্রিয় মন্ত্রী, জনগনের নন্দিত মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যার বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন মন্ত্রী ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। পাশাপাশি তৃতীয় দফায় মন্ত্রী হন। সততা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম সর্বোপরি কর্মগুনে 'পদ্মা সেতুর' ন্যায় দেশে বিদেশে বিতর্কীত কাজটি সমাপনের জন্যে সেতু মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।অদ্য পয্যন্ত কোনরুপ কেলেংকারি ছাড়াই উক্ত কাজটি নির্দিষ্ট সময় সমাপ্ত করার কাজে লিপ্ত রয়েছেন।জাতির জনকের কন্যার দেশে বিদেশে সম্মান রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে তিনি কাজটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, কথাটি আমাদের মনে রাখতে হবে। এখন পয্যন্ত জাতির জনকের কন্যার ললাটে তিল পরিমান কেলেংকারীর বদনাম কোন শত্রুও দিতে পারেনি, পারবেও না ইনশাল্লাহ।

 তৃনমুলের একজন নিবেদিত মুজিব আদর্শের লড়াকু সৈনীককে "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক" নির্বাচিত করায় দেশব্যাপি শুভেচ্ছার সাগরে ডুব দিয়ে 'আমি জানাই কৃতজ্ঞতা,অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, সালাম।


                     ruhulaminmujumder27@gmail.com

                     "জয়বাংলা                      জয়বঙ্গবন্ধু"
                          জয় জাতির  জনকের  কন্যা
                               প্রধান মন্ত্রী   শেখ  হাসিনা--

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মুখস্ত বিদ্যার অর্থই হল, জোর করে গেলানো---- লিখেছেন--Nipa Das ________________________________________________ দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে প্রমথ চৌধুরীর " বই পড়া " নামক একটা প্রবন্ধ রয়েছে ! প্রবন্ধ টিতে মুখস্থ বিদ্যার কুফল তুলে ধরা হয়েছিল , সেখানে বলা হয়েছিল , পাস করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , পাঠ্যবই মুখস্থ করে পাস করে শিক্ষিত হওয়া যায় না , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে ! আমি সবসময় এই প্রবন্ধটা পড়তাম ! এই প্রবন্ধটি আমার প্রিয় ছিল কারণ এতে আমার মনের কথাগুলো উল্লেখ করা ছিল ! মুখস্থ বিদ্যা সম্পর্কে আমি একটা উদাহরণ দিতে চাই -- মুখস্থ বিদ্যা মানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যা গেলানো হয় , তারা তা জীর্ণ করতে পারুক আর না পারুক ! এর ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিক মন্দাগ্নিতে জীর্ণ শক্তি হীন হয়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসে ! উদাহরণ :: আমাদের সমাজে এমন অনেক মা আছেন যারা শিশু সন্তানকে ক্রমান্বয়ে গরুর দুধ গেলানোটাই শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার ও বলবৃদ্ধির উপায় মনে করেন ! কিন্তু দুধের উপকারিতা যে ভোক্তার হজম করবার শক্তির ওপর নির্ভর করে তা মা জননীরা বুঝতে নারাজ ! তাদের বিশ্বাস দুধ পেটে গেলেই উপকার হবে ! তা হজম হোক আর না হোক ! আর যদি শিশু দুধ গিলতে আপত্তি করে তাহলে ঐ শিশু বেয়াদব , সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই ! আমাদের স্কুল - কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থাও ঠিক এরকম , শিক্ষার্থীরা মুখস্থ বিদ্যা হজম করতে পারুক আর না পারুক , কিন্তু শিক্ষক তা গেলাবেই ! তবে মাতা এবং শিক্ষক দুজনের উদ্দেশ্যেই কিন্তু সাধু , সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই ! সবাই ছেলেমেয়েদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিতে ব্যস্ত , পাঠ্যবইয়ের বাইরেও যে শেখার অনেক কিছু আছে তা জেনেও , শিক্ষার্থীদের তা অর্জনে উৎসাহিত করে না , কারণ পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষা অর্থ অর্জনে সাহায্য করে না , তাই পাঠ্যবইয়ের বাইরের শিক্ষার গুরুত্ব নেই ! শুধু পাঠ্যবই পড়ে কেবল একের পর এক ক্লাস পাস করে যাওয়াই শিক্ষা না ! আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে ! পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয় , এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠিত হই ! বিঃদ্রঃ মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিকের জিপিএ ফাইভ নিয়ে প্রতিবেদনের সাথে আমার পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই ! http://maguratimes.com/wp-content/uploads/2016/02/12743837_831291133666492_4253143191499283089_n-600x330.jpg

ছবি

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যার সরকার মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যাতত্ব দিয়ে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস ঐতিহ্যে বিতর্ক উত্থাপনের অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বসবাস করে,মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার মত দৃষ্টতা দেখিয়ে নি:সন্দেহে তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এহেন গর্হিত বক্তব্য প্রদানকারী বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার রাখতে পারেননা।মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া কোন দল বা জোটের রাজনীতি করারঅধিকার নীতিগতভাবেই থাকতে পারেনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি সকল রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করে সর্বচ্ছ আদালতের রায় অনুযায়ী '৭২এর সংবিধান অবিকল বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবী।বাংলাদেশেরজনগন চায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাক,মুক্তিযুদ্ধে সাগরসম রক্ত ঢেলে সেই অঙ্গিকারের প্রতি তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছিল।স্বাধীন বাংলাদেশের আবহাওয়ায় বসবাসকরে,পরাধীনতার গান শুনতে দেশ স্বাধীন করেনি বাংলার জনগন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরামহীন সংগ্রামের ফসল মুক্তিযুদ্ধ।সেইযুদ্ধে উপনিবেশিক পাকিস্তানের আধুনিক সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র বাঙালীরা পরাজিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছিল।সেই স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশেপরাজিত শক্তির দোষর,তাঁদের প্রেতাত্বাদের রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার নেই।জাতির জনক তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত করেছিলেন। বাংলাদেশের জনগন জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলায় রাজাকারের কোন স্থান দিতে চায়না। তাই খালেদা জিয়ার ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টার দৃষ্টান্তমুলক সাজার আশা পোষন করে।কোন রাজনৈতিক সমঝোতার ফাঁদে যেন এই মামলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়,তাঁর গ্যারান্টিও সরকারের নিকট বাংলাদেশের জনগন চায়। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু Ruhul Amin ------------------------------ খালেদা জিয়াকে সমাবেশের অনুমতি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি আশাহত----04 /01 / 0016 ইং পোষ্ট -==================================প্রখ্যাত দার্শনিক,চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে কম বেশি আমরা সবাই জানি।সক্রেটিস কোন যুগে জম্মগ্রহন করে মানব সেবায় ব্রতি হয়ে আজও দেশে দেশে অনুকরনীয় অনুসরনীয় হয়ে আছেন তাও আমরা জানি।নিশ্চয়ই তখনকার সময় থেকে বর্তমানের সমাজ, রাষ্ট্রব্যাবস্থাপনা আরো শত গুন উন্নত,সমৃদ্ধ,সভ্য।সক্রেটিস ছুতোর, কামার ইত্যাদি প্রসঙ্গে এসে প্রশ্ন করতেন, 'তাহলে রাষ্ট্র নামক জাহাজটি বিগড়োলে কাকে দিয়ে সারাইয়ের কাজ করাবো'হাসান আজিজুল হক (সক্রেটিস) পৃ : ১৬ সক্রেটিসের এ বিখ্যাত কথপোকথন কারো অজানা নয়। আদর্শবান ন্যায়নীতিভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করবার জন্য সক্রেটিসকে হেমলক পান করতে দেয়া হয়েছিল(বিষ), তারপরও তিনি আইনের প্রতি অটুট শ্রদ্ধা জানিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন- এটাও ছিল তার নির্ভীক বিদ্রোহ। তাকে বাঁচবার সুযোগ দেয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি আইনঅবজ্ঞা করেননি, আইনে যদি তার মৃত্যুদন্ড হয় তবে তিনি অবশ্যই তা মানতে রাজি। এখানেও তার সমস্ত জীবনকর্মের অনেক গভীর দর্শন কাজ করেছে। তার উপর মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল একথা তিনি ও এথেন্সবাসী জানতেন। কিন্তু যে আইনে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হলো- তিনি সে আইনকে শ্রদ্ধা জানালেন এ অর্থে মানুষকে আইনের প্রতি অনুগত থাকতে বললেন। সেই আইন কারা তৈরি করছে তা তিনি জানতেন তাতে তো আর আইন নামক বিষয়টিকে জীবন থেকে বিতাড়িত করা যায় না।"পবিত্র কোরানে পাকে ও উল্লেখ করা হয়েছে, বিধর্মী কতৃক শাষিত রাষ্ট্র ও সরকার সমুহের আইন মেনে ধর্ম কর্ম করার।এই রুপ রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় শুক্রবারের খতবায় বিশেষ আয়াৎ সংযুক্ত আছে এবং নিয়মিত নামাজের সাথে আর ও কয় রাকাত নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয়া আছে।পরিতাপের বিষয়টি হচ্ছে,গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে একশ্রেনীর মানুষ রাষ্ট্রীয় আইন রীতি নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সর্ব উচ্চ আদালতের রায়কে ও অমান্য করে হরতাল অবরোধ,প্রকাশ্য আদালতের সমালোচনা করতে।শুধু তাই নয় আন্দোলনের নামেপ্রকাশ্য দিবালোকে যাত্রীভর্তি চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে জীবন্ত মানবকে পুড়িয়ে অঙ্গার করে দিতে।উল্লেখ করা প্রয়োজন যারা এই সমস্ত আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেন,এবং প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন যে আদালতের বিরুদ্ধেও কর্মসূচি দেয়া যায়,বক্তব্য দেয়া যায়,তাঁরা কখনই কোন অপরাধীর বিচার কায্য সম্পাদন করেছেন তদ্রুপ কোন উদাহরন নেই। যেমন আমি প্রথমেই বলতে চাই ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছেন রাতের অন্ধকারে।বঙ্গবন্ধুর অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? পৃথীবিপৃষ্টের সব চাইতে নিরাপদ স্থান জেলখানা।সেখানে রাতের অন্ধকারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করাহল,তাঁরা বন্দি ছিলেন, তারপর ও তাঁদের অপরাধের বিচার কি করা যেতনা? মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে বুদ্ধিজীবিদের বাসা থেকেতুলে নিয়ে জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করা হল, তাঁদের অপরাধ কি বিচার করে মিমাংসা করা যেতনা? খালেদ মোশারফ., কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য মুক্তি যুদ্ধা সেনা অফিসারকে মেজর জিয়ার নির্দেশে নির্মম নির্দয় ভাবে হত্যা করা হল, অনেককে গুলী করার পর প্রান পাখী উড়াল দেয়ার আগেই জ্যান্ত মাটি চাপা দেয়া হল, তাঁদের বিচার কি প্রচলিত সেনা আইনে করা যেতনা? অসংখ্য মুক্তিযুদ্ধা,আওয়ামী লীগের নেতা,মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারি,ব্লগার,প্রকাশক,লেখক সাহিত্যিক,সাংবাদিক হত্যা করা হল,তাঁদের অপরাধ কি আইনের আওতায় এনে বিচার করা যেতনা?আন্দোলনের নামে ঘোষনা দিয়ে মানুষ হত্যা করা,সম্পদ নষ্ট করা,লুটপাট করা কি মানবতা বিরুধী অপরাধের আওতায় পড়েনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা লুটপাট,অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি মানবতা বিরুধী অপরাধের বিচার হতে পারে,যুদ্ধাবস্থা ব্যাতিরেকে ঘোষনা দিয়ে তদ্রুপ কর্মে জড়িতদের এবং হুকুমদাতার বিচার কেন হবেনা? নগদ অপরাধের ট্রাইবুনাল গঠন করে বিচার করা কি রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব নয়? নাগরীকদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া কি রাষ্ট্রের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা? যারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেন তাঁরা কি বিচার পাওয়ার সাংবিধানীক অধিকারের মধ্যে পড়েনা?সেই যুগের সক্রেটিস যদি নীজের উপর আনীত মিথ্যা অভিযোগ জেনে শুনে মেনে নিতে পারেন,সভ্যতার চরম শীখরে দাঁড়িয়ে যারা এই যুগে আইনকে, রাষ্ট্রীয় রীতিনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকাশ্য আন্দোলনের নামে মানুষ খুন করেছেন,সম্পদের হানী ঘটিয়েছেন তাঁরা কি সক্রেটিস যুগের আগের অধিবাসি মনে করেন নীজেদের? তাঁরা নীজেরা নিজেদের মনে করুন কিন্তু মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে কোন যুগে ফিরিয়ে নিতে চান?তাঁদের যদি এতই অসহ্য লাগে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বিশেষ কিছু আদর্শের প্রতিপালনের অঙ্গিকারের ভিত্তিতে ৩০লক্ষ শহিদের আত্মদান,পৌনে চারলাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে বসবাস- তবে জনগনকে সংঘটিত করে আর একটি গনবিপ্লব ঘটিয়ে তাঁদের মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করতে স্বাধীনতার পক্ষের কোন মানুষ বাধাতো দিচ্ছেনা। যাদের নেতৃত্বে, যাদের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হল, তাঁরাতো ক্ষমতায় আছে,তাঁদের কেন জোর পুর্বক,ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে খমতা থেকে নামাতে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে,আইন শৃংখলার অবনতি ঘটিয়ে জনজীবন দুর্বিসহ করে তোলার চক্রান্ত করতে দেয়া হবে।এই সেই দিন মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যা নিয়ে যিনি বিতর্ক উত্থাপনের বৃথা চেষ্টা করে জনরোষের আওতার মধ্যে এখনও রয়েছেন,তাঁর সৌখিন বাসভবন পাহারায় আপনার সরকার অতিরীক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে,তিনি কি ভাবে স্বাধীন বাংলাদেশে সমাবেশ করার প্রসাশনিক অনুমতি পায়। বর্তমান গনতান্ত্রিক বিশ্বের একটি দেশের উদাহরন কি কেউ দিতে পারবেন,স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা সেই দেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে?একটি দেশকি কেউ দেখাতে পারবে যে,সেই দেশের কোনমীমাংসিত এবং প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে ৩০/৪০ বছর পর আবার জনসমক্ষে উত্থাপন করে লক্ষ লক্ষ শহিদ পরিবারের অন্তরের আগুনে"ঘি "ঢেলে দেয়ার চেষ্টা, কোন প্রতিষ্ঠিত দল বা তাঁর নেতা করেছেন? কেন এই পয্যন্ত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা না করে উলটো সমাবেশ করে তাঁর মতবাদ প্রচারের অনুমতি দেয়া হল??তাঁরা নীজেদের এত ক্ষমতাবান মনে করেন কিভাবে? তাঁরা কি করে আবার জাতির নিকট ক্ষমা চাওয়া ছাড়াই প্রকাশ্য সভা সমাবেশ করার অধিকার পায়?কেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সংসদে ঘোষনা দিয়েও এখন পয্যন্ত আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন করছেন না? মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনার আশ্বাস বাংলার মানুষ অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করে।সুতারাং জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি আগুন সন্ত্রাসের বিচারে ট্রাইবুনাল গঠন কল্পে তড়িৎ ব্যাবস্থা গ্রহনকরবেন, জনগনের এই আস্থা বিশ্বাস এখন ও অটুট রয়েছে।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,শাপলা চত্বরের সেই দিনের ষড় যন্ত্র মোতাবেক যদি খালেদা জিয়ার ডাকে ঢাকার মানুষ রাজপথে নেমে আসতেন,পরিকল্পনাঅনুযায়ী সেনা বাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়েআপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো,আপনাকে কি জীবিত বাঁচতে দেয়া হত? আপনার পরিবারের কাওন সদস্যকে বাঁচতে দিত?আওয়ামী লীগের থানা উপজেলা পয্যায়ের কোন নেতা কি বাঁচতে দিত? তাঁরা কি সে দিন পরিকল্পনা অনুযায়ী ধর্ম বিদ্বেষী সরকার উৎখাত করে ধর্মধারি সরকার কায়েমের রাজনৈতিক শ্লোগানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নামক মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বাহক জননন্দিত এইসংগঠনটিকেও জ্যান্ত কবর দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল না?আমি আজ আরও একটি বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জাতির জনকের কন্যাকে স্মরন করিয়ে দিতে চাই,সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন চরমপন্থী নেতার অবিকল নকল করা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার--,গনতান্ত্রিকদেশে,গনতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে, গনতান্ত্রীক সংগঠনের,গনতন্ত্রের পুজারি মনে করা কোন নেতা, রাজপথে আন্দোলন না করে, সীমাবদ্ধ কক্ষে ৪১দিন অবস্থান করে, ৪২ জন মানুষকে পুড়িয়ে মেরে,পরবর্তিতে বিচারের সম্মুখ্যিন না হয়ে নিয়মাতান্ত্রীক আন্দোলনের সুযোগ কোন দেশের, কোন নেতা বা কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে, এমন উদাহরন কি কেউ দিতে পারবে?? ষড় যন্ত্রের জাল কোথায় বিস্তৃত ছিল তাঁর প্রমান সেই নেত্রী নীজেই তাঁর উষ্মায় প্রকাশ করে দম্ভস্বরে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সবচেয়ে সুশৃংখল বাহিনীকে তাচ্ছিল্য করে বলে ছিল"সেনাবাহিনী বেঈমান"!!!এর পরও আপনার সরকার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা আনায়ন না করে প্রকাশ্য সভার অনুমতি দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গুলির মনে আগাত দেয়া হয়েছে আমি মনে করি। গত পৌর নির্বাচনে রায় দিয়েছে তাঁর বিচার করার,তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার অর্থই হচ্ছে জনগনের ক্ষোভ তাঁর উপর থেকে এখনও কমেনি,বরঞ্চ কয়েক গুন বেড়ে জনরোষের পয্যায় পৌছে গেছে।আপনার সরকারের তাঁকে দেয়া বাড়তিনিরাপত্তাই তা প্রমান করে।সুতারাং দেশ ও জাতি এই রাজনৈতিক লাশের ভার বইবার প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।দেশের এবং জাতির প্রয়োজন বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক,প্রযুক্তিনির্ভর, উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গঠনে জ্ঞানসমৃদ্ধ, আধুনিক সভ্য দুনিয়ার নেতৃত্ব গ্রহন করার মত গুনাবলি সমৃদ্ধ নেতার। কোন অবস্থায় সক্রেটিসের আগের যুগে জাতি ফেরৎ যেতে চায়না।পরিশেষে বলতে চাই,আর কোন সংগাত নয়,এবার চাই সমৃদ্ধি।আর নয় জঙ্গিপনা,এবার চাই ধর্মনিরপেক্ষতা।আর নয় সাম্প্রদায়ীকতা,এবার চাই অসম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা।আর নয় পাকি ভাবধারা প্রতিষ্ঠা,এবার চাই মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকারের সফল বাস্তবায়ন। জয় আমাদের হবেই হবে, অশুভ অপশক্তির পরাজয় অবশ্যাম্ভাবি। জয় বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয়তু দেশরত্ম শেখ হাসিনা