বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল দলের গতিশীলতা রক্ষা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরণের টার্নিং পয়েন্ট-----
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিল দলের গতিশীলতা রক্ষা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্নপুরণের টার্নিং পয়েন্ট----
____________________________________________________________
ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারীত হয়ে প্রস্তুতি নিস্পন্নের পয্যায়।এবারের জাতীয় কাউন্সিল অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় ভিন্নরুপ পরিগ্রহ করবে বলে পত্রপত্রিকা সহ মিডিয়াগুলী আবাস দিচ্ছে।প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দলটি আন্দোলন সংগ্রাম, জেল জুলুম সামাল দিতেই ব্যাস্ত ছিল।এত লম্বা সময় ক্ষমতার স্বাদ গ্রহন করার সুযোগ কোন দিন পায়নি দলটি। ফলে আন্দোলন সংগ্রামে এত বেশী অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে দলটি---'ক্ষমতায় থেকেও অনেক সময় প্রতিবাদী কন্ঠে অনেক বিষয়ে বিদ্রোহ করতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের'। 'অর্থাৎ নীজের বিরুদ্ধে নীজেই বিদ্রোহ করে বসে খেয়ালের বসে'। তনু হত্যা নিয়ে এতবেশী সরব প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল সরকারের ভিতরে বাহিরে শেষাবদি সেনা বাহিনীর মধ্যেই বিশৃংখলা দেখা দেয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।সাগর-রুনি হত্যাকান্ডেও একই অবস্থা পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়।
এই প্রথম জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানের পথে অনেক গুলী মৌলিক বাধাবিপত্তি চিরতরে বিলুপ্ত করার বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হতে পেরেছে দলটি।দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকার সুবাদে জাতির জনকের আদর্শ অনুসরনে 'কাংক্ষীত উন্নয়ন অগ্রগতি'ও এসেছে।
আওয়ামীলীগের জাতীয় কাউন্সিল মানেই--" সংস্কার, গতিশীলতা, নতুনত্ব, আধুনীকতা, প্রগতি,নীতি আদর্শ পরিবর্তন পরিবধন, সংকোচন,বিভাজন"। কোন একটি জাতীয় সম্মেলনে চমক সৃষ্টির ধারাবাহিকতা থেকে দলটি বিচ্যুত হয়নি। গঠনতন্ত্রের সংস্কার করে যুগোপযোগি চলমান বিশ্ব রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা থেকেও পিছু হটেনি দলটি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল প্রচলিত প্রবাদের ন্যায় প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিণত হয়েছে -- "আওয়ামীলীগ আজকে যাহা চিন্তা করে অন্যসব রাজনৈতিক দল তা দশ বছর পরে চিন্তা করে। আওয়ামী লীগ শ্রষ্টার ভুমিকা পালন করে,অন্যরা তা অনুসরন,অনুকরন করে।" বর্তমান আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনকের আদর্শের আওয়ামী লীগের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ বিকশিত হয়েছিল ৬ দফা কেন্দ্রিক স্বাধীনতার আক্ষাংকার বহি:প্রকাশ এবং পশ্চিম পাকিস্তানীদের শাষন শোষনের বাস্তব চিত্রের প্রতিবাদের বীজ থেকে।আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ' বাংলাদেশ স্বাধীন করা হবে'। সেই মোতাবেক দল ও রাজনীতি পরিচালিত হয়েছিল।
পক্ষান্তরে বর্তমান আওয়ামী লীগ পুন:জীবিত হয়েছে 'স্বৈরশাষকদের অগনতান্ত্রীক ফ্যাসিস্ট শাষন, লুটপাটে'র বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের ভিত্তি রচনার সফল নেতৃত্বের গুনে। জনগনের মাঝে এই দলের প্রয়োজনীতা ও শাষন সম্পর্কে ষড়যন্ত্র কারীদের নানামূখি বিভ্রান্তি চড়ানোর প্রত্যক্ষ জবাবে বিগত আটবছরের শাষনকাল ছিল স্বর্ণযুগ। জাতির জনকের কন্যার অনড় মনোভাবের কারনে দলটি শতবছরের বিপয্যয়কর অবস্থা ও অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।শুধু ঘুরে দাঁড়িয়েছে বললে কম বলা হবে-বলা যায় শতবছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে "প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক" দল হিসেবে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত শক্তি হিসেবে স্বীকৃত হতে পেরেছে।
ফলত: এবারের জাতীয় কাউন্সিলে ব্যাপক পরিবর্তন,রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত নীতি, দলীয় কাঠামো ইত্যাদিতে নতুনত্ব আনায়ন বিগত দিনের তুলনায় অনেকাংশে স্বয়ংক্রিয়ভাবে 'গুরুত্বপুর্ণ চাহিদার ভিত্তি' রচিত হয়ে আছে। সামাজিক, রাজনৈতিক, বিশ্বরাজনীতি, প্রতিবেশীদের সংঙ্গে সৎভাব, মুসলিম রাষ্ট্র সমুহের সঙ্গে যে কোন সময়ের তুলনায় অধিক কায্যকর বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক, আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারন, অভ্যন্তরীন বিদ্যমান রাজনৈতিক দল সমুহের রাজনীতিতে ধ্বস, অর্থনৈতিক ক্রমাগত উন্নতি ইত্যাদি বিষয় সমুহ বিশ্লেষনে দেখা যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব বড়কোন দুর্বিপাক না হলে 'অনেক বছর' পালন করার প্রয়োজন হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি তখন তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জন করেছিল দলটি। তখনই আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের মর্যাদা ও স্বীকৃতি লাভ করেছিল । সত্তরের নির্বাচনের ঐতিহাসিক বিজয় ছিল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এর মধ্য দিয়ে দলটি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার নৈতিক ও আইনগত ভিত্তি অর্জন করেছিল। ইতিহাস এর অংশ নয়, ইতিহাস তৈরিতে একক এবং অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিল আওয়ামী লীগ।
এবার তাঁর কন্যা ২০০৮ ইং সালের বিশাল বিজয়ের পর জনগনের জীবনমান উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, বৈদেশিক বানিজ্যের প্রসার, দেশকে ডিজিটালে রুপান্তরের ক্ষেত্র ব্যাপক কর্মযজ্ঞের কারনে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বিরুধীদল অস্তিত্ব সংকটে আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে জাতীরজনকের কন্যার শাষনের পক্ষে অঘোষিত জাতীয় ঐক্য সুচিত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পরিগ্রহ করেছে। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুধীতাকারী বিদেশী রাষ্ট্র সমুহ শেখ হাসিনার শাষনকে বৈধতা দিয়ে দ্বিগুন উৎসাহ উদ্দিপনায় সাহায্য ও সহযোগীতার হাত প্রসারীত করেছে এবং করছে। বিরুধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও বলতে বাধ্য হচ্ছে "শুধুমাত্র নির্বাচন গনতন্ত্রের মাপকাঠি নয়, রাষ্ট্রের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গুলী সচল রাখাই গনতন্ত্র।" বিএনপির মহাসচিব তাঁদের দলীয় আলোচনা সভায় স্বীকারোক্তি দিয়ে প্রকাশ্য বলতে বাধ্য হচ্ছেন--"বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে বিএনপি বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে আগামী ৫/৭ বছরের মধ্যে হারিয়ে যাবে।"
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাষনভার গ্রহন করে, রাষ্ট্রের সমূদয় কাঠামো গঠন করার প্রাক্কালে সময়ের প্রয়োজন ছিল অবশ্যম্ভাবি। সসস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিল্পকলকারখানা, রাস্তা ঘাট,পুলকালভার্ট,ব্যাংকবীমা, বাড়ীঘর সবকিছুই ছিল বিধ্বস্ত লন্ডভন্ড। উপরিন্তু যুদ্ধের ফলে সাধারনের নিকটেও মারানাস্ত্রের মজুদ গড়ে উঠেছিল। নয়মাসের যুদ্ধ ফেরৎ মুক্তিযুদ্ধা, প্রায় পাঁছ লক্ষের কাছাকাছি বীরঙ্গনা মা-বোনের পুণ:বাসন, রাজাকারের অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেড়ে নেয়া ইত্যাদি সহজ ব্যাপার ছিলনা। এরই মধ্যে যোগ হয়েছিল প্রকট খাদ্য ঘাটতি। সব কিছু মিলিয়ে নতুন দেশের নতুন সরকার তড়িৎ সব সামাল দেয়ার সক্ষমতা অর্জনের আগেই যুক্ত হতে থাকে দেশী ও আন্তজাতিক চক্রান্ত।মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি নানাভাবে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগের ওপর চরম বিপর্যয় নেমে আসে। অবষেষে ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁদের ষড়যন্ত্র সফল করে।
৭৫ এর পর আওয়ামী লীগের মধ্যম ও তৃনমুলের নেতারা, এবং কি মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশও দলে দলে দলত্যাগ করে জাতির জনকের হত্যাকারিদের সাথে হাত মিলায়। ফলে আওয়ামী লীগের নি:শেষের ধারনাটি জনমনে পোক্ত আকারই ধারন করেছিল। কালক্রমে সব শঙ্কা, সংশয় দূর হয়েছে। আওয়ামী লীগের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা নিয়ে যারা সন্দেহ পোষণ করতেন তাদের সব অনুমান ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভুল প্রমাণ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জৈষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহন করা প্রসঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় না গিয়ে সংক্ষেপে শুধু এটাই বলি, "শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নবজীবন লাভ করেছিল, শক্তি সঞ্চয় করেছিল, ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৬ ইং সালে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিল।"
, ২০০১ ইং সালের পর কয়েকদফা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামীলীগকে মাঠেঘাটে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।এবং কি জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও প্রত্যেক জেলা উপজেলা সফরে বাধা প্রদান করা হয়েছিল। তাঁর নীজ জেলায় জনসভাস্থলে পয্যন্ত ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল-'তাঁকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে।' একমাত্র এবং একমাত্র অসীম সাহষ, দুরদর্শীতা, ক্ষিপ্রতা, ধৈয্য, রাজনৈতিক বিচক্ষনতা, আল্লাহর উপর ভরসার গুনে--তিনি টিকে আছেন।শুধুমাত্র টিকে থাকা নয়--"খালেদা জিয়ার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টাকে নস্যাৎ করে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে ২০০৮ ইং সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছেন"।
সুতারাং 'শেখ হাসিনার' নেতৃত্বে ২০০৮ইং সালের আওয়ামীলীগের উত্থান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বুঝাপড়ার উত্থান।বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগকে পতন ঘটানো যতই সহজ হয়েছিল- শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগকে পতন ঘটানো ততই কঠিন হবে--ইহাই স্বাভাবিক।"আবেগের মৃত্যু হতে পারে-আদর্শের মৃত্যু হয়না'। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব 'দল এবং দেশ'কে যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল-তাঁর কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্ব--'সে উচ্চতার মাত্রা কোন অংশেই কমেনি। বরং অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামীলীগ কতৃক সরকার পরিচালনা দৃশ্যত উন্নত, আধুনিক ধ্যান ধারনায় পরিপুষ্টতা পেয়েছে।"
বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়ের চক্রান্তটি আবারও ২০১৪/১৫ ইং সালে জাতীয় নির্বাচমকে সামনে রেখে কায্যকর করার চেষ্টা করেছিল আগের ষড়যন্ত্রিরাই। দু:খ্যজনক হলেও সত্য--"আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, লুটেরা, হাইব্রিড নেতাদের বেশীরভাগ ভয়ে দেশত্যাগ করতে দেখা গেছে।তাঁদের পাসপোর্ট তল্লাসি দিলে আমার কথার সত্যতা মিলবে।কিন্তু শেখ হাসিনা সামান্য সংখ্যক ত্যাগি নেতাদের নিয়ে তাঁর দায়িত্ব পালনে ছিলেন অনড় ও ইস্পাত কঠিন।শেখ হাসিনাকে নড়াতে সর্ববৃহৎ বিরুধীদল হঠকারী রাজনীতির আশ্রয়ে নিয়ে--" খুন, গুম, হত্যা, লুট, জঙ্গি উত্থান, নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে উলটো তাঁরাই রাজনৈতিক অস্তিত্ব সংকটে পড়ে কোন রকম বিবৃতি সর্বস্ব দলে রুপান্তরীত হয়ে টিকে আছে।"
জাতির জনকের কন্যার সে দু:সময়ের অনড় মনোভাবের কারনে আওয়ামীলীগ শত বছরের বিপয্যয়কর সমুহ সম্ভাবনা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে।শুধু ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে বললে ইতিহাস আমাকে ক্ষমা করবে না-"বলা যায় শতবছর বাংলাদেশের রাজনীতিতে "প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক" দল হিসেবে 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শক্তি" বঙ্গবন্ধুর পরিবার বাংলাদেশের জন্য অপরিহায্য পরিবার' হিসেবে জনগনের স্বীকৃতি,সমীহ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে"।
২০১৫ সালে ষড়যন্ত্রীরা যদি দৈব দুর্বিপাকে সফলকাম হতে পারতো তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থা '৭৫ পরবর্তীর চেয়ে শতগুন বেশী বিপয্যয়কর হ'ত। নিয্যাতন নীপিড়নের স্বীকার হয়ে অর্ধ শতাব্দিতেও মাথা তোলে ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি অবশিষ্ট রাখা হ'ত না।। সেই পরিকল্পনার স্রোতে আবগাহন করেছিলেন তথাকথিত ধর্মের ধ্বজাধারী হেফাজত থেকে আরাম্ভ করে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং কি নাস্তিক কমিউনিষ্টেরাও।
উল্লেখিত বিষয়ে লক্ষ রেখে এবার আশা করি দলের গঠনতন্ত্রে আসবে সুদুর প্রসারী চিন্তা চেতনার পরিপুষ্টতা এবং অধিকতর সংস্কার। দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসি আশা করে জাতীর জনকের কন্যার "গতিশীল নেতৃত্ব বিদ্যমান থাকাবস্থায় 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলটির গঠনতন্ত্রে স্থায়ী কাঠামো প্রতিষ্ঠাকরন আবশ্যক।"নচেৎ দীর্ঘবছর ক্ষমতা উপভোগহেতু দলের সাংগঠনিক কাঠামো, কর্মীদের চেতনাবোধ, রাজনীতির স্পৃহা, জেলা নেতাদের জনবিচ্ছিন্নতা, দলে এলাকাভিত্তিক একাধিক মাফিয়া চক্রের উত্থান হেতু 'সাংগঠনিক স্ববিরতা' দেখা দিতে পারে। এবারকার সম্মেলনে উক্ত বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত গুলী নেয়া হবে আশা করি।
এক্ষেত্রে গঠনতান্ত্রীক ক্ষমতা প্রয়োগে ব্যাপক সংস্কার একান্ত প্রয়োজন হবে। এখানে একটি বিষয়ের উপর বিশেষ নজর দেয়া একান্তই অবশ্যক--"অভিজ্ঞ নেতাদের সরকারে ব্যাস্ত রাখলেও অধিকতর রাজনীতি সচেতন তরুন সাংগঠনিক সম্পাদকের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে প্রত্যেক নেতাকে তিন বা চার জেলার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।কোন অবস্থায় তাঁর নীজ জেলায় তদারকির দায়িত্ব দেয়া যাবে না। তাঁদেরকে দায়িত্বরত: জেলায় দলের গঠনতান্ত্রীক সিদ্ধান্ত তৎক্ষনাৎ নেয়ার ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে। তাঁদের জন্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নিজস্ব তহবিল থেকে পরিবার পরিজন পরিচালনা করার প্রয়োজনীয় পরিতোষিকের ব্যাবস্থা রাখা বাঞ্চনীয়। ইউনিয়ন পয্যায় বিশেষ করে সম্মেলনে তাঁদের উপস্থীতি নিশ্চিতকরন সহ জেলা উপজেলা সম্মেলন, সভা, সমাবেশের সংখ্যায় বাধ্যতামুলক করা প্রয়োজন। কেন্দ্রের বাৎসরিক বর্ধিত সভায় সাংগঠনিক রিপোর্ট প্রদান বাধ্যতামুলক করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যাবস্থাদির কারন ও প্রতিকারের রিপোর্ট একই সঙ্গে দিতে বাধ্য রাখার ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। দেশব্যাপি সংগঠনকে সচল ও গতিশীল রাখার স্বার্থে সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক সহ প্রেসিডিয়াম মেম্ভারগন তাঁদের স্ব-স্ব-সাংগঠনিক ক্ষমতায় ছাড় দিয়ে হলেও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দলীয় কাজে নিয়োজিত রাখার স্বার্থে তাঁদের ক্ষমতা বৃদ্ধি আবশ্যক হতে পারে।কোন অবস্থায় জেলা-উপজেলায় মাফিয়া ডনের উত্থান যেন না হতে পারে সে দিকে অধিক নজরদারির প্রয়োজন।দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা জনগনের কষ্ট পাওয়া রোধে সুনির্দিষ্ট নীতি প্রনয়ন পুর্বক বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতেই হবে।
ruhulaminmujumder27@gmail.com
"জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন