"সৌদির উপহার ২০০কোটি ডলার ফেরৎ দাবি, বিশ্বদরবারে একঘরে পাকিস্তান--"শেখ হাসিনার বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারের কুটনীতি"--
২০০ কোটি ডলার এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত চায় সৌদি আরব, একঘরে পাকিস্তান-- "শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধার।"
___________________________________________________________
ভাগ্য খারাপ হলে শালার ছেলেও বাবা ডাকে।পাকিদের হয়েছেও তাই।আজিবনের বর্বর জাতি পাকিস্তান পরের সম্পদে বাহাদুরী করতে সিদ্ধহস্ত"। "মুসলিম কা ল্যাড়কা হ্যয় আরব কো দোস্তি বনেগা"।অশিক্ষিত বর্বর পাকিস্তানকে শুধুমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হিসেবে অন্যান্ন মুসলিম দেশগুলী সহযোগীতা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছিল।আরব মুসলিম ভাইদের সম্পদ এবং '৭১ এর ১৬ই ডিসেম্বরের আগে প্রায় ২৪ বছর বাংলাদেশ লুট করা অর্থে দিব্যি বাহাদুরীও করেছে--দীর্ঘ শতবছরের কাছাকাছি।
তাঁদের উদ্যতপুর্ণ আচরনের পারদ এত বেশী শীর্ষে উঠে গিয়েছিল- ",বাংলাদেশের মানবতা বিরুধী বিচারের রায় কায্যকর করার প্রাক্কালে 'ঐ ব্যাক্তি তাঁদের বন্ধু হয়ে যায়'।" বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কুটনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভুত 'আচরন করতে সামান্য লজ্জাবোধ করেনি।রাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্র' হয় অর্থাৎ 'জনগনের সংগে জনগনের বা সরকারের সঙ্গে সরকারের বন্ধুত্ব হয়'--"সরকারের ( পাকিস্তানি জনগনের) ব্যাক্তিগত বন্ধু থাকতে পারে" এই অসভ্য সরকারের কাছ থেকেই বিশ্ববাসি প্রথম জানতে পেরেছে।
বাংলাদেশের আপামর জনগনের পক্ষথেকে পাকিস্তানীদের সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক চিহ্ন করার জোর দাবী জানালেও শেখ হাসিনার সরকার সেদিকে কর্ণপাত করেননি।বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে অন্তদৃষ্টি সম্পন্ন মহামানবীতে রুপান্তর হয়েছেন কে জানত? তাঁর চোখে দিব্যি তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন- "পাকিস্তান অচিরেই বিশ্বদরবারে একঘরে হয়ে যাচ্ছে। " বাংলাদেশ কেন অযথা একঘরে করার প্রক্রিয়ায় প্রথমেই অংশ নিবে? শুরু করার দায়িত্ব তিনি না নিয়ে অপেক্ষায় থাকা শ্রেয় মনে করেছেন।মোক্ষম সময়টা আসতে খুব বেশী দেরী হয়নি। এদেশীয় পাকি জারজেরা যখন বাংলাদেশ আক্রমন করার জন্য পাকি সরকারকে আহব্বান জানায় তখনও নির্বিকার বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী।কারন একটাই-কি আক্রমন করবে পাকিস্তান-নীজে বাঁচতেই লাগবে নয়মণ ঘি।
ভারতে সেনা সদরে পাকিস্তানী জঙ্গী কতৃক আক্রমনের প্রেক্ষাপটে সার্ক বর্জনের প্রসঙ্গ আসতেই বাংলাদেশ সরকার শর্ত সাপেক্ষে সার্ক বর্জনের সিদ্ধান্ত আন্তজাতিক মহলে ঘোষনা দিল।শর্ত খুব বড় কিছুই নয়-জীবন মরন সমস্যাও নয়।ভারতের প্রাদেশিক সরকার সমুহের বাঁধার কারনে যে সমস্যাটি আন্তরিকতা থাকা সত্বেও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কায্যকর উদ্যোগ নিতে পারছেন না বাস্তবে রুপান্তরের জন্য। (কি সেটা -কি? 'খালেদার মতই ভুলে গেলেন') "তিস্তার পানি বন্টন।"বেশী কিছু বলে নাই বাংলাদেশ সরকার--মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ভারত সফরে "তিস্তার বিষয়টি" প্রধান আলোচ্য বিষয়ের তালিকায় স্থান দেয়ার অনুরুধ জানিয়েছেন মাত্র।
এবার প্রসঙ্গেই আসি।ভারতের আক্রমন পালটা আক্রমনের মাঝে পাকিস্তানের পরিক্ষীত বন্ধু আমেরিকা ভারতের পক্ষে থাকার ঘোষনা দিয়েছে। চিরবন্ধু রাশিয়া ঘোষনা দিয়ে বলেছে ভারতের বিপদে রাশিয়া বসে থাকতে পারে না।" ইরান তাঁর সিমান্তে কয়েকদফা আক্রমন করে প্রমান করেছে পাকিরা জঙ্গীর গডফাদার"। আফগান সিমান্তে তাঁরাও আক্রমন করে বুঝিয়ে দিল 'পাকিস্তান আমাদের ও শান্তি দেয়নি।'শেষাবদি আরব রাষ্ট্র-" বন্ধুকে উপহার দেয়া অর্থ " ফেরৎ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে প্রমান করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে গোটা বিশ্বের কোন দেশই বন্ধু হিসেবে পাশে নেই।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, আগামী দুই সপ্তার মধ্যে পাকিস্তানকে দেয়া ২০০ কোটি ডলার ফেরত চেয়েছে সৌদি আরব। এই অর্থ পাকিস্তানকে "উপঢৌকন" হিসেবে দিয়েছিল "সৌদি আরব"।পাকিস্তানের সরকারি টিভি’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই অর্থ ফেরত চেয়েছে সৌদি আরব। যা ২০১৩ সালে পাকিস্তানকে "উপঢৌকনস্বরূপ"দেয়া হয়েছিল।
পাক ভারত উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবের অর্থ ফেরত চাওয়া অত্যন্ত বেদনায়ক উল্লেখ করে ইসহাক দার বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ এমন সময়ে এই অর্থ ফেরত চাচ্ছে-'যখন পাক-ভারত সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে।'
*আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।* অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সৌদি আরব এই পরিমাণ অর্থ পাকিস্তানকে দিয়েছিল অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য। কিন্তু দেশটির ক্ষমতাসীন দল মুসলিম লিগ (এন) সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।তাই অর্থগুলী ফেরৎ নেয়াই সৌদি আরব যৌক্তিক মনে করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার অনেক আগেই পাকিস্তানের নিকট "পাওনা সম্পদ" আদায়ে আন্তজাতিক আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কাজ শুরু করে। নতুনভাবে "মুক্তিযুদ্ধে মানবতা বিরুধী অপরাধে" জড়িত পাকিস্তানী নাগরিক ও সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের প্রক্রিয়াও শুরু করে।দু'টি বিষয়ে প্রক্রিয়াগতভাবে অগ্রসরতার গতি এত দিন ধীরে হলেও সাম্প্রতিক সময়ে উভয়ক্ষেত্রে গতি পেয়েছে বলে জানা গেছে।"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈঙ্গিত দিয়ে বলে দিলেন -পাকিস্তানের সঙ্গে "ঝগড়াও হবে -কুটনৈতিক সম্পর্কও থাকবে।" "অর্থাৎ তাঁদের সঙ্গে ঝগড়ার পাশাপাশি মিমাংসার দরজা খোলা রেখে বাংলাদেশের স্বার্থ উদ্ধারেই মনযোগী হলেন জাতির জনকের কন্যা-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনা।
সুপ্রীয় পাঠক বন্ধুরা-- লক্ষ করুন---"সার্ক বর্জনের সিদ্ধান্তে ভারতের নিকট তিস্তা চুক্তির গতি দাবি এবং পাকিস্তানকে বিশ্বসভায় একঘরে করার প্রক্রিয়া চলাকালিন কূটনৈতিক সম্পর্ক বহাল রেখে "পাওনা সম্পদ" আদায়ে চাপের মধ্যে রাখার কৌশল গ্রহন "দেশপ্রেমিক প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির প্রতি অন্ধ ভালবাসা" না থাকলে কি সম্ভব হ'ত?প্রেমে গভীরতা না থাকলে কবিতা কি চয়ন করা যায়? আপনারাই বিচার করুন-- "বঙ্গবন্ধু পরিবার" বাংলাদেশকে, বাঙ্গালী জাতিকে উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছেন-- নাকি স্যুটকেস ভর্তি করে আরাম আয়েশে দিন কাটানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।"
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন