'২১শে আগষ্টের হামলার পরিকল্পনা সাত গম্ভুজ মসজিদে--পরিকল্পনায় ""তারেক জিয়া সরাসরি জড়িত""---!!
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয় সাত গম্বুজ মসজিদে’--"তারেক পরিকল্পনায় সরাসরি জড়িত"----!!!!!
______________________________________________________
______________________________________________________
খালেদা জিয়া কি কারনে ১/১১ এর সেনা শাষিত তত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে ন্যাক্কারজনক শর্তে দুই ছেলেকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিতে রাজি হলেন--দিন যতই গড়াচ্ছে গোপন রহস্য সমুহ ততই পরিস্কার হচ্ছে।তারেক বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে ফিরে আসার চিন্তা কেন করে নাই--তার হদিসও প্রকাশ শুরু হয়েছে।খালেদা জিয়া সংক্ষিপ্ত পথে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কেন এত ব্যাকুল পাগলপ্রায় ছিলেন--তাও দিনের আলোর ন্যায় পরিস্কার হওয়া শুরু হয়েছে।
"ব্যাক্তিগত ভাবে আমি খুবই আশ্চায্য ছিলাম এই ভেবে-'হেফাজতের শাফলাচত্বরে অবস্থানের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ'এবং ঢাকায় বসবাসরত: 'জনতাকে রাজপথে নেমে আসার আহব্বান' শর্তেও উভয়ের কেউই তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি কেন? তাঁর বাসার সামনে বালির ট্রাক ও পুলিশী ব্যারিকেটের কারনে তিনি বাসার ফটকে গাড়ীতে দুপুর দ'টা থেকে সন্ধা সাতটা পয্যন্ত অপেক্ষার পরও দশ/বিশ হাজার নেতাকর্মীর মিছিল ব্যারিকেট সরিয়ে নেত্রীর পথ পরিস্কার করার জন্য কেন আসেনি ?"
অনেকেই বলতে চেষ্টা করবেন পুলিশী বাধার কারনে বা পুলিশি অভিযানের ভয়ে হেফাজতের সাথে একাত্ম হতে যায়নি। ঢাকার অবস্থা ভাল ছিলনা বলে কেউ নেত্রীকে উদ্ধার করার জন্য আগ্রহি হয়নি।আমি তাঁদের শুধু বলব ভারতীয় উপমহাদেশ পরবর্তি পাকিস্তান সর্বশেষ বাংলাদেশের কোন আন্দোলনে পুলিশী ব্যারিকেট ছিলনা? কোন আন্দোলন বিনা রক্তপাতে সফল হয়েছে? জনগনের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহন ছাড়া কোন আন্দোলন গতিপথ পেয়েছে? বিগত আন্দোলনে মিছিল মিটিং, হরতাল অবরোধে সরাসরি সম্পৃত্ত কোন কর্মী নিহত হয়েছিল কি?
তবে হ্যা অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছেন আমি স্বিকার করি- তবে সেই হত্যা নাশকতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আগুনবোমা নিক্ষেপ করার সময় পুলিশের গুলিতে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে নয়।নাশকতা কি আন্দোলনের অংশ? যদি তাই মনে করেন তবে অনেকেই মারা গেছে সত্য।
রাজনীতির দু'টি বাঁকের একটিতেও যদি নেতাকর্মীদের সাড়া পাওয়া যেত তবে বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হ'ত কিনা জানিনা-তবে 'বিএনপি এবং তাঁদের জোটের রাজনীতির এই দুরবস্থা হ'তনা'--আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
উপরের কথাগুলি বললাম এই কারনে-নিম্নের ঘটনাটি পড়ে আমি নিজেও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ন্যায় নষ্টালিজিয়ায় আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া শুরু করেছি। আমার কেন জানি বার বার মনে হচ্ছে "চার দলীয় জোট, হেফাজত এবং এরশাদের" রাজনীতির এই করুন দশার জন্য "মহান আল্লাহর সরাসরি হস্তক্ষেপ আছে।"
হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয় ঢাকার সাত গম্বুজ মসজিদে বসে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জঙ্গি নেতারা হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের সঙ্গেও বৈঠক করে।আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে ওই ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত জানিয়েছেন মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ আদালতে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেছিলেন গত সপ্তাহের শুরুতে।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সোমবারও সাক্ষ্য দেন তিনি। সাক্ষীর জবানবন্দিতে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনায় জড়িতদের বিষয়ে তথ্য দেন আব্দুল কাহার আকন্দ। গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য নিয়েও কথা বলেন সিআইডির এ কর্মকর্তা।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্ত ভিন্ন পথে নিতে সিআইডির দুই তদন্ত কর্মকর্তা ও একজন তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে জজ মিয়া কাহিনী সাজিয়েছিল, দোষ স্বীকার করা সত্ত্বেও মুফতি হান্নানকে আসামি করা হয়নি। আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে এসব জানান মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলার তদন্ত সঠিক গতিপথ পেলেও গ্রেনেডের উৎস ও হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে কিছু না থাকায় তাকে সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগাারের পাশে স্থাপিত ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে শনিবার সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ওই মামলার তদন্তের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, তার সাক্ষীতে মূলত যে বিষয় উঠে এসেছে তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান এবং বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। তারা এই মামলা দু’টি তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জজ মিয়া নাটক কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, মূল অপরাধীদের আড়াল করতে যা যা করনীয় সবই করেছেন সেই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তারা।এ প্রসঙ্গে অবশ্য আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, সংঘটিত এই জঘন্য অপরাধে যারা সম্পৃক্ত এবং যারা নির্দেশ দাতা, সহায়তা প্রদানকারী, পরিকল্পকারী তাদের আড়ালকারী কি করেছেন, কিভাবে করেছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তাদের তদন্তকালে মুফতি অাব্দুল হান্নান গ্রেফতার ছিলো অন্য মামলায় সেটা জানার পরও তাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি এবং গ্রেফতারও দেখানো হয়নি।ইহাও কি সম্ভব?
খালেদা জিয়া এবং চার দলীয় জোটকে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ নির্বাচন সংযুক্ত অন্য সকল মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন।খালেদা প্রধান মন্ত্রীর সাথে রুঢ আচরনের মাধ্যমে উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করেন। তিনি নাশকতা অরাজগতা সৃষ্টি করে সংক্ষিপ্ত পথে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। তার অনেক কারনের মধ্যে অন্যতম একটি কারন '২১শে আগষ্টের বর্বর হত্যাকান্ড'। ২১ শে আগষ্টের বোমা হামলায় তারেক সরাসরি জডিত ছিলেন মা খালেদা ভালভাবেই জানতেন।সাধারন নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় গেলেও "২১ আগষ্ট সহ আরো কতিপয় মামলা স্বাভাবিক আইনের গতিতেই চলবে।" শেখ হাসিনা ২০০৮ইং সরকার গঠন করেই চাঞ্চল্যকর কয়েকটি মামলার স্বাভাবিক গতিপথে আনায়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ততদিনে কায্যকর করে রেখেছিলেন।ইচ্ছা করেও মামলা গুলী স্বাভাবিক ভাবে 'নির্বাচিত সরকার' গতিপথ পরিবর্তন করতে পারতেন না। যেমন পারেনি চার দলীয় জোট পাঁছ বছর ক্ষমতায় থেকেও "বঙ্গবন্ধু হত্যার" বিচার বাতিল বা রহিত করতে।
অস্বাভাবিক সরকার গঠন খালেদার একান্ত মনোকামনাই ছিল।সেই সরকার যে কোন শক্তির হলেও আপত্তি ছিলনা তাঁর।প্রয়োজনে সেই সরকারের সঙ্গে যে কোন শর্তে আপোষ করারও পক্ষপাতি ছিলেন তিনি। শুধু মাত্র তাঁর পরিবারের "লুটপাট এবং ২১শে আগষ্টের হত্যা পরিকল্পনা" থেকে রক্ষা পাওয়ার মনোবাসনা পুরণ খলেই তিনি রাজি হয়ে যেতেন।
"আল্লাহ সর্বশক্তিমান, তিনি সব জানেন, দেখেন-অত্যাচার্য্য হলেও সবাই দেখেছেন "জামায়াত,হেফাজত, এরশাদ,চারদল,বিএনপি সহ সকল 'শক্তি ধর্মীয় উম্মাদনা ' সৃষ্ট্রি করেও শেখ 'হাসিনার সরকারকে সামান্যতম টলাতে পারেন নাই'-কোথায় পেলেন শেখ হাসিনা এই মনোবল? একাদা ভিখারীর দেশ, পাঁছ বারের দুর্নীতিতে শীর্ষ দেশ মাত্র পাঁছ বছরের মধ্যে 'নিম্নমধ্য আয়ের' দেশে রুপান্তরীত হল-কোথায় পেলেন শেখ হাসিনা এই যাদুর কাঠি?গ্রাম্য একটা 'কালভার্টের' টাকা যে দেশটি ঋন করে আনতে হ'য়েছে- সেই দেশটি সাত বছরের মাথায় পদ্মাসেতু বানায়-কোথায় পেলেন শেখ হাসিনা এর যোগান? সবই মহান সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা-আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাংলার জনগনের মন জয় করে ক্ষমতায় থাকার জন্যই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করে নিচ্ছেন-এতে কোন সন্দেহ নেই।"
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
______________________________________________________
______________________________________________________
খালেদা জিয়া কি কারনে ১/১১ এর সেনা শাষিত তত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে ন্যাক্কারজনক শর্তে দুই ছেলেকে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিতে রাজি হলেন--দিন যতই গড়াচ্ছে গোপন রহস্য সমুহ ততই পরিস্কার হচ্ছে।তারেক বিদেশে চিকিৎসার জন্য গিয়ে ফিরে আসার চিন্তা কেন করে নাই--তার হদিসও প্রকাশ শুরু হয়েছে।খালেদা জিয়া সংক্ষিপ্ত পথে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কেন এত ব্যাকুল পাগলপ্রায় ছিলেন--তাও দিনের আলোর ন্যায় পরিস্কার হওয়া শুরু হয়েছে।
"ব্যাক্তিগত ভাবে আমি খুবই আশ্চায্য ছিলাম এই ভেবে-'হেফাজতের শাফলাচত্বরে অবস্থানের প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ'এবং ঢাকায় বসবাসরত: 'জনতাকে রাজপথে নেমে আসার আহব্বান' শর্তেও উভয়ের কেউই তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি কেন? তাঁর বাসার সামনে বালির ট্রাক ও পুলিশী ব্যারিকেটের কারনে তিনি বাসার ফটকে গাড়ীতে দুপুর দ'টা থেকে সন্ধা সাতটা পয্যন্ত অপেক্ষার পরও দশ/বিশ হাজার নেতাকর্মীর মিছিল ব্যারিকেট সরিয়ে নেত্রীর পথ পরিস্কার করার জন্য কেন আসেনি ?"
অনেকেই বলতে চেষ্টা করবেন পুলিশী বাধার কারনে বা পুলিশি অভিযানের ভয়ে হেফাজতের সাথে একাত্ম হতে যায়নি। ঢাকার অবস্থা ভাল ছিলনা বলে কেউ নেত্রীকে উদ্ধার করার জন্য আগ্রহি হয়নি।আমি তাঁদের শুধু বলব ভারতীয় উপমহাদেশ পরবর্তি পাকিস্তান সর্বশেষ বাংলাদেশের কোন আন্দোলনে পুলিশী ব্যারিকেট ছিলনা? কোন আন্দোলন বিনা রক্তপাতে সফল হয়েছে? জনগনের স্বত:স্ফুর্ত অংশগ্রহন ছাড়া কোন আন্দোলন গতিপথ পেয়েছে? বিগত আন্দোলনে মিছিল মিটিং, হরতাল অবরোধে সরাসরি সম্পৃত্ত কোন কর্মী নিহত হয়েছিল কি?
তবে হ্যা অনেকেই হত্যার শিকার হয়েছেন আমি স্বিকার করি- তবে সেই হত্যা নাশকতা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আগুনবোমা নিক্ষেপ করার সময় পুলিশের গুলিতে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে নয়।নাশকতা কি আন্দোলনের অংশ? যদি তাই মনে করেন তবে অনেকেই মারা গেছে সত্য।
রাজনীতির দু'টি বাঁকের একটিতেও যদি নেতাকর্মীদের সাড়া পাওয়া যেত তবে বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হ'ত কিনা জানিনা-তবে 'বিএনপি এবং তাঁদের জোটের রাজনীতির এই দুরবস্থা হ'তনা'--আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
উপরের কথাগুলি বললাম এই কারনে-নিম্নের ঘটনাটি পড়ে আমি নিজেও সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের ন্যায় নষ্টালিজিয়ায় আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া শুরু করেছি। আমার কেন জানি বার বার মনে হচ্ছে "চার দলীয় জোট, হেফাজত এবং এরশাদের" রাজনীতির এই করুন দশার জন্য "মহান আল্লাহর সরাসরি হস্তক্ষেপ আছে।"
হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয় ঢাকার সাত গম্বুজ মসজিদে বসে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জঙ্গি নেতারা হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের সঙ্গেও বৈঠক করে।আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে ওই ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত জানিয়েছেন মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ আদালতে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেছিলেন গত সপ্তাহের শুরুতে।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সোমবারও সাক্ষ্য দেন তিনি। সাক্ষীর জবানবন্দিতে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনায় জড়িতদের বিষয়ে তথ্য দেন আব্দুল কাহার আকন্দ। গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্য নিয়েও কথা বলেন সিআইডির এ কর্মকর্তা।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্ত ভিন্ন পথে নিতে সিআইডির দুই তদন্ত কর্মকর্তা ও একজন তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে জজ মিয়া কাহিনী সাজিয়েছিল, দোষ স্বীকার করা সত্ত্বেও মুফতি হান্নানকে আসামি করা হয়নি। আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে এসব জানান মামলার সর্বশেষ সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ। ওয়ান ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মামলার তদন্ত সঠিক গতিপথ পেলেও গ্রেনেডের উৎস ও হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের বিষয়ে কিছু না থাকায় তাকে সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগাারের পাশে স্থাপিত ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে শনিবার সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ওই মামলার তদন্তের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, তার সাক্ষীতে মূলত যে বিষয় উঠে এসেছে তিনজন তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান এবং বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। তারা এই মামলা দু’টি তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জজ মিয়া নাটক কিভাবে সৃষ্টি করেছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, মূল অপরাধীদের আড়াল করতে যা যা করনীয় সবই করেছেন সেই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তারা।এ প্রসঙ্গে অবশ্য আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, সংঘটিত এই জঘন্য অপরাধে যারা সম্পৃক্ত এবং যারা নির্দেশ দাতা, সহায়তা প্রদানকারী, পরিকল্পকারী তাদের আড়ালকারী কি করেছেন, কিভাবে করেছেন সেটাও তিনি উল্লেখ করেছেন। তাদের তদন্তকালে মুফতি অাব্দুল হান্নান গ্রেফতার ছিলো অন্য মামলায় সেটা জানার পরও তাকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি এবং গ্রেফতারও দেখানো হয়নি।ইহাও কি সম্ভব?
খালেদা জিয়া এবং চার দলীয় জোটকে স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সহ নির্বাচন সংযুক্ত অন্য সকল মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন।খালেদা প্রধান মন্ত্রীর সাথে রুঢ আচরনের মাধ্যমে উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করেন। তিনি নাশকতা অরাজগতা সৃষ্টি করে সংক্ষিপ্ত পথে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন। তার অনেক কারনের মধ্যে অন্যতম একটি কারন '২১শে আগষ্টের বর্বর হত্যাকান্ড'। ২১ শে আগষ্টের বোমা হামলায় তারেক সরাসরি জডিত ছিলেন মা খালেদা ভালভাবেই জানতেন।সাধারন নির্বাচনে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় গেলেও "২১ আগষ্ট সহ আরো কতিপয় মামলা স্বাভাবিক আইনের গতিতেই চলবে।" শেখ হাসিনা ২০০৮ইং সরকার গঠন করেই চাঞ্চল্যকর কয়েকটি মামলার স্বাভাবিক গতিপথে আনায়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে ততদিনে কায্যকর করে রেখেছিলেন।ইচ্ছা করেও মামলা গুলী স্বাভাবিক ভাবে 'নির্বাচিত সরকার' গতিপথ পরিবর্তন করতে পারতেন না। যেমন পারেনি চার দলীয় জোট পাঁছ বছর ক্ষমতায় থেকেও "বঙ্গবন্ধু হত্যার" বিচার বাতিল বা রহিত করতে।
অস্বাভাবিক সরকার গঠন খালেদার একান্ত মনোকামনাই ছিল।সেই সরকার যে কোন শক্তির হলেও আপত্তি ছিলনা তাঁর।প্রয়োজনে সেই সরকারের সঙ্গে যে কোন শর্তে আপোষ করারও পক্ষপাতি ছিলেন তিনি। শুধু মাত্র তাঁর পরিবারের "লুটপাট এবং ২১শে আগষ্টের হত্যা পরিকল্পনা" থেকে রক্ষা পাওয়ার মনোবাসনা পুরণ খলেই তিনি রাজি হয়ে যেতেন।
"আল্লাহ সর্বশক্তিমান, তিনি সব জানেন, দেখেন-অত্যাচার্য্য হলেও সবাই দেখেছেন "জামায়াত,হেফাজত, এরশাদ,চারদল,বিএনপি সহ সকল 'শক্তি ধর্মীয় উম্মাদনা ' সৃষ্ট্রি করেও শেখ 'হাসিনার সরকারকে সামান্যতম টলাতে পারেন নাই'-কোথায় পেলেন শেখ হাসিনা এই মনোবল? একাদা ভিখারীর দেশ, পাঁছ বারের দুর্নীতিতে শীর্ষ দেশ মাত্র পাঁছ বছরের মধ্যে 'নিম্নমধ্য আয়ের' দেশে রুপান্তরীত হল-কোথায় পেলেন শেখ হাসিনা এই যাদুর কাঠি?গ্রাম্য একটা 'কালভার্টের' টাকা যে দেশটি ঋন করে আনতে হ'য়েছে- সেই দেশটি সাত বছরের মাথায় পদ্মাসেতু বানায়-কোথায় পেলেন শেখ হাসিনা এর যোগান? সবই মহান সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছা-আল্লাহ শেখ হাসিনাকে বাংলার জনগনের মন জয় করে ক্ষমতায় থাকার জন্যই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করে নিচ্ছেন-এতে কোন সন্দেহ নেই।"
" জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন